একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১৯০

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছিল উঁচু স্তরের ইলমে লাদুন্নী। তিনি বদ আক্বীদা পোষণকারী এবং বদ আমলকারী মানুষদের চিনতেন এবং তাদের পরিণামফল জানতেন। উনার মুবারক ক্বওল শরীফ অনুযায়ী তাদের হয়েছে চরম ক্ষতিসাধন

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:

الشيخ لقومه كالنبى فى امته

অর্থ: একজন নবী আলাইহিস সালাম তিনি উনার উম্মতের মাঝে যেমন মুবারক কর্তৃত্ব ও মুবারক মর্যাদার অধিকারী, একজন শায়েখ তিনিও উনার মুরীদের উপর তেমন মুবারক কর্তৃত্ব এবং মুবারক মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র এ হাদীছ শরীফ অনুযায়ী একজন সূক্ষদর্শী মাহবূব শায়েখ উনার মুবারক আদেশ এবং মুবারক নির্দেশনা সর্বতোভাবে মুরীদের জন্য পালনযোগ্য। কারণ তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নায়িব (উত্তরসূরি)। সুবহানাল্লাহ!

সকল অপরাধ, অভিযোগ, সমস্যা-সঙ্কটেরই কোনো না কোনো সমাধান রয়েছে। কিন্তু আপন শায়েখ উনার অসন্তুষ্টিজনিত সমস্যার, অর্থাৎ মুরীদের ভুলত্রæটি, বেয়াদবী গোস্তাখির কোনোই সমাধান নেই। যতোক্ষণ না শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি দয়া করে সংশ্লিষ্ট মুরীদকে ক্ষমা করেন। মুরীদের নিকট আপন শায়েখ উনার মুবারক মর্যাদা, মাক্বাম ও সম্মানিত অবস্থান সবকিছুর আগে এবং সকিছুর উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

আপন শায়েখ উনার দয়া, ইহসান ও ক্ষমা ব্যতীত কোনোক্রমেই উনার অসন্তুষ্টিজনিত ক্ষতি পূরণযোগ্য না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মুরীদ জাহান্নামের বাসিন্দা হয়। নাউযুবিল্লাহ!

একজন হক্কানী শায়েখ তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম। শায়েখ উনাকে কষ্ট দেয়ার অর্থই হলো মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনাকে এবং উনার প্রিয়তম হাবীব রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়া। আর উনাদেরকে কষ্ট দেয়ার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। নাউযুবিল্লাহ!

এ মর্মে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:

ان الذين يؤذون الله ورسوله لعنهم الله فى الدنيا والاخرة واعدلهم عذابا مهينا.

অর্থ: নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে কষ্ট দেয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ইহকাল ও পরকালে লানতগ্রস্ত করবেন এবং তিনি তাদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ৫৭) নাউযুবিল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

والذين يؤذون رسول الله لهم عذاب اليم

অর্থ: নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যারা কষ্ট দেয়, তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ৬১) নাউযুবিল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৫০

0 Comments: