প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও তাদের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ৫৩

প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও তাদের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
=================================================
প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও তাদের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আপনারা, প্রত্যেক রাজনৈতিক দল দলীয় বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে প্রোগ্রাম করে থাকেন, যেমন:
– কেউ ১৭ই মার্চ পালন করেন,
– কেউ ১৫ই আগস্ট পালন করেন,
– কেউ ১৮ই অক্টোবর পালন করেন,
– কেউ ১৯শে জানুয়ারি পালনে করেন,
– কেউ বা ২০শে নভেম্বর পালন করেন।
তবে আপনারা প্রত্যেক দলই, তাদের দলীয় দিবস ছাড়াও ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, কিংবা বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেন, ব্যানার ফেস্টুন ছাপিয়ে থাকেন।
তবে আমি বলবো, এসব দিবসকে কেন্দ্র করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানালে আপনারা রাজনৈতিক দলগুলো যতটুকু ফায়দা পাবেন, তার থেকে অনেক অনেক বেশি ফায়দা পাবেন পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানালে। কেননা, যেহেতু এ দিবসটি স্বয়ং আমাদের প্রত্যেকের প্রাণপ্রিয় নবীজি হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত, আর উনার পবিত্র নাম মুবারক শুনলেই প্রত্যেক মুসলমানদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। সেক্ষেত্রে এ দিবসটির শুভেচ্ছা মানুষের অন্তরকে আরো অধিক অধিক পরিমানে নাড়া দিবে।
বিশেষ করে, আওয়ামীলীগের অংগসংগঠনগুলোর মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  জাতীয়ভাবে উদযাপন শুরু করেছিলেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুই। তাই আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন গুলোর উচিত এ দিবসটিকে অতিগুরুত্বের সাথে পালন করা। তারা যদি নতুন করে বিষয়টি গুরুত্ব্যের সাথে পালন শুরু করে, সেক্ষেত্রে বিশেষ চমক সৃষ্টি হবে এবং মুসলমানদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
আওয়ামীলীগ যদি, এ ধর্মীয় দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করে, তবে বিএনপি’র বসে থাকলে চলবে না, বিএনপিকে আরো গতিশীলতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ বিএনপিকে অনেকেই অধিক ধর্মীয় সম্পৃক্ত দল হিসেবে মনে করে। বিশেষ করে, ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের মাধ্যমে মুসলিম জাতীয়তাবাদের বিকাশ দ্রুত ঘটবে এটা নিশ্চিত, তাই জাতীয়বাদে বিশ্বাসী বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোকে এক্ষেত্রে আরো বেশী অগ্রগামী হতে হবে।
পরিশেষে বলতে হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
অর্থ:  “আমি আপনাকে (নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি” (পবিত্র সূরা আল আম্বিয়া শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৭)
অতএব এ রহমত উনার ভাণ্ডার লাভ করার জন্য, বিপদ-আপদ থেকে হিফাজত থাকার জন্য, দুনিয়া-আখিরাতে সমৃদ্ধি লাভ করার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই এ দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে।
তাই প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের উচিত হবে, ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে
-দেশজুড়ে মিলাদ মাহফিল উনার ব্যবস্থা করা,
-গরীব-মিসকিনদের ভালো খাদ্য খাওয়ানো
-সমগ্র দেশবাসীকে ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ড করে শুভেচ্ছা জানানো,
-দেশবাসীর সাথে আনন্দ খুশির জন্য দেখা-সাক্ষাৎ করা।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রত্যেককে অতি অতি শান-শওকতের সাথে পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার তৌফিক দান করুন। আমিন। 

0 Comments: