৪৮২ নং - সুওয়াল :- নামাযের নিষিদ্ধ সময় যেমন সূর্য উদয়কালে, দ্বিপ্রহরের সময় এবং সূর্যাস্তের সময়, এ তিন সময় নামায পড়া নিষেধ হওয়ার কারণ ও তার রহস্য বা হাক্বিক্বত কি? জানতে ইচ্ছে হয়।

সুওয়াল :- নামাযের নিষিদ্ধ সময় যেমন সূর্য উদয়কালে, দ্বিপ্রহরের সময় এবং সূর্যাস্তের সময়, এ তিন সময় নামায পড়া নিষেধ হওয়ার কারণ ও তার রহস্য বা হাক্বিক্বত কি? জানতে ইচ্ছে হয়।


জাওয়াব :- কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, উল্লিখিত তিন সময় নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী। কারণস্বরূপ বলা হয়েছে, সূর্য পূজারীরা উল্লিখিত তিন সময় সূর্যকে সিজদা করে থাকে। আরো বলা হয়েছে, শুক্রবার দিন ব্যতীত দ্বিপ্রহরের সময় দোযখের আগুনকে তীব্র করা হয়। (হাশিয়ায়ে তাহতাবী, ফতহুল ক্বাদীর, শামী ইত্যাদি।)
উল্লেখ্য যে, শরীয়তের কোন হুকুম-আহকামের ব্যাপারে কোন কারণ তালাশ করা নিষিদ্ধ। শুধু এতটুকুই জানার জন্য কোশেশ করতে পারবে, যতটুকু মহান আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বর্ণনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, একজন মহিলা তাবেয়ী হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, মেয়েরা অসুস্থ (হায়েজ) অবস্থায় রোযা ক্বাযা করে, কিন্তু নামায ক্বাযা করে না, এর কারণ কি? তার জাওয়াবে হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, আমাদের কাছে এরূপই পৌঁছেছে এবং আমরা এরকমই আদিষ্ট হয়েছি। তাই আমরা রোযা কাযা করার আদেশ দেই, আর নামায ক্বাযা করার আদেশ দেইনা এবং আমরা কখনো এর কারণ তালাশ করিনি। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই এ সম্পর্কে ভালো জানেন। (মুসলিম শরীফ)
আবা-২৯

0 Comments: