ইয়াযিদ উসমান বিন মুহাম্মদ বিন আবি সুফিয়ানকে মদীনার শাসক হিসাবে নিয়োগ দেয়।

ইয়াযিদ উসমান বিন মুহাম্মদ বিন আবি সুফিয়ানকে মদীনার শাসক হিসাবে নিয়োগ দেয়।

উসমান উপহার সামগ্রীসহ এক প্রতিনিধি দল প্রেরণ করে ইয়াযিদের কাছে তারই আনুগত্যের শপথ নেয়ার উদ্দেশ্যে,

فلما رجع الوفد أظهروا شتم يزيد، وقالوا: قدمنا من عند رجل ليس له دين، يشرب الخمر، ويعزف بالطنابير، ويلعب بالكلاب؛ وإنا نشهدكم أنا قد خلعناه. وقال المنذر: أما واله لقد أجازني مائة ألف درهم، ولا يمنعني ما صنع أن أصدقكم عنه والله إنّه ليشرب الخمر، إنّه ليسكر حتّى يدع الصّلاة
- কিন্তু প্রতিনিধি দলের ফিরে এসে ইয়াযিদকে অভিশাপ দিয়ে বলে, ‘আমরা এমন এক লোকের সাথে সাক্ষাৎ করে এসেছি যার কোনো ধর্ম নেই, সে মদ্যপান করে, বাদ্যযন্ত্র বাজায়, কুকুরে সাথে খেলে। আমরা তার প্রতি বাইয়াতের শপথ ছিন্ন করছি।’
মুনযির বর্ণনা করেন, ‘‘এয়াযীদ আমাকে এক লক্ষ দিরহাম পুরস্কার দিয়েছিল, কিন্তু এটি তার প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করা থেকে আমাকে দমাতে পারবে না। আল্লাহ পাকের কসম! সে মদ পান করতো। মাতাল হয়ে থাকতো নামাযের অতিবাহিত হয়ে যেত।”
(ওয়াফাউল ওফা ফি আখবারি দারিল মুস্তফা ১/১২৭, লেখক: শায়খুল আল্লামা নুরুদ্দীন আলী ইবনে আহমদ সামহুদী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ৯১১ হিজরী), প্রকাশনা: দারু কুতুব আল ইলমিয়া- বাইরুত- লেবানন)
এছাড়াও উক্ত বর্ণনা ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি আল মুন্তাজাম ফি তারিখিল উমাম ওয়াল মুলক কিতাবে, ইবনুল আছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তারিখে কামিল গ্রন্থে এছাড়া আরো অনেক ইমাম অনেক নির্ভযোগ্য কিতাবে বর্ণনা করেছেন।
এই ঘটনা থেকে যা প্রমাণ হলো,
১) ইয়াযিদ এমন চরিত্রের লোক যার আমল দেখে তাকে ধর্মহীন মনে হয়।
২) সে মদ্যপান করে, বাদ্যযন্ত্র বাজায়, কুকুরে সাথে খেলে
৩) সকল মানুষ তার বাইয়াত ছিন্ন করে।
৪) তার চরিত্র এমনই কলুষিত যে, সে যাকে ১ লক্ষ দিরহাম উপহার দিয়েছে সেও তার পাপাচার দেখে তার চরিত্র প্রকাশে কুণ্ঠাবোধ করেনি।
এরপরও নাকি ইয়াযিদ একশ্রেনীর মানুষের কাছে রহমতের দোয়ার উপযোগী। নাউযুবিল্লাহ

0 Comments: