রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-১০

মুবারক দফতর শরীফ -----হিদায়েত বিস্তারের এক অনন্য দিক : 
পূর্ববর্তী আউলিয়া কিরামগন উনাদের হিদা্প্রসারণ, উশর আদায়, আলেম উলামাগনের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে তালিম-তালকিনের ব্যবস্থাও বাদশাহর পক্ষ থেকেই হত।
তা ছাড়া সে সময় ইসলাম উনার শত্রুদের গোপন কোন কার্যক্রমতো ছিলোইনা বরং বাইরের কোন দেশ থেকে সরাসরি আক্রমণ করাই ছিল একমাত্র প্রকাশ্য শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ। আর ইউরোপ তখন নিজেই অন্ধকারে ছিল।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। সরকারী তরফ থেকে যাকাত-উশর ব্যবস্থার কোন কার্যক্রম নেই সরকার সেটা বোঝেও না এবং গুরুত্বও দেয় না। সরকার ব্যাস্ত মানব রচিত আয়কর ব্যাবস্থা নিয়ে। আবার সাধারণ মানুষও যাকাত-উশরের অনুশাসন ভুলে এই ফরয আমল করতে অপারগ হচ্ছে। কুরবানীর পশু যবেহ করা দাড়িয়েছে কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতায়। মসজিদ-মাদ্রাসার সম্প্রসারনে উদ্যোগ নেয়া দূরে থাক সরকার চাচ্ছে কিভাবে সেগুলোকে বন্ধ করে দেয়া যায়। কাফির মুশরিকরা চক্রান্ত করে নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, মিডিয়ার মাধ্যমে মুসলমান উনাদের কাফির বানানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে অহর্নিশি। সেই সময় ১৫ শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ , মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি দয়া করে মানুষকে সঠিক দিক নির্দেশনা সঠিকভাবে পৌছে দেবার লক্ষ্যে হাদিয়া করেন "মুবারক দফতর শরীফ"। ১৫ শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম মুবারক দফতর শরীফ পরিচালনার দায়িত্বভার ন্যস্ত করেন
হযরত শাহ দামাদে আউয়াল আলাইহিস সালাম এবং
হযরত শাহ দামাদে ছানী আলাইহিস সালাম উনাদের উপর । সুবহানাল্লাহ।
মুবারক দফতর শরীফ থেকে বহুবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এটি তালিকা করে শেষ করা যাবে না। যদি খুব সংক্ষেপে বলতে হয় তবে বলা যায় মুবারক দফতর শরীফ থেকে
১) ব্যক্তিগতভাবে একজন মানুষকে এবং তার সকল সামাজিক কার্যক্রমকে সু-নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনা এবং
২) প্রয়োজনীয় সকল ইলম-হিকমত অকাতর ভাবে দান করা হচ্ছে ।
য়েতের কার্যক্রম বিস্তৃত ছিল মূলত খানকা শরীফ ভিত্তিক বা উনাদের তালিমগাহ নির্ভর। তাসাউফের কিতাবসমুহ থেকে যা বোঝা যায় উনারা তাসাউফের শিক্ষার উপরই বেশী প্রাধান্য দিতেন। এর যথেস্ট কারণও আছে। মুসলিম প্রাধান্যযুক্ত অঞ্চল সমূহে পরিপূর্ণ খিলাফত ব্যবস্থা না থাকলেও খলিফাগণ শরিয়তের অনুশাসন সমূহ জানতেন এবং সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতেন। যাকাত ব্যবস্থা, মসজিদ-মাদ্রাসার সম

0 Comments: