হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ১৭৮১-১৭৯০)


পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1umo8c6MnYMfK07E3v5CvZ7RMmdfA3FIF

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৮১)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:

  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 عَنِ حَضْرَتْ البَرَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالَـى عَنْهُ قَالَ رَاَيَتُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَضْرَتْ الْـحَسَنُ بْنُ عَلِىٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ عَلَيْهِمَا السَّلَامَ عَلٰى عَاتِقِه يَقُوْلُ اللَّهُمَّ إِنِّى أُحِبُّهُ فَأَحِبَّهُ.
অর্থ: “হযরত বারা’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছি যে, তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাঁধ মুবারক উনার উপর রেখে বলছেন, ইয়া খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক! আমি উনাকে মুহব্বত করি, আপনিও উনাকে মুহব্বত করুন।” সুবহানাল্লাহ! (মুত্তাফাকুন আলাইহি শরীফ) 
 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تعالى عَنْهُ قَالَ رَاَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـىْ حَجَّتِه يَوْمَ عَرَفَةَ وَهُوَ عَلٰى نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءِ يَـخْطُبُ فَسَمِعْتُه يَقُوْلُ يَا اَيُّهَا النَّاسُ اِنِّـىْ تَرَكْتُ فِيْكُمْ مَا اِنْ اَخَذْتُـمْ بِه لَنْ تَضِلُّوْا كِتَابَ اللهِ وَ عِتْرَتِىْ اَهْلَ بَيْتِىْ.
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছি, তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র (বিদায়) হজ্জে মহাসম্মানিত আরাফাত উনার দিন উনার মহাসম্মানিত “কাসওয়া” নামক উষ্ট্রীর উপর সওয়ার মুবারক অবস্থায় খুৎবা মুবারক দান করছেন। আমি শুনেছি, তিনি মহাসম্মানিত খুৎবা মুবারক-এ বলেছেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি উনাদেরকে শক্তভাবে ধরে রাখ, তবে কখনও গোমরাহ হবে না। এক. মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব মুবারক ও আমার ইতরত বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৮২)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 عَنْ حَضْرَتْ زَيْدِ بْنِ اَرْقَمَ رَضِىَ اللهُ تعالى عَنْهُ قَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لـِحَضْرَتْ عَلِىٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وحَضْرَتْ فَاطِمَةَ الظهراء عَلَيْهَا السَّلَامُ وَحَضْرَتْ حَسَنٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ حُسَيْنٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنَا حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبَهُمْ وَسَلْمٌ لِمَنْ سَالَمَهُمْ.
অর্থ: “হযরত যায়িদ ইবনে আরক্বাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও  সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্পর্কে বলেছেন, যারা উনাদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করবে, আমি তাদের শত্রু। পক্ষান্তরে যে উনাদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে (অর্থাৎ উনাদেরকে মুহব্বত করবে, উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীম করবে, উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক করবে, আমি তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করবো।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মু’জামুল কাবীর লিত্-ত্ববারানী, মিশকাতুল মাছাবীহ)
 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدٍ رَضِىَ اللهُ تعالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم حَضْرَتْ اَلْـحَسَنُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وحَضْرَتْ الْـحُسَيْنُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّدَا شَبَابِ اَهْلِ الْـجَنَّةِ.
 অর্থ: “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয়তম রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা দু’জনই জান্নাতী যুবকদের সাইয়্যিদ।” সুবহানাল্লাহ!  (তিরমিযী শরীফ, মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, সুনানে নাসায়ী লিল কুবরা, মু’জামুল কাবীর লিত-ত্ববারানী)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৮৩)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:
 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تعالى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اِنَّ حَضْرَتْ الْـحَسَنَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ الْـحُسَيْنَ عَلَيْهِ السَّلَامُ هُمَا رَيْـحَانَـىَّ مِنَ الدُّنْيَا.
 অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা দু’জনেই দুনিয়াতে আমার দু’টি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফুলস্বরূপ।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 عَنْ حَضْرَتْ يَّعْلَى بْنِ مُرَّةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم حَضْرَتْ حُسَيْنٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِّنِّـىْ وَاَنَا مِنْ حَضْرَتْ حُسَيْنٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَحَبَّ اللهُ مَنْ اَحَبَّ حَضْرَتْ حُسَيْنًا عَلَيْهِ السَّلَامُ حَضْرَتْ حُسَيْنٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سِبْطٌ مِّنَ الْاَسْبَاطِ.
 অর্থ: “হযরত ইয়া’লা ইবনে মুররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত।  তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি আমার থেকে আর আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার থেকে। যে ব্যক্তি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বত করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে মুহব্বত করবেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম বংশ মুবারকসমূহের মধ্যে একটি মহাসম্মানিত ও মহাপত্রি বংশ মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৮৪)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 عَنْ حَضَرَتْ عَلِىٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ حَضَرَتْ الْـحَسَنُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَشْبَهَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَيْنَ الصَّدْرِ اِلَـى الرَّأْسِ وَ حَضَرَتْ الْـحُسَيْنُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَشْبَهَ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا كَانَ اَسْفَلَ مِنْ ذٰلِكَ.
 অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহূ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি হলেন (চেহারা-আকৃতি-অবয়বে) মহাসম্মানিত নূরুল হুদা মুবারক বা মহাপবিত্র মাথা মুবারক হতে মহাসম্মানিত নূরুল ইলম মুবারক বা মহাপবিত্র বক্ষ মুবারক পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সদৃশ। সুবহানাল্লাহ! আর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি হলেন মহাসম্মানিত নূরুল ইলম মুবারক বা মহাপবিত্র বক্ষ মুবারক হতে মহাসম্মানিত নূরুদ দারাজাহ মুবারক বা পা মুবারক তথা নীচ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সদৃশ।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 عَنْ حَضَرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَـى عَنْهُ ما قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَحِبُّوا اللهَ لِمَا يَغْذُوْكُمْ مِّنْ نِعْمَةٍ وَاَحِبُّوْنِـىْ لِـحُبِّ اللهِ وَاَحِبُّوْا اَهْلَ بَيْتِـىْ لِـحُبِّـىْ.
 অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। কেননা, তিনি তোমাদের প্রতি খাদ্যসামগ্রীর মাধ্যমে অনুগ্রহ মুবারক করে থাকেন। আর আমাকে তোমরা মুহব্বত মুবারক করো, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে, যেহেতু আমি যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করো আমার মুহব্বত মুবারকে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মু’জামুল কাবীর লিত-ত্ববারানী)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৮৫)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 عَنْ حَضَرَتْ اَبِـىْ ذَرٍّ رَضِىَ اللهُ تَعَالَـى عَنْهُ اَنَّه قَالَ وَهُوَ اٰخِذٌ بِبَابِ الْكَعْبَةِ سَـمِعْتُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ اَلَا اَنَّ مَثَلَ اَهْلِ بَيْتِـىْ فِيْكُمْ مَثَلُ سَفِيْنَةِ حَضَرَتْ نُوْحٍ عَلَيْهَ السَّلَامُ مَّنْ رَّكِبَهَا نَـجَا وَمَنْ تَـخَلَّفَ عَنْهَا هَلَكَ.
 অর্থ: “হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত। তিনি পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দরজা মুবারক ধরে বলেছেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, সাবধান! আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন, তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম উনার কিস্তি বা নৌকার ন্যায়। যে তাতে আরোহণ করবে, সে রক্ষা পাবে। আর যে তা হতে পশ্চাতে থাকবে সে ধ্বংস হবে।” (আহমদ শরীফ, আল মুস্তাদরিক)
 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একবার সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা বসা ছিলেন এমতাবস্থায় সাইয়্যিদুনা হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার  হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে আসলেন। তিনি বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছূরত মুবারকে এসেছিলেন।
 উল্লেখ্য যে, হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র ঈমান আনার পর সাইয়্যিদুনা হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম তিনি সাধারণত উনার ছূরত মুবারকে আসতেন। আর হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আদত (অভ্যাস মুবারক) ছিল তিনি যখন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক-এ আসতেন তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের জন্য কিছু হাদিয়া মুবারক নিয়ে আসতেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদেরকে কোল মুবারক-এ নিতেন। যার কারণে উনার সাথে উনাদের আলাদা একটা মুহব্বত মুবারক পয়দা হয়েছিল। সুবহানাল্লাহ! ফলে উনারা দু’জন  উনাকে দেখলেই উনার কাছে চলে যেতেন। হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনাদেরকে খাছভাবে মুহব্বত করতেন যে কারণে উনারাও উনাকে মুহব্বত করতেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৮৬)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:
 যখন সাইয়্যিদুনা হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আসলেন হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছূরত মুবারকে। আর হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে আসলে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা উনার কাছে যেতেন। তাই সাইয়্যিদুনা হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম তিনি আসামাত্র উনারা উনার কাছে যেতে চাচ্ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম তিনি যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে জরুরী কিছু আলোচনা মুবারক করছিলেন আর এ দিকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা উনার কাছে যেতে চাচ্ছিলেন। আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদেরকে ফিরিয়ে রাখছিলেন। এমনিভাবে একবার, দু’বার তিনবার হয়ে গেল। তখন হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা আমার কাছে আসতে চাচ্ছেন, আপনি উনাদেরকে ফিরিয়ে রাখছেন, ব্যাপারটি কি?
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত জিব্রীল  আলাইহিস্ সালাম! আপনিতো হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছূরত মুবারক-এ এসেছেন। আর হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার একটা আদত মুবারক রয়েছেন, তিনি আমার নিকট যখনই আসেন তখনই উনাদের জন্য কিছু হাদিয়া মুবারক নিয়ে আসেন, উনাদেরকে  কোল মুবারক-এ নেন, মুহব্বত মুবারক করেন, উনারাও উনার কাছে যান। আপনাকে দেখে উনারা মনে করেছেন, আপনি হয়তো হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, সেহেতু উনারা আপনার কাছে যেতে চাচ্ছেন। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার বেয়াদবী ক্ষমা করবেন, আমাকে একটু সময় দিন, আমি এখনই আসছি। এটা বলে তিনি বের হয়ে গেলেন, কিছুক্ষণ পর আবার আসলেন আঙ্গুর ফল নিয়ে, আঙ্গুর মুবারকগুলো পেশ করলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের খিদমত মুবারকে, উনারা সেটা গ্রহণ করলেন। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম! আপনি এগুলো এতো তাড়াতাড়ি কোথা থেকে আনলেন? তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনাদের জন্য যে সম্মানিত জান্নাত নির্ধারণ  করে রেখেছেন সে সম্মানিত জান্নাত উনার থেকে এ আঙ্গুর ফল মুবারকগুলো আমি এনেছি। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৮৭)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম আপনার হয়তো কষ্ট হয়েছে, আপনি কিছু মনে করবেন না। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম তিনি বললেন, আপনি বলেন কি, আমি কেন কিছু মনে করবো, আমরা হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালামতো উনাদের খাদিম। সুবহানাল্লাহ!
 কেননা সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা আন্ নূরুর রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনারা যখন ঘুমিয়ে থাকেন, আর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের যখন ঘুম আসেনা গরমের কারণে, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক-এ আমরা হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বাতাস করি ঘুমানোর জন্য। সুবহানাল্লাহ! কাজেই আমরা কেন কিছু মনে করবো? সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম, জিন-ইনসান, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, তরু-লতা, জামাদাত-শাজারাত, হাজারাত যা কিছু রয়েছে সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম’ উনাদেরকে মুহব্বত করা। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সকলেরই নাযাতের কারণ। সেজন্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মুহব্বত করেছেন, তা’যীম, তাকরীম করেছেন, ইজ্জত-সম্মান করেছেন। কাজেই সেটা জিন-ইনসানের উপরেও ফরয করা হয়েছে। এখন যে যতটুকু মুহব্বত মুবারক করবে, সে ততটুকু মর্যাদা লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
 আরো বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম যাঁর প্রস্তাবিত বিষয়ে প্রায় ২২ খানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে সেই সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ছাওয়ানেহ উমরী শরীফ উনাতে বর্ণিত রয়েছে। যখন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিদায় নেন তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার বয়স মুবারক ছিল সাড়ে সাত বছর। আর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার বয়স মুবারক ছিল সাড়ে ছয় বছর। দু’জনের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন জালালী তবিয়ত। আর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন জামালী তবিয়ত। সুবহানাল্লাহ!
 সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৮৮)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:
 হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যিনি ছিলেন বিশিষ্ট ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। পবিত্র কিতাব মুবারক উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, যাঁরা সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা করতেন, সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবার মধ্যে যাঁরা মশহুর রয়েছেন, বেমেছাল রয়েছেন উনাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি। যার জন্য সাইয়্যিদুন হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার শাহাদত মুবারক বরণ করার সময় অনেক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা প্রস্তাব মুবারক দিয়েছিলেন, হে খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, আপনি আপনার পরবর্তী খলীফা হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তয়ালা আনহু উনাকে মনোনীত করুন, উনার যে যোগ্যতা মুবারক রয়েছে, আমল-আখলাক্ব মুবারক রয়েছে তা বেমেছাল। কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্ব আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যেহেতু পবিত্র ইলহাম-ইলক্বা উনার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আগেই ফায়ছালা মুবারক করেছেন, সে ফায়ছালা মুবারক অনুযায়ী তিনি রায় দিয়েছেন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে। সুবহানাল্লাহ!
 সেই সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সাথে চলাচল করতেন, উঠাবসা করতেন। কোন এক প্রসঙ্গে কোন এক কারণে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বলেছিলেন ‘গোলামের ছেলে গোলাম’। এটা শুনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কিছুটা অপ্রস্তুত হলেন। তিনি বিষয়টা খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন উনার যিনি পিতা, উনার কাছে জানালেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি আমাকে বলেছেন, ‘গোলামের ছেলে গোলাম’। এখন এটার একটা ফায়ছালা করার প্রয়োজন রয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, বেশ, ভালো কথা। তিনি বলেছেন, আপনি ফায়ছালা চাচ্ছেন, তাহলে মুখের কথায় তো হবে না। এটা লিখিত আনতে হবে। কাগজে-কলমে থাকতে হবে।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৮৯)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:
 হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার নিকট গিয়ে বললেন, হে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম! আপনি যে আমাকে বলেছেন, ‘গোলামের ছেলে গোলাম’ এটা লিখিত দিতে হবে। আমি খলীফা উনার কাছে ব্যাপারটা পেশ করেছি। তিনি বললেন ঠিক আছে, অসুবিধা নেই, আমি তো বলেছি, আমি লিখিত দিব, তিনি সত্যিই একটা কাগজে লিখে দিলেন, ‘গোলামের ছেলে গোলাম’। সেটা নিয়ে পেশ করা হলো, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার কাছে। তিনি বললেন, ঠিক আছে, এটার যখন ফায়ছালা মুবারক চাওয়া হয়েছে, আমি এটার ফায়ছালা করবো, তবে কবে করা হবে, কোথায় করা হবে, নির্দিষ্ট দিন, তারিখ, সময় ঘোষণা করা হলো। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সকলেই চিন্তিত হলেন ব্যাপারটি নিয়ে। চিন্তিত হলেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি জালালী তবিয়তের, তিনি ইনছাফগার হিসেবে মশহুর, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবী, নবীদের পরে তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব।
একদিকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম, আরেকদিকে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি। সকলেই চিন্তিত হলেন, বিষয়টি কি ফায়ছালা করা হবে? সাইয়্যিদুনা হযরত হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ইনছাফ মুবারক করে থাকেন, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিচার করে থাকেন। তিনি কি বিচার করবেন? নিদিষ্ট স্থান, সময়, তারিখ সব ঘোষণা করেন, হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ লোক সেখানে জমা হয়ে গেলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা, হযরত তাবিয়ীনে কিরাম উনারা যাঁরা ছিলেন সকলেই সেখানে জমা হয়ে গেলেন যে, কি ফায়ছালা মুবারক করা হয় সেটা জানতে হবে। এর কি ফয়ছালা মুবারক রয়েছে। এদিকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি তাশরিফ মুবারক গ্রহণ করলেন। তিনি যখন উপস্থিত হলেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্ব আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করে একটা সম্মানিত স্থানে বসালেন। আর হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন আসলেন উনাকেও বসতে বললেন। লোকজন সকলেই উপস্থিত।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৯০)
৪র্থ হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস:
বিচারের নির্দিষ্ট সময় যখন উপস্থিত হলো, তিনি উনার পকেট থেকে মুবারক কাগজটা বের করলেন যে, একটা মুবারক কাগজ আমার কাছে পেঁৗঁছানো হয়েছে, এ মুবারক কাগজ উনার মধ্যে লিখিত রয়েছে ‘গোলামের ছেলে গোলাম’, মুবারক কাগজটা দিয়েছেন আমার ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনার বক্তব্য হচ্ছে যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে বলেছেন ‘গোলামের ছেলে গোলাম’।
 এ বিষয়ে ফায়ছালার জন্য এ মুবারক কাগজটা আমার নিকট পেশ করা হয়েছে। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, এটা কি আপনি লিখেছেন? তিনি বললেন যে, হ্যাঁ। এটা আমার লিখিত, আমি বলেছি এবং লিখেছি। যখন জিজ্ঞাসা মুবারক করা হলো, জবাব মুবারক নেয়া হলো, বিষয়টা, সবাইকে জানানো হলো যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি বলেছেন এবং লিখেছেন। এটা লোকজন শুনলেন। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন যে, এটা এখন ফায়ছালা করা হবে। কি ফায়ছালা করা হবে? সকলেই তো স্তব্ধ হয়ে গেলেন, মনে হয়েছে যেন বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, সকলেই একদৃষ্টিতে খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার দিকে চেয়ে রয়েছেন যে, এটা তিনি কি ফায়ছালা করেন, এটার কি ফায়ছালা রয়েছে?
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ঘোষণা করলেন যে, এর ফায়ছালা মুবারক হচ্ছে- এই যে মুবারক কাগজ এটাতে লিখিত রয়েছে, ‘গোলামের ছেলে গোলাম।’ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যিনি ইমাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি আমার ছেলেকে বলেছেন, ‘গোলামের ছেলে গোলাম’।
এর অর্থ হচ্ছে খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন  হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন গোলাম। আর উনার ছেলে হচ্ছে ‘গোলামের ছেলে গোলাম’। এর ফায়ছালা মুবারক হচ্ছে, আপনারা সকলেই সাক্ষী থাকুন, আমি আমার যিন্দিগী মুবারক উনার অনেক সময় ব্যয় করেছি, অতিবাহিত করেছি, পূর্ববর্তী যিন্দিগী মুবারক ত্যাগ করেছি, কুফরী যিন্দিগী বাদ দিয়েছি, আমার অতীতের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি যা ছিলো সেটা আমি ত্যাগ করেছি, একাধিক আহালিয়া ছিলো উনাদেরকেও ত্যাগ করেছি মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য ত্যাগ করে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হয়েছি, আমি পবিত্র ও সম্মানিত ঈমান এনেছি, মুসলমান হয়েছি। আমার চাওয়া এবং পাওয়ার বিষয় মুবারক এটাই ছিলো যে, মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

0 Comments: