মহাসম্মানিত ১৩ই রবীউল আউওয়াল শরীফ:
ছূফিয়ে বাতিন, কুতুবুজ্জামান, ফখরুল উলামা, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র জীবনী মুবারক থেকে সংকলন
যিনি বিশ্ববিখ্যাত ও বিশ্বসমাদৃত হক্ব সিলসিলা রাজারবাগ শরীফ সিলসিলা উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম নামে কায়িনাতে মশহুর। অর্থাৎ তিনি বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আহলু বাইতে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান।
তিনি ১৪১৯ হিজরী সন ১৩ রবীউল আউওয়াল শরীফ তারিখে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
কায়িনাতের মাঝে যিনি একজন প্রজ্ঞাবান মানুষ, সূক্ষ্মদর্শী আলিম, সত্য ও মিথ্যা পার্থক্য করার এক অনন্য মহান ব্যক্তিত্ব এবং হক্ব প্রকাশ ও প্রতিষ্ঠার এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। উনার প্রত্যয়ী ব্যক্তিত্বের প্রত্যয়ে মানুষ মিথ্যাকে ঘৃণা করতে শিখেছে, সত্যে ব্রতী হতে উদ্যোগী হয়েছে। তিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার পথে দায়িম-ক্বায়িম হতে মানুষকে অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছেন। তিনি ছিলেন মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত অর্থাৎ উনার দোয়া মহান আল্লাহ পাক তিনি সবসময় কবুল করেছেন। তিনি ছিলেন কুতুবুজ্জামান, আরিফ বিল্লাহ। তিনি আজীবন পবিত্র সুন্নত উনার উপর পরিপূর্ণরূপে অধিষ্ঠিত থেকে হক্ব প্রকাশ ও প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন অকুতোভয় ও আপোসহীন এক সিপাহসালার। যিকিরে-ফিকিরে, মহান আল্লাহ পাক উনার ধ্যান ও খেয়ালে, মুরাকাবা-মুশাহাদা ও ইবাদত-বন্দেগীতে তিনি মশগুল থেকেছেন সারাজীবন। সুন্নত অনুসরণ-অনুকরণে তিনি ছিলেন এক অতুলনীয় দৃষ্টান্ত। উনার পবিত্র হায়াত মুবারকে উনার পবিত্র সময়গুলো ব্যয় করেছেন সত্য প্রতিষ্ঠার জিহাদে। এ জিহাদ তিনি করেছেন কথায়, কাজে, আমলে ও আচরণে।
সূক্ষ্মদর্শী মানুষ ছাড়া অন্য কারো পক্ষে উনার কামালতপূর্ণ উদারতা, পবিত্র অন্তর উনার বিশালতা, চরিত্রের মাধুর্যতা, অন্তর্দৃষ্টির গভীরতা, হৃদয়ের নির্মলতা, বদান্যতা, সৌজন্য ও শালীনতা উপলদ্ধির উপায় ছিল না। হিদায়েতপূর্ণ মানুষ ও সমাজ নির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ আচরণ ও বিচরণে ছিলেন দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এক কামিয়াব মানুষ। তিনি হক্কুল্লাহ্ ও হক্কুল ইবাদ যথাযথ আদায় করেছেন আজীবন।
দানশীল এ মহান ওলীআল্লাহ তিনি ছিলেন ফুরফরা শরীফ উনার হযরত মাওলানা আব্দুল হাই ছিদ্দিক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এক অন্যতম সুযোগ্য খলীফা।
মহাসম্মানিত ইসম (নাম) মুবারক:
ওলীয়ে কামিল, ছূফিয়ে বাতিন, কুতুবুজ্জামান, ছহিবুল ইলম ওয়াল হিকাম, ছহিবুল কাশফ ওয়াল কারামত, ছহিবুত তাক্বওয়া, ফখরুল উলামা, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মাওলানা আলহাজ্জ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম।
বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ এবং মুবারক নছব (বংশ) পরিচিতি:
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হিদায়াতের আলোকবর্তিকা হাত মুবারকে নিয়ে বর্তমান নূরানীগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) জেলার আড়াইহাজার থানাধীন প্রভাকরদী গ্রামের পূণ্যভূমিতে মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারাও ছিলেন মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল ওলী এবং মহাসম্মানিত হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম ও মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের দিকে থেকে বংশপরম্পরায় তিনি ছিলেন সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের সাথে সম্পৃক্ত। মহাপবিত্র রক্ত মুবারক উনার ধারাবাহিকতায় তিনি ছিলেন আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী তথা মহাসম্মানিত হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
পথভ্রষ্ট ও গোমরাহীতে নিমজ্জিত মানুষকে হিদায়াত দানের লক্ষ্যে সুলত্বানুল হিন্দ, হাবীবুল্লাহ, গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী সানজিরী আলাইহিস সালাম তিনি বিভিন্ন দেশ হিজরত ও সফরের শেষ পর্যায়ে মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশে ৫৬১ হিজরীতে আজমীর শরীফ-এ আসেন। উনারই অন্তরঙ্গ সঙ্গী হিসেবে ওই যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী, ওলীয়ে মাদারযাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবূ বকর মুজাদ্দিদী আলাইহিস সালাম তিনিও একই লক্ষ্যে আরব থেকে আজমীর শরীফ-এ তাশরীফ আনেন। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রচারে কাজে নিমগ্নহয়ে তিনি আজমীর শরীফ-এ থেকে যান এবং সেখানেই বিছালি শান মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ, ওলীয়ে মাদারযাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দীন আলাইহিস সালাম এবং ওলীয়ে মাদারযাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ছলাহুদ্দীন আলাইহিস সালাম উনারা এগারশত হিজরী শতকের শেষার্ধে হিদায়াত উনার আলো নিয়ে চট্টগ্রাম আগমণ করেন। উনারা ছিলেন দুই ভাই। সেখানে সাময়িক অবস্থানের পর উনারা দুজনই বর্তমান নূরানীগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) জেলার সোনারগাঁও-এ তাশরীফ আনেন। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ছলাদ্দীন আলাইহিস সালাম তিনি সোনারগাঁও-এ অবস্থান করেন এবং সেখানেই হিদায়াত উনার কাজে ব্যাপৃত থাকেন এবং মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। ওলীয়ে মাদারযাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দীন আলাইহিস সালাম তিনি সোনারগাঁও-এ এসে অল্প কিছুদিন অবস্থানের পর একই জেলার আড়াইহাজার থানাধীন যে জনপদে হিদায়াত উনার কেন্দ্রভূমি গড়ে তোলেন, তার বর্তমান নাম ‘প্রভাকরদী শরীফ’।
ওলীয়ে মাদারযাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দীন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ, ওলীয়ে মাদারযাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মালাউদ্দীন আলাইহিস সালাম এবং উনার মহাসম্মানিত আওলাদ, ওলীয়ে মাদারযাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ ইলাহী বখশ আলাইহিস সালাম এবং উনার মহাসম্মানিত আওলাদ, ওলীয়ে মাদারযাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ হযরত ওয়ালী বখশ আলাইহিস সালাম এবং উনার মহাসম্মানিত আওলাদ, ওলীয়ে মাদারযাদ, আবূ সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলাহ সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ইল্ম অর্জন:
যেহেতু সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত, সেহেতু তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদত শরীফ সূত্রে সমস্ত ইল্ম ম্বুারক হাদিয়া মুবারক লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তারপরও উনারা প্রতিটি বিষয়ে দুনিয়াবী হক্বও আদায় করে থাকেন। সম্মানিত ইল্ম আর্জনের পিপাসা ছিল উনার মজ্জাগত। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক, নিছবত-কুরবত মুবারক এবং রিযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের নিয়ামক উপাদান সম্মানিত ইল্ম অর্জনের জন্য উনাকে শিশু বয়স মুবারকে প্রভাকরদী গ্রামের বাড়ীর মাদরাসায় ভর্তি করে দেয়া হয়। এখানকার শিক্ষা শেষ করে তিনি বর্তমান নূরানীগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) জেলার বুরন্দী মাদরাসায় ভর্তি হন। প্রাচীন এই দ্বীনী প্রতিষ্ঠানটি এখনও বহাল ও চালু আছে। এখানে তিনি সম্মানিত ইল্ম উনার বিভিন্ন শাখায় পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা লাভ করেন। এছাড়া অন্যান্য দ্বীনী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগ্রহণসহ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি বিভিন্ন বরেণ্য আলীম-উলামা উনাদের নিকট ইল্ম হাছিল করেন। সর্বোপরি তিনি নিজ প্রচেষ্টায় সম্মানিত ইল্ম অর্জনে বুৎপত্তি অর্জন করেন। সুবহানাল্লাহ!
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, সম্মানিত ইল্ম অর্জনের পিপাসা ছিল উনার মজ্জাগত। সম্মানিত দ্বীনী ইল্ম হাছিলের পর দৃঢ় মনোবল ও অদম্য আগ্রহে তিনি সাধারণ শিক্ষায় ব্রতী হন। এবং প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষাও সমাপ্ত করেন।
কর্মজীবন:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(পুরুষের জন্য) হালাল রিয্ক উপার্জন করা অন্যান্য ফরয উনার পর ফরয।” আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, “দুনিয়া আখিরাতের শস্যক্ষেত্র।”
জীবৎকালে জগত সংসারে স্বাভাবিক আচরণ, বিচরণ, পানাহার, লেনদেন এবং পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন ইত্যাদি মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্ধারণ করছেন। টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ, পরিবার-পরিজন ইত্যাদি গাইরুল্লাহ নয়, বরং যে বিষয়গুলো মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে ফিরিয়ে রাখে, সেগুলোই গইরুল্লাহ যা পরিত্যাজ্য।
সম্মানিত শরীয়ত উনার আবশ্যিক বিধান অনুসরণে- সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি হালাল পেশায় নিয়োজিত হতে ব্রতী হন। পরিবারে ঐ সময়ে বিদ্যমান আর্থিক অবস্থানুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় না হলেও প্রত্যয়ী ব্যক্তিত্ব মুবারক হিসেবে আতœনির্ভরশীল হওয়ার মানসে তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে নিজেকে নিয়োজিত করতে মনস্থ করেন।
কিন্তু এসবের মধ্যে থেকে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব না হওয়ায় এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ধ্যান-খেয়াল ও মুহব্বত মুবারকে অনুক্ষণ মশগুল থাকার প্রয়োজনে পরিবেশ অবাঞ্চিত হওয়ায় তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করতে থাকেন। অবশেষে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অবধারিত ইচ্ছা মুবারকে সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সর্বশেষ ঢাকার কর্মস্থল থেকে স্বেচ্ছায় পেশা থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির জঘন্যতা থেকে নিজেকে মুক্ত করেন। সুবহানাল্লাহ! প্রাতিষ্ঠানিক পেশা ছেড়ে দিয়ে স্বাধীনভাবে একাগ্রচিত্তে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক, নিছবত-কুরবত মুবারক এবং রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের দিকে কঠোর মনোনিবেশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
মুরশিদ সন্ধানে তাহক্বীক্ব, বাইয়াত গ্রহণ এবং খিলাফত লাভ:
সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি মনোনীত ব্যক্তিত্ব মুবারক। তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদত শরীফ সূত্রেই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক, নিছবত-কুরবত মুবারক এবং রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাদিয়া মুবারক লাভে ধণ্য হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তারপরও তিনি যাহিরীভাবে প্রতিটি বিষয়ের হক্ব আদায় করেছেন যদিও উনার জন্য তা আবশ্যক ছিলো না। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক, নিছবত-কুরবত মুবারক এবং রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য তিনি উদ্বেলিত ও নিরন্তর ছিলেন। তিনি যোগ্য শায়েখ বা মুরশিদ তালাশ করছিলেন। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী হযরত ছাওয়াল পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সন্ধ্যান পান। উনার নিকটেই সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বাইয়াত গ্রহণ করেন। হযরত ছাওয়াল পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজেই উনার হাত মুবারক অধীর আগ্রহে ও পরম মমতায় সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম উনার দিকে প্রসারিত করে দিলেন, বাইয়াত করালেন। বাইয়াত পর তিনি একাগ্রচিত্তে মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক লাভে মনোনিবেশ করেন এবং বাইয়াত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ মুবারকেই হযরত ছাওয়াল পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে খিলাফত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! ইতিমধ্যেই হযরক ছাওয়া পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন। সকল কর্ম চাঞ্চল্য ও আরোপিত দায়িত্ব পালনের রেশ জীবনের সায়াহ্নে এসে উপনিত হয়েছে। আরোপিত দায়িত্ব আনজাম দান শেষে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী হযরত ছাওয়াল পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পরম দিদারে গমণ করনে। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)। সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাহ্যিক জুদায়ীর কারণে তিনি বিরহকাতর হয়ে পড়েন।
মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছা মুবারকে বিরহ যন্ত্রনা নিরসনে দীর্ঘ অনুসন্ধানে নতুন মুর্শিদ উনার সন্ধান করেন। উনার নাম মুবারক হচ্ছেন হযরত শেখ বুরহানুদ্দীন ফরাজীকান্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!!!
সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিক বাইয়াত হওয়ার জন্য সবিনয় নিবেদন করা মাত্রই মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী হযরত শেখ বুরহানুদ্দীন ফরাজীকান্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাত মুবারক প্রসারিত করে দিলেন। এক নিমিষেই শায়েখ উনার মুরীদ উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সোপর্দ করলেন। বাইয়াত হবার পর তিনি কঠিন রিয়াজত মাশাক্কাতে নিমগ্ন হন। ইতিমধ্যে অনেকদিন অতিক্রান্ত হলো। সুখে-দুঃখে জীবনে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী হযরত শেখ বুরহানুদ্দীন ফরাজীকান্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এখন বয়ঃবৃদ্ধ। মুরীদগণের অনেককে তিনি খিলাফত দান করেছেন। এখন একটা মূল বিষয় বাকী রয়েছে, তা হচ্ছে সারাজীবনের আয়সাধ্য লব্ধ নিয়ামত সোপর্দ করা। অবশেষে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ মুবারকে সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে মূল খিলাফত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেন এবং প্রধান খলীফা হিসেবে মনোনীত করেন। সুবহানাল্লাহ!!!
নিজেকে দ্বীন ইসলাম উনার খিদমতে নিয়োজিত রেখে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী হযরত শেখ বুরহানুদ্দীন ফরাজীকান্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পরম দীদারে গমণ করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)। আপন শায়েখ উনার জুদায়ীর কারণে তিনি আবারও বিরহকাতর হয়ে পড়েন।
হযরত আবু নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আনুষ্ঠানিক খিলাফত লাভ:
আমীরুশ শরীয়ত, মাহতাবে তরীক্বত, নায়িবে মুজাদ্দিদ, কুতুবুল আলম, ক্বাইয়ূমে যামান, শায়খুল মাশায়িখ, হযরত মাওলানা শাহ ছূফী আবূ নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বড় হুযূর ক্বিবলা নামে সমধিক মশহূর। উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষার আদর্শ বিস্তার এবং মুসলমানগণ উনাদের আধ্যাতিক ও নৈতিক শিক্ষায় উজ্জীবিত ও অভ্যস্ত করে তোলায় উনার অবদান অপরিসীম। পশ্চিম বাংলার বায়ান্নটি জেলা সহ ভারতে, বাংলাদেশে ও বিদেশে তিনি অসংখ মাদরাসা, মসজিদ, মক্তব, দ্বীনী প্রতিষ্ঠান, ইসলামী সংঘঠন, সমাজ উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান ও খানকা শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন। পাবনা জেলার পাকশী এবং ঢাকাস্থ মীরপুরের ‘দারুস সালাম খানকা শরীফ’ তার মধ্যে অন্যতম।
মীরপুর দারুস সালাম খানকা শরীফেই সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম এবং নায়িবে মুজাদ্দিদ, শাহ সুফী হযরত আবু নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের সাক্ষাৎ মুবারক সুসম্পন্ন হয়। তিনি নায়িবে মুজাদ্দিদ হযরত আবু নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করেন। উনার নিকট থেকে অনুষ্ঠানিক খিলাফত লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ!!!
ওলীয়ে মাদারজাদ, নায়িবে মুজাদ্দিদ হযরত আবু নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত হবার অব্যবহিত পর ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুল আলম, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত মাওলানা শাহ ছূফী আবূ নজম মুহম্মদ নাজমুস সায়াদাত ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট ঢাকাস্থ গেন্ডারিয়া খানকা শরীফে বাইয়াত গ্রহণ করেন। সেখানে আসা যাওয়া করতেন। শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার সঙ্গে ছিলো উনার গভীর সম্পর্ক। সুবহানাল্লাহ!!!
এভাবেই, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি উনার শায়েখ উনাদের নিকট হতে খিলাফত লাভ করেন। উনার যিন্দেগী মুবারক ছিলেন কারামতে পরিপূর্ণ। সুবহানাল্লাহ!!!
মহান আল্লাহ পাক তিনি “সম্মানিত সূরা নূর শরীফ” উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “নিশ্চয় যারা এটা ভালোবাসে যে- ঈমানদারগণ উনাদের সম্বন্ধে কুৎসা রটে যায়, তাদের জন্য দুনিয়া এবং আখিরাতে কঠিন আযাব অপেক্ষা করছে। যা মহান আল্লাহ পাক তিনি জানেন কিন্তু তোমরা তা সম্পর্কে অবগত নও।”
এই সম্মানিত আয়াত শরীফ দ্বারা প্রতিভাত হয় যে- এমন কিছু লোক বা মহল থাকবে যারা হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বিরোধিতা করবে, উনাদের সম্বন্ধে কুৎসা রটনা করবে। যদি হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বিষয়টি এরূপ হয়, তাহলে সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম, মহাসম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো কঠিন আকার ধারণ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে আবু ইমামিল উমাম আলাইহিস সালাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে বিশুদ্ধ আক্বীদা, সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করে খালিছ মুরীদ হিসেবে কবুল করুন। আমীন!
সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ওয়া উম্মি ইমামিল উমাম আলাইহিমাস সালাম উনাদের নছবনামা মুবারক এক ও অভিন্ন
প্রাণপ্রিয় শায়েখ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের দিক থেকে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূরানী নছবনামা (বংশধারা) মুবারক এক ও অভিন্ন।
-সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান, ক্বায়িম মাক্বামে সাইয়্যিদুনা হযরত আবু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওলীয়ে মাদারজাদ, আফদ্বালুল ইবাদ, ছহিবে কাশফ ওয়াল কারামাত, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, ছহিবে ইসমে আ’যম, গরীবে নেওয়াজ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
-উনার মহাসম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়ালী বখশ আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আলাইহিস সালাম।
-উনার মহাসম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইলাহী বখশ আল হাসানী ওয়াল হুসানী আলাইহিস সালাম।
-উনার মহাসম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মালাউদ্দীন আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আলাইহিস সালাম।
-উনার মহাসম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আলাউদ্দীন আল হাসানী ওয়াল হুসানী আলাইহিস সালাম।
-উনার মহাসম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আবু বকর মুজাদ্দিদী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আলাইহিস সালাম।
★ সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান, ক্বায়িম মাক্বামে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ত্বহিরাহ, ত্বইয়্যিবাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
-উনার মহাসম্মানতি পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুস সাবুর আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আলাইহিস সালাম।
-উনার মহাসম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মফিজুদ্দীন আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আলাইহিস সালাম।
-উনার মহাসম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আনিসুদ্দীন -আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আলাইহিস সালাম।
উনার মহাসম্মানিত পিতা, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সালাহুদ্দীন আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আলাইহিস সালাম।
-উনার মহাসম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আবু বকর মুজাদ্দিদী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আলাইহিস সালাম।
প্রাণপ্রিয় শায়েখ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের দিক থেকে মহাসম্মানিত নছবনামা মুবারক ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আবু বকর মুজাদ্দিদী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আলাইহিস সালাম উনার নিকট মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!!!
সঙ্গতকারণেই সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি “আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী” অর্থাৎ ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত নূরানী বংশধর। তিনি মহাসম্মানিত ক্বুরাঈশ বংশ মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। তিনি মহাসম্মানিত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!!!
মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল ওলী, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আবু বকর মুজাদ্দিদী আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত মদীনা শরীফ উনার অধিবাসী ছিলেন। তিনি ছয়শত হিজরী শতকের মাঝামাঝি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসার, পথভ্রষ্ট ও গোমরাহীতে নিমজ্জিত জ্বিন ইনসানদের হিদায়েত দানের লক্ষে সুলতানুল হিন্দ, খাজা গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সঙ্গী হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের আজমীর শরীফ তাশরীফ মুবারক নেন। সেখানে হিদায়েত দানের সুমহান কাজে নিমগ্ন থাকেন এবং সেখানেই মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!!!

0 Comments:
Post a Comment