ইনফাক্ব শব্দ মুবারকযুক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ (৪৩ বার) পর্ব-৬


Image result for যাকাতগ) ইনফাক্ব¡ (اِلانْفَاقَ) শব্দ মুবারকযুক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ (৪৩ বার)
১) পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ (১৪ বার)
اَلَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيْمُوْنَ الصَّلٰوةَ وَمِـمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ.
অর্থ : “যাঁরা অদৃশ্যে ঈমান আনেন, সম্মানিত নামায কায়িম করেন এবং আমি উনাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)
وَاَنْفِقُوْا فِـيْ سَبِيْلِ اللهِ وَلَا تُلْقُوْا بِاَيْدِيْكُمْ اِلَى التَّهْلُكَةِ ج وَاَحْسِنُوْا ج اِنَّ اللهَ يُـحِبُّ الْمُحْسِنِيْنَ.
অর্থ : “আর মহান আল্লাহ পাক উনার পথে আপনারা ব্যয় করুন, নিজের সম্পদকে নিজের হাতে ধ্বংসের সম্মুখীন করবেন না। আর মানুষের প্রতি ইহসান বা অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইহসানকারী বা অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯৫)
يَسْاَلُوْنَكَ مَاذَا يُنْفِقُوْنَ ط قُلْ مَا اَنْفَقْتُمْ مّنْ خَيْرٍ فَلِلْوَالِدَيْنِ وَالْاَقْرَبِيْنَ وَالْيَتَامٰى وَالْمَسَاكِيْنِ وَابْنِ السَّبِيْلِ ط وَمَا تَفْعَلُوْا مِنْ خَيْرٍ فَاِنَّ اللهَ بِهٖ عَلِيْمٌ.
অর্থ : “আপনাকে উনারা জিজ্ঞেস করেন যে, উনারা কি ব্যয় করবেন? আপনি বলে দিন, যে ধন-সম্পদই আপনারা ব্যয় করেন তা হবে পিতা-মাতার জন্যে, আতœীয়-স্বজনের জন্যে, ইয়াতীম-মিসকীনদের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে। আর আপনারা যে উত্তম কাজই করেন, নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ পাক তিনি সে সম্পর্কে অবহিত।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৫)
وَيَسْاَلُوْنَكَ مَاذَا يُنْفِقُوْنَ قُلِ الْعَفْوَ ط كَذٰلِكَ يُبَيّنُ اللهُ لَكُمُ الْاٰيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُوْنَ.
অর্থ : “আর আপনাকে উনারা জিজ্ঞেস করেন, উনারা কি ব্যয় করবেন? আপনি বলে দিন, নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তাই খরচ করবেন। এভাবেই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের জন্যে নির্দেশ মুবারক সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা মুবারক করেন, যাতে আপনারা চিন্তা করতে পারেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯)
يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اَنْفِقُوْا مِـمَّا رَزَقْنَاكُم مّنْ قَبْلِ اَنْ يَّاْتِـيَ يَوْمٌ لَّا بَيْعٌ فِيْهِ وَلَا خُلَّةٌ وَلَا شَفَاعَةٌ ط وَالْكَافِرُوْنَ هُمُ الظَّالِمُوْنَ.
অর্থ : “হে ঈমানদারগণ! আমি আপনাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা হতে আপনারা ব্যয় করুন সেদিন আসার পূর্বেই, যেদিন ক্রয়-বিক্রয়, সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব থাকবে না। আর কাফিররাই হলো প্রকৃত যালিম।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৫৪)
مَثَلُ الَّذِيْنَ يُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَـهُمْ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ اَنْبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِيْ كُلّ سُنْبُلَةٍ مّائَةُ حَبَّةٍ ط وَاللهُ يُضَاعِفُ لِمَنْ يَّشَاءُ ط وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ.
অর্থ : “মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যে নিজ সম্পদ হতে যারা ব্যয় করেন উনাদের উপমা যেমন একটি বীজের মত। যা হতে ৭টি শীষ জন্মায় এবং প্রত্যেকটি শীষে একশত দানা থাকে। বস্তুত মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রশস্ত বা বড় দানশীল সর্বজ্ঞ।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬১)
اَلَّذِيْنَ يُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَـهُمْ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ ثُـمَّ لَا يُتْبِعُوْنَ مَا اَنْفَقُوْا مَنًّا وَّلَا اَذًى لا لَّـهُمْ اَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِـّهِمْ ج وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَـحْزَنُوْنَ.
অর্থ : “মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যাঁরা স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করেন, অতঃপর যা ব্যয় করেন তা বলে বেড়ান না এবং কষ্টও দেন না, উনাদেরই জন্যে উনাদের মহান রব তায়ালা উনার নিকট রয়েছে পুরস্কার। আর উনাদের কোন ভয় নেই, উনারা চিন্তিতও হবেন না।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬২)
يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تُبْطِلُوْا صَدَقَاتِكُمْ بِالْمَنّ وَالْاَذٰى لا كَالَّذِيْ يُنْفِقُ مَالَهٗ رِئَاءَ النَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ ط فَمَثَلُهٗ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَيْهِ تُرَابٌ فَاَصَابَهٗ وَابِلٌ فَتَرَكَهُ صَلْدًا ط لَّا يَقْدِرُوْنَ عَلٰى شَيْءٍ مّـمَّا كَسَبُوْا ط وَاللهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِيْنَ.
অর্থ : “হে ঈমানদারগণ! দান করার কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান-ছদক্বা সে ব্যক্তির মত বরবাদ করবেন না, যে নিজের ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে না। অতএব, এ ব্যক্তির দৃষ্টান্ত একটি মসৃণ পাথরের মত যার উপর কিছু মাটি পড়েছিল। অতঃপর এর উপর প্রবল বৃষ্টি বর্ষিত হলো, অনন্তর পাথরটিকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দিল। তারা যা উপার্জন করেছে তার কিছুই তারা তাদের কাজে লাগাতে পারবে না। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৪)
وَمَثَلُ الَّذِيْنَ يُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَـهُمُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللهِ وَتَثْبِيْتًا مّنْ اَنْفُسِهِمْ كَمَثَلِ جَنَّةٍ بِرَبْوَةٍ اَصَابَـهَا وَابِلٌ فَاٰتَتْ اُكُلَهَا ضِعْفَيْنِ ج فَاِنْ لَّـمْ يُصِبْهَا وَابِلٌ فَطَلٌّ ط وَاللهُ بِـمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ.
অর্থ : “আর মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জনের লক্ষ্যে ও নিজের মনকে সুদৃঢ় করার জন্যে যাঁরা স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করেন উনাদের উদাহরণ উঁচু ভূমিতে অবস্থিত একটি বাগানের মত, যাতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়; এর ফলে দ্বিগুণ ফসল উৎপাদিত হয়। যদি এমন প্রবল বৃষ্টিপাত নাও হয়, তবে হাল্কা বর্ষণই যথেষ্ট। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের কাজক্রম যথার্থই প্রত্যক্ষ করেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৫)
يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اَنْفِقُوْا مِنْ طَيّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِـمَّا اَخْرَجْنَا لَكُمْ مّنَ الْاَرْضِ ص وَلَا تَيَمَّمُوْا الْـخَبِيْثَ مِنْهُ تُنْفِقُوْنَ وَلَسْتُمْ بِاٰخِذِيْهِ اِلَّا اَنْ تُغْمِضُوْا فِيْهِ ط وَاعْلَمُوْا اَنَّ اللهَ غَنِيٌّ حَـمِيْدٌ.
অর্থ : “হে ঈমানদারগণ! আপনারা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং যা আমি আপনাদের জন্যে ভূমি থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করুন এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয় করতে মনস্থ করবেন না। কেননা, তা (নিকৃষ্ট জিনিস) আপনারা কখনও গ্রহণ করবেন না; চোখ বন্ধ করা ব্যতীত। আর জেনে রাখুন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি অমুখাপেক্ষী, পরম প্রশংসিত।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭)
وَمَا اَنْفَقْتُمْ مّنْ نَّفَقَةٍ اَوْ نَذَرْتُـمْ مّنْ نَّذْرٍ فَاِنَّ اللهَ يَعْلَمُهٗ ط وَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ.
অর্থ : “আপনারা যে দান করেন কিংবা কোন মানত করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সেসব কিছুই জানেন। আর যালিমদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭০)
لَيْسَ عَلَيْكَ هُدَاهُمْ وَلٰكِنَّ اللهَ يَهْدِيْ مَنْ يَّشَاءُ ط وَمَا تُنْفِقُوْا مِنْ خَيْرٍ فَلِاَنْفُسِكُمْ طوَمَا تُنْفِقُوْنَ اِلَّا ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللهِ ط وَمَا تُنْفِقُوْا مِنْ خَيْرٍ يُوَفَّ اِلَيْكُمْ وَاَنْتُمْ لَا تُظْلَمُوْنَ.

অর্থ : “উনাদেরকে সৎপথে আনার দায়িত্ব আপনার নয়। বরং মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। আপনারা যে উত্তম মালামাল ব্যয় করেন, তা নিজ উপকারার্থেই করেন। আর মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্যই তো আপনারা ব্যয় করে থাকেন। আর আপনারা যে কল্যাণকর কিছু ব্যয় করেন তার পুরস্কার আপনাদেরকে পুরোপুরি প্রদান করা হবে এবং আপনাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭২)
لِلْفُقَرَاءِ الَّذِيْنَ اُحْصِرُوْا فِـيْ سَبِيْلِ اللهِ لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ ضَرْبًا فِـي الْاَرْضِ ز يَـحْسَبُهُمُ الْـجَاهِلُ اَغْنِيَاءَ مِنَ التَّعَفُّفِ ج تَعْرِفُهُمْ بِسِيمَاهُمْ ج لَا يَسْاَلُوْنَ النَّاسَ اِلْـحَافًا ط وَمَا تُنْفِقُوْا مِنْ خَيْرٍ فَاِنَّ اللهَ بِهٖ عَلِيمٌ.
অর্থ : “এটা (সম্মানিত যাকাত) সেসব অভাবগ্রস্তদের জন্যে যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় আবদ্ধ থাকার কারণে অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত থাকায় জীবিকার সন্ধানে অন্যত্র ঘোরাফেরা করতে সক্ষম নন এবং (আত্মসম্মানের কারণে) কারো নিকট সুওয়াল করেন না বিধায় অজ্ঞ লোকেরা উনাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। আপনারা উনাদেরকে উনাদের (দারিদ্রতার) লক্ষণ দ্বারা চিনবেন। উনারা মানুষের কাছে কাকুতি-মিনতি করে ব্যাকুলভাবে চায় না অর্থাৎ সুওয়াল করেন না। আর আপনারা অর্থ বা সম্পদ থেকে যা কিছু ব্যয় করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তা অবশ্যই পরিজ্ঞাত।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭৩)
اَلَّذِيْنَ يُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَـهُمْ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ سِرًّا وَعَلَانِيَةً فَلَهُمْ اَجْرُهُمْ عِندَ رَبِـّهِمْ ج وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَـحْزَنُوْنَ.
অর্থ : “যাঁরা স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করেন রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। উনাদের জন্যে প্রতিদান রয়েছে উনাদের মহান রব তায়ালা উনার কাছে। আর উনাদের কোন ভয় নেই এবং উনারা চিন্তিতও হবেন না।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭৪)
২) পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ (৩ বার)
لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتّٰى تُنْفِقُوْا مِـمَّا تُـحِبُّوْنَ ط وَمَا تُنْفِقُوْا مِنْ شَيْءٍ فَاِنَّ اللهَ بِهٖ عَلِيْمٌ.
অর্থ : “মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় আপনারা আপনাদের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু ব্যয় না করা পর্যন্ত কস্মিনকালেও কোন নেকী হাছিল করতে পারবেন না। আর আপনারা যা কিছু ব্যয় করেন মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯২)
مَثَلُ مَا يُنْفِقُوْنَ فِـيْ هٰذِهِ الْـحَيَاةِ الدُّنْيَا كَمَثَلِ رِيْحٍ فِيهَا صِرٌّ اَصَابَتْ حَرْثَ قَوْمٍ ظَلَمُوْا اَنْفُسَهُمْ فَاَهْلَكَتْهُ ط وَمَا ظَلَمَهُمُ اللهُ وَلٰكِنْ اَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُوْنَ.
অর্থ : “এ দুনিয়ার জীবনে যা কিছু তারা ব্যয় করে তার দৃষ্টান্ত হলো বাতাসের মতো, যাতে রয়েছে তুষারের শৈত্য। যা সে জাতির শস্যক্ষেত্রে গিয়ে লেগেছে যারা নিজের প্রতি যুলুম করেছে। অতঃপর সেগুলোকে বিনষ্ট করে দিয়েছে। আর বস্তুত মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের উপর কোন যুলুম করেননি, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের উপর যুলুম করে।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৭)
اَلَّذِيْنَ يُنْفِقُوْنَ فِـي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِيْنَ الْغَيْظَ وَالْعَافِيْنَ عَنِ النَّاسِ ط وَاللهُ يُـحِبُّ الْمُحْسِنِيْنَ.
অর্থ : “যাঁরা সচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করেন এবং যাঁরা নিজেদের রাগকে সংবরণ করেন ও মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করেন। বস্তুতঃ মহান আল্লাহ পাক তিনি সৎকর্মপরায়ণদেরকেই মুহব্বত করেন।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩৪)
৩) পবিত্র সূরা নিসা শরীফ (২ বার)
وَالَّذِيْنَ يُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَـهُمْ رِئَاءَ النَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْاٰخِرِ ط وَمَنْ يَّكُنِ الشَّيْطَانُ لَهٗ قَرِيْنًا فَسَاءَ قَرِيْنًا.
অর্থ : “আর সে সমস্ত লোক যারা স্বীয় ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং যারা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান আনে না। আর শয়তান কারো সাথী হলে সে সাথী কত নিকৃষ্টতর।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৮)
وَمَاذَا عَلَيْهِمْ لَوْ اٰمَنُوْا بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَاَنْفَقُوْا مِـمَّا رَزَقَهُمُ اللهُ ط وَكَانَ اللهُ بِـهِمْ عَلِيْمًا.
অর্থ : “আর তাদের কিইবা ক্ষতি হতো যদি তারা ঈমান আনতো মহান আল্লাহ পাক উনার উপর, কিয়ামত দিবসের উপর এবং যদি ব্যয় করতো মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত রিযিক থেকে! অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের ব্যাপারে যথার্থভাবেই অবগত।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৯)


৪) পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ (২ বার)
اَلَّذِيْنَ يُقِيْمُوْنَ الصَّلٰوةَ وَمِـمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ. اُولٰئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُوْنَ حَقًّا ج لَّـهُمْ دَرَجَاتٌ عِنْدَ رَبّـهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيـمٌ.
অর্থ : “যাঁরা সম্মানিত নামায প্রতিষ্ঠা করেন এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে যে রিযিক প্রদান করেছেন তা থেকে ব্যয় করেন। উনারাই হলেন সত্যিকার ঈমানদার। উনাদের জন্যে রয়েছে স্বীয় মহান রব তায়ালা উনার নিকট মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক রিযিক।” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩-৪)
اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا يُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَـهُمْ لِيَصُدُّوْا عَنْ سَبِيْلِ اللهِ ط فَسَيُنْفِقُوْنَـهَا ثُـمَّ تَكُوْنُ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً ثُـمَّ يُغْلَبُوْنَ ط وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا اِلٰى جَهَنَّمَ يُـحْشَرُوْنَ.
অর্থ : “নিঃসন্দেহে যারা কাফির তারা মহান আল্লাহ পাক উনার পথে বাধা দেয়ার জন্যে নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, অনন্তর তারা সম্পদ ব্যয় করতেই থাকবে। তারপর তাই তাদের জন্যে আক্ষেপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা পরাভূত হয়ে যাবে। আর যারা কাফির তাদেরকে জাহান্নামে একত্র করা হবে।” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
৫) পবিত্র সূরা তওবা শরীফ (৬ বার)
يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اِنَّ كَثِيْرًا مّنَ الْاَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ لَيَأْكُلُوْنَ اَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ وَيَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللهِ ط وَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُوْنَـهَا فِىْ سَبِيْلِ اللهِ فَبَشّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍ.
অর্থ : “হে ঈমানদারগণ! ইহুদী ও নাছারাদের আলিম ও ধর্ম-যাজকদের অনেকে মানুষের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করছে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখছে। আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ব্যয় করে না। তাদেরকে কঠিন আযাবের সুসংবাদ দিন।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৪)
قُلْ اَنْفِقُوْا طَوْعًا اَوْ كَرْهًا لَّنْ يُتَقَبَّلَ مِنْكُمْ ط اِنَّكُمْ كُنْتُمْ قَوْمًا فَاسِقِينَ.
অর্থ : “আপনি বলুন, তোমরা ইচ্ছায় অর্থাৎ বাধ্য হয়ে অথবা অনিচ্ছায় অর্থাৎ অবাধ্য হয়েই ব্যয় করো। তোমাদের থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না। নিশ্চয়ই তোমরা নাফরমানের দল।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৩)
وَمَا مَنَعَهُمْ اَنْ تُقْبَلَ مِنْهُمْ نَفَقَاتُـهُمْ اِلَّا اَنَّـهُمْ كَفَرُوْا بِاللهِ وَبِرَسُوْلِهٖ وَلَا يَأْتُوْنَ الصَّلٰوةَ اِلَّا وَهُمْ كُسَالٰى وَلَا يُنْفِقُوْنَ اِلَّا وَهُمْ كَارِهُوْنَ.
অর্থ : “আর তাদের অর্থ ব্যয় কবুল না হওয়ার অন্য আর কোন কারণ নেই যেহেতু তারা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনেনি, তারা নামাযে আসে অলসতার সাথে আর ব্যয় করে সঙ্কুচিত মনে বা অনিচ্ছাসত্ত্বে।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৪)
وَمِنَ الْاَعْرَابِ مَنْ يَّتَّخِذُ مَا يُنْفِقُ مَغْرَمًا وَّيَتَرَبَّصُ بِكُمُ الدَّوَائِرَ ط عَلَيْهِمْ دَائِرَةُ السَّوْءِ ط وَاللهُ سَـمِيْعٌ عَلِيْمٌ.
অর্থ : “আবার কোন কোন বেদুইন গ্রামবাসী এমনও রয়েছে যারা নিজেদের ব্যয় করাকে অর্থদ- বা জরিমানা বলে গণ্য করে এবং আপনাদের উপর কোন দুর্দিন আসে কিনা সে অপেক্ষায় থাকে। তাদেরই উপর দুর্দিন আসুক। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৮)
وَمِنَ الْاَعْرَابِ مَنْ يُّؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَيَتَّخِذُ مَا يُنْفِقُ قُرُبَاتٍ عِنْدَ اللهِ وَصَلَوَاتِ الرَّسُوْلِ ط اَلَا اِنَّـهَا قُرْبَةٌ لَّـهُمْ ط سَيُدْخِلُهُمُ اللهُ فِىْ رَحْـمَتِهٖ ط اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ.
অর্থ : “আর কোন কোন বেদুইন যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান আনেন এবং নিজেদের ব্যয়কে মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দোয়া মুবারক লাভের উপায় বলে গণ্য করেন। সাবধান! নিশ্চয়ই তা-ই উনাদের জন্যে মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য লাভের উপায়। মহান আল্লাহ পাক তিনি অচিরেই উনাদেরকে স্বীয় রহমতে দাখিল করবেন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৯)
وَلَا يُنْفِقُوْنَ نَفَقَةً صَغِيْرَةً وَلَا كَبِيْرَةً وَلَا يَقْطَعُوْنَ وَادِيًا اِلَّا كُتِبَ لَـهُمْ لِيَجْزِيَهُمُ اللهُ اَحْسَنَ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ.

অর্থ : “আর তারা কম-বেশী অর্থাৎ অল্প-বিস্তর যা কিছু ব্যয় করে, যত প্রান্তর তারা অতিক্রম করে, তা সবই তাদের অনুকূলে লিপিবদ্ধ হয়, যাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের কৃতকর্মসমূহের উত্তম বিনিময় প্রদান করতে পারেন।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২১)
৬) পবিত্র সূরা র’দ শরীফ (১ বার)
وَالَّذِيْنَ صَبَرُوْا ابْتِغَاءَ وَجْهِ رَبِـّهِمْ وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَاَنْفَقُوْا مِـمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً وَّيَدْرَءُوْنَ بِالْـحَسَنَةِ السَّيّئَةَ اُولٰئِكَ لَـهُمْ عُقْبَى الدَّارِ.
অর্থ : “আর যাঁরা স্বীয় মহান রব তায়ালা উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্যে ছবর করেন, নামায প্রতিষ্ঠা করেন আর আমি উনাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করেন এবং যাঁরা মন্দের বিপরীতে ভাল করেন। উনাদের জন্যে রয়েছে পরকালের বাসস্থান।” (পবিত্র সূরা র’দ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২২)
৭) পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ (১ বার)
قُلْ لّعِبَادِيَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا يُقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَيُنْفِقُوْا مِـمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً مّنْ قَبْلِ اَنْ يَّأْتِـيَ يَوْمٌ لَّا بَيْعٌ فِيْهِ وَلَا خِلَالٌ.
অর্থ : “আপনি আমার মু’মিন বান্দা উনাদেরকে বলে দিন, উনারা নামায কায়িম করুক এবং আমি উনাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করুক, ওইদিন আসার পূর্বে যেদিন কোন ক্রয়-বিক্রয় থাকবে না এবং কোন বন্ধুত্বও থাকবে না।” (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
৮) পবিত্র সূরা নাহল শরীফ (১ বার)
ضَرَبَ اللهُ مَثَلًا عَبْدًا مَّـمْلُوْكًا لَّا يَقْدِرُ عَلٰى شَيْءٍ وَّمَنْ رَّزَقْنَاهُ مِنَّا رِزْقًا حَسَنًا فَهُوَ يُنْفِقُ مِنْهُ سِرًّا وَّجَهْرًا ط هَلْ يَسْتَوُوْنَ ط الْـحَمْدُ لِلّهِ ط بَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ.
অর্থ : “মহান আল্লাহ পাক তিনি উপমা দিয়েছেন, অপরের মালিকানাধীন গোলামের, যে কোন কিছুর উপর শক্তি রাখে না এবং এমন একজন যাকে আমি নিজের পক্ষ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছি। আর উক্ত ব্যক্তি তিনি তা থেকে ব্যয় করেন গোপনে ও প্রকাশ্যে। উনারা উভয়ে কি সমান? সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যে কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।” (পবিত্র সূরা নাহল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৫)




৯) পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ (১ বার)
وَاُحِيْطَ بِثَمَرِهٖ فَاَصْبَحَ يُقَلّبُ كَفَّيْهِ عَلٰى مَا اَنْفَقَ فِيْهَا وَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلٰى عُرُوْشِهَا وَيَقُوْلُ يَا لَيْتَنِىْ لَـمْ اُشْرِكْ بِرَبِـّيْ اَحَدًا.
অর্থ : “আর তার সব ফল-সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেল এবং সে তাতে যা ব্যয় করেছিল, তার জন্যে সকালে হাত কচলিয়ে আক্ষেপ করতে লাগল। আর বাগানটি তার মাচার উপর ভেঙ্গে পড়েছিল। সে বলতে লাগল, হায়! আমি যদি কাউকে আমার মহান রব তায়ালা উনার সাথে শরীক না করতাম।” (পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪২)
১০) পবিত্র সূরা হাজ্জ শরীফ (১ বার)
اَلَّذِيْنَ اِذَا ذُكِرَ اللهُ وَجِلَتْ قُلُوبُـهُمْ وَالصَّابِرِيْنَ عَلٰى مَا اَصَابَـهُمْ وَالْمُقِيْمِي الصَّلٰوةِ لا وَمِـمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ.
অর্থ : “মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির (নাম মুবারক স্মরণ) করা হলে উনাদের অন্তর ভয়ে কম্পিত হয় এবং যাঁরা উনাদের উপর আপতিত বিপদাপদে ধৈর্য্যধারণ করেন, যাঁরা নামায কায়িম করেন এবং আমি উনাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করেন।” (পবিত্র সূরা হাজ্জ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৫)
১১) পবিত্র সূরা ক্বাসাস শরীফ (১ বার)
اُولٰئِكَ يُؤْتَوْنَ اَجْرَهُمْ مَّرَّتَيْنِ بِـمَا صَبَرُوْا وَيَدْرَءُوْنَ بِالْـحَسَنَةِ السَّيّئَةَ وَمِـمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ.
অর্থ : “উনাদেরকে দু’বার প্রতিদান দেয়া হবে উনাদের ছবরের কারণে। উনারা মন্দের পরিবর্তে ভাল কাজ করেন এবং আমি উনাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করেন।” (পবিত্র সূরা ক্বাসাস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৪)
১২) পবিত্র সূরা সাজদাহ শরীফ (১ বার)
تَتَجَافٰى جُنُوْبُـهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُوْنَ رَبَّـهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا وَمِـمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ.
অর্থ : “উনারা উনাদের শয্যা ত্যাগ করেন, উনাদের মহান রব তায়ালা উনার কাছে দু‘আ করেন ভয়ে ও আশায় এবং আমি উনাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করেন।” (পবিত্র সূরা সাজদাহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬)

১৩) পবিত্র সূরা সাবা শরীফ (১ বার)
قُلْ اِنَّ رَبّـى يَبْسُطُ الرّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهٖ وَيَقْدِرُ لَهٗ ط وَمَا اَنْفَقْتُمْ مّنْ شَيْءٍ فَهُوَ يُـخْلِفُهٗ ج وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِيْنَ.
অর্থ : “আপনি বলুন, নিশ্চয়ই আমার মহান রব তায়ালা তিনি উনার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা রিযিক বর্ধিত করে দেন এবং যাকে ইচ্ছা রিযিক সংকীর্ণ করে দেন। আর আপনারা যা কিছু ব্যয় করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতিদান দিবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উত্তম রিযিকদাতা।” (পবিত্র সূরা সাবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৯)
১৪) পবিত্র সূরা ফাতির শরীফ (১ বার)
اِنَّ الَّذِيْنَ يَتْلُوْنَ كِتَابَ اللهِ وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَاَنْفَقُوا مِـمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَّعَلَانِيَةً يَّرْجُوْنَ تِـجَارَةً لَّنْ تَبُوْرَ.
অর্থ : “নিশ্চয়ই যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব তিলাওয়াত করেন, নামায কায়িম করেন এবং আমি উনাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করেন। উনারাই এমন ব্যবসা আশা করেন, যাতে কখনও লোকসান হবে না।” (পবিত্র সূরা ফাতির শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯)
১৫) পবিত্র সূরা ইয়াসীন শরীফ (১ বার)
وَاِذَا قِيْلَ لَـهُمْ اَنْفِقُوْا مِـمَّا رَزَقَكُمُ اللهُ لا قَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اَنُطْعِمُ مَنْ لَّوْ يَشَاءُ اللهُ اَطْعَمَهٗ ذ اِنْ اَنْتُمْ اِلَّا فِىْ ضَلَالٍ مُّبِيْنٍ.
অর্থ : “আর যখন তাদেরকে বলা হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করো। তখন কাফিররা মু’মিন উনাদেরকে বলে, ইচ্ছা করলেই মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে খাওয়াতে পারেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছ।” (পবিত্র সূরা ইয়াসীন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৭)
১৬) পবিত্র সূরা শূরা শরীফ (১ বার)
وَالَّذِيْنَ اسْتَجَابُوْا لِرَبِـّهِمْ وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ س وَاَمْرُهُمْ شُوْرٰى بَيْنَهُمْ س وَمِـمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ.
অর্থ : “আর যাঁরা উনাদের মহান রব তায়ালা উনার আহ্বানে সাড়া দেন, নামায কায়িম করেন; পারস্পারিক পরামর্শক্রমে কাজ করেন এবং আমি উনাদেরকে যে রিযিক প্রদান করেছি, তা থেকে ব্যয় করেন।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৮)
১৭) পবিত্র সূরা মুহম্মদ শরীফ (১ বার)
هَا أَنتُمْ هٰؤُلَاءِ تُدْعَوْنَ لِتُنْفِقُوْا فِىْ سَبِيْلِ اللهِ ج فَمِنْكُمْ مَّنْ يَّبْخَلُ ج وَمَنْ يَّبْخَلْ فَاِنَّـمَا يَبْخَلُ عَنْ نَّفْسِهٖ ط وَاللهُ الْغَنِيُّ وَاَنْتُمُ الْفُقَرَاءُ ج وَاِنْ تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ لا ثُـمَّ لَا يَكُوْنُوْا اَمْثَالَكُمْ.
অর্থ : “তোমরাই তো তারা, যাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ব্যয় করার জন্যে বলা হচ্ছে, অথচ তোমাদের অনেকে বখিলতা করছে। যারা বখিলতা করছে, তারা নিজেদের প্রতিই বখিলতা করছে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন ধনী এবং তোমরা হচ্ছো ফকির। আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য সম্প্রদায়কে প্রতিষ্ঠিত করবেন। অতঃপর তারা তোমাদের মত হবে না। ” (পবিত্র সূরা মুহম্মদ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৮)
১৮) পবিত্র সূরা হাদীদ শরীফ (২ বার)
اٰمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ وَاَنْفِقُوْا مِـمَّا جَعَلَكُمْ مُّسْتَخْلَفِيْنَ فِيْهِ ط فَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مِنْكُمْ وَاَنْفَقُوْا لَـهُمْ اَجْرٌ كَبِيْرٌ.
অর্থ : “আপনারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অর্থাৎ উনাদের প্রতি ঈমান আনুন এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে যার উত্তরাধিকারী করেছেন, তা থেকে ব্যয় করুন। অতএব, আপনাদের মধ্যে যাঁরা ঈমান এনেছেন ও ব্যয় করে থাকেন। উনাদের জন্যে রয়েছে মহাপ্রতিদান।” (পবিত্র সূরা হাদীদ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
وَمَا لَكُمْ اَلَّا تُنْفِقُوْا فِىْ سَبِيْلِ اللهِ وَلِلّٰهِ مِيْرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ ط لَا يَسْتَوِيْ مِنْكُمْ مَّنْ اَنْفَقَ مِنْ قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ ط اُولٰئِكَ اَعْظَمُ دَرَجَةً مّنَ الَّذِيْنَ اَنْفَقُوْا مِنْ بَعْدُ وَقَاتَلُوْا ط وَكُلًّا وَّعَدَ اللهُ الْـحُسْنٰى ط وَاللهُ بِـمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ.
অর্থ : “তোমাদের কি হলো তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ব্যয় করো না? মহান আল্লাহ পাক তিনিই আসমান ও যমীনের অধিপতি। আপনাদের মধ্যে যাঁরা পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছেন ও জিহাদ করেছেন, উনারা ও পরবর্তীরা সমান নয়। পূর্ববর্তী উনারা মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ যাঁরা পরবর্তীতে ব্যয় করেছেন ও জিহাদ করেছেন উনাদের চেয়ে। তবে মহান আল্লাহ পাক তিনি উভয়কে কল্যাণের তথা জান্নাতের ওয়াদা দিয়েছেন। আর আপনারা যা করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সে সম্পর্কে সম্যক অবগত।” (পবিত্র সূরা হাদীদ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০)
১৯) পবিত্র সূরা তাগাবুন শরীফ (১ বার)
فَاتَّقُوْا اللهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَاسْـمَعُوْا وَاَطِيْعُوْا وَاَنْفِقُوْا خَيْرًا لّاَنْفُسِكُمْ ط وَمَنْ يُوْقَ شُحَّ نَفْسِهٖ فَاُولٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ.
অর্থ : “অতএব আপনারা যথাসাধ্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করুন আর শ্রবণ করুন, আনুগত্য করুন এবং ব্যয় করুন নিজেরদের কল্যাণের জন্যে। যারা অন্তরের বখিলতা থেকে মুক্ত, উনারাই কামিয়াব।” (পবিত্র সূরা তাগাবুন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬)
২০) পবিত্র সূরা ত্বলাক শরীফ (১ বার)
لِيُنْفِقْ ذُوْ سَعَةٍ مّنْ سَعَتِهِ ط وَمَن قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنفِقْ مِـمَّا اٰتَاهُ اللهُ ط لَا يُكَلّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا مَا اٰتَاهَا ط سَيَجْعَلُ اللهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا.
অর্থ : “সম্পদশালী ব্যক্তি তিনি উনার সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করবেন। আর কোন ব্যক্তি যদি মনে করেন উনার রিযিকে সংকীর্ণতা রয়েছে তাহলে তিনি যেন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে যা দিয়েছেন, তা থেকেই ব্যয় করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে যা দিয়েছেন, তদপেক্ষা বেশি ব্যয় করার আদেশ কাউকে দেন না অর্থাৎ সাধ্যের অতিরিক্ত কাউকে আদেশ মুবারক করেন না। মহান আল্লাহ পাক তিনি কষ্টের পর শীঘ্রই সচ্ছলতা দান করবেন।” (পবিত্র সূরা ত্বলাক শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
সম্মানিত যাকাত সম্পর্কিত কতিপয় পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُنِىَ الْاِسْلَامُ عَلٰى خَـمْسٍ شَهَادَةِ اَن لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَنَّ مُـحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ وَاِقَامِ الصَّلٰوةِ وَاِيْتَاءِ الزَّكٰوةِ وَالْـحَجِّ وَصَوْمِ رَمَضَانَ.
অর্থ : “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তি পাঁচটি বিষয় যথা- (১) স্বাক্ষ্য দেয়া মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই অর্থাৎ উনার একত্বতা ও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ রিসালত মুবারক উনাকে অন্তরে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা ও মুখে উচ্চারণ করা। (২) নামায কায়িম করা (৩) যাকাত আদায় করা (৪) হজ্জ করা (৫) এবং রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা রাখা।” (বুখারী শরীফ কিতাবুল ঈমান : বাবু দু‘আয়ুকুম ঈমানুকুম : হাদীছ শরীফ নং ৮)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে-
اَنَّ حَضْرَتْ اَبَا هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَنْ اَنْفَقَ زَوْجَيْنِ مِنْ شَىْءٍ مِنَ الاَشْيَاءِ فِي سَبِيْلِ اللهِ دُعِيَ مِنْ اَبْوَابِ يَعْنِي الْـجَنَّةَ يَا عَبْدَ اللهِ هٰذَا خَيْرٌ، فَمَنْ كَانَ مِنْ اَهْلِ الصَّلٰوةِ دُعِيَ مِنْ باب الصَّلٰوةِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ اَهْلِ الْـجِهَادِ دُعِيَ مِنْ باب الْـجِهَادِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ اَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِيَ مِنْ باب الصَّدَقَةِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ اَهْلِ الصّيَامِ دُعِيَ مِنْ باب الصّيَامِ، وَبَابِ الرَّيَّانِ‏. فَقَالَ حَضْرَتْ أَبُو بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَام مَا عَلَى هٰذَا الَّذِي يُدْعَى مِنْ تِلْكَ الاَبْوَابِ مِنْ ضَرُوْرَةٍ، وَقَالَ هَلْ يُدْعَى مِنْهَا كُلّهَا اَحَدٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ، وَأَرْجُو اَنْ تَكُوْنَ مِنْهُمْ يَا أَبَا بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَام ‏‏.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, আমি শুনেছি, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যিনি কোন জিনিসের জোড়া জোড়া মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ব্যয় করবেন, উনাকে সম্মানিত জান্নাত উনার মধ্যে প্রবেশের জন্য সকল দরজা হতে আহবান করা হবে। বলা হবে, হে মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা! এ দরজাই উত্তম। যিনি নামায সম্পাদনকারী হবেন উনাকে নামাযের দরজা দিয়ে প্রবেশের জন্য আহবান করা হবে। যিনি জিহাদকারী হবেন উনাকে জিহাদের দরজা হতে আহবান করা হবে। যিনি ছদক্বা বা যাকাত আদায়কারী হবেন উনাকে ছদক্বার দরজা দিয়ে আহবান করা হবে। যিনি রোযা পালনকারী হবেন উনাকে রোযার দরজা বাবে রইয়ান হতে আহবান করা হবে। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কোন ব্যক্তিকে সকল দরজা দিয়ে ডাকা হবে এমন তো অবশ্য জরুরী নয়, তবে কি এরূপ কাউকে ডাকা হবে? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হ্যাঁ, হবে। আমি আশা করছি আপনি উনাদের অন্তর্ভুক্ত হবেন, হে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম! (বুখারী শরীফ : কিতাবু ফাদ্বায়িলি আছহাবিন নাবিয়্যী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম : বাবু ক্বাওলিন নাবিয়্যী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাউ কুন্তু মুত্তাখিজান খ¦লীলান : হাদীছ শরীফ নং ৩৬৬৬)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে অন্যত্র আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ الرَّحْـمَنِ بْنِ غَنْمٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّ حَضْرَتْ اَبَا مَالِكٍ الاَشْعَرِيَّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ حَدَّثَهٗ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ‏ اِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ شَطْرُ الاِيـْمَانِ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ تَـمْلاُ الْمِيْزَانَ وَالتَّسْبِيْحُ وَالتَّكْبِيْرُ يـَمْلاُ السَّمٰوَاتِ وَالاَرْضَ وَالصَّلٰوةُ نُوْرٌ وَالزَّكٰوةُ بُرْهَانٌ وَالصَّبْرُ ضِيَاءٌ وَالْقُرْاٰنُ حُجَّةٌ لَكَ اَوْ عَلَيْكَ‏.
অর্থ : “হযরত আব্দুুর রহমান ইবনে গান্ম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আবূ মালিক আশ‘য়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শুনেছেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পূর্ণাঙ্গরূপে ওযূ করা ঈমানের অঙ্গ। আর আলহামদুলিল্লাহ্ মীযানকে পরিপূর্ণ করে, তাসবীহ্ ও তাকবীর আসমান-যমীনকে পরিপূর্ণ করে। সম্মানিত নামায হলো নূর (আলো) আর সম্মানিত যাকাত হলো দলীল, ধৈর্য্য (রোযা) হলো জ্যোতি এবং পবিত্র কুরআন শরীফ আপনার পক্ষে অথবা বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ।” (নাসায়ী শরীফ : কিতাবুয যাকাত : বাবু উযূবিয যাকাত : হাদীছ শরীফ নং ২৪৩৭)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ  عَلِىّ عَلَيْهِ السَّلَامَ عَنِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَعْضِ اَوَّلِ هٰذَا الْـحَدِيثِ قَالَ فَاِذَا كَانَتْ لَكَ مِائَتَا دِرْهَمٍ وَحَالَ عَلَيْهَا الْـحَوْلُ فَفِيْهَا خَـمْسَةُ دَرَاهِمَ وَلَيْسَ عَلَيْكَ شَىْءٌ يَعْنِى فِى الذَّهَبِ حَتّٰى يَكُوْنَ لَكَ عِشْرُوْنَ دِيْنَارًا فَاِذَا كَانَ لَكَ عِشْرُوْنَ دِيْنَارًا وَحَالَ عَلَيْهَا الْـحَوْلُ فَفِيْهَا نِصْفُ دِيْنَارٍ فَمَا زَادَ فَبِحِسَابِ ذٰلِكَ.
অর্থ : “হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি তোমার ২০০ দিরহাম তথা সাড়ে ৫২ তোলা (বা প্রায় ৬০০ গ্রাম) রৌপ্যমুদ্রা থাকে এবং তোমার মালিকানায় এক বছর পূর্ণ হয়, তাহলে তাতে ৫ দিরহাম তথা ২.৫% বা ১৫ গ্রাম রূপা যাকাত ফরয হবে। স্বর্ণের ক্ষেত্রে তোমাকে কোন যাকাত দিতে হবে না, যতক্ষণ না তুমি ২০ দীনার বা মিছকাল তথা সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণের মালিক হও। যখন তোমার নিকট ২০ দীনার বা মিছকাল তথা সাড়ে ৭ তোলা বা প্রায় ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ হবে এবং তাতে এক বছর পূর্ণ হবে, তখন তা থেকে অর্ধ দীনার বা অর্ধ মিছকাল তথা ৪০ ভাগের ১ ভাগ সম্মানিত যাকাত আদায় করতে হবে। এর বেশি যা হবে, তা থেকে এ হিসেবেই দিতে হবে।” (আবূ দাঊদ শরীফ : কিতাবুয যাকাত : বাবু ফী যাকাতিস সায়িমাহ : হাদীছ শরীফ নং ১৫৭৩)
عَنْ حَضْرَتْ نَافِعٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ كَانَ يَقُولُ لَا تَـجِبُ فِي مَالٍ زَكَاةٌ حَتَّى يَـحُوْلَ عَلَيْهِ الْـحَوْلُ.
অর্থ : “হযরত নাফি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলতেন, কোন মাল-সম্পদের উপর ততক্ষণ পর্যন্ত যাকাত ফরয হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার উপর বছর পূর্ণ না হবে।” (মুওয়াত্তায়ে মালিক শরীফ : কিতাবুয যাকাত : হাদীছ শরীফ নং ৫৮৬)
عَنْ اُمِّ الْمـُؤْمِنِيْنَ حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامَ قَالَتْ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ ‏لَا زَكَاةَ فِي مَالٍ حَتَّى يَـحُوْلَ عَلَيْهِ الْـحَوْلُ‏.
অর্থ : “হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, আমি শুনেছি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ওই মালে যাকাত নেই যে পর্যন্ত তার উপর বছর না পূর্ণ হবে।” (ইবনে মাজাহ শরীফ : কিতাবুয যাকাত : বাবু মানিসতাফাদা মালান : হাদীছ শরীফ নং ১৭৯২)
عَنْ حَضْرَتْ  اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ الصَّدَقَةَ لَتُطْفِئُ غَضَبَ الرَّبّ وَتَدْفَعُ مِيْتَةَ السُّوءِ.
অর্থ : “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই দান-ছদক্বা মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তুষ্টি মুবারক নিবারণ করে এবং অপমানজনক মৃত্যু রোধ করে।” (তিরমিযী শরীফ : কিতাবুয যাকাত : বাবু মা-জা-য়া ফী ফাদ্বলিছ ছদাক্বাহ : হাদীছ শরীফ নং ৬৬৪)
عَنْ حَضْرَتْ  عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَصّنُوْا اَمْوَالَكُمْ بِالزَّكَاةِ وَدَاوُوْا مَرْضَاكُمْ بِالصَّدَقَةِ وَاَعِدُّوْا لِلْبَلاءِ الدُّعَاءَ.
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত যাকাত আদায় করে আপনি আপনার সম্পদ সংরক্ষণ করুন, দান-ছদক্বা দ্বারা আপনাদের অসুস্থতার চিকিৎসা করুন এবং মুছীবতের জন্যে প্রতিনিয়ত দু‘আ করুন।” (মু’জামুল আওসাত ২য় খ- ২৭৪ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ১৯৬৩; হিলইয়াতুল আউলিয়া ২য় খ- ১০৪ পৃষ্ঠা ও ৪র্থ খ- ২৩৭ পৃষ্ঠা)
عَنْ حَضْرَتْ  اَبِـيْ اُمَامَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَصّنُوا اَمْوَالَكُمْ بالزَّكاةِ وَدَاوُوْا مَرْضَاكُمْ بِالصَّدَقَةِ وَاسْتَقْبِلُوا اَمْوَاجَ الْبَلَاءِ بِالدُّعَاءِ.
অর্থ : “হযরত আবূ উমামাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত যাকাত আদায় করে আপনি আপনার সম্পদ সংরক্ষণ করুন, দান-ছদক্বা দ্বারা আপনাদের অসুস্থতার চিকিৎসা করুন এবং অসুস্থতাবস্থাসমূহকে দু‘আর মাধমে গ্রহণ করুন।” (শুয়াবুল ঈমান ৫ম খ- ১৮৪ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ৩২৭৯)
عَنْ حَضْرَتْ  جابر رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رجل من القوم يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أرأيت إذا أدى رجل زكاة ماله فقال رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ من أدى زكاة ماله فقد ذهب عنه شره.
অর্থ : “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, কোন সম্প্রদায়ের একজন জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কোন ব্যক্তি তার মাল-সম্পদের যাকাত আদায় করলে তার ব্যাপারে আপনি কি ফায়ছালা দেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি তার মাল-সম্পদের যাকাত আদায় করলো অবশ্যই তার থেকে সমস্ত অকল্যাণ, মন্দ দূরীভূত হয়ে যাবে।” (মু’জামুল আওসাত ২য় খ- ১৬১ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ১৫৭৯; তারগীর ওয়াত তারহীব ১ম খ- ৩০১ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ১১১১)
عَنْ حَضْرَتْ  ابْنِ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا نَقَضَ قَوْمٌ الْعَهْدَ إِلَّا كَانَ الْقَتْلُ بَيْنَهُمْ، وَلَا ظَهَرَتْ فَاحِشَةٌ إِلَّا سَلَّطَ اللهُ عَلَيْهِمُ الْمَوْتَ، وَلَا مَنَعَ قَوْمٌ الزَّكَاةَ إِلَّا حُبِسَ عَنْهُمُ الْقَطْرُ.
অর্থ : “হযরত ইবনে বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা উনার থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোন সম্প্রদায় যখন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তখন তাদের পরস্পরের মাঝে হত্যাকা- সংঘটিত হয় আর যখন তাদের ফাহেশা কাজ প্রকাশিত হয় তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের উপর মৃত্যুকে চাপিয়ে দেন। আর কোন সম্প্রদায় যখন সম্মানিত যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানায় তখন তাদের প্রতি বৃষ্টি আটকে রাখা হয় অর্থাৎ বৃষ্টি বর্ষিত হয় না।” নাঊযুবিল্লাহ! (মু’জামুল আওসাত ১০ম খ- ২৪৪ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ৩৩৩১; তারগীর ওয়াত তারহীব : হাদীছ শরীফ নং ২৪১৮)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مَنَعَ قَوْمٌ الزَّكَاةَ اِلَّا ابْتَلاهُمُ اللهُ بِالسَّنِيْنَ.
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা উনার থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোন সম্প্রদায় যখন যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানায় তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষে নিমজ্জিত করেন।” নাঊযুবিল্লাহ! (মু’জামুল আওসাত ৫ম খ- ২৬ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ৪৫৭৭; তারগীর ওয়াত তারহীব ১ম খ- ৩০৯ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ১১৪৫)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ  اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَانِعُ الزَّكَاةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي النَّارِ
অর্থ : “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যাকাত উনার বিরোধী ব্যক্তি ক্বিয়ামতের দিন জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (মু’জামুছ ছগীর লিত ত্ববারানী ২য় খ- ১৪৫ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ৯৩৫; তারগীর ওয়াত তারহীব ১ম খ- ১৮৬ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ৭৬২)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ  اَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اِذَا اَدَّيْتَ زَكَاةَ مَالِكَ فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ‏.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন আপনি আপনার মালের যাকাত আদায় করলেন, তখন আপনি আপনার দায়িত্ব সম্পন্ন করে ফেললেন।” (ইবনে মাজাহ শরীফ : কিতাবুয যাকাত : বাবু মা উদ্দিয়া যাকাতুহু ফালাইসা বিকানয্ : হাদীছ শরীফ নং ১৭৮৮; তিরমিযী শরীফ : কিতাবুয যাকাত : বাবু মা-জা-য়া ইযা আদাইতায যাকাতা ফাক্বাদ ক্বাদ্বইতা মা ‘আলাইকা : হাদীছ শরীফ নং ৬১৮)
যাকাত প্রদান করুন


মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা উনার একাউন্ট নাম্বার সমূহ-

Account no.1
Muhammadia Jamia Shareef Madrasa & yatimkhana

A/C-200007569
Sonali Bank Limited, Malibag Branch
Dhaka, Bangladesh



Account no.2
name:-MD. Mufizul Islam

A/C-1020335489001 Naya-paltan branch
IFIC Bank Limited, Dhaka, Bangladesh
Swift Code: IFICBDDH



Account no.3
name:-MD. Mufizul Islam

A/C-108101277050 Shantinaghar branch
Dutch Bangla Bank Limited, Dhaka, Bangladesh
Swift Code: DBBLBDDH



Account no.4
Dutch Bangla mobile Banking-017187407422

Account no.5
Bkash-(parsonal) 01718740742, 01876043934, 01990770065
Bkash-(Agent)- 01709672605



0 Comments: