হযরত আদম আলাইহিস সালাম ই একমাত্র মাটির তৈরি ৷

Image result for মাটিহযরত আদম আলাইহিস সালাম ই একমাত্র মাটির তৈরি ৷

হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীত অন্য কেউ সরাসরি
মাটি থেকে তৈরী নয়
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এর কোথাও
একথা উল্লেখ করেননি যে, “সমস্ত মানুষ মাটির তৈরী” বরং
বলা হয়েছে- “মানুষ মাটির তৈরী।” আর পবিত্র কুরআন শরীফ-
এর যেসব আয়াত শরীফ-এ বলা হয়েছে যে, বাশার, ইনসান
বা মানুষ মাটির তৈরী সেসব আয়াত শরীফ দ্বারা মূলত হযরত
আদম আলাইহিস সালাম উনার কথাই বলা হয়েছে। উল্লিখিত আয়াত
শরীফসমূহের ব্যাখ্যায় অনুসরণীয় মুফাসসিরীনে কিরাম
রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এ মতই পেশ করেছেন। নিম্নে
উল্লিখিত আয়াত শরীফসমূহ ও তার ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো-
(১)
ﺍِﻥَّ ﻣَﺜَﻞَ ﻋِﻴﺴَﻰ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻛَﻤَﺜَﻞِ ﺁﺩَﻡَ ﺧَﻠَﻘَﻪُ ﻣِﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛِﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﻛُﻦ
ﻓَﻴَﻜُﻮﻥُ
অর্থ : “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট হযরত ঈসা আলাইহিস
সালাম উনার দৃষ্টান্ত হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনারই ন্যায়, তিনি
হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি
করেছেন। অতঃপর বলেছেন, হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে
হয়ে গেলেন।” (সূরা আলে ইমরান : ৫৯)
বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
উনার নির্ভরযোগ্য ও প্রখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ “তাফসীরে
কুরতুবী”-এর ২য় খণ্ডের ১০২ পৃষ্ঠায় লিখেন,
ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ( ﺍِﻥَّ ﻣَﺜَﻞَ ﻋِﻴﺴَﻰ ..…………) ﺩﻟﻴﻞ ﻋﻠﻰ ﺻﺤﺔ ﺍﻟﻘﻴﺎﺱ –
ﻭﺍﻟﺘﺸﺒﻴﻪ ﻭﺍﻗﻊ ﻋﻠﻰ ﺍﻥ ﻋﻴﺲ ﺧﻠﻖ ﻣﻦ ﻏﻴﺮﺍﺏ ﻛﺎﺩﻡ ﻻ ﻋﻠﻰ ﺍﻧﻪ
ﺧﻠﻖ ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ ……………… ﻓﺎﻥ ﺍﺩﻡ ﺧﻠﻖ ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ ﻭﻟﻢ ﻳﺨﻠﻖ ﻋﻴﺲ
ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ ﻓﻜﺎﻥ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ ﺍﻧﻬﺎ ﺧﻠﻘﻬﻤﺎ ﻣﻦ ﻏﻴﺮﺃﺏ ………….
অর্থ : “উক্ত আয়াত শরীফখানা ক্বিয়াস সহীহ্ হওয়ার দলীল।
আর উক্ত আয়াত শরীফে যে তাশবীহ বা সাদৃশ্যতা বর্ণনা
করা হয়েছে তা এই যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি হযরত
আদম আলাইহিস সালাম উনার মতই পিতা ছাড়া তৈরী হয়েছেন।
একথা বুঝানো হয় নাই যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি হযরত
আদম আলাইহিস সালাম উনার মতই মাটির তৈরী। ……… হযরত আদম
আলাইহিস সালাম তিনি মাটির তৈরী আর হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম
তিনি মাটির তৈরী নন এদিক থেকে উভয়ের মাঝে যদিও
পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু পিতা ছাড়া তৈরী হওয়ার দিক থেকে
উভয়ের মধ্যেই সাদৃশ্যতা বা মিল রয়েছে। ………..”
ইমামুল মুহাদ্দিছীন, আল্লামা ফখরুদ্দীন রাজী রহমতুল্লাহি
আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ তাফসীরগ্রন্থ
“তাফসীরে কবীর”-এর ৮ম খণ্ডের ৭৯-৮১ পৃষ্ঠায় লিখেন,
ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ( ﺍِﻥَّ ﻣَﺜَﻞَ ﻋِﻴﺴَﻰ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻛَﻤَﺜَﻞِ ﺁﺩَﻡَ ﺧَﻠَﻘَﻪُ ﻣِﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ)
……………………… ﺍﺫﺍ ﺟﺎﺯ ﺍﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺍﺩﻡ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﺮﺍﺏ ﻓﻠﻢ
ﻻﻳﺠﻮﺯ ﺍﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﻋﻴﺲ ﻣﻦ ﺩﻡ ﻣﺮﻳﻢ؟ ( ﻣَﺜَﻞَ ﻋِﻴﺴَﻰ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻛَﻤَﺜَﻞِ
ﺁﺩَﻡَ) ﺍﻯ ﺻﻔﺘﻪ ﻛﺼﻔﺔ ﺍﺩﻡ ……………… ( ﺧَﻠَﻘَﻪُ ﻣِﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ)
.……………………… ﺍﻟﻀﻤﻴﺮ ﻓﻰ ﻗﻮﻟﻪ ﺧﻠﻘﻪ ﺭﺍﺟﻊ ﺍﻟﻰ ﺍﺩﻡ .
অর্থ : “(নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট হযরত ঈসা
আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার
সৃষ্টির ন্যায়। মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আদম আলাইহিস সালাম
উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।) ….. হযরত আদম
আলাইহিস সালাম উনাকে যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি মাটি থেকে
সৃষ্টি করতে পারেন তবে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে
কেন হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম উনার রক্ত থেকে সৃষ্টি
করতে পারবেন না? ….. (হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার
মেছাল মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট হযরত আদম আলাইহিস সালাম
উনার ন্যায়) অর্থাৎ হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ছিফত হযরত
আদম আলাইহিস সালাম উনার ছিফতের ন্যায়। …… (উনাকে মাটি
থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে) …. উক্ত আয়াত শরীফ-এ যে
সর্বনাম রয়েছে তা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার দিকে
রুজু হয়েছে বা ফিরেছে। অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম
উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, হযরত ঈসা আলাইহিস
সালাম উনাকে নয়।”
শায়খুল মুফাসসিরীন, ফক্বীহুল উম্মত আল্লামা ছানাউল্লাহ
পানীপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মশহুর তাফসীরগ্রন্থ
“তাফসীরে মাযহারী”-এর ২য় খণ্ডের ৫৯ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﺍِﻥَّ ﻣَﺜَﻞَ ﻋِﻴﺴَﻰ) ﻳﻌﻨﻰ ﺷﺎﻧﻪ ﺍﻟﻐﺮﻳﺐ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﻤﺜﻞ ﺍﺩﻡ ﻛﺸﺎﻧﻪ ﺛﻢ
ﻓﺴﺮﻩ ﻭﺑﻴﻦ ﻭﺟﻪ ﺍﻟﺘﺸﺒﻴﻪ – ﻓﻘﺎﻝ ﺧﻠﻘﻪ ﺍﻯ ﺻﻮﺭ ﻗﺎﻟﺒﻪ ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺩﻡ
ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ .
অর্থ : “নিঃসন্দেহে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার শান মহান
আল্লাহ পাক উনার নিকট হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার শানের
ন্যায়। অতঃপর তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ও সাদৃশ্যতার কারণ বর্ণনা
করেছেন। সুতরাং বলেন, মহান আল্লাহ পাক হযরত আদম
আলাইহিস সালাম উনার ছূরত সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে।”
সূরা আলে ইমরান-এর উক্ত আয়াত শরীফ ও তাফসীর দ্বারা
এটাই ছাবিত হলো যে, শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম
উনাকেই মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। অন্য কাউকে নয়। যদি
হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি ছাড়া অন্য কেউ মাটির সৃষ্টি
হতো তবে উক্ত আয়াত শরীফে “হযরত ঈসা আলাইহিস
সালাম উনার সৃষ্টি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার ন্যায়” একথা
বলার পর “ ﺧَﻠَﻘَﻪُ ﻣِﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ” “আমি উনাকে (হযরত আদম আলাইহিস
সালাম উনাকে) সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে” বলতেননা।
বলতেন- “আমি উনাদের উভয়কে সৃষ্টি করেছি মাটি
থেকে।” সুতরাং এখানে সর্বনাম একবচন এনে এটাই
বুঝিয়েছেন যে, শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনিই
মাটির সৃষ্টি অন্য কোন মানুষ নয়।
একইভাবে হাদীছ শরীফ-এ “তোমরা সকলেই হযরত আদম
আলাইহিস সালাম উনার সন্তান” বলার পরে আবার “আর আদম
আলাইহিস সালাম তিনি মাটি হতে সৃষ্ট” বলার উদ্দেশ্য একই।
অর্থাৎ শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনিই মাটির সৃষ্টি অন্য
কোন মানুষ নয়।
(২)
ﻗَﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﺻَﺎﺣِﺒُﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻳُﺤَﺎﻭِﺭُﻩُ ﺍَﻛَﻔَﺮْﺕَ ﺑِﺎﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻚَ ﻣِﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦ
ﻧُّﻄْﻔَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﺳَﻮَّﺍﻙَ ﺭَﺟُﻠًﺎ
অর্থ : “তার সঙ্গী তাকে কথা প্রসঙ্গে বললো : তুমি
উনাকে অস্বীকার করছো যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন
মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে অতঃপর পূর্ণাঙ্গ
করেছেন তোমাকে মানবাকৃতিতে।” (সূরা কাহাফ : ৩৭)
মুহিয়্যুস্ সুন্নাহ্ আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ
ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি
তিনি উনার প্রখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ “তাফসীরে খাযিন”-এর ৩য়
খণ্ডের ১৯৯ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﺧَﻠَﻘَﻚَ ﻣِﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ) ﺍﻯ ﺧﻠﻖ ﺍﺻﻠﻚ ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ ﻻﻥ ﺧﻠﻖ ﺍﺻﻠﻪ ﺳﺒﺐ
ﻓﻰ ﺧﻠﻘﻪ
অর্থ : “(তোমাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ
তোমার আছল (হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি
থেকে সৃষ্টি করেছেন। কেননা উনার আছলের সৃষ্টি উনার
সৃষ্টির কারণ।”
তাজুল মুফাসসিরীন আল্লামা আবুল ফজল শিহাবুদ্দীন সাইয়্যিদ
মাহমুদ আলুসী বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত
তাফসীরগ্রন্থ “তাফসীরে রুহুল মায়ানী”-এর ৮ম খণ্ডের
২৭৬ পৃষ্ঠায় লিখেন,
ﺧَﻠَﻘَﻚَ ﻣِﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ) ﺍﻯ ﻓﻰ ﺿﻤﻦ ﺧﻠﻖ ﺍﺻﻠﻚ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ
ﺍﻟﺴﻼﻡ
অর্থ : “(তিনি তোমাকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ
তোমার আছল উনাকে আর তিনি হলেন হযরত আদম আলাইহিস
সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।”
প্রখ্যাত মুফাসসির ফক্বীহুল আছর, আল্লামা ছানাউল্লাহ্
পানীপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার প্রসিদ্ধ
তাফসীরগ্রন্থ “তাফসীরে মাযহারী”- এর ৬ষ্ঠ খণ্ডের ৩৫
পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﺧَﻠَﻘَﻚَ ﻣِﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ) ﻻﻧﻪ ﺍﺻﻞ ﻣﺎﺩ ﻧﻚ ﺍﻭﻣﺎﺩﺓ ﺍﺻﻠﻚ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ
অর্থ : “(তিনি তোমাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন)
কেননা তোমার মাদ্দার আছল অথবা তোমার আছলের মাদ্দাহ্
হলেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি।”
শাইখুল মুফাসসিরীন আল্লামা আবুল লাইছ সামারকান্দী রহমতুল্লাহি
আলাইহি তিনি উনার মশহুর তাফসীরগ্রন্থ “তাফসীরে
সামারকান্দী”-এর ২য় খণ্ডের ২৯৯ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻗَﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﺻَﺎﺣِﺒُﻪُ) ﺍﻯ ﺍﺧﺎﻩ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ( ﻭَﻫُﻮَ ﻳُﺤَﺎﻭِﺭُﻩُ) ﺍﻯ ﻳﻜﻠﻤﻪ ﻭﻳﻌﻈﻪ
ﻓﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ (ﺍَﻛَﻔَﺮْﺕَ ﺑِﺎﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻚَ ﻣِﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ) ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ
ﺍﻟﺴﻼﻡ
অর্থ : “(তাকে তার সাথী বলেন) অর্থাৎ তার মুসলমান ভাই
বলেন। তিনি তার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্পর্কে
নছীহত করছিলেন। যিনি তোমাকে অর্থাৎ হযরত আদম
আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।”
তাজুল মুফাসসিরীন আল্লামা ইমাম ইসমাঈল হাক্কী রহমতুল্লাহি
আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ “তাফসীরে রুহুল
বয়ান”-এর ৫ম খণ্ডের ২৪৭ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﺑِﺎﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻚَ ) ﺍﻯ ﻓﻰ ﺿﻤﻦ ﺧﻠﻖ ﺍﺻﻠﻚ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ( ﻣِﻦ
ﺗُﺮَﺍﺏٍ )
অর্থ : “(যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ তোমার
আছল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি
করেছেন।”
সূরা কাহাফ-এর উক্ত আয়াত শরীফ ও তাফসীর দ্বারাও প্রমাণিত
হলো যে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি শুধুমাত্র হযরত আদম
আলাইহিস সালাম উনাকেই মূলত মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। তাই
মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও আয়াত শরীফ-
এ বর্ণিত “ ﺧَﻠَﻘَﻚَ” “তোমাকে সৃষ্টি করেছেন” এ বাক্যের
অর্থ করেছেন- “হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি
করেছেন মাটি থেকে” যেহেতু শুধুমাত্র আদম আলাইহিস
সালাম তিনিই মাটির সৃষ্টি।
(৩)
ﻓَﺎِﻧَّﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦ ﻧُّﻄْﻔَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦْ ﻋَﻠَﻘَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦ ﻣُّﻀْﻐَﺔٍ
ﻣُّﺨَﻠَّﻘَﺔٍ ﻭَﻏَﻴْﺮِ ﻣُﺨَﻠَّﻘَﺔٍ ﻟِّﻨُﺒَﻴِّﻦَ ﻟَﻜُﻢْ
অর্থ : “(হে লোক সকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের
ব্যাপারে সন্দিহান হও, তবে (ভেবে দেখ) আমি
তোমাদেরকে মাটি থেকে, সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য
থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে এরপর পূর্ণাকৃতি বিশিষ্ট ও
অপূর্ণাকৃতি বিশিষ্ট গোস্ত পিন্ড থেকে। তোমাদের কাছে
ব্যক্ত করার জন্যে।” (সূরা হজ্জ : ৫)
ফক্বীহুল আছর, প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা আবুল লাইছ
সামারকান্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ
“তাফসীরে সামারকান্দী”-এর ২য় খণ্ডের ৩৮০ পৃষ্ঠায়
লিখেন,
( ﻓَﺎِﻧَّﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢ ..………… ) ﺍﻯ ﺧﻠﻘﻨﺎ ﺍﺑﺎﻛﻢ ﺍﻟﺬﻯ ﻫﻮ ﺍﺻﻞ ﺍﻟﺒﺸﺮ ﻳﻌﻨﻰ
ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ( ﻣِﻦْ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ) ( ﺛُﻢَّ) ﺧﻠﻘﻨﺎ ﺫﺭﻳﺒﻪ ( ﻣِﻦ ﻧُّﻄْﻔَﺔٍ) ﻭﻫﻮ
ﺍﻟﻤﻨﻰ
অর্থ : “(আর নিঃসন্দেহে আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি
করেছি) অর্থাৎ তোমাদের পিতা যিনি মানবজাতীর মূল অর্থাৎ
হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি।
অতঃপর উনার সন্তানদেরকে “নুতফা” অর্থাৎ বীর্য থেকে
সৃষ্টি করেছি।”
ইমামুল মুফাসসিরীন, আল্লামা ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি
তিনি উনার বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য তাফসীরগ্রন্থ “তাফসীরে
কুরতুবী”-এর ৬ষ্ঠ খণ্ডের ৬ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻓَﺎِﻧَّﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ) ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ
অর্থ : “(নিঃসন্দেহে আমি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি
করেছি) অর্থাৎ আমি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি
থেকে সৃষ্টি করেছি।”
আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে খাযিন”-এর ৩য় খণ্ডের
২৮১ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻓَﺎِﻧَّﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ) ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺑﺎﻛﻢ ﺍﺩﻡ ﺍﻟﺬﻯ ﻫﻮ ﺍﺻﻞ ﺍﻟﺒﺸﺮ ( ﺛُﻢَّ
ﻣِﻦ ﻧُّﻄْﻔَﺔٍ ) ﻳﻌﻨﻰ ﺫﺭﻳﺘﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻨﻰ
অর্থ : “(আমি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি)
অর্থাৎ তোমাদের পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি
থেকে সৃষ্টি করেছি। যিনি মানব জাতির মূল। (অতঃপর নুতফা
থেকে) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার
সন্তানদেরকে বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছি।”
আল্লামা হুসাইন ইবনে মাসউদ আল ফাররা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
উনার “তাফসীরে বাগবী”-এর ৩য় খণ্ডের ২৮১ পৃষ্ঠায়
লিখেন,
( ﻓَﺎِﻧَّﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢ ) ﺍﻯ ﺍﺑﺎﻛﻢ ( ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّ) ﺧﻠﻘﺘﻢ ( ﻣِﻦ ﻧُّﻄْﻔَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦْ
ﻋَﻠَﻘَﺔٍ) ﺍﻯ ﻗﻄﻌﺔ ﺩﻡ ﺟﺎﻣﺪﺓ ( ﺛُﻢَّ ﻣِﻦ ﻣُّﻀْﻐَﺔٍ) ﺍﻯ ﻟﺤﻤﺔ ﺻﻐﻴﺮﺓ ﻗﺪﺭ
ﻣﺎﻳﻤﻀﻊ
অর্থ : “আমি তোমাদেরকে অর্থাৎ তোমাদের পিতা উনাকে
মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তোমাদেরকে সৃষ্টি
করেছি নুতফা ও ছোট গোস্তপিন্ড থেকে।”
সূরা হজ্জ-এ বর্ণিত উপরোক্ত আয়াত শরীফ ও তার ব্যাখ্যা
দ্বারা এটাই ছাবিত হলো যে, কুরআন শরীফে যে বলা
হয়েছে “মানুষ মাটির সৃষ্টি” তা দ্বারা মূলত হযরত আদম আলাইহিস
সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ শুধুমাত্র হযরত আদম
আলাইহিস সালাম তিনিই মাটি থেকে সৃষ্টি। আদম সন্তানগণ মাটি
থেকে সৃষ্টি নয়।
(৪)
ﺍَﻥْ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّ ﺍِﺫَﺍ ﺃَﻧﺘُﻢ ﺑَﺸَﺮٌ ﺗَﻨﺘَﺸِﺮُﻭﻥَ
অর্থ : “উনার নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, তিনি
মাটি থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন তোমরা
মানুষ পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছো।” (সূরা রূম :২০)
আল্লামা আবুল লাইছ সমরকান্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
“তাফসীরে সামারকান্দী”-এর ৩য় খণ্ডের ৯ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﺍَﻥْ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ .……) ﻳﻌﻨﻰ ﺧﻠﻖ ﺍﺩﻡ ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ ﻭﺍﻧﺘﻢ ﻭﻟﺪﻩ –
( ﺛُﻢَّ ﺍِﺫَﺍ ﺃَﻧﺘُﻢ ) ﺫﺭﻳﺘﻪ ﻣﻦ ﺑﻌﺪﻩ (ﺑَﺸَﺮٌ ﺗَﻨﺘَﺸِﺮُﻭﻥَ) ﻳﻌﻨﻰ ﺗﺒﺴﻄﻮﻥ
অর্থ : “(তিনি মাটি থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন)
অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি
মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর তোমরা হলে উনার
সন্তান, উনার পরে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছো।”
আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম
বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে খাযিন”-এর ৩য়
খণ্ডের ৪৩১ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﺍَﻥْ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ) ﺍﻯ ﺧﻠﻖ ﺍﺻﻠﻜﻢ ﻭﻫﻮ ﺍﺩﻡ ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ – ( ﺛُﻢَّ
ﺍِﺫَﺍ ﺃَﻧﺘُﻢ ﺑَﺸَﺮٌ ﺗَﻨﺘَﺸِﺮُﻭﻥَ) ﺍﻯ ﺗﺒﺴﻄﻮﻥ ﻓﻰ ﺍﻻﺭﺽ
অর্থ : “(তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন)
অর্থাৎ তোমাদের ‘আছল’ হযরত আদম আলাইহিস সালাম
উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমরা
যমীনে ছড়িয়ে পড়েছ মানুষ হিসেবে।”
আল্লামা ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে
বাগবী”-এর ৩য় খণ্ডের ৪৩১ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﺍَﻥْ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ) ﺍﻯ ﺍﺑﺎﻛﻢ ( ﻣِﻦْ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّ ﺍِﺫَﺍ ﺃَﻧﺘُﻢ ﺑَﺸَﺮٌ) ﺍﻯ ﺍﺩﻡ ﻭﺫﺭﻳﺘﻪ
(ﺗَﻨﺘَﺸِﺮُﻭﻥَ )
অর্থ : “তিনি তোমাদেরকে অর্থাৎ তোমাদের পিতা (হযরত
আদম আলাইহিস সালাম) উনাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে।
অতঃপর তোমরা অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি ও উনার
সন্তান যমীনে ছড়িয়ে পড়েছে।”
আল্লামা ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে
কুরতুবী”-এর খণ্ডের ১৭ পৃষ্ঠায় লিখেন,
ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ( ﻭَﻣِﻦْ ﺁﻳَﺎﺗِﻪِ ﺍَﻥْ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ) ﺍﻯ ﻣﻦ ﻋﻼﻣﺘﻪ ﺭﺏ
ﺑﻴﺘﻪ ﻭ ﻭﺣﺪﺍ ﻧﻴﺘﻪ ﺍﻥ ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ. ﺍﻯ ﺧﻠﻖ ﺍﺑﺎﻛﻢ ﻣﻨﻪ
অর্থ : “(মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি
নিদর্শন এই যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মাটি
থেকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার
রুবুবিয়্যাত ও অহদানিয়্যাত-এর নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের
পিতা (হযরত আদম আলাইহিস সালাম) উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি
করেছেন।”
আল্লামা ছানাউল্লাহ্ পানীপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
“তাফসীরে মাযহারী”-এর ৭ম খণ্ডের ২২৯ পৃষ্ঠায় লিখেন,
ﺍَﻥْ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﺍﻯ ﺧﻠﻖ ﺍﺻﻠﻜﻢ ﺍﺩﻡ ﻣِﻦْ ﺗُﺮَﺍﺏٍ
অর্থ : “তিনি তোমাদেরকে অর্থাৎ তোমাদের আছল হযরত
আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।”
সূরা রূম-এ বর্ণিত উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীর দ্বারাও
সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, “মানুষ মাটির তৈরী” বলতে হযরত
আদম আলাইহিস সালাম তিনিই উদ্দেশ্য, হযরত মুফাসসিরীনে
কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ব্যাখ্যা দ্বারা এটাই প্রমাণিত
হয়।
(৫)
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦ ﻧُّﻄْﻔَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﺟَﻌَﻠَﻜُﻢْ ﺍَﺯْﻭَﺍﺟًﺎ
অর্থ : “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি
করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে, তারপর
করেছেন তোমাদেরকে যুগল।” (সূরা ফাতির : ১১)
আল্লামা আবু আব্দুল্লাহ্ মুহম্মদ ইবনে আহ্মদ আনছারী
কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে কুরতুবী”-এর
৭ম খণ্ডের ৩৩২ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ) ﻗﺎﻝ ﺳﻌﻴﺪ ﻋﻦ ﻗﺘﺎﺩﺓ ﻗﺎﻝ- ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ
ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺍﻟﺘﻘﺪﻳﺮ ﻋﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﺧﻠﻖ ﺍﺻﻠﻜﻢ ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ
অর্থ : “(মহান আল্লাহ্ পাক তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে
সৃষ্টি করেছেন) হযরত সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত
ক্বাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করে
বলেন, অর্থাৎ (মহান আল্লাহ পাক তিনি) হযরত আদম আলাইহিস
সালাম উনাকে (মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন)। আয়াত
শরীফে ﺍﺻﻞ “আছল” শব্দ উহ্য রয়েছে।”
আল্লামা আবুল লাইছ সামারকান্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
“তাফসীরে সামারকান্দী”-এর ৩য় খণ্ডের ৮২ পৃষ্ঠায়
লিখেন,
( ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ) ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﻫﻮ ﺍﺻﻞ ﺍﻟﺨﻠﻖ
( ﺛُﻢَّ ﻣِﻦ ﻧُّﻄْﻔَﺔٍ ) ﻳﻌﻨﻰ ﺧﻠﻘﻜﻢ ﻣﻦ ﻧﻄﻔﺔ ( ﺛُﻢَّ ﺟَﻌَﻠَﻜُﻢْ ﺍَﺯْﻭَﺍﺟًﺎ ) ﻳﻌﻨﻰ
ﺍﺻﻨﺎﻓﺎ ﺫﻛﺮﺍ ﻭﺍﻧﺜﻰ
অর্থ : “(মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে
সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে
মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর তিনিই হলেন মানব সৃষ্টির
মূল। অতঃপর তোমাদেরকে (হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার
সন্তানদেরকে) নুতফা থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর
তোমাদেরকে পুরুষ-মহিলায় বিভক্ত করেছেন।”
আল্লামা ছহিবে খাযিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে
খাযিন”-এর ৩য় খণ্ডের ৪৯৬ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ) ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ( ﺛُﻢَّ ﻣِﻦ ﻧُّﻄْﻔَﺔٍ )
ﻳﻌﻨﻰ ﺫﺭﻳﺘﻪ
অর্থ : (মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে
সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আদম
আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর
হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার সন্তানদেরকে নুতফা
থেকে সৃষ্টি করেছেন।”
আল্লামা বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি “তাফসীরে বাগবী”-এর
৩য় খণ্ডের ৪৯৬ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ) ﺍﻯ ﺍﺑﺎﻛﻢ ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে অর্থাৎ
তোমাদের পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি
থেকে সৃষ্টি করেছেন।
“তাফসীরে কাদেরী”-এর ২য় খণ্ডের ২৭৮ পৃষ্ঠায়
উল্লেখ আছে,
( ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ) ﺍﻭﺭ ﺍﻟﻠﮧ ﻧﮯ ﭘﯿﺪﺍ ﮐﯿﺎ ﺗﻢ ﺗﻢ ﮐﻮﯾﻌﻨﯽ ﺗﻤﮭﺎﺭﮮ ﺑﺎﭖ ﺍﺩﻡ
ﻋﻠﯿﮧ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﮐﻮ ( ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ) ﻣﭩﯽ ﺳﮯ -
অর্থ : “….. আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে অর্থাৎ
তোমাদের পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি
থেকে সৃষ্টি করেছেন।”
সূরা ফাতির-এ উল্লিখিত উক্ত আয়াত শরীফ ও তার তাফসীর বা
ব্যাখ্যা দ্বারাও বুঝা গেল যে, হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনিই
শুধুমাত্র মাটি থেকে সৃষ্টি আর উনার সন্তানগণ নুতফা থেকে
কুদরতীভাবে সৃষ্টি হয়েছেন। তাই মুফাসসিরীনে কিরাম
রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা “ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢْ” শব্দের ব্যাখ্যায় “ﺍَﺑِﺎﻛُﻢْ ”
অর্থাৎ তোমাদের পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে
সৃষ্টি করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
(৬)
ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦ ﻧُّﻄْﻔَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦْ ﻋَﻠَﻘَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻳُﺨْﺮِﺟُﻜُﻢْ
ﻃِﻔْﻞً
অর্থ : “ঐ মহান আল্লাহ পাক যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি
করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর নুতফা (বীর্য) থেকে,
অতঃপর জমাট রক্ত থেকে, অতঃপর তোমাদেরকে বের
করেন শিশুরূপে।” (সূরা মু’মিন : ৬৭)
আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে
রুহুল বয়ান”-এর ৮ম খণ্ডের ২০৭ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ) ﺍﻟﻤﻌﻨﻰ ﺧﻠﻖ ﺍﺻﻠﻜﻢ ﺣﻀﺮﺕ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ
ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ
অর্থ : “(ঐ মহান আল্লাহ পাক যিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে
সৃষ্টি করেছেন) ….এ আয়াত শরীফের সঠিক অর্থ হলো
মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আছল হযরত আদম আলাইহিস
সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।”
আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম
বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে খাযিন”-এর ৪র্থ
খণ্ডের ৭৭ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ) ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺻﻠﻜﻢ ﺣﻀﺮﺕ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ
অর্থ : “(যিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন)
অর্থাৎ তোমাদের ‘আছল’ হযরত আদম আলাইহিস সালাম
উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।”
“তাফসীরে কাদেরী”-এর ২য় খণ্ডের ৩৫৪ পৃষ্ঠায়
উল্লেখ আছে,
( ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ) ﻭﮦ ﮬﮯ ﺟﺴﮯ “ ﺧﻠﻘﮑﻢ” ﭘﯿﺪﺍ ﮐﯿﺎ ﺗﻤﮭﺎﺭﮮ
ﺩﺍﺩﺍ ﺍﺩﻡ ﮐﻮ ﻣﻦ ﺗﺮﺍﺏ “ ﺧﺎﮎ ﺳﮯ ”
অর্থ : “……… ঐ মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের দাদা হযরত
আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।”
সূরা মু’মিন-এর উপরোক্ত আয়াত শরীফ ও উনার ব্যাখ্যা দ্বারাও
প্রমাণিত হলো যে, আদি পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম
উনাকেই শুধুমাত্র সরাসরি মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
অন্য কাউকে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়নি।
(৭)
ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﻃِﻴﻦٍ ﺛُﻢَّ ﻗَﻀَﻰ ﺃَﺟَﻼً ﻭَﺃَﺟَﻞٌ ﻣُّﺴﻤًّﻰ ﻋِﻨﺪَﻩُ ﺛُﻢَّ
ﺃَﻧﺘُﻢْ ﺗَﻤْﺘَﺮُﻭﻥَ
অর্থ : “সেই মহান আল্লাহ পাক যিনি তোমাদেরকে মাটির
থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর নির্দিষ্টকাল নির্ধারণ
করেছেন। আর এক নির্দিষ্টকাল মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট
রয়েছে, তথাপি তোমরা সন্দেহ কর।” (সূরা আনয়াম : ২)
আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম
বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে খাযিন”-এর ২য়
খণ্ডের ৩য় পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﻃِﻴﻦٍ) ﻳﻌﻨﻰ ﺍﻧﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺧﻠﻖ ﺣﻀﺮﺕ ﺍﺩﻡ ﻣﻦ
ﻃﻴﻦ ﻭﺍﻧﻤﺎ ﺧﺎﻃﺐ ﺫﺭﻳﺘﻪ ﺑﺬﺍﻟﻚ ﻻﻧﻪ ﺍﺻﻠﻬﻢ ﻭﻫﻢ ﻣﻦ ﻧﺴﻠﻪ
অর্থ : “…….. (মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মাটি
থেকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত
আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।
আর এ কারণেই উনার সন্তানদেরকে মাটির সৃষ্টি বলা
হয়েছে, কেননা হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন
তাদের আছল, আর তারা উনার ‘আছল’ থেকে সৃষ্টি
হয়েছে।”
আল্লামা ছানাউল্লাহ পানিপথি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে
মাযহারী”তে লিখেন,
( ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﻃِﻴﻦٍ ) ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺑﺘﺪﺃ ﺧﻠﻘﻜﻢ ﻣﻨﻪ ﺣﻴﺚ ﺧﻠﻖ ﻣﻨﻪ
ﺍﺻﻠﻜﻢ ﺣﻀﺮﺕ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺍﻭ ﺍﻟﻤﻌﻨﻰ ﺧﻠﻖ ﺍﺑﺎﻛﻢ ﺍﺩﻡ ﺑﺤﺬﻑ
ﺍﻟﻤﻀﺎﻑ
অর্থ : “(মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে
সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ মাটি থেকে তোমাদের সৃষ্টির সূচনা
করেছেন তোমাদের আছল হযরত আদম আলাইহিস সালাম
উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করার মাধ্যমে। অথবা উক্ত আয়াত
শরীফের অর্থ হলো তোমাদের পিতা হযরত আদম
আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। এখানে
‘মোজাফ’ উহ্য রয়েছে।”
সূরা আনয়াম-এর উপরোক্ত আয়াত শরীফ ও তার তাফসীর বা
ব্যাখ্যাও প্রমাণ করে যে, আদি পিতা হযরত আদম আলাইহিস
সালাম তিনি ব্যতীত অন্য কোন মানুষই মাটির সৃষ্টি নয়।
(৮)
ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎ ﺍﻟْﺈِﻧﺴَﺎﻥَ ﻣِﻦ ﺳُﻠَﺎﻟَﺔٍ ﻣِّﻦ ﻃِﻴﻦٍ
অর্থ : “নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি
করেছি।” (সূরা মু’মিনুন : ১২)
আল্লামা আবুল লাইছ সমরকন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
“তাফসীরে সামারকান্দী”-এর ২য় খণ্ডের ৪০৯ পৃষ্ঠায়
লিখেন,
( ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎ ﺍﻟْﺈِﻧﺴَﺎﻥَ ﻣِﻦ ﺳُﻠَﺎﻟَﺔٍ ﻣِّﻦ ﻃِﻴﻦ) ﺣﻀﺮﺕ ﻳﻌﻨﻰ ﺣﻀﺮﺕ
ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻜﺒﻰ ﻭﻣﻘﺎﺗﻞ
অর্থ : “(নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি
করেছি) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে (মাটির সারাংশ
থেকে সৃষ্টি করেছি)। ক্বালবী ও মাকাতিল রহমতুল্লাহি
আলাইহিমা উনাদের অভিমত এটাই।”
আল্লামা ক্বাজী ছানাউল্লাহ্ পানীপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
“তাফসীরে মাযহারী”-এর ৬ষ্ঠ খণ্ডের ৩৬৭ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎ) ﺍﻟﺠﻨﺲ ( ﺍﻟْﺈِﻧﺴَﺎﻥَ ) ﺍﻭ ﺣﻀﺮﺕ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ( ﺳُﻠَﺎﻟَﺔٍ
ﻣِّﻦ ﻃِﻴﻦٍ )
অর্থ : “নিঃসন্দেহে আমি মানুষের জিন্স অথবা হযরত আদম
আলাইহিস সালাম উনাকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।”
আল্লামা আবু আব্দুল্লাহ্ মুহম্মদ ইবনে আহমদ আনছারী আল
কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে কুরতুবী”-এর
৬ষ্ঠ খণ্ডের ১০৯ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎ ﺍﻟْﺈِﻧﺴَﺎﻥَ) ﺍﻻﻧﺴﺎﻥ ﻫﻨﺎ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻗﺎﻟﻪ
ﻗﺘﺎﺩﺓ ﻭﻏﻴﺮﻩ
অর্থ : “(নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি
করেছি) এখানে “ ﺍِﻧْﺴَﺎﻥَ” ‘মানুষ’ দ্বারা হযরত আদম আলাইহিস
সালাম উনাকে বুঝানো হয়েছে। হযরত ক্বাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি এবং অন্যান্য মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি
আলাইহিম উনারা এরূপই বলেছেন।”
আল্লামা ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাফসীরে
বাগবী”-এর ৩য় খণ্ডের ৩০১ পৃষ্ঠায় লিখেন,
( ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎ ﺍﻟْﺈِﻧﺴَﺎﻥَ ) ﺍﻯ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ
অর্থ : “(নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি) অর্থাৎ
হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করেছি (মাটির সারাংশ
থেকে)।”



0 Comments: