হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ৭৫১-৯২৪) (জ)


সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসামহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ ও উনার অবস্থান স্থল মুবারক:
قال حضرت محمد بن اسحاق رحمة الله عليه حدثنى حضرت محمد بن جعفر بن الزبير رحمة الله عليه عن حضرت عبد الرحمن ابن عويم بن ساعدة رحمة الله عليه قال حدثنى رجال من قومى من أصحاب النبى الله صلى الله عليه وسلم قالوا لما بلغنا مخرج النبى الله صلى الله عليه وسلم من مكة توكفنا قدومه كنا نخرج إذا صلينا الصبح إلى ظاهر حرتنا ننتظر النبى الله صلى الله عليه وسلم فوالله، ما نبرح حتى تغلبنا الشمس على الظلال فاذا لم نجد ظلا دخلنا- وذلك فى أيام حارة-
অর্থ : “হযরত মুহম্মদ ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করেছেন হযরত মুহম্মদ ইবনে জা’ফর ইবনে যুবাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার নিকট হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওয়াম ইবনে সায়িদা রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, নূরে  মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একদল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। উনারা বলেছেন, আমরা যখন পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হিজরত মুবারক উনার খবর জানতে পারলাম, তখন আমরা উনার আগমনের অপেক্ষায় থাকলাম। ফজরের নামায আদায় করার পর ‘হাররা’-এর বাইরে আমরা আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন মুবারক উনার অপেক্ষায় থাকতাম। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! সূর্যতাপ আমাদের অসহ্য না হওয়া পর্যন্ত আমরা ছায়ায় বসে থাকতাম। ছায়া না পেলে আমরা ফিরে যেতাম। আর এটি ছিলো গ্রীষ্মের মওসুম।
حتى إذا كان اليوم الذى قدم فيه رسول الله جلسنا كما كنا نجلس، حتى إذ لم يبق ظل دخلنا بيوتنا وقدم رسول الله صلى الله عليه وسلم حين دخلنا البيوت فكان أول من راه رجل من اليهود فصرخ بأعلا صوته يا بنى قيلة هذا جدكم قد جاء، فخرجنا إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو فى ظل نخلة ومعه حضرت أبوبكر  عليه السلام فى مثل سنه، وأ كثرنا لم يكن رأى سول الله صلى الله عليه وسلم قبل ذلك. وركبه الناس وما يعرفونه من حضرت أبى بكر عليه السلام حتى زال الظل عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقام أبو بكر فأظله بردائه، فعرفناه عند ذلك.
এমনকি যেদিন মুবারকে আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আগমন করেন, সেদিন মুবারক যখন এলো সেদিনও আমরা অন্যান্য দিনের মতো বসে ছিলাম। যখন কোনো ছায়াই আর অবশিষ্ট থাকলো না তখন আমরা নিজ নিজ গৃহে ফিরে গেলাম। আর আমরা যখন ঘরে প্রবেশ করি, তখন আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করেন। জনৈক ইহুদী ব্যক্তি উনাকে সকলের আগে দেখতে পায়। সে উচ্চকণ্ঠে চিৎকার দিয়ে বলে, হে বনূ কারলা (হযরত আনছার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ!) ওই যে, আপনাদের কাঙ্খিত ব্যক্তি তিনি আগমন করেছেন। আমরা আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে ছুটে গেলাম। তিনি তখন খেজুর গাছের ছায়ায় উপবিষ্ট ছিলেন। উনার সঙ্গে ছিলেন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম। দু’জনের বয়স মুবারক প্রায় সমান ছিলো। আমাদের অধিকাংশ লোকজন ইতঃপূর্বে আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেননি। উনার আশেপাশে লোকজনের ভীড় হয়ে যায়। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে লোকজন ফারাক বা পার্থক্য করতে পারছিলেন না। আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে ছায়া সরে গেলে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি উনার চাদর মুবারক দিয়ে আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ছায়া মুবারক দান করেন। এ সময় আমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চিনতে পারি। (বুখারী শরীফ, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া শরীফ)
অন্য বর্ণনায় এসেছে,
عن حضرت أنس بن مالك رضى الله تعالى عنه. قال إنى لأسعى فى الغلمان يقولون جاء حضرت محمد صلى الله عليه وسلم فاسعى ولاأرى شيئا، ثم يقولون جاء حضرت محمد صلى الله عليه وسلم فاسعى ولا أرى شيئا، قال حتى جاء رسول الله صلى الله عليه وصاحبه حضرت أبوبكر عليه السلام. فكمنا فى بعض خراب المدينة، ثم بعثا رجلا من أهل البادية يؤذن بهما الانصار فاستقبلهما زهاء خمسمائة من الانصار حتى انتهوا اليهما فقالت الانصار انطلقا امنين مطاعين. فاقبل رسول الله صلى الله عليه وسلم وصاحبه بين أظهرهم فخرج أهل المدينة حتى أن العواتق لفوق البيوت يتراءينه يقلن أيهم هو، أيهم هو؟ فما رأينا منظرا شبيها به. قال حضرت أنس رضى الله تعالى عنه فلقد رأيته يوم دخل علينا ويوم قبض، فلمأر يومين شبيها بهما
অর্থ: হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমি বালকদের মধ্যে ছুটাছুটি করছিলাম। তারা বলছিলেন, আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসেছেন। আমি ছুটে  গেলাম কিন্তু কিছুই দেখতে পেলাম না। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আগমন করলেন এবং উনার সঙ্গে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম। উনারা দু’জনে অনাবাদ এলাকায় থেমে যান। এরপর দু’জনে জনৈক বেদুঈনকে প্রেরণ করলেন। হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে উনার আগমনের সংবাদ দেয়ার জন্য। পাঁচ শতাধিক হযরত আনছার ছাহাবায়ে  কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ছুটে এসে উনাদের দু’জনকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন। হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, আপনারা নিরাপদে আমাদের বরণীয় রূপে চলুন। আর  আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার সঙ্গী হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাদের সাথে লোকজন এগিয়ে আসেন। পবিত্র মদীনাবাসীগণ নিজ নিজ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। এমনকি কুলশীলা মহিলাগণও ঘরের ছাদে আরোহন করেন, উনাকে দেখে উনারা বলে উঠেন-
ايهم هو ايهم هو
“তিনি কোনজন? তিনি কোনজন?” এমন দৃশ্য মুবারক আমরা (ইত।পূর্বে) কখনো দেখিনি। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি উনাকে যেদিন দেখি তিনি আমাদের মধ্যে প্রবেশ করেন (অর্থাৎ হিজরত মুবারকের দিন) এবং উনার বিছাল শরীফ উনার দিনও দেখেছি। এ দু’দিনের অনুরূপ দিন আমি আর কখনো দেখিনি। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র বুখরী শরীফ ও পবিত্র মুসলিম শরীফ উনার মধ্যে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার থেকে হিজরত প্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- আমরা পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে আগমন করলে লোকেরা ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন, গৃহের ছাদের উপরে উঠেন। শিশুগণ আর খাদিমগণ বলে উঠেন-
الله أكبر جاء رسول الله صلى الله عليه وسلم،
الله أكبر جاء حضرت محمد صلى الله عليه وسلم،
الله أكبر جاء حضرت محمد صلى الله عليه وسلم،
الله أكبر جاء رسول الله صلى الله عليه وسلم.
فلما أصبح انطلق وذهب حيث أمر.
“আল্লাহু আকবার রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসেছেন,
আল্লাহু আকবার নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসেছেন,
আল্লাহু আকবার হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসেছেন,
আল্লাহু আকবার রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসেছেন।”
যখন সকাল হলো তিনি রওয়ানা করেন, যেমনটি উনাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।
قال حضرت البيهقى رحمة الله عليه أخبرنا حضرت أبو عمرو الأ ديب رحمة الله عليه أخبرنا حضرت أبو بكر الاسماعيلى  رحمة الله عليه سمعت أبا خليفة يقول سمعت حضرت ابن عائشة رضى الله تعالى عنه يقول لما قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة جعل النساء والصبيان يقلن:
অর্থ: “হযরত বাইহাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের নিকট সংবাদ দিয়েছেন হযরত আবু আমর আল আদীব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি; উনার নিকট বর্ণনা করেছেন হযরত আবু বকর আল ইসমাইলী রহমতুল্লাহি আলাইহি, আমি শ্রবণ করেছি হযরত আবু খলীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে। তিনি বলেন, আমি শ্রবণ করেছি হযরত ইবনে আয়িশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে। তিনি বলেছেন, যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে আগমন করলেন তখন নারী এবং শিশুগণ বলে উঠলেন-
طلع البدر علينامن ثنيات الوداع
وجب الشكر عليناما دعا لله داع
উচ্চারণ : ত্বলাআল বাদরু আলাইনা
মিং ছানিয়াতিল ওয়াদাই,
ওয়াজাবাশ শুকরু আলাইনা
মাদাআ লিল্লাহি দা-ই।
“উদিত হয়েছে আমাদের উপর পূর্ণ চাঁদ ওদা পাহাড়ের ঘাঁটি থেকে, শোকর আদায় করা আমাদের কর্তব্য, যতদিন আহবানকারী আহবান করবেন (মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে)।”
قال حضرت ابن اسحاق رحمة الله عليه فادركت رسول الله صلى الله عليه وسلم الجمعة فى بنى سالم بن عوف فصلاها فى المسجد الذى فى بطن الوادى- وادى رانوناء- فكان أول جمعة صلاها بالمدينة. فاتاه حضرت عتبان بن مالك رضى الله تعالى عنه و حضرت عباس بن عبادة بن نضلة رضى الله تعالى عنه فى رجال من بنى سالم فقالوا يا رسول الله صلى الله عليه وسلم أقم عندنا فى العدد والعدة والمنعة. قال خلوا سبيلها فانها مامورة لناقته فخلوا سبيلها فانطلقت
অর্থঃ- হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বনূ সালিম ইবনে আউফে পবিত্র জুমুয়া উনার সময় হলে আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাতনে-ওয়াদীয়ে বানূনায় পবিত্র জুমুয়া উনার নামায আদায় করেন। আর এটা ছিলো পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রথম জুমুয়া উনার নামায মুবারক। এরপর বনূ সালিমের একদল লোকের সঙ্গে হযরত উতবান ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আব্বাস ইবনে উবাদা ইবনে নাদ্বলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র খিদমত শরীফে হাযির হয়ে আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আমাদের মধ্যে অবস্থান করুন। আমরা সংখ্যায় অধিক, আমাদের প্রস্তুতি অনেক এবং আমরা প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায়ও সক্ষম। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
خلوا سبيلها فانها ما مورة
“তোমরা উটটির পথকে ছেড়ে দাও। কারণ সে (মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে) আদেশ মুবারকপ্রাপ্ত।” ফলে উনারা উটটির পথ মুবারক ছেড়ে দেন। উটটি চলতে থাকে।
حتى إذا وازت دار بنى بياضة تلقاه  حضرت زياد بن لبيد رضى الله تعالى عنه و حضرت فروة بن عمرو رضى الله تعالى عنه فى رجال من بنى بياضة فقالوا يا رسول الله صلى الله عليه وسلم هلم الينا إلى العدد والعدة والمنعة؟ قال خلوا سبيلها فانها مأمورة فخلوا سبيلها. فانطلقت حتى إذا مرت بدار بنى ساعدة اعترضه حضرت سعد بن عبادة رضى الله تعالى عنه و حضرت المنذر بن عمرو رضى الله تعالى عنه فى رجال من بنى ساعدة فقالوا يا رسول الله صلى الله عليه وسلم هلم الينا فى العدد والمنعة. قال خلوا سبيلها فانها مأمورة فخلوا سبيلها فانطلقت
শেষ পর্যন্ত বনূ বিয়াদ্বার মহল্লায় পৌঁছলে হযরত যিয়াদ ইবনে লবীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ফারওয়া ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা একদল  লোকজন নিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীদার মুবারক লাভ করার আবেদন জানান। উনারা বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আমাদের এখানে অবস্থান করুন, আমরা জনবল এবং অস্ত্র বলে অধিক এবং প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায় সক্ষম।” নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “আপনারা তার পথ ছেড়ে দিন, উটনীটি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে আদিষ্ট।” উনারা তার পথ ছেড়ে দেন এবং উটনীটি চলতে থাকে। বনূ সায়িদা মহল্লা দিয়ে গমনকালে বনূ সাইদের একদল লোকসহ হযরত সা’দ ইবনে উবাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত মুনযির ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক-এ হাযির হয়ে আবেদন জানান, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের মধ্যে দয়া করে অবস্থান করুন! সংখ্যায় আমরা অধিক এবং প্রতিরোধে আমরা সক্ষম।” আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনারা তার রাস্তা ছেড়ে দিন। কারণ সে (মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে) আদেশপ্রাপ্ত। অতঃপর  উটনীটি চলতে থাকেন।
حتى إذا وازت دار بنى الحارث بن الخزرج اعترضه حضرت سعد بن الربيع رضى الله تعالى عنه و حضرت خارجة بن زيد رضى الله تعالى عنه وحضرت عبد الله بن رواحة  رضى الله تعالى عنه فى رجال من بنى  الحارث بن الخزرج فقالوا يا رسول الله صلى الله عليه وسلم هلم الينا إلى العدد والعدة والمنعة. قال خلوا سبيلها فانها مأمورة فخلوا سبيلها فانطلقت حتى إذا مرت بدار عدى بن النجار- وهم أخواله- دنيا حضرت  أم عبد المطلب رضى الله تعالى عنها، حضرت سلمى بنت عمرو رضى الله تعالى عنها إحدى نسائهم، اعترضه حضرت سليط بن قيس رضى الله تعالى عنه و حضرت أبوسليط أسيرة بن خارجة رضى الله تعالى عنه فى رجال من بنى عدى بن النجار فقالوا يا رسول الله صلى الله عليه وسلم هلم إلى أخوالك الى العدد والعدة والمنعة قال خلوا سبيلها فانها مأمورة فخلوا سبيلها فانطلقت حتى اذا انت دار بنى مالك بن النجار بركت على باب مسجده عليه السلام اليوم، وكان يومئذ مر بدا لغلامين يتيمين من بنى مالك ابن النجار، وهما حضرت سهل رضى الله تعالى عنه و حضرت سهيل رضى الله تعالى عنه ابنا عمرو، وكانا فى حجر حضرت معاذ بن عفراء رضى الله تعالى عنه.
অতঃপর বনূ হারিছ ইবনে খাযরাজ-এর মহল্লা বরাবর পৌঁছলে হযরত সা’দ ইবনে রাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত খারিজাহ ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, বনূ হারিছ ইবনে খাযরাজ-এর একদল লোক নিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র খিদমত শরীফ-এ উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আমাদের মধ্যে তাশরীফ মুবারক আনুন। জনবল আর অস্ত্রবলে আমরা বেশি এবং প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায়ও আমরা সক্ষম।” নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “আপনারা তার পথ ছেড়ে দিন। উটনী মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে আদিষ্ট।” উনার পথ ছেড়ে দিলে উটনীটি চলতে থাকেন।
বনী আদী ইবনে নাজ্জারের মহল্লা দিয়ে অতিক্রমকালে হযরত উম্মু আব্দুল মুত্তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বংশ মুবারক-এর অন্যতম নারী হযরত সালমা বিনতে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনারা দু’জন নিকটে আসেন। উনারা হযরত সালীত ইবনে কাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আবূ সালীত আসীরা ইবনে খারিজা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বনী আদী ইবনে নাজ্জারের একদল লোক নিয়ে আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র খিদমত শরীফ-এ উপস্থিত হয়ে আরজ করেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার মাতুলকুলে দয়া করে অবস্থান গ্রহণ করুন। জনসংখ্যা আর অস্ত্রবলে উনারা বেশি এবং প্রতিরোধেও উনারা সক্ষম।” নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “আপনারা তার পথ ছেড়ে দিন। কারণ উটনীটি তো আদিষ্ট আছে।” পথ ছেড়ে দিলে উটনীটি আপন মনে চলতে থাকেন। শেষপর্যন্ত বনূ মালিক ইবনে নাজ্জারের মহল্লার দরজায় এসে বর্তমান যেখানে পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ অবস্থিত, সেখানে বসে পড়েন এ স্থান মুবারক ছিলো বনূ মালিকের দু’জন ইয়াতীম শিশু হযরত সাহল এবং সুহাইল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনাদের খেজুর শুকাবার স্থান মুবারক। আর এ দু’জন ইয়াতীম শিশু হযরত মায়ায ইবনে আফরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পরিচালনাধীন ছিলেন।
আরো বর্ণিত রয়েছে,
ذكر حضرت موسى بن عقبة  رحمة الله عليه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم مر فى طريقه ببن أبى بن سلول وهو فى بيت. فوقف رسول الله صلى الله عليه وسلم ينتظر أن يدعوه إلى المنزل- وهو يومئذ سيد الخزرج فى أنفسهم- فقال ابى بن سلول أنظر الذين دعوك فانزل عليهم فذكر ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم لنفر من الانصار فقال حضرت سعد بن عبادة رضى الله تعالى عنه يعتذر عنه لقد من الله علينا بك يارسول الله صلى الله عليه وسلم وإنا نريد أن نعقد على رأسه التاج ونملكه علينا.
অর্থ: হযরত মূসা ইবনে উকবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উল্লেখ করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুনাফিক ইবনে উবাই বিন সূলুল-এর গৃহের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন আর সে তখন কাছেই উপস্থিত ছিলো। আর আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখন এ আশায় অপেক্ষা করেন যে, হয়তো উনাকে তার বাড়িতে আহবান করবে আর সে ছিলো তখন খাজরাজ গোত্রের দলপতি। তখন মুনাফিক ইবনে উবাই বিন সূলুল বলে, যারা আপনাকে ডেকেছেন, উনাদের নিকট গিয়ে অবস্থান করুন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ বিষয় একজন আনছারী ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে জানালেন। তখন হযরত সা’দ ইবনে উবাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ওযর পেশ করে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ! ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আপনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। আমাদের ইচ্ছা ছিলো, আমরা তার মাথায় মুকুট স্থাপন করবো এবং তাকে আমাদের রাজারূপে বরণ করবো।
قال حضرت موسى بن عقبة رحمة الله عليه وكانت الانصار قد اجتمعوا قبل أن يركب رسول الله صلى الله عليه وسلم من بنى عمرو بن عوف فمشوا حول ناقته لا يزال أحدهم ينازع صاحبه زمام الناقة شحا على كرامة رسول الله صلى الله عليه وسلم وتعظيما له وكلما مر بدار من دور الانصار دعوه إلى المنزل فيقول رسول الله صلى الله عليه وسلم. دعوها فانها مأمورة فأنما أنزل حيث أنزلنى الله. فلما شهت إلى دار حضرت أبى أيوب رضى الله تعالى عنه وبركت فيه على الباب فنزل فدخل بيت حضرت أبى أيوب رضى الله تعالى عنه حتى ابتنى مسجده ومساكنه.
হযরত মূসা ইবনে উকবা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আমর ইবনে আওফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহ মুবারক থেকে রওয়ানা হওয়ার আগে হযরত আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা একত্রিত হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়া সাল্লাম উনার সাওয়ারী মুবারক উনার পিছে চলতে থাকেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মান আর মর্যাদা লাভের জন্যে কে উনার উটের রশি মুবারক ধরবেন এ নিয়ে কাড়াকাড়ি হয়। কোন আনছার ছাহবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের গৃহ মুবারকের নিকট গমনকালে উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আহবান জানাতেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলতেন, উনাকে অর্থাৎ উটনিকে ছেড়ে দিন, সে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে আদিষ্ট। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেখানে আমাকে অবতরন করান, সেখানেই সে অবতরন করবে। হযরত আবূ আইউব আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহ মুবারকের কাছে গিয়ে উটনীটি উনার গৃহ মুবারক উনার দরজা মুবারকে বসে পড়ে। আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে অবতরণ করেন। হযরত আবূ আইউব আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহ মুবারকে প্রবেশ করেন এবং সেখানে থেকেই পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ এবং হুজরা মুবারক নির্মাণ করেন।
আরো বর্ণিত রয়েছে,
قال حضرت ابن اسحاق رحمة الله عليه لما بركت الناقة برسول الله صلى الله عليه وسلم لم ينزل عنها حتى وثبت فسارت غير بعيد ورسول الله صلى الله عليه وسلم واضع لها زمامها لا يثنيها به، ثم التفتت خلفها إلى مبركها أول مرة فبركت بيه، ثم تحلحلت ورزمت ووضعت جرانها فنزل عنها رسول الله صلى الله عليه وسلم. فأحتمل حضرت أبو أيوب  رضى الله تعالى عنه حضرت خالد بن زيد رضى الله تعالى عنه رحله فوضعه فى بيته ونزل عليه رسول الله صلى الله عليه وسلم وسأل عن المربد لمن هو؟ فقال له حضرت معاذ بن عفراء رضى الله تعالى عنه هو يارسول الله صلى الله عليه لحضرت سهل رضى الله تعالى عنه و حضرت سهيل رضى الله تعالى عنه ابنى عمرو وهما يتيمان لى وسأرضيهما منه فاتخذه مسجدا، فأمربه رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يبنى ونزل رسول الله صلى الله عليه وسلم فى دار حضرت أبى أيوب  رضى الله تعالى عنه حتى بنى مسجده ومساكنه فعمل فيه رسول الله صلى الله عليه والمسلمون من المهاجرين والانصار.
অর্থ: হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে উনার উটনী মুবারক বসে পড়েন কিন্তু তিনি সঙ্গে সঙ্গে উটনীর পিঠ থেকে অবতরণ করেননি; উটনীটি আবার উঠে দাঁড়ায় এবং কিছুদূর চলে, আর আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উটনীর রশি মুবারক ধারণ করে রাখেন। তাকে একেবারে ছেড়ে দেননি। এরপর উটনীটি কিছুটা পেছনে সরে আসে এবং তার বসার স্থান মুবারক-এ এসে বসে পড়েন। এরপর উটনী একটু সরে গিয়ে দ্রুতগতিতে শব্দ করেন মাটিতে মাথা রেখে এবং উনার পিঠ মুবারক থেকে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নেমে আসেন। আর হযরত আবু আইউব আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত খালিদ বিন যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা (এগিয়ে আসেন) উটের পালানাট বহন করে ঘরে নিয়ে রাখেন। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুজরা শরীফ মুবারক-এ তাশরীফ নেন। পূর্বোক্ত খুজুর খলা সম্পর্কে জানতে চান যে, এটা কার? হযরত মু’আয ইবনে আফরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনাকে বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটি আমর উনার দু’পুত্র হযরত সাহল এবং হযরত সুহাইল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা এবং উনারা দু’জন ইয়াতীম অবস্থায় আমার তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। আমি উনাদের দু’জনকে রাজি করতে পারবো। আপনি সেখানে মসজিদ বানিয়ে নিন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ নির্মাণের নির্দেশ দেন। তিনি হযরত আবু আইউব আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহ মুবারক-এ অবস্থান করেন। পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ ও পবিত্র হুজরা শরীফ মুবারক নির্মাণ না করা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন। পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনার নির্মাণের কাজে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত মুহাজির ছাহবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সঙ্গে নিজেও অংশগ্রহণ করেন।

0 Comments: