দেওবন্দি কতৃক সিরাতে হলবিয়া অনুবাদ কিতাবে নুরের দলীল -----

Image result for নূরদেওবন্দি কতৃক সিরাতে হলবিয়া অনুবাদ কিতাবে নুরের দলীল -----


"সিরাতে হলবীয়া" উর্দু সংস্করণের তিনটার অনুবাদই করেছে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার একসময়ের প্রধান শিক্ষক ক্বারী তৈয়ব। প্রথমটা প্রকাশিত হয়েছে কুতুবখানা কাসেমী, দেওবন্দ ১৯৭৮ সালে (১ ম খন্ড পৃষ্ঠা ১০১) ,এরপরেরটা দেখলাম যাকারীয়া বুক ডিপো, দেওবন্দ প্রাকাশ সাল ২০০৪ (১ খন্ড ১১৩-১১৪ পৃষ্ঠা), এরপর আরেকটা দারুল ইশয়াত , করাচী পাকিস্তান থেকে ১৯৯৯ সালে (১/১১৩-১৪)



হাদীস শরীফে বর্নিত আছে-



ﻋﻦ ﺣﻀﺮﺕ ﺍﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺕ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ



ﺍﻧﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﺳﺄﻝ ﺟﺒﺮﻳﻞ



ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻓﻘﻞ ﻳﺎ ﺟﺒﺮﻳﻞ ﻛﻢ ﻋﻤﺮﻙ



ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻨﻴﻦ ﻓﻘﻞ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ



ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻟﺴﺖ ﺍﻋﻠﻢ ﻏﻴﺮﺍﻥ ﻓﻲ



ﺍﻟﺤﺠﺎﺏ ﺍﻟﺮﺍﺑﻊ ﻧﺠﻤﺎ ﻳﻄﻠﻊ ﻓﻲ ﻛﻞ



ﺳﺒﻌﻴﻦ ﺍﻟﻒ ﺳﻨﺔ ﻣﺮﺓ ﺭﺃﻳﺘﻪ ﺍﺛﻨﻴﻦ ﻭ



ﺳﺒﻌﺴﻦ ﺍﻟﻒ ﻣﺮﺓ ﻓﻘﻞ ﻳﺎ ﺟﺒﺮﻳﻞ ﻋﻠﻴﻪ



ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﻋﺰﺓ ﺭﺑﻲ ﺍﻧﺎ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻜﻮﻛﺐ



অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন কথা প্রসঙ্গে হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম উনার বয়স সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, জবাবে হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আমি শুধু এতটুকু জানি যে, চতুর্থ আসমানে একটি নূরানী তারকা ৭০ হাজার বছর পর পর একবার উদয় হতো, আমি তারকাটি ৭২ হাজার বার উদয় হতে দেখেছি। তখন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম ! আমি সেই নূরানী তারকা মুবারক।"



সুবহানাল্লাহ্ !!!



দলীল-

√ তাফসীরে রুহুল বয়ান- সূরা তাওবা ১২৯ নং আয়াত শরীফ উনার তাফসীর- ৩য় খন্ড ৫৪৩ পৃষ্ঠা ।
√ ইনসানূল উয়ুন ১ম খন্ড ২৯ পৃষ্ঠা ।
√ সিরাতে হলবীয়া ১ম খন্ড ৪৯ পৃষ্ঠা (আরবী সংস্করণ)

এ হাদীস শরীফটা বর্তমান বিদয়াতি দেওবন্দীরা জাল বলে থাকে। অথচ মজার বিষয় দেওবন্দী গুরু ক্বারী তৈয়ব হযরত বুরহান উদ্দীন হালবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার রেফারেন্স এ অনুবাদ করে লিখেছে "তিনি আত তাশরিফাতে ফি খাসায়েস ওয়াল মু'জিজাত কিতাবে এই হাদীস শরীফ খানা দেখেছেন, এবং যার বর্ননাকারী হচ্ছে স্বয়ং ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি।" সুবহানাল্লাহ্!

এখন কথা হচ্ছে ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি যখন এই হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন সূতরাং এটাকে জাল বলার কোন সুযোগ নেই। আর স্বয়ং দেওবন্দী গুরু ক্বারী তৈয়ব যখন নিজ হাতে এটা অনুবাদ করে নিজেদের প্রকাশনা থেকে প্রকাশ করিয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে কোন টীকাও লেখেনি সূতরাং বোঝা যাচ্ছে পূর্বাতন দেওবন্দীরা হাদীস শরীফটা সহীহ হওয়ার ব্যাপারে একমতই ছিলো। তাদের কোন বিরুপ মন্তব্য ছিলো না। তবে কেন বর্তমানে কিছু মূর্খ ন্যাড়া মাথার দেওবন্দী বিদয়াতিরা এই হাদীসের বিরোধীতা করে ? আমারতো মনে হয় এসব বিরোধীতাকারীরা মূলত দেওবন্দীও না, এরা ফিৎনা সৃষ্টিকারী ইহুদীদের এজেন্ট হওয়াও বিচিত্র নয়।

0 Comments: