সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-২৫

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

 

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা

 আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ

 অভ্যস্ততা 

ওলীদে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি মাহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম রসূল, হুব্বুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিগূঢ় নৈকট্য হাছিল করেছিলেন। তিনি যাহির-বাতিন সীমাহীন নিয়ামতলাভে সমৃদ্ধা হয়েছিলেন। দু-একটি বিষয় জানা গেলেই উনার তুলনাহীন শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, বুযুর্গী-মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ধারণালাভ করা সম্ভব হবে। যেমন:

ক. পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে তিনি বুযুর্গ পুত্র সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্ববিউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার মহা- সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

খ. পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১২ই শরীফে তিনি উনার বুযুর্গ পুত্র সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, আল গাউছুল আযম, ইমামুল আইম্মাহ, জামিউল মাক্বাম, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, আন নিমাতুল কুবরা আলাল আলাম, কুদরতে ইলাহী, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার মহা- সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহিস সালাম হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

গ. পবিত্র সুবহে সাদিক্ব উনার সম্মানিত সময়ে তিনি মুজিযায়ে রসূল, সুলত্বানুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, ক্বায়িম মাক্বামে রহমতুল্লিল আলামীন, কুতুবুল আলম, রসূলে নুমা, সুলত্বানুল আরিফীন, ছাহিবে কুন ফাইয়াকুন, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

ঘ. পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

انا اعطينك الكوثر

অর্থ: হে আমার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে কাউছার হাদিয়া করেছি। ইহকাল ও পরকালের শ্রেষ্ঠতম যাবতীয় বিষয়াবলী নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া করা হয়েছে। রউফুর রহীম, রহমতুল্লিল আলামীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে কায়িনাতের সবকিছু শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদালাভ করেছে। সুবহানাল্লাহ!

মুবারক এই সংশ্লিষ্টতা দুই প্রকারে সাধিত হয়েছে:

১. যে বিষয়গুলো মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি আপন প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া করেছেন এবং

২. যে বিষয়গুলো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম সংস্পর্শে সম্পৃক্ত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সৌভাগ্যলাভে মাস হিসেবে পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস, তারিখ হিসেবে পবিত্র ১২ই শরীফ এবং সময় হিসেবে সম্মানিত সুবহে ছাদিক্ব শ্রেষ্ঠতম মর্যাদার অধিকারী হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

প্রেক্ষিত কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি পরিপূর্ণ দয়া ও ইহসান করে এবং উনার প্রতি পরিপূর্ণরূপে সন্তুষ্ট হয়ে আখাছছুল খাছ সম্মানিত সুন্নত উনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে উনাকে পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস, পবিত্র ১২ই শরীফ এবং পবিত্র সুবহে ছাদিক্ব উনার মুবারক সময়ে সর্বকালের, সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুাজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম হিসেবে কবুল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৩৫

0 Comments: