৭৫৯ নং- সুওয়াল : মাসিক রহ্মানী পয়গাম জানুয়ারী/৯৭ এবং মাসিক আত-তাওহীদ ডিসেম্বর’ ৯৬/জানুয়ারী’ ৯৭ সংখ্যা পত্রিকার প্রচ্ছদে মসজিদের ছবি ছাপানোর সাথে সাথে মানুষের ছবিও ছাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এ রকম মানুষের ছবি ছাপানোও কি নাজায়েয হবে?

 


সুওয়াল : মাসিক রহ্মানী পয়গাম জানুয়ারী/৯৭ এবং মাসিক আত-তাওহীদ ডিসেম্বর৯৬/জানুয়ারী৯৭ সংখ্যা পত্রিকার প্রচ্ছদে মসজিদের ছবি ছাপানোর সাথে সাথে মানুষের ছবিও ছাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এ রকম মানুষের ছবি ছাপানোও কি নাজায়েয হবে?

জাওয়াব : মানুষ তথা প্রাণীর ছবি তোলা, আাঁকা, ছাপা ইত্যাদি সবই হারাম ও নাজায়েয। হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে,

ان اشد الناس عذابا يوم القيامة المصورون.

অর্থ : ক্বিয়ামতের দিন ঐ সকল মানুষের কঠিন শাস্তি হবে যারা ছবি তোলে, আঁকে ও ছাপে।” (বোখারী শরীফ, ফতহুল বারী, শরহে আইনী, কিরমানী)

অতএব, মাসিক রাহ্মানী পয়গাম ও আত্-তাওহীদ পত্রিকার প্রচ্ছদে মানুষের ছবি ছাপিয়ে তারা হারাম ও নাজায়েয কাজ করেছে।

উল্লেখ্য, যদি তারা হারাম জেনে উক্ত ছবি ছাপিয়ে থাকে, তবে তারা চরম ফাসেকী কাজ করেছে। আর যদি হালাল জেনে ছাপিয়ে থাকে, তবে তারা কুফরী করেছে।

শরীয়তের ফায়সালা হলো- হারামকে হালাল, এবং হালালকে হারাম জানা বা মনে করা উভয়ই কুফরী। সুতরাং যারা কুফরী করবে, তাদের জীবনের সমস্ত নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে, তাদের স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে এবং হজ্ব করে থাকলে তা বাতিল হয়ে যাবে। অতএব তাদের উচিৎ খালেছ তাওবা করা। (বোখারী, মুসলিম, নাসাঈ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ্, মেশকাত, দায়লামী, মসনদে আহমদ, ফতহুল বারী, উমদাতুল কারী, মোযাহেরে হক্ব, হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা, কিতাবুল ফিক্বাহ্ আলা মাযাহিবিল আরবায়া, মাশারিকুল আনওয়ার, আযজাওয়াজির আল একতেরাফিল কাবায়ের, ফতওয়ায়ে নঈমিয়া, তুহ্ফায়ে খাওয়াতিন, বাহ্রে শরীয়ত, এরশাদুত্ ত্বলেবীন, ফতওয়ায়ে সিদ্দিকিয়া, ইমদাদুল ফতওয়া)

[বিঃ দ্রঃ- প্রাণীর ছবি ও তা ছাপানো হারাম হওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের প্রকাশিত মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম সংখ্যা পাঠ করুন, যাতে ৩৫৩টি নির্ভরযোগ্য দলীল পেশ করা হয়েছে।]

0 Comments: