ইয়াযিদ ভক্তরা বলে থাকে ইয়াযিদের কাছে অনেকে বাইয়াত হয়েছিলো। সূতরাং তাদের মত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাইয়াতের দ্বারা তার শাষন গ্রহনযোগ্য প্রমাণ হয়। নাউযুবিল্লাহ।


 ইয়াযিদ ভক্তরা বলে থাকে ইয়াযিদের কাছে অনেকে বাইয়াত হয়েছিলো। সূতরাং তাদের মত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাইয়াতের দ্বারা তার শাষন গ্রহনযোগ্য প্রমাণ হয়। নাউযুবিল্লাহ।

উপরোক্ত কথার জবাবে বিখ্যাত সাহাবী হযরত হানযালা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হানযালা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
والله ما خرجنا على يزيد حتى خفنا أن نرمي بالحجارة من السماء أن كان رجلا ينكح أمهات الأولاد والبنات والأخوات ويشرب الخمر ويدع الصلاة
“আল্লাহ পাকের কসম! ঐ সময় পর্যন্ত আমরা ইয়াযিদের শাষনে থেকে বের হয়নি, এমনিকি আমাদের ভয় হতে লাগলো, যদি আমরা তার বাইয়াত ভঙ্গ না করি তবে আমাদের উপর আসমান থেকে পাথর বর্ষন হবে। ইয়াযিদ একই ব্যক্তির মা- মেয়ে- বোনকে বিবাহকারী, মদ পানকারী, নামায ত্যাগকারী।”
(আল মুন্তাজাম ফি তারিখিল উমাম ওয়াল মুলক ৬ষ্ঠ খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা, লেখক: হযরত ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি, প্রকাশনা: দারু কুতুব আল ইলমিয়া, বৈরুত লেবানন)
এছাড়াও উক্ত বর্ণনা তাবকাতে ইবনে সা’দ, আওয়াযুল মাসালিক শরহে মুয়াত্তা ইমাম মালেক, আস সাওয়ায়িকুল মুহাররিকা, তারিখুল খুলাফা সহ অনেক নির্ভরযোগ্য কিতাবে উল্লেখ আছে।
সূতরাং প্রমাণ হলো ইয়াযিদপন্থীরা যে বাইয়াতের মিথ্যা দাবী নিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে তার কোন ভিত্তি নেই। কারন এমন নিকৃষ্ট, পিশাচ মানুষের বাইয়াত কেউ মানতে পারে না। সবাই তার বাইয়াত ত্যাগ করে। এবং সেসময় অনেকে নিজের পা থেকে জুতা খুলে নিক্ষেপ করে এটাও বলেছিলো, এই জুতার মত তার বাইয়াতকেও ছুড়ে ফেলা হলো। (এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত লেখা হবে ইনশাআল্লাহ)

0 Comments: