ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে পৃথিবীব্যাপী পালন হচ্ছে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যারা বিরোধীতা করে তারাই নব্য তারাই বিদয়াতি ১০২

ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে পৃথিবীব্যাপী পালন হচ্ছে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যারা বিরোধীতা করে তারাই নব্য তারাই বিদয়াতি
=================================================
আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছর আগে, হাফিযে হাদীছ আবুল ফয়েয হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন,
لَازَالَ اَهْلُ الْـحَرَمَيْنِ الشَّرِيْفَيْنِ وَالْـمِصْرِ وَالْيَمَنِ وَالشَّامِ وَسَائِرِ بِلَادِ الْعَرَبِ مِنَ الْـمَشْرِقِ وَالْـمَغْرِبِ يَـحْتَفِلُوْنَ بِـمَجْلِسِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْرَحُوْنَ بِقُدُوْمِ هِلَالِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ وَيَغْتَسِلُوْنَ وَيَلْبَسُوْنَ الثّيَابَ الْفَاخِرَةَ وَيَتَزَيّـِنُوْنَ بِاَنْوَاعِ الزّيْنَةِ وَيَتَطَيّـِبُوْنَ وَيَكْتَحِلُوْنَ وَيَأْتُوْنَ بِالسُّرُوْرِ فِىْ هٰذِهِ الْاَيَّامِ وَيَبْذُلُوْنَ عَلَى النَّاسِ بِـمَا كَانَ عِنْدَهُمْ مِنَ الْـمَضْرُوْبِ وَالْاَجْنَاسِ وَيَهْتَمُّوْنَ اِهْتِمَامًا بَلِيْغًا عَلَى السّمَاعِ وَالْقِرَاءَةِ لِـمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَنَالُوْنَ بِذَالِكَ اَجْرًا جَزِيْلًا وَفَوْزًا عَظِيْمًا
অর্থ : “হারামাইন শরীফাইন, মিশর, ইয়ামেন, সিরিয়া এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আরবের সকল শহর ও নগরের অধিবাসীদের মধ্যে অব্যাহতভাবে এ নিয়ম চলে আসছে যে, তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করেছেন। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার নতুন চাঁদের আগমনে আনন্দিত হন, গোসল করেন, দামী পোশাক পরিধান করেন, নানা প্রকার সাজ-সজ্জা করেন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন, সুরমা লাগান, এই দিনগুলোতে আনন্দ উৎসব করেন, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ ও শ্রবণের ব্যবস্থা করে অধিক ছাওয়াব এবং বিরাট সাফল্য অর্জন করেন। উনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে যে নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও উনাদের সাফল্য অর্জন করেছেন তা প্রকাশ করতেন।” (তাফসীরে রূহুল বয়ান লি শেখ ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি- ৯ম খ-, পৃষ্ঠা ৫৬; মীলাদুল উরুস- উর্দু “বয়ান-ই-মিলাদুন নবী”, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫, লাহোর; দুররুল মুনাজ্জাম, পৃষ্ঠা ১০০-১০১; মীলাদুন নবী, পৃষ্ঠা ৫৮)
কেউ এড়িয়ে যাবেন না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মক্কা শরীফ- মদীনা শরীফ, মিশর, ইয়ামেন, সিরিয়া, এক কথায় সমগ্র পৃথিবীতে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হয়েছে। সকল আলেম উলামা, ইমাম, মুহাদ্দিস গন তা পলন করতেন। দেশব্যাপী জাতীয়ভাবে পালন করতেন। যদি পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন শরীয়তে নাই থেকে থাকে তবে,
১) বিগত নয়শ বছরে কোন কোন আলেম নিষিদ্ধ বলছেন?
২) নিষিদ্ধ হওয়ার কারনে কয়টা বই লেখা হয়েছে?
৩) ৯০০ বছরে কেউ কি শরীয়ত বুঝতেন না?
৪) তবে কি পৃথিবীব্যাপী এতকাল সবাই হারাম করে আসছে, আর নব্য বিরোধীতাকারীরা শুক্রে শুক্রে সাত দিন ধরে কি হালাল জারি করতে আসছে?
৫) বিরোধীতা শুরু হলো কত হিজরী থেকে?
শেষ উত্তরটা আমিই দেই, বিরোধীতা শুরু হয় খুব হলেও ৩০/৪০ বছর ধরে। ৯০০ বছর ধরে জাতীয়ভাবে একটি চলে আসা আমল কি করে ৩০/৪০ বছর আগের বিরোধীতা দ্বারা বাতিল হতে পারে?
মূলত যারা বিরোধীতা করে তারাই বিদয়াতি। কারন পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টির শুরু থেকেই চলে আসছে। আর বিরোধীতার উৎপত্তি হচ্ছে ৩০/৪০ বছর ধরে। তাহলে বিদয়াত কোনটা? যারা বিরোধীতা করে তারাই নব্য, তারাই বিদয়াতি। এদের কথা শোনা যাবে না।

0 Comments: