সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৮)












খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৮)


 এ কারণে আমি বলেছিলাম, একটা লোক পবিত্র হজ্জ করে এসে নেককারও হয় আবার বদকারও হয়। ঠিক একটা লোক ওলীআল্লাহর উনার ছোহবত মুবারকে থেকে ওলীআল্লাহ হয়, আবার গোমরাহও হয়। নাউযুবিল্লাহ! যখন সে বিষয়গুলো ধারণ করতে পারে তখন সে ওলীআল্লাহ হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! আর যখন সে ধারণ করতে পারেনা  বিপরীত হয় তখন সে গোমরাহ হয়। নাউযুবিল্লাহ!
 হযরত ফুজায়িল বিন আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একজন বিশিষ্ট খলীফা বা মুরীদ সে লোকটা মৃত্যুর সময় কুফরী করে মারা গেছে। নাউযুবিল্লাহ! কেউ কেউ বলেন, সে খিলাফত লাভের উপক্রম হয়েছিলো। খানকা শরীফের কাছে তার বাড়ী ছিলো। কিন্তু মৃত্যুর সময় সে এলোমেলো বক্তব্য পেশ করতে লাগলো, সে কুফরী বক্তব্য দিতে লাগলো। নাউযুবিল্লাহ!  তখন উনার কিছু মুরীদ এসে বলল, হুযূর! তারতো এই অবস্থা। দয়া করে একটু দেখে আসুন। তিনি গেলেন, তাকে তালক্বীন দিলেন, সে অস্বীকার করলো যে, পবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করবে না। নাউযুবিল্লাহ!  তিনি তায়াজ্জুব হয়ে গেলেন, চুপ হয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর কুফরী করতে করতে সে লোকটা মারা গেল। নাউযুবিল্লাহ! তিনি চিন্তিত হলেন যে, লোকটাতো ভালোই ছিল। কথা-বার্তা ভালো বলতো। কিন্তু কেন কুফরী করে মারা গেল। তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, সে জাহান্নামের আগুনে দাউদাউ করে জ্বলতেছে। নাউযুবিল্লাহ! তিনি বললেন, হে ব্যক্তি! তোমার এ অবস্থা হলো কি করে? তুমিতো ভালোই বলতে কথা-বার্তা, তোমার যিকির ফিকির ছিলো, ছবক ছিলো, তোমার এ অবস্থা কেন? তখন সে বলল, হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন। যে কি হয়েছে? আপনার দরবার শরীফে আসলে আপনারই ছানা-ছিফত মুবারকই করতাম কিন্তু যখন বের হয়ে যেতাম তখন আপনার বিরুদ্ধে কথা-বার্র্তা বলতাম। নাউযুবিল্লাহ! একজন ওলীআল্লাহ উনার বিরুদ্ধে বললে যদি এতবড় কুফরী হয়, জাহান্নামী হতে হয়, তা আমার জানা ছিল না। সেটা সে বুঝতে পারেনি।
মহাসম্মনিত ও মহাপবিত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন -



مَنْ عَادَى ليَ وَلِيّاً، فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالحَرْبِ

 “যে আমার ওলীর সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করি।” নাউযুবিল্লাহ!  সে লোকটা কিন্তু কুফরী করে মারা গেল এবং সে জাহান্নামী হয়ে গেল। নাউযুবিল্লাহ! এখন ইবরত ও নছীহত মুবারক ধারণ করার জন্য যিকির আযকার করা এবং ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করা। সুবহানাল্লাহ! ছোহবত মুবারক থেকে ফয়েজ তায়াজ্জুহ হাছিল করতে হবে। ফয়েজ তায়াজ্জুহ লাভ করে কিন্তু সে এটা ধারণ করবে। আর ফয়েজ তায়াজ্জুহ হাছিল করতে না পারলে, সে ধারণ করতে পারবে না। বিপরীত যখন হবে আস্তে আস্তে সে গোমরাহ হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ!

0 Comments: