সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৭)











খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৭)



 যেটা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে -



اللَّـهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ

 “মহান আল্লাহ পাক তিনি মু’মিনদের ওলী বা অভিভাবক, তিনি মু’মিনদেরকে গোমরাহী থেকে নূর মুবারক উনার দিকে নিয়ে যান।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ গোমরাহী থেকে মাহসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে নিয়ে যান। সুবহানাল্লাহ! সমস্ত সৃষ্টির মূল এবং শেষ গন্তব্যস্থল হচ্ছেন মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত সুন্নত মুবারক হচ্ছে, সর্বশেষ ও সর্বশেষ আমল মুবারক। এর পরে কোন আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! যে কোন একটা কিছু করলে সম্মানিত সুন্নত মুবারক অনুযায়ী করতে হবে। এরপর কোন আমলের স্তর নেই। সুবহানাল্লাহ! মানুষ রিয়াজত মাশাক্কাত করে, উরূজ নুযূল করে সে পৌঁছবে যেখানে তার শেষ স্তর হচ্ছেন, শেষ মাক্বাম হচ্ছেন মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
 যিনি খ¦লিক্ব মালিক্ব রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন - 



 وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ ۗ

আর যারা কাফির তাদের বন্ধু হচ্ছে শয়তান। নাউযুবিল্লাহ! সেই শয়তানটা তাকে মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে সরিয়ে গোমরাহীর দিকে নিয়ে যেতে চায়।” নাউযুবিল্লাহ!
 কাজেই যদি মুত্তাক্বী হয় তাহলে যিনি খ¦লিক্ব, যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে নিছবত মুবারক পয়দা করতে হবে। আর উনার সাথে নিছবত মুবারক পয়দা হলে তিনি উনার বান্দাকে নিয়ে উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে পৌঁছিয়ে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! এজন্য সমস্ত মানুষের জন্য ফরয আইন ইলমে তাছাওউফ অর্জন করা। আর ইলমে তাছাওউফ অর্জন করার জন্য একজন কামিল শায়েখ উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা। ছবক নিয়ে যিকির ফিকির করবে। সাধারণভাবে মানুষকে যত নছীহত করা হোক না কেন সে তা ধারণ করতে পারে না। কারণ তার সেটা ধারণ করার যোগ্যতা নাই। একটা পাত্রে যদি পানি দেয়া হয়, আর পাত্রটা যদি ছিদ্র থাকে তাহলে সেখানে পানি কিন্তু বেশিক্ষণ থাকবে না। কিছুক্ষণ পর সে পাত্রটা খালি হয়ে যাবে, সে ধারণ করতে পারবে না। এরকমই পবিত্র কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করেছেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দিয়েছেন। মানুষ এটা পড়ে কিন্তু ইবরত হাছিল করতে পারে না, যে তার কি হাক্বীক্বত রয়ে গেছে। পবিত্র কুরআন শরীফ পড়লো পবিত্র হাদীছ শরীফ পড়লো কিন্তু সে তার আমল শুদ্ধ করতে পারলো না, তার কি কারণ? তার আমল শুদ্ধ করার কথা ছিলো। আসলে সে ধারণ করতে পারেনি।

0 Comments: