হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ১০৬০-১২৭৯) (প)


 সম্মানিত বদর জিহাদে যে সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম শাহাদতী শা’ন মুবারক প্রকাশ করেছিলেন:


 বানূ আব্দুল মুত্তালিব থেকে:
 সম্মানিত বদর জিহাদেহযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে যারা অংশগ্রহণ করে শাহাদতী শা’ন মুবারক প্রকাশ করেছিলেন। উনারা হলেন, সম্মানিত কুরাইশ শাখা বংশ বানূ মুত্তালিব ইবনে আব্দে মানাফ উনার একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১. হযরত উবাইদা ইবনে হারিছ ইবনে মুত্তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, উনাকে উতবা ইবনে রবীয়া শহীদ করেছিলো। উতবা উনার সম্মানিত পা মুবারক কেটে দিয়েছিল ফলে তিনি সাফরা নামক স্থানে প্রত্যাবর্তন কালে শাহাদতী শা’ন মুবারক প্রকাশ করেন।
বানূ জুহরা থেকে:
 বানূ জুহরা ইবনে কিলাব উনার দু’জন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা।
১. হযরত উমাইর ইবনে আবূ ওয়াক্কাস ইবনে উহাইব ইবনে আব্দে মানাফ ইবনে যুহরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনি ছিলেন হযরত সা’দ ইবনে আবূ ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভাই।
২. বানূ খুযায়ার শাখা বংশ গুবশান বংশীয় উনাদের মিত্র হযরত যুল-শিমালাইন ইবনে আব্দে আমর ইবনে নাযলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 বানূ আদী থেকে:
 বানূ আদী ইবনে কা’ব ইবনে লুয়াই -এর দু’জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা।
১. হযরত আক্বিল ইবনে বুকাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ছিলেন হযরত সা’দ ইবনে লাইছ ইবনে বকর ইবনে আব্দে মানাত ইবনে কিনানা বংশীয় ও বানূ আদীর মিত্র এবং
২. সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট পরাধীন হযরত মিহজা’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 বানু হারিছ ইবনে ফিহর থেকে:
 ১. হযরত সাফওয়ান ইবনে বাইযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে:

 আর আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে যারা বানূ আমর ইবনে আউফ উনার দু’জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা।
১. হযরত সা’দ ইবনে খাইসামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং
২. হযরত মুবাশশির ইবনে আব্দুল মুনযির ইবনে যাম্বার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ হারিছ ইবনে খাযরাজ থেকে:
 বানূ হারিছ ইবনে খাযরাজ উনার একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইয়াযিদ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনাকে বলা হয় ইবনে ফুসহাম।
বানূ সালাম থেকে:
বানূ সালাম ইবনে হারাম ইবনে কা’ব ইবনে গানম ইবনে কা’ব ইবনে সালামা থেকে একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১. হযরত উমাইর ইবনে হুমাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 বানূ হাবীব থেকে:
বানূ হাবীব ইবনে আব্দে হারিছা ইবনে মালিক ইবনে গযব ইবনে জুশাম উনার একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১. হযরত রাফি’ ইবনে মুয়াল্লা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 বানূ নাজ্জার থেকে:
বানূ নাজ্জারের একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১. হযরত হারিছা ইবনে সুরাকা ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 বানূ গানম থেকে:
 বানূ গানম ইবনে মালিক ইবনে নাজ্জার উনার দু’জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা। উনারা হারিছ ইবনে রিফায়া ইবনে সাওয়াদ উনার দু’জন ছেলে।
১. হযরত আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও
২. হযরত মুয়াওয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 হযরত আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে মোট আটজন শাহাদতী শা’ন মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
স্মরণীয় যে, সম্মানিত বদর জিহাদে যে সমস্ত হযরত মুহাজির ও আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম শাহাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছিলেন উনারা হচ্ছেন দ্বীন ইসলাম উনার ঐতিহাসিক বদর জিহাদের প্রথম শহীদ। সুবহানাল্লাহ! এই সম্মানিত জিহাদে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সংখ্যায় ছিলেন কম সংখ্যক। বিপরীদে কাফির মুশরিকদের সংখ্যা ছিলো অনেক।
 এ সম্মানিত জিহাদে ১৪ জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা শাহাদতী শা’ন মুবারক প্রকাশ করেন। তন্মেধ্যে হযরত মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ছিলেন ৬ জন। আর আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে ছিলেন ৮জন। সুবহানাল্লাহ! আর কাফির মুশরিকদের পক্ষের ৭০ জন বন্দী ও নিহিত হয়েছিলো ৭০ জন।
 এ সম্মানিত ঐতিহাসিক জিহাদে স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবীইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজে জিহাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত মুবারক থেকে সমস্ত বিষয়ে দিক নির্দেশনা মুবারক দান করেন। সুবহানাল্লাহ! আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পরিপূর্ণ ভাবে, সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম ভাবে মুবারক দিক- নির্দেশনা মোতাবেক জিহাদ করে যিনি খলিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পেরেছিলেন। সুবহনাল্লাহ!
 (দলীল সমূহ: মু’জামুছ ছাহাবা, উমদাতুল ক্বরী শরহে ছহীহিল বুখারী শরীফ, শরহে আবূ দাউদ শরীফ, ইমতাউল আসমা’ বিমা লিন নাবিইয়ী মিনাল আহওয়াল ওয়াল আমওয়াল, রওদ্বুল উনুফ ফি শরহে গারিবুস সীর, আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ, সীরাতুন নাবীইয়ী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইবনে হিশাম, উসদুল গাবা, আল ওয়াফী বিল ওয়াফিয়াত, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, সীরাতুম মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইত্যাদি)

সম্মানিত বদর জিহাদে যেসব কাফির মুশরিকরা লাঞ্চিত হয়ে নিহত হয়েছিল:
 সম্মানিত বদর জিহাদেযেসব কাফির মুশরিকরা নিহত হয়েছিল নি¤œ তাদের নাম উল্লেখ করা হলো।
 বানূ আব্দে শামস থেকে: যারা নিহত হয়েছিলো।
 ১. হানযালা ইবনে আবূ সুফিয়ান।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পালকপুত্র হযরত যায়িদ ইবনে হারিছা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কাট্টা কাফির হানযালাকে হত্যা করেন।
 অনেকের মতে, সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম এবং হযরত যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা সম্মিলিতভাবে তাকে হত্যা করেন।
২. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির হারিছ ইবনে হাযরামী।
৩. কাট্টা কাফির আমির ইবনে হাযরামী।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কাট্টা কাফির আমিরকে হত্যা করেন আর হযরত নু’মান ইবনে আসর  রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কাট্টা কাফির হারিছকে হত্যা করেন।
৪-৫. কাট্টা কাফির উমাইর ইবনে উমাইর ও তার ছেলে। 
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে, উমাইর ইবনে আবূ উমাইরকে হত্যা করেন হযরত আবূ হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পরাধীন থেকে স্বাধীন হযরত সালিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি।
৬. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির উবাইদা ইবনে সায়ীদ ইবনে আস ইবনে উমাইয়া। হযরত যুবাইর ইবনে আওয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
৭. কাট্টা কাফির আস ইবনে সায়ীদ ইবনে আস ইবনে উমাইয়া। সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন। সুবহানাল্লাহ!
৮. উক্ববা ইবনে মুয়ীত্ব ইবনে আবী আমর ইবনে উমাইয়া ইবনে আব্দে শামস। বানূ আমর ইবনে আউফ- এর হযরত আসিম ইবনে ছাবিত ইবনে আক্বীল আবুল আফলাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে বন্দী অবস্থায় হত্যা করেন।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মতান্তরে তাকে হত্যা করেছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি।
৯. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উতবা ইবনে রবীইয়া ইবনে আব্দে শামসকে হযরত উবাইদা ইবনে হারিছ ইবনে মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি হত্যা করেন।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনারা উভয়ে তাকে হত্যা করেন।
১০. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, শাইবা ইবনে রবীইয়া ইবনে আব্দে শামস। সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
১১. ওয়লিদ ইবনে উতবা ইবনে রবীইয়া। সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
১২. কাট্টা কাফির আমির ইবনে আব্দুল্লাহ। সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
 বানূ নাওফাল ইবনে মানাফ- এর দু’ কাফির।
১. কাট্টা কাফির হারিস ইবনে আমির ইবনে নাওফাল। বর্ণিত আছে যে, বানূ হারিছ ইবনে খাযরাজ- এর বিশিষ্ঠ ছাহাবী হযরত খুবাইব ইবনে ইসাফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
২. কাট্টা কাফির তুয়াইমা ইবনে আদী ইবনে নাওফাল। তাকে হত্যা করেছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি। মতান্তরে সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম তিনি।
বানূ আসাদ ইবনে আব্দুল উয্যা- এর পাঁচ কাফির।
১. কাট্টা কাফির যাময়া ইবনে আসওয়াদ।
 হযরত হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এই কাফিরকে হত্যা করেছিলেন, বানূ হারাম- এর হযরত ছাবিত ইবনে জিযয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি।
 মতান্তরে সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুশ শুহাদা আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম ও হযরত ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা তার হত্যায় শরীক ছিলেন।
২. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহু আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির হারিছ ইবনে যাময়া।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এই কাফিরকে হত্যা করেছিলেন হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি।
৩. কাট্টা কাফির উকাইল ইবনে আসওয়াদ।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এই কাফিরকে হত্যা করেছিলেন সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনারা উভয়ে।
৪. আবুল বুখতারী আস ইবনে হিশাম। তাকে হত্যা করেছিলেন হযরত মুযায্যার ইবনে যিয়াদ বালাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি।
 ৫. নাওফাল ইবনে খুওয়ায়লিদ ইবনে আসাদ, সে ছিলো ইবনে আদাউইয়া আদী খুযায়া।
 হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম ও হযরত ত্বলহা ইবনে উবাইদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা যখন উনাদের সম্মানিত ঈমান গ্রহণের বিষয়টি প্রকাশ করেছিলেন তখন সেই কাফির উনাদেরকে এক রশিতে বেঁধেছিল, সে কারণে উনাদেরকে এক রশিতে বাঁধা দু’ ছাহাবী বলা হতো। নাওফাল ছিলো কুরাইশ শয়তানদের একজন। তাকে সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি হত্যা করেন।
বানূ আবদুদ্দার ইবনে কুসাঈ এর দু’জন কাফির:
 ১. কাট্টা কাফির নযর ইবনে হারিছ ইবনে কালদা। কথিত আছে যে, সাফরা নামক স্থানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপস্থিতি মুবারকে বন্দী অবস্থায় সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
 হযরত হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, পবিত্র মদীনা শরীফ উনার নিকটবর্তী একটি স্থানে উসাইলে করা হয়।
 ২. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির যায়িদ ইবনে মুলাইস।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির যায়িদ ইবনে মুলাইসকে হযরত বিলাল ইবনে রবাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হত্যা করেন। অনেকের মতে হযরত মিকদাদ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হত্যা করেন।
 বানূ তাইম ইবনে মুররা:
, কাট্টা কাফির উমাইর ইবনে উছমান ইবনে আমর।
 হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তাকে হত্যা করেন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি।
 মতান্তরে, হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
২. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির উছমান ইবনে মালিক ইবনে উবাইদুল্লাহ। তাকে হত্যা করেন হযরত সুহাইব ইবনে সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি।
বানূ মাখযূম থেকে:
, কাট্টা কাফির আবূ জাহিল ইবনে হিশাম। তার নাম ছিলো আমর ইবনে হিশাম ইবনে মুগীরা। শিশু ছাহাবী হযরত মুয়ায ইবনে আফরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তার পা কেটে দিয়েছিলেন। ইকরামা ইবনে আবূ জাহিল আক্রমণ করে হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হাত মুবারক ছিন্ন করে দিয়েছিল। এরপর হযরত মুয়াওওয়াজ ইবনে আফরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কঠিন ভাবে আক্রমণ করে কাট্টা কাফির আবূ জাহিলকে মাটিতে ফেলে ধরাশায়ী করেন। তখনও তার দেহে প্রাণের স্পন্দন ছিলো। অতপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই কাট্টা কাফির আবূ জাহিলকে নিহতের মধ্যে তালাশ করার জন্য নির্দেশ মুবারক দিলেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে খুজে বের করে তার মাথা দেহ থেকে বিছিন্ন করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
২. কাট্টা কাফির আস ইবনে হিশাম ইবনে মুগীরা। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
৩. কাট্টা কাফির ইয়াযীদ ইবনে আব্দুল্লাহ। হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
৪. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির আবূ মুসাফি’ আশয়ারী।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে, হযরত আবূ দুজানা সায়িদী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
৫. কাট্টা কাফির হারমালা ইবনে আমর।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, খারিজা ইবনে যায়িদ ইবনে আবূ যুহাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হত্যা করেন।
 মতান্তরে, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
 ৬. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির মাসউদ ইবনে আবূ উমাইয়া ইবনে মুগীরা।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তাকে হত্যা করেন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি।
৭. কাট্টা কাফির আবূ কাইস ইবনে ওয়ালীদ ইবনে মুগীরা।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
৮. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির আবু কাইস ইবনে ফাকিহ ইবনে মুগীরা।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
 কেউ কেউ বলেন, তাকে হত্যা করেন হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি।
৯. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির রিফায়া ইবনে আবূ রিফায়া ইবনে আয়িয।
 হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত সা’দ ইবনে রবী’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
১০. কাট্টা কাফির মুনযির ইবনে রিফায়া ইবনে আবিদ।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত মা’ন ইবনে আদী ইবনে জাদ্দ ইবনে আজলান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
১১. কাট্টা কাফির আব্দুল্লাহ ইবনে মুনযির ইবনে আবূ রিফায়া ইবনে আয়িয।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
১২. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সায়িব ইবনে আবূ সায়িব ইবনে আবিদ।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সায়িব ইবনে আবূ সায়িব সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ব্যবসা মুবারকে শরীক ছিলো।
তার সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়োছে,
نِعْمَ الشّرِيكُ السّائِبُ لَا يُشَارِي وَلَا يُمَارِي
“সায়িব অত্যান্ত উত্তম শরীক, না  সে কোন প্রকার হঠকারিতা করে, আর না সে ঝগড়া করে ”।
 কেউ কেউ বলেন, তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন।
 হযরত ইবনে শিহাব যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনাদের সূত্রে বর্ণিত, সায়িব ইবনে আবূ সায়িব ইবনে আবিদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ইবনে মাখযূম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারকে বাইয়াত গ্রহণকারী কুরাইশ উনাদের অন্যতম ছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে যী’রানার দিন হুনাইন জিহাদের গনীমতের মালের অংশ মুবারক প্রদান করেছিলেন।
১৩. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আসওয়াদ ইবনে আব্দুল আসাদ ইবনে হিলাল ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ইবনে মাখযূম। সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
১৪. হাজিব ইবনে সায়িব ইবনে উওয়াইমির ইবনে আমর ইবনে আইয ইবনে আব্দ ইবনে ইমরান ইবনে মাখযূম।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, অন্য মতে আইয ছিল ইমরান ইবনে মাখযূমের ছেলে। আর অনেকের মতে হাজিয ছিলো সায়িবের ছেলে। সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি হাজিব ইবনে সায়িবকে হত্যা করেন।
১৫. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উওয়াইমির ইবনে সায়িব ইবনে উওয়াইমির।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত নু’মান ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি মল্লযুদ্ধে তাকে হত্যা করেন।
১৬. আমর ইবনে সুফইয়ান।
১৭. জাবির ইবনে সুফইয়ান এরা দু’জন তায়ী বংশীয় মিত্র ছিল।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ইয়াযীদ ইবনে রুকাইশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আমরকে  এবং হযরত আবূ বুরদা ইবনে নায়ার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জাবিরকে হত্যা করেন।
বানূ সাহম থেকে:
 বানূ সাহম- এর দু’ কাফির।
১. কাট্টা কাফির মুনাব্বিহ ইবনে হাজ্জাজ। বানূ সালিম- এর হযরত আবুল ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
২. তার ছেলে কাট্টা কাফির আস ইবনে মুনাব্বিহ ইবনে হাজ্জাজ।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
৩. কাট্টা কাফির নুবাইহ ইবনে হাজ্জাজ ইবনে আমির।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা সাইয়্যিদুশ শুহাদা আলাইহিস সালাম ও হযরত সা’দ ইবনে আবূ ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা সম্মালিত ভাবে তাকে হত্যা করেন।
৪. কাট্টা কাফির আবুল আস ইবনে কাইস।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
  অন্যমতে, হযরত নু’মান ইবনে মালিক ইবনে কাওকালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন। ভিন্ন মতে, হযরত আবূ দুজানা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
৫. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির আসিম ইবনে আউফ।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ সালিম- এর হযরত আবুল ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
বানূ জুমাহ থেকে: তিন কাফির।
১. কাট্টা কাফির উমাইয়া ইবনে খালফ। মাযিন বংশীয় জনৈক আনসার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বরং হযরত মুয়ায ইবনে আফরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত খারিজা ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত খুবাইব ইবনে ইসাফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা সম্মিলিত ভাবে তাকে হত্যা করেন।
২. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তার ছেলে আলী ইবনে উমাইয়া ইবনে খালফ। হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
৩. কাট্টা কাফির আওস ইবনে মুগীর।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন।
 অন্যমতে হযরত হুসাইন ইবনে হারিছ ইবনে মুত্তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত উছমান ইবনে মাযঊন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা সম্মিলিত ভাবে তাকে হত্যা করেন।
বানূ আমির থেকে: দু’ কাফির।
 ১. আব্দুল কাইস বাংশীয় তাদের মিত্র কাট্টা কাফির মুয়াবিয়া ইবনে আমির।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তাকে হত্যা করেন। 
 মতান্তরে হযরত উক্কাশা ইবনে মিহসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
২. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কাট্টা কাফির কালব ইবনে আউফ ইবনে কা’ব।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বুকাইর- এর দু’জন ছেলে ছাহাবী হযরত খালিদ  রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত ইয়াস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা তাকে হত্যা করেন।
 মতান্তরে, হযরত আবূ দুজানা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
 স্মরণীয় যে, সম্মানিত বদর জিহাদে যে সমস্ত কাফির মুশরিকদের কথা হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখ করেন না। তারা হলো-
বানূ আব্দে শামস থেকে:
১. কাট্টা কাফির ওয়াহহাব ইবনে হারিছ।
২. তাদের ইয়ামানী মিত্র কাট্টা কাফির আমির ইবনে যায়িদ।
বানূ আসাদ থেকে:
১. তাদের ইয়ামানী মিত্র কাট্টা কাফির উকবা ইবনে যায়িদ। এবং
২. তাদের আযাদকৃত গোলাম কাট্টা কাফির উমাইর।
বানূ আব্দুদ্দার থেকে:
১. কাট্টা কাফির উক্ববা ইবনে যায়িদ ইবনে মুলাইস ও
২. কায়িস বংশীয় তাদের মিত্র কাট্টা কাফির উবাইদ ইবনে সালীত।
বানূ তাইম থেকে:
১. মালিক ইবনে উবাইদুল্লাহ ইবনে উছমান। তাকে বন্দী করা হয়েছিল এবং সে বন্দী থাকা অবস্থায় মারা যায়। এজন্য তাকেও নিহতদের মধ্যে ধরা হয়।
২. কারো কারো মতে, কাট্টা কাফির আমর ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে জুদয়ান।
বানূ মাখযূম থেকে:
১. কাট্টা কাফির হুযাইফা ইবনে আবূ হুযাইফা। হযরত সা’দ ইবনে আবূ ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
২. কাট্টা কাফির হিশাম ইবনে আবূ হুযাইফা। হযরত সুহাইব ইবনে সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
৩. কাট্টা কাফির যুহাইর ইবনে রিফায়া। হযরত আবূ উসাইদ মালিক ইবনে রবীয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
৪. কাট্টা কাফির সায়িব ইবনে আবূ রিফায়া। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
৫. কাট্টা কাফির আয়িয ইবনে সায়িব ইবনে উওয়াইমির। সে বন্দী হওয়ার পর মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হয়েছিল। কিন্তু সাইয়্যিদুশ শুহাদা আলাইহিস সালাম উনার আঘাতের কারণে পথিমধ্যে মারা সে যায়।
৬. ত্বায়ী বংশীয় তাদের মিত্র কাট্টা কাফির উমাইর।
৭. কারাহ গোত্রীয় তাদের মিত্র কাট্টা কাফির যিবার।
 বানূ জুমাহ থেকে:
১. তাদের মিত্র কাট্টা কাফির সাবরা ইবনে মালিক।
বানূ সাহম থেকে:
১. কাট্টা কাফির হারিছ ইবনে মুনাব্বিহ ইবনে হাজ্জাজ। হযরত সুহাইব ইবনে সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
২. আসিম ইবনে যুবাইরার ভাই আমির ইবনে আউফ ইবনে যুবাইরা। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালামা আজলানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।
  মতান্তরে হযরত আবূ দুজানা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে হত্যা করেন।

0 Comments: