নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের মত মানুষ নন

 

নূরে মুজাসসামহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের মত মানুষ নন

পিডিএফ লিংক-https://drive.google.com/open?id=19mTw2LZtH7Apiy3M4twSKRG2s6tPQrfO

 হযরত আব্দুল্লাহ্‌ ইবনে আমর রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলনেহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করনেআমি তোমাদরে কারো মত নই। (বুখারী ১/২৬৩ আবূ দাউদ/১৩৭)

 হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলনেহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করনেনশ্চিয়ই আমি তোমাদরে অনুরূপ নই। (বুখারী ১/২৬৩ফতহুল বারী ৪/১৬৪)

হযরত আবূ সাঈদ খুদুরী রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলনেহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করনেনশ্চিয়ই আমি আকৃতগিতভাবে তোমাদরে মত নই। (বুখারী ১/২৬৩ফতহুল বারী ৪/১৬৫)

হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- তিনি বলনেহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করনেতোমাদরে মধ্যে আমার অনুরূপ কে রয়েছে? (বুখারী ১/২৬৩ফতহুল বারী ৪/১৬৭) র্অথাৎ তোমাদরে মধ্যে কউেই আমার মত নয়। বা আমি তোমাদরে কারো মত নই। তাই জনকৈ কবি বলছেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাশারতবে তিনি অন্যান্য বাশাররে মত নন। যরেূপ ইয়াকুত পাথর অন্যান্য পাথররে মত নয়।

বাহ্‌রুল উলুম হযরত মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল আলী লখনবী রহ্‌মতুল্লাহি আলাইহি মীর যাহিদ কতিাবে উল্লখে করছেনে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সমস্ত বিষয়রেই ইল্‌ম দান করছেনেযা মহান আল্লাহ পাক-এর মহান কুদরতী কলম বা কলমে আলার আওতায়ও আসেন নি যা লাওহে মাহ্‌ফুজও আয়ত্ব করতে পারনে। কস্মনিকালওে সৃষ্টরি শুরু থেকে অনন্তকাল র্পযন্ত উনার মত কউে পয়দা হয়ন,কেউ উনার সমকক্ষ হবে না। সমস্ত কায়িনাতে উনার সমকক্ষ কউে নইে।

উল্লখ্যে যে, সাইয়্যদিুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো অনকে দূররে কথাউনার পুত-পবিত্রা আহলিয়াগণ র্অথাৎ হযরত উম্মুল মুমনিীন রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণরে শানইে আল্লাহ পাক ইরশাদ করনে, হে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আহলিয়াগণ! আপনারা অন্যান্য মহিলাদের মত নন। (সূরা আহযাব/৩২)

সুতরাং যইে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আহলিয়া হওয়ার কারণে উনারা দুনয়িার সকল মহিলাদের থেকে তুলনাহীন হলনেসইে মহান ব্যক্তত্বি যিনি একমাত্র আল্লাহ পাক-এর পরইে সমস্ত প্রকার শ্রষ্ঠেত্বভালাই ও কল্যাণরে একচ্ছত্র অধকিারীতিনি আমাদরে মত মানুষ হন কি কর?

মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করনে, (হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুননশ্চিয়ই আমি তোমাদরে মত একজন বাশারতবে আমার প্রতি ওহী নাযলি হয়। (সূরা কাহ্‌ফ/১১০)

এ আয়াতে কারমিা-এর প্রেক্ষিতে অনেকে সাইয়্যদিুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনখাতামুন্‌ নাবয়্যিীনহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদরে মতই মানুষ বলে থাক।ে (নাউজুবল্লিাহ)

প্রকৃতপক্ষে এটা সর্ম্পূণরূপে অশুদ্ধ ও ভুল। কারণ আমাদরে মধ্যে এমন কউে নইেযার প্রতি ওহী নাযলি হয়। বরং আমাদরে মধ্যে কউে যদি নজিরে প্রতি ওহী নাযলিরে দাবী কর,ে তবে সে কাট্টা কাফরি ও চরি জাহান্নামী হবে যেমন কাদয়িানীবাহাই ইত্যাদি সম্প্রদায়।

মূলতঃ উপরোক্ত আয়াত শরীফরে সঠকি ও নর্ভিরযোগ্য ব্যাখ্যা হলোসাইয়্যদিুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনখাতামুন্‌ নাবয়্যিীনহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধুমাত্র আদম সন্তান হিসেবে মছোল বাশার বা মানুষরে অনুরূপ। সজেন্যই বনী আদমকে আশরাফুল মাখলুকাত করা হয়ছে,ে র্অথাৎ আল্লাহ্‌ পাক মানুষকে আশরাফয়িাত দান করছেনে বা সৃষ্টরি সরো করছেনে। হাক্বীক্বত তিনি আমাদরে মত মানুষ নন।

লক্ষ-কোটি দকি বা বিষয় রয়েছে, যার দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীবসাইয়্যদিুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনখাতামুন্‌ নাবয়্যিীনহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদরে মত মানুষ ননবরং তিনি নূরে মুজাস্‌সাম বা নূরের সৃষ্টি হযরত আদম আলাইহস্‌ি সালাম থেকে শুরু করে হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহসি সালাম র্পযন্ত যে সকল পুতঃপবত্রি মহলিা ও পুরুষ আলাইহমিুস সালামগণরে মধ্যে স্থানান্তরতি হয়ছেনেতাঁদরে সকলরে মধ্যইে তিনি সরাসরি নূর আকারে স্থানান্তরতি হয়ছেনে এবং সবশেষে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম-এর রহেমে শরীফ হতে নূর হসিবেইে যমীনে তাশরীফ এনছেনে। সে কারণে উনার শরীর মুবারকরে কোন ছায়া ছিল না। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শরীর মুবারকে যা কছিু ছিলতা সবই ছিল পবত্রি থেকে পবত্রিতম। এমনকি উনার প্রস্রাব ও ইস্তঞ্জিা মুবারকও ছিল পাক ও পবত্রি। যা পান করার কারণে জাহান্নামী লোকরে জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে জান্নাত ওয়াজবি হয়ে যায়। তিনি যে হাযত পুরা করতনে তাও কোন মানুষ দখেতে পতে না। যমনি তা সাথে সাথইে গ্রাস করে ফেলত বা খেয়ে ফেলত। উনার শরীর মুবারকে কশ্মনিকালওে মশা-মাছি বসতো না।

উম্মতরে জন্য চারটরি বশেী ববিাহ করা হারাম। কিন্তু আল্লাহ পাক এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য তা ছিল না। তিনি স্বয়ং নজিইে শারে বা শরীয়ত প্রণতোতিনি যা করছেনেবলছেনে ও সম্মতি দয়িছেনে তাই শরীয়ত। পক্ষান্তরে সাধারণ মানুষরে ক্ষেত্রে তা নয়। সাধারণ মানুষ পরস্পর পরস্পরকে যেভাবে ডেকে থাকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সভোবে ডাকলে কুফরী হবে

সাধারণ মানুষরে কলমো শরীফ হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসুলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পক্ষান্তরে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কলমো শরীফ হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইন্নি রসুলুল্লাহ যা সাধারণ মানুষ দাবী করলে কাফরি হবে সাধারণ মানুষরে আহলিয়াকে তালাক দিলে বা স্বামী মারা গেলে আহলিয়াকে অন্য কউে ববিাহ করতে পারে । কিন্তু আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বদিায়রে পরে হযরত উম্মুল মুমনিীন রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণকে অন্য কোন মানুষরে জন্য ববিাহ করার চন্তিা করাটাও হারাম! সাধারণ মানুষরে মৃত্যূর পরে তার মীরাছ (পরত্যিাক্ত সম্পদ বণ্টন করতে হয়। কিন্তু আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ক্ষেত্রে সরেূপ নয়। কারণ তিনি হায়াতুন্‌নবী।

এমনভিাবে অসংখ্যঅগণিত বশৈষ্ট্যি রয়েছে, যা একমাত্র হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য খাছ। যা অন্য কোন মানুষ তো দূররে কথা অন্য কোন নবী-রসূল আলাইহমিুস্‌ সালামগণকওে দান করা হয়নি কাজইে তিনি কোন দকি থকেইে আমাদরে মত নন।

নূরে মুজাসসামহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদরে ন্যায় স্বাভাবকিভাবে দুনয়িাতে তাশরীফ আনেননি।  তাহলে তিনি কভিাবে আমাদরে ন্যায় সাধারণ মানুষ হতে পারনে ?

সাইয়্যদিুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনখাতামুন নাবইিয়ীনহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাধারণ মানুষরে ন্যায় মায়রে রহেমে শরীফ থেকে পৃথবিীতে তাশরীফ আননেন।ি শুধু তাই নয় নবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনাদরে কউেই সাধারণ মানুষরে মতো ভূমষ্টি হনন।ি কারণ হলোনবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনাদরেকে আল্লাহ পাক খাছ বা বশিষেভাবে মনোনীত করইে সৃষ্টি করছেনে।

এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়ছে-ে

الله يجتبى اليه من يشاء        

র্অথ: মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে চান উনাকে খাছভাবে মনোনতি করনে। র্অথাৎ নবী-রসূলরূপে মনোনীত করনে। (সূরা শূরা: আয়াত শরীফ ১৩)

উল্লখ্যেনবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনারা যহেতেু মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে খাছভাবে মনোনীত এবং মহান আল্লাহ পাক উনার র্বাতা বা ওহীর ধারক ও বাহক সহেতেু আল্লাহ পাক উনাদরে সাথে সংশ্লষ্টি বিষয়গুলোর মধ্যে র্পাথক্য সৃষ্টি করে দয়িছেনে। র্অথাৎ উনাদরে বিষয়গুলো আর অন্য সব মানুষরে বিষয়গুলো একরকম নয়। উনাদরে চলা-ফরোআচার-ব্যবহারকথা-র্বাতাআহার-নদ্রিা ইত্যাদি সবকছিুই অন্য মানুষ হতে ব্যতক্রিম। আর ব্যতক্রিম হবইেনা বা কনেযহেতেু উনারা র্সাবকি ও পরপর ওহীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

কাজইেনবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনারা যমীনে আগমন করছেনে। উনাদরে যমীনে আগমন আর অন্যান্য মানুষরে যমীনে আগমনরে মধ্যে র্পাথক্য রয়ছে।ে অন্যান্য মানুষ সাধারণত স্বাভাবকি পথইে ভূমষ্টি বা জন্মগ্রহণ করনে। কিন্তু নবী-রসূল আলাইহমিুস্ সালাম উনারা কউেই স্বাভাবকি পথে যমীনে আগমন করেননি বরং বশিষে পথে যমীনে আগমন করনে।

যেমন এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে-

كل مولود غير الانبياء يولد من الفرج وكل الانبياء غير نبينا مولود من فوق الفرج وتحت السرة.  

র্অথ: নবী-রসূল আলাইহমিুস্ সালাম উনারা ব্যতীত সমস্ত মানুষই স্বাভাবকি পথইে আগমন করনে। আর সমস্ত নবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনারা স্বাভাবকি পথরে উপর ও নাভি মুবারক-এর নচি থেকে বলিাদত শরীফ লাভ করনে। (উমদাতুন নুকুল ফী কাইফয়িাতে ওয়ালাদাতরি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

যখোনে নবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনাদরে যমীনে আগমনরে বিষয়টি সাধারণ মানুষরে মত নয় সখোনে যিনি নবী আলাইহমিুস সালাম উনাদরে নবীরসূল আলাইহমিুস সালাম উনাদরে রসূলহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টি তো আরো র্ঊধ্বরে আরো স্বতন্ত্র। তা বলার অপক্ষো রাখে না। তাই উনার যমীনে আগমন বা তাশরীফ নয়ো সর্ম্পকে কতিাবে যে নর্ভিরযোগ্য মতটি বর্ণিত রয়ছেে তাহলো-

واما نبينا صلى الله عليه وسلم فمولود من الخاصرة اليسرى تحت الضلوع.

র্অথ: আমাদরে নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানতিা আম্মা সাইয়্যদিাতু নসিায়লি আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম-উনার বাম র্পাশ্বরে পাঁজর মুবারক-এর নচি থেকে বলিাদত শরীফ লাভ করনে। (উমদাতুন নুকুল ফী কাইফয়িাতে ওয়ালাদাতরি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

প্রতভিাত হলোনূরে মুজাসসামহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্যান্য মানুষরে মতো বলিাদত শরীফ লাভ করনেনি বা যমীনে তাশরীফ আননেন।ি বরং আল্লাহ পাক উনাকে কুদরতভিাবে উনার আম্মা আলাইহাস সালাম উনার বাম পাঁজর মুবারক-এর নচি দয়িে যমীনে প্ররেণ করনে। সুবহানাল্লাহ!

আর এ বিষয়টি আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতরে আক্বীদার অর্ন্তভুক্ত যে, নূরে মুজাস্সামহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তনিসিহ কোন নবী-রসূল আলাইহমিুস সালামই অন্য মানুষরে মতো স্বাভাবকি পথে যমীনে আগমন করেননি বরং উনারা প্রত্যকেইে কুদরতভিাবে কুদরতি পদ্ধততিে যমীনে আগমন করনে বা তাশরীফ ননে।  -০-

 বি:দ্র-কিছু লেখা এলোমেলো আছে-দুখিত

 


0 Comments: