কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির

 কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির

--------------------------------------------------------------------
বিশিষ্ট রেজাল ও ইতিহাসবিদ সেই সাথে ওহাবীদের প্রিয়পাত্র ইবনে তাইমিয়ার অন্যতম সাগরেদ ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে ইয়াযিদ কাফির সম্পর্কে লিখেন,
قلت: ولما فعل يزيد بأهل المدينة ما فعل، وقتل الحسين وإخوته وآله، وشرب يزيد الخمر، وارتكب أشياء منكرة، بغضه الناس، وخرج عليه غير واحد، ولم يبارك الله في عمره، فخرج عليه أبو بلال مرداس بن أدية الحنظلي
“আমি বলি (হযরত ইমাম যাহাবী) , ইয়াযিদ মদীনাবাসীর সাথে যে আচরন করেছিলো, এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ও উনার পরিবারকে যেভাবে শহীদ করেছিলো, যেভাবে মদ্যপান ও নিকৃষ্ট কাজে লিপ্ত হয়েছিলো এর জন্য মানুষরা তাকে ঘৃনা করতো এবং তার বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলো। আল্লাহ পাক ইয়াযিদের জীবনে বরকত দেননি। হযরত আবু বিলাল মারদীসি ইবনে আদয়িয়া হানযালী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।”
(দলীল: তারিখুল ইসলাম লি ইমাম যাহাবী ৫ম খন্ড ৩০ পৃষ্ঠা; লেখক: হাফিজুল হাদীছ ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি ; প্রকাশনা : দারু কুতুব আল আরবী, বৈরুত, লেবানন)
ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এ বক্তব্য থেকে যা প্রমাণ হচ্ছে,
১) হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ও উনার পরিবারবর্গকে শহীদ করেছে ইয়াযিদ।
২) মদীনা শরীফের অধিবাসীদের সাথে অত্যান্ত জঘন্য আচরন করেছে ইয়াযিদ।
৩) ইয়াযিদ মদ্যপান করতো।
৪) ইয়াযিদের সকল কাজ ছিলো নিকৃষ্ট প্রকৃতির।
৫) মানুষজন তাকে ঘৃনা করতো।
৬) মানুষজন তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো
৭) আল্লাহ পাক ইয়াযিদের জীবন থেকে রহমত বরকত উঠিয়ে নিয়েছিলেন।
অথচ এই কাট্ট কাফির ও লা’নতপ্রাপ্তকে সমাজের এক শ্রেনীর কুলাঙ্গার সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। যেখাসে সেই যামানর মানুষরাই ইয়াযিদকে ঘৃনা ও করতো তার বিরোধীতা করতো সেখানে আজ এক শ্রেনী কাফির পয়দা হয়েছে তারা ইয়াযিদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ইয়াযিদের প্রতি ও তার শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি অনন্তকালের জন্য লা’নত।

0 Comments: