সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ (সুমহান ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ ১৪৪০ হিজরী )পর্ব-৪
যবীহুল্লাহিল আকবর
হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মুবারক মকবুলান,
হন আবু হাবীবী মহা গৌরবী জিন্দেগী সুমহান।
তিনি তো দীপ্ত স্মরণীয় ওই বরণীয় তাওয়ারীখ,
তিনি তো হাসিন বেমিছাল হাল জান্নাতী আখলিক।
যবীহুল্লাহিল আকবর তিনি জাহানে উচ্চে শির,
দ্বীনে হানীফের শাহান শাহ নূর ইছলাহী তাছবীর।
একশত উট হলো কুরবানী উনার বদৌলতে,
জগতী বক্ষে বিরলী লক্ষ্যে লিখা রহে ওয়াকিয়াতে।
পিতার পরম প্রিয় সন্তান খোদ খাজা আনওয়ার,
উনার মুবারক কপালে বিরাজ মাখলুকী সরওয়ার।
কত যে ঘটনা ঘটিছে উনার জিন্দেগী সংসারে,
কত নছীহত কত ইবরত চমকিছে দ্বীনদারে।
আল কালামী মৌসুমী নূর পাক খাজা তকদীরে,
খোদ খোদায়ী খবরে খুলুক কায়িনাতে উদগারে।
সেই নূরী খাজা হয়ে শানদার জাহানে জাহাঙ্গীর,
উনার সকাশে গুণীজন এসে পেয়ে যান স্বস্থির।
সেই সুমহান নূরী ভাগ্যবান মহামতী মেহমান,
দোসরা মুহররম বিছাল গ্রহেন দীদারীতে সুবহান।
মারহাবা ইয়া মারহাবা ইয়া আবু সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ছলাত ও সালাম জানাই কেবল অনন্তকাল মুসলিমীন।
‘আব্দুল্লাহ
আলাইহিস সালাম’ নাম মুবারক উনার খুছূছিয়াত মুবারক এবং সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও জাদ্দাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ
‘আব্দুল্লাহ
আলাইহিস সালাম’ সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন-
‘মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ অনুগত বান্দা,
মাহবূব
ব্যক্তিত্ব মুবারক, মহান আল্লাহ পাক
উনার হাবীব’। সুবহানাল্লাহ!
আরবী অভিধান ও নাহু-ছরফের বিশ্বখ্যাত ইমাম মুহম্মদ ইবনে ক্বাসিম ইবনে মুহম্মদ
ইবনে বাশ্শার আবূ বকর আম্বরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ: ৩২৮ হিজরী) তিনি
‘আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম’ নাম মুবারক উনার অর্থ মুবারক বর্ণনা করতে যেয়ে বলেন,
اَلْعَبْدُ الْـخَاضِعُ لِلّٰهِ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগত বান্দা।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার
রশাদ ১/২৪৪)
আর সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اَحَبَّ الْاَسْـمَاءِ اِلَـى اللهِ عَبْدُ اللهِ وَعَبْدُ الرَّحْمٰنِ.
অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সর্বাধিক
প্রিয় ও পছন্দনীয় নাম মুবারক হচ্ছেন,
আব্দুল্লাহ
এবং আব্দুর রহমান।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ,
তিরমিযী
শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, সুনানে দারিমী শরীফ, আল আদাব লিইবনে আবী শায়বাহ)
একদিক থেকে ‘আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম’ সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক
উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন- ‘মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ অনুগত বান্দা, মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব’। অপরদিকে
সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে প্রিয় ও
পছন্দনীয় নাম মুবারক হচ্ছে, ‘আব্দুল্লাহ ও
আব্দুর রহমান’। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত
যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক ‘আব্দুল্লাহ
আলাইহিস সালাম’ হওয়ার মাধ্যম দিয়েই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম
উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল।
সুবহানাল্লাহ! তিনি যে মহান আল্লাহ পাক উনার আখাছ্ছুল খাছ মাহবূব ব্যক্তিত্ব
মুবারক ছিলেন, মহান আল্লাহ পাক
উনার হাবীব ছিলেন সেটা উনার ‘আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম’ সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা
নাম মুবারাক দ্বারাই স্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি
হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম উনার শান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেছেন,
ذِكْرُ رَحْمَتِ رَبّـِكَ عَبْدَهٗ زَكَرِيَّا
অর্থ: “আপনার রব মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহের বিবরণ, উনার আব্দ তথা খাছ অনুগত বান্দা, মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক হযরত যাকারিয়া
আলাইহিস সালাম উনার প্রতি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা মারইয়াম শরীফ : সম্মানিত
আয়াত শরীফ ১)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
قَالَ اِنّـِــىْ عَبْدُ اللهِ
অর্থ: “(হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম) তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমি ‘আব্দুল্লাহ’ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ
অনুগত বান্দা, মাহবূব ব্যক্তিত্ব
মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা মারইয়াম শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ৩০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব,
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান
মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন,
اَسْرٰى بِعَبْدِهٖ لَيْلًا.
অর্থ: “(মহান আল্লাহ পাক) তিনি উনার আব্দ তথা হাবীব (নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনাকে রাতের সামান্য সময়ের
মধ্যে ইসরা তথা ভ্রমণ করিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা বানী ইসরাঈল শরীফ :
সম্মানিত আয়াত শরীফ ১)
আর এখান থেকে এই বিষয়টিও অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং জাদ্দাতু রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ বিনতে ‘আমর আলাইহাস
সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের বেমেছাল সম্মানিত তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক থাকার কারণেই
উনাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে, উনাদের
মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার ‘আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম’ সম্মানিত ও
পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক রাখা। সুবহানাল্লাহ!
এখন একটি বিষয় ফিকিরের যে, উনারা কিভাবে সেই
সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক রাখলেন। এর মূল জাওয়াব হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত জাদ্দাতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের দায়িমীভাবে বেমেছাল
সম্মানিত তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক ছিলো। উনারা দায়িমীভাবে সম্মানিত ইলহাম-ইলক্বা
মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলেন। যদিও উনাদের উপর সরাসির সম্মানিত ওহী মুবারক
নাযিল হয়নি; কিন্তু উনারা ‘নূরে হাবীবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনাকে ধারণ মুবারক করার কারণে সৃষ্টির শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত সারা কায়িনাতের সমস্ত কিছু উনাদের কাছে সুস্পষ্ট ছিলো। কোনো কিছুই উনাদের
সম্মানিত দৃষ্টি মুবারক উনার আড়ালে ছিলো না। সুবহানাল্লাহ! উনারা সৃষ্টির শুরু
থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার অধিকারী ছিলেন।
সুবহানাল্লাহ! আর উনাদের উপর যে সম্মানিত ইলহাম ও ইলক্বা মুবারক হতো সেটা ছিলো
সর্বোচ্চ স্তরের। উনাদের সেই সম্মানিত ইলহাম-ইলক্বা মুবারকও ছিলো সম্মানিত ওহী
মুবারক উনার অনুসরণে চির অকাট্য। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
মূলত সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
এবং জাদ্দাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত
ফাত্বিমাহ বিনতে ‘আমর আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা সম্মানিত ইলহাম-ইলক্বা
মুবারক ও সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক-এ আদিষ্ট হয়ে উনাদের মহাসম্মানিত প্রাণপ্রিয়
আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র
ইসম বা নাম মুবারক ‘আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম’ রেখেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
আর উনাদের সেই সম্মানিত ইলহাম-ইলক্বা মুবারক ও স্বপ্ন মুবারক যে, সম্মানিত ওহী মুবারক উনার অনুসরণে চির অকাট্য
ছিলো, সেই বিষয়টি পরবর্তীতে নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্পষ্টভাবে
সমস্ত কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اِنَّ اَحَبَّ الْاَسْـمَاءِ اِلَـى اللهِ عَبْدُ اللهِ وَعَبْدُ الرَّحْمٰنِ
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সর্বাধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় নাম
মুবারক হচ্ছেন আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রহমান।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ,
ইবনে
মাজাহ শরীফ, সুনানে দারিমী শরীফ, আল আদাব লিইবনে আবী শায়বাহ ইত্যাদি)
আর এই বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে যায়,
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত
আক্বীক্বা মুবারক করা এবং সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক ‘মুহম্মদ
ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ রাখার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! যেটা কিতাবে বর্ণিত
রয়েছে,
فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ السَّابِعُ ذَبَحَ عَنْهُ وَدَعَا لَهٗ قُرَيْشًا فَلَمَّا اَكَلُوْا قَالُوْا يَا سَيِّدَنَـا حَضْرَتْ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَرَاَيْتَ ابْنَكَ هٰذَا الَّذِىْ اَكْرَمْتَنَا عَلـٰى وَجْهِهٖ مَا سَـمَّـيْـتَهٗ قَالَ سَـمَّـيْـتُهٗ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ: “জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত
আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশের সপ্তম দিনে উনার সম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক করেন এবং কুরাইশদেরকে দাওয়াত
মুবারক করেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে সম্মানিত মেহমানগণ বললেন, হে সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব
আলাইহিস সালাম! যে মহাসম্মানিত সন্তান উনার সম্মানার্থে আজকের এই সম্মানিত
মেহমানদারী মুবারক উনার আয়োজন, আপনি উনার
সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক কী রেখেছেন? সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম তিনি
বললেন, আমি উনার সম্মানিত ও
পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক রেখেছি ‘মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’।”
সুবহানাল্লাহ! (খছাইছুল কুবরা শরীফ ১/৮৫,
দালাইলুন
নুবুওওয়াহ লিলবাইহাক্বী শরীফ ১/১১৩,
আল
বিদায়া ওয়ান নিহায়া শরীফ ২/৩২৫, সুবুলুল হুদা ওয়ার
রশাদ শরীফ ইত্যাদি)
সুতরাং সাইয়্যিদুনা জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত জাদ্দাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
অর্থাৎ উনাদের সম্মানিত ইলহাম-ইলক্বা মুবারক ও সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক যে সম্মানিত
ওহী মুবারক উনার অনুসরণে চির অকাট্য ছিলো তা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না।
সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
************************************************************
সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক পাঠ
করার, আলোচনা করার এবং উনার
সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করার গুরুত্ব,
তাৎপর্য ও বেমেছাল ফযীলত
সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اِنَّ ذِكْرَ الصَّالِـحِيْنَ تَنْزِلُ الرَّحْـمَـَةُ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই ওলীআল্লাহগণ উনাদের আলোচনা মুবারক করলে সম্মানিত রহমত মুবারক
নাযিল হয়।” সুবহানাল্লাহ্! (ইহ্ইয়াউ ‘উলূমিদ্দীন, ফাদ্বাইলে আশারাহ লিযামাখশারী, কাশফুল খফা)
এখন বলার বিষয় যে, যদি ওলীআল্লাহ
উনাদের আলোচনা মুবারক করলে সম্মানিত রহমত মুবারক নাযিল হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম
উনার সম্মানিত সাওয়ানেহ ‘উমরী মুবারক আলোচনা করলে, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করলে কতো সীমাহীন রহমত
মুবারক বর্ষিত হবে, সেটা সমস্ত
জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা
ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! কেননা,
উনার
সম্মানার্থে, উনাকে মুহব্বত
মুবারক করেই মানুষ ওলীআল্লাহ হয়ে থাকেন। সেই ওলীআল্লাহ উনাদের আলোচনা করলে যদি
সম্মানিত রহমত মুবারক নাযিল হয়, তাহলে যিনি
সম্মানিত রহমত মুবারক উনার মালিক, রহমতুল্লিল
‘আলামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আব্বাজান আলাইহিস
সালাম উনার সম্মানিত সাওয়ানেহ ‘উমরী মুবারক আলোচনা করলে, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করলে কি
পরিমাণ সম্মানিত রহমত, বরকত, সাকীনা,
রেযামন্দি-সন্তুষ্টি
মুবারক বর্ষিত হবে, তা কেউ
কস্মিনকালেও ভাষা দিয়ে প্রকাশ করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ!
প্রকৃত কথা হলো, যারা সাইয়্যিদুনা
হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত সাওয়ানেহ ‘উমরী মুবারক আলোচনা করবে, পাঠ করবে, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করবে, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করবে। সুবহানাল্লাহ!
মাওলানা জালালুদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত বিশ্বখ্যাত কিতাব
‘মছনবী শরীফ’ উনার ফযীলত বর্ণনা করতে যেয়ে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি
আলাইহিম উনারা বলেছেন, “যারা ‘মছনবী শরীফ’
পাঠ করবে, তারা ওলীউল্লাহ না হলেও
‘মছনবী শরীফ’ পাঠ করা অবস্থায় তাদের নামগুলো ওলীউল্লাহ উনাদের দফতরে লিখা থাকবে।”
সুবহানাল্লাহ!
আর দ্বিতীয় হাজারের মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি
তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মাকতূবাত শরীফ’ উনার ব্যাপারে বলেছেন, “কেউ যদি উনার ‘মাকতূবাত শরীফ’ পাঠ করে, ‘মাকতূবাত শরীফ’ পাঠ করা অবস্থায় নবী না হওয়া
সত্ত্বেও তার নাম ‘সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক’ উনার দফতরে লিখা হয়।” সুবহানাল্লাহ!
যদি তাই হয়, তাহলে সাইয়্যিদুনা
হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা করলে, পাঠ করলে, উনার সম্মানিত সাওয়ানেহ ‘উমরী মুবারক আলোচনা করলে, পাঠ করলে, বান্দা-বান্দী,
উম্মতের
নাম কোন ত্ববকায় লিখা থাকবে, সেটা চিন্তা-ফিকির
করতে হবে। সুবহানাল্লাহ! মূলত, তাদের নাম তখন
সম্মানিত রিসালত মুবারক উনার তবক্বায় লিখা থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
আর যদি কেউ সম্মানিত মুহব্বত মুবারক উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ
আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত শান-মান,
ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা করে, পাঠ করে,
উনার
সম্মানিত সাওয়ানেহ ‘উমরী মুবারক আলোচনা করে,
পাঠ
করে, তাহলে অবশ্য অবশ্যই তার
উপর জাহান্নাম হারাম হয়ে সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ!
শুধু তাই নয়, সেই ব্যক্তি
সর্বোচ্চ সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
সাথে আবাদুল আবাদের তরে অবস্থান মুবারক করবে। সুবহানাল্লাহ! এতে বিন্দু থেকে
বিন্দুতমও সন্দেহের অবকাশ নেই। কেননা,
সম্মানিত
ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَحَبَّ سُنَّتِـىْ فَقَدْ اَحَبَّـنِـىْ وَمَنْ اَحَبَّنِـىْ كَانَ مَعِـىَ فِـى الْـجَنَّةِ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো
একখানা সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলেন, তিনি মূলত, আমাকেই মুহব্বত
করলেন। আর যিনি আমাকে মুহব্বত করলেন,
তিনি
মূলত, আমার সাথেই সম্মানিত
জান্নাত মুবারক-এ অবস্থান মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তুহফাতুল আহওয়াযী বিশরহি
জামিয়িত তিরমিযী, জামি‘উল উছূল ফী
আহাদীছির রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বওয়া‘য়িদুত তাহদীছ,
শরহুল
বুখারী, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ)
এখন বলার বিষয় হচ্ছে, একখানা সম্মানিত
সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলে যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ অবস্থান করা
যায়, তাহলে নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত
আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি তো হচ্ছেন সমস্ত সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাদের
মালিক। সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনাকে যারা মুহব্বত মুবারক করবে, তাদের ফায়ছালা কী হবে? তারা কার সাথে, কোন সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ অবস্থান করবে? মূলত,
অবশ্য
অবশ্যই ওই সকল ব্যক্তিরা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত
শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সর্বোচ্চ সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ
চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে এবং উনাদের মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক ও জিয়ারত
মুবারক-এ আবাদুল আবাদের তরে মশগূল থাকবে। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছ্ছুল খাছ উম্মত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উনার ওই সকল উম্মত উনাদেরকে ইহকাল ও পরকালে দায়িমীভাবে সম্মানিত শাফায়াত মুবারক
করবেন, উনার আখাছ্ছুল খাছ বিশেষ
নেক দৃষ্টি মুবারক, মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক দান করবেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার
সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে কবূল করুন। আমীন!
*******************************************************
এক নজরে সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পরিচিতি
মুবারক
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ
ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! উনার মুবারক উসীলায় সমস্ত জিন-ইনসান এবং তামাম
কায়িনাতবাসী সকলেই মর্যাদা-মর্তবা,
শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক হাছিল করেছে, করছে এবং অনন্তকাল যাবৎ হাছিল করতেই থাকবে।
সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান,
ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
তিনি সকলের মাঝে ‘সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম’ হিসেবে সম্মানিত
পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! নি¤েœ উনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক তুলে ধরা হলো,
সম্মানিত ইসম বা নাম মুবারক: সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম।
সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক: আবূ মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবূ আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবূ কুছাম আলাইহিস সালাম।
সম্মানিত লক্বব মুবারক: যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম, আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকু আহলি বাইত
শরীফ আলাইহিমুস সালাম, সাইয়্যিদুল বাশার, মালিকুল জান্নাহ, আফদ্বলুন নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এছাড়াও আরো অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ!
যেই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ
সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন: সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস
সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল
মুত্ত্বালিব ইবনে হাশিম আলাইহিস সালাম। তিনি ছিলেন সমগ্র আরব ও সম্মানিত কুরাঈশ
উনাদের সকলের সাইয়্যিদ এবং পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক।
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিতা হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ
বিনতে ‘আমর আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৭৮
বছর ৮ মাস ১০ দিন পূর্বে ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক:
সম্মানিত মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত অবস্থান মুবারক: সম্মানিত মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
আযীমুশ শান মহাসম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন হওয়ার সময় সম্মানিত বয়স
মুবারক : ২৪ বছর ১১ মাস ২৯ দিন তথা পূর্ণ ২৫ বছর। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিতা জাওযাতুম মুক্কাররমাহ আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা
বিনতে ওয়াহাব আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত সুমহান আওলাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন,
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত দ্বীন: সাইয়্যিদুনা হযরত হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার
সম্মানিত দ্বীন, দ্বীনে হানীফ।
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৫৩
বছর ২ মাস পূর্বে। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার ২ মাস ১০ দিন
পূর্বে ২রা মুহাররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ সকালে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক:
সম্মানিত মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত রওযা শরীফ: সম্মানিত আবওয়া শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক : ২৫ বছর ৬ মাস। সুবহানাল্লাহ!
***************************************************
যিক্রুল্লাহ, খইরু খলক্বিল্লাহ, আস সিরাজুল মুনীর, ইমামুল মুত্তাক্বীন, মালিকুল জান্নাহ, আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক-
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلِلّٰهِ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُ بِـهَا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম মুবারক তথা
সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাকে সেই
সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক দ্বারা আহ্বান করো।” সুবহানাল্লাহ!
(সম্মানিত সূরা আ’রাফ শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ১৮০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন অসীম,
ঠিক
তেমনিভাবে উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের সংখ্যাও অসীম। সুবহানাল্লাহ!
অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব,
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত
লক্বব মুবারক উনাদের সংখ্যাও অসংখ্য-অসীম। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি
নন; এছাড়া সমস্ত লক্বব মুবারক
উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইভাবে আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক
তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি নন; এছাড়া যত সম্মানিত লক্বব
মুবারক রয়েছেন, সমস্ত সম্মানিত
লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! এখানে উনার কতিপয়
সম্মানিত বরকতময় লক্বব মুবারক উল্লেখ করা হলো:
১. اَبُوْ رَسُوْل ِاللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (আবূ
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)Ñ নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত
আব্বাজান আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
২. اَهْلُ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ(আহলু বাইতি
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত
শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
৩. مَالِكُ اَهْلِ بَيْتٍ شَرِيْفٍ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ (মালিকু আহলি
বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনাদের মালিক। সুবহানাল্লাহ!
৪. ذَبِيْحُ اللهِ (যাবীহুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক
উনার মহাসম্মানিত যাবীহ মুবারক, মহান আল্লাহ পাক
উনার জন্য উৎসর্গীত, কুরবানীকৃত।
৫. اَلْاَبَرُّ (আল আর্বারু)-
সর্বশ্রেষ্ঠ নেককার, সর্বোত্তম
দ্বীনদার, ইহসানকারী, দানশীল।
৬. اَلْاَتْـقٰى (আতক্ব)-
সর্বশ্রেষ্ঠ পরহেযগার, সর্বশ্রেষ্ঠ
মুত্তাক্বী, সর্বোত্তম খোদাভীরু।
৭. اَلْاَجْوَدُ (আল আজওয়াদ)-
সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল, সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা।
৮. اَجْوَدُ النَّاسِ (আজওয়াদুন
নাস)- মানুষের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল।
৯. اَلْاَجَلُّ (আল আজাল্লু)-
মহিমান্বিত, সর্বাধিক সম্মানিত।
১০. اَلْاَحْسَنُ (আল আহ্সান)-
সর্বোত্তম, সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বাধিক সৌন্দর্য মুবারক উনার অধিকারী।
১১. اَلْاَخْشٰى لِلّٰهِ (আল আখশা
লিল্লাহ)- সর্বাধিক খোদাভীরু।
১২. اَلْاَرْحَمُ (আল আরহাম)-
পরম করুণাময়, সর্বশ্রেষ্ঠ
অনুগ্রহশীল।
১৩. اَلْاَزْكٰـى (আল আয্কা)-
সর্বাধিক পূত-পবিত্র, কায়িনাতের মাঝে
সবচেয়ে পবিত্র।
১৪. اَلْاَزْهَرُ (আল আয্হার)-
সবচেয়ে সুন্দর, ফুলের মতো সুন্দর, উজ্জ্বলতর, মনোহর, হৃদয়কাড়া সৌন্দর্য
মুবারক উনার অধিকারী।
১৫. اَلْاَشَدُّ حَيَاءً (আল আশাদ্দু
হায়া’)- সর্বাধিক লজ্জাশীল।
১৬. اَلْاَصْدَقُ (আল আছদাক্ব)-
পরম সত্যবাদী।
১৭. اَصْدَقُ النَّاسِ لَـهْجَةً (আছদাক্বুন
নাসি লাহ্জাহ)- মানুষের মাঝে পরম সত্যবাদী।
১৮. اَلْاَطْيَبُ (আল
আত্বইয়াব্)- সর্বাধিক মর্যাদাবান, সবচেয়ে পবিত্র, সর্বশ্রেষ্ঠ, সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত।
১৯. اَلْاَعَزُّ (আল আ‘য়ায্যু)-
সবচেয়ে সম্মানিত, সর্বাধিক
ইজ্জত-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক।
২০. اَلْاَعْظَمُ (আল আ’যাম)-
মানুষের মাঝে সবচেয়ে মহান।
২১. اَلْاَعْلـٰى (আল আ’লা)-
সর্বোচ্চ মর্যাদা মুবারক উনার অধিকারী,
সর্বশ্রেষ্ঠ
বিজয়ী।
২২. اَلْاَعْلَمُ بِاللهِ (আল আ’লামু
বিল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার সম্পর্কে,
উনার
বিধি-বিধান মুবারক সম্পর্কে যিনি সবচেয়ে বেশি জানেন।
২৩. اَفْصَحُ الْعَرَبِ (আফছাহুল আরব)-
আরবদের মাঝে সর্বাধিক বিশুদ্ধভাষী।
২৪. اَكْرَمُ النَّاسِ (আকরামুন নাস)-
মানুষের মাঝে সবচেয়ে সম্মানিত, অনুগ্রহশীল, বেহিসাব নিয়ামত মুবারক বিতরণকারী।
২৫. اَلْاَمْـجَدُ (আল আমজাদ)-
সর্বাধিক সম্মানিত, মর্যাদাবান, সম্ভ্রান্ত।
২৬. اَلْاِمَامُ (আল
ইমাম)-সাইয়্যিদ।
২৭. اِمَامُ الْـخَيْرِ (ইমামুল খইর)-
সমস্ত নেককার উনাদের ইমাম।
২৮. اِمَامُ الْمُتَّقِيْنَ (ইমামুল
মুত্তাক্বীন)- সমস্ত মুত্তাক্বীগণ উনাদের ইমাম।
২৯. اِمَامُ النَّاسِ (ইমামুন নাস)-
সমস্ত মানুষের ইমাম।
৩০. اَلْاَمَانُ (আল আমান)-
সর্বদিক থেকে সর্ববিষয়ে সর্বোত্তম নিরাপত্তাদানকারী।
৩১. اَلاَوْلـٰى(আল আওলা)-
সর্বাধিক নিকটবর্তী, সকলের জীবনের
চেয়েও অধিক প্রিয়, সকলের মহাসম্মানিত
পিতা।
৩২. اٰيَةُ اللهِ (আয়াতুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক
উনার সম্মানিত নির্দশন মুবারক।
৩৩. اَلْبَرُّ (আল র্বারু)-
পরম দানশীল, সর্বশ্রেষ্ঠ ন্যায়পরায়ণ।
৩৪. اَلْبَهَاءُ (আল বাহা’)-
সমস্ত উম্মতের জন্য সম্মান, মর্যাদা-মর্তবা
মুবারক দানকারী, সকলের সৌন্দর্য, জ্যোতি,
দীপ্তি।
৩৫. اَلْبُرْهَانُ (আল বুরহান)-
দলীল।
৩৬. اَلْبُشْرٰى (আল বুশরা)-
সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক।
৩৭. جَامِعُ النِّعْمَةِ وَالنِّسْبَةِ (জামি‘উন নি’মাতি
ওয়ান নিসবাতি)- সমস্ত নিয়ামত ও নিবসত মুবারক উনাদের জামি’ বা মালিক।
৩৮. اَلْـجَلِيْلُ (আল জালীল)-
মহামহিম, মহাসম্মানিত, মহাগৌরবময়, মহীয়ান।
৩৯. اَلْـجَوَّادُ (আল জাওওয়াদ)-
মহান দাতা, সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল।
৪০. اَلْـحَافِظُ (আল হাফিয)-
সর্বোত্তম হিফাযতকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ
সংরক্ষণকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ
নিয়ামত মুবারক তথা নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ধারণকারী।
৪১. اَلْـحَامِدُ (আল হামিদ)-
সর্বোত্তম প্রশংসাকারী।
৪২. حَبِيْبُ اللهِ (হাবীবুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক
উনার হাবীব।
৪৩. اَلْـحَلِيْمُ (আল হালীম)-
পরম ধৈর্যশীল, মহাসহনশীল।
৪৪. حِزْبُ اللهِ (হিযবুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক
উনার সম্মানিত দল মুবারক, মহান আল্লাহ পাক
উনার প্রতিনিধি।
৪৫. اَلْـحَقُّ (আল হাক্ব)
সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সত্য।
৪৬. اَلْـحَكِيْمُ (আল হাকীম)-
মহাপ্রজ্ঞাবান, সমস্ত হিকমত
মুবারক উনাদের মালিক।
৪৭. اَلْـحَـىُّ (আল হাই)-
সম্মানিত রওযা শরীফ উনার মধ্যে জীবিত,
মহান
আল্লাহ উনার হাইয়্যুন তথা চিরঞ্জীব সম্মানিত ছিফত মুবারক উনার অধিকারী, মালিক। সুবহানাল্লাহ!
৪৮. اَلْـخَازِنُ لِـمَالِ اللهِ (আল খাযিনু লিমালিল্লাহ)- মহান
আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত মাল-সম্পদ,
সমস্ত
নিয়ামত মুবারক উনাদের মালিক, রক্ষক।
৪৯. اَلْـخَالِصُ (আল খ¦ালিছ)- খালিছ, পূত-পবিত্র।
৫০. اَلْـخَبِيْرُ (আল খ¦বীর)- মহাবিজ্ঞ, মহাবিচক্ষণ।
৫১. اَلْـخَلِيْلُ (আল খ¦লীল)- আখাছ্ছুল
খাছ প্রিয়, আখাছ্ছুল খাছ মাহবূব।
৫২. خَلِيْلُ الرَّحْـمٰنِ (খ¦লীলুর রহমান)-
মহান আল্লাহ পাক উনার আখাছ্ছুল খাছ প্রিয়,
মাহবূব।
৫৩. اَلْـخَلِيْفَةُ (খলীফা)- খলীফা, প্রতিনিধি।
৫৪. خَلِيْفَةُ اللهِ (খলীফাতুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক
উনার খলীফা, প্রতিনিধি।
৫৫. اَلْـخَيْرُ (আল খইর)-
সর্বোত্তম, সর্বশ্রেষ্ঠ।
৫৬. خَيْرُ الْبَرِيَّةِ (খইরুল
বারিয়্যাহ)- সৃষ্টিজগতের মাঝে সর্বোত্তম,
সর্বশ্রেষ্ঠ।
৫৭. خَيْرُ النَّاسِ (খইরুন নাস)-
মানুষের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোত্তম।
৫৮. خَيْرُ الْعَالَـمِيْنَ (খইরুল
আলামীন)- সমস্ত কায়িনাতের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ,
সর্বোত্তম।
৫৯. خَيْرُ خَلْقِ اللهِ (খইরু খলক্বিল্লাহ)- মহান আল্লাহ
পাক উনার সৃষ্টিজগতের মাঝে, সমস্ত মাখলূকাতের
মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোত্তম।
৬০. دَارُ الْـحِكْمَةِ (দারুল
হিকমাহ)- সম্মানিত হিকমত মুবারক উনার ঘর মুবারক।
৬১. اَلذَّاكِرُ (আয যাকির)-
সর্বোত্তম যিকিরকারী।
৬২. ذِكْرُ اللهِ (যিক্রুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক
উনার সম্মানিত যিকির মুবারক। অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম
তিনি নিজেই যিকরুল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!
৬৩. ذُو الْـخُلُقِ الْعَظِيْمِ (যুল খুলুক্বিল ‘আযীম)-
সর্বোত্তম সুমহান চরিত্র মুবারক উনার অধিকারী।
৬৪. ذُو السَّكِيْنَةِ (যুস সাকীনাহ)- সাকীনাহ, শান্তি,
প্রশান্তি, ইতমিনান মুবারক উনাদের মালিক।
৬৫. ذُو الـصِّـرَاطِ الْمُسْتَقِيْمِ (যুছ ছিরাত্বিল
মুস্তাক্বীম)- ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার মালিক।
৬৬. ذُو الْعِزَّةِ (যুল ‘ইযযাহ)- সম্মানিত ইজ্জত
মুবারক উনার মালিক।
৬৭. ذُو الْفَضْلِ (যুল ফাদ্বল)- সম্মানিত ফযল
মুবারক উনার মালিক।
৬৮. ذُو الْكَرَامَةِ (যুল কারামাহ)- সম্মানিত কারামত
মুবারক উনার মালিক।
৬৯. ذُو الْوَسِيْلَةِ (যুল ওয়াসীলাহ)- সম্মানিত উসীলাহ
মুবারক উনার মালিক।
৭০. اَلرَّؤُوْفُ الرَّحِيْمُ (আর রঊফুর
রহীম)- পরম স্নেহপরায়ণ, অসীম দয়ালু।
৭১. اَلرَّاضِىْ (আর রাদ্বী)-
আখাছ্ছুল খাছ সন্তুষ্টি মুবারক প্রাপ্ত এবং দানকারী।
৭২. اَلرَّاغِبُ (আর রাগিব)-
মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে দায়িমীভাবে রুজু।
৭৩. اَلرَّافِعُ (আর রাফি’)-
সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার অধিকারী এবং সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবা মুবারক
দানকারী।
৭৪. رَحْـمَةُ الْاُمَّةِ (রহমাতুল
উম্মাহ)- সমস্ত উম্মতের জন্য রহমত মুবারক।
৭৫. لِّـلْـعَـالَـمِيْنَ رَحْـمَةٌ (রহমাতুল্লিল
‘আলামীন)- সমস্ত আলমের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক।
৭৬. اَلرَّشِيْدُ (আর রশীদ)- সৎপথপ্রাপ্ত, সৎপথ প্রদর্শনকারী,
ন্যায়পরায়ণ।
৭৭. اَلرِّضَا (আর রিদ্বা)-
চরম সন্তুষ্টি মুবারক, চরম সন্তুষ্টি
মুবারক প্রাপ্ত, চরম সন্তুষ্টি
মুবারক দানকারী।
৭৮. اَلرِّضْوَانُ (আর
রিদ্বওয়ান)- চরম সন্তুষ্টি মুবারক উনার মালিক।
৭৯. رِضْوَانُ اللهِ (রিদ্বওয়ানুল্লাহ)- মহান আল্লাহ
পাক উনার পক্ষ থেকে চরম সন্তুষ্টি মুবারক প্রাপ্ত।
৮০. اَلرَّفِيْقُ (আর রফীক)-
রফীক্ব, বন্ধু, হাবীব।
৮১. رَفِيْقُ اللهِ (রফীক্বুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক
উনার রফীক্ব, বন্ধু, হাবীব।
৮২. رَفِيْعُ الدَّرَجَاتِ (রফীউদ
দারাজাত)- সকল সুউচ্চ সুমহান মর্যাদা-মর্তাবা ও মাক্বামাত মুবারক উনাদের মালিক।
৮৩. رُوْحُ الْقُدُسِ (রূহুল কুদ্স)-
পবিত্র রূহ বা আত্মা মুবারক।
৮৪. اَلزَّاهِدُ (আয যাহিদ)-
দুনিয়াবিরাগী, মহান আল্লাহ পাক
উনার দিকে দায়িমীভাবে রুজু।
৮৫. اَلـزَّكِـىُّ (আঝ ঝাকি)-
পূত-পবিত্র, মহাবিচক্ষণ,
৮৬. اَلسَّابِقُ بِالْـخَيْرَاتِ (আস সাবিকু বিল
খইরাত)- খইর, কল্যাণ, ভালাই ইত্যাদি সর্ববিষয়ে অগ্রগামী।
৮৭. اَلسَّاجِدُ (আস সাজিদ)-
সর্বোত্তম সিজদাকারী।
৮৮. سَبِيْلُ اللهِ (সাবীলুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক
উনার পথ।
৮৯. اَلسَّخِىُّ(আস সাখ¦ী)- মহাদানশীল।
৯০. اَلسِّرَاجُ الْـمُنِيْرُ (আস সিরাজুল
মুনীর)- প্রজ্জ্বলিত, উজ্জ্বল বাতি
মুবারক, হেদায়াতদানকারী, পথপ্রদর্শক।
৯১. سَعْدُ اللهِ (সা’দুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক
উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ সৌভাগ্যবান ব্যক্তিত্ব মুবারক।
৯২. سَعْدُ الْـخَلَائِقِ (সা’দুল
খলাইক্ব)- সমস্ত সৃষ্টি জগতের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ সৌভাগ্যবান।
৯৩. سَعِيْدٌ (সাঈদ)-
সর্বশ্রেষ্ঠ সৌভাগ্যবান, সর্বশ্রেষ্ঠ সুখী।
৯৪. اَلسَّلَامُ (আস সালাম)-
সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তিদাতা।
৯৫. اَلسَيِّدُ (আস সাইয়্যিদ)-
সাইয়্যিদ, ইমাম।
৯৬. سَيِّدُ الثَّقَلَيْنِ (সাইয়্যিদুছ
ছাক্বলাইন)- দুই প্রধান সৃষ্টিজীব- জিন ও ইনসানের সাইয়্যিদ।
৯৭. سَـيِّـدُ الْكَوْنَيْنِ (সাইয়্যিদুল
কাওনাঈন)- দুই জগতের সাইয়্যিদ।
৯৮. سَيِّدُ النَّاسِ (সাইয়্যিদুন
নাস)- সমস্ত মানুষের সাইয়্যিদ।
৯৯. اَلشَّافِعُ (আশ শাফি’)-
সর্বোত্তম সুপারিশকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ
শাফায়াতকারী।
১০০. اَلشَّافِـىْ (আশ শাফী)-
শিফাদানকারী, আরোগ্যদানকারী, সমস্ত উম্মতের জন্য যাহিরী-বাতিনী
আরোগ্যদানকারী।
১০১. اَلشَّاكِرُ (আশ শাকির)-
যথার্থ পুরস্কারদাতা, যথাযথ শুকরিয়া
আদায়কারী।
১০২. اَلشَّكُوْرُ (আশ শাকূর)-চরম
শুকরিয়া আদায়কারী, চরম কৃতজ্ঞ।
১০৩. اَلشَّاهِدُ (আশ শাহিদ)-
হাযির-নাযির, উপস্থিত, সাক্ষ্যদাতা।
১০৪. اَلشَّرِيْفُ (আশ শারীফ)-
চরম শরীফ, সর্বোচ্চ মর্যাদাবান, চরম সম্ভ্রান্ত।
১০৫. اَلشِّفَاءُ (আশ শিফা’)-
আরোগ্যদানকারী, সমস্ত উম্মতের
জন্য যাহিরী-বাতিনী আরোগ্যদানকারী।
১০৬. اَلصَّابِرُ (আছ ছাবির)-
চরম ধৈর্য্যশীল।
১০৭. اَلصَّاحِبُ (আছ ছাহিব)-
মালিক, অধিকারী।
১০৮. صَاحِبُ الشَّفَاعَةِ (ছাহিবুশ
শাফা‘আহ)- সম্মানিত শাফায়াত মুবারক উনার মালিক।
১০৯. صَاحِبُ الْفَضِيْلَةِ (ছাহিবুল
ফাদ্বীলাহ)- সম্মানিত ফযীলত মুবারক উনার মালিক।
১১০. صَاحِبُ الْـخَيْرِ (ছাহিবুল খইর)-
সমস্ত কল্যাণ মুবারক উনাদের মালিক।
১১১. صَاحِبُ الْكَوْثَرِ (ছাহিবুল
কাওছার)- সম্মানিত কাওছার মুবারক উনার মালিক।
১১২. صَاحِبُ الْـحَوْضِ(ছাহিবুল
হাউদ্ব)- সম্মানিত হাউযে কাওছার শরীফ উনার মালিক,
১১৩. صَاحِبُ الدَّرَجَةِ الْعَالِيَةِ الرَّفِيْعَةِ (ছাহিবুদ
দারাজাতিল ‘আলিয়াতির রফী‘য়াহ) সুউচ্চ সুমহান সম্মানিত দারাজাত তথা সম্মান ও
মাক্বামাত মুবারক উনার মালিক।
১১৪. صَاحِبُ السُّلْطَانِ (ছাহিবুস
সুলত্বান)- যাহিরী-বাতিনী সর্বদিক থেকে সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব মুবারক উনার মালিক,
১১৫. اَلصِّدِّيْـقُ (আছ
ছিদ্দীক্ব)- চরম সত্যবাদী।
১১৬. اَلصَّالِحُ (আছ ছালিহ)-
সর্বশ্রেষ্ঠ নেককার, সর্বোত্তম
পরহেযগার, হক্কুল্লাহ ও হক্কুল ইবাদ
যথাযথ আদায়কারী।
১১৭. اَلصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيْمُ (আছ ছিরাতুল
মুস্তাক্বীম)- ছিরাতুল মুস্তাক্বীম,
সরল-সঠিক
পথ।
১১৮. اَلطَّاهِرُ (আত্ব
ত্বাহির)- নিষ্কলুষ, পূত-পবিত্র, পূত-পবিত্রতাদানকারী।
১১৯. اَلطَّبِيْبُ (আত ত্ববীব)-
মহাচিকিৎসক, যাহিরী-বাতিনী,
জিসমানী-রূহানী
সর্বশ্রেষ্ঠ শিফাদানকারী, আরোগ্যদানকারী।
১২০. اَلظَّاهِرُ (আয যাহির)-
অত্যন্ত সুস্পষ্ট, উজ্জ্বল, সুউচ্চ মর্যাদাবান, সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয়ী।
১২১. اَلْعَابِدُ (আল ‘আবিদ)-
একনিষ্ঠ ইবাদাতকারী, মহান আল্লাহ পাক
উনার চরম অনুগত ও আখাছ্ছুল খাছ মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক।
১২২. اَلْعَادِلُ (আল ‘আদিল)-
চরম ন্যায়বিচারকারী, চরম ন্যায়পরায়ণ।
১২৩. اَلْعَارِفُ (আল ‘আরিফ)-
পরিচিত, অবহিত, জ্ঞাত। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার
হাক্বীক্বী পরিচয় মুবারক লাভকারী।
১২৪. اَلْعَافِـىْ (আল ‘আফী)-
মাফকারী, ক্ষমাকারী।
১২৫. اَلْعَالِـمُ (আল ‘আলিম)-
আলিম।
১২৬. اَلْعَلِيْمُ (আল ‘আলীম)-
সর্বজ্ঞাত, মহাজ্ঞানী।
১২৭. اَلْعَائِلُ (আল ‘আয়িল)-
মহান আল্লাহ পাক উনার পরিপূর্ণ মুহতাজ,
দায়িমীভাবে
মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে রুজু।
১২৮. اَلْعَبْدُ(আল ‘আবদ)- মহান
আল্লাহ পাক উনার পরিপূর্ণ অনুগত, মহান আল্লাহ পাক
উনার আখাছ্ছুল খাছ মাহবূব, হাবীব।
১২৯. اَلْعِصْمَةُ (আল ‘ইছমাহ)-
মহাপবিত্র, পূত-পবিত্র।
১৩০. عِصْمَةُ اللهِ تَعَالـٰى (‘ইছমাতুল্লাহি
তা‘য়ালা) মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বপ্রকার পাপ থেকে মুক্ত, মহাপবিত্র, পূত-পবিত্র।
১৩১. اَلْعَظِيْمُ (আল ‘আযীম)-
মহাসম্মানিত, সুমহান
মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার অধিকারী।
১৩২. اَلْعَزِيْزُ (আল ‘আযীয)-
প্রিয়, মাহবূব, মহাসম্মানিত, বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি মুবারক উনার অধিকারী, মালিক।
১৩৩. اَلْعَلِـىُّ (আল ‘আলী)-
সুউচ্চ, মহামর্যাদাবান, মহাসম্মানিত।
১৩৪. اَلْغَالِبُ (আল গ¦ালিব)- গালিব, মহাবিজয়ী, সর্বাধিক প্রাধান্য বিস্তারকারী।
১৩৫. اَلْغَفُوْرُ (আল গফূর)- পরম
ক্ষমাশীল।
১৩৬. اَلْغَنِـىُّ (আল গ¦নি)- মহাসম্পদশালী, মহাধনী,
অমুখাপেক্ষী।
১৩৭. اَلْغَوْثُ (আল গাওছ)-
সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী, ফরিয়াদ শ্রবণকারী।
১৩৮. اَلْفَاضِلُ (আল ফাদ্বিল)-
মহাসম্মানিত, সুউচ্চ
মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার অধিকারী,
সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বসেরা।
১৩৯. اَلْفَائِقُ (আল ফায়িক্ব)-
সর্বশ্রেষ্ঠ, অনন্য।
১৪০. اَلْفَارِقُ (আল ফারিক্ব)-
হক্ব ও নাহক্বের মাঝে পার্থক্যকারী।
১৪১. اَلْفَخْرُ (আল ফখর)- বড়
মহান, গৌরব, মহান আল্লাহ পাক উনার ফখর, সুউচ্চ সম্মান মুবারক উনার অধিকারী।
১৪২. فَخْرُ الْاَوْلِيَاءِ وَالْاَنْبِيَاءِ وَالْـمُرْسَلِيْنَ (ফখরুল আউলিয়া
ওয়াল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন)- সমস্ত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের
এবং সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রত্যেকের ফখর।
১৪৩. اَلْفَدْغَمُ (আল ফাদগম)-
গৌরবময় সৌন্দর্য মুবারক উনার অধিকারী,
বিস্ময়কর
সৌন্দর্য মুবারক উনার অধিকারী।
১৪৪. اَلْفَرْدُ (আল ফারদ)- একক, মহামহিম,
সবচেয়ে
বড় মহান। সাইয়্যদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পিতা
আলাইহিস সালাম হিসেবে একক খুছূছিয়াত মুবারক ও একক বিশেষ মাক্বাম মুবারক উনার
অধিকারী, যেখানে কায়িনাতের কারো
পক্ষে পৌঁছা আদৌ সম্ভব নয়।
১৪৫. اَلْفَصِيْحُ (আল ফাছীহ)-
সুভাষী, বিশুদ্ধভাষী।
১৪৬. اَلْقَارِىْ (আল ক্বারী)-
অতিথী আপ্যায়নকারী।
১৪৭. اَلْقَاسِمُ (আল ক্বাসিম)-
বণ্টনকারী।
১৪৮. اَلْقَاضِـىْ (আল ক্বাদ্বী)Ñ ফায়সালাকারী।
১৪৯. اَلْقَائِدُ (আল ক্বায়িদ)-
সাইয়্যিদ, মহানপরিচালক, হিদায়াত উনার পথে পরিচালনাকারী।
১৫০. قَائِدُ الْـخَيْرِ (ক্বায়িদুল খইর)- কল্যাণের দিকে
পরিচালনাকারী, যিনি সবাইকে
কল্যাণের দিকে নিয়ে যান।
১৫১. اَلْقَانِتُ (আল ক্বানিত)Ñ চির অনুগত, সর্বশ্রেষ্ঠ
দ্বীনদার, দ্বীন পালনকারী।
১৫২. قُثَمٌ (কুছাম)- সীমাহীন দাতা, সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল, সমস্ত প্রকার কল্যাণ মুবারক উনাদের অধিকারী, খইরে কাছীর মুবারক উনার অধিকারী।
১৫৩. اَلْقَرِيْبُ (আল ক্বরীব)- চিরনিকটবর্তী, অতি নিকটস্থ, অতি ঘনিষ্ঠ।
১৫৪. اَلْقَوِىُّ (আল ক্বওই)- সর্বশক্তিমান, মহাশক্তিধর।
১৫৫. اَلْكَافُّ (আল কাফ)-
মানুষকে সম্মানিত ঈমান উনার উপর ইস্তিকামত দানকারী, মানুষদেরকে কুফরী থেকে বাধা দানকারী।
১৫৬. اَلْكَافِـىْ (আল কাফী)-
যথেষ্ট।
১৫৭. اَلْكَامِلُ (আল কামিল)-
পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণতাদানকারী।
১৫৮. اَلْكَثِيْرُ الصَّمْتُ (আল কাছীরুছ ছমত)- স্বল্প বাক্যালাপকারী।
১৫৯. اَلْكَرِيْـمُ (আল কারীম)-
মহাসম্মানিত, মহামর্যাদাবান, মহাদানশীল।
১৬০. اَلْمُؤْتَـمَنُ (আল মু’তামান)-
চির বিশ্বস্ত, সর্বশ্রেষ্ঠ
আমানাতদার, আমানতের যথাযথ হিফাযতকারী।
১৬১. اَلْمَأْمُوْنُ (আল মা’মূন)-
নিরাপদ, বিপদমুক্ত, চির বিশ্বস্ত।
১৬২. اَلْـمُؤْمِنُ (আল মু’মিন)- সর্বশ্রেষ্ঠ ঈমানদার, সর্বশ্রেষ্ঠ মু’মিন।
১৬৩. اَلْمَاجِدُ (আল মাজিদ)- গৌরবময়, মহামর্যাদাবান, মহান, গৌরবান্বিত।
১৬৪. اَلْمَاحِـىْ (আল মাহী)-
নিশ্চিহ্নকারী, কুফরকে
নিশ্চিহ্নকারী।
১৬৫. اَلْـمَانِحُ (আল মানিহ)- সীমাহীন দাতা, সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল।
১৬৬. اَلْمَانِعُ (আল মানি’)-
নিষেধকারী, প্রতিরোধকারী।
১৬৭. اَلْمُبَارِكُ (আল মুবারিক)- বরকতদানকারী, কল্যাণদানকারী।
১৬৮. اَلْمُبَارَكُ (আল মুবারক)-
বরকতময়, কল্যাণময়।
১৬৯. اَلْـمُبَشِّرُ (আল মুবাশশির)- সুসংবাদদানকারী।
১৭০. اَلْـمَبْعُوْثُ بِـالْـحَقِّ (আল মাব‘ঊছু
বিল হাক্ক)- সত্যসহ প্রেরিত, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ধারণকারী।
১৭১. اَلْـمُـبَـلِّـغُ (আল
মুবাল্লিগ)- সম্মানিত দ্বীন উনার প্রতি আহ্বানকারী।
১৭২. اَلْمُـتَـبَـسِّمُ (আল
মুতাবাসসিম)- হাস্যোজ্জ্বল, যিনি মুচকি হাসি
মুবারক দেন,
১৭৩. اَلْمُتَّـقِـىْ (আল
মুত্তাক্বী)- সর্বশ্রেষ্ঠ মুত্তাক্বী,
পরহেযগার, মহান আল্লাহ পাক উনার আখাছ্ছুল খাছ মাহবূব।
১৭৪. اَلْمُتَوَكِّلُ (আল
মুতাওয়াক্কিল)- মুতাওয়াক্কিল, মহান আল্লাহ পাক
উনার প্রতি তাওয়াক্কুলকারী, ভরসাকারী, নির্ভরশীল।
১৭৫. اَلْمَتِيْنُ (আল মাতীন)-
মহাশক্তিমান, মহাশক্তিধর।
১৭৬. اَلْـمُثَبِّتُ (আল
মুছাব্বিত)- দৃঢ়ভাবে স্থাপনকারী।
১৭৭. اَلْمُجَاهِدُ (আল মুজাহিদ)-
মুজাহিদ, জেহাদকারী।
১৭৮. اَلْـمُجْتَبٰـى (আল মুজতবা)-
মনোনীত।
১৭৯. اَلْمُجِيْبُ (আল মুজীব)- জবাবদাতা, সাড়াদানকারী, কবুলকারী।
১৮০. اَلْمُجِيْرُ (আল মুজীর)-
আশ্রয়দাতা, সাহায্যকারী, রক্ষাকারী, উদ্ধারকারী।
১৮১. اَلْمَجِيْدُ (আল মাজীদ)-
মহামর্যাদাবান, মহিমান্বিত, মহীয়ান,
গৌরবান্বিত, গৌরবময়।
১৮২. اَلْمَحْفُوْظُ (আল মাহফূয)-
সংরক্ষিত।
১৮৩. اَلْمَحْمُوْدُ (আল মাহমূদ)-
চরম প্রশংসিত।
১৮৪. اَلْمُخْبِرُ (আল মুখবির)-
সংবাদদাতা, অবহিতকারী, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সম্পর্কে সংবাদদাতা, অবহিতকারী।
১৮৫. اَلْمُخْتَارُ (আল মুখ¦তার)- মনোনীত, সর্বশ্রেষ্ঠ।
১৮৬. اَلْمُخْتَصُّ (আর
মুখতাছ্ছু)- বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক,
আখাছ্ছুল
খাছ ব্যক্তিত্ব মুবারক।
১৮৭. اَلْـمَخْصُوْصُ بِـالـعِـزِّ (আল মাখ¦ছূছ বিল ‘ইজ্জি)-
বিশেষ সম্মান-ইজ্জত মুবারক উনার অধিকারী,
আখাছ্ছুল
খাছ ইজ্জত-সম্মান, মর্যাদা-মর্তবা
মুবারক উনাদের মালিক।
১৮৮. اَلْـمُخْلِصُ (আল মুখলিছ)-
মুখলিছ, বিশ্বস্ত, আন্তরিক,
মাহবূব, একনিষ্ঠ,
মহান
আল্লাহ পাক উনার আখাছ্ছুল খাছ মাহবূব।
১৮৯. مَدِيْنَةُ الْعِلْمِ (মাদীনাতুল ইলম)- সম্মানিত ইলম মুবারক উনার শহর, সমস্ত ইলম মুবারক উনার মালিক।
১৯০. اَلْـمُذَكِّـرُ (আল
মুযাক্কির)- উপদেশ দানকারী, নছীহতকারী, তা’লীমদাতা, শিক্ষা দানকারী।
১৯১. اَلْـمُرْشِدُ (আল মুরশিদ)-
পথ প্রদর্শক, হিদায়াতদানকারী।
১৯২. اَلْـمُزَكِّــىْ (আল মুযাক্কী)-
তাযকিয়াদানকারী, পবিত্রতাদানকারী।
১৯৩. اَلْـمُسْتَجِيْبُ (আল মুস্তাজীব)-
সাড়াদানকারী, জবাবদাতা।
১৯৪. اَلْمُسْتَفِيْضُ (আল
মুস্তাফীয)- ফয়েযদাতা।
১৯৫. اَلْمُسْتَقِيْمُ (আল
মুস্তাক্বীম)- সরল, সঠিক, সৎ।
১৯৬. اَلْمَسْعُوْدُ (আল মাস‘ঊদ)-
সৌভাগ্যশীল, সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান।
১৯৭. اَلْمَشْهُوْدُ (আল মাশহূদ)- উপস্থিত, হাযির।
১৯৮. اَلْـمُشَفَّعُ (আল
মুশাফ্ফা’)- যেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার সুপারিশ কবুল করা হয়।
১৯৯. اَلْـمِصْبَاحُ (আল মিছবাহ)- বাতি, আলোদানকারী, সম্মানিত হিদায়াত মুবারক উনার আলোদানকারী, সম্মানিত হিদায়াত মুবারক দানকারী।
২০০. اَلْمُصْلِحُ (আল মুছলিহ)-
ইছলাহকারী, সংশোধনকারী।
২০১. اَلْمُصْطَفٰى (আল মুস্তফা)-
মনোনীত।
২০২. اَلْمُصَدِّقُ (আল
মুছদ্দিক্ব)- সত্যায়নকারী।
২০৩. اَلْـمُطَهَّرُ (আল
মুত্বহ্হার)- পূত-পবিত্র, পূত-পবিত্রতাদানকারী।
২০৪. اَلْـمُظَفَّرُ (আল মুয¦ফ্ফার)- চির সফল, চির বিজয়ী, সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয়ী।
২০৫. اَلْمَعْرُوْفُ (আল মা’রূফ)-
পরিচিত, প্রসিদ্ধ।
২০৬. اَلْمَعْصُوْمُ (আল মা’ছূম)- নিষ্পাপ, বেগুনাহ,
মা’ছূম।
২০৭. اَلْـمُعَزَّزُ (আল
মু‘আয্যায)- মহাসম্মানিত, মহামর্যাদাবান।
২০৮. اَلْمَعْشُوْقُ (আল মা’শূক্ব)-
মা’শূক্ব, সকলের নিকট সর্বাধিক প্রিয়, সকলের মাহবূব।
২০৯. اَلْـمُعْطِىْ (আল মু’ত্বী)-
সীমাহীন দাতা, অসীম দানকারী।
২১০. اَلْمُعَظَّمُ (আল
মু’য়ায্যাম)- মহাসম্মানিত, মহামর্যাদাবান।
২১১. اَلْـمُـعَـلِّـمُ (আল
মু‘য়াল্লিম)- মু‘য়াল্লিম, তা’লীমদানকারী, শিক্ষক।
২১২. الْاُمَّةِ مُعَـلِّـمُ (মু‘য়াল্লিমুল
উম্মাহ)- সমস্ত উম্মতের মুয়াল্লিম,
তা’লীমদানকারী, শিক্ষক।
২১৩. اَلْمُعِيْنُ (আল মু‘ঈন)- সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী।
২১৪. اَلْمُغْنِىْ (আল মুগনী)-
সর্বশ্রেষ্ঠ প্রয়োজনপূরণকারী, উপকারী, অভাবমুক্তকারী।
২১৫. اَلْـمِفْتَاحُ (আল মিফতাহ)-
চাবি, সমস্ত নিয়ামত মুবারক লাভের
সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম, যেই সুমহান
ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার ক্বদম মুবারক-এ সমস্ত নিয়ামত মুবারক নিহিত।
২১৬. اَلْـمُفْتَخِرُ (আল মুফতাখির)- গর্বিত, গৌরবান্বিত।
২১৭. اَلْـمُقَدِّسُ (আল মুক্বদ্দিস)- উৎসর্গকারী, পবিত্রতাদানকারী।
২১৮. اَلْـمُقَدَّسُ (আল মুক্বাদ্দাস)- মহাপবিত্র, উৎসর্গকৃত।
২১৯. اَلْـمُقْسِطُ (আল মুক্বসিত্ব)- পরম ইনসাফকারী, সুবিচারকারী।
২২০. مُقِيْمُ السُنَّةِ (মুক্বীমুস সুন্নাহ)- সম্মানিত সুন্নত মুবারক
প্রতিষ্ঠাকারী, আবাদকারী।
২২১. اَلْمُكَرَّمُ (আল মুর্কারম)- মহাসম্মানিত।
২২২. اَلْـمَـكِّــىُّ (আল মাক্কী)- মাক্কী, সম্মানিত মক্কা শরীফ উনার সম্মানিত অধিবাসী।
২২৩. اَلْـقُرَيْشِىُّ (আল কুরাইশী)- কুরাইশী, সম্মানিত কুরাইশ বংশীয়।
২২৪. اَلْمَالِكُ (আল মালিক)- প্রকৃত মালিক, অধিকারী,
অধিপতি, মালিক।
২২৫. مَالِكُ الْـجَنَّةِ (মালিকুল
জান্নাহ)- সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মালিক।
২২৬. مَالِكُ الْكَائِنَاتِ (মালিকুল
কায়িনাত)- সমস্ত কায়িনাতের মালিক।
২২৭. مَالِكُ جَامِعِ الـنِّـعَـمِ(মালিকু জামিয়িন
নি‘য়াম)- সমস্ত সম্মানিত নিয়ামত মুবারক উনাদের মালিক।
২২৮. اَلْـمُنْتَصِرُ (আল মুনতাছির)- সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয়ী, মহাশক্তিধর।
২২৯. مِنَّةُ الله (মিন্নাতুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পক
উনার সর্বশ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ।
২৩০. اَلْـمُنْجِدُ (আল মুনজিদ)- সর্বশ্রেষ্ঠ ত্রাণকর্তা, উদ্ধারকারী, সাহায্যকারী।
২৩১. اَلْـمُنْذِرُ (আল মুনযির)- ভীতিপ্রদর্শনকারী, সতর্ককারী।
২৩২. اَلْـمُنِـيْبُ (আল মুনীব)-
মালিক, মনিব, সমস্ত কায়িনাত যেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক
উনার গোলাম।
২৩৩. اَلْـمُغِـيْثُ (আল মুগীছ)-
সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী, ত্রাণকর্তা, উদ্ধারকারী।
২৩৪. اَلْـمُنِيْرُ (আল মুনীর)-
আলোদানকারী, উজ্জ্বল, নূর দানকারী, হিদায়াত দানকারী,
ফয়েযদানকারী, সম্মানিত রহমত মুবারক দানকারী।
২৩৫. اَلْمَوْعِظَةُ (আল মাও‘য়িযহ)-
সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী।
২৩৬. اَلْـمَوْلـٰى (আল মাওলা)-
সর্বশ্রেষ্ঠ অভিভাবক।
২৩৭. اَلْمُهَذَّبُ (আল
মুহায্যাব)- পূত-পবিত্র, মহাপবিত্র।
২৩৮. اَلنَّاصِحُ (আল নাছিহ)-
সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী, উপদেশদাতা।
২৩৯. اَلنَّاصِرُ (আন নাছির)-
সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী।
২৪০. اَلنَّاطِقُ بِـالْـحَقِّ (আন নাত্বিকু
বিল হাক্ব)- সত্যবলার ক্ষেত্রে স্পষ্টভাষী।
২৪১. اَلنَّاهِـىْ (আন নাহী)-
নিষেধকারী, বারণকারী, মানাকারী।
২৪২. نَـجِىُّ اللهِ تَعَالـٰى (নাজীউল্লাহি
তায়ালা)- মহান আল্লাহ পাক উনার আখাছ্ছুল খাছ বন্ধু, মাহবূব, যেই সুমহান
ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার কাছে মহান আল্লাহ পাক তিনি গোপনীয় কথা বলে থাকেন।
২৪৩. اَلـنِّـعْـمَـةُ (আল নি’মাহ)-
সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক।
২৪৪. نِعْمَةُ اللهِ (নি’মাতুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক
উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক।
২৪৫. اَلنَّقِيْبُ (আন নাক্বীব)-
সাইয়্যিদ।
২৪৬. اَلنُّوْرُ (আন নূর)- নূর
মুবারক।
২৪৭. اَلنُّوْرُ الْمُكَرَّمُ (আন নূরুল
মুকাররাম)- সম্মানিত নূর মুবারক।
২৪৮. اَلنُّوْرُ الْمُطَهَّرُ (আন নূরুল
মুত্বহ্হার)- মহাপবিত্র সম্মানিত নূর মুবারক।
২৪৯. نُوْرُ اللهِ (নূরুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক
উনার সম্মানিত নূর মুবারক।
২৫০. نُوْرُ الْاُمَمِ (নূরুল উমাম)-
সমস্ত উম্মতের নূর মুবারক, নূরুল উমাম।
২৫১. نُوْرُ الْكَائِنَاتِ (নূরুল
কায়িনাত)- সমস্ত কায়িনাতের নূর মুবারক।
২৫২. اَلْـهَادِىْ (আল হাদী)-
সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়াতকারী।
২৫৩. اَلْـهَاشِـمِـىُّ (আল হাশিমী)-
হাশিমী, প্রভাবশালী, প্রতাপশালী, সম্মানিত, প্রাধান্যপ্রাপ্ত।
২৫৪. اَلْـهُدٰى (আল হুদা)-
সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়াতদানকারী।
২৫৫. هَدِيَّةُ اللهِ (হাদিয়্যাতুল্লাহ)- মহান আল্লাহ
পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত হাদিয়া মুবারক, তোহফা মুবারক।
২৫৬. اَلْوَاجِدُ (আল ওয়াজিদ)-
যা চান তাই পান এমন সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক।
২৫৭. اَلْوَاسِعُ (আল ওয়াসি’)-
সীমাহীন ইলম মুবারক উনার অধিকারী, মহাদানশীল।
২৫৮. اَلْوَاعِظُ (আল ওয়া‘য়িয)-
সর্বশ্রেষ্ঠ ওয়ায়েজ, নছীহতকারী, উপদেশদাতা।
২৫৯. اَلْوَافِـىْ (আল ওয়াফী)-
পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণতাদানকারী,
২৬০. اَلْوَالِـىْ (আল ওয়ালী)-
সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণকারী, মালিক, অভিভাবক,
২৬১. اَلْوَجِيْهُ (আল ওয়াজীহ)-
মহাসম্মানিত, মহামর্যাবান, সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোত্তম,
২৬২. اَلْوَسِيْلَةُ (আল ওয়াসীলাহ)-
সর্বশ্রেষ্ঠ ওসীলা, সর্বশ্রেষ্ঠ
মাধ্যম,
২৬৩. اَلْوَهَّابُ (আল ওহ্হাব
আলাইহিস সালাম)- সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল,
সীমাহীন
দাতা। সুবহানাল্লাহ!
0 Comments:
Post a Comment