কুরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতে ইমামাহ্ বা পাগড়ীর ফাযায়েল ও আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া ( ৭ নং )


ইমামাহ্ বা পাগড়ীর ফাযায়েল ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ


            সুন্নতের মূর্ত প্রতিক, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলামের নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শেরেকী ও বিদ্য়াতের মুলৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক মূখপত্র- মাসিক আল বাইয়্যিনাতপত্রিকায় যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছুদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ মাসিক আল বাইয়্যিনাতেএমন সব লেখাই পত্রস্থ করা হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ করনে বিশেষ সহায়ক।
            তদ্রুপ মাসিক আল বাইয়্যিনাতে”- ইমামাহ্ বা পাগড়ী মোবারক ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার উদ্দেশ্য বা মাকছুদও ঠিক তাই। কারণ অধিকাংশ মুসলমানই পাগড়ীর সঠিক আহ্কাম ও ফযীলত সম্পর্কে জ্ঞাত নয়। যার ফলে তারা পাগড়ী সম্পর্কিত বিষয়ে সঠিক আক্বীদা পোষণ করতে যেরূপ ব্যর্থ, তদ্রুপ পাগড়ীর ন্যায় একখানা গুরুত্বপূর্ণ ও ফযীলতপূর্ণ দায়িমী সুন্নত পালনেও ব্যর্থ। যা অবশ্যই মহান আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রেজামন্দী হাছিলের ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়।
            স্মরণযোগ্য যে, অনেকেই পাগড়ীর সঠিক আহ্কাম ও ফযীলত না জানার কারণে পাগড়ীকে অবজ্ঞা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে থাকে এবং পাগড়ী পরিহিত ব্যক্তিকে ঠাট্টা বা বিদ্রুপ করে থাকে। অথচ এটা সুস্পষ্ট কুফরীর অন্তর্ভূক্ত। কেননা আক্বাইদের ইমামগণের মতে শুধু পাগড়ী নয় বরং যে কোন সুন্নতের অবজ্ঞাই কুফরীর কারণ। এ প্রসঙ্গে আক্বাইদের কিতাবে উল্লেখ আছে যে, “কদু  খাওয়া সুন্নত। কারণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কদু পছন্দ করতেন এবং খেয়েছেন। তাই কেউ যদি বলে যে, আমি কদু খাওয়া পছন্দ করিনা তবে সে কাফির হয়ে যাবে। কারণ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেটা পছন্দ করেছেন সেটা সে অপছন্দ করলো।
            আর তাই আক্বাইদের কিতাবে লিখা হয় যে, اهانة السنة كفر.
অর্থঃ- সুন্নতের অবজ্ঞা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য কুফরীর অন্তর্ভূক্ত।
            সুতরাং বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে, পাগড়ীর ন্যায় মহান সুন্নতের প্রতি অবজ্ঞা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা নিঃসন্দেহে ঈমান হানীর কারণ। অথচ বান্দার ইবাদত-বন্দেগী বা নেক আমল কবুলযোগ্য হওয়ার জন্যে প্রধানতম শর্ত হচ্ছে- আক্বীদা শুদ্ধ থাকা অর্থাৎ আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার ন্যায় আক্বীদা পোষণ করা। কারণ বিশুদ্ধ আক্বীদা আমল কবুল হওয়ার পূর্ব শর্ত। তাই মহান আল্লাহ্ পাক পবিত্র কালামে পাকে এরশাদ করেন,
والعصر ان الانسان لفى خسر الا الذين امنوا وعملوا الصالحات.
অর্থঃ- আছরের সময়ের কছম! সকল মানুষ ক্ষতিগ্রস্থের মধ্যে, একমাত্র তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে।” (সূরা আছর)
            উপরোক্ত আয়াত শরীফে আল্লাহ্ পাক মানব জাতির ধ্বংস হতে নাযাত পাওয়ার প্রথম উপায় হিসাবে ঈমান (আক্বীদা)কে আখ্যায়িত করেছেন। অতঃপর আমলের প্রশ্ন। কারণ ঈমানহীন ব্যক্তির নেক আমলের কোন মূল্যই আল্লাহ্ পাক-এর নিকট নেই। কাজেই বান্দার জন্যে প্রধানতম ফরজ এই যে, সে সর্ব প্রথম তার ঈমান বা আক্বীদাকে বিশুদ্ধ করবে অর্থাৎ ইসলামের প্রতিটি বিষয়ে, আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ন্যায় আক্বীদা  পোষণ করবে।
            কেননা আক্বীদাগত কারণেই ইসলামে ৭২টি বাতিল ফেরকার আবির্ভাব হয়েছে। যদিও তাদের কথাবার্তা, চাল-চলন, ছূরত-সীরত ইত্যাদি বাহ্যিক দৃষ্টিতে অনেক ক্ষেত্রেই মুসলমানের ন্যায় বা ইসলামসম্মত, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা ইসলামের মৌলিক বিষয়ে ইসলাম তথা কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, ইজ্মা ও ক্বিয়াস অর্থাৎ আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার সম্পূর্ণ বিপরীত আক্বীদা পোষণ করে থাকে, যা সুস্পষ্ট কুফরী।
            যেমন- ক্বদরিয়া সম্প্রদায়- তারা তক্বদীরকে অবিশ্বাস করে, অথচ তক্বদীরের উপর ঈমান আনা ফরজ।
খারিজী সম্প্রদায়- তাদের আক্বীদা হলো, হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদিয়াল্লাহু আনহুমগণ কাফির। (নাউযুবিল্লাহ্), অথচ হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদিয়াল্লাহু আনহুমগণের প্রতি সুধারণা পোষণ করা ঈমানের অঙ্গ বা ফরজ।
রাফিজী বা শিয়া সম্প্রদায়- তাদের আক্বীদা মতে শিয়াদের ইমামদের মর্যাদা নবী-রাসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের চেয়েও বেশী, বর্তমান কুরআন শরীফ পরিবর্তীত, হযরত আলী রদিয়াল্লাহু আনহু ব্যতীত খোলাফা-ই-রাশেদীনের সকলেই মুরতাদ। (নাউযুবিল্লাহ)
মুশাব্বিহা বা মুনাব্বিরা সম্প্রদায়ঃ- তাদের আক্বীদা হলো, মহান আল্লাহ্ পাক নূর বা আলোমহান আল্লাহ্ পাক-এর দেহ বা আকার-আকৃতি রয়েছে। অথচ মহান আল্লাহ্ পাক উল্লিখিত সকল বিষয় থেকেই সম্পূর্ণ বেনিয়াজ ও পবিত্র।
            অনুরূপ বর্তমান যামানার ভয়ঙ্কর ফিৎনা- কাদিয়ানী সম্প্রদায়, তাদের আক্বীদা হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ নবী নন, তাঁর পর আরো নবী পৃথিবীতে আসবে, তাই তারা গোলাম কাদিয়ানীকে নবী বলে বিশ্বাস করে, যা অকাট্য কুফরী।
            অথচ তারা প্রত্যেকেই বাহ্যিক দৃষ্টিতে নামাজ, রোযা, হজ্ব, যাকাতের কথা বলে, টুপি, কোর্তা, পাগড়ী পরিধান করে। এতকিছুর পরও তারা আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মোতাবেক কাফির বা অমুসলিম। কারণ তাদের উপরোক্ত আক্বীদাসমূহ সম্পূর্ণই কুফরী।
            আর এদের প্রসঙ্গেই হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে যে,
ستفترق امتى على ثلاث وسبعين فرقة كلهم فى النار الا ملة واحدة قيل من هى يارسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما انا عليه واصحابى.
অর্থঃ- অতি শীঘ্রই আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত সকল দল জাহান্নামে যাবে। জিজ্ঞাসা করা হলো- যে দলটি (নাযাত পাবে) সেটা কোন দল? ইয়া রসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে (মত-পথের) উপর আমি এবং আমার ছাহাবা-ই-কিরাম রদিয়াল্লাহু আনহুমগণ রয়েছি, তার উপর যাঁরা থাকবে, তাঁরাই সেই নাযাত প্রাপ্ত দল।” (আহ্মদ, আবু দাউদ, মিশকাত, মিরকাত, লুময়াত, আশয়াতুল লুময়াত, শরহুত্ ত্বীবী, তালীকুছ ছবীহ্, মুযাহিরে হক্ব)
            উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এটা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হলো যে, ইসলামের  যেকোন আমলই করা হোক না কেন এবং যে কেউই করুক না কেন, তা যদি আক্বীদা শুদ্ধ রেখে শরীয়ত সম্মতভাবে করা হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য। আর যদি আক্বীদার মধ্যে কোন ত্রুটি থাকে, তবে তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। যেমন- খারিজী, রাফিজী, কাদিয়ানী ইত্যাদি সম্প্রদায় পরিত্যাজ্য ও বাতিল।
            অতএব, প্রতিটি মুসলমানকেই পাগড়ী সম্পর্কিত বিষয়ে সঠিক বা বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করতে হবে। কোন ভাবেই পাগড়ীকে অবজ্ঞা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা যাবেনা।
দ্বিতীয়তঃ অনেকেই অজ্ঞতা হেতু বলে থাকে যে, পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী সুন্নত নয় বরং শুধুমাত্র নামাজের মধ্যে পরিধান করলেই চলে। আবার কেউ কেউ সুন্নত স্বীকার করলেও নামাজের মধ্যে পাগড়ী পরিধান করার সুন্নত ও ফযীলতকে অস্বীকার করে থাকে।
            অথচ তাদের উল্লিখিত বক্তব্য শুধু শরীয়ত বিরোধীই নয় বরং মনগড়া, অজ্ঞতামূলক ও বিভ্রান্তিকরও বটে। কারণ পাগড়ী পরিধান করা নামাজের বাইরে ও ভিতরে উভয় অবস্থায়ই সুন্নত ও ফযীলতের কারণ। যেমন, নামাজের বাইরে পাগড়ী পরিধান করা সুন্নত হওয়ার ব্যাপারে হাদীস শরীফের সহীহ্ কিতাব তিরমিযী শরীফেরহাশিয়ায় উল্লেখ আছে, ان لبس العمامة سنة.
অর্থঃ- নিঃসন্দেহে পাগড়ী পরিধান করা (দায়িমী) সুন্নত।”(হাশিয়ায়ে শামাইলুত্ তিরমিযী/৮)
            আর নামাজের মধ্যে পাগড়ী পরিধান করার ফযীলত সম্পর্কে উক্ত কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে যে,
ان ركعتين مع العمامة افضل من سبعين ركعة بدونها.
অর্থঃ- নিশ্চয়ই পাগড়ী পরিধান করে দুরাকায়াত নামাজ আদায় করা, পাগড়ী ছাড়া ৭০ রাকায়াত নামাজ আদায় করার চেয়ে অধিক ফযীলতপূর্ণ।” (হাশিয়ায়ে শামাইলুত্ তিরমিযী/৮)
            পাগড়ীর উল্লিখিত ফযীলত থেকে যেন উম্মত মাহরুম না হয় সে জন্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উম্মতদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে,
فاعتموا فان العمامة سيماء الاسلام وهى الحاجز بين المسلمين والمشركين.
অর্থঃ- তোমরা পাগড়ী পরিধান কর। নিশ্চয়ই পাগড়ী ইসলামের নির্দশন এবং তা মুসলমান ও মুশরিকদের মাঝে পার্থক্যকারী।” (যুরকানী ৬ষ্ঠ জিঃ, ২৭২ পৃষ্ঠা, উমদাতুলক্বারী, ২১ জিঃ, ৩০৮ পৃষ্ঠা, খছাইলে নববী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৭৮ পৃষ্ঠা, তুহ্ফাতুল আহওয়াযী ৫ম জিঃ, ৪১২ পৃষ্ঠা)
            সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো এরশাদ করেন যে,
عليكم بالعمائم فانها سيماء الملئكة.
অর্থঃ- তোমাদের জন্যে পাগড়ী অবধারিত, কেননা তা ফেরেশ্তাগণের নিদর্শন স্বরূপ।” (মিশকাত শরীফ/৩৩৭, ফাইদুল ক্বদীর ৪র্থ জিঃ, ৪৫৪ পৃষ্ঠা, শুয়াবুল ঈমান লিল বাইহাক্বী ৫ম জিঃ, ১৭৬ পৃষ্ঠা)
            অতএব, সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হলো যে, পাগড়ী পরিধান করা যেরূপ দায়িমী সুন্নত। তদ্রুপ অশেষ ফযীলত লাভেরও কারণ। নামাজের সময় যেরূপ পাগড়ী পরিধান করা সুন্নত, নামাজের বাইরেও তদ্রুপ পাগড়ী পরিধান করা সুন্নত। অর্থাৎ পাগড়ী পরিধান করা হচ্ছে- দায়িমী বা সার্বক্ষণিক সুন্নত।
            এছাড়াও পাগড়ী সম্পর্কিত বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য মাসিক আল বাইয়্যিনাতের অগণিত পাঠকের পক্ষ হতে প্রেরিত অসংখ্য চিঠিও পাগড়ী ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়েফতওয়া দেয়ার একটি কারণ।
            কেননা মহান আল্লাহ্ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফে এরশাদ করেন,
فاسئلوا اهل الذكر ان كنتم لاتعلمون.
অর্থঃ- যদি তোমরা না জান, তবে আহ্লে যিকির বা হক্কানী আলেমগণের নিকট জিজ্ঞাসা করো।” (সূরা নহল/৪৩ ও আম্বিয়া/৭) অর্থাৎ তোমরা যারা জাননা বা দ্বীনের ব্যাপারে জ্ঞান রাখনা, তারা যাঁরা জানেন, তাঁদের নিকট জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও।
            অতএব, যাঁরা জানেন, তাঁদের পবিত্র দায়িত্ব হলো- প্রশ্নকারীর প্রশ্নের শরীয়তসম্মত জাওয়াব প্রদান করা। কারণ যারা জানা থাকা সত্ত্বেও প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাব প্রদান হতে বিরত থাকবে, তাদের জন্যে কঠিন শাস্তির কথা হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে। যেমন আখিরী রসূল, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন,
من سئل عن علم علمه ثم كتمه الجم يوم القيامة بلجام من النار.
অর্থঃ- যাকে দ্বীন সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করা হয়, জানা থাকা সত্ত্বেও যদি সে তা গোপন করে অর্থাৎ জবাব না দেয়, তবে ক্বিয়ামতের দিন তার গলায় আগুণের বেড়ী পরিয়ে দেয়া হবে।” (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্, আহ্মদ, মিশকাত, বযলুল মাজহুদ, উরফুশ্ শাযী, তুহ্ফাতুল আহ্ওয়াযী, মায়ারিফুস্ সুনান, মিরকাত, শরহুত্ ত্বীবী, তালীকুছ্ ছবীহ্, আশয়াতুল লুময়াত, মুযাহিরে হক্ব, মিরআতুল মানাজীহ্ ইত্যাদি)
            অন্য হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, “তার জ্বিহ¡া আগুণের কেঁচি দ্বারা কেটে দেয়া হবে।
            কাজেই উপরোক্ত হাদীস শরীফে যে ভয়াবহ শাস্তির কথা বলা হয়েছে, তার থেকে বাঁচার জন্যে অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক ও তাঁর রসূল, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ সন্তুষ্টি হাছিল করার লক্ষ্যে এবং বিদ্য়াতীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ যেন পাগড়ী সম্পর্কিত বিষয়ে কুফরী আক্বীদা পোষণ না করে অর্থাৎ পাগড়ীর ন্যায় মহান সুন্নতকে যেন অবজ্ঞা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য না করে এবং তাদের প্ররোচনায় যেন এ মহান সুন্নত ত্যাগ করতঃ অশেষ ফযীলত ও রেজায়ে মাওলা অর্জনে ব্যর্থ না হয় বরং পাগড়ী সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়ে সঠিক ও সহীহ্ আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং পাগড়ীর ন্যায় অশেষ ফযীলতপূর্ণ সুন্নত পালন করে মহান আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ রেজামন্দী হাছিল করতে পারে। সে জন্যেই মসিক আল বাইয়্যিনাতেপাগড়ী মোবারক ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া প্রকাশ করা হলো।
            এখানে বিশেষভাবে স্মরণীয় এই যে, আমাদের সাথে কারো যেরূপ বন্ধুত্ব নেই, তদ্রুপ নেই বিদ্বেষ। অর্থাৎ যাদের আক্বীদা ও আমল শরীয়তসম্মত, তাদের সাথে আমাদের কোন প্রকার বিদ্বেষ নেই। আর যাদের আক্বীদা ও আমল শরীয়তের খেলাফ বা বিপরীত, তাদের সাথে আমাদের কোন প্রকার বন্ধুত্ব নেই। কারণ বন্ধুত্ব বা বিদ্বেষ একমাত্র আল্লাহ্ পাক-এর জন্যেই হতে হবে।
            এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে,
من احب لله وابغض لله واعطى لله ومنع لله فقد استكمل الايمان.
অর্থঃ- যে ব্যক্তি আল্লাহ্ পাক-এর (সন্তুষ্টি লাভের) জন্যে মুহব্বত বা বন্ধুত্ব করে, বিদ্বেষ পোষণ করে, আদেশ করে, নিষেধ করে, তার ঈমান পরিপূর্ণ।” (আবূ দাউদ, তিরমিযী, বযলুল মাজহুদ, উরফুশ্ শাযী, তুহ্ফাতুল আহ্ওয়াযী, মায়ারিফুস্ সুনান, মিশকাত, মিরকাত, শরহুত্ ত্বীবী, তালীকুছ্ ছবীহ্, মুযাহিরে হক্ব, লুময়াত, মিরআতুল মানাজীহ্ ইত্যাদি)
            বস্তুতঃ মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার প্রতিটি লেখা, বক্তব্য, সুওয়াল-জাওয়াব, ফতওয়া, প্রতিবাদ, প্রতিবেদন, মতামত ইত্যাদি সবই উপরোক্ত হাদীস শরীফের মূলনীতির ভিত্তিতেই প্রকাশিত হয়ে থাকে।
            কাজেই মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায়” “পাগড়ী ও তার  সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্র্কে  সঠিক, বিশুদ্ধ ও শরীয়তসম্মত ফায়সালা প্রদান করার মুল মাকছুদ হলো- সত্যান্বেষী বা হক্ব তালাশী সমঝদার মুসলমানগণের নিকট সত্য বা হক্ব বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা। যেন প্রত্যেকেই পাগড়ী সম্পর্কে অবগত হতে পারে এবং সুন্নত মোতাবেক আমল করে ইহ্লৌকিক ও পারলৌকিক এত্মিনান ও নাযাত লাভ করতে পারে।
            মূলতঃ মানুষ মাত্রই ভুল হওয়া স্বাভাবিক, তাই এক মুমিন অপর মুমিনের ভুল ধরিয়ে দেয়া ঈমানী আলামত। কারণ হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে যে, المؤمن مرأة المؤمن.
অর্থঃ- এক মুমিন অপর মুমিনের জন্যে আয়না স্বরূপ।” (আবূ দাউদ শরীফ, বযলুল মাজহুদ)
            এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে যে, আমীরুল মুমিনীন, হযরত ওমর ইবনুল খত্তাব রদিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় খিলাফতকালে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রীতিনীতি প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে সমবেত আনছার এবং মুহাজির রদিয়াল্লাহু আনহুমগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যদি আমি দ্বীনের হুকুম-আহ্কামকে সহজতর করার উদ্দেশ্যে শরীয়ত বিরোধী কোন আদেশ দান করি, তবে তোমরা কি করবে?” উপস্থিত লোকেরা নীরব রইল। হযরত ওমর ইব্নুল খত্তাব রদিয়াল্লাহু আনহু দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বার একই কথার পূণরাবৃত্তি করলেন। তখন হযরত বশীর ইব্নে সাঈদ রদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, “যদি আপনি এরূপ করেন, তবে আমরা আপনাকে এরূপ সোজা করবো, যেরূপ তীরকে সোজা করা হয়।এ কথা শুনে হযরত ওমর ইবনুল খত্তাব রদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, “তোমরাই আমার প্রকৃত বন্ধু, দ্বীনের কাজে সাহায্যকারী।” (আওয়ারিফুল মাআরিফ)
            অতএব, পাগড়ী সম্পর্কিত বিষয়ে যারা ফিৎনা বা বিভ্রান্তিতে রয়েছে, তাদের সে ফিৎনা ও বিভ্রান্তি নিরসন করা ও উপরোক্ত হাদীস শরীফের মেছদাক হওয়াই মাসিক আল বাইয়্যিনাতে পাগড়ী সম্পর্কিত ফতওয়া প্রকাশ করার মূল কারণ।    
            বস্তুতঃ পাগড়ী পরিধান করা যদিও সুন্নততবে সুন্নতের অনুসরণই মহান আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ সন্তুষ্টি হাছিলের একমাত্র মাধ্যম। কেননা মহান আল্লাহ্ পাক পবিত্র কালামে পাকে এরশাদ করেছেন,
قل ان كنتم تحبون الله فاتبعونى يحببكم الله ويغفرلكم ذنوبكم والله غفور رحيم.
অর্থঃ- হে হাবীব! (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলুন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ্ পাক-এর ভালবাসা চাও তবে আমাকে (আমার সুন্নতকে) অনুসরণ কর তবেই আল্লাহ্ পাক তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের সকল গুণাহ্-খতা ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ্ পাক ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” (সূরা আলে ইমরান/৩১)
            আর উক্ত আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় হাদীসে কুদসীতেএরশাদ হয়েছে,
لايزال العبد يتقرب الى بالنوافل حتى احبه.
অর্থঃ- মহান আল্লাহ্ পাক বলেন, আমার বান্দারা নফল অর্থাৎ সুন্নত বা মুস্তাহাব আমলের দ্বারা আমার এতটুকু নৈকট্য বা সন্তষ্টি হাছিল করে যে, স্বয়ং আমি আল্লাহ্ পাক তাকে মুহব্বত করি বা ভালবাসি।
            অতএব, বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে, পাগড়ীর আমলের দ্বারা বান্দা অবশ্যই মহান আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ রেজামন্দী লাভ করতে পারবে। কারণ পাগড়ী আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নতসমূহের মধ্যে একখানা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও অশেষ ফযীলতপূর্ণ সুন্নত।

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ইমামাহ্ বা পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী সুন্নত হওয়ার বিস্তারিত
নির্ভরযোগ্য ও অকাট্য দলীল-আদিল্লাসমূহ

গত কয়েক সংখ্যার আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হলো যে, খোলাফা-ই-রাশিদীন রদিয়াল্লাহু আনহুমসহ সকল ছাহাবা-ই-কিরাম রদিয়াল্লাহু আনহুম এবং চার মাযহাব ও চার তরীক্বার ইমামসহ সকল আওলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নতসমূহ বা আদেশ-নিষেধসমূহ সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পালন করতেন। তাই বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে, ইমামাহ্ বা পাগড়ীর ক্ষেত্রেও তাঁরা আখিরী রসূল, নূরে মুজাস্সাম, শাফিউল মুযনিবীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই অনুসরণ-অনুকরণ করতেন। অর্থাৎ হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদিয়াল্লাহু আনহুম ও হযরত আওলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ দায়িমীভাবে পাগড়ী পরিধান করতেন।
অথচ আজকাল অনেকেই পীর, ছুফী, দরবেশ, মুফতী, মুহাদ্দিস, মুফাস্সির, আল্লামা, আশেকে রসূল কত কি দাবি করে। কিন্তু পাগড়ীদায়িমীভাবে পরিধান করাতো দূরের কথাই নামাযের সময়ও পরিধান করেনা।
            অথচ পাগড়ী পরিধান করা হচ্ছে, আখিরী নবী ও রসূল, দোজাহানের বাদশাহ্, ফখরে মওজুদাত, সরকারে কায়েনাত, নূরে মুজাস্সাম হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ তথা দায়িমী সুন্নত। শুধু তাই নয় পূর্ববর্তী সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ সকলেই পাগড়ী পরিধান করেছেন এবং মহান আল্লাহ্ পাক-এর ফেরেশ্তাগণও দায়িমীভাবে পাগড়ী পরিধান করে থাকেন।
            অতএব, পাগড়ী পরিধান করা ফেরেশ্তাগণের সুন্নত, সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের সুন্নত, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ সুন্নত, হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদিয়াল্লাহু আনহুমগণের সুন্নত ও হযরত আওলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের সুন্নত। তাঁরা প্রত্যেকেই দায়িমী বা সার্বক্ষণিকভাবে অর্থাৎ অধিকাংশ সময় পাগড়ী পরিধান করেন বা করতেন।
নিম্নে উল্লিখিত বিষয়ে পর্যায়ক্রমে ও বিস্তারিতভাবে নির্ভরযোগ্য ও অকাট্ট দলীল-আদিল্লাসমূহ উল্লেখ করা হলো-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দায়িমী বা সার্বক্ষণিকভাবে ইমামাহ্ বা পাগড়ী পরিধান করতেন
            সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে ইমামাহ্ বা পাগড়ী দায়িমী বা সার্বক্ষণিক ভাবে পরিধান করতেন সে বিষয়ে গত সংখ্যায় ৯৬ থেকে ১২০ নম্বর দলীল অর্থাৎ ২৪টি অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীল উল্লেখ করা হয়েছে। বাকী দলীলগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,রহমতুল্লিল আলামীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুস্থাবস্থায় ইমামাহ্ বা পাগড়ী মোবারক
            সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্থাবস্থায় কখনো পাগড়ী পরিধান করা পরিত্যাগ করেননি। এমনকি যখন তিনি অসুস্থ থাকতেন, তখন যদি পাগড়ী পরিধান করতে কষ্ট অনুভব হত, তবুও পাগড়ীর পরিবর্তে মাথায় কাপড়ের টুকরা বা পট্টি বেঁধে নিতেন। এরদ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্থাবস্থায় সর্বদাই ইমামাহ্ বা পাগড়ী মোবারক পরিধান করতেন। এ সম্পর্কিত দলীল-আদিল্লাসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
[১২১-১৩৮]
عن ابن رضى الله عنهما قال كان النبى صلى الله عليه وسلم اذا اعتم سدل عمامته بين كتفيه- (ترمذى الجلد الاول ص ২০৭- تحفة الاحوذى المجلد الخامس ص ৪১১- عارضة الاحوذى الجزء السابع ص ২৪৩- شمائل الترمذى ص ৯- جمع الوسائل الجزء الاول ص ২০৬- المواهب اللدنية على الشمائل المحمدية ص ১০১- شمائل بشرح المناوى الجلد الاول ص ২০৪- خصائل نبوى صلى الله عليه وسلم ص ৯৩- مشكوة ص ৩৭৪- مرقاة الجلد التامن ص ২৪৯- شرح الطيبى الجلد الثامن ص ২১৬- التعليق الصبيح الجزء الرابع ص ৩৮৮- اشعة اللمعات الجلد الثالث ص ৫৪৪- مظاهر حق جلد سوم ص ৫৩৪- فتح البارى الجلد العاشر ص ২৭৩- فتح البارى الجلد الحادى والعشرون ص ৩০৭- ارشاد السارى الجلد الثامن ص ৪২৮- نيل الاوطار الجلد الثانى ص ১১১)
অর্থঃ- হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর রদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন পাগড়ী মোবারক পরতেন তখন তাঁর পাগড়ীর শামলা উভয় কাঁধের মাঝে ঝুলিয়ে রাখতেন।” (তিরমিযী ১ম জিঃ ২০৭ পৃষ্ঠা, তুহ্ফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম জিঃ ৪১১ পৃষ্ঠা, আরিদাতুল আহ্ওয়াযী ৭ম খন্ড ২৪৩ পৃষ্ঠা  শামাইলুত্ তিরমিযী ৯ পৃষ্ঠা, জামউল ওয়াসাইল ১ম খন্ড ২০৬ পৃষ্ঠা, আল মাওয়াহিবুল্ লাদুন্নিয়া আলাশ্ শামাইলি মুহম্মদিয়া ১০১পৃষ্ঠা, শামাইলু বি শরহিল মানাবী ১ম জিঃ ২০৪ পৃষ্ঠা, খছাইলে নববী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৯৩ পৃষ্ঠা, মিশকাত ৩৭৪ পৃষ্ঠা, মিরকাত ৮ম জিঃ ২৪৯ পৃষ্ঠা, শরহুত্ তীবী ৮ম জিঃ ২১৬ পৃষ্ঠা, আত্-তালীকুছ ্ছবীহ্ ৪র্থ খন্ড ৩৮৮ পৃষ্ঠা, আশয়াতুল লুময়াত ৩য় জিঃ ৫৪৪ পৃষ্ঠা, মুযাহিরে হক্ব ৩য় জিঃ ৫৩৪ পৃষ্ঠা, ফতহুল বারী ১০ জিঃ ২৭৩ পৃষ্ঠা, ফতহুল বারী ২১জিঃ ৩০৭ পৃষ্ঠা,  ইরশাদুস্ সারী ৮ম জিঃ, ৪২৮ পৃষ্ঠা, নাইলুল আউতার ২য় জিঃ ১১১ পৃষ্ঠা)
[১৩৯-১৪১]
روى الطبرانى فى الاوسط من حديث ثوبان رضى الله عنه ان النبى صلى الله عليه وسلم كان اذا اعتم ارخى عمامته بين يديه ومن خلفه (عمدة القارى الجزء الحادى والعشرون ص ৩০৭- تحفة الاحوذى الجلد الخامس ص ৪১২)
অর্থঃ- আল্লামা তিবরানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর আওসাতগ্রন্থে হযরত সাওবান রদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন যে, “নিশ্চয়ই নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন পাগড়ী মোবারক পরতেন তখন তার এক প্রান্ত (শামলা) সামনে এবং অপরপ্রান্ত (শামলা) পিছনে ঝুলাতেন।” (উমদাতুল কারী ২১ খন্ড ৩০৭ পৃষ্ঠা, তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম জিঃ, ৪১২ পৃষ্ঠা)
[১৪২]
عن جعفربن عمروبن حريث عن ابيه قال كانى انظر الى رسول الله صلى الله عليه وسلم وعليه عمامة سوداء قد ارخى طرفيها بين كتفيه (ابن ماجة ص ২৬৪-২০৮)
অর্থঃ- হযরত জাফর ইবনে আমর ইবনে হুরাইস রদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমি রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কালো পাগড়ী মোবারক পরিহিত অবস্থায় দেখেছি। যখন তার দুপ্রান্ত (শামলা) তাঁর দুকাঁধের মধ্যবর্তীস্থানে ঝুলন্ত ছিল।” (ইবনে মাজাহ্ ২০৮ ও ২৬৪  পৃষ্ঠা)
[১৪৩-১৪৫]
عن جعفربن عمروبن حريث عن ابيه قال رايت على النبى صلى الله عليه وسلم عمامة حرقانية (نسائى شريف الجلد الثانى ص ২৯৯- نسائى بشرح السيوطى الجزء الثامن ص ২১১. السنن الكبرى للنسائى الجزء الخامس ص ৪৯৮)
অর্থঃ- হযরত জাফর ইবনে আমর ইবনে হুরাইস রদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হারকানী রং (অর্থাৎ কালো রং) এর পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় দেখেছি।” (নাসায়ী শরীফ ২য় জিঃ ২৯৯ পৃষ্ঠা, নাসায়ী বি শরহিস্ সুয়ূতী ৮ম খন্ড ২১১ পৃষ্ঠা, আস্সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ৫ম খন্ড ৪৯৮ পৃষ্ঠা)
[১৪৬-১৬২]
عن ابى سعيدء الخدرى رضى الله عنه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا استجد ثوبا سماه باسمه اما قميص اوعمامة ثم يقول اللهم لك الحمد انت كسوتنيه اسألك من خيره وخير ما صنع له واعوذ بك من شره وشر ما صنع له. (ابو داؤد الجلد الثانى ص ২০২- بذل المجهود المجلد السادس ص ৩৯- عون المعبود الجلد الرابع ص ৭৪- ترمذى الجلد الاول ص ২০৯- تحفة الاحوى المجلد الخامس ص ৪৬০- عارضة الاحوذى الجزء السابع ص ২৬৭- شمائل الترمذى ص ৬- جمع الوسائل الجزء الاول ص ১৩৯- بشرح المناوى شمائل الجزء الاول ص ১৩৯- خصائل نبوى صلى الله عليه وسلم ص ৫২- مسند احمد بن جنبل الجلد الثالث ص ৩০، ৫০- مشكوة ص ৩৭৫- مرقاة الجلد الثامن ص ২৫২- شرح الطيبى الجلد الثامن ص ২১৭- التعليق الصبيح الجزء الرابع ص ৩৮৯- اشعة اللمعات الجلد الثالث ص ৫৪৫- مظاهر حق جلد سوم ص ৫৩৫-
অর্থঃ- হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন। রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নতুন কাপড় পরিধান করতেন। তখন তার নাম জামা অথবা পাগড়ী ইত্যাদি উল্লেখ করে এই দোয়া পাঠ করতেন।
اللهم لك الحمد انت كسوتنيه اسألك من خيره وخير ما صنع له واعوذ بك من شره وشر ما صنع له.
অর্থঃ- আয় আল্লাহ্! সমস্ত প্রশংসা আপনারই, আপনিই আমাকে এই কাপড় পরিধান করিয়েছেন। আমি আপনার কাছে ইহার কল্যাণ এবং ঐ সমস্ত কল্যাণ কামনা করছি, যে উদ্দেশ্যে ইহাকে তৈরি করা হয়েছে। অনুরূপভাবে ইহার অকল্যাণ এবং ঐ সমস্ত অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যে উদ্দেশ্যে উহা তৈরি করা হয়েছে।” (আবু দাউদ ২য় জিঃ ২০২পৃষ্ঠা, বযলুল মাজহুদ ৬ষ্ঠ জিঃ ৩৯ পৃষ্ঠা, আউনুল মাবুদ ৪র্থ জিঃ ৭৪ পৃষ্ঠা, তিরমিযী শরীফ ১ম জিঃ ২০৯পৃষ্ঠা, তুহ্ফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম জিঃ ৪৬০ পৃষ্ঠা, আরিদাতুল আহ্ওয়াযী ৭ম খন্ড ২৬৭ পৃষ্ঠা, শামাইলুত্ তিরমিযী ৬পৃষ্ঠা, জামউল ওয়াসাইল ১ম খন্ড ১৩৯ পৃষ্ঠা, শামাইল বি শরহিল্ মানাবী ১ম খন্ড ১৩৯ পৃষ্ঠা, খছাইলে নববী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫২ পৃষ্ঠা, মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৩য় জিঃ ৩০,৫০ পৃষ্ঠা, মিশকাত ৩৭৫ পৃষ্ঠা, মিরকাত ৮ম জিঃ ২৫২ পৃষ্ঠা, শরহুত তীবী ৮ম জিঃ ২১৭ পৃষ্ঠা, আত্ তালিকুছ ছবীহ্ ৪র্থ খন্ড ৩৮৯ পৃষ্ঠা, আশ্য়াতুল্ লুময়াত ৩য় জিঃ ৫৪৫ পৃষ্ঠা, মুযাহিরে হক্ব ৩য় জিঃ ৫৩৫ পৃষ্ঠা)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, শাফিউল উমাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অসুস্থাবস্থায় ইমামাহ্ বা পাগড়ী
            সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্থাবস্থায় যে রকম দায়িমীভাবে পাগড়ী পরিধান করতেন, তেমনী অসুস্থাবস্থায়ও দায়িমীভাবে পাগড়ী পরিধান করার চেষ্টা করতেন। এমনকি অসুস্থাবস্থায় কাছে যখন পাগড়ী থাকতনা অথবা পাগড়ী বাঁধতে কষ্ট অনুভব হত, তখন পাগড়ীর পরিবর্তে চাদরের প্রান্ত বা কাপড়ের পট্টি (যাকে ম্লম্বব্জব্দব্ধ বলা হয়) মাথায় বেঁধে নিতেন। ইহা থেকে ষ্পষ্ট বুঝা যায় যে, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দায়িমীভাবে পাগড়ী পরিধান করতেন। নিম্নে এসম্পর্কিত দলীল-আদিল্লা সমূহ উপস্থাপন করা হলো-
[১৬৩-১৬৭]
عن هشام بن زيد قال سمعت انس بن مالك يقول مر ابوبكر والعباس رضى الله عنهما بمجلس من مجالس الانصارى وهم يبكون فقال مايبكيكم قالوا ذكرنا مجلس النبى صلى الله عليه وسلم منا فدخل على النبى صلى الله عليه وسلم فاخبره بذلك قال فخرج النبى صلى الله عليه وسلم وقد عصب على راسه حاشية برد- قال فصعد المنبر ولم يصعده بعد ذلك اليوم (بخارى شريف المجلد الاول ص ৫৩৬- فتح البارى المجلد السابع ص ১২০- عمدة القارى الجزء السادس عشر ص ২৬৫- ارشاد السارى المجلد السادس ص ১৫৬- تيسير البارى جلد بنجم ص ১১২)
অর্থঃ- হযরত হিশাম ইবনে যায়েদ রদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আনাস ইবনে মালিক রদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, (হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন অন্তিম পীড়ায় আক্রান্ত তখন) হযরত আবু বকর রদিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহু একদিন আনসারগণের মজলিস গুলোর কোন এক মজলিসের কাছ দিয়ে গমন করেন। তখন তাঁরা (ঐ মজলিসের লোকেরা) কাঁদছিলেন। তখন একজন (এ অবস্থা দেখে হযরত আবু বকর রদিয়াল্লাহু আনহু অথবা হযরত আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহু তাঁদেরকে) জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা কাঁদছেন কেন? তাঁরা জবাবে বললেন, আমাদের সাথে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উঠা-বসা ও মজলিসের কথা আমরা আলোচনা করছিলাম (তাঁর সাথে আর আমাদের উঠা-বসার সৌভাগ্য হবেনা ভেবে আমাদের কান্না এসে গেল।) অতঃপর একজন (হযরত আবু বকর রদিয়াল্লাহু আনহু অথবা হযরত আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহু) নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট যেয়ে এ বিষয়ে খবর দেন। (রাবী হযরত আনাস ইবনে মালিক রদিয়াল্লাহু আনহু বলেন), তখন নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একখানা চাদরের একপ্রান্ত (পাগড়ীর অনুপস্থিতিতে) মাথায় বাঁধা অবস্থায় ঘর থেকে বেড়িয়ে আসলেন এবং মিম্বরে আরোহন করলেন। ঐ দিনের পর তিনি আর মিম্বরে (ওয়াজ করার জন্য) আরোহন করেননি (কেননা এই অসুস্থাবস্থায়ই তিনি ওফাত লাভ করেন)।” (বুখারী শরীফ ১ম জিঃ ৫৩৬ পৃষ্ঠা, ফতহুল বারী ৭ম জিঃ ১২০ পৃষ্ঠা, উমদাতুল ক্বারী ১৬তম জিঃ ২৬৫ পৃষ্ঠা, ইরশাদুস্ সারী ৬ষ্ঠ জিঃ ১৫৬ পৃষ্ঠা, তাইসীরুল বারী ৫ম জিঃ১১২পৃষ্ঠা)
[১৬৮-১৭৩]
عن ابن عباس رضى الله عنهما يقول خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم وعليه ملحفة منعطف بها على منكبيه وعليه عصابة دسماء حتى جلس على المنبر فحمد الله واثنى عليه. (بخارى شريف المجلد الاول ص ৫৩৬- فتح البارى المجلد السابع ص ১২১- عمدة القارى الجزء السادس عشر ص ২৬৬- عمدة القارى الجزء الحادى والعشرون ص ৩০৮- ارشاد السارى المجلد السادس ص ১৫৭- تيسير البارى جلد بنجم ص ১১৩)
অর্থঃ- হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন। একদা রসুলুল্লাহু  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম(তাঁর অন্তিম অসুস্থতা কালে) একখানা চাদর গায়ে জড়িয়ে চাদরের প্রান্তদ্বয় দুঘাড় মোবারকে পেঁচিয়ে এবং মাথা মোবারকে একটি কালো পাগড়ী বেঁধে (ঘর থেকে) বেড়িয়ে এলেন এবং মিম্বরের উপর গিয়ে বসলেন। তারপর তিনি আল্লাহ্র প্রশংসা ও গুনকীর্তণ করলেন। (তৎপর ছাহাবা-ই-কিরাম রদিয়াল্লাহু আনহুম গণের উদ্দেশ্যে নসীহত করলেন)।” (বুখারী শরীফ ১ম জিঃ ৫৩৬ পৃষ্ঠা, ফতহুল বারী ৭ম জিঃ ১২১ পৃষ্ঠা, উমদাতুল ক্বারী ১৬তম জিঃ ২৬৬ পৃষ্ঠা, উমদাতুল ক্বারী ২১তম জিঃ ৩০৮ পৃষ্ঠা, ইরশাদুস্ সারী ৬ষ্ঠ জিঃ ১৫৭ পৃষ্ঠা, তাইসীরুল বারী ৫ম জিঃ ১১৩ পৃষ্ঠা)
[১৭৪-১৭৭]
عن ابن عباس رضى الله عنهما ان النبى صلى الله عليه وسلم خطب الناس وعليه عصابة دسمة او دسماء (مسند احمدبن حنبل الجلد الاول ص ২৩৩- شمائل الترمذى ص ৯- جمع الوسائل الجزء الاول ص ২০৯- حاشية احياء علوم الدين المجلد الثانى ص ৩৭৬)
অর্থঃ- হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (তাঁর অন্তিম অসুস্থাবস্থায়) মানুষদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন, যখন তাঁর মাথা মোবারকে কালো পাগড়ী বাঁধা ছিল।” (মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ১ম জিঃ ২৩৩ পৃষ্ঠা, শামাইলুত্ তিরমিযী ৯পৃষ্ঠা, জামউল ওয়াসাইল ১ম জিঃ ২০৯ পৃষ্ঠা, হাশিয়ায়ে ইহইয়াউ উলুমুদ্দীন ২য় জিঃ ৩৭৬পৃষ্ঠা)
[১৭৮-১৮৩]
قال ابن عباس رضى الله عنهما خرج النبى صلى الله عليه وسلم وعليه عصابة دسماء- وقال انس رضى الله عنه عصب النبى صلى الله عليه وسلم على رأسه حاشية برد. (بخارى شريف الجلد الثانى ص ৮৬৪- فتح البارى المجلد العاشر ص ২৭৩- عمدة القارى الجزء الحادى والعشرون ص ২০৮-৩০৯- ارشاد السارى المجلد الثامن ص ৪২৮- شرح الكرمانى الجزء الحادى والعشرون ص ৬৫- تيسير البارى جلد هفتم ص ৫৪৫)
অর্থঃ- হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেছেন, একদিন নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (অসুস্থাবস্থায়) বাইরে আসলেন। তখন তাঁর মাথা মোবারকে কালো পাগড়ী ছিল। হযরত আনাস রদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপন মাথা মোবারকে চাদরের একপ্রান্ত (পাগড়ীর পরিবর্তে) বেঁধে রেখেছিলেন।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ ৮৬৪ পৃষ্ঠা, ফতহুল বারী ১০ম জিঃ ২৭৩ পৃষ্ঠা, উমদাতুল ক্বারী ২১তম জিঃ ২০৮, ৩০৯ পৃষ্ঠা, ইরশাদুস্ সারী ৮ম জিঃ ৪২৮ পৃষ্ঠা, শরহুল কিরমানী ২১তম জিঃ ৬৫ পৃষ্ঠা, তাইসীরুল বারী ৭ম জিঃ ৫৪৫ পৃষ্ঠা)
[১৮৪-১৮৯]
عن ابن عباس رضى الله عنهما قال صعد النبى صلى الله عليه وسلم المنبر وكان اخر مجلس جلسه متعطفا ملحفة على منكبيه قد عصب رأسه بعصابة دسمة. (بخارى شريف الجلد الاول ص ১২৭- فتح البارى المجلد الثانى ص ৪০৪- عمدة القارى الجزء السادس ص ২২৭- ارشاد السارى المجلد الثانى ص ১৭৫- شرح الكرمانى الجزء السادس ص ৩৭- تيسير البارى جلد دوم ص ৩১)
অর্থঃ- হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন অসুস্থাবস্থায়) নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিম্বরে আরোহন করলেন। আর এটাই ছিল তাঁর শেষ মজলিস, যাতে তিনি বসেছিলেন। তখন তাঁর দুকাঁধের উপর একটি বড় চাদর জড়ানো ছিল এবং মাথা মোবারকে কালো পাগড়ী বাঁধা ছিল।” (বুখারী শরীফ ১ম জিঃ ১২৭পৃষ্ঠা, ফতহুল বারী ২য় জিঃ ৪০৪ পৃষ্ঠা, উমদাতুল ক্বারী ৬ষ্ঠ জিঃ ২২৭ পৃষ্ঠা, ইরশাদুস সারী ২য় জিঃ ১৮৫ পৃষ্ঠা, শরহুল কিরমানী ৬ষ্ঠ জিঃ ৩৭ পৃষ্ঠা, তাইসীরুল বারী ২য় জিঃ ৩১ পৃষ্ঠা)
[১৯০-১৯২)
ربما لم تكن العمامة فيشد العصابة على رأسه (احياء علوم الدين الجلد الثانى ص ৩৮৫- حاشية احياء علوم الدين الجلد الثانى ص ৩৮৬- سيرة الشامى الجلد السابع ص ৩৩০)
অর্থঃ-যখনই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে পাগড়ী থাকতনা, তখনই তিনি তাঁর মাথা মোবারকে পট্টি বা কাপড়ের টুকরা বেঁধে নিতেন।” (ইহইয়াউ উলুমুদ্দীন ২য় জিঃ ৩৭৬ পৃষ্ঠা, হাশিয়ায়ে ইহইয়াউ উলুমুদ্দীন ২য় জিঃ ৩৭৬ পৃষ্ঠা, সীরাতুশ্ শামী ৭ম জিঃ ৩৩০ পৃষ্ঠা)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসারীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, শাফিউল মুযনিবীন,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওযুর সময়ও ইমামাহ্ বা পাগড়ী খুলেননি
            হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দায়িমী বা সার্বক্ষনিকভাবে পাগড়ী পরিধান করতেন। এমনকি তিনি যখন ওযু করতেন, তখনও তাঁর মাথা মোবারকে পাগড়ী শক্তভাবে বাঁধা থাকত। মাথা মোবারক মাসেহ্র সময় পাগড়ীর নীচ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মাসেহ্ করতেন। তবুও পাগড়ী খুলে বা ভেঙ্গে যেত না। তাই প্রমানিত হয় পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী সুন্নত। নিম্নে এ সম্পর্কিত দলীল সমূহ উল্লেখ করা হলো-
 [১৯৩-২০০]
عن انس بن مالك رضى الله عنه قال رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يتوضأ وعليه عمامة قطرية فادخل يده من تحت العمامة فمسح مقدم رأسه فلم ينقض العمامة. (ابو داؤد الجلد الاول ص ২২- بذل المجهود الجلد الاول ص ৮৮- عون المعبود الجزء الاول ص ৫৬- شرح ابى داؤد لبدر الدين العينى المجلد الاول ص ৩৪৬- معالم السنن الجزء الاول ص ৫০- ابن ماجة ص ৪১- فتح المنان الجلد الرابع ص ২৪৭- اخلاق النبى صلى الله عليه وسلم)
অর্থঃ-হযরত আনাস ইবনে মালিক রদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ওযু করতে দেখেছি যখন তাঁর মাথা মোবারকে কাতারের পাগড়ী বাঁধা ছিল। অতঃপর তিনি তাঁর হাত মোবারক পাগড়ীর নীচ দিয়ে প্রবেশ করিয়ে মাথার সম্মুখভাগ মাসেহ করলেন। কিন্তু এতে পাগড়ী ভেঙ্গে যায়নি।” (আবু দাউদ শরীফ ১ম জিঃ ২২ পৃষ্ঠা, বযলুল মাজহুদ ১ম জিঃ ৮৮ পৃষ্ঠা, আউনুল মাবুদ ১ম খন্ড ৫৬ পৃষ্ঠা, শরহু আবী দাউদ লি বদরিদ্দীন আইনী ১ম জিঃ ৩৪৬ পৃষ্ঠা, মায়ালিমুস্ সুনান ১ম খন্ড ৫০ পৃষ্ঠা, ইবনে মাজাহ শরীফ ৪১ পৃষ্ঠা, ফতহুল মান্নান ৪র্থ জিঃ ২৪৭ পৃষ্ঠা, আখলাকুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
[২০১-২০২]
فى حديث ابى داؤد ان النبى صلى الله عليه وسلم مسح على رأسه ولم ينقض العمامة. (فيض البارى شرح بخارى الجلد الاول ص ৩-৩)
অর্থঃ- আবু দাউদ শরীফের হাদীসে রয়েছে যে, নিশ্চয়ই নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (ওযুর সময়) তাঁর মাথা মাসেহ্ করেছেন কিন্তু তাঁর পাগড়ী খুলে যায়নি।” (ফাইদ্বুল বারী শরহে বুখারী ১ম জিঃ ৩০৩ পৃষ্টা)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইমামাহ্ বা পাগড়ীর উপর মাসেহ করেছেন
            উল্লেখ্য যে, নিম্নে বর্ণিত হাদীস শরীফ ও অন্যান্য হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে যে, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওযু করার সময় মোজা ও পাগড়ীর উপর মাসেহ্ করেছেন। কিন্তু আমাদের হানাফী মাযহাবের ফতওয়া মোতাবিক মোজার উপর মাসেহ্ করা জায়েয কিন্তু পাগড়ীর উপর মাসেহ্ করা জায়েয নেই। কেননা হানাফীদের মতে উক্ত আমল পরবর্তীতে মানসুখ হয়ে গেছে। তবে অন্যান্য মাযহাবের ইমামগণের মতে পাগড়ীর উপর মাসেহ্ করাও জায়েয।নিম্নে এসম্পর্কিত বর্ণনা গুলো উল্লেখ করা হলো-
[২০৩-২১০]
عن جعفر بن عمروبن امية رضى الله عنه عن ابيه قال رأيت النبى صلى الله عليه وسلم يمسح على عمامته وخفيه. (بخارى شريف الجلد الاول ص ৩৩- فتح البارى المجلد الاول ص ৩০৮- عمدة القارى الجزء الثالث ص ১০০- ارشاد السارى المجلد الاول ص ২৭৯- شرح الكرمانى الجزء الثالث ص ৫৩- تيسير البارى جلد اول ১৫৬- نيل الاوطار الجلد الاول ص ১৮১- فتح المنان الجلد الرابع ص ২৪৬-
অর্থঃ- হযরত জাফর ইবনে আমর ইবনে উমাইয়া রদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাঁর পাগড়ী এবং মোজার উপর মাসেহ করতে দেখেছি।” (বুখারী শরীফ ১ম জিঃ ৩৩ পৃষ্ঠা, ফতহুল বারী ১ম জিঃ ৩০৮ পৃষ্ঠা, উমদাতুল ক্বারী ৩য় খন্ড ১০০ পৃষ্ঠা, ইরশাদুস্ সারী ১ম জিঃ ২৭৯ পৃষ্ঠা, শরহুল কিরমানী ৩য় জিঃ ৫৩ পৃষ্ঠা, তাইসীরুল বারী ১ম জিঃ ১৫৬ পৃষ্ঠা, নাইলুল আউতার ১ম জিঃ ১৮১ পৃষ্ঠা, ফতহুল মান্নান ৪র্থ জিঃ ২৪৬ পৃষ্ঠা)
[২১১-২১৪]
عن ابن المغيرة بن شعبة عن ابيه قال بكر وقد سمعت من ابن المغيرة ان النبى صلى الله عليه وسلم توضأ فمسح بناصيته وعلى العمامة وعلى الخفين. (مسلم شريف الجلد الاول ص ১৩৪- مسلم بشرح النووى المجلد الثانى ص ১৭৪- شرح الابى والسنوسى الجزء الثانى ص ৯৩- فتح المنان الجلد الرابع ص২৪৬)
অর্থঃ- হযরত ইবনে মুগীরাহ ইবনে শুবাহ রদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, হযরত বকর রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন আমি হযরত ইবনে মুগীরাহ রদিয়াল্লাহু আনহু এর কাছ থেকে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, নিশ্চয়ই নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওযুর সময় মাথার নাছিয়াহ পরিমাণ স্থান (মাথার সম্মুখভাগে এক চতুর্থাংশ), পাগড়ীর উপর এবং মোজা দ্বয়ের উপর মাসেহ্ করেছেন।” (মুসলিম শরীফ ১ম জিঃ ১৩৪পৃষ্ঠা, মুসলিম বি শরহিন নববী ২য় জিঃ ১৭৪ পৃষ্ঠা, শরহুল উবাই ওয়াস্ সিনুসী ২য় জিঃ ৯৩ পৃষ্ঠা, ফতহুল মান্নান ৪র্থ জিঃ ২৪৬ পৃষ্ঠা)
[২১৫-২১৭]
عن ابن المغيرة عن ابيه ان نبى الله صلى الله عليه وسلم مسح على الخفين ومقدم رأسه وعلى عمامته- (مسلم شريف الجلد الاول ص ১৩৪- مسلم بشرح النووى المجلد الثانى ص ১৭৩- شرح الابى والسنوسى الجزء الثانى ص ৯৩)
অর্থঃ- হযরত ইবনে মুগীরাহ্ রদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করে বলেছেন যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক-এর নবী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মোজার উপর, মাথার সম্মুখ ভাগ এবং তাঁর পাগড়ীর উপর মাসেহ্ করেছেন।” (মুসলিম শরীফ ১৩৪, মুসলিম বি শরহিন নববী ২য় জিঃ ১৭৩ পৃষ্ঠা, শরহুল উবাই ওয়াস্ সিনুসী ২য় খন্ড ৯৩ পৃষ্ঠা)
[২১৯]
عن ابى سلام الاسود عن ثوبان انه قال رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم توضأ ومسح على الخفين وعلى الخمار ثم العمامة- (مسند احمد بن حنبل الجلد الخامس ص ২৮১)
অর্থঃ- হযরত আবু সালাম আল-আসওয়াদ রদিয়াল্লাহু আনহু, হযরত সাওবান রদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ওযু করতে দেখেছি, তিনি মোজা এবং পট্টির উপর মাসেহ্ করে অতঃপর পাগড়ীর উপর মাসেহ্ করলেন।” (মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম জিঃ ২৮১ পৃষ্ঠা)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন,
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নামাযের সময়ের
ইমামাহ্ বা পাগড়ী মোবারক
            সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দায়িমীভাবে পাগড়ী পরিধান করতেন। অর্থাৎ নামাযের বাইরে ও নামাযে উভয় অবস্থাতেই তিনি পাগড়ী ব্যবহার করতেন, তন্মধ্যে ঘরে অবস্থান কালে তিন হাত, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে সাত হাত এবং জুমুআ ও দুই ঈদের দিনে বারহাত পাগড়ী ব্যবহার করতেন। নিম্নে তার দলীল-আদিল্লা পেশ করা হল-
[২১৯-২২০]
وكان عمامته صلى الله عليه وسلم فى اكثر الاحيان ثلاثة اذرع شرعية وفى الصلوة الخمس سبعة اذرع (عرف الشذى حاشية ترمذى الجلد الاول ص ৩০৪- الطبرانى)
অর্থঃ- হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অধিকাংশ সময়ের (ঘরের ভিতরে) ব্যবহৃত পাগড়ী ছিল তিন হাত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে ব্যবহার করতেন সাত হাত।” (উরফুশ্ শাযী হাশিয়ায়ে তিরমিযী ১ম জিঃ ৩০৪ পৃষ্ঠা, তাবরানী শরীফ)
[২২১]
وكان عمامة النبى صلى الله عليه وسلم فى عامة الاحيان ثلاثة اذرع شرعية وفى الصلوة الخمس سبعة اذرع وفى الجمع والاعياد وحين الوفود اثنى عشر ذراعا- (اتوار المحمود الجلد الثانى ص ৪৪২)
অর্থঃ-সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অধিকাংশ সময়ের (ঘরের ভিতরে) ব্যবহৃত পাগড়ী ছিল তিন হাত দীর্ঘ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে ব্যবহৃত পাগড়ী ছিল সাত হাত। আর জুমুআ, ঈদের দিন এবং কোন দেশের প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাতের সময় ব্যবহার করতেন বার হাত লম্বা পাগড়ী।” (আনওয়ারুল মাহমুদ ২য় জিঃ ৪৪২ পৃষ্ঠা)
[২২২]
كلام الشيخ محى الدين النووى انها كانت على انحاء ثلاثة أذرع وسبعة واثنتى عشر ........ وتلك الاخيرة كانت للعيدين- (فيض البارى بشرح بخارى الجلد الرابع ص ৩৭৫)
অর্থঃ- হযরত শায়খ মুহিউদ্দীন নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পাগড়ীর পরিমাপ ছিল (১) তিন হাত, (২) সাত হাত ও (৩) বার হাত। উপরোল্লিখিত বার হাত পাগড়ী ঈদের নামাযে ব্যবহার করতেন।” (ফাইদ্বুল বারী শরহে বুখারী ৪র্থ জিঃ ৩৭৫পৃষ্ঠা)
[২২৩-২২৪]
عن جابر رضى الله عنه قال كان للنبى صلى الله عليه وسلم عمامة سوداء يلبسها فى العيدين ويرخيها خلفه- (نيل الاوطار الجلد الثانى ص ১১১- تحفة الاحوذى الجلد الخامس ص ৪১২)
অর্থঃ- হযরত জাবির রদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কালো পাগড়ী ছিল, যা তিনি দুঈদে পরিধান করতেন এবং উহার দুপ্রান্ত (শামলা) পিছনে পিঠের উপর ঝুলাতেন।” (নাইলুল আউতার ২য় জিঃ ১১১পৃষ্ঠা, তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম জিঃ ৪১২পৃষ্ঠা)
(অসমাপ্ত)

0 Comments: