হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ১৭২১-১৭৩০)


পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1umo8c6MnYMfK07E3v5CvZ7RMmdfA3FIF

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭২১)
৪র্থ হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
স্মরণীয় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম রূহানী, জিসমানী এমনকি সার্বিক দিক থেকে অবিচ্ছেদ্য বন্ধন ও নিছবত মুবারকে আবদ্ধ থাকার কারণেই হযরত আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টির সূচনা লগ্ন মুবারক থেকে পুতপবিত্র থেকে পুতপবিত্রতম করেই এবং সমস্ত মুহব্বত, মা’রিফাত, রেযামন্দি, সন্তুষ্টি মুবারক দিয়েই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের কোনো রিয়াযত-মাশাক্কাতের প্রয়োজন হয়নি। সুবহানাল্লাহ! মূলতঃ সকল কায়িনাতবাসীর জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রিয়াযত-মাশাক্কাত করে পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত, মা’রিফাত, রিযামন্দি ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা এবং পবিত্রতম খিদমত মুবারক-এ আঞ্জাম দেয়া। লক্ষ কোটি বছর রিয়াযত-মাশাক্কাত করে যে নিয়ামত হাছিল করা সম্ভব নয়, তা মূলত পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের এক মুহুর্তের তরে ছোহবত মুবারক ও খিদমত মুবারক করে তার চেয়ে কোটি-কোটি গুণে বেশি নিয়ামত মুবারক হাছিল করা সহজ ও সম্ভব। সুবহানাল্লাহ! কাজেই, মুত্বাহহির, মুত্বাহহার, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আস সাফফাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার ও উনার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান কতো যে বেশি, তা জ্বিন-ইনসানসহ সকল কায়িনাতের জন্য চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়। সুবহানাল্লাহ!
 কাজেই সমস্ত জ্বিন-ইনসানের জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে, মহাসম্মানিত আহলু বাইতে রসূলিল্লাহ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়া। সুবহানাল্লাহ!
 এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُل لَّا اَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِى الْقُرْبٰى
 অর্থ: হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোন বিনিময় চাই না, অর্থাৎ বিনিময় চাওয়াটা যেমন অস্বাভাবিক, তেমনিভাবে উম্মতের পক্ষে বিনিময় দেয়াও কখনই সম্ভব নয় এবং বিনিময় দেয়ার চিন্তা-ফিকির করাটাও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। তবে উম্মতকে যেহেতু নাজাত লাভ করতে হবে, সেজন্য তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, তারা যেনো আমার পবিত্রতম একান্ত আপনজন, অর্থাৎ পবিত্র আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করে তথা উনাদের মুহব্বত মুবারক-এ ও খিদমত মুবারক-এ নিজেদের জান-মাল কুরবান করে দেয়। (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭২২)
৪র্থ হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:

 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
 عَنِ حَضْرَتْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:أَحِبُّوا اللَّهَ لِمَا يَغْذُوكُمْ مِنْ نِعَمِةِ، وَأَحِبُّونِي لِحُبِّ اللَّهِ، وَأَحِبُّوا أَهْلَ بَيْتِي لِحُبِّي.
 অর্থ : হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে তোমরা মুহব্বত করো; কেননা তিনি খাওয়া-পরার মাধ্যমে অনুগ্রহ করে থাকেন। আর আমাকে তোমরা মুহব্বত করো, মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্রতম মুহব্বত হাছিলের জন্য। আর আমার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তোমরা মুহব্বত করো আমার পবিত্রতম মুহব্বত মুবারক হাছিলের  জন্যই। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
 অতএব, উক্ত পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে গভীর থেকে গভীরতম তায়াল্লুক, নিসবত, মুহব্বত, মা’রিফাত, খাছ রিযামন্দি, সন্তুষ্টিসহ সীমাহীন রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাত লাভ করতে হলে উনার পবিত্রতম আহলে বাইত শরীফ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম খিদমত মুবারক উনার মাধ্যমে প্রকৃত মুহব্বত, মা’রিফাত, রেযামন্দি, সন্তুষ্টি, তায়াল্লুক, নিসবত, সাকিনা, মাগফিরাত, ইতায়াত লাভ করা সর্বপ্রথম ঈমানী দায়িত্ব-কর্তব্য তথা প্রধানতম ফরয কাজ। সুবহানাল্লাহ! তা ছাড়া কসি¥নকালেও খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রহমত, বরকত, সাকিনা, মাগফিরাত, তায়াল্লুক-নিসবত ও নাজাত হাছিল করা সম্ভব নয়। মূলতঃ উনাদের পবিত্রতম মুহব্বত ও  খিদমত মুবারক-ই হচ্ছেন প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই পবিত্রতম মুহব্বত ও খিদমত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭২৩)
৪র্থ হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
আমাদের সকলের ফিকির করা উচিত যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের ভাগ্যকে এমনভাবে খুলে দিয়েছেন, যা অন্য কোন জাতি বা ক্বওমের ভাগ্য বা নছীব হয়নি। সুবহানাল্লাহ! আমরা এমন একজন মহাসম্মানিত আওলাদুর রসূল উনাকে পেয়েছি, যিনি সমস্ত কায়িনাতের মহান অভিভাবক ও পরিচালক। যিনি সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম- উনার মুরীদ হতে পারায় কী পরিমাণ উনাদের শুকরিয়া করা উচিত, কী পরিমাণে মুহব্বত মুবারক করা এবং খিদমতের আঞ্জাম দেয়া উচিত, তা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়। মূলতঃ যে পরিমাণে হযরত ছাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম খিদমত মুবারক-এ পবিত্রতম জান-মাল মুবারক কুরবান করেছেন ঠিক অনুরূপভাবে জান-মাল কুরবান করা উচিত। হযরত ছাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বকরীর লেদ ও খেজুরের বিচি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে যতটুকু অর্থ-কড়ি পেতেন, তা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র খিদমত মুবারক-এ পেশ করে উনার পবিত্রতম রিযামন্দি, সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করে رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব মুবারক হয়েছেনসুবহানাল্লাহ! ঠিক অনুরূপ রিযামন্দি, সন্তুষ্টি মুবারক পেতে হলে- আওলাদুর রসূল, মুত্বাহহির, মুত্বাহহার, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আস সাফফাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার এবং পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম খিদমত মুবারক-এ তদ্রƒপ আঞ্জাম দিতে হবে। উনাদেরকে পবিত্রতম দীদার মুবারক ও ছোহবত মুবারক পাওয়ার অর্থই হচ্ছে-প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পত্রিতম দীদার মুবারক ও ছোবহত মুবারক হাছিল করা। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭২৪)
৪র্থ হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা কুল-কায়িনাতবাসীর জন্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত এবং নিরাপত্তাদানকারী।  সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-
عَنْ حَضْرَتْ سَلمَةَ بْنِ الأَكْوَع رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النُّجُومُ أَمَانٌ لِأَهْلِ السَّمَاءِ، وَأَهْلُ بَيْتِى أَمَانٌ لِأُمَّتِيْ.
 অর্থ: হযরত সালমা ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আকাশের তারকারাজীসমূহ আসমানবাসীদের জন্য নিরাপত্তা দানকারী। আর আমার পবিত্র আহলু বাইত শরীফ তথা আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা আমার উম্মত তথা গোটা কায়িনাতবাসীর একমাত্র নিরাপত্তা দানকারী তথা নাজাত দানকারী। সুবহানাল্লাহ! (কানযুল উম্মাল, মুসতাদরিক্ব হাকীম, ফায়দ্বুল ক্বাদীর)
  কাজেই মহাপবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যমণি হচ্ছেন, সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি। অতএব পুতঃপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই কায়িনাতের বুকে সকল উম্মতের একমাত্র নিরাপত্তা দানকারী, নাজাত দানকারী। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
 উল্লেখ্য যে, সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন, পবিত্র রিযামন্দি-সন্তুষ্টি, মুহব্বত-মা’রিফাত মুবারক হাছিলের একমাত্র ওয়াসীলা। সুবহানাল্লাহ! উনাদের মুবারক ওয়াসীলা বা মধ্যস্থতা ব্যতীত কস্মিনকালেও কোন নিয়ামত হাছিল করা সম্ভব নয়।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭২৫)
৪র্থ হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-
 عَنْ حَضْرَتْ جَعْفَر الصَّادِق عَلَيْهِ السَّلَامِ اَنَّهُ قَالَ نَحْنُ ال بَيْت رَسُوْل الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ الْوَسِيْلَةُ اِلَى اللهِ وَلَا وَسِيْلَةُ اِلَى اللهِ الا عَنْ غَيْرِ طَرِيْقِنَا اَوْ من سوانا.
 অর্থ: “ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা হচ্ছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ‘বংশধর’ তথা আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অন্তর্ভুক্তআমরাই হচ্ছি- মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত, মা’রিফাত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি ও নিয়ামত মুবারক পাওয়ার একমাত্র সর্বোত্তম ওসীলা। সুবহানাল্লাহ! কাজেই আমাদের পবিত্রতম তরীক্বা অথবা আমাদের পবিত্রতম ওয়াসীলা বা পবিত্রতম মাধ্যম ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে পৌঁছার ক্ষেত্রে আর কেউই ওসীলা বা মাধ্যমই নেই। সবুহানাল্লাহ! অর্থাৎ আমাদের ওয়াসীলা বা মাধ্যম ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্রতম কুরবত, মুহব্বত-মা’রিফাত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা কারো পক্ষে কস্মিনকালেও সম্ভব হবে না।” সুবহানাল্লাহ! (শরহে আক্বীদাতুত ত্বাহাবী লিল হাওয়ালী)
 কাজেই হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই ইহকাল, পরকালের একমাত্র নাজাতের তরী এবং ওসীলা মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-
  عَنْ حَضْرَتْ ابى ذَرٍّ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ اَنَّهُ قَالَ وَهُوَ آخِذٌ بِبَابِ الْكَعْبَةِ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ ্রأَلَا إِنَّ مَثَلَ أَهْلِ بَيْتِي فِيكُمْ مَثَلُ سَفِينَةِ نُوحٍ، مَنْ رَكِبَهَا نَجَا، وَمَنْ تَخَلَّفَ عَنْهَا هَلَكَগ্ধ.
 অর্থ: “জালীলুল ক্বদর ছাহাবী হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দরজা মুবারক ধরে বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, ‘হে কায়িনাতবাসী, সাবধান! আমার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ তথা হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন- তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। যে-ই উনার মধ্যে আরোহণ করবে সেই নাজাত পাবে। সুবহানাল্লাহ! আর যে উনার থেকে বিমুখ তথা উনাদের থেকে দূরে থাকবে, সে হালাক বা ধ্বংস হয়ে যাবে।” (মুসনাদে আহমদ শরীফ, মুসতাদরাকে হাকীম, মিশকাত শরীফ)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭২৬)
৪র্থ হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-
اِنَّ اَوْلَادِىْ كَسَفِينَةِ حَضْرَتْ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَنْ دَخَلَهَا نَجَا
 অর্থ: “নিশ্চয়ই আমার ‘আওলাদ আলাইহিমুস সালাম’ উনারা হচ্ছেন- হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। যারাই উনার মধ্যে দাখিল হবেন তারাই নাজাত পাবেন।” (তাফসীরে ইবনে কাছীর)
 এ জন্য সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের সমস্ত ইমাম একমত হয়েছেন যে-
اِنَّ حُبَّ اَهْلُ الْبَيْتِ اِيْمَانٌ
 অর্থ: “নিশ্চয়ই পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক পবিত্র ঈমান তথা পবিত্র ঈমান উনার মূল।” সুবহানাল্লাহ! (আল বুরহানু ফী তাফসীরিল কুরআন লিল বাহরানী, তাফসীরু নূরিছ ছাক্বালাইন লিল হুয়াইযী, আউলিয়া আল্লাহি বাইনাল মাফহূমিছ ছূফী লি-আবদির রহমান আদ দামিশক্বী)
 এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, আসাদুল্লাহিল গালিব, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন-
 قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَرْبَعَةٌ اَنَا لَـهُمْ شَفِيْعٌ يَّوْمَ الْقِيَامَةِ الْـمُكْرِمُ لـِذُرِّيَـتِـىْ وَالْقَاضِىْ لَـهُمْ حَوَائِجَهُمْ وَالسَّاعِىْ لَـهُمْ فِـىْ اُمُوْرِهِمْ عِنْدَ اضْطِرَارِهِمْ اِلَيْهِ وَالْمُحِبُّ لَـهُمْ بِقَلْبِهٖ وَلِسَانِه
 অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ক্বিয়ামতের দিন আমি নিজেই চার শ্রেণীর লোককে খাছভাবে সুপারিশ করবো। ১. যে ব্যক্তি আমার বংশধর তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মান করবে। ২. যে ব্যক্তি আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অর্থ-সম্পদ দ্বারা খিদমত করবে। ৩. যে ব্যক্তি হযরত আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে শারিরীক শক্তি দিয়ে, শ্রম দিয়ে অর্থাৎ কাজে-কর্মে উনাদের খিদমত করবে। ৪. যে ব্যক্তি হযরত আহলু বাইত শরীফ এবং হযরত আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মনে প্রাণে, জবানে গভীরভাবে মুহব্বত করবে।” (বিহারুল আনওয়ার, যখায়িরুল উক্ববা, আল বুরহানু ফী তাফসীরিল কুরআন লিল বাহরানী-, তাফসীরু নূরিছ ছাক্বালাইন লিল হুয়াইযী, আউলিয়া আল্লাহি বাইনাল মাফহূমিছ ছ’ফী লি-আবাদির রহমান আদ দামিশক্বী, দ্বূয়িশ শামস)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭২৭)
৪র্থ হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
হযরত আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বতকারীরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একত্রিত হবেন। সুবহানাল্লাহ!
 পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-
 أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ بِيَدِ حَضْرَتْ حَسَنٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَ حَضْرَتْ حُسَيْنٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ ্রمَنْ أَحَبَّنِى وَأَحَبَّ هَذَيْنِ وَأَبَاهُمَا وَأُمَّهُمَا كَانَ مَعِى فِى دَرَجَتِى يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
 অর্থ: “নিশ্চয়ই একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের হাত মুবারক ধরলেন এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করবে, এ দু’জনকে মুহব্বত করবে এবং উনাদের সম্মানিত আব্বাজান ও সম্মানিত আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করবে, সে ব্যক্তি ক্বিয়ামতের দিন আমার সাথে একই স্থানে অবস্থান মুবারক করবে।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনদে আহমদ, সুনানে তিরমিযী, শহীদ ইবনে শহীদ)
 বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবু সায়ীদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রবিয়া’ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার কাছে তাশরীফ আনলেন। অতঃপর ইরশাদ মুবারক করলেন-
إِنِّي وَإِيَّاكِ وَهَذَا النَّائِمُ يَعْنِي حَضْرَتْ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَامُ وَهُمَا يَعْنِي حَضْرَتْ الْحَسَنَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ الْحُسَيْنَ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَفِي مَكَانٍ وَاحِدٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
 অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি ও আপনি এবং এই ব্যক্তি যিনি মুবারক ঘুমে নিমগ্ন তথা সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম এবং উনারা তথা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা ক্বিয়ামতের দিন একই সাথে থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরাকে হাকীম)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭২৮)
৪র্থ হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
 যে ব্যক্তি পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কষ্ট দিলো, সে মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকেই কষ্ট দিলো, অর্থাৎ সে গযবে পতিত হলো।
 পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-
عَنْ حَضْرَتْ عَلِىّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال قال" مَنْ آذَانِى فِى اَهْلِىْ، فَقَدْ آذَى اللَّهَ عَزَّ وَ جَلَّ.
 অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, যে ব্যক্তি আমার পবিত্রতম পরিবার তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ব্যাপারে আমাকে কষ্ট দেয় বা দিবে, সে ব্যক্তি মূলত মহান আল্লাহ পাক উনাকে কষ্ট দেয় বা দিবে।” নাউযুবিল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফী ছীরাতি খাইরিল ইবাদ, আবূ নুয়াইম)
 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-
عَنْ حَضْرَتْ عَلِىّ بْنِ اَبِى طَالِب عَلَيْهِ السَّلَامُ وَهُوَ آخِذٌ بِشَعْرِهِ حَدَّثَنِى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ آخِذٌ بِشَعْرِهِ قَالَ مَنْ آذَى شَعْرَةً مِنِّى فَقَدْ آذَانِى، وَمَنْ أذَانِى فَقَدْ آذَى الله، وَمَنْ آذَى الله لَعَنَهُ الله مِلْءَ السَّمَواتِ والأَرْضِ لَا يَقْبَلُ الله مِنْهُ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا"
 অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার নূরুল ফাত্হ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চুল মুবারক ধরা অবস্থায় ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি স্বীয় নূরুল ফাত্হ বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চুল মুবারক ধরা অবস্থায় আমার কাছে ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার নূরুল ফাত্হ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র একটি চুল মুবারক উনাকেও কষ্ট দিলো, সে ব্যক্তি আমাকে কষ্ট দিলো। নাউযূবিল্লাহ! আর যে ব্যক্তি আমাকে কষ্ট দিলো সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে কষ্ট দিলো। আর যে মহান আল্লাহ পাক উনাকে কষ্ট দিলে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমান ও যমীন সমপরিমাণ তার উপর লা’নত বর্ষণ করবেন এবং তার থেকে কোনো তওবা এবং কোনো বিনিময় কবুল করবেন না।” নাউযুবিল্লাহ! (তারীখু দিমাশক্ব লি ইবনি আসাকির, ইবনুল মুফাদ্দাল ফী মুসালসালাতিহ, জামিউল আহাদীছ, জামউল জাওয়ামি’ আও আল জামিউল কাবীর, কানযুল উম্মাল)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭২৯)
৪র্থ হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
 যারা পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর যুলুম করবে, তাদের জন্য পবিত্র জান্নাত হারাম এবং জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে যায়।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-
حُرِّمَتِ الْجَنَّةُ عَلَى مَنْ ظَلَمَ أَهْلَ بَيْتِي
 অর্থ: “আমার পবিত্র আহলু বাইত শরীফ উনাদের উপর যারা যুলুম করবে বা অবিচার করবে, তাদের জন্য পবিত্র জান্নাত চিরতরে হারাম হয়ে যাবে, তথা তাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব।” নাউযুবিল্লাহ! (তাফসীরে ক্বুরতুবী, ফাতহুল গাইব, তাখরীজু আহাদীছিল কাশশাফ)
 উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা থেকে স্পষ্ট যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল ফাত্হ বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চুল মুবারক উনাকে কষ্ট দিলে যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে কষ্ট দেয়া হয় এবং তার কোনো তওবা ও দোয়া কবুল না হয়; তাহলে মহাসম্মানিত ও  মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কলিজা মুবারক উনার টুকরা মুবারক, উনাদেরকে কষ্ট দিলে তার উপর আযাব অবধারিত হয়ে যাবে। নাউযূবিল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-
 عَنْ حَضْرَتْ اَبِى سَعِيْد رَضِىَ اللهُ تَعَالَى َعْنُه اَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى مَنْ آذانِي فِي عِتْرَتِي.
 অর্থ: “হযরত আবূ সায়ীদ  রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- আমার মহাসম্মানিত আহলু বাইত তথা আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ব্যাপারে যে ব্যক্তি আমাকে কষ্ট দিবে মহান আল্লাহ পাক উনার ক্রোধ তার উপর কঠোর হবে, অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে তার উপর কঠিন গযব নাযিল হবে।” নাউযুবিল্লাহ! (দায়লামী শরীফ, আসসওয়ায়ি’কুল মুহাররিক্বাহ, জামিউ’ল আহাদীছ, জামউল জাওয়ামি’ আল জামিউল কাবীর লিসসুয়ূতী, কানযুল উম্মাল, আল জামিউস ছগীর।)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৩০)
৪র্থ হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সবকিছুর চেয়ে সর্বাধিক মুহব্বত না করলে ঈমানদার হওয়া যায় না। সুবহানাল্লাহ!
 হযরত আব্দুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা হযরত আবূ লাইলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
  لَا يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ نَفْسِهِ وَيكُونَ عِتْرَتِي أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ عِتْرَتِهِ، وَيَكُونَ أَهْلِي أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَهْلِهِ، وَيكُونَ ذَاتِي أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ ذَاتِهِ.
 অর্থ: “কোনো বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার নিজের জান থেকে আমাকে বেশি মুহব্বত করতে না পারবে এবং আমার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম তথা সম্মানিত বংশধর উনাদেরকে তার নিজের বংশধর থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আর আমার সম্মানিত পরিবার উনাদেরকে তার পরিবার থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আমার সম্মানিত জাত মুবারক উনাকে তার নিজের জাত থেকে বেশি মুহব্বত না করবে।” (আশশরফুল মুয়াব্বিদ, মু’জামুল আওসাত লিত তাবারান, শুয়াইবুল ঈমান)
 হযরত আবু যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
 اجعلوا اهل بيتى منكم مكان الرأس من الجسد ومكان العينين من الرأس ولايهتدى الرأس الا بالعينين.
 অর্থ: “তোমরা আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সেরূপ গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানিত মনে করবে যেমন তোমাদের শরীরের মধ্যে মাথাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করো। আর মাথার মধ্যে দুটি চোখকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী মনে করো তেমনি আমার মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী মনে করবে। কেননা দু’টি চোখ ব্যতীত মাথা সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে না।” (মুসতাদরাকে হাকিম, আশশরফুল মুয়াব্বিদ)

0 Comments: