সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (১০)











খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (১০)

যেটা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনিতো ওলীয়ে মাদারযাদ। মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাদারজাদ ওলীআল্লাহ হিসাবে বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন। উনাকে বলা হলো, আপনি এতবড় মাক্বাম কি করে হাছিল করলেন?  তিনি বললেন, আমার শায়েখ হযরত বাকীবিল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতি আমি অত্যন্ত উচ্চতর হুসনে যন, বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করতাম। আমি উনার প্রতি ধারণা করতাম, আমার শায়েখ ব্যতীত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করতে পারিনি। তিনি উনার নায়িব বা ক্বায়িম-মাক্বাম, উনার পরেই উনার মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ! এ কারণে উনার কাছ থেকে আমি সমস্ত ফয়েজ তায়াজ্জুহ, নিয়ামত মুবারকগুলো হাছিল করেছি। সুবহানাল্লাহ! প্রাথমিকভাবে প্রত্যেকে হুসনে যন পোষন করুক, এরপর আমলগুলো আস্তে আস্তে শুদ্ধ করুক। একসময় সে সমস্ত নিয়ামতগুলো ধারণ করতে পারবে। সুবহানাল্লাহ! এখন মূল নছীহত মুবারকের বিষয়টি হচ্ছে যার যার ছবক,  পাছ-আনফাছ, ইশা ফজর বাদ দুরূদ শরীফ এটা ঠিক রাখতে হবে। পাছ-আনফাছ যখন জারি হয়ে যাবে, তখন সে ছবকের কিতাব নিয়ে লতিফার ছবকগুলো করতে থাকবে একটা একটা করে। অবশ্যই তাকমীলে পৌঁছার কোশেশ করতে হবে। বাইয়াত গ্রহণ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকমীলে পৌঁছা। একটা লোক স্কুল কলেজ মাদরাসা নানান প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়, যে প্রতিষ্ঠানেই সে ভর্তি হোক তার উদ্দেশ্য থাকে সে প্রতিষ্ঠানের লেখা-পড়া শেষ করা। সে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে। যদি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে না পারে তাহলে তার লেখা-পড়া শেষ হলো না। ঠিক বাইয়াত গ্রহণের উদ্দেশ্য হচ্ছে চুড়ান্ত পর্যায় পৌঁছা। তার ছবকগুলো শেষ করা, তাকমীলে পৌঁছা। সেজন্য তাকে কোশেশ করতে হবে। 
 প্রাথমিকভাবে মিথ্যা বলা কবীরা গোনাহ। এই মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই একটি নছীহত মুবারক আপাতত। কারণ মিথ্যা হচ্ছে সমস্ত গোনাহের মূল।



اِنَّمَا الَكِذْبُ الذُّنُوْبِ اُمٌّ

যে মিথ্যা হচ্ছে, সমস্ত গোনাহের মূল।” কাজেই মিথ্যা বলা ছেড়ে দিতে হবে। এখন মিথ্যা কথা ছেড়ে দিয়ে, সত্য বলার অভ্যাস করতে হবে। সে যদি মিথ্যা কথা ছেড়ে দেয় তাহলে সে অনেক গুনাহ থেকে বেঁচে গেছে। তখন তার পক্ষে মুত্তক্বী হওয়া সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ! বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সত্য কথা বলার কারণে ডাকাতগুলো তাওবাহ করে হিদায়েত প্রাপ্ত হয়ে গেছে।
 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে -



اَلصِّدْقُ يُنْجِيْ وَالْكِذْبُ يُهْلِكْ

সত্য মানুষকে জীবন দান করে আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে।”

0 Comments: