হাদিস শরীফ উনাতে নুর উনার দলীল ।

Related imageহাদিস শরীফ উনাতে নুর উনার দলীল ।
وعن ابلى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه و سلم سائل جبريل عليه السلام فقال يا جبريل كم عمرك من السنين فقال يا رسول الله مست اعلم غير ان فى الحجاب الرابع نجما يطلع في سبعين الف سنة مرة رايته اثنين و سبعين الف مرة فقال يا جبريل و عزة ربى جل جلا له انا ذالك الكوب-
১. অর্থ : হযরত আবু হোরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত, " কোন এক সময় হযরত রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন " হে জিব্রাইল! তোমার বয়স কত বৎসর হইয়াছে?"হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম উত্তর করিলেন," হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার বয়স সম্পর্কে কিছুই বলিতে পারিনা। তবে আমি আপনাকে আমার বয়স সম্পর্কে এতটুকু তথ্য জানাইতে পারি যে, চতুর্থ আসমানে একটি উজ্জ্বল তারকা ছিল, উক্ত তারকাটি ৭০ হাজার বৎসর পর পর আসমানে একবার উদয় হইত। আমি উহাকে ৭২ হাজার বার উদয় হইতে দেখিয়াছি। তখন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে জিব্রাঈল! আমার প্রতিপালকের ইজ্জতের কসম। নিশ্চয় আমিই ছিলাম সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র বা তারকা ।"

★ ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি : আত তাশরীফাতে ফি খাসায়েস ওয়াল মুজিজাত ২/২৫৪ পৃ:
★ইমাম বুখারীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখিত : তারিখ উল কাবির
★ ইমাম বুরহান উদ্দিন হালাবী শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি: সিরাতে হালাবিয়্যাহ ১ম খন্ড:৪৯ পৃ: [ইমাম বুখারীর সুত্রে]
★ আল্লামা ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি : তফসীরে রুহুল বয়ান : ৩/৫৪৩ : সুরা তওবা ১২৮
★ আল্লামা শায়খ ইউসুফ নাবহানী রহমতুল্লাহি আলাইহি : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৩৯ [নিজস্ব সনদে আবু হুরায়রা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে]
★ আল্লামা শফী উকাড়ভী রহমতুল্লাহি আলাইহি : যিকরে হাসীন : ৩০ পৃ:
® ইমাম বুরহান উদ্দিন শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিএকজন গ্রহনযোগ্য মুহাদ্দিস। মোল্লা আলী কারি রহমতুল্লাহি আলাইহি শরহে শিফা ১/৩৭ সহ অসংখ্য স্থানে ইমাম হালাবীর মতামত উল্লেখ্য করেছেন।
® ইমাম হালাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তার সিরাতে হালাবিয়্যার প্রথমে বলেন, সীরাত গ্রন্থ সমুহে সহিহ, সাক্বীম, দ্বইফ, বালাগ, মুরসাল, মুনকাতা ও মু'দাল হাদিস সমুহ একত্রিত করা হয় কিন্তু জাল বা মওদ্বু হাদিস নয়।
★ সিরাতে হালাবিয়্যাহ : ১ম :৭ পৃ
® ইমাম জাফর সাদেক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আন-নাজম বলতে রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে।
★ ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি: জামিউল আহকামুল কুরআন : ১৭/৮৩ পৃ:
★ ইমাম বাগভী রহমতুল্লাহি আলাইহি: মুয়ালিমুত তানযিল : ৭/৪০০ পৃ:
★ ইমাম আলুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি: তফসীরে রুহুল মা'য়ানী : ১৪/৪৪ পৃ:
★ কাজী সানাউল্লাহ পানিপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি: তফসীরে মাযহারী : ৯/১০৩ পৃ:
★ ইমাম সাভী রহমতুল্লাহি আলাইহি: তফসীরে সাভী : ৪/১২৯ পৃ:
★ ইমাম খাযেন রহমতুল্লাহি আলাইহি: তফসীরে খাযেন : ৪/২০৩ পৃ:
★ ইমাম ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি: তফসীরে রুহুল বয়ান : ৯/২০৮ পৃ:

২.নুর সম্পর্কিত হাদিসটি নিম্নরোপ :-
حضرت جابر بن عبد اﷲ رضی اﷲ عنہما سے مروی ہے فرمایا کہ میں نے بارگاہِ رسالت مآب صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم میں عرض کیا : یا رسول اﷲ! میرے ماں باپ آپ پر قربان! مجھے بتائیں کہ اﷲ تعالیٰ نے سب سے پہلے کس چیز کو پیدا کیا؟ حضور نبی اکرم صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم نے فرمایا : اے جابر! بے شک اﷲ تعالیٰ نے تمام مخلوق (کو پیدا کرنے) سے پہلے تیرے نبی کا نور اپنے نور (کے فیض ) سے پیدا فرمایا، یہ نور اللہ تعالیٰ کی مشیت سے جہاں اس نے چاہا سیر کرتا رہا۔ اس وقت نہ لوح تھی نہ قلم، نہ جنت تھی نہ دوزخ، نہ (کوئی) فرشتہ تھا نہ آسمان تھا نہ زمین، نہ سورج تھا نہ چاند، نہ جن تھے اور نہ انسان، جب اﷲ تعالیٰ نے ارادہ فرمایا کہ مخلوق کو پیدا کرے تو اس نے اس نور کو چار حصوں میں تقسیم کر دیا۔ پہلے حصہ سے قلم بنایا، دوسرے حصہ سے لوح اور تیسرے حصہ سے عرش بنایا۔ پھر چوتھے حصہ کو (مزید) چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے عرش اٹھانے والے فرشتے بنائے اور دوسرے حصہ سے کرسی اور تیسرے حصہ سے باقی فرشتے پیدا کئے۔ پھر چوتھے حصہ کو مزید چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے آسمان بنائے، دوسرے حصہ سے زمین اور تیسرے حصہ سے جنت اور دوزخ بنائی۔ ۔ ۔ یہ طویل حدیث ہے۔
অর্থ : হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আরজ করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم !!আমার পিতা-মাতা আপনার কদম মোবারক এ কোরবানি হোক,আপনি বলে দিন যে আল্লাহ্‌ পাক সর্ব প্রথম কি সৃষ্টি করেছেন?রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বললেন”হে জাবের, নিশ্চই আল্লাহ্‌ তা'য়ালা সর্ব প্রথম স্বীয় (নিজ) নূর হতে তোমার নবীর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন !!”তারপর সেই নূর আল্লাহর কুদরতে ও ইচ্ছায় ভ্রমণ রত ছিল। কেননা ঐ সময় লাওহ-কলম , জান্নাত – জাহান্নাম ফেরেশতা , আসমান- জমিন কিছুই ছিল না ।তারপর আল্লাহ্‌ মাখলক সৃষ্টি করার ইচ্ছা করলেন..তখন এই নূর কে ৪ ভাগ করলেন..প্রথম ভাগ দিয়ে কলম;দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে লৌহে-মাহফুজ;তৃতীয় ভাগ দিয়ে আরশ এবং চতুর্থ ভাগ দিয়ে বাকি সবকিছু সৃষ্টি করলেন....।
Note : হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উক্ত হাদিসের সনদখানা ইমাম বুখারীর রহমতুল্লাহি আলাইহি দাদা এবং শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি ওনার "জান্নাতুল খুলদ" কিতাবে লিপিবদ্ধ করেছেন। উক্ত হাদিস খানা শাব্দিক পরিবর্তন সহ ""উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু " থেকেও বর্নিত আছে।
মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক পৃ ৯৯ হাদিস নং ১৮
মাওয়াহেব এ লাদুন্নি খ ১ পৃ ৭১
,
ইমাম যুরকানী লিখেছেন তার শরাহ এ মাওয়াহেব এ লাদুন্নি তে খ ১ পৃ ৮৯-৯১
কাশফ আল খাফা খ ১ পৃ ৮২৭
ইমাম হালাবী তার সিরাহ এর খ ১ পৃ ৫০
দেওবন্দি ওলামা আশরাফ আলী থানবী তার নাশরুত্তিব কিতাবের খ ১ পৃ ১৩
তারিখ আল নূর আস সাফির খ ১ পৃ ৮
মুহাদ্দিস আব্দুল হক দেহলবী (রহ) তার মাদারেজুন নবুয়াত এর মধ্য লিখেছেন যে ;-
মুহাদ্দিসে আব্দুল হক দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, " এই হাদিস বিশুদ্ধ এবং সহিহ "
মাদারেজুন নবুয়াত খ ২ পেজ ১৩
এই হাদিসটি আরো বিভিন্ন কিতাবে বর্নিত আছে:-
দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩
যুরকানী ১/৪৬
রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫
মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ
ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ
আন-নিআমাতুল কুবরা ২ পৃ
হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫
দাইলামী শরীফ ২/১৯১
মাকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং
মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ
ইনছানুল উয়ুন ১/২৯
নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ
আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ
আফদ্বালুল ক্বোরা
তারীখুল খমীস ১/২০
নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড
দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ
কাশফুল খফা ১/৩১১
তারিখ আননূর ১/৮
আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮
আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০ পৃষ্ঠা ।
তাওয়ারীখে মুহম্মদ
আনফাসে রহীমিয়া
মা’ য়ারিফে মুহম্মদী
মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০
আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩
শিহাবুছ ছাকিব ৫০
মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ
রেসালায়ে নূর ২ পৃ
হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ
দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩

৩)হাদীছ শরীফ-এ এসেছে- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আল্লাহ পাক প্রথমে কলম সৃষ্টি করেছেন একখানা নূর মুবারক হতে। (ইবনে আবি হাতিম ১/৪৯, আহমদ ৫/২১৭১, আত্তায়ালিসি ৫৭৭, তিরমিযী ২/২৩, দায়লামী ২)

0 Comments: