আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, আল খলীফাতুছ ছালিছ সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট কতিপয় ওয়াক্বিয়া-
(১)
আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন সর্বোৎকৃষ্ট চরিত্র মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে অবস্থান মুবারক করছিলেন। তখন উনার পা মুবারক থেকে কাপড় মুবারক হালকা সরেছিল। এরই মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হুজরা শরীফে আসতে চাইলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনুমতি মুবারক দিলেন। এরপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি আসতে চাইলে ওই অবস্থায় থেকে উনাকেও অনুমতি মুবারক দিলেন। কিন্তু যখন সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হুজরা শরীফে আসার অনুমতি মুবারক চাইলেন, তখন তিনি কাপড় মুবারক ঠিকঠাক করে স্বাভাবিকভাবে বসলেন। এরপর উনাকে পবিত্র হুজরা শরীফ আসার অনুমতি মুবারক দিলেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছায় উনারা যতক্ষণ কথাবার্তা মুবারক বলার বললেন। কথাবার্তা মুবারক শেষ হওয়ার পর সাইয়্যিদুনা যহরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি চলে গেলেন।
উনারা চলে যাওয়ার পর উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি আপনার কাছে আসলেন তখনো আপনি আগের মতো ছিলেন, এরপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি আসলে তাও আগের মতোই ছিলেন, কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি আসার পর আপনি আপনার কাপড় মুবারক ঠিকঠাক করে বসলেন। এর মধ্যে কি হিকমত?
তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মৃদু হেসে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম! আমি কী সে ব্যক্তিকে লজ্জা করবো না যাকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারাও লজ্জা করেন। সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ২৪০১)
(২)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হুজরা শরীফে কয়েকদিন ধরে খাবারের ব্যবস্থা ছিল না।
এ পরিস্থিতিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিন হযরত আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার কাছে এসে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম আমি বাইরে যাওয়ার পর আপনারা কি কিছু পেয়েছেন।
তিনি বললেন, জি না! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওযু মুবারক করে পবিত্র নামাযে দাঁড়ালেন। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট খুব বিনয়ের সাথে নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
দিনের শেষ দিকে আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি খাবার পবিত্র স্বরূপ নিয়ে আসেন। তিনি পবিত্র হুজরা শরীফে প্রবেশ করে অনুমতি মুবারক চাইলেন। তখন উম্মুল মু’মিনীন হযরত আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি পর্দায় থেকে সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে প্রবেশ করার অনুমতি মুবারক দিলেন।
পবিত্র হুজরা শরীফে প্রবেশ করে সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোথায়?
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে আজ কয়েকদিন ধরে খাবারের ব্যবস্থা নেই।
একথা শুনে হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি কান্নাকাটি শুরু করলেন। উনার চোখ মুবারক থেকে অঝোর ধারায় নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত হতে লাগলো। কান্না জড়িতকণ্ঠে তিনি বলতে লাগলেন, দুনিয়ার সাথে শত্রুতা পোষণ করলাম।
এরপর তিনি দ্রƒত বাতাসের ন্যায় ছুটে গিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহালু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য গম, আটা, খেজুরের বস্তা ও একটি চামড়া ছোলা ছাগল পাঠিয়ে দিলেন। সাথে তিন শত দিরহামও দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
এগুলো আসতে ও তৈরি হতে তো সময় লাগবে তাই তিনি কিছু রুটি ও ভুনা গোশত আগেই পাঠিয়ে দিলেন।
এমন উত্তম কাজ করতে পেরে তিনি মৃদু হেসে উনাদেরকে বলতে লাগলেন, আপনারা খেয়ে নিন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আসার আগেই উনার জন্যেও তৈরি করে রাখুন।
এরপর তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার দোহাই দিয়ে উনাকে অনুরোধ করে বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে এরকম পরিস্থিতি হলে তিনি যেনো উনাকে জানান।
এর কিছুক্ষণ পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসে বললেন, আমি যাওয়ার পর কি আপনাদের কাছে কোনো হাদিয়া মুবারক এসেছে?
তখন উম্মুল মু’মিনীন হযরত আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি হাস্যোজ্জল চেহারা মুবারকে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি জেনেছি আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করতে বের হয়েছেন। আর আমি এও জানি মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার দোয়া মুবারক ফিরিয়ে দেন না।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনারা কি কি পেয়েছেন?
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি আটা, গম ও খেজুরসহ আরো আরো সবগুলোর কথা জানালেন।
তিনি বললেন, কার পক্ষ থেকে এসেছে?
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আছছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম উনার পক্ষ থেকে। তিনি আমার কাছে এসেছেন, তখন আমি আমাদের অবস্থার কথা বললে তিনি তা শুনে খুবই কান্নাকাটি করলেন। তিনি দুনিয়ার প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং এমন পরিস্থিতি হলে আমি যেনো জানাই সে জন্যে কসম দিয়ে অনুরোধ করে গেলেন।
একথা শুনার পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোনো খানা গ্রহণ না করে সাথে সাথে মসজিদের দিকে ছুটে গিয়ে বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক! আমি হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম উনার প্রতি সন্তুষ্ট, আপনিও উনার প্রতি সন্তুষ্ট হন। একথা তিনি তিনবার বলেন। সুবহানাল্লাহ! (আর রিক্কাতু ওয়াল বুকা লি ইবনে কুদামা-১৮৭ পৃষ্ঠা)
(৩)
একটি কুপেই মিঠা পানি পাওয়া যেতো
আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি হিজরত করে পবিত্র মদীনা শরীফে আগমণ করার পর যখন মুসলমানদের মন সেখানে স্থির হলো, পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের জীবন ভালোই চলতে লাগলো। কিন্তু মুসলমানগণ সেখানে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়লেন পানি নিয়ে। পবিত্র মদীনা শরীফে শুধু মাত্র একটি কুপেই মিঠা পানি পাওয়া যেতো। কুপটি বীরে রুমা নামে পরিচিত ছিলো। কুপটির মালিক ছিল এক ইহুদী। সে কুপটির পানি বিক্রয় করতো, কিন্তু মুসলমানদের সবার কাছে পানি ক্রয় করে খাওয়ার মতো সামর্থ ছিল না। এ কারণে পানির অভাবে উনারা বিশাল সমস্যার সম্মুখীন হলেন। বিষয়টি নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মানুষদেরকে একত্রিত করে নছীহত মুবারক করলেন এবং কুপটি ক্রয় করার প্রতি উৎসাহিত করলেন। তিনি বললেন, কে আছেন কুপটি ক্রয় করে তার বালতির সাথে মুসলমানদের বালতিও রাখবে আর বিনিময়ে জান্নাতে এর থেকে উত্তম কিছু লাভ করবে? সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম যবান মুবারক উনার কথাগুলো সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম উনার কান মুবারকেও প্রতিধ্বনিত হলো। উনার অন্তর মুবারকে কথাগুলো তা’ছীর করলো।
তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঘোষিত সন্তুষ্টি মুবারক পাওয়ার আশায় সবার আগে ছুটে চললেন। তারপর অর্থকড়ি জমা করে ইহুদীদের কাছে গিয়ে দর কষাকষি করে বারো হাজার দেরহামে কুপটির অর্ধেক ক্রয় করে মুসলমানদের জন্যে ওয়াক্ফ করে দিলেন। তখন মুসলমানরা সে কুপ থেকে পানি পান করা শুরু করেছেন। কুপটির পানি প্রতি দুই দিনের একদিন সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম উনার ভাগে ছিল। যার ফলে দিনের বেলায় মুসলমানগণ সেখান থেকে পানি নিয়ে জমা করে রাখতেন।
তখন ইহুদী লোকটি বললো, হে সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম! আপনি আমার কুপটি নষ্ট করে দিয়েছেন। নাউযুবিল্লাহ! সুতরাং আটা হাজার দিরহামে কুপের বাকি অংশও কিনে নিন।তিনি তাই করলেন। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
(৪)
জান্নাতের সুসংবাদ
আমি অবশ্যই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুজরা শরীফ উনার দরজা মুবারক উনার পাহাড়াদার হবো। একথা বলে হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একটি লাঠি মুবার নিয়ে রওয়ানা করলেন।
এদিকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বীরে উরাইস এসে ওযূ মুবারক করলেন। তারপর তিনি কুপের উপর বসে রইলেন।
কিছুক্ষণ পর হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এসে উনাকে সালাম দিলেন। তারপর তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরজা মুবারক উনার পাহাড়াদার নিযুক্ত হলেন।
তিনি দরজা মুবারকে বসার পর আফদ্বালুন বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি এসে দরজা মুবারকে টোকা দিলেন। আওয়াজ শুনে হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, কে?
সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম তিনি নিজের পরিচয় দিলেন।
হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, দয়া করে একটু অপেক্ষা করুন।
তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে পেশ করলেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম তিনি আসতে চাচ্ছেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনুমতি মুবারক দিলেন। এবং সাথে সাথে জান্নাতের সুসংবাদও দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তিনি দরজা মুবারক উনার কাছে গিয়ে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, আসুন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
অনুমতি পেয়ে হযরত ছিদ্দীক্বে আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ডান পাশে বসলেন। এরপর হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তিনি নিজের জায়গায় গিয়ে বসলেন। কিছুক্ষণ পর আবার কেউ একজন দরজা মুবারক উনার কড়া মুবারক নাড়া দিলেন।
তিনি জিজ্ঞাসা করলেন কে?
জাওয়াব আসলো, আমি হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম। তিনি বললেন অপেক্ষা করুন।
তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে পেশ করলেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি আসতে চাচ্ছেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনুমতি মুবারক দিলেন। এবং সাথে সাথে জান্নাতের সুসংবাদও দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তিনি দরজা মুবারক উনার কাছে গিয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, আসুন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। অনুমতি পেয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাম পাশে বসলেন। সুবহানাল্লাহ!
কিছুক্ষণ পর আবার কেউ একজন দরজা মুবারক উনার কড়া মুবারক নাড়া দিলেন।
হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তিনি জিজ্ঞাসা করলেন কে?
জাওয়াব আসলো, আমি সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম।
বললেন অপেক্ষা করুন।
তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে পেশ করলেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি আসতে চাচ্ছেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনুমতি মুবারক দিলেন। আর সাথে সাথে মুছীবতের সম্মুখীন হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করার সুসংবাদ জানানোর কথা বলে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
তারপর হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তিনি ফিরে এসে বললেন আসুন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে মুছীবতের সম্মুখীন হয়ে জান্নাতে প্রবেশে সুসংবাদ দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি চিন্নিত হয়ে পড়লেন, এবং বললেন, আয় বারে ইলাহী! আমাকে ধৈর্য্যধারণ করার তাওফীক্ব দান করুন। সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ২৪০৩)

0 Comments:
Post a Comment