সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৪)












খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৪)

 সেজন্য বলা হয়েছে, কেউ যদি শরীফ হয় তাহলে তার দ্বারা মানুষ ফায়দা লাভ করে থাকেন। আর কেউ যদি শরীফ নয়, অভদ্র হয় তাহলে তার দ্বারা মানুষ ফায়দা লাভ করতে পারে না।
 এজন্য ফার্সীতে বলা হয় -



کمزاد      اگر بزرگ شواد  زنج دہد استادرا

 “যদি কোন কমজাত বা অনুপযুক্ত লোক সে যখন কোন উপরের স্থরে উঠে যায়, উপরের মাক্বামে উঠে যায় তখন সে সম্মানিত লোকদের মানহানি করে।” নাউযুবিল্লাহ! কিন্তু একটা শরীফ লোক যখন উপরে  থাকুক বা নিচে থাকুক সে সবসময় মানুষকে ফায়দা দেয়। সুবহানাল্লাহ! কাজেই প্রত্যেক মুসলমানদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, তাকে শরীফ হওয়া।
 অতপর দু’নম্বর হচ্ছে, নেককার হওয়া। বদকার লোকের ছোহবতে মানুষ বদকার হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার ছেলে কেনান, বদকারদের সাথে থাকায় সে বদকার ও গোমরাহ হয়ে যায়।

پسر نوح بابداں بنشست

خندان نبوتش گم شد


জলীলুল ক্বদর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ আরাকজন রসূল হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু সেই সন্তানটা কাফির মুশরিকদের সাথে চলার কারণে  (কেনানা) সে নুবুওওয়াতী খানদান হারিয়ে, ঈমান হারিয়ে সে কাফির হয়ে মারা গেল।” নাউযুবিল্লাহ!
 কাজেই যারা বদকারদের সাথে চলে তারা বদকার হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! এজন্য বলা হয়, নেক কাজ থেকে নেককার উনাদের ছোহবত উত্তম। সুবহানাল্লাহ! আর বদকাজ থেকে বদকারদের ছোহবতটা আরো নিকৃষ্ট। নাউযূবিল্লাহ! এজন্য যেমন শরীফ হতে হবে, সাথে সাথে তেমন নেককারও হতে হবে। সুবহানাল্লাহ!
 হাকীম, আলিম কখনও জাহিল থেকে ফায়দা লাভ করতে পারেন না। এজন্য প্রত্যেকের আলিম হওয়া দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর হক্বীক্বী আলিম উনারা ওলীআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন -



إِنَّمَا يَخْشَى اللَّـهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ

 “নিশ্চয়ই যারা আলিম উনারাই যিনি খ¦লিক্ব, যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক উনাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ!
 তাহলে যার অন্তরে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ভীতি, ভয় থাকবে সে অবশ্যই সব অবস্থাতেই, ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করবে। সুবহানাল্লাহ! আর সে ব্যক্তি মুত্তাক্বী।


0 Comments: