কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা বিষয়ে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য কিতাবে ইয়াযিদকে কাফির বলা হয়েছে ।

 






 কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা বিষয়ে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য কিতাবে ইয়াযিদকে কাফির বলা হয়েছে ।

 কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা বিষয়ে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য কিতাবে ইয়াযিদকে দায়ী উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সাথে পরবর্তীতে ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার কর্তিত মস্তক মুবারকের সাথে তার চরম বেয়াদবি ও আহলে বাইতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বন্দি করে চরম বেয়াদবির দলীল অসংখ্য নির্ভরযোগ্য কিতাবে মওজুদ আছে।

সেই সাথে হাররার মর্মান্তিক ঘটনা সহীহ সনদে প্রমানিত। পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফে এহেন নেক্কারজনক কাজ নেই যা ইয়াযিদের বাহীনি করে নাই। অনেক সাহাবী, তাবেয়ী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের রক্তের নদী প্রবাহিত হয়েছে, সহস্র সম্ভ্রান্ত নারীর সম্ভ্রম হনন করা হয়েছে, কাবা শরীফে হামলা করা হয়েছে। মসজিদে নববীতে আজান ও নামাজ বন্ধ ছিলো ইত্যাদি......
এ সকল ঘটনাই এই হাদীছ শরীফের ভবিষ্যৎবাণী সহীহ হিসাবে প্রমাণ করে,
عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : لاَ يَزَالُ أَمْرُ أُمَّتِي قَائِمًا بِالْقِسْطِ حَتَّى يَكُونَ أَوَّلَ مَنْ يَثْلِمُهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ يُقَالُ لَهُ : يَزِيدُ
অর্থ: আমার উম্মত ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে যতদিন পর্যন্ত বনু উমাইয়া গোত্রের ‘ইয়াযিদ’ নামক এক লোক তা ধ্বংস করে দিবে।
এ হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণ হলো দ্বীন ইসলামকে ধ্বংস করার জন্যই ইয়াযিদের আর্বিভাব হবে। সূতরাং ইয়াযিদের প্রতি লা’নত করার দলীল এখান থেকেই পাওয়া যায়।
এরপরও কি করে ইয়াযিদের ব্যাপারে সাফাই গাওয়া হয়? কি করে বলা হয় ইয়াযিদকে দায়ী করা যাবে না? একজন সাধারন মুসলমানকে হত্যা করা কুফরী হলে এহেন জঘন্য কর্মকান্ডের পরও কি করে ইয়াযিদকে কাফির বলা যাবে না ? লা’নত করা যাবে না?
উপরোক্ত হাদীছ শরীফখানা উল্লেখ আছে,
(মুসনাদে আবি ইয়ালা ২য় খন্ড ১৭৬ পৃষ্ঠা; হাদীছ নং ৮৭১, সাওয়ায়িকুল মুহাররিকা ২/৬৩২, ফয়দ্বুল ক্বাদীর শরহে জামিউছ ছগীর ৩/১২২, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ৫/২৯২, জামিউছ ছগীর মিন হাদীছি বাশির ওয়ান নাজির ১/২৪৪, মুসনাদুল হারীছ ২/৬৪২: ৬১৬, জামেউ জাওয়ামে ১৮৬৯, সিয়ারু আলাম নুবালা ৭/৩৯, লিসানুল মিজান ৮/৫০৭, খাছায়েছুল কুবরা ২/২১০, সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ১০/৮৯, বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮/২৫৩, তারিখুল ইসলাম লি ইমাম যাহাবী ৩/১৮০, তারিখুল খুলাফা ১/১৮২, মুখতাছারু তারিখু দিমাষ্ক ৮/২৩৮)
উপরোক্ত হাদীছখানা মাযমাউয যাওয়ায়িদ ৫ম খন্ডে ৪৩৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে। হাদীছ খানা উল্লেখ করে ইমাম নুরুদ্দীন ইবনে হাজার হায়তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
رواه أبو يعلى والبزار ورجال أبي يعلى رجال الصحيح إلا أن مكحولا لم يدرك أبا عبيدة
এই রেওয়ায়েত হযরত ইমাম আবু ইয়ালা ও ইমাম বাযযার রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনার বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু ইয়ালা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বর্ণিত হাদীছে সকল রাবী সেকাহ। শুধু ইমাম হযরত মাকহুল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আবু উবায়দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার সাক্ষাৎ পাননি।
সাক্ষাত না পাওয়ার কারনে উছূলে হাদীছের দৃষ্টিতে যদিও মুনকাতে কিন্তু ইমাম মাকহুল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নির্ভরযোগ্য তাবেয়ী। সূতরাং বর্ণনাখানা গ্রহনযোগ্য।
আর ইয়াযিদের চারিত্রিক বিষয় সমূহ ও তার কর্মকান্ড উপরোক্ত হাদীছকে সহীহই প্রমাণ করে।

0 Comments: