হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ১২৮০-১৪০৩) (ঝ)


আর এ কারণেই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ.
 অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন। আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম)
 অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মুহতাজ এবং উনাদের সম্মানার্থে উনারা সম্মানিত এবং উনাদের প্রতিই উনারা দায়েমীভাবে রুজু। সুবহানাল্লাহ! ফলে উনারা সমস্ত কিছু থেকেই পবিত্র, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী)। সুবহানাল্লাহ! কাজেই সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, বিভিন্ন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক ইত্যাদি বরকতময় নিয়ামত মুবারক উনাদের প্রতি রুজু হওয়ার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কোন সুযোগ নেই। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কারণেই সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা, সম্মানিত রহমত মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারকসহ সমস্ত কিছুই ফযীলতপ্রাপ্ত হয়েছেন, সম্মানিত হয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!
 স্মরণীয় যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি পবিত্র নামাযসহ সব ইবাদত-বন্দীগিতে পবিত্রতম দরূদ শরীফ পাঠ করা ফরয করা হয়েছে। যে কোন ইবাদত-বন্দেগী কবুল হওয়ার শর্তই হচ্ছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহল বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করা। সুবহানাল্লাহ! কাজেই বিনতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার প্রতি সম্মানিত দুরূদ শরীফ পাঠ করা ব্যতীত সম্মানিত নামায কবূল হয় না।
 পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
  عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ مَسْعُوْدِ الْاَنْصَارِىِّ رَضِىَ الله تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلّٰى صَلٰوةً لَّـمْ يُصَلِّ فِيْهَا عَلَىَّ وَلَا عَلـٰى اَهْلِ بَيْـتِـىْ لَـمْ تُقْبَلْ مِنْهُ.
 অর্থ: “হযরত আবূ মাস‘ঊদ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি নামায পড়বে, কিন্তু নামাযে আমার এবং  আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করবে না, তার নামায কবূল হবে না।” (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, সুনানুদ দারাকুত্বনী, শরহু সুনানি আবী দাঊদ লিল ‘আইনী, আল বাদরুল মুনীর, নাছবুর রাইয়াহ লিল যাইলা‘ঈ, আদ দিরায়াহ, আল ‘ইলাল লিদ দারাকুত্বনী, আন নাজমুল ওহহাজ ইত্যাদি)
 পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ مَسعُودٍ رَضِىَ الله تَعَالـٰى عَنْهُ لَوْ صَلَّيْتَ صَلٰوةً لَّـمْ يُصَلَّ فِيْهَا عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا عَلـٰى اَهْلِ بَيْتِهٖ لَرَاَيْتَ اَنَّهَا لَا تَتِمُّ مَوْقُوفًا.
 অর্থ: “হযরত আবূ মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তুমি যদি কোন নামায আদায় কর, কিন্তু ওই নামাযে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ না করো। তাহলে তুমি অবশ্যই দেখবে যে, সেই নামায পূর্ণ হয়নি; বরং ঝুলন্ত।” (দারাকুত্বনী)
 আরো বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِـىِّ بْنِ الْـحُسَيْنِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ اَنَّهٗ قَالَ لَوْ صَلَّيْتُ صَلٰوةً لَّـمْ اُصَلِّ فِـيْهَا عَلَى النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا عَلـٰى اَهْلِ بَيْتِهٖ لَرَأَيْتُ اَنَّهَا لَا تَتِمُّ.
 অর্থ: “হযরত আবূ জা’ফর মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন আলাইহিমুস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যদি কোন নামায আদায় করি, কিন্তু ওই নামাযে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ না করি। অবশ্যই আমি দেখি যে, নিশ্চয়ই উক্ত নামায পূর্ণ হয়নি।” সুবহানাল্লাহ! (শিফা শরীফ, শরহুশ শিফা, তাফসীরে কুরতুবী শরীফ, দারাকুত্বনী ইত্যাদি)
 এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি সম্মানিত ছলাত তথা দুরূদ শরীফ পাঠ না করলে, নামায কবুল হয় না। আর এই কারণেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি কিভাবে সম্মানিত ছলাত বা দুরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে সেই বিষয়টি তা’লীম বা শিক্ষা মুবারক দিয়েছেন।
যেমন, এই সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
 عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ اَبِـىْ لَيْلٰى رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ لَقِيَـنِـىْ حَضْرَتْ كَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ فَقَالَ اَلَا اُهْدِىْ لَكَ هَدِيَّةً سَـمِعْتُهَا مِنَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ بَلٰى فَاَهْدِهَا لِـىْ فَقَالَ سَاَلْنَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ كَيْفَ الصَّلَاةُ عَلَيْكُمْ اَهْلَ الْبَيْتِ فَاِنَّ اللهَ قَدْ عَلَّمَنَا كَيْفَ نُسَلّـِمُ عَلَيْكُم قَالَ قُوْلُوْا اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلـٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلـٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلـٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلـٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّـجِيْدٌ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلـٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلـٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلـٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلـٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّـجِيْدٌ.
  অর্থ: “হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবূ লাইলা (তাবেয়ী) রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত কা’ব ইবনে উজরা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সাথে একদা আমার সাক্ষাৎ হলো। তিনি বললেন, (হে আব্দুর রহমান!) আমি কি আপনাকে একটি কথা হাদিয়া দিবো না, যা আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছ থেকে শুনেছি? আমি বললাম, হাঁ, আমাকে তা হাদিয়া করুন। তখন তিনি বললেন, একবার আমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সুওয়াল করেছিলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার এবং আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অর্থাৎ আপনাদের প্রতি সালাম কিভাবে সালাম পাঠ করবো তা মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। দয়া করে বলুন, আপনার প্রতি এবং আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি আমরা কিভাবে সম্মানিত ‘ছলাত’ (দুরূদ শরীফ) পাঠ করবো? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা এইভাবে বলবেন,
  اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلـٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلـٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلـٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلـٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّـجِيْدٌ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلـٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلـٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلـٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلـٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّـجِيْدٌ.
 অর্থ: “হে মহান আল্লাহ পাক! আপনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পেশ করুন, যেভাবে আপনি সম্মানিত ছলাত মুবারক পেশ করেছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত এবং সম্মানিত। সুবহানাল্লাহ! হে মহান আল্লাহ পাক! আপনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি সম্মানিত বরকত নাযিল করুন, যেভাবে আপনি সম্মানিত বরকত নাযিল করেছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত এবং সম্মানিত।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মেশকাত শরীফ)
 এই সম্মানিত দুরূদ শরীফ প্রতি ওয়াক্তে প্রত্যেক নামাযেই পাঠ করা হয়। সুবহানাল্লাহ! যারা নামাযে উপরোক্ত দুরূদ শরীফ পাঠ করে না, তাদের নামায কবুল হয় না। সুবহানাল্লাহ!
 এ জন্যই হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন,
 يَا اَهْلَ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُبُّكُمْ..... فَرْضٌ مّنَ اللهِ فِـى الْقُرْاٰنِ اَنْزَلَهٗ،
 يَكْفِيْكُمْ مّنْ عَظِيْمِ الْفَخْرِاَنَّكُمْ...... مّنْ لَّـمْ يُصَلّ عَلَيْكُمْ لَا صَلَاةَ لَه.ٗ
 অর্থ: “ইয়া নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! আপনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে ফরয, যা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে সাব্যস্ত করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
 আপনাদের মহাসম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক বুঝার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, যে ব্যক্তি আপনাদের প্রতি সম্মানিত দুরূদ শরীফ পাঠ করে না, তার নামায কবূল হয় না।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (দেওয়ানে শাফেয়ী, মুখতাছরুত তোহফাহ, ছব্বুল আযাব, আল ক্বওলুল বাদী’ ফী ছলাতি ‘আলা হাবীবিশ শাফী’ লিস সাখাওই)
 উপরোক্ত দলীলভিত্তিক বর্ণনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত শান মুবারক-এ সম্মানিত দুরূদ শরীফ পাঠ না করলে নামায ক্ববূল হয় না। অর্থাৎ কোন ইবাদত বন্দেগী কবুল হয়না। আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছা আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! কাজেই উনার সম্মানিত শান মুবারক-এ সম্মানিত দুরূদ শরীফ পাঠ না করলেও সম্মানিত নামায ক্ববূল হবে না। অর্থাৎ কোন ইবাদত বন্দেগী কবুল হবে না। সুবহানাল্লাহ!
 তাহলে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম আলাইহাস সালাম উনার মর্যাদা-মর্তবা, শান মুবারক কত বেমেছাল তা জীন-ইনসান তথা সমস্ত মাখলুকাতের চিন্তা ফিকেরের উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক:
 মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَ لِلّٰهِ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُ بِـهَا.
 অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাকে সেই সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক দ্বারা আহ্বান করো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আ’রাফ শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ১৮০)
 মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন অসীম, ঠিক তেমনিভাবে উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক উনার সংখ্যাও অসীম। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক উনার সংখ্যাও অসংখ্য-অসীম। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইভাবে আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন সমস্ত সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
এখানে উনার কতিপয় সম্মানিত বরকতময় লক্বব মুবারক উল্লেখ করা হলো:
১. بِنْتُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম।
২.  اَهْلُ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ।
৩. سَيِّدَةُ النِّسَاءِ عَلَي الْعَالَمِيْنَ (সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন)- সমস্ত আলমের সকল মহিলা উনাদের সাইয়্যিদাহ।

             
৪. سَيِّدَةُ نِسَاءِ اَهْلِ الْـجَنَّةِ (সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ)- সম্মানিত জান্নাতবাসী সমস্ত মহিলা উনাদের সাইয়্যিদাহ।
৫. بِضْعَةٌ مِّنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (বিদ্ব‘আতুম মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত (জিসম) নূর মুবারক উনার সম্মানিত (গোশত) নূর মুবারক উনার একখানা টুকরো মুবারক, লখতে জিগার মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
৬. اَلنُّوْرُ الثَّالِثَةُ (আন নূরুছ ছালিছাহ): আন নূরুছ ছালিছাহ অর্থাৎ হযরত বানাতু রসূলিল্লাহি আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি তৃতীয়া।
৭.اَفْضَلُ الـنِّـسَاءِ وَالنَّاسِ بَعْدَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (আফদ্বলুন নিসা ওয়ান নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর সমস্ত মহিলা এবং সমস্ত পুরুষ উনাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠা ও সর্বোত্তম ব্যাক্তিত্বা মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
৮. اُمُّ اَبِيْهَا (উম্মু আবীহা)- উনার মহাসম্মানিত পিতা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
৯. اَلسَّيِّدَةُ (আস সাইয়্যিদাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠা।
১০. اَلْـبُشْرٰى (আল বুশরা)- সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক ।
১১. اَلْـحَافِظَةُ (আল হাফিয¦াহ)- সর্বোত্তম হিফাযতকারিণী, সর্বশ্রেষ্ঠ সংরক্ষণকারিণী।
১২. اَلْـحَامِدَةُ (আল হামিদাহ)- সর্বোত্তম প্রশংসাকারিণী।
১৩. حَبِيْبَةُ اللهِ (হাবীবাতুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীবাহ।
১৪. اَلْـحَلِيْمَةُ (আল হালীমাহ)- পরম ধৈর্যশীলা, মহাসহনশীলা ।
১৫. اَلْـخَالِصَةُ (আল খ¦ালিছাহ)- খালিছাহ, পূত-পবিত্রা।
১৬.  اَلْـخَبِيْرَةُ (আল খ¦বীরহ)- মহাবিচক্ষণা।
১৭. اَلْـخَلِيْلَةُ (আল খ¦লীলাহ)- আখাচ্ছুল খাছ মাহবূবাহ।
১৮. خَلِيْلَةُ الرَّحْـمٰنِ (খ¦লীলাতুর রহমান)- মহান আল্লাহ উনার আখাচ্ছুল খাছ মাহবূবাহ।
১৯. ذَاتُ السَّكِيْنَةِ (যাতুস সাকীনাহ)- সাকীনাহ, শান্তি, প্রশান্তি, ইতমিনান মুবারক উনাদের মালিকাহ।
২০. اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ (উসওয়াতুন হাসানাহ্)- সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক, অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয়।
২১. ذَاتُ الـصِّـرَاطِ الْمُسْتَقِيْمِ (যাতুছ ছিরাত্বিল মুস্তাক্বীম)- ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার মালিকাহ।
২২. ذَاتُ الْعِزَّةِ (যাতুল ‘ইযযাহ)- সম্মানিত ইজ্জত মুবারক উনার মালিকাহ।
২৩. ذَاتُ الْفَضْلِ (যাতুল ফাদ্বল)- সম্মানিত ফযল মুবারক উনার মালিকাহ।
২৪. ذَاتُ الْكَرَامَةِ (যাতুল কারামাতি)- সম্মানিত কারামত মুবারক উনার মালিকাহ।
২৫. ذَاتُ الْوَسِيْلَةِ (যাতুল ওয়াসীলাহ)- সম্মানিত ওসীলাহ মুবারক উনার মালিকাহ।
২৬. اَلرَّاضِيَةُ (আর রাদ্বিয়াহ)- আখাচ্ছুল খাছ সন্তুষ্টি মুবারক প্রাপ্তা, সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার অধিকারিণী এবং সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবা মুবারক দানকারিণী, সন্তুষ্টি মুবারক প্রদানকারিণী।
২৭. رَحْـمَةُ الْاُمَّةِ (রহমাতুল উম্মাহ)- সমস্ত উম্মতের জন্য রহমত মুবারক।
২৮. لِّـلْـعَـالَـمِيْنَ رَحْـمَةٌ (রহমাতুল্লিল ‘আলামীন)- সমস্ত আলমের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক।
২৯. اَلرَّشِيْدَةُ (আর রশীদাহ)- সৎপথপ্রাপ্তা, সৎপথ প্রদর্শনকারিণী, ন্যায়পরায়ণা।
৩০. اَلـزَّكِـيَّةُ (আঝ ঝাকিইয়্যাহ)- পূত-পবিত্রা, মহাবিচক্ষণা।
৩১. اَلسَّابِقَةُ بِالْـخَيْرَاتِ (আস সাবিক্বতু বিল খইরাত)- খইর, কল্যাণ, ভালাই ইত্যাদি সর্ববিষয়ে অগ্রগামিণী।
৩২. اَلسَّخِيَّةُ (আস সাখিইয়্যাহ)- মহাদানশীলা।
৩৩. سَـيِّـدَةُ الْكَوْنَيْنِ (সাইয়্যিদাতুল কাওনাঈন)- দুই জগতের সাইয়্যিদাহ।
৩৪. اَلشَّافِعَةُ (আশ শাফি‘য়াহ)- সর্বোত্তম সুপারিশকারিণী, সর্বশ্রেষ্ঠ শাফায়াতকারিণী।
৩৫. اَلشَّاكِرَةُ (আশ শাকিরহ)- যথার্থ পুরস্কারদানকারিণী, যথাযথ শুকরিয়া আদায়কারিণী।
৩৬. اَلصَّابِرَةُ (আছ ছাবিরহ)- চরম ধৈর্যশীলা।
৩৭. صَاحِبَةُ الشَّفَاعَةِ (ছাহিবাতুশ শাফা‘আহ)- সম্মানিত শাফায়াত মুবারক উনার মালিকাহ।
৩৮. صَاحِبَةُ الْفَضِيْلَةِ (ছাহিবাতুল ফাদ্বীলাহ)- সম্মানিত ফযীলত মুবারক উনার মালিকাহ।
৩৯. صَاحِبَةُ الْـخَيْرِ (ছাহিবাতুল খইর)- সমস্ত কল্যাণ মুবারক উনাদের মালিকাহ।
৪০. صَاحِبَةُ الْكَوْثَرِ (ছাহিবাতুল কাওছার)- সম্মানিত কাওছার মুবারক উনার মালিকাহ, সম্মানিত খাইরে কাছীর মুবারক তথা সমস্ত সম্মানিত ভালাই বা কল্যাণ মুবারক উনাদের মালিকাহ।
৪১. صَاحِبَةُ الْـحَوْضِ (ছাহিবাতুল হাউদ্ব)- সম্মানিত হাউযে কাওছার মুবারক উনার মালিকাহ।
৪২. صَاحِبَةُ الدَّرَجَةِ الْعَالِيَةِ الرَّفِيْعَةِ (ছাহিবাতুদ দারাজাতিল ‘আলিয়াতির রফী‘য়াহ) সুউচ্চ সুমহান সম্মানিত দারাজাত তথা সম্মান ও মাক্বামাত মুবারক উনার মালিকাহ।
৪৩. صَاحِبَةُ السُّلْطَانِ (ছাহিবাতুস সুলত্বান)- যাহিরী-বাতিনী সর্বদিক থেকে সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব মুবারক উনার মালিকাহ।
৪৪. الصِّدِّيْقَةُ (আছ ছিদ্দীক্বহ)- চরম সত্যবাদী।
৪৫. اَلطَّاهِرَةُ (আত্ব ত্বাহিরহ)- পূত-পবিত্রা, পূত-পবিত্রতাদানকারিণী।
৪৬. اَلطَّبِيْبَةُ (আত ত্ববীবাহ)- যাহিরী-বাতিনী, জিসমানী-রূহানী সর্বশ্রেষ্ঠ শিফাদানকারিণী, আরোগ্যদানকারিণী।
৪৭. اَلـطَّـيِّـبَةُ (আত্ব ত্বইয়্যিবাহ)- মহাপবিত্রা, সর্বশ্রেষ্ঠা।
৪৮. اَلْعَابِدَةُ (আল ‘আবিদাহ)- একনিষ্ঠ ইবাদাতকারিণী, মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অনুগতা ও আখাচ্ছুল খাছ মাহবূবা ব্যক্তিত্বা মুবারক।
৪৯. اَلْعَادِلَةُ (আল ‘আদিলাহ)- চরম ন্যায়বিচারকারিণী, চরম ন্যায়পরায়ণা।
৫০. اَلْعِصْمَةُ (আল ‘ইছমাহ)- মহাপবিত্রা, পূত-পবিত্রা।
৫১. عِصْمَةُ اللهِ تَعَالـٰى (‘ইছমাতুল্লাহি তা‘য়ালা) মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বপ্রকার পাপ থেকে মুক্ত, মহাপবিত্রা, পূত-পবিত্রা।
৫২. اَلْعَظِيْمَةُ (আল ‘আযীমাহ)- মহাসম্মানিতা, সুমহান মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার অধিকারিণী।
৫৩. اَلْعَزِيْزَةُ (আল ‘আযীযাহ)- মাহবূবাহ, মহাসম্মানিতা, বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি মুবারক উনার অধিকারিণী, মালিকাহ।
৫৪. اَلْغَنِيَّةُ (আল গ¦নিয়্যাহ)- মহাসম্পদশালিনী, মহাধনী, অমুখাপেক্ষী।
৫৫. اَلْفَاضِلَةُ (আল ফাদ্বিলাহ)- মহাসম্মানিতা, সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার অধিকারিণী, সর্বশ্রেষ্ঠা, সর্বসেরা।
৫৬. اَلْفَائِقَةُ (আল ফায়িক্বহ)- সর্বশ্রেষ্ঠা, অনন্যা।
৫৭. اَلْفَصِيْحَةُ (আল ফাছীহাহ)- সুভাষিণী, বিশুদ্ধভাষিণী।
৫৮. اَلْقَاسـِمَةُ (আল ক্বাসিমাহ)- বণ্টনকারিণী।
৫৯. اَلْقَاضِـيَةُ (আল ক্বাদ্বিয়াহ)Ñ ফায়সালাকারিণী।
৬০. اَلْقَائِدَةُ (আল ক্বায়িদাহ)- সাইয়্যিদাহ, মহানপরিচালিকা, হিদায়াত উনার পথে পরিচালনাকারিণী।
৬১. قَائِدَةُ الْـخَيْرِ (ক্বায়িদাতুল খইর)- কল্যাণের দিকে পরিচালনাকারিণী, যিনি সবাইকে কল্যাণের দিকে নিয়ে যান।
৬২. اَلْقَرِيْبَةُ (আল ক্বরীবাহ)- চিরনিকটবর্তী, অতি নিকটস্থ, অতি ঘনিষ্ঠ।
৬৩. اَلْكَرِيْـمَةُ (আল কারীমাহ)- মহাসম্মানিতা, মহামর্যাদাবান, মহাদানশীলা।
৬৪. اَلْمُؤْتَـمَنَةُ (আল মু’তামানাহ)- চির বিশ্বস্ত, সর্বশ্রেষ্ঠ আমানতদার, আমানতের যথাযথ হিফাযতকারিণী।
৬৫. اَلْمَأْمُوْنَةُ (আল মা’মূনাহ)- নিরাপদ, চির বিশ্বস্ত।
৬৬. اَلْمَعْصُوْمَةُ (আল মা’ছূমাহ)- নিষ্পাপ, মা’ছূমাহ।
৬৭. اَلْمَاجِدَةُ (আল মাজিদাহ)- গৌরবময়ী, মহামর্যাদাবান, মহান, গৌরবান্বিত।
৬৮. اَلْمُعَظَّمَةُ (আল মু’য়ায্যমাহ)- মহাসম্মানিতা, মহামর্যাদাবান।
৬৯. اَلْمُعِيْنَةُ (আল মু‘ঈনাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারিণী।
৭০ اَلْمُكَرَّمَةُ (আল মুর্কারমাহ)- মহাসম্মানিতা।
৭১. اَلْمَوْعِظَةُ (আল মাও‘িয়যহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারিণী।
৭২. اَلْمُهَذَّبَةُ (আল মুহায্যাবাহ)- পূত-পবিত্রা, মহাপবিত্রা।
৭৩. اَلنَّاصِحَةُ (আল নাছিহাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারিণী, উপদেশদানকারিণী।
৭৪. اَلْمَانِعَةُ (আল মানি‘আহ)- (সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ সমস্ত কাজে) সর্বশ্রেষ্ঠ বাধা দানকারীণী, নিষেধকারীণী।
৭৫. اَلْمُبَارِكَةُ (আল মুবারিকাহ)- বরকতদানকারিণী, কল্যাণদানকারিণী।
৭৬. اَلْمُبَلِّغَةُ (আল মুবাল্লিগহ)- সম্মানিত দ্বীন উনার প্রতি আহ্বানকারিণী।
৭৭. اَلْمُتَـبَسِّمَةُ (আল মুতাবাসসিমাহ)- হাস্যোজ্জ্বল, যিনি নূরুর তাক্বরীর (মুচকি হাসি মুবারক) দেন।
৭৮. اَلْمُتَّقِيَةُ (আল মুত্তাক্বিয়াহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ মুত্তাক্বী, সর্বশ্রেষ্ঠ পরহেযগার।
৭৯. اَلْمُتَوَكِّلَةُ (আল মুতাওয়াক্কিলাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ তাওয়াক্কুলকারিণী।
৮০. اَلْمَتِيْنَةُ (আল মাতীনাহ)- মহাশক্তিমান, মহাশক্তিধর।
৮১. اَلْمُجَاهِدَةُ (আল মুজাহিদাহ)- মুজাহিদাহ, জেহাদকারিণী।
৮২. اَلْمُجِيْبَةُ (আল মুজীবাহ)- সাড়া দানকারিণী।
৮৩. اَلْمُجِيْرَةُ (আল মুজীরাহ)- আশ্রয়দানকারিণী, সাহায্যকারিণী, রক্ষাকারিণী, উদ্ধারকারিণী।
৮৪. اَلْمَجِيْدَةُ (আল মাজীদাহ)- মহামর্যাদাবান, মহীয়ান, গৌরবান্বিত, গৌরবময়ী।
৮৫. اَلْمَحْفُوْظَةُ (আল মাহফূযহ)- সংরক্ষিত।
৮৬. اَلْمَحْمُوْدَةُ (আল মাহমূদাহ)- চরম প্রশংসিত।
৮৭. اَلْمُخْبِرَةُ (আল মুখবিরাহ)- সুসংবাদ দানকারিণী।
৮৮. اَلْمُخْتَارَةُ (আল মুখ¦তারাহ)- মনোনীত, সর্বশ্রেষ্ঠা।
৮৯. اَلْمُخْتَصَّةُ (আর মুখতাচ্ছাহ)- বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক, আখাচ্ছুল খাছ ব্যক্তিত্বা মুবারক।
৯০. مَدِيْنَةُ الْعِلْمِ (মাদীনাতুল ‘ইলম)- সম্মানিত ইলম মুবারক উনার শহর, সমস্ত ইলম মুবারক উনার মালিকাহ।
৯১. اَلْمُذَكِّـرَةُ (আল মুযাক্কিরাহ)- উপদেশ দানকারিণী, নছীহতকারিণী, তা’লীমদানকারিণী, শিক্ষা দানকারিণী।
৯২. اَلْمُسْتَعِيْذَةُ (আল মুস্তা‘য়ীযাহ)- আশ্রয় প্রার্থনাকারিণী।
৯৩. اَلْمُسْتَقِيْمَةُ (আল মুস্তাক্বীমাহ)- সরল, সঠিক।
 ৯৪. اَلْمَسْعُوْدَةُ (আল মাস‘ঊদাহ)- সৌভাগ্যশীলা, সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান।
৯৫. اَلْمَشْهُوْدَةُ (আল মাশহূদাহ)- উপস্থিত, হাযির-নাযির।
৯৬. اَلْمُصَدِّقَةُ (আল মুছদ্দিক্বহ)- সত্যায়নকারিণী।
৯৭. اَلْمُصْلِحَةُ (আল মুছলিহাহ)- ইছলাহকারিণী, সংশোধনকারিণী।
৯৮. اَلْمَعْرُوْفَةُ (আল মা’রূফাহ)- সবচেয়ে পরিচিত, প্রসিদ্ধ।
৯৯. اَلْمُعَلِّمَةُ (আল মু‘য়াল্লিমাহ)- মু‘য়াল্লিমাহ, তা’লীমদানকারিণী।
১০০. مُعَلِّمَةُ الْاُمَّةِ (মু‘য়াল্লিমাতু উম্মাহ)- সমস্ত উম্মতকে তা’লীমদানকারিনী।
১০১. مُقِيْمَةُ السُّنَّةِ (মুক্বীমাতুস সুন্নাহ)- সম্মানিত সুন্নত মুবারক প্রতিষ্ঠাকারিণী, আবাদকারিণী।
১০২. اَلْمُرْشِدَةُ (আল মুরশিদাহ)- পথ প্রদর্শনকারিণী, হিদায়াতদানকারিণী।
১০৩. مَالِكَةُ الْـجَنَّةِ (মালিকাতুল জান্নাহ)- সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মালিকাহ।
১০৪. مَالِكَةُ الْكَائِنَاتِ (মালিকাতুল কায়িনাত)- সমস্ত কায়িনাতের মালিকাহ।
১০৫. اَلْمُنْتَصِرَةُ (আল মুনতাছিরাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয়িনী, মহাশক্তিধর।
১০৬. نَاصِرَةُ الـدِّيْنِ (নাছিরতুদ্দীন)- সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে সাহায্যকারিণী।
১০৭. اَلنَّاهِيَةُ (আন নাহিয়াহ)- নিষেধকারিণী, বারণকারিণী।
১০৮. اَلنِّعْمَةُ (আল নি’মাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক।
১০৯. اَلنَّقِيْبَةُ (আন নাক্বীবাহ)- সাইয়্যিদাহ।
১১০. نِعْمَةُ اللهِ (নি’মাতুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক।
১১১. اَلنُّوْرُ (আন নূর)- নূর মুবারক।
১১২. اَلنُّوْرُ الْمُكَرَّمَةُ (আন নূরুল মুকাররমাহ)- সম্মানিত নূর মুবারক।
১১৩. اَلنُّوْرُ الْمُطَهَّرَةُ (আন নূরুল মুত্বহ্হারহ)- মহাপবিত্র নূর মুবারক।
১১৪. نُوْرُ اللهِ (নূরুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নূর মুবারক।
১১৫. نُوْرُ الْاُمَم (নূরুল উমাম)- সমস্ত উম্মতের নূর মুবারক, নূরুল উমাম।
১১৬. نُوْرُ الْكَائِنَات (নূরুল কায়িনাত)- সমস্ত কায়িনাতের নূর মুবারক।
১১৭. اَلْوَاسِعَةُ (আল ওয়াসি‘আহ)- সীমাহীন ইলম মুবারক উনার অধিকারিণী, মহা দানশীলা।
১১৮. اَلْوَاعِظَةُ (আল ওয়া‘য়িযাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ ওয়ায়েজ, নছীহতকারিণী, উপদেশদানকারিণী। ১১৯. اَلْوَافِـيَةُ (আল ওয়াফিয়াহ)- পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণতাদানকারিণী।
১২০. اَلْوَاجِدَةُ (আল ওয়াজিদাহ)- যা চান তাই পান এমন সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক।
১২১. اَلْوَسِيْلَةُ (আল ওয়াসীলাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ ওসীলা মুবারক, সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম।
১২২. اَلْوَهَّابَةُ (আল ওহ্হাবাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীলা, সীমাহীন দানকারিণী।
১২৩. اَلْـهَادِيَةُ (আল হাদিয়াহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়াতকারিণী।
১২৪. هَدِيَّةُ اللهِ عَلَيْها السَّلَامُ (হাদিয়্যাতুল্লাহ আলাইহাস সালাম)- মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত হাদিয়া মুবারক, তোহফা মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
ইত্যাদি উনার বিশেষ মহাসম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! এখানে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সামান্য কিছু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক কোটি কোটি কোটি; যা কুল-মাখলুকাতের চিন্তা ফিকিরের ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

0 Comments: