সউদী ওহাবীদের হাক্বীকত ফাঁস


পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1JlyjMjurLRm545Jp8bc1PQ0bsJMfVi8f 
Image result for ওহাবী
সউদী ওহাবীদের হাক্বীকত ফাঁস
একটি দুর্লভ দলিল ও তথ্যসমৃদ্ধ ডকুমেন্টারী


৮৫১ হিজরী সনের কথা আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের একদল লোক একটি কাফিলা তৈরি করে ইরাকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে আল-মাসালিক ছিল আনজা গোত্রের শাখা এই কাফিলার উদ্দেশ্য ছিল ইরাক থেকে খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করে এনে নজদে সরবরাহ করা সেই কাফিলার প্রধান ছিল শামী-বিন-হাতলুল কাফিলা যখন বসরায় পৌঁছে, তখন খাদ্যশস্যের এক ইহুদী বড় ব্যবসায়ীর সাথে দলের লোকজন সাক্ষাৎ করে সেই ইহুদী ব্যক্তিটি ছিল মোরদাখাই বিন ইব্রাহীম বিন মোসেহ কোন কোন প্রাচীন ইতিহাসে ইহুদী মোরদাখাইকে মানি বিন রাবিয়া আল মুরাইদি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মোরদাখাই-এর বংশধরেরা ম্রুদা গোত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে সেই ইহুদী ব্যবসায়ীর সাথে দর কষাকষির সময় ইহুদী ব্যক্তিটি প্রশ্ন করেআপনারা কোথা থেকে এসেছেন?” উত্তরে তারা বলেন, আমরা আনজা গোত্রের এবং আল-মাসালিক সম্প্রদায়ভুক্ত আল মাসালিক সম্প্রদায়ের কথা শুনেই সেই ইহুদী ব্যবসায়ী আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের উপস্থিত সবাইকে আবেগাপ্লুত হয়ে মুয়ানাকা করতে শুরু করে এবং বলে সেও মূলত আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের তবে সে বসরায় এসে বসবাস করছে তার পিতার সঙ্গে আনজা গোত্রের কয়েকজন সদস্যের ঝগড়া বিবাদের ফলে সে এখন বসরায়

এই বানানো গল্প বলার পর পর সে- ইহুদী ব্যবসায়ী তার ভৃত্যকে সমস্ত গম, খেজুর, অন্যান্য খাদ্য দ্রব্যসমূহের বস্তা উটের পিঠে চড়াতে বললো সেই সুদূর ইরাকে আনজা গোত্রের এবং আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের সম্প্রদায়ের একজন এত উদার ব্যক্তি পেয়ে বেশ গর্ব অনুভব করলো তারা সেই ইহুদীর সকল কথাই বিশ্বাস করলো যদিও সে মাসালিক সম্প্রদায়ের ছদ্মবেশে ছিল একজন ইহুদী কিন্তু খাদ্যশস্যের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হওয়াতে সে সহজেই সবার কাছে বিশ্বস্ত হতে পেরেছিল যখন সেই কাফিলা খাদ্যশস্য বোঝাই করে নজদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে সে সময় সেই ইহুদী ব্যবসায়ী তাদের কাফিলার সঙ্গী হতে চাইলো সে তার মাতৃভূমিতে ফিরে যাবার জন্যে আকুল ইচ্ছা প্রকাশ করলো তার এই অভিপ্রায়ের কথা শুনে কাফিলার সবাই তাকে চরম উৎসাহে অভিনন্দন জানালো সেই ছদ্মবেশী ইহুদী, কাফিলার সাথে নজদে এসে উপস্থিত হল নজদে এসে শুরু হয় তার ভিন্ন রকমের কার্যকলাপ সে তার নিজস্ব কিছু লোক দিয়ে নিজের সম্পর্কে অনেক প্রোপাগান্ডা শুরু করে এবং ধর্মীয় অনেক বিষয়ে নিজের মনমত ফতওয়াও দিতে থাকে সেই সুবাদে কিছু ভক্তও জুটিয়ে ফেলে কিন্তু সে সময় আল-কাসিমে বসবাসরত একজন বড় আলিম বুযূর্গ ব্যক্তি হযরত শায়খ সালেহ সালমান আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক সেই ইহুদী বাধাগ্রস্ত হয় মুসলমানের ছদ্মবেশে সেই ইহুদীর প্রচারিত বহু ফতওয়ার বিরুদ্ধে তিনি চরম প্রতিবাদ করেন হযরত শায়খ সালেহ সালমান আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি নজদ, ইয়েমেন এবং হিজাজেও তালিম দান করতেন উনার প্রচেষ্টায় সেই ইহুদীকে (বর্তমান সউদী রাজ পরিবারের পূর্ব পুরুষ) আল-কাসিম থেকে আল-ইহসাতে বিতাড়িত করেন নতুন এলাকায় এসে এই ইহুদী (মোরদাখাই) তার নাম পরিবর্তন করে হয় মারক্বান বিন দিরিয়া এবং আল-কাতিফের নিকট বসবাস শুরু করে সেখানে এসে, সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঢাল মুবারক সংক্রান্ত একটা মিথ্যা গল্প প্রচার করা শুরু করে

গল্পটা রকম- “মক্কার কাফিরদের সাথে মুসলমানদের যখন উহুদ পাহাড় প্রান্তে যুদ্ধ হয়, সেই উহুদের যুদ্ধে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি ঢাল মুবারক এক কাফিরের হস্তগত হয় পরবর্তিতে সেই কাফির ব্যক্তি সেই ঢাল মুবারক বিক্রি করে দেয় ইহুদীদের বনু-কুনাইকা গোত্রের কাছে যা তারা পবিত্র সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করে আসছে এভাবে সে ইসলাম ধর্মের প্রতি ইহুদীদের ধর্মীয় সহানুভূতির কথা বোঝাতে চাইতো একজন জ্ঞানী ব্যক্তি হিসেবেও সে নিজের অবস্থান বেদুইনদের মধ্যে শক্ত করে নেয় সে মুসলমানের ছদ্মবেশে ইহুদীদের পক্ষে কাজ করতে থাকলো ইহুদী মোরদাখাই বা মারক্বান বিন দিরিয়া আল-কাতিফের নিকট দিরিয়া শহরে বসবাস শুরু করে সে মনে মনে আরব ভূখণ্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উচ্চাশা পোষণ করতো তার আশা পূরণের লক্ষ্যে, মূল পরিকল্পনা গোপন করে আরব বেদুইনদের তার পক্ষ সমর্থনের জন্য আবেদন নিবেদন করতে থাকে এবং নিজেই সেখানকার স্ব-ঘোষিত রাজা বলে দাবি করে তার এই অপচেষ্টাকালে, আরবের আজামান গোত্র এবং বনু খালিদ গোত্র একত্রে এই ইহুদীর আসল পরিচয় পেয়ে তার পরিকল্পনা নস্যাৎ করার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তারা দিরিয়া আক্রমণ করে দখল করে নেয় কিন্তু সেই সুচতুর ইহুদী সেখান থেকে পালিয়ে যায়

বর্তমান সউদী রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ এই ইহুদী মোরদাখাই বা মারক্বান বিন দিরিয়া আল-আরিদের নিকট আল মালিবিদ-গুশাইবা নামক একটি খামারে আশ্রয় গ্রহণ করে বর্তমানে একে বলা হয় আল-রিয়াদ এই ইহুদী সেই খামারের মালিকের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে সেই খামারের মালিক ছিল অত্যন্ত দয়ালু একজন মানুষ, সে তখনই তাকে আশ্রয় দান করেন কিন্তু এক মাসের কম সময়ের মধ্যেই সেই কুচক্রী দুষ্ট ইহুদী, খামারের মালিকসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করে কিন্তু সে প্রচার করে তারা লুটেরা কর্তৃক নিহত হয়েছে এবং সে খামার দখল করে নেয় সে দিরিয়া নামক যে স্থান থেকে বিতাড়িত হয়েছিল সেই নাম অনুসারে এই স্থানেরও নাম আল-দিরিয়া রাখে (কিছু সত্য গোপন করে কোন কোন ইতিহাসে লেখা আছে- ৮৭৩ হিজরী (কাছাকাছি) অর্থাৎ ১৪৪৬ সালের দিকে ইহুদী মোরদাখাইয়ের ম্রুদা গোত্র দিরিয়া নামক স্থানে বসবাস করতে থাকে আসলে মোরদাখাই পরিবারই ম্রুদা গোত্র নামে পরিচিত ইহুদী মোরদাখাই সেখানে তার আত্মীয় ইবনে দির কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে আল-রিয়াদে বসবাস শুরু করে বলেও কথিত আছে ইবনে দির ছিল সেখানকার শাসক এবং বহু ক্ষেত-খামারের অধিকারী বলা হয়, ইবনে দির তাকে আল মুলাইবিদ এবং গুশাইবা নামে দুটি খামার দান করে; যা সে পরবর্তিতে আল-দিরিয়া নামে নামকরণ করে)

বর্তমান সউদী রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ সেই ইহুদী মোরদাখাই সেখানেমাদাফ্ফানামে একটি অতিথিশালা খুলে এবং তার চারপার্শ্বে কিছু মুনাফিক জড়ো করে সেই মুনাফিকরা প্রচার করতো এই ইহুদী হচ্ছে একজন বড় আরব বণিক সেখান থেকে সে তার মূল শত্রু হযরত শায়খ সালেহ সালমান আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং আল-যালাফি নামক শহরের একটি মসজিদে উনাকে শহীদ করে হযরত আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি- উনার শাহাদাতের পর মোরদাখাই নিজেকে যথেষ্ট মুক্ত নিরাপদ মনে করে সেই দিরিয়া গ্রামে বসবাস করতে থাকে ইহুদী মোরদাখাই সেখানে অনেক বিয়ে করে এবং তার সকল সন্তানের সে আরবীয় নাম রাখে তার বংশধররা সেখানে সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পরবর্তিতে সউদী সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত হতে থাকে তার বংশধররাও আরবজাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে থাকে তারা অনেক কৃষিক্ষেত্র অবৈধভাবে দখল করে নেয় এবং যারাই তাদের দুষ্ট পরিকল্পনার বিরোধিতা করতো তাদের তারা হত্যা করতো তারা তাদের সাফল্যে পৌঁছবার লক্ষ্যে গোপনে বিভিন্ন প্রকার দুরভিসন্ধি প্রয়োগ করেছিল যারা এই ইহুদী পরিবারের সঠিক ইতিহাস বলতে বা লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছিলো তাদেরকেই ঘুষ প্রদান করা হয়েছিল বিশেষত সেই এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নারী অর্থের মাধ্যমে প্রলোভিত করে দমিয়ে রাখা হয়েছিল প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তাদের কলঙ্কিত ইতিহাস মুছে ফেলে তাদের বংশানুক্রম বিখ্যাত আরব গোত্র রাবিয়া, আনজা এবং আল-মাসালিকের সাথে সম্পৃক্ত প্রমাণ করে তাদের ইতিহাসকে বিশুদ্ধ করতে চেয়েছিল

(
সউদি পরিবারের পূর্বপুরুষ যে ম্রুদা গোত্রের ব্যাপারে যথেষ্ট বিতর্ক আছে প্রচলিত আছে যে, তারা প্রাচীন রাবিয়া গোত্রের বিশেষতওয়াইল’-এর শাখা কিন্তু যে বিষয়ে সব ইতিহাসে বিতর্ক আছে তা হচ্ছে সউদীরা ওয়াইলের কোন শাখার? বহু ঐতিহাসিক এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নজদের অধিবাসীরা বনু হানিফা গোত্রের যারা নজদ রিয়াদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে

অনেকে জোর দিয়ে বলতে চায় তারা হচ্ছে আনজা নামক বড় বেদুইন গোত্রের নজদে বসবাসরত অন্যান্য আনজা গোত্রের পরিবারের মত তথাকথিত ম্রুদা গোত্রের কোন লিখিত বা মৌখিক তথ্যও নেই যে ম্রুদা আনজা গোত্র থেকে মাইগ্রেশন করে নজদে আসে)
বর্তমান সময়ের একজন চরম পর্যায়ের মুনাফিক হচ্ছে আমিন আল তামিমি, যে সউদী আরবের জাতীয় লাইব্রেরীর ডাইরেক্টর সে সউদী আরবের এই ইহুদী শাসকগোষ্ঠীর বংশ তালিকা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বংশের সাথে সম্পৃক্ত করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তার এই মিথ্যা জালিয়াতি কর্মের জন্য ১৯৪৩ সালে মিশরে নিযুক্ত সউদী আরবের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহীম আল-ফাদেলের কাছ থেকে আমিন আল তামিমি ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) হাজার মিশরীয় পাউন্ডে পুরস্কৃত হয়
 
সউদী রাজ পরিবারের পূর্বপুরুষ ইহুদী মোরদাখাই বহু আরবী মহিলাকে বিয়ে করে এবং তাদের ঘরে বহু সন্তানের জন্ম হয় সেই একই ধারাবাহিকতা বর্তমান সউদী রাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও প্রচলিত আছে (সউদী আরবের বাদশাহ আব্দুল আজিজের চুয়াল্লিশ জন ছেলে এবং অগণিত কন্যা সন্তান বাদশাহ সউদের ছিল বায়ান্ন জন পুত্র এবং চুয়ান্ন জন কন্যা) ইহুদী মোরদাখাই-এর এক পুত্রের নাম ছিল আল-মারাক্বান কারো মতে আল মুক্বরিন মূলত তার নাম আরবীকরণ করা হয়েছিল ইহুদী নাম মেকরেন থেকে সেই মেক-রেন বা আল মারাক্বান বা আল মুক্বরিন এর এক পুত্র ছিল মুহম্মদ (মুহম্মদ বিন মুক্বরিন) এবং তার এক পুত্রের নাম ছিল সউদ (সউদ বিন মুহম্মদ) সেই সউদ থেকে হয়েছে সউদী রাজবংশের নাম সউদের বংশধরগণ বিশেষত সউদের পুত্র মুহম্মদ বিন সউদ আরবের বিভিন্ন গোত্র প্রধানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালায় তারা প্রচার করতো যে, সকল আরব ধর্মীয় নেতারা মুরতাদ হয়ে গেছে এবং তারা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা থেকে সরে গেছে বিভিন্ন গোত্রের নেতারা ধর্মের নামে শিরকে মশগুল- এই অজুহাতে অনেক মুসলমানকে শহীদ করা হয়

সউদী রাজ পরিবারের নিজস্ব ইতিহাসবিদ দিয়ে রচিত The history book of Saudi family ৯৮ থেকে ১০১ পৃষ্ঠার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে যে, সউদী বংশের সবাই নজদের সকল অধিবাসীদের মুরতাদ, কাফির মনে করতো ফলে তাদের হত্যা করা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, তাদের মহিলাদের দাসীতে পরিণত করাকে জরুরী বলে মনে করতো মূলত সে সময় নজদের প্রধান মুহম্মদ বিন সউদ ছিল ওহাবী আক্বীদা দ্বারা বিভ্রান্ত (সূত্র: তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এরমিরাত আল হারামাইনকিতাব থেকে বেশীরভাগ তথ্য নেয়া

10884975_364444100402138_1473782965_n

আমরা হচ্ছি ইহুদীদের চাচাতো ভাই : সউদী বাদশাহ ফয়সাল

সউদী বাদশাহ ফয়সাল (শাসনকাল ১৯৬৪-৭৫) ওয়াশিংটন পোস্টের সাথে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলো,

 “WE, THE SAUDI FAMILY, are cousins of the Jews: we entirely disagree with any Arab or Muslim  Authority which shows any  antagonism to the Jews; but we must live together with them in peace. Our country (Arabia) is the Fountain head from where the first Jew sprang, and his descendants spread out all

 আমরা সউদ পরিবার হচ্ছি ইহুদীদের চাচাতো ভাই। আর তাই আমরা যে কোন আরব বা মুসলিম শাসকদের সাথে সম্পূর্ণরূপে ভিন্নমত পোষন করব ইহুদীদের সাথে কোনরূপ শত্রুতার ব্যাপারে। আমরা চাই তাদের সাথে শান্তিতে বসবাস করতে।” (সূত্র:
ওয়াশিংটন পোস্ট, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯)

 
ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী ইসরাইলিদের দ্বারা ফিলিস্তিনে অবলিলায় একের পর এক মুসলিম গণহত্যা চললেও সউদী শাসকগণ যে এর বিরুদ্ধে টু শব্দটি পর্যন্ত করে না এর মূল কারণ হলো মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিতইহুদীদের সাথে গোপন চুক্তি এই চুক্তি অনুসারে মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি ইহুদীদের কাছে বিক্রি করে দেয় সউদী ওহাবী বিশ্বাসঘাতকরা উল্লেখ্য, সউদী ওহাবী বাদশাহ নিজ হস্তে স্বাক্ষরকৃত চুক্তির দলিলের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কয়েক বছর আগে মিডিয়ায় প্রকাশ হয়ে যায়, যা তোলপাড় সৃষ্টি করে সমগ্র বিশ্বে বিষয়টি নিয়ে প্রেসটিভি অনলাইন রিপোর্ট করে ২০১১ সালের ২রা নভেম্বর ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি কঠিনভাবে সেন্সর করে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয় কিন্ত অতি সম্প্রতি সেটি অনেক মুসলিম ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং গনমাধ্যমের নিকট হস্তগত হয়
  লিখিত চুক্তিতে ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী ইহুদীদের নির্বিঘ্নে প্রবেশ ঘটাতে এবং ক্ষমতা খাটাতে সেই সময়কার কথিত সুপার পাওয়ার ব্রিটেনের সাথে সউদী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা সেই সময়কার ওহাবী শাসক আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল মধ্যে গোপন সমঝোতা হয়

Qwasim_1354638133_1-s
ছবি: গোপন কালো চুক্তির স্ক্যান কপি

আরবীতে লিখিত সউদী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল এর নিজ হস্তে স্বাক্ষরকৃত সেই অঙ্গীকারনামা সহজ বাংলা অনুবাদ: “আমি সুলতান আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল - আমি গ্রেট ব্রিটেনের ডেলিগেট স্যার পার্সি কক্সের কাছে হাজার বার মেনে নিলাম অঙ্গিকার করলাম যে, গরীব ইহুদী এমনকি অইহুদীদের (মুশরিক খ্রিষ্টান সমজাতিদের) কাছেও প্যালেস্টাইন হস্তান্তরে আমার কোন বিরোধিতা নেই এবং আমি কখনও তাঁদের (ব্রিটেনের) আদেশ অমান্য করব নানাউযুবিল্লাহ!

এই কালো চুক্তির কারণেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইহুদীদের দখলদারিত্ব নৃশংস গণহত্যায় কোন প্রকার বাধা দেয়নি ক্ষমতাসীন ওহাবী সউদ পরিবারের শাসকরা ১৯৪৮ সালে আরব ইসরাইল যুদ্ধে লোক দেখানোর জন্য সামান্য সৈন্য পাঠালেও ১৯৬৭ ১৯৭৩ সালের যুদ্ধে আরবদের পক্ষে কোন প্রকার সামরিক সাহায্য করেনি তারা ২০০৮ এর ডিসেম্বরে যখন সন্ত্রাসী ইহুদীরা ফিলিস্তিনে ব্যাপক গণহত্যা আরম্ভ করে, তখন সউদী ওহাবী বাদশাহদের বোবা শয়তানের ন্যায় নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে ২০১৪ সালে গাজা গণহত্যার সময়ও তারা নিশ্চুপ ছিলো

সম্পর্কে সউদী বাদশাহ ফয়সাল (শাসনকাল ১৯৬৪-৭৫) ওয়াশিংটন পোস্টের সাথে (১৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯) এক সাক্ষাতকারে বলেছে, “আমরা সউদ পরিবার হচ্ছি ইহুদীদের চাচাতো ভাই আর তাই আমরা যে কোন আরব বা মুসলিম শাসকদের সাথে সম্পূর্ণরূপে ভিন্নমত পোষন করব ইহুদীদের সাথে কোনরূপ শত্রুতার ব্যাপারে আমরা চাই তাদের সাথে শান্তিতে বসবাস করতে





ইহুদী বংশোদ্ভূত সউদী সরকার ১৯২৫ সালে ক্ষমতায় বসার পর পবিত্র মক্কা ও মদীনা শরীফে কি কি ইসলামী ঐতিহ্য ধ্বংস করেছে:

যে সমস্ত পবিত্র মসজিদ ধ্বংস করা হয়:
১) সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামজা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র ঐতিহাসিক মসজিদ ও মাজার শরীফ। (নাউযুবিল্লাহ)
২) সাইয়্যিদাতুন নিসায়ীল আলামীন হযরত ফাতিমাতুজ জাহরা আলাইহাস সালাম উনার ঐতিহাসিক মসজিদ।
৩) আল মানরাতাইন মসজিদ। (নাউযুবিল্লাহ)
৪) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদ ইমামুস সাদিছ  হযরত জাফর ইবনে ছদ্বিক আলাইহিস সালাম উনার পুত্র হযরত আলী আল উরাইদি আলাইহিস সালাম উনার মসজিদ এবং মাজার শরীফ উনার গম্বুজ ধ্বংস করা হয়। ২০০২ সালের ১৩ আগস্ট তা ডিনামাইট দিয়ে ধ্বংস করা হয়। (নাউযুবিল্লাহ)
৫) খন্দকের ময়দানে ৪টি ঐতিহাসিক মসজিদ। (নাউযুবিল্লাহ)
৬) আবু রাশিদ মসজিদ। (নাউযুবিল্লাহ)
৭) হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ  মদীনা শরীফ। (নাউযুবিল্লাহ)
৮) রাজত আল শামস মসজিদ, মদীনা শরীফ। (নাউযুবিল্লাহ)
যে সকল মাজার শরীফ শরীফ ধ্বংস করা হয়:
547314_349433051807924_1367632577_n1
১) জান্নাতুল বাক্বী, পবিত্র মদীনা শরীফ। যেখানে প্রায় ১০ হাজার সাহাবী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন উনাদের মাজার শরীফ বিদ্যমান ছিলো। ১৯২৫ সালের ৮ই শাওয়াল সউদ ইহুদীরা জান্নাতুল বাকিতে হামলা ও লুটপাট চালায়। তারা নবীজির পবিত্র বংশধর এবং সম্মানিত সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের পবিত্র মাজার শরীফগুলো সাথে জঘণ্য ধরনের বেয়াদবি করে এবং বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেয়। (নাউযুবিল্লাহ)
২) জান্নাতুল মুয়াল্লা, মক্কা শরীফ। সেখানে নবীজির পারিবারিক অতি ঘনিষ্টজনদের, যেমন: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পূর্বপুরুষ এবং উম্মুল মু'মীনিন হযরত খাদিজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র মাজার শরীফ ছিলো। ১৯২৫ সালে এ পবিত্রস্থান ধ্বংস করে সউদী ইহুদীরা।
৩) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র রওজা শরীফ ধ্বংস করা হয়। (নাউযুবিল্লাহ)
৪) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র রওজা শরীফ ধ্বংস করা হয় ১৯৯৮ সালে।(নাউযুবিল্লাহ)
৫) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বংশধর ইমাম হযরত মুসা কাজিম আলাইহিস সালাম উনার  সম্মানিত আম্মাজান  এবং ইমামুস সাদিছ হযরত জাফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনার  সম্মানিত আহালিয়া আলাইহাস সালাম পবিত্র মাজার শরীফ ধ্বংস করা হয়। (নাউযুবিল্লাহ)
৬) উহুদের ময়দানে শহীদান সাহাবীগণ উনাদের পবিত্র মাজার শরীফ ধ্বংস করা হয়। (নাউযুবিল্লাহ)
৭) ১৯৭৫ সালে জেদ্দায় উম্মুল বাশার হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত রওজা শরীফ ধ্বংস এবং সিলগালা করে দেয়া হয়। (নাউযুবিল্লাহ)

যে পবিত্র ঐতিহাসিক সম্মানিত স্থান সমূহ ধ্বংস করা হয়:
১) উম্মুল মু’মিনীন  হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র ঘর। যেখনে পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহন করেন সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদ  হযরত কাসিম আলাইহিস সালাম।
৩) হিজরতের পরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনা শরীফ যে পবিত্র ঘরে গিয়ে অবস্থান করেছিলেন।
৪) সম্মানিত দ্বার-ই-আরকাম, ইসলামের প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র।
৫) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার  সম্মানিত আওলাদ  হযরত ইব্রাহীম  আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র জন্মস্থান।(নাউযুবিল্লাহ)
৬) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার  সম্মানিত বংশধর ইমামুস সাদিছ মিন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত জাফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ঘর। (নাউযুবিল্লাহ)
৭) ইমামুল আউয়াল মিন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত  আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ঘর, যেখানে ইমামুছ ছালিছ মিন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং ইমামুছ ছালিছ মিন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনারা বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন।

এছাড়াও ইহুদী বংশোদ্ভূত সউদ পরিবার ক্ষমতায় আসার আগেও বহু পবিত্র স্থাপনায় হামলা চালায় যেমন:
) ১৮০৫ সালে সউদ বিন আব্দুল আজিজ তার সাঙ্গপাঙ্গরা যখন পবিত্র মদীনা শরীফ আক্রমণ করে তখন অনেক সম্মানিত মাজার শরীফ ধ্বংস করে দেয় উল্লেখ্য, তারা মক্কা শরীফের গিলাফ ছিড়ে ফেলে এবং পবিত্র রওজা শরীফ সংরক্ষিত বহু মূল্যবান বস্তু ডাকাতি করে এক পর্যাযে তারা পবিত্র রওজা শরীফ ধ্বংসে উদ্দত হয় কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার কুদরত জাহির হয় সকল কুলাঙ্গাররা সাপ ভূমিধসের গযবে নিপতিত হয়ে ধ্বংস হয় এবং তারা সেই সময় রওজা শরীফ ভাঙ্গতে পারে না পরবর্তীতে ১৯২৫ সালে মদীনা শরীফ দখলের সময় কুলাঙ্গাররা পবিত্র রওজা শরীফের দিকে কামান পর্যন্ত তাক করেছিলো নাউযুবিল্লাহ
) ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দে সাউদ বিন আব্দুল আযিয, তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে কারাবালা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম পবিত্র মাজার শরীফে প্রেরণ করে সময় ওহাবী সন্ত্রাসীরা কারবালায় প্রায় হাজার মুসলমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং ইমামুছ ছালিছ মিন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র মাজার শরীফকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক
সউদী ওহাবীদের বিভিন্ন ইসলাম বিকৃত ফতওয়া

১) ইসলাম মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ দেয়নি। একই সঙ্গে নারীরা চাইলে মেকআপ নিতে পারে। (নাউযুবিল্লাহ)
২) ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিষাপ দেওয়া হারাম (নাউযুবিল্লাহ)
৩) এজিদ ছিল সত্যপন্থী আর ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ছিলেন অন্যায়কারী (নাউযুবিল্লাহ)
৪) পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন কিংবা মিলাদ শরীফ হারাম (নাউযুবিল্লাহ)
৫) টুপি পড়া সুন্নত নয় (নাউযুবিল্লাহ)
৬) মার্কিন সৈন্যকে সৌদি রাজত্বে রাখা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োজনীয় এবং ফরজ। (বিন বাজ, ১৯৯১)
৭) রোজায় হস্তমৈথুনে রোজা ভাঙে না। (নাসিরুদ্দিন আলবানী, তামাম আল মিনা)
৮) সিরিয়ায় জিহাদি রা পর্যায়ক্রমে সিরিয়ান ১৪ বছর বা তদুর্দ্ধ মহিলা, স্বামীহীন এবং তালাকপ্রাপ্তা- এদের সাথে কয়েক ঘন্টার ইন্টারকোর্স ম্যারেজে আবদ্ধ হতে পারে। (আল আরিফি, সৌদি মুফতি) (http://goo.gl/BNT8zi)
৯) যুদ্ধক্ষেত্রে আপন বোনের সাথেও যৌন জিহাদ চালনা করা যাবে আর কাউকে না পেলে। (নাসের আল উমার, সউদী)
১০) ‍কুলখানি, শবেবরাত, কবর জিয়ারত সব হারাম ও শিরিক।
১১) আহলে বাইত ও সাহাবীদের মাজার শরীফ ভেঙ্গে ফেলতে হবে।
১২) রওজা শরীফ এমনভাবে সরিয়ে/লুকিয়ে রাখতে হবে যেন কেউ না দেখতে পারে।
১৩) হাজারে আসওয়াদ নামক পাথরকে সম্মান করা শির্ক।
১৪) নারী পুরুষ একসাথে সহকর্মী হিসেবে কাজ করতে হলে, নারীকে তার পুরুষ সহকর্মীকে বুকের দুধ পান করিয়ে দুধ মা হতে হবে! (http://goo.gl/LbAzXn)


আমেরিকার কোন কোন ইহুদীবাদী কোম্পানিতে সউদী ওহাবীদের ইনভেস্টমেন্ট আছে:
) সিটিগ্রুপ (Citigroup)- ৫৯০ মিলিয়ন ডলার,
) সাকস ইনকোরপোরেটেড (Saks Incorporated)- ১০০ মিলিয়ন ডলার,
) নিউইয়র্ক প্লাজা হোটেল (New York Plaza Hotel)- ৩০০ মিলিয়ন ডলার,
) অ্যাপল কম্পিউটার (Apple Computers Inc.)- ১১৫ মিলিয়ন ডলার,
) নিউজ কর্পোরেশন (News Corp)- ৬০০ মিলিয়ন ডলার,
) এওএল টাইম ওয়ার্নার (AOL Time Warner)- ১৪৬ মিলিয়ন ডলার,
) মটোরোলা (Motorola)- ৩০০ মিলিয়ন ডলার,
) কমপ্যাক কম্পিউটার (Compaq Computer Corp)- ৪০০ মিলিয়ন ডলার,
) কোডাক ফোটো (Kodak)- ১০০ মিলিয়ন ডলার,
১০) ইবে (eBay Inc)- ৫০ মিলিয়ন ডলার,
১১) পেপসি (PepsiCo)- ৫০ মিলিয়ন ডলার,
১২) প্রোক্টর এন্ড গ্যাম্বেল (Procter & Gamble -P&G)- ৫০ মিলিয়ন ডলার,
১৩) ওয়াল্ট ডিজনি (Walt Disney)- ৫০ মিলিয়ন ডলার
10887929_364443620402186_540404865_nappleNews-Corp-logo
ANd9GcS-9MwqWSkBgoMGq78GVuFmaJhZo6CWq0wpQYH8dVeOQfRAiC7ZRQ  logo_compaq  kodak-logo-170x170
logo Procter-and-Gamble-celebro-Semana-de-la-Solidaridad_9759 themonstrousmemoirsofamightymcfearless
city_bank_logo SaksInc-logo Plaza_logo
http://www.highfidelityreview.com/wp-content/uploads/2013/03/aol-time-warner-buckling-comcast-apple-nbc-next.jpgউপরে যে তালিকাটা দেয়া হয়েছে, তা শুধু প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল এর প্রাইভেট কোম্পানিকিংডম হোল্ডিং কোম্পানির ইনভেস্টমেন্ট' হিসেবে পুরো সউদীর সরকারি বেসরকারি হিসেবে অনেক বড়, ক্ষুদ্র পরিসরে দেওয়া সম্ভব নয়

উল্লেখ্য, উপরের যে কোম্পানিগুলোতে সউদীরা ইনভেস্ট করেছে তার প্রত্যেকটিই ইহুদীবাদী কোম্পানি হিসেবে সারা বিশ্বে অতি-পরিচিত এবং এদের প্রায় সবাই প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে মুসলমান বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত 
প্রকৃতপক্ষে সউদ পরিবারও ইহুদী, আর ইহুদীদের পক্ষেই ইহুদী ব্যবসায় ইনভেস্ট করা সম্ভব

-সমাপ্ত-








0 Comments: