৩২১ নং- সুওয়াল - যমজ সন্তান প্রসব করলে কোন সময় হতে নেফাস ধরা হবে আর কখন থেকে ইদ্দত ধরা হবে এবং কতদিন অন্তর যমজ সন্তান প্রসব করলে এক গর্ভ ধরা হবে?

সুওয়াল - যমজ সন্তান প্রসব করলে কোন সময় হতে নেফাস ধরা হবে আর কখন থেকে ইদ্দত ধরা হবে এবং কতদিন অন্তর যমজ সন্তান প্রসব করলে এক গর্ভ ধরা হবে?
জাওয়াব - প্রথম সন্তান প্রসবের পরেই নেফাসের হুকুম বর্তাবে, অর্থাৎ নেফাস শুরু হয়। দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের পর হতে ইদ্দত ধরা হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের মধ্যে যদি ছয়মাস ব্যবধানের কম হয়, তাহলে যমজ ধরতে হবে। (শামী)আবা-২২
৩২০ নং- সুওয়াল - যদি কোন স্ত্রীলোকের গর্ভপাতের পর খুন জারী হয়, তবে সেটা নেফাস-হায়েজ-ইস্তেহাজা কোনটার মধ্যে গণ্য হবে?

সুওয়াল - যদি কোন স্ত্রীলোকের গর্ভপাতের পর খুন জারী হয়, তবে সেটা নেফাস-হায়েজ-ইস্তেহাজা কোনটার মধ্যে গণ্য হবে?

জাওয়াব - নেফাসের হুকুম তখনই বর্তাবে যখন  শরীরের কোন অঙ্গ-প্রতঙ্গ হাত-পা এমনকি একটি মাত্র অঙ্গুলি বা উহার নখ পর্যন্ত গঠিত হয়ে থাকে। আর হায়েজের হুকুম বর্তাবে তখন, যখন একখন্ড গোস্ত বা রক্তপিন্ড বা শুধু রক্তপাত হয়, আর তা কমপক্ষে তিনদিন তিন রাত্রি জারী থাকে। অন্যথায় অর্থাৎ ইহার কম হলে ইস্তেহাজা বলে গণ্য করে নামায, রোজা ইত্যাদি যথারীতি আদায় করতে হবে। (ফতোয়ায়ে শামী)।
আবা-২২
৩১৯ নং- সুওয়াল - কবর স্থানের পাশ দিয়ে চলার সময় কি বলতে হয় এবং কবর জিয়ারতের সময় কি কি দোয়া পড়তে হয়?

সুওয়াল - কবর স্থানের পাশ দিয়ে চলার সময় কি বলতে হয় এবং কবর জিয়ারতের সময় কি কি দোয়া পড়তে হয়?
জাওয়াব - কোন মাযার শরীফ বা কবর স্থানের পাশ দিয়ে চলার সময় মাযার শরীফ এবং কবর স্থানের আহ্ল বা অধিবাসীদেরকে সালাম দিতে হয়।
সালাম দেয়ার নিয়ম ঃ- মাযার শরীফ হলে, আস্সালামু আলাইকুম ইয়া আউলিয়া আল্লাহ, আর কবর স্থান হলে, আস্সালামু আলাইকুম ইয়া আহ্লাল ক্বুবুর
          আর জিয়ারতের নিয়ম হলো-
১। ৩বার/৫বার/৭বার ইস্তেগফার।
২। একবার বা তিনবার সুরা ফাতেহা।
৩। ৩বার/৫বার/৭বার/১০বার সুরা ইখলাছ।
৪। ৫বার/৭বার/১১বার দরুদ শরীফ ইত্যাদি পাঠ করে দোয়া করতে পারে। অথবা কুরআন শরীফের অন্যান্য আয়াত শরীফ বা সুরাসমূহ তিলাওয়াত করে, কম বা বেশী সংখ্যক দরুদ শরীফ পাঠ করে দোয়া বা সওয়াব রেসানী করতে পারে।
          এছাড়া মাযার শরীফ বা কবর জিয়ারত করার সময় অন্যান্য দোয়া-দরুদ শরীফও পাঠ করা যেতে পারে। (সমূহ  ফিকাহ্র কিতাব  দ্রষ্টব্য)

আবা-২২
৩১৮ নং- সুওয়াল ঃ- জনৈক মাওলানা সাহেব সুরা ওয়াল আছরের তাফসীর করতে গিয়ে এক পর্যায়ে রাব্বানা ------ আযাবান্নার-এর উল্লেখ করে খুব জোরের সাথে বলে উঠলেন, দোযখ আগুনের তৈরি। যারা সিগারেট খায় তারা টাটকা দোযখের আগুন খায়। রহ্মতের ফেরেস্তা কাছে আসে না, নামায তিলাওয়াত কোন কাজে আসবেনা। আমার প্রশ্ন যদি তাই হয়, তাহলে ধুমপায়ী উম্মতে হাবীবীর কি দশা হবে? দলীলসহ  জানাবেন।]

সুওয়াল ঃ- জনৈক মাওলানা সাহেব সুরা ওয়াল আছরের তাফসীর করতে গিয়ে এক পর্যায়ে রাব্বানা ------ আযাবান্নার-এর উল্লেখ করে খুব জোরের সাথে বলে উঠলেন, দোযখ আগুনের তৈরি। যারা সিগারেট খায় তারা টাটকা দোযখের আগুন খায়। রহ্মতের ফেরেস্তা কাছে আসে না, নামায তিলাওয়াত কোন কাজে আসবেনা। আমার প্রশ্ন যদি তাই হয়, তাহলে ধুমপায়ী উম্মতে হাবীবীর কি দশা হবে? দলীলসহ  জানাবেন।]


জাওয়াব ঃ- ধুমপান করা মাকরূহ্ তাহরীমী, যা ইমামুল হিন্দ শাহ ওয়ালী উল্লাহ্ মুহাদ্দিস দেহলভী  রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দূররে ছামীন কিতাবে, শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভী  রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফতোয়ায়ে আযিযী কিতাবে এবং হযরত আব্দুল হাই লক্ষনভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফতয়ায়ে আব্দুল হাই কিতাবে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া  মাজালিসুল আবরার, শারবুদ্দোখান ইত্যাদি কিতাবে ধুমপান করা হারাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্নকারীর প্রশ্ন মোতাবেক মাওলানা সাহেব যদি উপরোক্ত কথা বলে থাকেন, তাহলে কথাগুলি শুদ্ধ হয়নি। কারণ যে সিগারেট বা বিড়ি খায়, সে টাটকা দোযখের আগুন খাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কারণ দুনিয়াতে তো দোযখের আগুন নেই, তবে হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে- দোযখের আগুনের সত্তুর ভাগের এক ভাগ হচ্ছে দুনিয়ার আগুন।
          কাজেই যে ধুমপান করে সে আগুন খায় না, তবে আগুনের ধুয়া খেয়ে থাকে। কোন কোন ফিক্বাহ্রে কিতাবে ধুমপান মাকরূহ্ তাহরীমী হওয়ার কারণ স্বরূপ বলা হয়েছে যে-
১। ধুমপায়ী ব্যক্তি ধন-সম্পদের অপচয় করে থাকে, আর মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে বলেছেন- অপচয়কারী শয়তানের ভাই।
২। জাহান্নামীদেরকে আগুনের দ্বারা শাস্তি দেয়া হবে, আর ধুমপায়ী ব্যক্তি দুনিয়ায়ই আগুনের ধুয়া টেনে নিজেকে কষ্ট দিয়ে থাকে।
৩। ধুমপায়ী ব্যক্তি নিজের স্বাস্থের ক্ষতি করে থাকে।
৪। ধুমপায়ী ধুমপানের দ্বারা তার মুখে এবং শরীরে দুগর্ন্ধ পয়দা করে থাকে। আর হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে- দুর্গন্ধ বা বদ গন্ধের কারণে কোন কোন ফেরেস্তা দূরে সরে চলে যায়।
          ফতয়ায়ে আশরাফিয়া ইত্যাদি ফিক্বাহ্রে কিতাবে ধুমপান আযাবের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই বলে ধুমপায়ীর কোন ইবাদত বন্দেগী কবুল হবে না বলে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। কারণ মহান আলাহ্ পাক তিনি কুরআন শরীফে বলেন-
فمن يعمل مثقال ذرة خيرايره ومن يعمل مثقال ذرة شرايره.
অর্থঃ- যে ব্যক্তি একবিন্দু নেকী করবে, সে তার প্রতিদান পাবে। আর যে এক বিন্দু বদী বা পাপ কাজ করবে, সেও তার বদলা ভোগ করবে।   কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “কোন ব্যক্তি যদি রমযান মাসে রোজা রাখে কিন্তু নামায না পড়ে, তাহলে তার নামায না পড়ার দরুণ রোজা বাতীল বলে গণ্য হবে না। রোজা রাখলে রোজার সওয়াব পাবে, আর নামায না পড়লে নামায না পড়ার গুণাহ তার উপর বর্তাবে।
আরো উল্লেখ করা হয়েছে, “কোন মহিলা যদি নামায পড়ে অথচ পর্দা করে না, তাহলে তার নামায বাতিল বলে গণ্য হবে না। নামায পড়লে নামাযের সওয়াব সে পাবে, আর পর্দা না করার কারণে পর্দা তরক করার গুণাহ্ তার উপর বর্তাবে। তদ্রূপ ধুমপায়ী ব্যক্তির নামায-কালাম, ইবাদত-বন্দিগী ধুমপানের কারণে বাতিল বলে গণ্য হবে না। সে ইবাদত-বন্দেগী যা করবে, তার নেকী আলাদা পাবে। আর ধুমপান করার কারণে মাকরূহ্ তাহরীমী বা হারামের গুণাহ্ তার উপর বর্তাবে। (ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের মাসিক আল বাইয়্যিনাত পাত্রিকায় আগামীতে ধুমপান সম্পর্কে বিস্তারীত ফতওয়া দেব।)
আবা-২২
৩১৭ নং - সুওয়াল - আমরা সুনামগঞ্জ শহরে আপনার এক ওয়াজ মাহ্ফিলে শুনতে পেলাম- গণতন্ত্র করা নাকি হারাম। আমরা এতদিন ধরে জেনে এসেছি যে, গণতন্ত্র করা জায়েয। কারণ অনেক আলেম-উলামা, সূফী-দরবেশ, পীর-মাশায়েখ, শাইখুল হাদীছ, শাইখুত তাফসীর ইত্যাদি নামধারী অনেকেই গণতন্ত্র করে থাকেন এবং অনেক দলমতও গঠন করেছেন। আর গণতন্ত্র করার জন্য উৎসাহিতও করেন।  শুধু  তাই নয়, তাদের মধ্যে অনেকেই  এ কথাও বলে থাকেন যে, বর্তমানে গণতন্ত্র করা অবশ্যই কর্তব্য বা অপরিহার্য্য। আমরা আরো শুনতে পেয়েছি যে, আপনারা নাকি মাসিক আল বাইয়্যিনাতে গণতন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে  বিস্তারিত ফতওয়া দিবেন, যা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। বর্তমানে আমরা গণতন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু জানতে চাচ্ছি, যাতে সকলের ঈমান ও আমলের হেফাজত হয়।

৩১৭ নং - সুওয়াল - আমরা সুনামগঞ্জ শহরে আপনার এক ওয়াজ মাহ্ফিলে শুনতে পেলাম- গণতন্ত্র করা নাকি হারাম। আমরা এতদিন ধরে জেনে এসেছি যে, গণতন্ত্র করা জায়েয। কারণ অনেক আলেম-উলামা, সূফী-দরবেশ, পীর-মাশায়েখ, শাইখুল হাদীছ, শাইখুত তাফসীর ইত্যাদি নামধারী অনেকেই গণতন্ত্র করে থাকেন এবং অনেক দলমতও গঠন করেছেন। আর গণতন্ত্র করার জন্য উৎসাহিতও করেন। শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে অনেকেই এ কথাও বলে থাকেন যে, বর্তমানে গণতন্ত্র করা অবশ্যই কর্তব্য বা অপরিহার্য্য। আমরা আরো শুনতে পেয়েছি যে, আপনারা নাকি মাসিক আল বাইয়্যিনাতে গণতন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ফতওয়া দিবেন, যা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। বর্তমানে আমরা গণতন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু জানতে চাচ্ছি, যাতে সকলের ঈমান ও আমলের হেফাজত হয়।


সুওয়াল - আমরা সুনামগঞ্জ শহরে আপনার এক ওয়াজ মাহ্ফিলে শুনতে পেলাম- গণতন্ত্র করা নাকি হারাম। আমরা এতদিন ধরে জেনে এসেছি যে, গণতন্ত্র করা জায়েয। কারণ অনেক আলেম-উলামা, সূফী-দরবেশ, পীর-মাশায়েখ, শাইখুল হাদীছ, শাইখুত তাফসীর ইত্যাদি নামধারী অনেকেই গণতন্ত্র করে থাকেন এবং অনেক দলমতও গঠন করেছেন। আর গণতন্ত্র করার জন্য উৎসাহিতও করেন।  শুধু  তাই নয়, তাদের মধ্যে অনেকেই  এ কথাও বলে থাকেন যে, বর্তমানে গণতন্ত্র করা অবশ্যই কর্তব্য বা অপরিহার্য্য। আমরা আরো শুনতে পেয়েছি যে, আপনারা নাকি মাসিক আল বাইয়্যিনাতে গণতন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে  বিস্তারিত ফতওয়া দিবেন, যা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। বর্তমানে আমরা গণতন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু জানতে চাচ্ছি, যাতে সকলের ঈমান ও আমলের হেফাজত হয়।

জাওয়াব - হ্যাঁ, আপনি  উক্ত মাহ্ফিলে গণতন্ত্র সম্পর্কে যা শুনেছেন, সত্যই শুনেছেন। কেননা আমরা শুধু সুনামগঞ্জেই নয় বরং দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জিলা-শহরে এবং উল্লেখযোগ্য স্থানসমূহে গণতন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে বলে আসছি বা ফতওয়া দিয়ে আসছি। এটাও সত্য যে, আমরা আমাদের মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় গণতন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ফতওয়া দেব ইনশাআল্লাহ ।
          উল্লেখ্য যে, ইসলামী শরীয়ার মূল ভিত্তি হলো- কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস। কাজেই ইসলামী শরীয়ত কোন ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র বা অধিকাংশ লোককে দলীল (আদর্শ) হিসেবে গ্রহণ করে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র বা অধিকাংশ লোক কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের উপর কায়েম না থাকবে। অর্থাৎ যে কেউ ইসলামের  খেদমত করলেই যে, সে ইসলামের আদর্শ বা দলীল বলে গণ্য হবে তা নয়।
          মূলতঃ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের দৃষ্টিতে গণতন্ত্র সম্পূর্ণই হারাম। তার একটা উদাহরণ হিসেবে পেশ করা যায় যে, নির্বাচন পদ্ধতি বা ভোট প্রদান করা গণতন্ত্রের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট। অর্থাৎ প্রার্থী সম্পর্কে রায় বা সাক্ষ্য দেয়া। যেখানে একজন পুরুষ ও একজন মহিলাকে ভোটার হিসেবে সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ একজন পুরুষের ভোটের যতটুকু মর্যাদা বা গুরুত্ব, ঠিক ততটুকু একজন মহিলার ভোটের মর্যাদা বা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ কুফরী। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে বলেন-
من لم يحمم بما انزل الله فاول. كهم الكافرون.
অর্থঃ- মহান মহান আল্লাহ পাক তিনি যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যে হুকুম করে না সে কাফের।
          আর সাক্ষ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে বলেন, “একজন পুরুষের সাক্ষ্য দুজন মহিলার সাক্ষ্যের সমান বা দুজন মহিলার সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান।
গণতন্ত্রের প্রবর্তক হচ্ছে- গ্রীক মোশরেক বা পরবর্তীতে ইহুদী ও নাসারারা, কারণ তারা তাদের আসমানী কিতাব বিকৃত করে ফেলার দরুণ শাসন কার্য্য পরিচালনা করার জন্য কোনই নিয়মনীতি তাদের কাছে ছিলনা, যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ গণতন্ত্রের প্রবর্তন করে।
আর এ প্রসঙ্গে পরবর্তীতে আব্রাহাম লিংকন বলে-
এড়াবৎহসবহঃ ড়ভ ঃয ঢ়বড়ঢ়ষব, নু ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব
যার অর্থ দাঁড়ায়- সরকার জনগণের, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য। অর্থাৎ গণতন্ত্রের সমস্ত কিছুই জনগণের সাথে সংশ্লিষ্ট। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোনই সম্পর্ক নেই, যা আমরা গণতন্ত্র শব্দের অর্থ দ্বারা বুঝতে পারি।
গণতন্ত্র শব্দের অর্থঃ- গণ অর্থ জনগণ, আর তন্ত্র অর্থ- শাসননীতি, নিয়মনীতি। অর্থাৎ জনগণ কর্তৃক প্রবর্তিত বা রায়কৃত নিয়মনীতি তথা জনগণের শাসন। অথচ মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেন-
ان الدين عند الله الاسلام.
অর্থঃ- নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হলো ইসলাম।” (সুরা ইমরান ১৯নং আয়াত)
          আর এ প্রসঙ্গেই মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্য আয়াত শরীফে বলেছেন-
ومن يبتغ غير الا سلام دينا فلن يقبل منه وهو فى الاخرة من الخاسرين.
অর্থঃ- যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (নিয়মনীতি, অন্য ধর্ম) তালাশ করে, তা কখনই তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে।
          আর এ আয়াত শরীফের ব্যাখ্যার ভিত্তিতে হাদীছ শরীফে উল্লেখ আছে-
وعن جابر عن النتبى صلى الله عليه وسلم حين اتاه عمر فقال: انا نسمع احاديث من يهود تعجبنا افترى ان نكتب بعضها- فقال امتهو كون انتم كما تهو كت اليهود والنصارى؟ لقد جئتكم بها بيضاء ولو كان موسى حياما وسعه الا اباعى- (رواه احمد ربيهقى فى شعي الايمان)
অর্থঃ- হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, একদিন হযরত ওমর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, আমরা ইহুদীদের অনেক ধর্মীয় কাহিনী, কথাবার্তা, নিয়ম-কানুন ইত্যাদি শ্রবণ করে থাকি, যা আমাদের নিকট ভাল লাগে। আমরা এটার থেকে কিছু লিখে রাখতে পারবো কি? তখন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন- তোমরাও কি তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে দ্বিধাগ্রস্থ বা বিভ্রান্ত রয়েছে? যেভাবে ইহুদী-নাসারারা বিভ্রান্ত রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! আমি তোমাদের নিকট সম্পূর্ণ পরিষ্কার ও পরিপূর্ণ দ্বীন এনেছি। হযরত মুসা আলাইহিস সালাম তিনি যদি এখন থাকতেন, তাহলে উনাকেও আমার অনুসরণ করতে হতো।
          তাই আমরা দেখতে পাই ইহুদী-খ্রীষ্টান তথা বিধর্মীরা যে সকল আমল করতো হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সে সকল জিনিস স্বয়ং নিজেও অনুসরণ করতেন না এবং আমাদেরকেও কঠোরভাবে অনুসরণ না করার জন্য তাগিদ দিতেন। যেমন, ইহুদী-নাসারারা আশুরার একদিন রোজা রাখতো, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতে হাবীবী উনাদেরকে দুদিন রোজা রাখতে বললেন। ইহুদী-নাছারারা দেরী করে ইফতার করতো, এর পরিপ্রেক্ষিতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনাদেরকে তাড়াতাড়ি ইফতার করতে বলেন। আবার ইহুদীরা শুধুমাত্র পাগড়ী ব্যবহার করতো, এর বিপরীতে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি টুপি ছাড়া পাগড়ী পরতে নিষেধ করেছেন এবং টুপীসহ পাগড়ী ব্যবহার করতে বলেছেন। দাড়ী ও মোচের ব্যাপারে মজুসী (অগ্নি উপাসক) ও মুশরেকদের বিরোধিতা করতে বলেছেন। যেমন- তারা দাড়ি কাটতো ও মোচ বড় করত। তাই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা দাড়ী বড় কর ও মোচ ছোট কর।ইত্যাদি প্রত্যেক বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার  রসূল  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুসলমানদের আস্তিক-নাস্তিক, ইহুদী-নাসারা, মজুসী-মুশরিক তথা বিজাতীয়-বিধর্মীদের অনুসরণ না করে খেলাফ করতে বলেছেন। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
ولن ترضى عنك اليهود ولاالنصرى حتى تتبع ملتهم قل ان هد الله هوالهوى ولشن اتبعت اهواء بعد الذى جاء ك من العلم مالك من الله من ولا نصير.
অর্থঃ- ইহুদী ও নাসারারা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, আপনি তাদের ধর্মের (নিয়ম-নীতির) যতক্ষণ পর্যন্ত অনুসরণ না করবেন। বলে দেন নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার হিদায়েতই প্রকৃত হিদায়েত। আপনার কাছে সত্য ইল্ম (অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম) আসার পরও যদি আপনি তাদের নফসের বা মনগড়া নিয়মনীতির অনুসরণ করেন, তবে আপনার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী  নেই বা পাবেন না।” (সুরা বাকারাহ ১২০ আয়াত)
          উপরোক্ত আয়াত শরীফ অনুযায়ী আমাদের কোন আমল করতে হলে, বিধর্মী-বিজাতীয় বা নফসের কোন অনুসরণ করা যাবে না বা তাদের থেকে কোন নিয়মনীতি গ্রহণ করা যাবে না এবং শুধুমাত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস অনুযায়ী আমল করতে হবে। যেমন আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
من تشبه بقوم فهو منهم.
অর্থঃ- যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের অন্তর্ভূক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে। 
          অতএব গণতন্ত্র করা, তার অনুসরণ করা, গণতন্ত্র অনুযায়ী দল, মত-পথ গঠন করা, তার সাহায্য-সহযোগীতা বা সমর্থন করা  এবং এ বিষয়ে উৎসাহিত করা অর্থাৎ গণতন্ত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট সর্ববিষয়ই কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিুয়াসের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজায়েয। (ইনশাআল্লাহ  আমরা পরবর্তীতে গণতন্ত্র ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত ফতওয়া দেব। তাই এখানে সংক্ষিপ্তাকারে জবাব দেয়া হলো।)
আবা-২২

গণতন্ত্র করা হারাম ফতোয়া । লিংক-
১. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post.html
২. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_2.html
৩. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_36.html
৪. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_83.html
৫. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_85.html
৬. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_8.html
৭. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_1.html
৮. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_87.html
৯. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_14.html
১০. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_4.html
১১. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_98.html
১২. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_52.html
১৩. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_42.html
১৪. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_18.html
১৫. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_45.html

৩১৬ নং- সুওয়াল -     বহুতলা ছাদ বিশিষ্ট মসজিদ মেহ্রাবের সামনে ২য়, ৩য়, ৪র্থ ইত্যাদি তলায় সংযোগ রক্ষা করার জন্য ছাদের মধ্যে সামান্য জায়গা খোলা রাখা হয় কিন্তু অনেক মসজিদে দেখা যায় একতলা/ একাধিক তলা মসজিদে ছাদ খোলা না রেখে ঐ ছাদের উপরের মুক্তাদীগণ নীচের ইমামের ইক্তেদা করে মাইকের আওয়াজের মাধ্যমে নামায আদায় করে সে নামায জায়েয হবে কি?

সুওয়াল ঃ-     বহুতলা ছাদ বিশিষ্ট মসজিদ মেহ্রাবের সামনে ২য়, ৩য়, ৪র্থ ইত্যাদি তলায় সংযোগ রক্ষা করার জন্য ছাদের মধ্যে সামান্য জায়গা খোলা রাখা হয় কিন্তু অনেক মসজিদে দেখা যায় একতলা/ একাধিক তলা মসজিদে ছাদ খোলা না রেখে ঐ ছাদের উপরের মুক্তাদীগণ নীচের ইমামের ইক্তেদা করে মাইকের আওয়াজের মাধ্যমে নামায আদায় করে সে নামায জায়েয হবে কি?
জাওয়াব ঃ- নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্য কোথাও এরূপ শর্ত আরোপ করা হয়নি যে, বহুতলা বিশিষ্ট মসজিদের  নীচের তলার সাথে উপরের তলার সংযোগ রক্ষা করার জন্য ছাদে ফাঁক রাখতে হবে। যে সমস্ত স্থানে ইলেকট্রিসিটি  অথবা মাইকের কোন ব্যবস্থাও নেই সে সমস্ত স্থানে বহুতলা বিশিষ্ট মসজিদে মুকাব্বেরের আওয়াজ মুসুল্লীগণ শোনার জন্য ছাদের মধ্যে ফাঁকের ব্যবস্থা রাখা হয়। আর মুক্তাদীগণ যদি ইমামের আওয়াজ মাইকের মাধ্যমে শুনে ইক্তেদা করে এবং নামায আদায় করে তাহলে নামায শুদ্ধ হবে।
ভবিষ্যতে আমরা মাইকের মাধ্যমে আওয়াজ শুনে নামায আদায় করা সম্পর্কে মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় বিস্তারিত ফতওয়া দিব ইনশাআল্লাহ ।
আবা-২২
৩১৫ নং- সুওয়াল - আজকাল কিছু কিছু লোককে দেখা যায়,  তারা তারাবীর নামায জামায়াতে পড়ে, অথচ বিশ রাকায়াত না পড়ে আট বা বার রাকায়াত পড়ে চলে যায়।

সুওয়াল ঃ- আজকাল কিছু কিছু লোককে দেখা যায়,  তারা তারাবীর নামায জামায়াতে পড়ে, অথচ বিশ রাকায়াত না পড়ে আট বা বার রাকায়াত পড়ে চলে যায়। তারা বিশ রাকায়াত পড়ে না কেন, এটা জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, হাদীছ শরীফের কোথাও তারাবীর নামায বিশ রাকায়াত পড়তে হবে, এটার কোন উল্লেখ নেই। বরং বুখারী শরীফে হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম থেকে রেওয়ায়েত রয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রমযানে এবং গায়রে রমযানে রাত্রিতে এগার রাকায়াত নামায পড়তেন।

জাওয়াব ঃ- তারাবীর নামায বিশ রাকায়াত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্। আট অথবা বার রাকায়াত কেন, বিশ রাকায়াত থেকে এক রাকায়াত কম পড়লেও সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্ তরক করার গুণাহ্ হবে। কারণ হাদীছ শরীফে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে- হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ রাকায়াত তারাবীর নামায পড়েছেন। আর হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার যামানায় তারাবীর নামায ২০ রাকায়াতের উপর ইজমা হয়ে গেছে। (মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, বায়হাকী শরীফ, তিবরানী শরীফ   ইত্যাদি।)
          যারা বুখারী শরীফের হযরত আয়িশা ছিদ্দিকা আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত হাদীছ শরীফ খানা দলীল হিসেবে পেশ করে থাকে, তাদের সে দলীল গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ উক্ত হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রমযানে এবং গায়রে রমযানে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাত্রিতে এগার রাকায়াত নামায পড়েছেন। মূলতঃ এ হাদীছ শরীফে তাহাজ্জুদ নামাযের কথা বলা হয়েছে।  কেননা রমযান শরীফে তারাবীর নামায রয়েছে কিন্তু গায়রে রমযানে তো তারাবীর নামায নেই। কাজেই এ হাদীছ শরীফকে তারাবীর নামাজের দলীল হিসেবে পেশ করা যাবে না এবং তা  গ্রহণযোগ্যও হবে না। ইনশাআল্লাহ  আমরা ভবিষ্যতে আমাদের মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় তারাবীর নামায সম্পর্কে বিস্তারীত ফতওয়া দেব।
আবা-২২

তারাবিহ নামায ২০ রাকাত ফতোয়া -
লিংক -
১. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_15.html
২. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_92.html
৩. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_67.html
৪. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_50.html
৫. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_29.html
৩১৪ নং- সুওয়াল - মহিলাদের ঈদ, জুময়া এবং অন্যান্য নামায জামায়াতে আদায় করার জন্য মসজিদে, ঈদগাহে যাওয়া জায়েয আছে কিনা?

সুওয়াল ঃ- মহিলাদের ঈদ, জুময়া এবং অন্যান্য নামায জামায়াতে আদায় করার জন্য মসজিদে, ঈদগাহে যাওয়া জায়েয আছে কিনা?
জাওয়াব ঃ- মহিলাদের ঈদ, জুময়া এবং অন্যান্য নামায জামায়াতে আদায় করার জন্য মসজিদে বা ঈদগাহে যাওয়া মাকরূহে তাহরীমী। (হেদায়া মায়াদ্দেরায়াহ্, নেহায়া, ইনায়া, কেফায়া, ফতহুল ক্বাদির, মাবসুত লি সারাখসী, আলমগীরী বাহ্রুর রায়েক, মারাকিউল ফালাহ, বাদাউস্ সানাহ্, এলাউস সুনান, শামী, দুররুল মুখতার ইত্যাদি কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর হাদীছ শরীফে মেয়েদেরকে ঘরের মধ্যে নামায পড়ার জন্য এ বলে উৎসাহ দেয়া হয়েছে যে, মহিলাদের মসজিদে জামায়াতে নামায পড়ার চেয়ে ঘরে একা নামায পড়ায় পঁচিশ গুণ বেশী ফযীলত পাওয়া যায়। (দায়লামী শরীফ)
          এ সম্পর্কে বিস্তারিত ফতওয়া জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার ৩য় বর্ষ ৪র্থ সংখ্যা (১১তম সংখ্যা) পত্রিকা পড়ুন, যাতে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহে তাহ্রীমী হওয়া সম্পর্কে ৬৫টি নির্ভরযোগ্য ও বিখ্যাত কিতাবের দলীল দেয়া হয়েছে।
আবা-২২

মহিলা জামাত- লিংক - https://khawajarazi.blogspot.com/2018/09/blog-post_840.html
৩১৩ নং- সুওয়াল - মসজিদে ঘুমানো শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয কিনা?

সুওয়াল - মসজিদে ঘুমানো শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয কিনা?
জাওয়াব - ইতিকাফের নিয়ত ব্যতীত মসজিদে ঘুমানো জায়েয নেই। আর যারা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে ঘুমাবে, তাদের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে।
যেমন- ১। মসজিদে ঘুমানো বা শোয়ার পূর্বে এমন মোটা চাদর বা বিছানা বিছায়ে ঘুমাবে, ঘুমের মধ্যে গোসলের জরুরত হলেও যাতে নাপাকী মসজিদকে নাপাক করতে না পারে। (সমূহ ফিকাহর কিতাব দ্রষ্টব্য)
আবা-২২
৩১২ নং- সুওয়াল: এ বছর সদকাতুল ফিতর কত?
সুওয়াল: এ বছর সদকাতুল ফিতর কত?
জাওয়াব: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সদকাতুল ফিতর-এর পরিমাণ সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন,
صاع من بر على كل اسنين.
অর্থঃ- প্রতি দুজনের জন্য এক সাঅর্থাৎ একজনের জন্য অর্ধ সা
আমাদের হানাফী মায্হাব মোতাবেক অর্ধ সাবলতে একসের সাড়ে বার ছটাক বুঝানো হয়েছে, যা গ্রাম হিসাবে ১৬৫৭ গ্রাম (প্রায়) হয়। কাজেই যাদের উপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব অর্থাৎ ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় নেসাব পরিমাণ (সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা অথবা সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সমপরিমাণ টাকা) সম্পদ থাকে, তাদের প্রত্যেক্যেই উল্লেখিত একসের সাড়ে বার ছটাক বা ১৬৫৭ গ্রাম আটা বা তার মূল্য দান করতে হবে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় আটার দাম বিভিন্ন রকম। কাজেই যাদের উপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব, তাদেরকে তাদের নিজ নিজ এলাকার বর্তমান মূল্য হিসাবে একসের সাড়ে বার ছটাক বা ১৬৫৭ গ্রাম আটার মূল্য দিতে হবে। এবছর ঢাকা শহরে ১৩.০০ টাকা কেজি হিসাবে একসের সাড়ে বার ছটাক বা ১৬৫৭ গ্রাম আটার মূল্য- ২১.৫৪ টাকা (প্রায়)। এর কম দেয়া যাবেনা, তবে ইচ্ছা করলে বেশী দিতে পারবে। 
আবা-২১