কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (২)
-----------------------------------------------------------------------
হযরত ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি কে এক মজলিসে জিজ্ঞাস করা হল- ইয়াযীদ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন,
فقال ما تقولون : فى رجل ولى ثلاث سنين فى السنة الاولى قتل الحسين فى الثانية أخاف المدينة و أباحها و فى الثالثة رمى الكعبة بالمجانيق وهدمها , فقالوا نلعن فقال فالعنوه , فلعنه ابن الجوزى على المنبر ببغداد بحضرة الامام الناصر و أكابر العلماء وقام جماعة من الحفاة من مجلسه فذهبوا فقال: الا بعدا لمدين كما بعدت ثمود سورة هود-
তিনি বলেন, আপনারা কী বলবেন, এক ব্যক্তি তিন বছর রাজ্য পরিচালনা করে। সে প্রথম বছরে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামকে শহীদ করে। দ্বিতীয় বছর মদীনা মুনাওয়ারায় আক্রমণ করে এবং এর পবিত্রতা নষ্ট করে। তৃতীয় বছর কা’বা শরীফে মিনজনিক কামান নিক্ষেপ আগ্নিকান্ড করে এবং ভাংচুর করে। উপস্থিত সবাই বলল, আমরা তাকে লা‘নত করব। অতঃপর হযরত ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বাগদাদের মিম্বরে বসে খলিফা নাসিরের সামনে ইয়াযিদকে লা‘নত করেন। তখন সে সময়ের বড় বড় উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। এসময় কিছু গ্রাম্য লোক মাজলিস থেকে উঠে যায়। ইমাম ইবন জাওযী তাদের উদ্দেশ্যে পবিত্র কুরআন মাজীদের এ আয়াত তেলোয়াত করেন- الا بعدا لمدين كما بعدت ثمود অর্থাৎ, মাদায়েনও ধ্বংস হয়েছে যেভাবে সামূদ সম্প্রদায় ধ্বংস হয়েছে। (সূরা হুদ, আয়াত-৯৫)
(দলীল: অার রদ্দু আলা মুতাআচ্ছিব আনিদ মানিয়ি মিন যাম্মি ইয়াযিদ ১১ পৃষ্ঠা; লেখক: হাফিজে হাদীছ ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি; ওফাত : ৫৯৭ হিজরী; প্রকাশনা : দারু কুতব আল ইলমিয়া, বৈরুত, লেবানন)
হযরত ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফতোয়া থেকে প্রমাণ হলো,
১) হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামকে শহীদ করার পেছনে ইয়াযিদ দায়ী
২) ইয়াযিদ পবিত্র মদীনা শরীফেও হামলা করে
৩) ইয়াযিদ কাবা শরীফেও হামলা করে।
৪) ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি ইয়াযিদকে লা’নত করেছেন।
৫) মজলিসে উপস্থিত উলামায়ে কিরাম সকলেই ইয়াযিদকে লা’নত করেছে।
৬) উক্ত মজলিসের লা’নত করার দ্বারা ইয়াযিদকে লা’নত করার বিষয়ে ঐক্যমত্য প্রমাণিত হয়।
৭) আর লা’নত এর কথা শুনে যারা চলে যায় তাদেরও ধ্বংসের বিষয়ে কুরআন শরীফ থেকে দলীল দেন ইমাম জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
(চলবে..........)
0 Comments:
Post a Comment