খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল
আউওয়াল,
সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা
মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (১১)
মহাপবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, এক ব্যক্তি তিনি আসলেন ঈমান আনবেন তবে তার শর্ত হলো, তিনি অনেক সম্মানিত শরীয়তের খিলাফ কাজ করে থাকেন। শরাব পান
করা,
চুরি, ডাকাতি করা, অবৈধ জায়গায় যাওয়া, মিথ্যা বলা অনেক হারাম কাজ। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এতোগুলোতো
ছাড়া যাবে না, একটা ছাড়বো। কি ছাড়বো? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, তুমি মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দাও। ঠিক আছে। এই মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দেয়ার তিনি
ওয়াদা করলেন। যখন তিনি বাড়ীতে গেলেন তখন শরাব পান করার বিষয় মনে হলো, এখন তা পান করে ফেললেতো মিথ্যা বলতে পারবেন না। তাই শরাব পান করা বন্ধ হয়ে গেলো। রাতে ছিন্তাই
ডাকাতী করার জন্য বের হবেন, তখন চিন্তা
করলেন ও স্মরণ হলো, জিজ্ঞেস করলে কি
জবাব দিবেন, সেটাও বন্ধ হয়ে গেলো।
সুবহানাল্লাহ! অবৈধ জায়গায় যেয়ে থাকেন, সেটাও স্মরণ হলে সেটাম বন্ধ হয়ে গেল। একটা একটা করে তিনি সমস্ত পাপ থেকে বিরত
হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! এক সপ্তাহ পর এসে তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম! এক নছীহত মুবারকে আমার পূরা জীবনটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ
শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন -
وَاجْتَنِبُوا
قَوْلَ الزُّورِ
“তোমরা মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকো।”
অর্থাৎ কেউ যেন মিথ্যা কথা না বলে, এটা প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে, মিথ্যা বলা যাবে না। সত্য বলতে হবে।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক (পবিত্র
খানকা শরীফ উনার মহাসম্মানিত আলোচনা মুবারক থেকে সংগৃহীত)
তারিখ: ১৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪১ হিজরী। ১২ই সাবী’, ১৩৮৭ শামসী, (লাইলাতুল খ¦মীস)।