আহলে বাইত শরীফ এবং খুলাফায়ে রাশেদীন উনাদের নামের সাথে ‘আলাইহিস সালাম’ লেখার দলীল


পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1hfOAyt7ZHKs4tz_B0YLSIE0GOAePjzot 
Image result for আলাইহিস সালাম 

     আহলে বাইত শরীফ এবং খুলাফায়ে রাশেদীন উনাদের নামের সাথে আলাইহিস সালাম লেখার দলীল


আহলে বাইত শরীফ উনাদের অন্যতম ইমাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইসি সালাম উনার নাম মুবারকের সাথে অালাইহিস সালাম লেখার কারনে এক ওহাবী আমাকে শিয়া বলে গালি দিয়েছে। আমি আজকে সকলের সামনে প্রমান করবো আলাইহিস সালাম লেখা শিয়াদের বৈশিষ্ঠ নয় বরং আলাইহিস সালাম লেখা কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ এবং ইমাম মুহাদ্দিসদের বক্তব্য দ্বারা প্রমানিত। আলাইহিস সালাম বাক্যটির অর্থ হলো উনার উপর সালাম অর্থাৎ খাছ শান্তি বর্ষিত হোক। উল্লেখ্যএক মুসলমান অপর মুসলমানের সাথে সাক্ষাত হলে সালাম দেয়া ও নেয়া কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এরই নির্দেশ।
হাদীস শরীফে এসেছে عن حضرت عبد الله بن عمرو رضى الله تعالى عنه ان رجلا سال رسول الله صلى الله عليه وسلم اى الاسلام خير قال تطعم الطعام وتقرئ السلام على من عرفت ومن لـم تعرف
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নূরে মুজাসসামহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞেস করলেনইসলামের কোন বিষয়টি উত্তমতিনি বললেন, (ক্ষুধার্তকে) খাদ্য খাওয়ানো এবং পরিচিত ও অপরিচিত সকল মুসলমানকে সালাম দেয়া। (বুখারী শরীফ কিতাবুল ঈমান : হাদীস নম্বর ২৮)
এক মুসলমানের উপর আরেক মুসলমানের সদ্ব্যবহারের ছয়টি হক্ব রয়েছে। তারমধ্যে প্রথমটিই হচ্ছে يسلم عليه اذا لقيه অর্থাৎ যখন কারো সাথে সাক্ষাৎ হবে তাকে সালাম দিবে। (তিরমিযী শরীফ কিতাবুল আদব: হাদীস ২৭৩৬)
মূল কথা হলোএকজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের সাথে সালাম বিনিময়ের যে উদ্দেশ্যকোন মুসলমানের নামের সাথে আলাইহিস সালাম ব্যবহারের সে একই উদ্দেশ্য। এছাড়া একজনের সালাম আরেকজনের নিকট পৌঁছানোর মাসয়ালা হলো: সে বলবে যেঅমুক ব্যক্তি আপনাকে সালাম দিয়েছেন। এর উত্তরে সালামের উত্তরদাতা বলবেন- وعليكم السلام وعليه السلام অর্থাৎ: আপনার প্রতি এবং যিনি সালাম পাঠিয়েছেন উনার প্রতিও সালাম অর্থাৎ শান্তি বর্ষিত হোক। দেখা যাচ্ছেসালাম প্রেরণকারী ব্যক্তির সালামের জাওয়াব দানকালে উনার ক্ষেত্রে আলাইহিস সালাম ব্যবহৃত হচ্ছে। কাজেই, বলার অবকাশ রাখে না যে, আলাইহিস সালাম বাক্যটি হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ব্যতীত অন্যান্যদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা শরীয়তের বিধানে নিষেধ তো নেই বরং আদেশ রয়েছে।
সূরা নমল-এর ৫৯নং আয়াত শরীফ-এর মধ্যে ইরশাদ হয়েছেমহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- قل الحمد لله وسلام على عباده الذين اصطفى অর্থ: হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুনসমস্ত প্রশংসাই মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যে এবং সালাম বা শান্তি বর্ষিত হোক উনার মনোনীত বান্দাগণ উনাদের প্রতি।
রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতে আছেআয়াত শরীফ-এ عباده الذين اصطفى মনোনীত বান্দা বলতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে বোঝানো হয়েছে। হযরত ইমাম ছুফিয়ান ছওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও এ মতই গ্রহন করেছেন। মূলত عباده الذين اصطفى এ আয়াতে কারীমা দ্বারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাসহ সমস্ত আওলিয়ায়ে কিরাম উনাদেরকে বোঝানো হয়েছে। (তাফসীরে মাযহারী, তাফসীরে কুরতুবী, ইবনে কাছীর, তাফসীরে কবীর ইত্যাদি)
উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীরে থেকে স্পষ্ট জানা গেলো হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ও আওলিয়ায়ে কিরামদের ব্যাপারেও আলাইহিস সালাম বা সালামের বিষয় বলা হয়েছে।
আমরা প্রতিদিন যে নামাজে তাশাহুদ পাঠ করি, সেখানে এই কথা বলি- السلام علينا وعلى عباد الله الصالـحين অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ব সালামরহমতবরকত আমাদের উপর অর্থাৎ সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর এবং মহান আল্লাহ পাক উনার যারা ছালিহীন বা নেককার বান্দা উনাদেরও উপর। আলাইহিস সালাম ব্যবহার যদি শুধু নবী রসূলদের জন্য খাছ হতো তবে কি তাশাহুদে এই দোয়া থাকলো কেন? এখান থেকেও প্রমান হলো আলাইহিস সালাম নেককার বান্দাদের বেলায় ব্যবহার করা যায়।
সূরা নমল-এর উক্ত আয়াত শরীফ-এর তাফসীর বা ব্যাখ্যায় বর্ণিত রয়েছে- والارجح فى مثل لقمان ومريم والـخضر والاسكندر الـمختلف فى نبوته ان يقال رضى الله عنه او عنها ولو قال عليه السلام او عليها السلام لا بأس به অর্থ: অতএব প্রণিধানযোগ্য উদাহরণ হলো: হযরত লুক্বমানহযরত মারইয়ামহযরত খিযিরহযরত সেকেন্দার যুল ক্বরনাইন। উনাদের নবী হওয়ার ব্যাপারে ইখতিলাফ থাকার করণে উনাদের শানে রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু অথবা আনহা বলা হয়। আর কেউ যদি উনাদের শানে আলাইহিস সালাম অথবা আলাইহাস সালাম বলেএতে কোনই অসুবিধা নেই।(তাফসীরে রূহুল বয়ান ৭ম খ- ২২৮ পৃষ্ঠা) মূল কথা হলো: উল্লেখিত ব্যক্তিগণ উনারা কেউই নবী-রসূল ছিলেন না। বরং উনারা প্রত্যেকেই ছিলেন বিশেষ শ্রেণীর ওলীআল্লাহ। এখন উনাদের শানে যদি আলাইহিস সালাম কিংবা আলাইহাস সালাম ব্যবহারে কোন রকম অসুবিধা বা নিষেধ না থাকে তাহলে অন্যান্য বিশেষ শ্রেণীর পুরুষ ওলীআল্লাহ কিংবা মহিলা ওলীআল্লাহ উনাদের শানে অসুবিধা বা নিষেধ হবে কেন?
আলাইহিস সালাম ব্যবহার করা কি নতুন কিছু ???
না, মোটেও নতুন কিছু নয়। হাদীস শরীফের কিতাবে অসংখ্য স্থানে আহলে বাইত শরীফ উনাদের নামের শেষে আলাইহিস সালাম বলা হয়েছে। হাদীস শরীফের অন্যতম কিতাব সহীহ বুখারী শরীফে একাধিক স্থানে হযরত আলী আলাইহিস সালামহযরত ফাতেমুয যাহারা আলাইহাস সালামহযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আলাইহিস সালাম ব্যবহার যদি শিয়া হয় তবে কি ওহাবীরা ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে শিয়া বলবে?
দারু শুয়াবকাহেরা মিশর থেকে প্রকাশিত বুখারী শরীফে ৪৯৪৭ নম্বর হাদীস শরীফের ইবারতটা নিম্নে দেয়া হলোঃ
حَدَّثَنَا يَحْيَى ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ عَلِيٍّ  عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ : كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ وَقَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَمَقْعَدُهُ مِنَ النَّارِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ أَفَلاَ نَتَّكِلُ قَالَ : لاََ اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ ثُمَّ قَرَأَ
উক্ত হাদীস শরীফের সনদটা পড়ে দেখুন। হযরত আলী আলাইহিস সালাম লেখা আছে। মজা এখানেই শেষ নয় এই হাদীস শরীফের সনদে আলাইহিস সালাম ব্যবহার নিয়ে সালাফীদের মূল ওয়েব সাইট http://www.ahlalhdeeth.com/ এ একটা প্রশ্ন প্রকাশিত হয়। প্রশ্নকারী জানতে চায় উক্ত হাদীস শরীফে আলাইহিস সালাম আছে কিনা ? জবাবে সালাফীরাও স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে উক্ত হাদীস শরীফে হযরত আলী আলাইহিস সালাম লেখা আছে। (সূত্র: http://archive.is/rWFdb) নিম্নে স্কিনশট দেয়া হলো:
%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a7%80
আহলে হাদীন সালাফীদের ওয়েবসাইটে আলাইহিস সালাম লেখার প্রমাণ
বুখারী শরীফের باب المرأة تطرح عن المصلي شيئا من الأذى তে ৫২০ নম্বর হাদীস শরীফে হযরত ফাতিমা আলাইহিস সালাম বলা হয়েছে। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে وَضَعَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ وَثَبَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَاجِدًا فَضَحِكُوا حَتَّى مَالَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ مِنَ الضَّحِكِ فَانْطَلَقَ مُنْطَلِقٌ إِلَى فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ  وَهْيَ جُوَيْرِيَةٌ فَأَقْبَلَتْ تَسْعَى
ইবারতটা দেখুন যেখানে হযরত ফাতেমা আলাইহাস সালাম বলা হয়েছে সেখানে আন্ডার লাইন করে দেয়া হয়েছে। দেখা গেলো সহীহ বুখারী শরীফে আহলে বাইত শরীফ উনাদের অন্যতম হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারকের সাথেও আলাইহাস সালাম লেখা আছে। শুধু তাই নয় আহলে বাইত শরীফের তৃতীয় ইমাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকের সাথেও আলাইহিস সালাম লেখা আছে। প্রমান দেখুন-
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ ، قَالَ : حَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ ، عَنْ مُحَمَّدٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، أُتِيَ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ زِيَادٍ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ عَلَيْهِ السَّلاَمُ  فَجُعِلَ فِي طَسْتٍ فَجَعَلَ يَنْكُتُ وَقَالَ فِي حُسْنِهِ شَيْئًا فَقَالَ أَنَسٌ كَانَ أَشْبَهَهُمْ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ، وَكَانَ مَخْضُوبًا بِالْوَسْمَةِ
দেখুন আন্ডার লাইনকৃত অংশে ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকের সাথে  আলাইহিস সালাম লেখা রয়েছে।
মজার কথা শুনেন বর্তমানে হাদীস শরীফ বা বিভিন্ন কিতাবের ভান্ডর হচ্চে মাকতাবায়ে শামেলা এবং জামেউল কালিম  এই দুইটা সপ্টওয়ারে আন্ডারলাইনকৃত অংশ সার্চ করে দেখেন। দেখবেন হুবুহু আলাইহিস  সালাম সহ এই  হাদীস শরীফ পেয়ে যাবেন। মাকতাবায়ে শামেলাতে  বুখারী শরীফের রেফারেন্সে ৯ স্থানে আহলে বাইত শরীফ উনাদের নাম মুবারকের সাথে আলাইহি সালাম রয়েছে। সুবহানাল্লাহ।
জামেউল কালিম সপ্টওয়ারে সার্চ করে দেখেন। নিম্নে সবার জন্য স্কিনশট দেয়া হলো
12
জামিউল কালিম সপ্টওয়ারে আলী আলাইহিস সালাম লেখা 
এখানেও দেখা গেলো হযরত আলী আলাইহিস সালাম লেখা আছে, বুখারী শরীফের রেফারেন্স দিয়ে।
অনলাইনে হাদীস শরীফের অন্যতম সার্চের সাইট হচ্ছে http://library.islamweb.net/ এই সাইটে এই লিংকে (http://bit.ly/2eJxfY3 ) ক্লিক করেন। এবার সনদটা একটু পড়ে দেখেন। নিম্নে স্কিনশট দেয়া হলো-
cap88ture
laibrary.islamweb.net সাইটেও লেখা হযরত আলী আলাইহিস সালাম
হাদীস শরীফের অন্যতম নির্ভযোগ্য কিতাব সুনানে দারু কুতনীর ৯ জায়গায় হযরত আবু বকর সিদ্দীক আলাইহিস সালাম ও ৩৪ স্থানে হযরত উমর আলাইহিস সালাম লেখা আছে। সকলে জানার জন্য কয়েকটা ইবারত উল্লেখ করা হলো-
30 حدثنا أبو بكر ، أحمد بن محمد بن إسماعيل الآدمي قال : نا محمد بن الحسين الحنيني ، قال : نا عبد العزيز بن محمد الأزدي ، قال : نا حفص بن غياث ، قال : سمعت جعفر بن محمد ، يقول : ما أرجو من شفاعة علي عليه السلام شيئا ، إلا وأنا أرجو من شفاعة أبي بكر عليه السلام مثله ، ولقد ولدني مرتين
উক্ত কিতাবের ফাদ্বায়িলুছ ছাহাবা অধ্যায়ে এ্ই হাদীস শরীফ পাবেন যেখানে হযরত আবু বকর সিদ্দীক আলাইহিস সালাম লেখা আছে। যা আপনারা মাকতাবায়ে শামেলাতেও পাবেন। নিচে শামেলার স্কিন শট দেয়া হলো-
samela
শামেলাতে দারু কুতনী কিতাবে হযরত আবু বকর অলাইহিস সালাম লেখা আছে
দারু কুতনী কিতাবের ফাদ্বায়িলুছ ছাহাবা অধ্যায়ে হযরত উমর আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকের সাথে  আলাইহিস সালাম লেখা আছে। নিম্নে ইবারত ও সনদ দেয়া হলো:
3 حدثنا محمد بن منصور بن أبي الجهم ، نا السري بن عاصم ، قال : نا أبو معاوية ، عن الحجاج بن أرطأة ، عن من ، أحبوه ، عن الشعبي ، قال : قال علي عليه السلام : لم أكن لأحل عقدة عقدها عمر عليه السلام
দেখুন মাকতাবেয়া শামেলাতে দারু কুতনীতে হযরত উমর আলাইহিস সালাম উনার নামে সাথে  আলাইহিস সালামলিখে অনুসন্ধান করলে কতগুলো রেজাল্ট আসে-
%e0%a7%a7
%e0%a7%a8
%e0%a7%a9
%e0%a7%aa
হাদীস শরী্ফের অন্যতম সপ্টওয়ার জামিউল কালিমে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি  আলাইহি উনার কিতাবুয যুহদ এর দলীল আছে। উক্ত কিতাবে একটা অধ্যায় আছে যার নাম হচ্ছে  زُهْدُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ عَلَيْهِ السَّلامُ   স্কিনশট দেয়া হলো-
hambel
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে আলাইহিস সালাম
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহতুল্লাহি আলাইহি রচিত ফাদ্বায়েলুছ ছাহাবা কিতাবে হযরত আলি আলাইহিস সালাম লেখা আছে , নিম্নে  স্ক্যান কপি দেয়া হলো,

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhKwUndoGjv9ovEyACzADyABTy-k6cYXXZWZaiT2lTTISIZW2SA5jUj9_-0PbNQPKBpJ_I1C4I-EymzU5DtTj8O2FrPi_G2rgxDOaRQyh84sohBqGzK68I0PBdmLG866ENHCWPP-P24GH0/s1600/10.png

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgB5gH2qCK1h4gekdHFjdB6swY5giqIdMBPO86n8EmpOtyRyKe_boih5la3up5Kw-hLK-6tQPpkF1kY-spYPP7Vjcx6t3tpHYuczBAo4CCMgxQ7a30ySaWVbPtv_oKcquI9S_vlzE5fWBw/s1600/9.png
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি রচিত ফাদ্বায়েলুছ ছাহাবা কিতাবে হযরত আলী আলাইহিস সালাম


এছাড়াও জামেউল কালিম সপ্টওয়ার থেকে আরো কিছু কিতাবের স্কিনশট দেয়া হলো, যেখানে স্পষ্ট ভাবে আহলে বাইত শরীফ ও খুলাফায়ে রাশেদীন উনাদের নাম মুবারকের সাথে আলাইহিস সালাম লেখা ফাছে। 
*******************************
9d
***********************************
33d
****************************************
66d
*********************************************
untitl66ed
*******************************************
untitled2
ওহাবীদের কাছে প্রশ্ন মাকতাবায়ে শামেলা ও জামিউল কালিম কি শিয়াদের বানানো? বুখারী শরীফের মূল কিতাবে যেখানে আলাইহিস সালাম বলা আছে সেখানে ওহাবীদের চুলকানীর সূত্রপাত কি হতে পারে? নাকি ইয়াযিদের মত আহলে বাইত শরীফের প্রতি বিদ্বেষ??
দেওবন্দীদের অন্যতম মুরুব্বী মুফতী শফীর মারেফুল কুরআনে নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম সালাম ছাড়া অন্যদের বেলায় আলাইহিস সালাম বলা বৈধতা প্রমাণ হয় বলে উল্লেখ আছে। (মারেফুল কুরআন ৬ষ্ঠ খন্ড ৬৫৫ পৃষ্ঠা : প্রকাশনা- ইসলামী ফাউন্ডেশন)
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiOrpynHTV_o-YwnjR_F7WGkFgIG_rxyOUSegXdJ3U4J6VYaAB0TIuW8IPRwcSM4YTLcCEblR4GKlLsTvleWzlCJufLAWYNEKpJBZ28rns4s8BXB2v3DfnUcQnGsiTLUXkJ01qIpQs9Mgg/s1600/7.png

এবার দেখুন আসল চমক। সালাফীদের প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত অর্থাৎ তাওহীদ পাবলিকেশনস থেকে প্রকাশিত প্রকাশিত বুখারী শরীফ থেকে আহলে বাইত উনাদের নামের শেষে আলাইহিস সালাম এর দলীল দেখেন। নিচে তাওহীদ পাবলিকশনস থেকে প্রকাশিত বুখারী শরীফের শুরুর পৃষ্ঠা।
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiGKfzMgkfQndyhSXwPvexe0P7l7pWZyXi0uwH2wuQZPeYeSdoM4SdOIgM2o2otxARdC8yRsne_lomp_eZsIqHHOiuoZhETRNBMl1HHCmY-YJPZr8cGGtgjr24QDnjfrtgV1kVwMmBiSOw/s1600/2.PNG


এবার দেখুন এই বুখারী শরীফ উপদেষ্টা ও সম্পাদনা পরষদে আছে সকল সালাফীদের পরিচিত সব মুখ। লাল কালিতে চিহিৃত অংশ গুলো দেখে নেন।


https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjM_S1bkFWEogXLlzRnKp2qNB0mwoKpLtm6wtqtO4G64USa09Y33uGp8gqwXzDYGhmQP2VfCuBXZWI9gbX2RZHSBnihq0zzog-KF0Gdkwy04RwyxUXQQKwKaAHIQcmJovO3WndLmvZxwiY/s1600/4.PNG

এবার দেখুন তাওহীদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বুখারী শরীফের ৩য় খন্ড ৬২৯ পৃষ্ঠা। এখানে একটা বাব রয়েছে , বাবে নাম হচ্ছে বাবু মানাকিবি কারিবাতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া মানাক্বাবাতি ফাতিমাতা আলাইহাস সালাম বিনতি নাব্যিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুব ভালো করে দেখেন হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকের সাথে আলাইহাস সালাম লেখা আছে। আর ৩৭১১ নম্বর হাদীস শরীফের চিহিৃত ইবারত লক্ষ্য করেন। সেখানে হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম লেখা আছে। নিম্নের লাল বক্স করা অংশ লক্ষ্য করুন।



https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzeNngvvA5eS04Kn1gZLeQ_y2XOiSYnm_a8GdxkPUjTbiPJKSUJnOlkXhHqBe5NcNheSOfttpUUxcdz-a_ZzJo5HD54SALTmvs2FcoOoe3KNq7ns53y5dAl55-DPQnVoOHXrxu7QCww5o/s1600/3.PNG
সালাফীদের হাদীস শরীফের অন্যতম সাইট http://www.hadithbd.com/ এর এই লিংক এ ক্লিক করুন http://bit.ly/2hul4MS এই লিংকে ৩৭১১ নম্বর হাদীস শরীফের আরবী ইবারত দেখেন, যা আমি লাল কালিতে আন্ডার লাইন করে দিয়েছি। সেখানে হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম লেখা আছে।

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjRjnVHBB0uTinUoRJ0HVm6JykjYYo6Dqjc6kG7YUeU5-hspT24R6nlfmqR_71RLxbHXAh5hdVrMc7KP9uPiQDYYVdc8A9pa2iE7-Y4NBbGza1ChpD_ReXx-5XRmiPWObfd8TCzTEEgfDw/s1600/66.PNG

হাদীস শরীফের অন্যতম সাইট sunnah.com এ উক্ত হাদীস শরীফে হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম লেখা আছে। লিংক https://sunnah.com/bukhari/62/62


https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjCjK85yG1llIt-MMH1w0jNIbP1JjOCbOS5FrdXu5WAds0ZeJ3ymouXjFRz_6Xy2GG5j0YgZIxrvFzu3byTpJX7Xcf9p-aEP52srIy6tsQ9-ctjERhwRNTHsWNhyphenhyphenOL8CUqM_kPX2BTIIcQ/s1600/852112037_18477_5623227323765297553.jpg


এখন যারা আহলে বাইত ও ছাহাবায়ে কিরাম উনাদের নাম মুবারকের সাথে আলাইহিস সালাম লিখলে আপত্তি করার আগে নিজেদের মুরুব্বীদের বিষয়ে কি রায় দিবে?




- যাজাকাল্লাহ -

0 Comments: