সম্মানিত যাকাত যাদেরকে দেয়া যাবে না। পর্ব-১৫


No photo description available.সম্মানিত যাকাত যাদেরকে দেয়া যাবে না
সম্মানিত যাকাত যেহেতু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ৩য় ও মধ্যবর্তী স্তম্ভ এবং সম্মানিত যাকাত হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান উনার দলীল। তাই সম্মানিত যাকাত প্রদান করার ক্ষেত্রেও শরয়ী খুঁতমুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে প্রদান করতে হয়, নতুবা যাকাত আদায় হবে না। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্দেশ মুবারক প্রদান করেন-
تَعَاوَنُوْا عَلَى الْبِرِّوَالتَّقْوٰى ۖ وَلَا تَعَاوَنُوْا عَلَى الْاِثْـمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللهَ ۖ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ.
অর্থ : “তোমরা নেক কাজে ও পরহেযগারীতে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। বদ কাজে ও শত্রুতাতে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো না। আর এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
সুতরাং সম্মানিত যাকাত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে প্রদানের পূর্বে নিম্নে লিখিত বিষয়গুলো অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে।
১. তাদের ঈমান-আক্বীদা বিশুদ্ধ কিনা,
২. সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে দ্বীন উনাকে ক্ষতি করার কাজে লিপ্ত কিনা,
৩. নেককার-পরহেজগার কিনা।
১.       যাদের ঈমান-আক্বীদা বিশুদ্ধ নয় তাদেরকে যাকাত প্রদান করা যাবে না : মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্দেশ মুবারক প্রদান করেন-
يَآ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اٰمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيْ نَزَّلَ عَلٰى رَسُوْلِهٖ وَالْكِتَابِ الَّذِيْٓ اَنْزَلَ مِنْ قَبْلُ ۚ
অর্থ : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করো অর্থাৎ আক্বীদা বিশুদ্ধ করো এবং আক্বীদা বিশুদ্ধ করো উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ও উনার প্রতি নাযিলকৃত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার প্রতি এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে নাযিলকৃত পূর্ববর্তী পবিত্র আসমানী কিতাব মুবারক উনাদের প্রতি।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩৬)
উপরোক্ত আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে যে, যারা ঈমান এনেছে তাদের আক্বীদা বিশুদ্ধ হতে হবে অর্থাৎ তাদের ঈমান খুঁতমুক্ত হতে হবে। নতুবা তারা ঈমান আনার পরও মুসলমান উনাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। তাই যারা ঈমান আনার পরও আক্বীদা বিশুদ্ধ করতে পারেনি অর্থাৎ যাদের ঈমান খুঁতমুক্ত নয় এমন ব্যক্তি বা এমন ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানে সম্মানিত যাকাত প্রদান করা সম্পূর্ণরূপে হারাম।
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, বিরাট পর্বতমালা যার অস্তিত্ব শত শত মাইল দূর হতে দেখা যায়। কিন্তু ঈমান অত্যন্ত সূক্ষ্ম, যার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। কিভাবে যে একজন ঈমানদার ব্যক্তি বেঈমান হয়ে যায় তা বোঝা কঠিন। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে কাদিয়ানীরাতারা সব মানে কিন্তু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘খ¦তামুন নাবিয়্যীন’ অর্থাৎ শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করে না। নাঊযুবিল্লাহ! ১ টি শব্দ ‘খ¦তাম’ যার অর্থ ‘শেষ’ না মানার কারণে তারা মিথ্যাদাবীদার, প্রতারক গোলাম কাদিয়ানী (যে ইস্তেঞ্জাখানায় পড়ে মারা গিয়েছে) তাকে তারা শেষ নবী বলে দাবী করে। নাঊযুবিল্লাহ! এরা যত আমলই করুক না কেন এদের কোন আমলই কবুল হবে না। এরা কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী। এদেরকে কোনভাবেই যাকাত প্রদান করা যাবে না।
কাদিয়ানীদের মতো আমাদের সমাজে এমন অনেক সম্প্রদায় রয়েছে যাদের ঈমান-আক্বীদা বিশুদ্ধ নয়।
এদের প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
تَفْتَرِقُ اُمَّتِيْ عَلٰى ثَلَاثٍ وَّسَبْعِيْنَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ اِلَّا مِلَّةً وَّاحِدَةً قَالُوْا وَمَنْ هِيَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّـمَ قَالَ مَآ اَنَا عَلَيْهِ وَاَصْحَابِـى.
অর্থ : “আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত বাহাত্তরটি দলই জাহান্নামে যাবে। তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যে একটি দল নাযাতপ্রাপ্ত, সে দলটি কোন দল? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি এবং আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মত মুবারক ও পথ মুবারক উনাদের উপর যারা কায়িম থাকবেন (উনারাই নাযাতপ্রাপ্ত দল)।” (তিরমিযী শরীফ : কিতাবুল ঈমান : বাবু মা-জা-য়া ফিফতিরাক্বি হাজিহিল উম্মাতি : হাদীছ শরীফ নং ২৬৪১)
আর অন্য বর্ণনায় এসেছে-
عَنْ حَضْرَتْ مُعَاوِيَةَ بْنِ اَبِـىْ سُفْيَانَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمَا اَنَّهٗ قَامَ فِيْنَا فَقَالَ اَلَا اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ فِيْنَا فَقَالَ اَلَا اِنَّ مَنْ قَبْلَكُمْ مِنْ اَهْلِ الْكِتَابِ افْتَرَقُوْا عَلٰى ثِنْتَيْنِ وَّسَبْعِيْنَ مِلَّةً وَاِنَّ هَذِهِ الْمِلَّةَ سَتَفْتَرِقُ عَلٰى ثَلَاثٍ وَّسَبْعِيْنَ ثِنْتَانِ وَّسَبْعُوْنَ فِي النَّارِ وَوَاحِدَةٌ فِي الْـجَنَّةِ وَهِيَ الْـجَمَاعَةُ.

অর্থ : “ছহিবুস সির, আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, খলীফাতু ইমামি ছানী আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, জেনে রাখুন! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বলেন, জেনে রাখুন! আপনাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাব ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে এবং এ উম্মত অদূর ভবিষ্যতে ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। এর মধ্যে ৭২টি দল জাহান্নামে যাবে, আর একটি দল জান্নাতে যাবে। মূলতঃ সে দলটিই হচ্ছে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত।” (আবূ দাউদ শরীফ : কিতাবুস সুন্নাহ : বাবু শারিহিস সুন্নাহ : হাদীছ শরীফ নং ৪৫৯৭)
এই ৭২ টি বাতিল ও জাহান্নামী দলে মধ্যে কয়েকটি হলো- খারিজী সম্প্রদায়, ওহাবী সম্প্রদায়, দেওবন্দী সম্প্রদায়, দেওবন্দী সিলসিলাভুক্ত সমস্ত ক্বওমী মাদরাসা ইত্যাদি।
মহান আল্লাহ পাক সম্পর্কে দেওবন্দী সম্প্রদায়ের আক্বীদা হচ্ছে-
(১) “মহান আল্লাহ পাক তিনি মিথ্যা বলতে পারেন।” নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া ১ম খ- পৃষ্ঠা ১৯; রশিদ আহমদ গাংগুহী, তালিফাত রশিদিয়া, পৃষ্ঠা ৯৮; খলীল আহমদ আম্বেঢী, তাজকিরাতুল খলীল, পৃষ্ঠা ১৩৫, মেহমুদ হাসান, আল-জিহাদুল মুগিল, পৃষ্ঠা ৪১)
(২) “মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা ভবিষ্যতে কি করবে তা আগে থেকে বলতে পারেন না। বান্দা কর্ম-সম্পাদনের পর তিনি তা জানতে পারেন।” নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (হুসাইন আলী, তাফসীরে বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮)
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে তাদের আক্বীদা হচ্ছে-
(১) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জ্ঞানের চেয়ে শয়তান ও হযরত আযরাঈল আলাইহিস্ সালাম উনার জ্ঞান বেশি। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (খলীল আহমদ আম্বেঢী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা-৫১)
(২) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাধারণ মানুষের কাছে খাতামুন নাবিয়্যীন হলেও বুযূর্গ ব্যক্তির কাছে নয়। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা-৩)
(৩) যে বলবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাজির-নাযির সে কাফির। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (গোলামুল্লাহ খান প্রণীত যাওয়াহিরুল কোরান)
(৪) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আগে বা সর্বশেষে আসার মধ্যে কোন ফযীলত নেই। ফযীলত হলো মূল নবী হওয়ার মধ্যে। উনার পরে যদি এক হাজার নবীরও আগমন মেনে নেয়া হয় তাতেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খতমে নুবুওওয়াতের কোন রূপ বেশ-কম হবে না। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা-২৫)
(৫) একজন নবীর জন্য সকল মিথ্যা থেকে মুক্ত ও নিষ্পাপ হওয়ার প্রয়োজন নেই। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, শফীয়াতুল আক্বাইদ, পৃষ্ঠা ২৫)
(৬) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তাগুদ (শয়তান) বলা যায়। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (হুসাইন আলী, তাফসীর বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ৪৩)
(৭) নবী-রসূলের চেয়ে নবী-রসূলগণের উম্মত আমলের মাধ্যমে মর্যাদাবান হয়। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন নাছ, পৃষ্ঠা ৫)
(৮) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পুলসিরাত হতে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছি। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (হুসাইন আলী, তাফসীর বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ৮)
(৯) কালিমা শরীফ-এ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ”-এর পরিবর্তে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আশরাফ আলী রসূলুল্লাহ” এবং দরূদ শরীফ-এর “আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়ানা মুহম্মদ”-এর পরিবর্তে “আল্লাহম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়ানা আশরাফ আলী” পড়লে কোন ক্ষতি হবে না।” নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (আশরাফ আলী থানভী, রিসালা আল ইমদা, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫)
(১০) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদে মিলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা আর হিন্দুদের দেবতা কৃষ্ণের জন্মদিন পালন করা একই। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ১৪৮)
(১১) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষত্ব দাজ্জালের মত। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, আবে হায়াত, পৃষ্ঠা ১৬৯)
(১২) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের বড় ভাই এবং আমরা উনার ছোট ভাই। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ৩)
(১৩) রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (ফতওয়ায়ে রশিদিয়া)
(১৪) কোন কিছু ঘটানোর জন্য হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইচ্ছা পোষণ করার গুরুত্ব নেই। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী প্রণীত আবে হায়াত, পৃষ্ঠা ১৬১)
(১৫) হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুজিযা শরীফ থেকে যাদুকরদের যাদু সর্বোকৃষ্ট হতে পারে। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (ফতওয়ায়ে রশিদিয়া, ২য় খ-, পৃষ্ঠা ৩৫)
এরকম আরও অনেক উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। যেমন- আশরাফ আলী থানবী নামে এক দেওবন্দী আছে, যে ‘হিফজুল ঈমান’ নামে একটি বইয়ের মধ্যে লিখেছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইলমে গাইব হাইওয়ান, বাজপান, মজনু অর্থাৎ উনার ইলমে গাইব একটি পশুর মতো নাঊযুবিল্লাহ! একটা শিশুর মতো নাঊযুবিল্লাহ! এবং একটা পাগলের মতো নাঊযুবিল্লাহ!
সুতরাং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে যে এমন নিকৃষ্ট উদাহরণ দিতে পারে তার তো ঈমান থাকতে পারে না। শরঈ ফতওয়া মুতাবিক, সে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হওয়ার কথা।
এই ক্বওমী, দেওবন্দী এদের সিলেবাসে এগুলো শিখানো হয়। নাঊযুবিল্লাহ! এদের কাছ থেকে এগুলো শিখে এই সব কওমী, দেওবন্দীরা বলে মহান আল্লাহ পাক তিনি নাকি মিথ্যা কথা বলতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ! তারা বলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের বড় ভাই। নাঊযুবিল্লাহ! আর যদি বড় ভাই মারা যায় তাহলে বড় ভাইয়ের আহলিয়াকে বিয়ে করা যায়। নাঊযুবিল্লাহ! সুতরাং বোঝা যায় এরা মূলতঃ বদ চরিত্র।
অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা তাদের লিখিত ও অন্তরে পোষণকৃত এ সমস্ত কুফরী আক্বীদা হতে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। এছাড়া দ্বীন ইসলাম উনার অন্যান্য বিষয়েও উক্ত সম্প্রদায়ের আক্বীদাগত ত্রুটি রয়েছে।
সুতরাং যাদের ঈমানে খুঁত বা ত্রুটি রয়েছে তাদেরকে সম্মানিত যাকাত প্রদান করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। তাদেরকে আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা করার অর্থই হলো গরীব মুসলমান উনাদের হক্ব নষ্ট করে মুসলমান উনাদের শত্রু কাফিরদের সাহায্য-সহযোগিতা করা। নাঊযুবিল্লাহ!
২. যাদের আমলে ত্রুটি রয়েছে তাদেরকে যাকাত প্রদান করা যাবে না :
ঈমানী খুঁতযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে যেমন সম্মানিত যাকাত প্রদান করা হারাম তেমনি যারা গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকে তাদেরকেও সম্মানিত যাকাত প্রদান করা হারাম। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَرِيْرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ سَنَّ فِى الْاِسْلَامِ سُنَّةً سَيّئَةً كَانَ عَلَيْهَا وِزْرُهَا وَ وِزْرُ مَنْ عَمِلَ بِـهَا مِنْ بِعْدِهٖ.
অর্থ : “হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে কেউ একটা বদ কাজের সূচনা করলো যতজন তাতে শরীক হলো তাদের সবার গুনাহই যে বদকাজের সূচনা করেছে তার উপর গিয়ে পড়বে।” (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
বর্তমান সমাজে প্রচলিত মাদরাসাগুলো একদিকে যেমন ঈমানী খুঁতযুক্ত তথাকথিত আলিম তৈরী করছে অন্যদিকে তাদের আমলেও রয়েছে অনেক গলদ। ইসলামী শরীয়ত উনার দ্বারা নিষিদ্ধ বা হারামকৃত বিষয়গুলো যেমন প্রাণীর ছবি তোলা, বেপর্দা হওয়া, খেলাধুলা করা ও দেখা, গান-বাজনা করা ও দেখা, গণতন্ত্রের চর্চা করা, মৌলবাদের চর্চা করা, সন্ত্রাসবাদের চর্চা করা ইত্যাদিকে তারা হালাল জেনে ও মেনে নিজেরা যেমন সে অনুযায়ী আমল করছে তেমনি মুসলমান উনাদেরকেও সে হারাম আমলগুলো করতে উদ্ধুদ্ধ করছে। নাঊযুবিল্লাহ!
অর্থাৎ শরাবের বোতলে হালাল সীল লাগালে যেমন শরাব পান হালাল হয়ে যায় না বরং হারামই থাকে। ঠিক তেমনি উপর দিয়ে যতই ইসলামী লেবাস পরিধান করুক না কেন এদের সম্পৃক্ততা হচ্ছে হারামের সাথে। তাই ধর্মব্যবসায়ীদের মাদরাসাতে অর্থাৎ সন্ত্রাসী তৈরিকারী মাদরাসাগুলোতে সম্মানিত যাকাত প্রদান করা জায়িয হবে না।
আরো যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে বা ব্যক্তিকে যাকাত, ফিত্বরা ও উশর প্রদান করা যাবে না। তাদের বিবরণ নিচে দেয়া হলো-
(১) আনজুমানে মফিদুল ইসলাম : বর্তমান সময়ে তথাকথিত জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের অন্যতম হচ্ছে “আনজুমানে মফিদুল ইসলাম”। এই প্রতিষ্ঠানটি কথিত ফ্রি লাশ পরিবহন, ফ্রি দাফন সেবার নামে দেশ থেকে যেমন যাকাত, ফিত্বরা, দান, ছদকা বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করছে তেমনি বিদেশ থেকেও বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ডোনেশন সংগ্রহ করছে। এই পদ্ধতিতে বর্তমানে এটি বিশাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেক বছর দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা এখন তাদের নিকট মামুলি ব্যাপার। তারা ফ্রি লাশ পরিবহন ও ফ্রি দাফন সেবার নাম দিয়ে মানুষের বেওয়ারিশ লাশ সংগ্রহ করে সে লাশগুলো কবর না দিয়ে বরং গরম পানিতে সিদ্ধ করে গোশতগুলো আলাদা করে ফেলে। এরপর হাড়গুলো বিক্রি করে। নাঊযুবিল্লাহ!
এছাড়াও কবর থেকে লাশ তুলে গরম পানিতে লাশের গোশত ছাড়িয়ে সে লাশের কঙ্কালও উচ্চ দামে বিক্রি করার, কবর থেকে পুরাতন কঙ্কাল চুরি ও পাচারকারী দলের সাথে জড়িত থাকার গুরুতর অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। যা অনলাইনসহ অনেক মিডিয়াতেই প্রকাশ পেয়েছে। কাজেই, আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামে যাকাত-ফিত্বরা দেয়ার অর্থ হচ্ছে- টাকা আত্মসাৎ, দুর্নীতি, লাশ গায়েব এবং কঙ্কাল চুরি ও পাচার এসবের মতো হারাম ও গুনাহের কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করা। নাঊযুবিল্লাহ!
(২) কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন : মুসলমান উনাদের সম্মানিত যাকাত উনার অর্থ আত্মসাতে আরেক জঘন্যতম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে “কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন”। এর প্রধানকে তারা গুরুজি বলে ডাকে। যার সাড়ে তিন হাত শরীরে সম্মানিত সুন্নত উনার কোনো চিহ্নই নেই। তার দাড়ি নেই এবং বের্পদা মহিলাদের সাথে সে হরহামেশা সাক্ষাৎ করে। এই কোয়ান্টামের সাথে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এই কোয়ান্টাম সম্মানিত যাকাত-ফিত্বরা এসব মুসলমানদের কাছ থেকে নিয়ে পাহাড়ে সন্ত্রাসী উপজাতি বৌদ্ধদের পিছনে খরচ করে। মূলতঃ কোয়ান্টামের কার্যক্রম, তাদের নীতি সব সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার খিলাফ। পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদেরকে গুরুত্ব না দিয়ে অর্থাৎ পরিহার করে এই ‘কোয়ান্টাম’ হিন্দু-বৌদ্ধ ইত্যাদি বাতিল ধর্ম-মতের কথা এনে মুসলমান উনাদের মাঝে ছড়াচ্ছে; যা সম্পূর্ণ কুফরী।
এছাড়া হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন নোংরা যোগী-সন্ন্যাসীরা বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নারী-পুরুষ একাকার করে এই প্রতিষ্ঠানে যোগ সাধনা বা মেডিটেশন শিক্ষা দিয়ে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! আর এই যোগ সাধনা সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সস্পূর্ণরূপে হারাম।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন” এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যম দিয়ে অর্থ সংস্থান করে হারাম ও কুফরী কাজে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করে। তারা মানুষের মগজ ধোলাই করে শুধু পয়সাই আদায় করে না, ফ্রি রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের দেয়া রক্ত বিক্রি করেও পয়সা সংগ্রহ করে ব্যবসা করে। তারা তাদের মাটির ব্যাংক যা লা’নতের কারণ, এর মাধ্যমেও অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।
তাছাড়াও পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ৮ খাতের কোনো খাতের মধ্যেই কোয়ান্টাম পড়ে না। তাই এদেরকে পবিত্র কুরবানীর পশুর চামড়া ও যাকাত, ফিত্বরা দিলে তা কস্মিনকালেও আদায় তো হবেই না; বরং কুফরীর গুনাহ হবে।
(৩) জাকির নায়েক ওরফে কাফির নায়েক ও পিস টিভি : বর্তমান যামানায় সবচেয়ে জঘন্যতম বাতিল ফিরক্বা ওহাবী মতবাদের একনিষ্ঠ ধারক-বাহক হচ্ছে জাকির নায়েক ওরফে কাফির নায়েক ও তার দ্বারা পরিচালিত পিস টিভি। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে টিভি দেখা, টিভি’তে প্রোগ্রাম করা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কবীরা গুনাহ। কেননা, টিভি’র মূলই হচ্ছে ছবি। আর ছবি সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “প্রত্যেক ছবি তুলনেওয়ালা ও তোলানেওয়ালাই জাহান্নামী। (মুসলিম শরীফ)
তাই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফায়ছালা হলো- ছবি তোলা, তোলানো, আঁকা, রাখা, দেখা সবই হারাম। হালাল বা জায়িয মনে করা কুফরী। অথচ তারা হালাল বা জায়িয মনে করেই টিভি’তে প্রোগ্রাম করছে। কাজেই তারা যে শুধু হারাম কাজ করছে তা নয়, বরং তারা সুস্পষ্ট কুফরী করছে। তাদের কারণে যারা টিভি’কে জায়িয মনে করবে তারাও কুফরী করবে। অর্থাৎ কাফির হবে। এরপর বেপর্দা ও গান-বাজনার গুনাহ তো রয়েছেই।
আর জাকির নায়েক ওরফে কাফির নায়েকের মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার লেশমাত্রও নেই। নাঊযুবিল্লাহ! উপরন্তু সে চব্বিশ ঘণ্টা ইহুদী-নাছারাদের লেবাস কোট-প্যান্ট, টাই পরিধান করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! সে পর্দার বিধান চরমভাবে লঙ্ঘন করে। স্কাট পরা বেপর্দা মহিলার সাথে দেখা করতেও দ্বিধাবোধ করে না। নাঊযুবিল্লাহ! শুধু তাই নয়, সে অসংখ্য কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী। আর সেই কুফরী আক্বীদাগুলোই সে পিসটিভি’র মাধ্যমে প্রচার-প্রসার করে অসংখ্য লোককে কাফির বানাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! যেমন, তার বক্তব্য হলো-
১. ‘রাম ও কৃষ্ণ নবী হতে পারে।’ নাঊযুবিল্লাহ!
২. ‘পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ব্যাকরণগত ভুল আছে।’ নাঊযুবিল্লাহ!
৩. ‘ওযু ছাড়া পবিত্র কুরআন শরীফ স্পর্শ করা ও পড়া যাবে।’ নাঊযুবিল্লাহ!
৪. ‘হিন্দুদের বেদ মহান আল্লাহ পাক উনার বাণী হতে পারে।’ নাঊযুবিল্লাহ!
৫. মহান আল্লাহ পাক উনার সবকিছুর উপর ক্ষমতা রয়েছে; কিন্তু তিনি সবকিছু সৃষ্টি করতে অক্ষম। যেমন তিনি লম্বা বেটে মানুষ তৈরি করতে অক্ষম।’ নাঊযুবিল্লাহ!
৬. মাযহাব মানা জরুরী নয়। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ মুতাবিক চললেই হয়। নাঊযুবিল্লাহ! (জাকির নায়েক : লেকচার সমগ্র)
তাছাড়া পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ৮ খাতের কোনো খাতের মধ্যেই পিস টিভি পড়ে না। তাই এদেরকে যাকাত, ফিৎরা দিলে তা কস্মিনকালেও আদায় তো হবেই না; বরং কুফরীর গুনাহ হবে।
(৪) ইসলামী ব্যাংক ও সরকারী যাকাত ফাউন্ডেশন : সরকারের সাথে লেয়াজু রাখার জন্য ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে যাকাত উনার একটি অংশ সরকারী কোষাগারে জমা দেয়। সরকার এই যাকাত উনার অর্থ ত্রাণ তহবিলের মাধ্যমে হিন্দুদের দূর্গা পূজায় প্রদান করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! এছাড়াও সরকারের যাকাত ফাউন্ডেশনের যাকাত উনার অর্থও দূর্গা পূজায় ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই ইসলামী ব্যাংক কিংবা সরকারী যাকাত ফাউন্ডেশনে যাকাত প্রদান করা সুস্পষ্ট শিরক। কেননা উক্ত প্রতিষ্ঠানে যাকাত প্রদানের মাধ্যমে মুশরিকদের পূজাকে সহযোগীতা করা হচ্ছে, যা সুস্পষ্টভাবে শিরক।
তাই বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদ, যামানার মুজতাহিদ ও ইমাম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল উমাম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, বর্তমানে হক্ব মত-পথ ও সুন্নতী আমলের একমাত্র ও উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো, ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা’, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা।
কাজেই, যাকাত-ফিত্বরা বা অন্যান্য দান-ছদক্বা-মান্নত ইত্যাদি যারা ছদকায়ে জারিয়ার খাতে দিয়ে ছওয়াব হাছিল করতে চান তাদের জন্য একমাত্র ও প্রকৃত স্থান হলো ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা’ ৫নং আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা।

যাকাত প্রদান করুন


মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা উনার একাউন্ট নাম্বার সমূহ-

Account no.1
Muhammadia Jamia Shareef Madrasa & yatimkhana

A/C-200007569
Sonali Bank Limited, Malibag Branch
Dhaka, Bangladesh



Account no.2
name:-MD. Mufizul Islam

A/C-1020335489001 Naya-paltan branch
IFIC Bank Limited, Dhaka, Bangladesh
Swift Code: IFICBDDH



Account no.3
name:-MD. Mufizul Islam

A/C-108101277050 Shantinaghar branch
Dutch Bangla Bank Limited, Dhaka, Bangladesh
Swift Code: DBBLBDDH



Account no.4
Dutch Bangla mobile Banking-017187407422

Account no.5
Bkash-(parsonal) 01718740742, 01876043934, 01990770065
Bkash-(Agent)- 01709672605



0 Comments: