দেওবন্দী কওমী সিলসিলার মহীউদ্দীন সম্পাদীত “মাসিক মদীনা” পত্রিকায় ইয়াযিদকে সমর্থন করে তারা লিখেছিলো, “ইয়াযিদ তাবেয়ী ছিলো।নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক



 
দেওবন্দী কওমী সিলসিলার মহীউদ্দীন সম্পাদীত  “মাসিক মদীনা” পত্রিকায় ইয়াযিদকে সমর্থন করে তারা লিখেছিলো,  “ইয়াযিদ তাবেয়ী ছিলো।নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক 

মাসিক মদীনা পত্রিকার নাম জানে না এমন মানুষ বাংলাদেশে কমই আছে। এক সময় ইসলামী পত্রিকা হিসাবে সর্বসাধারন এই পত্রিকাই পড়তো। অথচ অনেকে জানেই না সুক্ষ্মভাবে তারা মানুষের ঈমানের উপর আঘাত করে গিয়েছে এবং এখনো যাচ্ছে। তাদের পত্রিকায় ইবনে আব্দুল ওয়াহাব নজদীকে মুজাদ্দিদ দাবী, সর্বপোরি কুখ্যাত ইয়াযিদের সাফাই গেয়ে তারা তাদের মূল সংযোগস্থলের খবর প্রকাশ করে দিয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে।

দেওবন্দী কওমী সিলসিলার মহীউদ্দীন সম্পাদীত “মাসিক মদীনা” পত্রিকায় ইয়াযিদকে সমর্থন করে তারা লিখেছিলো,
“ইয়াযিদ তাবেয়ী ছিলো। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার ব্যাপারে তার প্রতি মন্দরুপ কিংবা কিছু বলা ঠিক হবে না।” নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক
(মাসিক মদীনা ,এপ্রিল,২০১০ সংখ্যা , প্রশ্ন উত্তর বিভাগ)
সূতরাং বুঝতেই পারলেন ইয়াযিদের প্রতি তাদের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। এবার আসুন তাদের প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত আরেকটি কিতাব থেকে ইয়াযিদ বিষয়ক মূল্যায়ন করা যাক। মদীনা পাবলিকেশন্স থেকে ইমাম হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “তারীখুল খুলাফা” অনুবাদ করা হয়। উক্ত কিতাবের ২০৪ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইয়াযিদ সরাসরি উবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদকে লিখিতভাবে আদেশ করে, এবং উনার বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরন করে। এরপর উনাকে শহীদ করা হয়। আর এ কারনে ইয়াযিদ এবং উবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদের প্রতি আল্লাহ পাকের লা’নত।
এর উক্ত কিতাবের ২০৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার কর্তিত মস্তক ইবনে যিয়াদ ইয়াযিদের কাছে পাঠায়। ইয়াযিদ এ ঘটনায় আনন্দিত হয় (নাউযুবিল্লাহ) । উক্ত পৃষ্ঠায় একটা হাদীছও বর্ণিত আছে, আমার উম্মত সর্বদা ইনসাফের উপর থাকবে। কিন্তু বনু উমাইয়ার ইয়াযিদ নামক এক লোক ইনসাফে বাধা দিবে। আরেকটা রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, আমার সুন্নতের মধ্যে পরিবর্তন করবে বনু উমাইয়ার ইয়াযিদ।
২০৬ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে, ইয়াযিদকে অমিরুল মু’মিনিন বলার অপরাধে খলীফা উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি এক লোককে ২০ টি বেত মারার নির্দেশ দেন।
উক্ত পৃষ্ঠায় আরো বর্ণিত আছে, ইয়াযিদ মদীনা শরীফ হামলার জন্য বিশাল সৈন্য বাহিনী পাঠায়। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনান স্মৃতি বিজড়িত স্থানকে সে ধ্বংশ স্তুপ বানায়। সেদিন ইয়াযিদের নির্যাতন থেকে একজন মানুষও পরিত্রান পায়নি। সহস্রাধিক সাহাবায়ে কিরার রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমকে শহীদ করা হয়।
২০৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, মদীনা শরীফে লুটতরাজ করা হয়, হাজার হাজার তরুনীকে ধর্ষন করা করা। নাউযুবিল্লাহ। সেখানে এও উল্লেখ করা হয়েছে, ইয়াযিদ মদ পান করতো এবং অনেক মন্দ কাজের সাথে জড়িত ছিলো।
এরপর সে মক্কা শরীফ হামলা করার জন্য সৈন্য পাঠায়। তার সৈন্য বাহিনীর আক্রমনে কা’বা শরীফের দেয়াল ও ছাদে আগুন লেগে যায়।
এই হলো কুখ্যাত ইয়াযিদের চরিত্র যা “মদীনা পাবলিকেশন্স” থেকে প্রকাশিত তারীখুল খুলাফায় রয়েছে। আবার তারাই তাদের “মাসিক মদীনা” পত্রিকায় লিখছে, “ইয়াযিদ তাবেয়ী ছিলো। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার ব্যাপারে তার প্রতি মন্দরুপ কিংবা কিছু বলা ঠিক হবে না।”
এ থেকে কি প্রমাণ হয় না ঐতিহাসিক সত্যতা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গিয়ে “মাসিক মদীনা” পত্রিকার সংশ্লিষ্টরা ইয়াযিদের পক্ষ নিচ্ছে? যা তাদের আসল চরিত্র জনগনের সামনে প্রকাশে সহায়তা করছে।

0 Comments: