হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ৯৪-১০১)

হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ৯৪-১০১)


সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম
উনার মুবারক পরিচিতি বেমেছাল মর্যাদা ও পবিত্রতা
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন,
قل لااسئلكم عليه اجرا الا المودة فى القربى
অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মতদেরকে বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইত উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (সূরাতুশ শূরা : আয়াত শরীফ ২৩)
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র নাম মুবারক ছিলো হযরত ‘আব্দুল্লাহ’ আলাইহিস সালাম। মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সবচেয়ে প্রিয় নাম মুবারক হচ্ছে আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান নাম মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সর্বাধিক প্রিয় ও পছন্দনীয়।” সুবহানাল্লাহ।” (মুসলিম শরীফ)
হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পিতা ছিলেন হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম। উনার মাতা হচ্ছেন, হযরত ফাতিমা বিনতে আমর আলাইহাস সালাম। হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ছানা-ছিফত, ফযীলত বেমেছাল। কেননা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার জিসিম মুবারক-এ মাস, মাস, বছর, বছর অবস্থান করেছেন। যা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মোট ১৩ ভাই ছিলেন। হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন ভাইগণ উনাদের মধ্যে বয়সের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট। হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ১৩ ভাই। উনারা হলেন-
হারিছ: তিনি পিতার বড় ছেলে ছিলেন। তিনি যমযম কূপ খননের সময় পিতার সহযোগিতা করেছেন। তিনি ইসলামের যুগ পাননি।
আবু ত্বালিব: যিনি আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার প্রায় ৪২ বছর খিদমত করেছেন। তিনি সুপারিশ পেয়ে জান্নাতী হবেন। (মুসলিম শরীফ)
যাবীর: তার কুনিয়াত আবুল হারিছ। তিনিও যমযম কূপ খননের কাজে শরীক ছিলেন।
আব্দুল কা’বাহ: তিনি ছোটবেলাতেই লিখতে শিখেছিলেন।
আম্মুর রসূল সাইয়্যিদুশ শুহাদা সাইয়্যিদুনা হযরত হামযাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু: তিনি জলীলুল ক্বদর ছাহাবী ছিলেন। তিনি উহুদ জিহাদে শাহাদাত বরণ করেন।
আম্মুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু: তিনি জলীলুল ক্বদর ছাহাবী ছিলেন।
মুক্বাব্বিম: তার কুনিয়াত আবূ বকর।
হাজ্ল: কেউ অন্য ক্বিরায়াতে জাহ্ল পড়েছেন। তার নাম মুগীরাহ। তাকে ‘খালখাল’ও বলা হতো।
দ্বিরার: তিনি কুরাইশদের মধ্যে সুদর্শন ও দানশীল যুবক ছিলেন।
কুছাম: তিনি নাবালিগ অবস্থায় ইন্তিকাল করেন।
আবু লাহাব: তার অপর নাম আব্দুল উযযা। তার ধ্বংসের ব্যাপারে সূরা লাহাব নাযিল হয়।
গাইদাক্ব: তার নাম মুছআব। কেউ বলেন, নওফিল। তিনি অধিক দান করতেন এজন্য তাকে গাইদাক্ব বলা হত। কেননা, তিনি কুরাইশদের মধ্যে প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক ছিলেন এবং কুরাইশদের মধ্যে অধিক দানশীল ছিলেন।
আবূ রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াসসালাম।
(সুবুলুল হুদা ১১তম খ- ৮২ পৃষ্ঠা, হালাবিয়াহ ৩য় খ- ৪০০ পৃষ্ঠা, শরহুয যারকানী ৪ খ- ৪৬৪, ৪৬৫ পৃষ্ঠা)
হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বোন ছিলেন ৬ জন। উনারা হলেন-
উম্মু হাকীম: উনার নাম মুবারক ছিলো বাইদ্বা।
আতিক্বাহ: কারো মতে, তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
বাররাহ:
আরওয়া: কারো কারো মতে, তিনিও ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
আমীমাহ:
আম্মাতুর রসূল হযরত ছফিয়্যাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। তিনি হযরত যুবাইর ইবনে আওয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাতা ছিলেন। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মদীনা শরীফ হিজরত করেন। এমনকি হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খিলাফতকালে তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন।
(আস সীরাতুল্ হালাবিয়া ৩য় খ- ৪০০ পৃষ্ঠা, শরহুয্ যারক্বানী ৪র্থ খ- ৪৮৮ পৃষ্ঠা)
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সহধর্মিনী তথা আহলিয়া ছিলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম। যিনি হচ্ছেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মাতা। তিনি ছিলেন সম্মানিত কুরাইশ বংশীয়। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার জিসিম মুবারফ-এ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক অবস্থান করছিলেন। এজন্য দেখা গেছে যে, হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার চেহারা মুবারক অত্যন্ত নূরীময় ছিলো সদা-সর্বদাই পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় জ্বলজ্বল করতো এবং উনার শরীর মুবারক থেকে নূর বিচ্ছুরিত হতো। সুবহানাল্লাহ! তিনি সকলের কাছেই সবচেয়ে প্রিয় ও পছন্দনীয় ছিলেন। তবে কিছু কাফির, মুশরিক, ইহুদী, নাছারা কিছু বদবখত, নাদান তারা উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতো। উনার ভিতরে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক অবস্থান করছেন এটা ইহুদী নাছারারা বুঝতে পেরে উনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে।
মাদারিজুন নুবুওওয়াত’-এ উল্লেখ রয়েছে, আহলে কিতাব তথা ইহুদী, খ্রিস্টানরা যখন দেখতে পেলো সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মধ্যেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক অবস্থান করছেন তখন তারা উনার বিরুদ্ধে শত্রুতা শুরু করলো উনাকে শহীদ করার জন্য কু-চিন্তা করতে লাগলো। এসব কু-মতলব নিয়ে এই সমস্ত দুষ্টরা মক্কা শরীফ-এ সমবেত হতে লাগলো। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা মক্কা শরীফ-এ এসে বিভিন্ন কারামত, বিস্ময়কর ঘটনা অবলোকন করে হতবাক ও হতাশ হয়ে পলায়ন করলো। পরাজয় ও লাঞ্ছিতের গ্লানি নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরলো। একদা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি শিকারে বের হলেন। আহলে কিতাব তথা ইহুদীদের একটা দুষ্ট দল তারা সিরিয়া থেকে মক্কা শরীফ-এ এসেছিলো। এই সমস্ত ইহুদী নাছারারা উনাকে দেখে হিংসার বশবর্তী হয়ে শহীদ করতে উদ্যত হলো। নাঊযুবিল্লাহ!
সেই স্থানে উপস্থিত ছিলেন হযরত ওয়াহাব ইবনে মান্নাফ আলাইহিস সালাম। যিনি ছিলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মা আমিনা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত পিতা। হযরত ওয়াহাব ইবনে মান্নাফ আলাইহিস সালাম তিনি দেখতে পেলেন কোথা থেকে যেনো অস্ত্রধারী কিছু লোক তারা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার জন্য একত্রিত হয়ে আক্রমণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। সে মুহূর্তে হযরত ওয়াহাব ইবনে মান্নাফ আলাইহিস সালাম তিনি তরবারি নিয়ে ওই সমস্ত শত্রুদের তাড়িয়ে দিতে লাগলেন। শত্রুরা সেখান থেকে চলে গেলো। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিও বাড়িতে ফিরলেন। এদিকে হযরত ওয়াহাব ইবনে মান্নাফ আলাইহিস সালাম তিনি ঘরে ফিরে উনার পরিবারবর্গের নিকট ঘটনাটি জানান এবং বলেন, আমার মেয়ে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনাকে হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট নিকাহ মুবারক দিতে চান।
পরিবারের সকলেই সম্মতি প্রকাশ করলেন। অপর দিকে যখন হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার কাছে সংবাদ পৌঁছলো তিনিও রাজি হয়ে গেলেন। অতঃপর যথাসময়ে সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার নিকাহ মুবারক সুসম্পন্ন হলো। সুবহানাল্লাহ!
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পুত্র হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে নিকাহ মুবারক দেয়ার জন্য যাচ্ছিলেন পথিমধ্যে এক ইহুদী মহিলা যার নাম ছিলো ফাতিমা বিনতে মুররা। যে তাওরাত শরীফ ইনযীল শরীফ তথা আসমানী কিতাবে অভিজ্ঞ ছিলো। সে সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার কপাল মুবারক-এ উজ্জ্বল নূর মুবারক দেখে উনাকে দাওয়াত দিলো এবং উক্ত ইহুদী মহিলা সেই নূর মুবারক নিজের মধ্যে পাওয়ার জন্য হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে পাওয়ার প্রস্তাব পেশ করলো। যদি তিনি আমার সঙ্গে অবস্থান করেন তাহলে আমি উনাকে একশত উট হাদিয়া করবো। হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি শক্ত ভাষায় জাওয়াব দিয়ে বললেন,
اما الحرام فالممات دونه
والحل لاحل فا ستبينه-
فكيف بالامر الذى تبغينه
يحمى الكريم عرضه و دينه-
অর্থ: “হারাম গ্রহণ অপেক্ষা মৃত্যুই শ্রেয় আর এমন কাজ মোটেও হালাল নয়, যা প্রকাশ করা যায় না। যে অবৈধ কাজে তুমি আগ্রহী তা আমার দ্বারা কখনো সম্ভব নয়। সম্মানিত ব্যক্তিগণ উনারা নিজের আব্রু ও  নিজের দ্বীনের হিফাযত করে।” (সীরাতুল মুস্তাফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সঙ্গে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র নিকাহ মুবারক সুসম্পন্ন হওয়ার পর যখন উনারা বাড়িতে ফিরছিলেন পথিমধ্যে ওই ইহুদী মেয়েটি আবার দূর থেকে হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে দেখতে পেলো। মেয়েটি জিজ্ঞাসা করলো, “হে হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি এখান থেকে চলে যাওয়ার পর কোথাও অবস্থান করেছেন? হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আমি এখান থেকে চলে যাওয়ার পর হযরত ওহাব ইবনে আব্দুল মান্নাফ আলাইহিস সালাম উনার মেয়ে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনাকে নিকাহ করেছি এবং উনার ওখানে তিন দিন অবস্থান করেছি।
একথা শুনে ওই ইহুদী মহিলাটি বললো, আল্লাহ পাক উনার কসম! আমি কোনো অসৎ চরিত্রা মহিলা নই। আপনার চেহারা মুবারক-এ নুবুওওয়াতের নূর মুবারক দেখে ইচ্ছা করছিলো যে, এই নূর মুবারক আমার থেকে প্রকাশিত হোক। কিন্থ মহান আল্লাহ পাক তিনি যেখানে চেয়েছেন সেখানেই সেই পবিত্র নূর মুবারক রেখেছেন। (দালাইলু আবু নুআইম, তাবাকাতে ইবনে সা’দ)
আরো বর্ণিত রয়েছে, বনী আসাদ গোত্রের নাওয়াফিলের মেয়ে রুকাইকা নামক মহিলা কা’বা শরীফ-এর পার্শ্বে দাঁড়িয়ে ছিলো। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি কা’বা শরীফ-এর সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন এমন সময় ওই মহিলাটি হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার চেহারা মুবারক-এর দিকে তাকালে উনার কপাল মুবারক-এ উজ্জ্বল নূর মুবারক দেখতে পায়। তখন সেই মহিলা সেই নূর মুবারক লাভ করার জন্য পাগলপারা হয়ে যায়। এবং বলতে থাকে যে, হে হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনার জানের বদলে যে একশত উট কুরবানী করা হয়েছিলো, আমি সেই ১০০টি উট আপনার পক্ষ থেকে পরিশোধ করবো, আপনি আমাকে নিকাহ করুন। মহিলাটি এই প্রস্তাব দিলো। হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সেই মহিলাটির প্রস্তাব গ্রহণ না করে ফিরে আসলেন। (মাওয়াহিবুল লাদুননীয়া, আল বারাহীনুল কাতুইয়াহ)
প্রকাশ থাকে যে, উক্ত মহিলাটির নাম সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। যেমন, তার নাম ছিলো কুতাইলা তথা রুকাইয়া ও লাইলা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন,
قد جاءكم من الله نور
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নূর (অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি) এসেছেন।” (সূরা মায়িদা : আয়াত শরীফ ১৬)
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার ললাট মুবারক-এ রাখেন। হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার থেকে পর্যায়ক্রমে সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম পর্যন্ত নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পৌঁছেন। হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ললাট মুবারক-এ সেই নূর মুবারক সদা সর্বদাই চমকাতো। যা জিন-ইনসান থেকে শুরু করে সমস্ত মাখলুক সেই নূর মুবারক দেখে ইতমিনান হতো, খুশি প্রকাশ করতো। এমনকি সেই নূর মুবারক ধারণ ও উনার খিদমত করার জন্য আরবের মহিলাগণ অনেকেই হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট নিকাহ বসতে আর্জি জানিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে-
বিশ্ববিখ্যাত হাদীছ শরীফ-এর কিতাব ‘মুছান্নেফে আব্দুর রাজ্জাক’-এর ৫ম জিলদ ৩১৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন,

عن عبد الرزاق عن محمد عن الزهرى قال ...وكان عبد الله احسن رجل رئى فى قريش مجتمعات. فقالت امرأة منهن يا نساء قريش؟ ايتكن يتزوجها هذا الفتى فنصطت النور الذى بين عينيه قال وكان بين عينيه نور.

অর্থ: হযরত আব্দুর রাযযাক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি হযরত যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সলাম তিনি অত্যধিক সুদর্শন সুমহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন, এরূপ সুদর্শন পুরুষ কুরাইশ তথা কায়িনাতের মধ্যে কমই দেখা যেতো। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি একদিন মহিলাদের এক জামায়াতের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন মহিলাদের মধ্য হতে একজন সবাইকে সম্বোধন করে বললো, হে কুরাইশ মহিলাগণ! তোমরা কি চাও যে এই সম্মানিত পুরুষ তিনি তোমাদের কাউকে নিকাহ করুন। অতঃপর উনার কপাল মুবারক-এ যে নূর মুবারক রয়েছেন তা তোমাদের মধ্যে অবস্থান করুন। রাবী বলেন, ‘হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র কপাল মুবারক-এ তখন নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবস্থান করছিলেন।’

সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার কপাল মুবারক-এ আখিরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক দর্শন করে আরবের মহিলারা উনার খিদমতে আরজি প্রকাশ

হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে,

وقال ابن سعد انا وهب بن جرير بن حازم ثنا أبى سمعت ابا يزيد المدنى قال نبئت ان عبد الله أتى على امراة من خثعم، فرأيت بين عينيه نورا ساطعا الى السماء، فقالت هل لك فى؟ قال نعم حتى ارمى الجمرة، فانطلق فرمى الجمرة ثم اتى امرأته امنة عليها السلام ثم ذكر الخثعمية فاتاها, فقالت هل أتيت امرأة بعدى؟ قال نعم امراتى امنة عليها السلام- قالت فلا حاجة لى فيك انك مررت وبين عينيك نور ساطع الى السماء, فلما وقعت عليها ذهب, فأخيرها انها قد حملت بخير أهل الارض.
অর্থ: “হযরত ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি হযরত ওয়াহাব ইবনে জারীর ইবনে হাজিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে তিনি স্বীয় পিতা থেকে এবং আবূ ইয়াযীদ মাদানী থেকে শ্রবণ করেন। তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি খাছআমী  গোত্রের এক নারীর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় সেই নারী সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার কপাল মুবারক থেকে আসমান পর্যন্ত একটি নূর মুবারক দেখতে পেলো। অতঃপর মহিলাটি উক্ত নূর মুবারক দেখে বললো, আপনি কি আমাকে বিবাহ করবেন? সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আচ্ছা, কংকরগুলো ফেলে আসি। কঙ্কর ফেলে দেয়ার পর তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার নিকট চলে গেলেন এবং উনার সঙ্গে অবস্থান করলেন। অতঃপর খাছআম গোত্রের মেয়েটির কথা স্মরণ হলে তার কাছে গেলেন। উক্ত মেয়েটি সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে দেখেই বললো, এখান থেকে চলে যাওয়ার পর কোনো নারীর নিকটবর্তী হয়েছেন? সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমার যিনি আহলিয়া হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার নিকটবর্তী হয়েছি। তখন সেই মহিলা বললো, হে সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম এখন আপনার নিকট আমার হাজত নেই। নিশ্চয়ই আপনি যখন আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন তখন আপনার কপাল মুবারক থেকে আসমান পর্যন্ত একখানা নূর মুবারক বিস্তৃত ছিলো। এখন সেই নূর মুবারক আপনার যিনি আহলিয়া উনার নিকট চলে গেছেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনাকে সুসংবাদ দিন যে, নিশ্চিয়ই তিনি যমীনের সর্বোত্তম ব্যক্তিত্বকে ধারণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (ইবনে আসাকির, খছায়িছূল কুবরা ১ম খ-, ৭০ পৃষ্ঠা)
হাদীছ শরীফ-এ এসেছে,
عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال كانت امرأة من خثم تعرض نفسها فى موسم من المواسم، وكانت ذات جمال ومعها ادم عليه السلام تطوف به كأنها تبيعه فأتت على عبد الله بن عبد المطلب عليه السلام، فلما رأته أعجبها فعرضت نفسها عليه، فقال مكانك حتى ارجع اليك فانطلق الى اهله فبدا له فواقع اهله فحملت بالنبى صلى الله عليه وسلم، فلما رجع اليها قالت ومن أنت؟ قال انا الذى وعدتك، قالت لا ما انت هو ولئن كنت ذلك لقد رأيت بين عينيك نورا ما اراه الان.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খাছআম গোত্রের এক সুন্দরী মহিলা হজ্জের সময় কা’বা শরীফ-এ আসতো এবং তার কাছে বিভিন্ন ধরনের আচার থাকতো তা বিক্রি করতো। সে একবার সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট আসলো। মহিলাটি যখন সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে দেখলো, দেখে আশ্চর্য হলো এবং মহিলাটি সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট নিজকে পেশ করলো। হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন: আমি আসছি। অতঃপর তিনি বাড়িতে চলে গেলেন এবং উনার আহলিয়া হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার ওখানে অবস্থান করলেন। অতঃপর হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গ্রহণ করলেন। অতঃপর হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সঙ্গে পুনরায় ওই মহিলাটির সাক্ষাৎ হলো। মহিলাটি বললো, আপনি কে? সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আমি সেই ব্যক্তি; যে আপনার কাছে ফিরে আসার ওয়াদা করেছিলেন। মহিলাটি বললো, আপনি ওই ব্যক্তি নন। কারণ আপনার কপাল মুবারক-এ একখানা নূর মুবারক দেখেছিলাম; যা এখন অদৃশ্য হয়ে গেছে যা আমি এখন আর দেখছিনা। (বাইহাক্বী, আবূ নায়ীম, ইবনে আসাকির, খছায়িছূল কুবরা ১ম খ- ৭১ পৃষ্ঠা)‘খছায়িছূল কুবরা ১ম জিলদ ৭১ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ রয়েছে,

عن ابن شهاب قال كان عبد الله عليه السلام احسن رجل رؤى قط خرج يوما على نساء قريش، فقالت امرأة منهن أيتكن تتزوج بهذا الفتى فتصطب النور الذى بين عينيه، فانى أرى بين عينيه نورا، فتزوجته حضرت امنة عليها السلام فحملت برسول الله صلى الله عليه وسلم.
অর্থ: “হযরত ইবনে শিহাব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বেমেছাল অতি সুন্দর ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যা বর্ণনার ঊর্ধ্বে। হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি একদা কিছু কুরাইশ রমণীদের পার্শ্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাদের মধ্যে একজন রমণী বললো, তোমাদের মধ্যে কে আছো উনার নিকট বিবাহ বসে উনার কপাল মুবারক-এ যে নূর মুবারক রয়েছেন তা ধারণ করবে। আর নিশ্চয়ই আমি দেখতে পাচ্ছি উনার দু’চক্ষু মুবারক-এর মাঝে নূর মুবারক তথা নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক নিকাহ সুসম্পন্ন হলো। হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজে গ্রহণ করলেন।” সুবহানাল্লাহ! (বাইহাক্বী, আবূ নায়ীম, খছায়িছুল কুবরা ১ম খ- ৭১ পৃষ্ঠা)
১০১
অন্য বর্ণনায় এসেছে,
عن عروة وغيره قالوا ان قتيلة بنت نوفل اخت ورقة بن نوفل كانت تنظر وتعتاف فمر بها عبد الله عليه السلام فدعته ليستبضع منها ولزمت طرف ثوبه، فأبى وقال حتى أتيك وخرج سريعا حتى دخل على حضرت امنة عليها السلام فوقع عليها فحملت برسول الله صلى الله عليه وسلم ثم رجع، الى المرأة فوجدها تنتظره، فقال لها هل لك فى الذى عرضت على؟ قالت لا، مررت وفى وجهك نور ساطع، ثم رجعت وليس فيه ذلك النور، وفى لفظ مررت وبين عينيك غرة مثل غرة الفرس ورجعت وليس هى فى وجهك.

অর্থ: “হযরত উরওয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আরো অনেকের থেকে বর্ণিত। উনারা বলেন, নিশ্চয়ই ওরাকা ইবনে নওফিল উনার ভাগনী হযরত কাতীলাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি জ্যোর্তিবিদ ছিলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি একদা এক পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় সেই মহিলা উনাকে দাওয়াত করলেন এবং উনার পবিত্র চাদর মুবারক ধরলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আসবেন বলে সেখান থেকে দ্রুত বের হয়ে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার নিকট আসলেন। অতঃপর উনার ওখানে অবস্থান করলেন। নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার মধ্যে অবস্থান নিলেন। তারপর পুনরায় সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি কাতিলার নিকট গিয়ে তাকে অপেক্ষমাণ পেলেন। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তুমি যে আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলে এ সম্পর্কে তোমার মতামত কি? কাতিলা বললো, না। আপনি যখন এখান থেকে গমন করেছিলেন তখন আপনার কপাল মুবারক-এ একখানা উজ্জ্বল দীপ্ত নূর মুবারক ছিলো। ফিরে আসার পর সেই নূর মুবারক আপনার চেহারা মুবারক-এ নেই।”
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,
عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال المرأة التى عرضت على عبد الله ما عرضت هى أخت ورقة بن نوفل.
অর্থ: “যে মহিলা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলো সে ছিলো ওরাকা ইবনে নওফিল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভাগনী।” (খছায়িছুল কুবরা ১ম খ- ৭১ পৃষ্ঠা, ইবনে সা’দ, ইবনে আসাকির)
স্মরণীয় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার যিনি হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক কোথায় রাখবেন তা পূর্ব থেকে মনোনীত করে রেখেছেন। যদিও বা আরবের অনেক মেয়েই সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলো কিন' মহান আল্লাহ পাক সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার রেহেম শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রাখবেন। যেদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ললাট মুবারক থেকে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার রেহেম শরীফ-এ তাশরীফ নেন সেই রাত্রি মুবারককে লাইলাতুর রাগায়িব বলা হয়। ইনশাআল্লাহ লাইলাতুর রাগায়িব সম্পর্কে সামনে আমরা আলোচনা করবো।

0 Comments: