হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ১৮১১-১৮১৪)


পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1umo8c6MnYMfK07E3v5CvZ7RMmdfA3FIF

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৮১১)

৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:
নিম্ন দিক হতে দ্বিতীয় স্তরের অধিবাসী হবে মুশরিকরা। এ স্তরের নাম ‘জাহীম’। তৃতীয় পর্যায়ে ছাবিঈন তথা যাবূর শরীফ অনুসারী ও নক্ষত্রপূজারীদের স্তর। এর নাম ‘সাক্বার’। চতুর্থ পর্যায়ে অভিশপ্ত ইবলীস ও তার অগ্নিপূজক অনুচরদের স্তর। এর নাম ‘লাযা’। পঞ্চম স্তরের অধিবাসী হবে ইহুদীরা; এর নাম ‘হুতামাহ’ষষ্ঠ স্তরের অধিবাসী হবে খ্রিস্টানরা; এর নাম হবে ‘সাঈর’। অতঃপর হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি থেমে গেলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! আপনি সপ্তম স্তরের অধিবাসীদের সম্পর্কে কিছু বলছেন না কেন? হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আমাকে এই স্তর সম্পর্কে সুওয়াল না করলে ভালো হয়। অতঃপর হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! জাহান্নামের এই সপ্তম স্তরে আপনার উম্মতের মধ্যে ওই সব লোক নিক্ষিপ্ত হবে; যারা দুনিয়াতে কবীরাহ গুনাহে লিপ্ত হয়েছে এবং তাওবা না করে মারা গেছে।” নাউযূবিল্লাহ! (মুকাশাফাতুল কুলূব ২৫-২৬)
 মুনাফিক্ব ও উলামায়ে সূ’রা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তর ‘হাবিয়া’-এর মধ্যে প্রবেশ করবে এবং সেখানে কঠিন-ভয়াবহ ‘আযাব-গযব উপভোগ করবে; যেখানে ইহূদী, খ্রিস্টান, কাফির, মুশরিক, মূর্তি-পূজক, অগ্নিপূজক; এমনকি স্বয়ং মালঊন ইবলীসও প্রবেশ করবে না এবং এতো কঠিন-ভয়াবহ ‘আযাব-গযবও উপভোগ করবে না; বরং ইবলীস প্রবেশ করবে জাহান্নামের চতুর্থ স্তর ‘লাযা’-এর মধ্যে, যেখানে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তর ‘হাবিয়া’-এর তুলনায় কমপক্ষে ৩৪৩০০০ গুণ কম শাস্তি হবে, আর ‘হাবিয়া’-এর মধ্যে জাহান্নামের চতুর্থ স্তর ‘লাযা’-এর তুলনায় কমপক্ষে ৩৪৩০০০গুণ বেশি শাস্তি হবে। অর্থাৎ তাহলে বুঝা গেল যে, মুনাফিক্বদের শাস্তি হবে ইবলীসের তুলনায় কমপক্ষে ৩৪৩০০০গুণ বেশি, আর স্বয়ং ইবলীসের শাস্তি হবে মুনাফিক্ব ও উলামায়ে সূ’দের তুলনায় ৩৪৩০০০গুণ কম। না‘ঊযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৮১২)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে-
 قَاتِلُ حَضْرَتْ الْـحُسَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِـىْ تَابُوْتٍ مِّنْ نَّارٍ عَلَيْهِ نِصْفُ عَذَابِ اَهْلِ الدُّنْيَا.
 অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তি শহীদ করবে, তাকে জাহান্নামে আগুনের বক্সে রাখা হবে। সমস্ত দুনিয়াবাসী তথা সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত জিন-ইনসানকে যত শাস্তি দেয়া হবে। ঐসর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তিকে এককভাবে সকলের অর্ধেক শাস্তি দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ!
আলোচ্য সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে اَهْلِ الدُّنْيَا ‘দুনিয়ার সমস্ত অধিবাসী’ দ্বারা সৃষ্টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যারাই জাহান্নামে প্রবেশ করবে, জাহান্নামের সকল অধিবাসী উদ্দেশ্য। আর এর মধ্যে বণী ইসরাঈলের ৭০ হাজার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যারা শহীদ করেছে, তারাও অন্তর্ভুক্ত।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাহাদাত মুবারক উনার পরে দুনিয়ায় যে সমস্ত আযাব-গযব নিপতিত হয়েছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সেটাও ছিল নজিরবিহীন
 পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
 عَنْ حَضْرَتْ يَّعْلَى بْنِ مُرَّةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم حَضْرَتْ حُسَيْنٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِّنِّـىْ وَاَنَا مِنْ حَضْرَتْ حُسَيْنٍ عليه السلام اَحَبَّ اللهُ مَنْ اَحَبَّ حَضْرَتْ حُسَيْنًا عَلَيْهِ السَّلَامُ حَضْرَتْ حُسَيْنٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سِبْطٌ مِّنَ الْاَسْبَاطِ.
অর্থ: “হযরত ইয়া’লা ইবনে মুররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আমার থেকে আর আমি সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার থেকে অর্থাৎ উনার মাধ্যমে আমার পবিত্র বংশ মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! যে ব্যক্তিই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বত করবেন স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিও ঐ ব্যক্তিকে মুহব্বত করবেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্রতম বংশ মুবারকসমূহের মধ্যে একটি পবিত্রতম বংশ মুবারক। সুবাহানাল্লাহ! (পবিত্র তিরমিযী শরীফ)
 সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৮১৩)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম শান মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
 إنّ حَضْرَتْ الحُسَيْنَ‏ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِصْبَاحُ‏ الْهُدَى‏ وَسَفِيْنَةُ النَّجَاة.
 অর্থ: “অবশ্যই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন, পবিত্রতম হিদায়েত উনার আলোকবর্তিকা এবং পরিপূর্ণ নাজাতের তরী।” (মুসীরুল আহযান, পৃষ্ঠা নং-৪)
 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
أَحِبُّوا أَهْلَ بَيْتِي لِحُبِّي
 অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা আমার পবিত্রতম আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার পবিত্র মুহব্বত মুবারক উনার জন্যে। সুবহানাল্লাহ! (শরহে যুরকানী, মিশকাত শরীফ)
 উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শান-মান কত যে বেমেছাল যা কল্পনাতীত ও বর্ণনাতীত। উনার মুহব্বত মুবারকই মূলত পবিত্র ঈমান। উনার বিরুদ্ধাচরণ করেছে তারা কাট্টা কাফির। এই কাট্টা কাফির কুখ্যাত ইয়াযীদ বাহিনীরা উনাকে নিষ্ঠুর-নির্মমভাবে শহীদ করার পর তাদের ও পৃথিবীর কি ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল তার একটি দৃশ্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
 হযরত উলামায়ে কিরামগণ লিখেছেন যে, “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাহাদাতী শাান মুবারক প্রকাশ করার সময় পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, আসমান ঘোর অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল, ফলে দিনের বেলা তারকারাজি দৃষ্টিগোচর হয়েছিল। কিছুক্ষণ পর আকাশ কালো থেকে লাল বর্ণে পরিণত হয়েছিল এবং আকাশ থেকে রক্ত বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছিল। সাতদিন পর্যন্ত এ রক্ত বৃষ্টি বর্ষণ অব্যাহত ছিল। সমস্ত ঘর-বাড়ির দেয়াল রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল এবং যেসব কাপড়ের উপর রক্ত পতিত হয়েছিল, সেসব কাপড় ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হওয়ার পরও সেই রক্তের লালিমা যায়নি। যমীনও কান্নাকাটি করেছিল। পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ-এ যে পাথরটাই উঠানো হতো, সেই পাথরের নিচ থেকে তাজা রক্ত বের হতো। কলস ভর্তি পানি রাখলে তা রক্তে লাল হয়ে যেত। ইয়াযীদ লা’নতুল্লাহি আলাইহি বাহিনীরা যখন উট যবেহ করেছিল তখন সে উটের ভিতর থেকে রক্তের পরিবর্তে আগুনের লেলিহান শিখা বের হয়েছিলজিনদের মধ্যেও শোক-বেদনা ছড়িয়ে পড়েছিল। সারা জাহানজুড়ে এক অদ্ভুত ও বিস্ময়কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।” কাজেই, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশের পরে দুনিয়ায় যে সমস্ত আযাব-গযব নিপতিত হয়েছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সেটাও ছিল নজিরবিহীন।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৮১৪)
 ৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে ‘শিয়াদের ইমাম’ বলে অপপ্রচারকারীরা চরমভাবে বিভ্রান্ত শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান উনাদের এদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসের ঐতিহাসিক দিন পবিত্র ১০ই মুর্হরম শরীফ অর্থাৎ পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোর এলোমেলো ভাষ্য বিশেষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে ‘শিয়াদের ইমাম’ বলে আখ্যায়িত করা; যা সত্যিই আশ্চর্যজনক বটে।
 বলাবাহুল্য, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি সুন্নী মুসলমানগণ উনাদের ইমাম এবং তিনি যে হক্ব বা সত্যকে উড্ডীন করার জন্য নাহক্বের নিকট মাথা নত না করে মুবারক শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন, সে মর্মান্তিক সত্য ঘটনায় উজ্জীবিত হয়ে বাতিলের বিরুদ্ধে সুন্নী মুসলমানগণ আজো সোচ্চার। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক শান-মান ও ইজ্জত রক্ষায় আজও সুন্নী মুসলমানগণ তাদের জীবন কুরবানী করতে প্রস্তুত। মূলত, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার প্রতি বাতিল ফিরকা শিয়া সম্প্রদায় লোক দেখানো মুহব্বত প্রকাশ করে থাকে। আর এর প্রমাণ এই যে- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি একে তো ‘ছাহাবী’ তার উপর তিনি খাছ হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কারণেই তিনি মর্যাদাবান। অথচ এই শিয়া সম্প্রদায় আক্বীদা পোষণ করে থাকে যে, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার প্রতি ওহী মুবারক নাযিল হওয়ার কথা ছিল, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি ভুল করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ওহী মুবারক নিয়ে এসেছেন। অর্থাৎ তারা মূলত নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অস্বীকার করতে চায়। নাঊযুবিল্লাহ!
 উল্লেখ্য, যেসব পত্রিকা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে ‘শিয়াদের ইমাম’ বলে উল্লেখ করে তারা মূলত বাতিল ফিরকার অন্তর্ভুক্ত। শিয়া সম্প্রদায় তথা ইসলামবিদ্বেষী, সন্ত্রাসী, বিধর্মী ইহুদী-খ্রিস্টানদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েই এরূপ করে থাকে।

0 Comments: