সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৯)












খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৯)

এজন্য বলা হয়, একটা লোক ওলীআল্লাহ উনার ছোহবত মুবারকে থেকে সে ওলীআল্লাহ হয়। আবার উনার ছোহবতে থেকে গোমরাহও হয়। যেমন আবূ জাহিল, আবূ লাহাব যেমন গোমরাহ হয়ে গেছে, কুফরী শিরকী ধারণ করার কারণে। নাউযুবিল্লাহ! আবার সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি চব্বিশ ঘণ্টা যতটুকু সম্ভব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতেন। আবার ঠিক উবাই বিন সুলূলও। তবে পার্থক্য হচ্ছে এতটুকু, হযরত আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ফিকির করতেন, কি করে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুশি করা যায়। সুবহানাল্লাহ! আর উবাই বিন সুলূলের আক্বীদাহ ছিলো, কি করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়া যায়। নাউযুবিল্লাহ! শুধু এতটুকু পার্থক্য। সে কিন্তু ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতো। সে কিন্তু ধারণ করতে পারেনি। বিষয়গুলো খুব ফিকির করতে হবে। নছীহত মুবারক শুনে তা ফিকির করে ধারণের কোশেশ করতে হবে। 
আমভাবে হচ্ছে, প্রত্যেককে হুসনে যন রাখতে হবে। একটা লোক এসেই সে ওলীআল্লাহ হতেও পারে, নাও হতে পারে। কারো এক বছর, দশ বছর, বিশ বছরও লাগতে পারে। যেমন হযরত বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহবত মুবারকে হযরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গেলেন। মুখতালিফ বর্ণনা, তিনি দশ মাস থেকে মূল নিয়ামতটা নিয়ে চলে গেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি যখন চলে গেলেন তখন হযরত বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবারে অনেক মুরীদ ছিলো, বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ বছর, পঞ্চাশ বছর ধরে ছিলেন। উনারা বললেন, হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন হযরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আসলেন আর সমস্ত নিয়ামত নিয়ে চলে গেলেন। আর আমরা এতো বছর ধরে আছি আমরা কি করবো। আসলে ঐ সমস্ত লোক হিদায়েতপ্রাপ্ত, গোমরাহ হন নাই। উনার যে মূল নিয়ামতটা সেটা উনারা হাছিল করতে পারেন নি। তখন তিনি বললেন, যে দেখ, আমি কি করবো, হযরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হচ্ছেন শুকনা লাকড়ী, আগুন দেয়ার সাথে সাথে জ্বলে গেছে। আর তোমরা ভিজা লাকড়ী, তোমাদেরকে শুকাতে হবে এরপর আগুন দিতে হবে। এজন্য সময়ের দরকার। এসব বিষয় খুবই সুক্ষ ও ফিকিরের বিষয়। প্রথমিকভাবে হুসনে যন পোষণ করতে হবে। হুসনে যনটা পোষণ না করলে কিন্তু সে কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে না। প্রথমে কেউ ইখলাছ নিয়ে আসে না বরং হুসনে যন নিয়ে আসে। এই হুসনে যনটা তাকে বজায় রাখতে হবে।

0 Comments: