ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার বিরোধীতা করার আগে পড়ে দেখুন ১১১

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার বিরোধীতা করার আগে পড়ে দেখুন
=================================================
বিষয়টা এখনি ফয়সালা করে নেয়া দরকার। সঠিক অবস্থানটা পরিষ্কার করা দরকার।
বাতিল ফের্কার একটা পার্ট পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করে তথাকথিত নামধারী কিছু ভন্ডের কারনে। এই বিদয়াতিগুলো এসকল বিশেষ দিন সহ সবসময়ই গানবাজনা, নাচানাচি, ঢোল তবলা, নেশাগ্রস্থ হওয়া, পুরুষ মহিলা একাকার হওয়া সহ বিভিন্ন বেশরা কাজ করে। এদের এসকল ভন্ডামীর কারনে কিছূ মানুষ পবিত্র অনুষ্ঠানকে বিদয়াত বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ।
উদাহরন স্বরূপ, মাজার শরীফ যিয়ারত করা সুন্নত। কিন্তু মাজারে একশ্রেনীর বিদয়াতী ভন্ডের গাঁজা সেবন সহ বিভিন্ন বেশরা কাজ করার কারনে ওহাবীরা সুন্নত মাযার যিয়ারতকে মাজার পুজা বলার মত সাহস পায়।
তদ্রুপ এসকল বিদয়াতীরা গুরুত্বপূর্ণ দিবসে তাদের অঙ্গনে বসে ভন্ডামী করে। ওহাবীরা এসব দেখে মনে করে পুরো কার্যক্রমটাই বোধহয় এমন। তারাও ঢালাই ভাবে প্রচার করে পবিত্র মীলাদ শরীফ বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ।
কথা হচ্ছে, মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার সুযোগ নাই। গাছে রোগ হলে গাছ কেটে ফেলার দরকার নাই। বরং মাথা ব্যাথার ওষুধ খেতে হবে। গাছের রোগ হলে গাছ না কেটে গাছের গোড়ার ওষুধ দিতে হয়। সূতরাং কোন বিদয়াতীর বদ আমল দেখে মূল আমল বাদ না দিয়ে বিদয়াতী বেশরা আমল বাদ দিতে হবে।
শিয়ারা নামাজ পড়ার সময় সিজদায় মাথার নিচে মাটির টুকরা রাখে, নিজেদের বাড়িতে কাবা শরীফ উনার অনুরুপ ঘড় বানিয়ে তাওয়াফ করে। এদের বিদয়াত কাজ দেখেতো আপনি নামাজ ও তাওয়াফ বাদ দিবেন না। বরং এদের ভন্ডামী আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে সঠিক আমল করবেন।
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিলে আমরা প্রকৃত মুসলানরা যে আমল করি,
১) ছলাত ও সালাম পাঠ করি। যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীস শরীফ উনাদের সুস্পষ্ট র্নিদেশ মুবারক।
২) হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান ছানা সিফত মুবারক করা হয়। যা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্বয়ং মাহান আল্লাহ পাক নিজেই করেছেন।
৩) উনার আগমন সর্ম্পকে হাদীস শরীফ বর্ণনা করা হয়। যা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি নিজেই করেছেন।
৪) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে শুকরিয়া আদায় করা হয়।
উপরোক্ত সব কাজই শরীয়ত সম্মত। এই কাজ গুলো করতে কোন মুসলমানের আপত্তি থাকার কথা নয়।
আর হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি নয় এমন কোন মুসলমান পৃথিবীতে আছে বলে মনে হয় না। কারন যে খুশি নয় সে আদৌ মুসলামনও নয়। তাহলে এতবড় নিয়ামত পেয়ে খুশি প্রকাশ করতে সমস্য কোথায়?
কোন বিদয়াতি, ভন্ড যদি হুক্কা খায়, গাঁজা খায়, ঢোল তবলা বাজায়, গান গায়, মহিলা পুরুষ একাকার করে সমাবেশ করে এই গুনাহের কাজের দায়ভার শুধুমাত্র তাদের। তাদের ভন্ডামীর জন্য পবিত্র আমল বাদ দেয়া যাবে না। বরং শরীয়ত সম্মতভাবে আরো বেশি মুহব্বতের সাথে কিভাবে আয়োজন করা যাবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

0 Comments: