অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত আযিমুশশান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার কেন্দ্রস্থল পবিত্র রাজারবাগ শরীফ কতবেশী মকবুল তার কিঞ্চিত প্রমাণ
অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত আযিমুশশান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার কেন্দ্রস্থল পবিত্র রাজারবাগ শরীফ কতবেশী মকবুল তার কিঞ্চিত প্রমাণ
=================================================
অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত আযিমুশশান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহ্ফিল তথা  ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কেন্দ্রস্থল পবিত্র রাজারবাগ শরীফ  কতবেশী মকবুল তার কিঞ্চিত প্রমাণ
যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبّكُمْ وَشِفَاء لّمَا فِى الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لّلْمُؤْمِنِينَ قُلْ بِفَضْلِ الله وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ هُوَ خَيْرٌ مّمَّا يَجْمَعُوْنَ
অর্থ: “হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন মহাসম্মানিত নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের উচিত খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের আমলটি হবে তাদের সমস্ত নেক আমল অপেক্ষা সর্বোত্তম বা সর্বশ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)
যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক আদেশ অনুযায়ী উনাদের মুবারক নির্দেশে উনাদের মুবারক সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত হয়ে খুশি মুবারক প্রকাশের এ সুমহান মাহফিল তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল যমীনের বুকে অনন্তকালব্যাপী জারি করেন খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্ব ত্বরীকত, ছাহিবু সুলত্বানুন নাছীর, মুর্শিদে রাজারবাগ শরীফ, ইমামে আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনিই। সুবহানাল্লাহ!
ইমামে আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি জাহিরী বাতিনী রূহানী জিসমানী সর্ব মাধ্যমে সারা কায়িনাতে অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারি করেছেন। উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করে জ্বিন-ইনসানগণ জানতে পেরেছে যে, সম্মানিত সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম মাহে রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার সম্মানিত ১২ই শরীফই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে উনার আযীমুশ শান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং এক তারিখে আযীমুশ শান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার স্বর্ণালী যুগ থেকেই মুসলিম উম্মাহ আজ প্রায় ১৪০০ শত বৎসরের বেশী সময় যাবত এই মহান নিয়ামত সম্মানিত ১২ শরীফ উনাকে কেন্দ্র করে বিশেষ ঈদ তথা খুশি উদযাপন করেন। পবিত্র হারামাইন শরীফাঈন-এও এই উপলক্ষে ঈদ তথা খুশি বিশেষ জাঁকজমকের সাথেই উদযাপন করা হতো। সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অনুসারী গং সউদী রাজতন্ত্র চালু করার পর অনেক হারাম কুফরী বিদয়াত জারির পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহ উনাদের ঈমানী জজবা ও মুহব্বতের অন্যতম শেয়ার বা নিদর্শন সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবী আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করা বন্ধ করে দেয়। শুধু এতোটুকুই নয়,ওহাবীরা সারা দুনিয়া থেকে এই মহা সম্মানিত ঈদ বা খুশি উৎখাতের লক্ষ্যে উলামায়ে ‘সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীদের দ্বারা অনেক তাফসীর বির রায়, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা, ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের বক্তব্য কাট-ছাঁট করে বিভিন্ন চটি রেসালা, পত্র-পত্রিকায় প্রবন্ধ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। ইদানীং তারা ইন্টারনেটে ওয়েব সাইট খুলে, ব্লগ লিখে, বিভিন্ন হারাম টিভি চ্যানেল খুলে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবী উদযাপনের বিরুদ্ধে কুফরীমূলক বিষোদগার চালিয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
ইমামে আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনিই একমাত্র ব্যক্তিত্ব যিনি এসব খারিজী ওহাবী বদ মাযহাব বদ আক্বীদার লোকগুলোর দাঁতভাঙ্গা দালীলিক জবাব দিয়ে মহা সমারোহে জারি করেছেন অনন্তকালব্যাপী মহা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল। আর এই সম্মানিত অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত মাহফিল উনার মূল কেন্দ্রস্থল হচ্ছেন পবিত্র রাজারবাগ শরীফ। যে পবিত্র স্থান থেকে সারাবিশ্বে পবিত্র মাহফিল উনার নূর ছড়িয়ে পড়ছে, সেদিন অতি নিকটে যেদিন সারা কায়িনাতে সকল জ্বীন-ইনসান প্রতিটি ঘরে ঘরে মহা পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ মাহফিল অতি উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবেই পালন করবেন ইনশাআল্লাহ্।
মহাপবিত্র মহাসম্মানিত অনন্তকাল ব্যাপী জারিকৃত আযীমুশ শান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার কেন্দ্রস্থল পবিত্র রাজারবাগ শরীফ যে কতবেশী মহা সম্মানিত এবং মকবুল তার কিঞ্চিত প্রমান-নিদর্শন সংশ্লিষ্ট ২টি ঘটনা উল্লেখ করা হলো –
*** ২৯শে ছফর শরীফ ১৪৩৬ হিজরী বাদ আছর পবিত্র দরবার শরীফে হাজার হাজার লাখ লাখ জি¦ন ইনসান ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম একত্রিত হয়েছেন মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনাকে ইস্তিকবাল আহলান-সাহলান জানানোর জন্য। সকলেই মাগরিব ওয়াক্ত শুরু হওয়ার ঠিক ৩০ মিনিট পূর্ব থেকে উচ্চ স্বরে অতি মুহব্বতের সাথে তাকবীর দিচ্ছিলেন, আহলান-সাহলান জানাচ্ছিলেন, স্বাগতম জানাচ্ছিলেন। এ সুমহান সুন্দর মহিমান্বিত জান্নাতি পরিবেশে পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদে আমাদের পীরভাই ক্বারী আব্দুল বারী ভাই তিনি বরকতপূর্ণ রহমতপূর্ণ এক দৃশ্য অবলোকন করেন। তিনি দেখেন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান বারে ইলাহী আল্লাহ পাক, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা সকলেই পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদে তাশরীফ এনেছেন। সকলেই খুব খুশি প্রকাশ করছেন। মুবারক নূরে নূরান্বিত হয়ে গেছে সারা দরবার শরীফ। সুঘ্রানে সকলে মোহিত, জজবায় সকলে উচ্ছসিত।
বিশেষ করে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান বারে ইলাহী আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ মাহবূব লক্ষ্যস্থল ইমামে আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যে অত্যাধিক জওক শওকের সাথে আযীমুশ শান ভাবে ফালইয়াফরাহূ পালন করছেন, অনন্তকালব্যাপী মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ জারি করেছেন তা দেখে উনারা খুব খুব বেশী খুশি হচ্ছেন এবং অবারিত ধারায় অন্তহীন রহমত বর্ষন করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ্।
*** অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল চলাকালীন আমাদের এক পীরবোন (উম্মু জাসির আহমদ) তিনি একটি মুবারক স্বপ্ন দেখেন। তিনি দেখেন, আযীমুশ শান পবিত্র দরবার শরীফ উনার ছাদ মুবারকে অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত মহা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল হচ্ছে। অনেক পীরভাই মীলাদ শরীফ ও ছলাত-সালাম পাঠ করছেন, মহা সমারোহে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করছেন। পীরভাই গণ উচ্চ আওয়াজে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার খুশিতে তাকবীর দিতে দিতে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করলেন।
পীরভাই গণের মিছিল সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, মিছিলের সম্মুখে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাঁটছেন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান বারে ইলাহী আল্লাহ পাক তিনি ইমামে আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে অতি আদরে কোলে নিয়ে হাঁটছেন। মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যে আযীমুশ শান ভাবে ফালইয়াফরাহূ পালন করে অনন্তকালব্যাপী মহা সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ জারি করেছেন তা দেখে উনারা উনাকে খুব আদর ও মুহব্বত করছেন। মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনাদের আদর মুহব্বতে সন্তুষ্ট হয়ে হাসছেন। সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত দুটি মুবারক ঘটনার দ্বারা প্রমানিত হয়, ইমামে আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কতবেশী মকবুল, উনার মহা সম্মানিত পবিত্র দরবার শরীফ কতবেশী মকবুল এবং উনার অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত মহা পবিত্র ও মহা সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল কতবেশী মকবুল।
যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ্, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আমাদের সকলকে পবিত্র রাজারবাগ শরীফ এসে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিলে হাজির হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা মুলত সম্মানিত সুন্নাহ শরীফ উনারই অনুসরন।
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা মুলত সম্মানিত সুন্নাহ শরীফ উনারই অনুসরন।
=================================================
অনেকে বলে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি পালন নাকি অমুসলিমদের অনুকরণ। নাউযুবিল্লাহ!!
মূলত যারা এ ধরনের আজগুবি কথা বলে, তারা নিজেরাই বিভ্রান্ত। কারন জম্মদিন উপলক্ষে কিছু করা যদি অমুসলিমদের রীতি হত তাহলে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কখনো জম্মদিন উপলক্ষে রোযা রাখতেন না। রোযা রাখার মাধ্যম দিয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দেখিয়ে দিলেন এটি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মূল বিষয়ের সাথে সাংঘর্ষিক না এবং এটি শরীয়ত উনার অন্তর্ভূক্ত বিষয়, যা জায়েজ।
এই ধরনের মূল বিষয়গুলো সাংঘর্ষিক তখন হয় যখন পদ্ধতি বা নিয়মনীতি কাফেরদের সাথে মিলে যায়। পদ্ধতি যদি শরীয়ত সম্মত হয় তাহলে কখনোই তা শরীয়ত বিরুধী হয় না। যেমন, বিবাহ করা সব ধর্মেই আছে এখন ইহুদী খ্রিস্টানরা বিয়ে করে তাই বলে তো বিয়ে ইসলামে হারাম হয়ে যাবে না। বরং কোন রীতিতে করা হবে তার উপর ফায়সালা।

কেউ বলতে পারে, কোন হারাম কাজ অনুসরণ করে এই দিবস পালন করা ঠিক নয়। তাই বলে পুরোটা হারাম বলে কিভাবে ? কারণ ঐ মাহফিলে তো অনেকে কুরআন তিলওয়াত করে, দুরুদ সালাম পেশ করে, যা সওয়াবের কাজ। পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালা যেটা আদেশ করেছেন সেটা হারাম বলা স্পষ্ট কুফরী।
সকল মুসলিম ব্যবসায়ী ভাইদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ
সকল মুসলিম ব্যবসায়ী ভাইদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ
=================================================
সকল মুসলিম ব্যবসায়ী ভাইদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আসছে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে আপনারা আপনাদের পণ্যে বিশেষ ছাড় দিন। কাস্টমারকে আকৃষ্ট করুন।
আমি হলফ করে বলতে পারি, এ ধারায় যদি আপনারা ব্যবসা চালু করতে পারেন, তবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আপনাদের ব্যবসায় যত লাভ হয়, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আপনাদের ব্যবসায় যত লাভ হয়, তার থেকে অনেক অনেক বেশি লাভ হবে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষে ব্যবসা করলে। সুবহানাল্লাহ।
কেননা: ঈদুল ফিতর উনার আনন্দ হচ্ছে ফেতরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে,
ঈদুল আযহা উনার আনন্দ হচ্ছে পবিত্র কুরবানী বা ত্যাগের আনন্দকে কেন্দ্র করে,
কিন্তু ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার আনন্দ হচ্ছে স্বয়ং আমাদের নবীজি (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার আগমন মুবারককে কেন্দ্র করে।
সুতরাং নিঃসন্দেহে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার খুশি-আনন্দ সব কিছুকে অতিক্রম করবে।
পরিশেষে বলতে হয়, আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وما ارسلناك الا رحمة للعالمين
অর্থ: “আমি আপনাকে সারা আলম-এর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” ( পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৭)
তাই মূল রহমত উনার আগমন মুবারককে কেন্দ্র করে যা কিছুই করবেন, তাতে আপনার ব্যাবসায়ীক সাফল্য অসংখ্য গুন বেশি হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।
মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক মুসলিম ব্যবাসায়ী ভাইকে সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ তথা  ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  উপলক্ষে বিশেষ ব্যবসায়ীক কার্যক্রম গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
বর্তমান সঙ্কট থেকে মুসলিম জাতির পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারক এ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা।
বর্তমান সঙ্কট থেকে মুসলিম জাতির পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারক এ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা।
=================================================
বর্তমান  সঙ্কট থেকে সারা বিশ্বের মুসলিম জাতির পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে সারা পৃথিবব্যিাপী হাক্বীক্বীভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে উনার সুমহান শান মুবারকে সর্বেশ্রেষ্ট খুশি মুবারক প্রকাশ করা অর্থাৎ ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা।
সারা বিশ্বে আজ মুসলমানরা নির্যাতিত ও পর্যুদস্ত, এর কারণ-মুসলমানরা রহমত থেকে দূরে সরে গেছে।  মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক  করেন,
وما ارسلناك الا رحمة للعالمين
অর্থ: “আমি আপনাকে সারা আলম-এর জন্য রহমতস্বরূপ (নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রেরণ করেছি।” (পবিত্র সূরা আল আম্বিয়া শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৭)
আমরা বর্তমান জামানার উম্মতরা নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সেই রহমতকে গ্রহণ করতে পারিনি। অথচ ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যাবে, পূর্ববর্তী মুসলমানরা সেই রহমত গ্রহণ করার কারণেই সফলতা অর্জন করেছিলো।
আপনারা সবাই নিশ্চয়ই হযরত সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র নাম জানেন। তিনি একাই সকল খ্রিস্টান ক্রসেডারদের নাকানি-চুবানি দিয়েছিলেন। মহান আল্লাহ তায়ালা’র পক্ষ থেকে অবশ্যই হযরত সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র উপর বিশেষ রহমত এসেছিলো। কিন্তু ইতিহাস বলে, সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র সেই রহমতের উৎস হচ্ছে: তিনি পুরো মুসলিম সালতানাতে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যাপকভাবে চালু করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ।
এবং ঐ সাইয়্যিদুল আইয়াদ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার কারণে উনার প্রতি নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাস রহমত মুবারক তথা গায়েবী মদদ নাজিল হতো। সুবহানাল্লাহ।
শুূধূ তাই না পূর্ববর্তী জামানাই ও মুসলমানরা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার মাধ্যমে  নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও উনাদের সাফল্য অর্জন করতেন।
যেমন হাফিজুল হাদীছ আবুল ফয়েয হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন,
لَازَالَ اَهْلُ الْـحَرَمَيْنِ الشَّرِيْفَيْنِ وَالْـمِصْرِ وَالْيَمَنِ وَالشَّامِ وَسَائِرِ بِلَادِ الْعَرَبِ مِنَ الْـمَشْرِقِ وَالْـمَغْرِبِ يَـحْتَفِلُوْنَ بِـمَجْلِسِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْرَحُوْنَ بِقُدُوْمِ هِلَالِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ وَيَغْتَسِلُوْنَ وَيَلْبَسُوْنَ الثّيَابَ الْفَاخِرَةَ وَيَتَزَيّـِنُوْنَ بِاَنْوَاعِ الزّيْنَةِ وَيَتَطَيّـِبُوْنَ وَيَكْتَحِلُوْنَ وَيَأْتُوْنَ بِالسُّرُوْرِ فِىْ هٰذِهِ الْاَيَّامِ وَيَبْذُلُوْنَ عَلَى النَّاسِ بِـمَا كَانَ عِنْدَهُمْ مِنَ الْـمَضْرُوْبِ وَالْاَجْنَاسِ وَيَهْتَمُّوْنَ اِهْتِمَامًا بَلِيْغًا عَلَى السّمَاعِ وَالْقِرَاءَةِ لِـمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَنَالُوْنَ بِذَالِكَ اَجْرًا جَزِيْلًا وَفَوْزًا عَظِيْمًا.
অর্থ : “হারামাইন শরীফাইন, মিশর, ইয়ামেন, সিরিয়া এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আরবের সকল শহর ও নগরের অধিবাসীদের মধ্যে অব্যাহতভাবে এ নিয়ম চলে আসছে যে, তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করেছেন। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার নতুন চাঁদের আগমনে আনন্দিত হন, গোসল করেন, দামী পোশাক পরিধান করেন, নানা প্রকার সাজ-সজ্জা করেন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন, সুরমা লাগান, এই দিনগুলোতে আনন্দ উৎসব করেন, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ ও শ্রবণের ব্যবস্থা করে অধিক ছাওয়াব এবং বিরাট সাফল্য অর্জন করেন। উনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে যে নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও উনাদের সাফল্য অর্জন করেছেন তা প্রকাশ করতেন।” (তাফসীরে রূহুল বয়ান লি শেখ ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি- ৯ম খ-, পৃষ্ঠা ৫৬; মীলাদুল উরুস- উর্দু “বয়ান-ই-মিলাদুন নবী”, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫, লাহোর; দুররুল মুনাজ্জাম, পৃষ্ঠা ১০০-১০১; মীলাদুন নবী, পৃষ্ঠা ৫৮)
বর্তমানে সাইয়িদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ (আগমন) উনার সম্মানার্থে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা খুশি মুবারক প্রকাশের বিরোধীতার মূল হচ্ছে সউদী ওহাবীরা। যারা বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে রহমতপ্রাপ্তির এ দিনটি বন্ধ করতে চাইছে। কিন্তু এটা তো সত্যি যে, সউদীদের সৃষ্টিকর্তা হচ্ছে ব্রিটিশ খ্রিস্টানা। আর ব্রিটিশদের পূর্ব পুরুষ সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র সাথে ক্রুসেড যুদ্ধে নাস্তানাবুদ হয়েছিলো, তখন তারা গবেষণা করে দেখে মুসলমানদের নৈতিক শক্তির রহস্যগুলো কি । পরবর্তীকালে সেই নৈতিক শক্তির মূলতত্ত্বগুলোই এ সউদীদের মাধ্যমে ভেঙ্গে দেয় ব্রিটিশরা।
সুতরাং মুসলমানদের সেই সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে হলে পুনরায় রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে তাদেরকে। সবাইকে মন-প্রাণ উজার করে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করতে হবে,পালন করতে হবে। তবেই বর্তমান সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পাবে মুসলমানরা।
প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও তাদের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও তাদের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
=================================================
প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও তাদের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আপনারা, প্রত্যেক রাজনৈতিক দল দলীয় বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে প্রোগ্রাম করে থাকেন, যেমন:
– কেউ ১৭ই মার্চ পালন করেন,
– কেউ ১৫ই আগস্ট পালন করেন,
– কেউ ১৮ই অক্টোবর পালন করেন,
– কেউ ১৯শে জানুয়ারি পালনে করেন,
– কেউ বা ২০শে নভেম্বর পালন করেন।
তবে আপনারা প্রত্যেক দলই, তাদের দলীয় দিবস ছাড়াও ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, কিংবা বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেন, ব্যানার ফেস্টুন ছাপিয়ে থাকেন।
তবে আমি বলবো, এসব দিবসকে কেন্দ্র করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানালে আপনারা রাজনৈতিক দলগুলো যতটুকু ফায়দা পাবেন, তার থেকে অনেক অনেক বেশি ফায়দা পাবেন পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানালে। কেননা, যেহেতু এ দিবসটি স্বয়ং আমাদের প্রত্যেকের প্রাণপ্রিয় নবীজি হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত, আর উনার পবিত্র নাম মুবারক শুনলেই প্রত্যেক মুসলমানদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। সেক্ষেত্রে এ দিবসটির শুভেচ্ছা মানুষের অন্তরকে আরো অধিক অধিক পরিমানে নাড়া দিবে।
বিশেষ করে, আওয়ামীলীগের অংগসংগঠনগুলোর মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  জাতীয়ভাবে উদযাপন শুরু করেছিলেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুই। তাই আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন গুলোর উচিত এ দিবসটিকে অতিগুরুত্বের সাথে পালন করা। তারা যদি নতুন করে বিষয়টি গুরুত্ব্যের সাথে পালন শুরু করে, সেক্ষেত্রে বিশেষ চমক সৃষ্টি হবে এবং মুসলমানদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
আওয়ামীলীগ যদি, এ ধর্মীয় দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করে, তবে বিএনপি’র বসে থাকলে চলবে না, বিএনপিকে আরো গতিশীলতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ বিএনপিকে অনেকেই অধিক ধর্মীয় সম্পৃক্ত দল হিসেবে মনে করে। বিশেষ করে, ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের মাধ্যমে মুসলিম জাতীয়তাবাদের বিকাশ দ্রুত ঘটবে এটা নিশ্চিত, তাই জাতীয়বাদে বিশ্বাসী বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোকে এক্ষেত্রে আরো বেশী অগ্রগামী হতে হবে।
পরিশেষে বলতে হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
অর্থ:  “আমি আপনাকে (নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি” (পবিত্র সূরা আল আম্বিয়া শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৭)
অতএব এ রহমত উনার ভাণ্ডার লাভ করার জন্য, বিপদ-আপদ থেকে হিফাজত থাকার জন্য, দুনিয়া-আখিরাতে সমৃদ্ধি লাভ করার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই এ দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে।
তাই প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের উচিত হবে, ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে
-দেশজুড়ে মিলাদ মাহফিল উনার ব্যবস্থা করা,
-গরীব-মিসকিনদের ভালো খাদ্য খাওয়ানো
-সমগ্র দেশবাসীকে ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ড করে শুভেচ্ছা জানানো,
-দেশবাসীর সাথে আনন্দ খুশির জন্য দেখা-সাক্ষাৎ করা।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রত্যেককে অতি অতি শান-শওকতের সাথে পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
বেহেশতী জেওর কিতাবে দেওবন্দী থানবী প্রতি সপ্তাহে মীলাদ মাফফিল করতে বলেছে
বেহেশতী জেওর কিতাবে দেওবন্দী থানবী প্রতি সপ্তাহে মীলাদ মাফফিল করতে বলেছে
=================================================
আজকে আপনাদের মীলাদ শরীফের এমন এক দলীল দেখাবো যে অনেকে হয়তো অবাকই হয়ে যাবেন। বিশেষ করে দেওবন্দী কওমী গ্রুপের লোক যারা তারা এই দলীল দেখার পরও মীলাদ শরীফের বিরোধীতা কিভাবে করে সেটাও দেখার মত একটা বিষয় হবে।
তো আসুন দেখা যাক দেওবন্দীদের অন্যতম মুরুব্বী আশরাফ আলী থানবীর বেহেশতী জেওর এর ৬ষ্ঠ খন্ডের “সীরাতে পাক” অধ্যায় থেকে বিষয়টা তুলে ধরা যাক:
“রসূলের জীবনী আলোচনার মজলিসকে কেহ সীরাতে পাকের মজলিস বলে।কেহ মওলুদ শরীফ বয়ানের মাহফিল বলে, কেহ মাহফিলে মীলাদ বলে। আসল উদ্দেশ্য একই ভাষা ভিন্ন। ইহা অত্যান্ত জরুরী। মুসলমানদের ঘরে ঘরে এবং দোকানে দোকানে শুধু বৎসরে এক আধবার নয়, শুধু রবীউল আউয়ালের চাঁদে নয়, মাসে মাসে , সপ্তাহে সপ্তাহে এই পবিত্র মাহফিলে মীলাদের অনুষ্ঠান হওয়া বাঞ্ছনিয়।
কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় সমাজে অজ্ঞতা এবং মূর্খতা ক্রমশঃ বাড়িয়া চলিয়াছে। মাহফিলে মীলাদ সমন্ধে বড় বাড়াবাড়ি এবং ঝগড়া বির্তক হইতেছে। ঝগড়া ফ্যাসাদের বির্তকের বাড়াবাড়ি ত্যাগ পূর্বক এই পবিত্র মাহফিলের অনুষ্ঠার সর্বত্র হওয়া দরকার। ………………………………………. সীরাতে পাকের মজলিস বা মাহফিলে মীলাদ নাম দিয়া অনুষ্ঠান করিলে তাহা বিদয়াত হইবে- কখনো নহে।”
[দলীলঃ বেহেশতী জেওর। লেখক- আশরাফ আলী থানবী। অনুবাদক- আশরাফ আলী থানবীর খলীফা শামসুল হক ফরীদপুরী। ভলিউম -২, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা ২২২, অধ্যায়- সীরাতে পাক। প্রকাশনা- এমদাদীয়া লাইব্রেরী ( দেওবন্দী কওমীদের) ]
বেহেশতী জেওরের প্রথম পৃষ্ঠা
11
বেহেশতী জেওরের প্রকাশনা তথ্য
22
৬ষ্ঠ খন্ডের সীরাত পাক অধ্যায়
33
মীলাদ শরীফ সংশ্লিষ্ট আলোচনা
44
উক্ত বিষয়ের সাথে সুন্নীরাও একমত। অথচ বর্তমান দেওবন্দী কওমীরা তাদের মুরুব্বীর আর্দশ থেকে কতটা বিচ্যুত হয়ে পরেছে। মাহফিলে মীলাদকে থানবী ও ফরিদপুরী অত্যান্ত জরুরী বলে উল্লেখ করেছে, অথচ কওমী দেওবন্দীরা এটা বিদয়াত শিরিক বলে। মীলাদ মাহফিল প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে করা আবশ্যক বলে মুরুব্বীরা ঘোষনা দিয়ে গেছে অথচ বর্তমান কওমীরা মীলদের নামই শুনতে পারে না। শুধু তাই নয় থানবী ও ফরিদপুরী এটাও বলে গেছে , অজ্ঞতা এবং মূর্খতা বশত কিছু লোক মীলাদ শরীফ নিয়ে ঝগড়া বির্তক সৃষ্টি করছে, অর্থাৎ বর্তমান কওমী ওহাবীরা । থানবী ও ফরিদপুরী এই ঝগড়া বির্তক ত্যাগ করে পবিত্র মীলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠার সর্বত্র জারি করা দরকার বলেও রায় দিয়ে গেছে।
এখন বলুন এমন স্পষ্ট দলীল থাকার পরও কি করে মীলাদ শরীফের বিরোধীতা করে দেওবন্দী কওমীরা?
যাদের অন্তরে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত আছে তাদের পক্ষেই শুধুমাত্র পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন তথা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে সর্বশ্রেষ্ঠ খুশি মুবারক প্রকাশ করা সম্ভব
যাদের অন্তরে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত আছে তাদের পক্ষেই শুধুমাত্র পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন তথা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে সর্বশ্রেষ্ঠ খুশি মুবারক প্রকাশ করা সম্ভব
=================================================
যাদের অন্তরে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত আছে তাদের পক্ষেই শুধুমাত্র পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন তথা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে সর্বশ্রেষ্ঠ খুশি মুবারক প্রকাশ করা সম্ভব
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
النَّبِيُّ أَوْلَىٰ بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ
অর্থ: হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের জীবন অপেক্ষা অধিক নিকটবর্তী (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ ‍মুবারক করেন,
مَا كَانَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ وَمَنْ حَوْلَهُم مِّنَ الْأَعْرَابِ أَن يَتَخَلَّفُوا عَن رَّسُولِ اللَّهِ وَلَا يَرْغَبُوا بِأَنفُسِهِمْ عَن نَّفْسِهِ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ لَا يُصِيبُهُمْ ظَمَأٌ
অর্থ: “মদীনাবাসী ও পাশ্ববর্তী পল্লীবাসীদের উচিত নয় রসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রসূলের প্রাণ থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১২০)
হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে-
لا يؤمن احدكم حتي اكون احب اليه من والده ووالده والناس اجمعين وفي رواية من ماله و نفسه
অর্থ : তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার পিতা-মাতা, সন্তান সন্তুতি, এবং সমস্ত মানুষ অপেক্ষা আমাকে বেশি মুহব্বত না করবে। অন্য বর্নায় এসেছে, তার ধন সম্পদ এবং জীবনের চাইতে বেশি মুহব্বত না করবে।” (দলীল- বুখারী শরীফ ১/৭-কিতাবুল ঈমান- হাদীস নম্বর ১৪ এবং ১৫)
হাদীস শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ: ” لَا يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ
অর্থ: ‘‘নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, কোন মানুষ মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষন পর্যন্ত নিজের পরিবার, মাল সম্পদ, সমস্ত মানুষ থেকে আমাকে বেশি মুহব্বত না করবে।’’ (আবু ইয়ালা ৩৮৪২)
হাদীস শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত হয়েছে,
عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى , قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” لا يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ نَفْسِهِ , وَتَكُونَ عِتْرَتِي أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ عِتْرَتِهِ , وَيَكُونَ أَهْلِي أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَهْلِهِ , وَتَكُونَ ذَاتِي أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ ذَاتِهِ ”
অর্থ: কোনো বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার নিজের জান থেকে আমাকে বেশি মুহব্বত করতে না পারবে এবং আমার সম্মানিত বংশধরগণ উনাদেরকে তার নিজের বংশধর থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আর আমার সম্মানিত আত্মীয়-স্বজন উনাদেরকে তার আত্মীয়-স্বজন থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আমার সম্মানিত জাত মুবারক উনাকে তার নিজের জাত থেকে বেশি মুহব্বত না করবে।” (মু’জামুল আওসাত লিত তাবারান ৫৯৪০, মুজামুল কবীর ৬৩০০, শুয়াইবুল ঈমান ১৪১৮)
যারা সত্যিকার অর্থে এমনভাবে মুহব্বত করতে পারবে তাদের পক্ষেই ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা সম্ভব। তাদের অন্তরেই নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশির আমেজ কাজ করেবে। তাদের পক্ষেই নিয়ামত হিসাবে হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে সে নিয়মতকে স্মরন করা ও সে উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
পবিত্র কালাম পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اذكروا نعمة الله عليكم
অর্থাৎ “তোমাদেরকে যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামতকে স্মরণ কর।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩)
এখন মুহব্বতের কষ্ঠিপাথর দ্বারা নিজের অবস্থান যাচাই করে নিন। বিন্দুমাত্র মুহব্বত থাকলে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে খুশি মুবারক প্রকাশের বিরুধীতা করা সম্ভব নয়।
জগৎ বিখ্যাত ইমাম মুস্তাহিদগন উনাদের তালিকা যিনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং কিতাব লিখেছেন।
জগৎ বিখ্যাত ইমাম মুস্তাহিদগন উনাদের তালিকা যিনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং কিতাব লিখেছেন।
=================================================
জগৎ বিখ্যাত ইমাম মুস্তাহিদগন উনাদের তালিকা যিনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং কিতাব লিখেছেন।
আমরা ইতিপূর্বে কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ উনার অকাট্য দলীল আদীল্লা এর মাধ্যমে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ, ঈদে আযম, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার হুকুম,ফযীলত, গুরুত্ব প্রমান করেছি!
আজকে আমরা দেখবো জগৎ বিখ্যাত ইমাম, মুস্তাহিদ, মুফাসসির, মুহাদ্দিস , ফকীহ, ইমাম উনাদের তালিকা, যিনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ব্যাপারে ফতোয়া দিয়েছেন, নিজেরা পালন করেছেন এবং সবাইকে করতে বলেছেন !!
অর্থাৎ এ মহান আমলটির ব্যাপারে সবাই ঐক্যমত্য স্থাপন করেছেন !
আর এই ইজমা বা ঐক্যমত্যের ব্যাপারে হাদীস শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে —
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَنْ تَـجْتَمِعَ اُمَّتِي عَلَى الضَّلَالَةِ اَبَدًا.
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (ক্বিয়ামত পর্যন্ত) কখেনোই আমার উম্মত গুমরাহীর মধ্যে একমত হবেন না।” (আল্ মু’জামুল কবীর লিত্ ত্ববারানী শরীফ : ১১তম খ- : ৭৮ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ১৩৪৪৮; মুস্তাদরাক লিল হাকীম শরীফ : কিতাবুল ইলম : ১ম খ- : ১৯৯ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ৩৯১)
হাদীস শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে- ‘‘হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা বড় দলের অনুসরন করো । কারন যে জামাত ( আহলে সুন্নাহ) হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তাকে পৃথক ভাবে অগ্নীতে নিক্ষেপ করা হবে ।” (মিশকাত শরীফ- কিতাবুল ঈমান-বাবুল ই’তিসামবিলকিতাবওয়াসসুন্নাহ–হাদীস১৬৪)
উক্ত হাদীস শরীফ সমূহ থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ঐক্যমত্যের উপর আমাদের থাকতে হবে । বড় দল বা সকল ইমাম মুস্তাহিদগন যেদিকে রায় দিয়েছেন সে পথ থেকে কেউ সরে গেলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার উপর থাকতে পারবে না, সে জাহান্নামী হবে ।
এবার আসুন আমরা দেখি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনার যে সমস্ত ইমাম,মুস্তাহিদ,মুফাসসির,মুহাদ্দিস,ফকীহ,মুফতী মীলাদ শরীফ এবং ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং পালন করার তাগীদ করছেন উনাদের নাম মুবারকের তালীকা । এগুলা ছাড়াও আরো অসংখ্য নাম মুবারক রয়েছে ।
(১) ইমামুশ শরীয়াত ওয়াত ত্বরীকাত, ইমাম হাসান বসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২) আল ইমামুল আকবার,শাফেয়ী মাযহাব উনার ইমাম, ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩) বিখ্যাত ফক্বীহ, বিশিষ্ট ওলী হযরত মারুফ কারখী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪) ওলীয়ে কামেল হযরত সাররী সাক্বতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫) সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৬) তাজুল মানতেকীন, হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৭) সুলত্বনুল আরেফীন, হাফিজে হাদীস, জালালুদ্দিন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৮) হাফিজে হাদীস, ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৯) ইমাম শামসুদ্দিন মুহম্মদ ছাখাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১০) ইমামুল মুহাদ্দিসিন, মোল্লা আলী কারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১১) ইমামুল মুহাদ্দিসিন, শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১২) ইমামুল মুহাদ্দিসিন, শায়েখ ইবনে হাজর হায়ছামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১৩) হাফিজে হাদীস, ইমাম হযরত ইবনে জাওযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১৪) হাফিজে হাদীস,হযরত আল্লামা কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১৫) মুজাদ্দিদে জামান,সুলত্বনুল আওলীয়া, মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১৬) ইমাম, হযরত আলী ইবনে ইব্রাহীম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ( সিরাতে হলবীয়া)
(১৭) মুহাদ্দিস, আল্লামা জাযরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১৮) হাফিজে হাদীস, বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা মুহম্মদ ইবনে ইউসুফ আশশামী রহমতুল্লাহি আলাইহি
(১৯) হযরতুল আল্লামা,ইমাম, বারজানজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২০) হাফিজে হাদীস, আবু মুহম্মদ আব্দুর রহমান ইবনে ইসমাঈল রহমাতুল্লাহি আলাইহি [ ইমাম নববীর ওস্তাদ] (২১) ইমামমুল মুহাদ্দেসীন, মুজাদ্দিদে জামান শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২২) ইমামুল মুহাদ্দিসীন, শায়েখ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৩) শায়েখ আল্লামা তাহের জামাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৪) বিখ্যাত মুহাদ্দিস, হযরত তকি উদ্দিন সুবকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৫) মুহাদ্দিস, ইমামুল আল্লামা, নাসিরুদ্দিন মোবারক ইবনে বাতাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৬) শায়খুল ইমাম, জামাল উদ্দীন আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল মালেক রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৭) ইমামুল আল্লামা, জহীর উদ্দিন ইবনে জাফর রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৮) শায়েখ, হযরত নাসিরুদ্দিন তায়লাসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৯) শায়খুল ইমাম, আল্লামা সদরুদ্দীন মাওহূব ইবনে উমর রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩০) হযরত আল্লামা শায়েখ জামাল উদ্দীন ওরফে মির্জা হাসান মুহাদ্দিস লক্ষৌভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩১) শায়েখ, মুফতী মুহম্মদ সাআদুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩২) শায়খুল ইসলাম, হাফিজে হাদীস, হযরত আব্দুল ফজল আহমদ ইবনে আলী ইবনে হাজর রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৩) উমদাতুল মুফাসসিরিন হযরত শাহ আব্দুল গনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৪) হাফিজে হাদীস, হযরত জুরকানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৫) পবিত্র মক্কা শরীফ এর হানাফী মুফতি শায়েখ জামাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৬) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার হানাফী মুফতী শায়েখ আব্দুর রহমান সিরাজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৭) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মালেকী মাযহাবের মুফতী হযরত রহমাতুল্লাহ
(৩৮) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার শাফেয়ী মাযহাবের মুফতি মুহম্মদ সাঈদ ইবনে মুহম্মদ আবসীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৯) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার হাম্বলী মাযহাবের মুফতি খালফ ইবনে ইব্রাহিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪০) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মালেকী মাযহাবের মুফতি আল্লামা আবু বকর হাজী বাসাউনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪১) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার হাম্বলী মাযহাবের মুফতী শায়েখ মুহম্মদ ইবনে হামীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪২) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার হাম্বলী মাযহাবের মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইয়াহইয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৩) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মালেকী মাযহাবের মুফতী হযরত মাওলানা হুসাইন ইবনে ইব্রাহীম রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৪) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার শাফেয়ী মাযহাবের ফতোয়া বোর্ডের সভাপতি শায়েখ মুহম্মদ উমর ইবনে আবু বকর রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৫) শায়েখ উছমান হাসান দিমইয়াতী শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৭) মদীনা শরীফ উনার হানাফী মুফতি মুহম্মদ আমীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৮) মদীনা শরীফ উনার শাফেয়ী মুফতি, শায়েখ জাফর হুসাইন রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৯) মদীনা শরীফ উনার হাম্বলী মুফতি আব্দুল জব্বার রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫০) মদীনা শরীফ উনার মালেকী মাযহাবের মুফতি মুহম্মদ শরকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫১) হাফিজে হাদীস, শামসুদ্দীন ইবনে নাসিরুদ্দিন দামেস্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫২) ইমামুল মুফাসসিরিন,শায়েখ ইসমাঈল হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৩) পীরে কামেল, মুজাদ্দিদে জামান, আবু বকর সিদ্দিক ফুরফুরাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৪) মুফতীয়ে আযম,হাফিযে হাদীস রুহুল আমীন বশিরহাটি রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৫) হাদীয়ে বাঙ্গাল, কারামাত আলী জৌনপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৬) মুফতিয়ে আযম, আমীমুল ইহসান মুজাদ্দেদী বরকতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৭) শায়েখ হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৮) শায়েখ, হাফিয আবুল খাত্তাব ইবনে দাহিয়্যা রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৯) হাফিযে হাদীস, শায়েখ ইবনে হাজর মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৬০) শায়েখ আল্লামা আবুল ক্বাসিম মুহম্মদ বিন উছমান রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৬১) শায়েখ মাওলানা সালামাতুল্লাহ ছিদ্দীক কানপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৬২) হযরত বেশরাতুল্লাহ মেদেনীপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৬৩) শায়েখ হাফিজ , আব্দুল হক এলাহাবাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
দলীল–
√সবহুল হুদা ফি মাওলিদিল মুস্তফা !√আল হাবীলিল ফতোয়া !
√মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া !
√ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল !
√মাসাবাতা বিস সুন্নাহ !
√কিতাবুত তানউয়ীর ফি মাওলুদুল বাশির ওয়ান নাজির !
√আন নি’মাতুলকুবরা
√মাওলুদুল কবীর
√ইশবাউল কালাম !
√খাসায়েছুল কুবরা
√মাকতুবাত শরীফ
√দুররুল মুনাজ্জাম
√হাক্বীকতে মুহম্মদি মীলাদে আহমদী !
√মজমুয়ায়ে ফতোয়া
√তাফসীরে রুহুল বয়ান
√জামিউল ফতোয়া
√ফতোয়ায়ে বরকতী
√সীরাতে শামী
√সীরাতে নববী
√যুরকানী আলাল মাওয়াহেব
√সুবহুল হুদা ওয়ার রাশাদ
√মিয়াতে মাসাঈল
√আশ শিফা
√আল মুলাখখ্যাছ
√জাওয়াহিরুল মুনাজ্জাম
√আল ইনসানুল উয়ুন !
√আস সুলুকুল মুনাজ্জাম
√নুজহাতুল মাজালিস
√আল ইনতেবাহে সালাসিল আওলিয়া !
√হাফতে মাসায়িল
√কিয়ামুল মিল্লাহ
√সীরাতে হালবীয়া
√মাজমায়ুল বিহার
√মাওয়ারেদে রাবী ফী মাওলিদিন নবী
√ফুয়ুযুল হারামাঈন
√আরফুত তারীফ ফী মাওলিদিশ শরীফ
√আল ইহতিফাল বিযিকরী মাওলুদুন নাবীয়িশ শরীফ
√সিরাজুম মুনীরা
√শামায়েলে এমদাদীয়া
এছাড়াও আরো হাজার হাজার ইমাম,মুস্তাহিদ,মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকীহ আছেন যিনারা নিজেরাই  ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন  করেছেন এবং পালন করতে উৎসাহিত করেছেন!
এবং পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার হুকুম সম্পর্কে দলীল আদিল্লা দিয়ে কিতাব রচনা করেছেন !
অথচ এর বিপরীতে একজন আলেম,ওলামা উনাদের কোন বক্তব্য, লিখনী, ফতোয়া কেউ দেখাতে পারবে না !
শুধু তাই না, এই বিষয়ে ইজমা সম্পর্কে বর্নিত আছে –
ﻗﺪﺍﺟﻤﻌﺖﺍﻻﻣﺖﺍﻣﺤﻤﺪﻳﺔﻣﻦ
ﺍﻻﻫﻞﺍﻟﺴﻨﺔﻭﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔﻋﻠﻲﺍﺳﺘﺤﺴﺎﻥ
ﺍﻟﻘﻴﺎﻡﺍﻟﻤﺬﻛﻮﺭﻭﻗﺎﻝﻋﻠﻴﻪﺍﻟﺴﻼﻡﻻ
ﺗﺠﺘﻤﻊﺍﻣﺘﻲﻋﻠﻲﺍﻟﻀﻼﻟﺔ
অর্থ: উম্মতে মুহম্মদি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আহলে সুন্নাত ওয়াল জাময়াতের সকল আলেমগন মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ মুস্তহসান হওয়ার ব্যাপারে ইজমা বা ঐক্যমত পোষন করেন। আর হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,আমার উম্মত (আলেম গন) কখনোই গোমরাহীর উপর একমত হবে না ।” (ইশবাউল কালাম:৫৪ পৃষ্ঠা)
সূতরাং এতজন ইমাম, মুস্তাহিদ, মুহাদ্দিস , মুফাসসির, ফকীহ উনাদের বিরোধীতা করে উনাদের ঐক্যমত্যের বিরুদ্ধে কথা বলবে,বা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করবে তারা আর যাইহোক মুসলমান হতে পারে না ! তারা উপরে বর্নিত হাদীস শরীফের রায় অনুযায়ী জাহান্নামী হবে !
সেটা আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন —
وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَىٰ وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ
অর্থ: ‘‘যে কারো নিকট হিদায়েত বিকশিত হওয়ার পর রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধাচরণ করবে, আর মু’মিনদের পথ ছেড়ে ভিন্ন পথে চলবে, আমি তাকে সে দিকেই ফিরাবো যেদিকে সে ফিরেছে, এবং তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবো ” ( পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আলাত শরীফ ১১৫)
সুতরাং যারা নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে খুশি মুবারক প্রকাশ করার বিরোধিতা করবে এবং এ ব্যাপারে মু’মিনগণ উনাদের ঐক্যমত অস্বীকার করে ভিন্ন পথ অনুসরণ করবে তার গন্তব্য নিশ্চিত জাহান্নাম!!
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করলে নিশ্চিত জান্নাতী হবে
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করলে নিশ্চিত জান্নাতী হবে
=================================================
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে আযম,ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক মহান আমল, এমন এক ঈদ, যদি কোন মানুষ এই ঈদ পালন করে তাহলে অবশ্যই সে প্রতিদান পাবেই পাবে !!
মানুষের সমগ্র জীবনের অনেক আমল থাকে, সে আমল আল্লাহ পাক উনার দরবারে কবুল হতেও আবার নাও হতে পারে ! কিন্তু কেউ যদি পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে, খুশি প্রকাশ করে এটা নিশ্চিত তার এই আমল কবুল হবেই হবে !! এ আমল কখনোই বৃথা যাবে না !
আজকে আলোচনায় আমরা এ প্রসঙ্গে সুক্ষ কিছু আলোচনা করবো ! সবাই একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন !!!!
আমরা সবাই আবু লাহাবের কথা জানি। আবু লাহাব হচ্ছে কাট্টা কাফির ! হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুওয়াত মুবারক প্রকাশ করার পর থেকে সে লাগাতার বিরোধিতায় লিপ্ত ছিলো ! শুধু তাই নয় এই কাফির আবু লাহাব স্ব পরিবারে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চরম বিরোধিতা করতো !!
আল্লাহ পাক এই আবু লাহাব এবং তার স্ত্রীর ধ্বংস ঘোষনা করে সূরা লাহাব নামে একটি সূরা নাজিল করে দিলেন ! এছাড়া সূরা বাকারা শরীফ উনার প্রথম দিককার কিছু আয়াত শরীফও আবু লাহাবের ব্যাপারে নাজিল হয় !
তো হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বিলাদত শরীফ লাভ করেন তখন এই আবু লাহাব নিজের ভাই হযরত সাইয়্যিদুনা আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পুত্র উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে । এ খুশি প্রকাশ কিন্তু সে নবী হিসাবে করে নাই, এ খুশি করেছিলো সে নিজের ভাইয়ের পুত্র উনার আগমন উপলক্ষে !!
আর এই খুশি প্রকাশ করাটাই তার জন্য একটি বিশেষ সুসংবাদের বিষয় হিসাবে প্রমানিত হয়েছে !!
আসুন এবার আমরা সহীহ হাদীস শরীফ থেকে দেখি কি ঘটনা ঘটেছিলো —
قَالَ حَضَرَتْ عُرْوَةُ رَضِىَ الله تَعَالى عَنْهُ وَ حضرت ثُوَيْبَةُ عَلَيْهَا السَلاَمُ مَوْلاَة لاَبِى لَهَب كَانَ اَبُو لَهَب اَعْتَقَهَا فَاَرْضَعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا مَاتَ اَبُو لَهَب اُرِيَهُ بَعْضُ اَهْلِه بِشَرّ حِيبَةٍ قَالَ لَه مَاذَا لَقِيتَ قَالَ اَبُو لَهَبٍ لَمْ اَلْقَ بَعْدَكُمْ غَيْرَ اَنّى سُقِيتُ فِى هَذِه بِعَتَاقَتِى حَضَرَتْ ثُوَيْبَةَ عَلَيْهَا السَلاَمُ
অর্থ : হযরত উরওয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বর্ননা করেন, হযরত সুয়াইবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি ছিলেন আবু লাহাবের বাঁদী এবং আবু লাহাব হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি হয়ে উনার খিদমত মুবারক করার জন্য হযরত সুয়াইবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা কে আযাদ করে দিয়েছিলো ! এরপর আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তিনি দুধ পান করান। অতঃপর আবু লাহাব যখন মারা গেলো (কিছুদিন পর) তার পরিবারের একজন অর্থাৎ তার ভাই হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, আবু লাহাব সে ভিষন কষ্টের মধ্যে নিপতিত আছে! তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সাথে কিরূপ ব্যবহার করা হয়েছে ? আবু লাহাব উত্তরে বললো, যখন থেকে আপনাদের থেকে দূরে রয়েছি তখন থেকেই ভীষন কষ্টে আছি ! তবে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বাঁদী সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে দু’আঙ্গুলের ইশারায় আযাদ/মুক্তি দেয়ার কারনে সেই দু’আঙ্গুল হতে সুমিষ্ট ঠান্ডা ও সুশীতল পানি পান করতে পারছি !”
(সহীহ বুখারী শরীফ –কিতাবুননিকাহ- ২য় খন্ড ৭৬৪পৃষ্ঠা, উমদাতুল ক্বারী লি শরহে বুখারী ২০ খন্ড ৯৩ পৃষ্ঠা)
বিখ্যাত মুহাদ্দিস, বুখারী শরীফের বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার, হাফিজে হাদীস, হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং বিখ্যাত মুহাদ্দিস, হাফিজে হাদীস, হযরত বদরুদ্দীন আইনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা উনাদের বুখারী শরীফের শরাহ ‘‘ফতহুল বারী শরহে বুখারী এর ৯ম খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা এবং উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী এর ২০ তম খন্ডের ৯৫ পৃষ্ঠায়’’ উল্লেখ করেছেন-
وذكر السهيلى ان العباس قال لما مات ابو لهب رايته فى منامى بعد حول فى شر حال فقال ما لقيت بعد كم راحة الا ان العذاب يخفف عنى فى كل يوم اثنين وذلك ان النبى صلى الله عليه وسلم ولد يوم الاثنين وكانت ثويبة بشرت ابا لهب بمولده فاعتقها.
অর্থ: হযরত ইমাম সুহাইলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখ করেন যে, হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন, আবু লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর তাকে স্বপ্নে দেখি যে, সে অত্যন্ত দুরবস্থায় রয়েছে ! সে বললো, (হে ভাই হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর আমি কোন শান্তির মুখ দেখি নাই।
তবে হ্যাঁ, প্রতি সোমবার শরীফ যখন আগমন করে তখন আমার থেকে সমস্ত আযাব লাঘব করা হয়, আমি শান্তিতে থাকি। হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন,আবু লাহাবের এ আযাব লাঘব হয়ে শান্তিতে থাকার কারন হচ্ছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ এর দিন ছিলো সোমবার শরীফ ! সেই সোমবার শরীফ এ হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের সুসংবাদ নিয়ে আবু লাহাবের বাঁদী সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা তিনি আবু লাহাবকে জানালেন তখন আবু লাহাব বিলাদত শরীফের খুশির সংবাদ শুনে খুশি হয়ে হযরত সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে তাৎক্ষনাৎ আযাদ করে দেয় !”
(ফতহুল বারী শরহে বুখারী ৯ম খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা, উমদাতুল ক্বারী লি শরহে বুখারী ২০ খন্ড ৯৫ পৃষ্ঠা, মাওয়াহেবুল লাদুননিয়াহ ১ম খন্ড , শরহুয যারকানী ১ম খন্ড ২৬০ পৃষ্ঠা)
বিখ্যাত মুহাদ্দিস, হাফিজে হাদীস আল্লামা হযরত ইবনু কাছীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে লিখেন–
قال للعباس انه ليخفف على فى مثل يوم الاثنين قالوا لانه لما بشرته ثويبة بميلاد ابن اخيه محمد بن عبد الله اعتقها من ساعته فجوزى بذلك لذلك
অর্থ : আবু লাহাব হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে বললো, ( হে ভাই) অবশ্যই এ কঠিন আযাব সোমবার শরীফ এর দিন লাঘব করা হয়, আল্লামা হযরত সুহাইলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও অন্যান্যরা বলেন, হযরত সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা তিনি আবু লাহাবকে তার ভাতিজা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নূরী আওলাদ,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ এর সুসংবাদ দেন তৎক্ষনাৎ সে খুশিতে উনাকে মুক্ত করে দেয় ! এই কারনেই আযাব লাঘব হয়ে থাকে !” ( আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১ম খন্ড ৩৩২ পৃষ্ঠা ,মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ১ম খন্ড ৮৩ পৃষ্ঠা)
এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত ঐতিহাসিক আল্লামা ইয়াকুব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে লিখেন-
قال النبى صلى الله عليه وسلم رأيت ابا لهب فى النار يصيح العطش العطش فيسقى من الماء فى نقر ابهامه فقلت بم هذا فقال بعتقى ثويبة لانها ارضعتك.
অর্থ : ‘‘হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি আবু লাহাবকে দেখেছি জাহান্নামের আগুনে নিমজ্জিত অবস্থায় চিৎকার করে বলছে, পানি দাও ! পানি দাও !
অতঃপর তার বৃদ্ধাঙুলীর গিরা দিয়ে পানি পান করানো হচ্ছে। আমি বললাম, কি কারনে এ পানি পাচ্ছো ? আবু লাহাব বললো, আপনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে হযরত সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে মুক্ত করার কারনে এই ফায়দা পাচ্ছি ! কেননা তিনি আপনাকে দুধ মুবারক পান করিয়েছেন !”
(তারীখে ইয়াকুবী ১ম খন্ড ৩৬২ পৃষ্ঠা )
উপরোক্ত হাদীস শরীফ সমূহের ব্যাখ্যায় হাফিজে হাদীস হযরত আল্লামা কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি , হাফিজে হাদীস আল্লামা যুরকানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি , ইমামুল মুহাদ্দিসিন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সহ শত শত ইমাম মুহাদ্দিস গন বলেন –
قال ابن الجزرى فاذا كان هذا الكافر الذى نزل القران بذمه جوزى فى النار بفرحه ليلة مولد النبى صلى الله عليه وسلم به فما حال المسلم الموحد من امته عليه السلام يسر بمولده ويبذل ما تصل اليه قدرته فى محبته صلى الله عليه وسلم لعمرى انما يكون جزاؤه من الله الكريم ان يدخل بفضله العميم جنات النعيم.
অর্থ : ‘‘হযরত ইবনুল জাযরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আবু লাহাবের মত কাট্টা কাফির যার নিন্দায় কুরআন শরীফে আয়াত শরীফ ও সূরা শরীফ পর্যন্ত নাজিল হয়েছে, তাকে যদি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ এর রাত্রিতে আনন্দিত হয়ে খুশি প্রকাশ করার কারনে জাহান্নামেও তার পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে তবে হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের কোন মুসলমান যদি ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করে, তার সাধ্যনুযায়ী টাকা-পয়সা ইত্যাদি খরচ করে তাহলে তাদের অবস্থা কিরুপ হবে ? নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার দয়া এবং অনুগ্রহে অবশ্যই অবশ্যই তাকে নিয়ামতপূর্ন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন !”
(মাওয়াহেবুল লাদুননিয়া ১ম খন্ড ২৭ পৃষ্ঠা, শরহুয যারকানী ১ম খন্ড ২৬১ পৃষ্ঠা, মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ১ম খন্ড ৮৩ পৃষ্ঠা)
আর এ প্রসঙ্গে ইমামুল মুহাদ্দিসিন, শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-  ‘‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ দিবসকে সম্মান করবে এবং খুশি প্রকাশ করবে সে চির শান্তিময় জান্নাতের অধিকারী হবে।” (মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ১ম খন্ড, খুতবায়ে ইবনে নুবাতা)
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে উপরোক্ত আলোচনা থেকে থেকে শিক্ষা গ্রহন করার তৌফিক দান করুন । এবং পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সর্বোচ্চ খুশি মুবারক প্রকাশ করার সৌভাগ্য দান করুন । আমীন ।
পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এমন একটি আমল যা কখনোই বিনষ্ট হবে না যা অবশ্যই নিশ্চিত কবুলযোগ্য একটি আমল
পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এমন একটি আমল যা কখনোই বিনষ্ট হবে না যা অবশ্যই নিশ্চিত কবুলযোগ্য একটি আমল
=================================================
পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এমন একটি আমল যা কখনোই বিনষ্ট হবে না, অবশ্যই কবুল হবে এই বিষয়ে বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও মুহাক্কিক, হযরতুল আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবের দুয়া করে লিখেন,
اے اللہ! میرا کوئی عمل ایسا نہیں ہے جسے آپکے دربار میں پیش کرنے کے لائق سمجھوں، میرے تمام اعمال میں فساد نیت موجود رہتی ہے، البتہ مجھ حقیر فقیر کا ایک عمل صرف تیری ذات پاک کی عنایت کیوجہ سے بہت شاندار ہے اور وہ یہ ہے کہ مجلس میلاد کے موقع پر میں کھڑے ہو کر سلام پڑھتاہوں اور نہایت ہی عاجزی وانکسار ی محبت وخلوص کے ساتھ تیری حبیب پاک صلی اللہ علیہ وسلم پر درود سلام بھیجتا رہا ہوں. اے اللہ! وہ کون سا مقام ہے جہاں میلاد مبارک سے زیادہ تیری خیر وبرکت کانزول ہوتا ہے! اس لئے اے ارحم الراحمین مجھے پکا یقین ہے کہ میرا یہ عمل کبھی بیکار نہ جائیگا بلکہ یقینا تیری بارگاہ میں قبول ہوگا اور جوکوئی درود وسلام پڑھے اور اس کےذریعہ دعا کرے وہ کبھی مسترد نہیں ہو سکتی
অর্থ: আয় আল্লাহ পাক আমার এমন কোন আমল নেই, যা আপনার মুবারক দরবারে পেশ করার উপযুক্ত মনে করি। আমার সমস্ত আমলের নিয়তের মধ্যেই ত্রুটি রয়েছে। তবে আমি নগণ্যের শুধুমাত্র একটি আমল আপনার পবিত্র জাতের দয়ায় অনেক সম্মানিত বা মর্যাদাবান। আর সেটা হচ্ছে পবিত্র মীলাদ শরীফ-এর মজলিসে ক্বিয়ামের সময় দাড়িয়ে সালাম মুবারক পেশ করি। আর একান্ত আজীজী ইনকিসারী, মুহব্বত ইখলাছের সাথে আপনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করি।
হে আল্লাহ পাক এমন কোন স্থান আছে কি, যেখানে মীলাদ মুবারক-এর চেয়ে অধিক খায়ের বরকত নাযিল হয়? হে আরহামুর রহিমীন, আমর দৃঢ় বিশ্বাস যে আমার এ আমল কখনও বৃথা যাবে না। বরং অবশ্যই আপনার পবিত্র দরবারে কবুল হবে। এবং যে কেউ ছলাত-সালাম পাঠ করবে এবং উহাকে ওসীলা দিয়ে দুয়া করবে সে কখনও মাহরূম হতে পারে না। অর্থাৎ সে অবশ্যই কবুলযোগ্য। সুবহানাল্লাহ! (আখবারুল আখইয়াার ৬২৪ পৃষ্ঠা)
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিল এ রহমত মুবারক উনার নূর মুবারক নাযিল হয়
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিল এ রহমত মুবারক উনার নূর মুবারক নাযিল হয়
=================================================
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক মাহফিল যা সমগ্র পৃথিবীতে পালন হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন-
اَمَّا اَہْلُ مَکَّۃَ یَزِیْدُ اِہْتِمَامَہُمْ بِہٖ عَلٰی یَوْمِ الْعِیْدِ
অর্থ: “মক্কাবাসীগণ মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি গুরুত্ব ঈদ অপেক্ষাও বেশী দিতেন।” (আল মাওরেদুর রাবী ফি মাওলিদিন নবী)
আর এসব মাহফিলে যে কতবড় নিয়ামত, রহমত নাযিল সে বিষয়ে হযরত শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ্ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, –
ﻭﻛﻨﺖ ﻗﺒﻞ ﺫﻟﻚ ﺑﻤﻜﺔ ﺍﻟﻤﻌﻈﻤﺔ ﻓﻰ ﻣﻮﻟﺪ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻰ
ﻳﻮﻡ ﻭﻻﺩﺗﻪ ﻭﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺬﻛﺮﻭﻥ
ﺍﺭﻫﺎﺻﺎﺗﻪ ﺍﻟﺘﻰ ﻇﻬﺮﺕ ﻓﻰ ﻭﻻﺩﺗﻪ ﻭﻣﺸﺎﻫﺪﻩ ﻗﺒﻞ ﺑﻌﺜﺘﻪ ﻓﺮﺃﻳﺖ ﺍﻧﻮﺍﺭﺍ
ﺳﻄﻌﺖ ﺩﻓﻌﺔ ﻭﺍﺣﺪﺓ ﻻ ﺍﻗﻮﻝ ﺍﻧﻯﺎﺩﺭﻛﺘﻬﺎ ﺑﺒﺼﺮﺍﻟﺠﺴﺪ ﻭﻻ ﺍﻗﻮﻝ ﺍﺩﺭﻛﺘﻬﺎ
ﺑﺒﺼﺮ ﺍﻟﺮﻭﺡ ﻓﻘﻂ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ
ﻛﻴﻒ ﻛﺎﻥ ﺍﻻﻣﺮ ﺑﻴﻦ ﻫﺬﺍ ﻭ ﺫﻟﻚ ﻓﺘﺄﻣﻠﺖ ﺗﻠﻚ ﺍﻻﻧﻮﺍﺭ ﻓﻮﺟﺪﺗﻬﺎ ﻣﻦ ﻗﺒﻞ
ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﻤﺆﻛﻠﻴﻦ ﺑﺎﻣﺜﺎﻝ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻤﺸﺎﻫﺪ ﻭﺑﺎﻣﺜﺎﻝ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻤﺠﺎ ﻟﺲ ﻭﺭﺍﻳﺖ
ﻳﺨﺎﻟﻄﻪ ﺍﻧﻮﺍﺭ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺍﻧﻮﺍﺭ ﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ০
(‏( ﻓﻴﺾ ﺍﻟﺤﺮﻣﻴﻦ
.
“আমি একবার মক্কা মুয়াযযাময় মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীফ-এর দিনে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ-এর স্থানে উপস্থিত ছিলাম। তখন লোকেরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঐসব মু’জিযা শরীফ বর্ণনা করছিলেন, যেগুলো হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শুভাগমনের পূর্বে এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের পূর্বে প্রকাশ পেয়েছিলো। আমি হঠাৎ দেখতে পেলাম সেখানে জ্যোতিসমূহেরই ছড়াছড়ি। তখন আমি গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করলাম ও বুঝতে পারলাম যে, ঐ ‘নূর’ (জ্যোতি হচ্ছে ঐসব ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, যিনাদেরকে এমন মাহফিলসমূহের (মীলাদ শরীফ ইত্যাদি) জন্য নিয়োজত রাখা হয়েছে। অনুরূপভাবে আমি দেখেছি ‘রহমতের নূর’ ও ফেরেশ্তাদের নূর’ সেখানে একাকার হয়ে গিয়েছে।” (ফুয়ূযুল হেরামাইন)
আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে ঈদ পালন করা ফরজ।
আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে ঈদ পালন করা ফরজ।
=================================================
মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। এই নিয়ামত মুবারক এর জন্য অর্থাৎ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করা তথা ফালইয়াফরাহু করা অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ তথা সর্বশ্রেষ্ট খুশি মুবারক প্রকাশ করা উম্মতের জন্য ফরজ।  আর সেই খুশি মুবারক প্রকাশ করাই হচ্ছে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
আর এই নিয়ামতের স্মরন বা ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার কথা মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ উনার মধ্যে একাধিকবার বলেছেন। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন,
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَتَ اللَّهِ كُفْرًا وَأَحَلُّوا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ
অর্থ:  তুমি কি তাদের কে দেখনি, যারা আল্লাহর নেয়ামতকে কুফরে পরিণত করেছে এবং স্ব-জাতিকে সম্মুখীন করেছে ধ্বংসের আলয়ে। (পবিত্র সূরা ইব্রাহিম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)
উক্ত আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বুখারী শরীফে বর্ণিত হয়েছে,
আয়াতে “যারা” বলতে মক্কার কুরাইশ কাফেরদেরকে বুঝানো হয়েছে আর نعمةالله দ্বারা হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে (বুখারী – কিতাবুল মাগাযী: হাদীস ৩৯৭৭) এই তাফসীর করেন স্বয়ং হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি। তাহলে আমরা জানতে পারলাম, আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত বলতে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই বুঝানো হয়।
মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে একাধিক স্থানে এই নিয়ামত সম্পর্কে বলেন,
وَمَن يُبَدِّلْ نِعْمَةَ اللَّهِ مِن بَعْدِ مَا جَاءَتْهُ فَإِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
অর্থ: আর আল্লাহর নেয়ামত পৌছে যাওয়ার পর যদি কেউ সে নেয়ামতকে পরিবর্তিত করে দেয়, তবে আল্লাহর আযাব অতি কঠিন। (পবিত্র সূরা বাকারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১১)
وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمَا أَنزَلَ عَلَيْكُم
অর্থ: আল্লাহ পাক উনার সে নিয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের উপর রয়েছে (পবিত্র সূরা বাকারা: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩১)
وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ
অর্থ: তোমরা আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতের কথা স্মরন করো ( পবিত্র আল ইমরান শরীফ:  পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩)
وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمِيثَاقَهُ الَّذِي وَاثَقَكُم بِهِ إِذْ قُلْتُمْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
অর্থ: তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং ঐ অঙ্গীকারকেও যা তোমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন, যখন তোমরা বলেছিলেঃ আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরের বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি খবর রাখেন। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
وَإِن تَعُدُّوا نِعْمَةَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا ۗ إِنَّ اللَّهَ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থ: যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। ( পবিত্র সূরা নহল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮)
وَآتَاكُم مِّن كُلِّ مَا سَأَلْتُمُوهُ ۚ وَإِن تَعُدُّوا نِعْمَتَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا ۗ إِنَّ الْإِنسَانَ لَظَلُومٌ كَفَّارٌ
অর্থ: যে সকল বস্তু তোমরা চেয়েছ, তার প্রত্যেকটি থেকেই তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন। যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, তবে গুণে শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় মানুষ অত্যন্ত অন্যায়কারী, অকৃতজ্ঞ। ( পবিত্র সূরা ইব্রাহিম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৪)
তাহলে বিষয়টা কি দাঁড়ালো হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। আর আল্লাহ পাক বারবার বলেছেন, সে নিয়ামত তথা হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলোচনা মুবারক করতে, এবং এ নিয়ামত এতবড় নিয়ামত যে, যা আলোচনা ছানা সিফত করে শেষ করা যাবে না।
মহান আল্লাহ পাক এই নিয়ামত (হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করার বিষয়ে ইরশাদ মুবারক করেন,
يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّن رَّبّكُمْ وَشِفَاءٌ لّمَا فِي الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَرَحْـمَةٌ لّلْمُؤْمِنِيْنَ ◌ قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهه فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ
অর্থ : “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তোমাদের মধ্যে তাশরীফ মুবারক এনেছেন মহান নছীহত মুবারক দানকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ শিফা মুবারক দানকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত মুবারক দানকারী ও খাছভাবে ঈমানদারদের জন্য, আমভাবে সমস্ত কায়িনাতের জন্য মহান রহমত মুবারক দানকারী (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ফদ্বল বা অনুগ্রহ মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক(হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার জন্য তারা যেনো সম্মানিত ঈদ উদযাপন তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করে। এই খুশি মুবারক প্রকাশ বা ঈদ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া-আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (পবিত্র সূরা ইঊনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)
সুতরাং প্রমাণিত হল আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হলেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং এই নিয়ামত মুবারক তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খুশি তথা ঈদ পালন করতে হবে যা মহান আল্লাহ পাক উনার ই আদেশ মুবারক।