ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস

ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস
 যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ. الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ. لَهُمُ الْبُشْرى فِى الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِى الْآخِرَةِ لَا تَبْدِيْلَ لِكَلِمَاتِ اللهِ ذلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ.

সাবধান! নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার যারা ওলী রয়েছেন উনাদের কোনো ভয় নেই, চিন্তা নেই, পেরেশানী নেই। উনারা ঈমান এনেছেন এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করেছেন। উনাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে সুসংবাদ রয়েছে। এটা উনাদের জন্য মহান সফলতা, পরম কামিয়াবী।” (সম্মানিত সূরা ইউনূস শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ: ৬২-৬৪)
আর যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ওলীউল্লাহ উনাদেরকে মুহব্বত করো, কেননা উনারা হচ্ছেন মক্ববুল। আর তোমরা উনাদের বিরোধিতা করো না কেননা উনারা সাহায্যপ্রাপ্ত।”
হাদীছে কুদছী শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ উনারা আমার কুদরতী জুব্বা মুবারক উনার নিচে অবস্থান মুবারক করেন। উনাদের হাক্বীক্বী পরিচয় আমি এবং আমার মাহবূব ওলীউল্লাহ উনারা ব্যতীত আর কেউ জানে না।”
এই সম্মানিত আয়াত শরীফ এবং হাদীছ শরীফ উনাদের পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন বাবুল ইলম ওয়াল হিকামাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদে রসূল, হাদিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
 তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার আখাচ্ছুল খাছ ওলীউল্লাহ তো অবশ্যই; তার পাশাপাশি উনার অন্যতম আরো একখানা মুবারক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাচ্ছুল খাছ আওলাদ, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! আর আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِى الْقُرْبى وَمَنْ يَّقْتَرِفْ حَسَنَةً نَّزِدْ لَهُ فِيْهَا حُسْنًا إِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ شَكُوْرٌ.

“(হে আমার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আপনার উম্মতদেরকে) বলে দিন, তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় বা প্রতিদান চাচ্ছি না। (আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। বরং তোমাদের জন্য এটা চিন্তা করাটাও কুফরী হবে।
 তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও, যদি যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী সন্তুষ্টি রেযামন্দি লাভ করতে চাও) তাহলে তোমাদের জন্য ফরয হচ্ছে আমার নিকটতম আত্মীয়-স্বজন তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের গোলামী মুবারক উনার আনজাম দেয়া। আর যে ব্যক্তি কোনো নেক কাজ করে আমি তার নেকি বৃদ্ধি করে থাকি। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি শ্রেষ্ঠতম ক্ষমাশীল এবং সর্বোত্তম প্রতিদানদানকারী।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ-২৩)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

 عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رضى الله تعالى عنه قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحِبُّوا اللهَ لِمَا يَغْذُوكُمْ مِنْ نِعَمِةٍ وَأَحِبُّوْنِىْ لِحُبِّ اللهِ وَأَحِبُّوْا أَهْلَ بَيْتِىْ لِحُبِّىْ .

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। কেননা তিনি তোমাদেরকে খাদ্যসামগ্রীর মাধ্যমে অনুগ্রহ করে থাকেন। আর তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মা’রিফাত মুবারক পেতে হলে, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি পেতে হলে আমাকে মুহব্বত করো।
 আর তোমরা আমার মুহব্বত-মা’রিফাত মুবারক পেতে হলে, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি পেতে হলে আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুস্তাদরাকে হাকিম শরীফ, আল মু’জামুল কাবীর শরীফ, শু‘য়াবুল ঈমান শরীফ)
 এই সম্মানিত আয়াত শরীফ ও সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা সুস্পষ্টভাবে বুঝা গেলো যে, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক পেতে হলে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরয। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, উনাদের মুহব্বত মুবারকই হচ্ছে পবিত্র ঈমান। যারা উনাদেরকে মুহব্বত করে তারাই ঈমানদার আর যারা উনাদেরকে মুহব্বত করেনা তারা ঈমানদার নয়; বরং মুনাফিক্ব ও কাফির।
সেটাই বলা হয়েছে-

حُبُّ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِيْمَانٌ.

অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা হচ্ছে ঈমান। সুবহানাল্লাহ!
বাবুল ইলম ওয়াল হিকামাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই সম্মানিত আয়াত শরীফ ও সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনাদের পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ! তাই উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনার খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া প্রত্যেকের জন্য ফরয-ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!
বাবুল ইলম ওয়াল হিকামাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আরো একখানা অন্যতম আখাচ্ছুল খাছ বিশেষ খুছূছিয়াত মুবারক হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন, যিনি সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আল জাব্বারিউল আউওয়াল ওয়াল ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানিত শাহদামাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন যিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মু আবীহা, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার জাওজুম মুকাররাম। সুবহানাল্লাহ! আরেকদিকে তিনি হচ্ছেন খলীফাতু রসূলিল্লাহ, রফীকু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খলীফায়ে ছালিছ সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল তা এখান থেকেই অতি সহজে অনুমেয়। সুমহান ৯ জুমাদাল ঊলা শরীফ হচ্ছে উনারই আযীমুশ শান সুমহান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে সর্বশক্তি দিয়ে সামর্থ্য দিয়ে উনার সম্মানিত বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ পালন করা, খুশি প্রকাশ করা এবং এর মাধ্যম দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক লাভ করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে কবূল করুন। আমীন!


0 Comments: