সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (১১)

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (১১)

 মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, এক ব্যক্তি তিনি আসলেন ঈমান আনবেন তবে তার শর্ত হলো, তিনি অনেক সম্মানিত শরীয়তের খিলাফ কাজ করে থাকেন। শরাব পান করা, চুরি, ডাকাতি করা, অবৈধ জায়গায় যাওয়া, মিথ্যা বলা অনেক হারাম কাজ। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এতোগুলোতো ছাড়া যাবে না, একটা ছাড়বো। কি ছাড়বো? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, তুমি মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দাও। ঠিক আছে। এই মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দেয়ার তিনি ওয়াদা করলেন। যখন তিনি বাড়ীতে গেলেন তখন শরাব পান করার বিষয় মনে হলো, এখন তা পান করে ফেললেতো মিথ্যা বলতে পারবেন না।  তাই শরাব পান করা বন্ধ হয়ে গেলো। রাতে ছিন্তাই ডাকাতী করার জন্য বের হবেন, তখন চিন্তা করলেন ও স্মরণ হলো, জিজ্ঞেস করলে কি জবাব দিবেন, সেটাও বন্ধ হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ! অবৈধ জায়গায় যেয়ে থাকেন, সেটাও স্মরণ হলে সেটাম বন্ধ হয়ে গেল। একটা একটা করে তিনি সমস্ত পাপ থেকে বিরত হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! এক সপ্তাহ পর এসে তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এক নছীহত মুবারকে আমার পূরা জীবনটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ!
  যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন -



وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ

  “তোমরা মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকো।”
 অর্থাৎ কেউ যেন মিথ্যা কথা না বলে, এটা প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে, মিথ্যা বলা যাবে না। সত্য বলতে হবে।

 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক (পবিত্র খানকা শরীফ উনার মহাসম্মানিত আলোচনা মুবারক থেকে সংগৃহীত)
 তারিখ: ১৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪১ হিজরী। ১২ই সাবী’, ১৩৮৭ শামসী, (লাইলাতুল খ¦মীস)।

সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (১০)










খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (১০)

যেটা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনিতো ওলীয়ে মাদারযাদ। মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাদারজাদ ওলীআল্লাহ হিসাবে বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন। উনাকে বলা হলো, আপনি এতবড় মাক্বাম কি করে হাছিল করলেন?  তিনি বললেন, আমার শায়েখ হযরত বাকীবিল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতি আমি অত্যন্ত উচ্চতর হুসনে যন, বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করতাম। আমি উনার প্রতি ধারণা করতাম, আমার শায়েখ ব্যতীত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করতে পারিনি। তিনি উনার নায়িব বা ক্বায়িম-মাক্বাম, উনার পরেই উনার মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ! এ কারণে উনার কাছ থেকে আমি সমস্ত ফয়েজ তায়াজ্জুহ, নিয়ামত মুবারকগুলো হাছিল করেছি। সুবহানাল্লাহ! প্রাথমিকভাবে প্রত্যেকে হুসনে যন পোষন করুক, এরপর আমলগুলো আস্তে আস্তে শুদ্ধ করুক। একসময় সে সমস্ত নিয়ামতগুলো ধারণ করতে পারবে। সুবহানাল্লাহ! এখন মূল নছীহত মুবারকের বিষয়টি হচ্ছে যার যার ছবক,  পাছ-আনফাছ, ইশা ফজর বাদ দুরূদ শরীফ এটা ঠিক রাখতে হবে। পাছ-আনফাছ যখন জারি হয়ে যাবে, তখন সে ছবকের কিতাব নিয়ে লতিফার ছবকগুলো করতে থাকবে একটা একটা করে। অবশ্যই তাকমীলে পৌঁছার কোশেশ করতে হবে। বাইয়াত গ্রহণ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকমীলে পৌঁছা। একটা লোক স্কুল কলেজ মাদরাসা নানান প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়, যে প্রতিষ্ঠানেই সে ভর্তি হোক তার উদ্দেশ্য থাকে সে প্রতিষ্ঠানের লেখা-পড়া শেষ করা। সে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে। যদি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে না পারে তাহলে তার লেখা-পড়া শেষ হলো না। ঠিক বাইয়াত গ্রহণের উদ্দেশ্য হচ্ছে চুড়ান্ত পর্যায় পৌঁছা। তার ছবকগুলো শেষ করা, তাকমীলে পৌঁছা। সেজন্য তাকে কোশেশ করতে হবে। 
 প্রাথমিকভাবে মিথ্যা বলা কবীরা গোনাহ। এই মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই একটি নছীহত মুবারক আপাতত। কারণ মিথ্যা হচ্ছে সমস্ত গোনাহের মূল।



اِنَّمَا الَكِذْبُ الذُّنُوْبِ اُمٌّ

যে মিথ্যা হচ্ছে, সমস্ত গোনাহের মূল।” কাজেই মিথ্যা বলা ছেড়ে দিতে হবে। এখন মিথ্যা কথা ছেড়ে দিয়ে, সত্য বলার অভ্যাস করতে হবে। সে যদি মিথ্যা কথা ছেড়ে দেয় তাহলে সে অনেক গুনাহ থেকে বেঁচে গেছে। তখন তার পক্ষে মুত্তক্বী হওয়া সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ! বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সত্য কথা বলার কারণে ডাকাতগুলো তাওবাহ করে হিদায়েত প্রাপ্ত হয়ে গেছে।
 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে -



اَلصِّدْقُ يُنْجِيْ وَالْكِذْبُ يُهْلِكْ

সত্য মানুষকে জীবন দান করে আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে।”

সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৯)











খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৯)

এজন্য বলা হয়, একটা লোক ওলীআল্লাহ উনার ছোহবত মুবারকে থেকে সে ওলীআল্লাহ হয়। আবার উনার ছোহবতে থেকে গোমরাহও হয়। যেমন আবূ জাহিল, আবূ লাহাব যেমন গোমরাহ হয়ে গেছে, কুফরী শিরকী ধারণ করার কারণে। নাউযুবিল্লাহ! আবার সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি চব্বিশ ঘণ্টা যতটুকু সম্ভব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতেন। আবার ঠিক উবাই বিন সুলূলও। তবে পার্থক্য হচ্ছে এতটুকু, হযরত আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ফিকির করতেন, কি করে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুশি করা যায়। সুবহানাল্লাহ! আর উবাই বিন সুলূলের আক্বীদাহ ছিলো, কি করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়া যায়। নাউযুবিল্লাহ! শুধু এতটুকু পার্থক্য। সে কিন্তু ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতো। সে কিন্তু ধারণ করতে পারেনি। বিষয়গুলো খুব ফিকির করতে হবে। নছীহত মুবারক শুনে তা ফিকির করে ধারণের কোশেশ করতে হবে। 
আমভাবে হচ্ছে, প্রত্যেককে হুসনে যন রাখতে হবে। একটা লোক এসেই সে ওলীআল্লাহ হতেও পারে, নাও হতে পারে। কারো এক বছর, দশ বছর, বিশ বছরও লাগতে পারে। যেমন হযরত বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহবত মুবারকে হযরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গেলেন। মুখতালিফ বর্ণনা, তিনি দশ মাস থেকে মূল নিয়ামতটা নিয়ে চলে গেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি যখন চলে গেলেন তখন হযরত বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবারে অনেক মুরীদ ছিলো, বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ বছর, পঞ্চাশ বছর ধরে ছিলেন। উনারা বললেন, হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন হযরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আসলেন আর সমস্ত নিয়ামত নিয়ে চলে গেলেন। আর আমরা এতো বছর ধরে আছি আমরা কি করবো। আসলে ঐ সমস্ত লোক হিদায়েতপ্রাপ্ত, গোমরাহ হন নাই। উনার যে মূল নিয়ামতটা সেটা উনারা হাছিল করতে পারেন নি। তখন তিনি বললেন, যে দেখ, আমি কি করবো, হযরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হচ্ছেন শুকনা লাকড়ী, আগুন দেয়ার সাথে সাথে জ্বলে গেছে। আর তোমরা ভিজা লাকড়ী, তোমাদেরকে শুকাতে হবে এরপর আগুন দিতে হবে। এজন্য সময়ের দরকার। এসব বিষয় খুবই সুক্ষ ও ফিকিরের বিষয়। প্রথমিকভাবে হুসনে যন পোষণ করতে হবে। হুসনে যনটা পোষণ না করলে কিন্তু সে কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে না। প্রথমে কেউ ইখলাছ নিয়ে আসে না বরং হুসনে যন নিয়ে আসে। এই হুসনে যনটা তাকে বজায় রাখতে হবে।

সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৮)











খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৮)


 এ কারণে আমি বলেছিলাম, একটা লোক পবিত্র হজ্জ করে এসে নেককারও হয় আবার বদকারও হয়। ঠিক একটা লোক ওলীআল্লাহর উনার ছোহবত মুবারকে থেকে ওলীআল্লাহ হয়, আবার গোমরাহও হয়। নাউযুবিল্লাহ! যখন সে বিষয়গুলো ধারণ করতে পারে তখন সে ওলীআল্লাহ হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! আর যখন সে ধারণ করতে পারেনা  বিপরীত হয় তখন সে গোমরাহ হয়। নাউযুবিল্লাহ!
 হযরত ফুজায়িল বিন আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একজন বিশিষ্ট খলীফা বা মুরীদ সে লোকটা মৃত্যুর সময় কুফরী করে মারা গেছে। নাউযুবিল্লাহ! কেউ কেউ বলেন, সে খিলাফত লাভের উপক্রম হয়েছিলো। খানকা শরীফের কাছে তার বাড়ী ছিলো। কিন্তু মৃত্যুর সময় সে এলোমেলো বক্তব্য পেশ করতে লাগলো, সে কুফরী বক্তব্য দিতে লাগলো। নাউযুবিল্লাহ!  তখন উনার কিছু মুরীদ এসে বলল, হুযূর! তারতো এই অবস্থা। দয়া করে একটু দেখে আসুন। তিনি গেলেন, তাকে তালক্বীন দিলেন, সে অস্বীকার করলো যে, পবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করবে না। নাউযুবিল্লাহ!  তিনি তায়াজ্জুব হয়ে গেলেন, চুপ হয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর কুফরী করতে করতে সে লোকটা মারা গেল। নাউযুবিল্লাহ! তিনি চিন্তিত হলেন যে, লোকটাতো ভালোই ছিল। কথা-বার্তা ভালো বলতো। কিন্তু কেন কুফরী করে মারা গেল। তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, সে জাহান্নামের আগুনে দাউদাউ করে জ্বলতেছে। নাউযুবিল্লাহ! তিনি বললেন, হে ব্যক্তি! তোমার এ অবস্থা হলো কি করে? তুমিতো ভালোই বলতে কথা-বার্তা, তোমার যিকির ফিকির ছিলো, ছবক ছিলো, তোমার এ অবস্থা কেন? তখন সে বলল, হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন। যে কি হয়েছে? আপনার দরবার শরীফে আসলে আপনারই ছানা-ছিফত মুবারকই করতাম কিন্তু যখন বের হয়ে যেতাম তখন আপনার বিরুদ্ধে কথা-বার্র্তা বলতাম। নাউযুবিল্লাহ! একজন ওলীআল্লাহ উনার বিরুদ্ধে বললে যদি এতবড় কুফরী হয়, জাহান্নামী হতে হয়, তা আমার জানা ছিল না। সেটা সে বুঝতে পারেনি।
মহাসম্মনিত ও মহাপবিত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন -



مَنْ عَادَى ليَ وَلِيّاً، فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالحَرْبِ

 “যে আমার ওলীর সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করি।” নাউযুবিল্লাহ!  সে লোকটা কিন্তু কুফরী করে মারা গেল এবং সে জাহান্নামী হয়ে গেল। নাউযুবিল্লাহ! এখন ইবরত ও নছীহত মুবারক ধারণ করার জন্য যিকির আযকার করা এবং ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করা। সুবহানাল্লাহ! ছোহবত মুবারক থেকে ফয়েজ তায়াজ্জুহ হাছিল করতে হবে। ফয়েজ তায়াজ্জুহ লাভ করে কিন্তু সে এটা ধারণ করবে। আর ফয়েজ তায়াজ্জুহ হাছিল করতে না পারলে, সে ধারণ করতে পারবে না। বিপরীত যখন হবে আস্তে আস্তে সে গোমরাহ হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৭)










খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৭)



 যেটা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে -



اللَّـهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ

 “মহান আল্লাহ পাক তিনি মু’মিনদের ওলী বা অভিভাবক, তিনি মু’মিনদেরকে গোমরাহী থেকে নূর মুবারক উনার দিকে নিয়ে যান।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ গোমরাহী থেকে মাহসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে নিয়ে যান। সুবহানাল্লাহ! সমস্ত সৃষ্টির মূল এবং শেষ গন্তব্যস্থল হচ্ছেন মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত সুন্নত মুবারক হচ্ছে, সর্বশেষ ও সর্বশেষ আমল মুবারক। এর পরে কোন আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! যে কোন একটা কিছু করলে সম্মানিত সুন্নত মুবারক অনুযায়ী করতে হবে। এরপর কোন আমলের স্তর নেই। সুবহানাল্লাহ! মানুষ রিয়াজত মাশাক্কাত করে, উরূজ নুযূল করে সে পৌঁছবে যেখানে তার শেষ স্তর হচ্ছেন, শেষ মাক্বাম হচ্ছেন মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
 যিনি খ¦লিক্ব মালিক্ব রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন - 



 وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ ۗ

আর যারা কাফির তাদের বন্ধু হচ্ছে শয়তান। নাউযুবিল্লাহ! সেই শয়তানটা তাকে মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে সরিয়ে গোমরাহীর দিকে নিয়ে যেতে চায়।” নাউযুবিল্লাহ!
 কাজেই যদি মুত্তাক্বী হয় তাহলে যিনি খ¦লিক্ব, যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে নিছবত মুবারক পয়দা করতে হবে। আর উনার সাথে নিছবত মুবারক পয়দা হলে তিনি উনার বান্দাকে নিয়ে উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে পৌঁছিয়ে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! এজন্য সমস্ত মানুষের জন্য ফরয আইন ইলমে তাছাওউফ অর্জন করা। আর ইলমে তাছাওউফ অর্জন করার জন্য একজন কামিল শায়েখ উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা। ছবক নিয়ে যিকির ফিকির করবে। সাধারণভাবে মানুষকে যত নছীহত করা হোক না কেন সে তা ধারণ করতে পারে না। কারণ তার সেটা ধারণ করার যোগ্যতা নাই। একটা পাত্রে যদি পানি দেয়া হয়, আর পাত্রটা যদি ছিদ্র থাকে তাহলে সেখানে পানি কিন্তু বেশিক্ষণ থাকবে না। কিছুক্ষণ পর সে পাত্রটা খালি হয়ে যাবে, সে ধারণ করতে পারবে না। এরকমই পবিত্র কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করেছেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দিয়েছেন। মানুষ এটা পড়ে কিন্তু ইবরত হাছিল করতে পারে না, যে তার কি হাক্বীক্বত রয়ে গেছে। পবিত্র কুরআন শরীফ পড়লো পবিত্র হাদীছ শরীফ পড়লো কিন্তু সে তার আমল শুদ্ধ করতে পারলো না, তার কি কারণ? তার আমল শুদ্ধ করার কথা ছিলো। আসলে সে ধারণ করতে পারেনি।

সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৬)











খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৬)



এজন্য বলা হয়েছে -



قِصَاصُ الْاَوَّلِيْنَ وَمَوْعِظَةُ لِلْاَخِرِيْنَ

 “পূর্ববর্তী যারা উনাদের ওয়াক্বিয়াগুলো পরবর্তী লোকদের জন্য ইবরত এবং নছীহত।” সুবহানাল্লাহ!
 আমরা এখানে অনন্তকাল ব্যাপী মহাসম্মানিত ফাল-ইয়াফরাহূ শরীফ তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারি করেছি। এই জারিকৃত মাহফিলে আমরা পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ পালন করে থাকি। শুধু পালন করা রছম রেওয়াজ না, এটা হাক্বীক্বতে করার জন্য কোশেশ করতে হবে। মহাসম্মানিত রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী শান-মান মুবারক, ফযীলত, বুযূর্গী, সম্মান মুবারক এ বিষয়টা বুঝতে হলে পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ অর্থাৎ  উনার মহাসম্মানিত আব্বা আলাইহিস সালাম ও উনার মহাসম্মানিতা আম্মা আলাইহাস সালাম উনাদের বিষয়, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয়, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং পরবর্তী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম তারপরে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের যে সাওয়ানেহ উমরী মুবারক সেই ইলিম মুবারক বুঝতে পারলে, মহাসম্মানিত ফযীলত মুবারক বুঝতে পারলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান বুঝা সহজ হয়।  সুবহানাল্লাহ! যিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, যিনি খ¦লিক্ব¡ যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনারও শান-মান বুঝা যায়। সুবহানাল্লাহ! ঠিক উম্মতদের যে খুছূছিয়ত ও বৈশিষ্ট মুবারক দেখতে পারলে যিনি উম্মতদের মালিক মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান বুঝা যায়। সুবহানাল্লাহ! কাজেই সেই বিষয়গুলোর জন্য তাক্বওয়া অর্জন করা, অন্তরকে ইছলাহ করা। একটা লোক এসব বিষয় মুখে বললেই হবে না, অন্তরকে ইছলাহ করতে হবে। সাধারণভাবে আশরাফুল মাখলুকাত মানুষ। তাদের মধ্যে মুসলমান উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হওয়ায় সর্বশ্রেষ্ঠ। সুবহানাল্লাহ! উম্মতদের সর্বশ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্য এবং সেই জায়গায় পৌঁছতে হলে তাকে বাইয়াত গ্রহণ করতে হয়। বাইয়াত গ্রহণ করে, ছবক নিয়ে, যিকির ফিকির করে ফয়েজ তায়াজ্জুহ হাছিল করতে হবে। কারণ ফয়েজ তায়াজ্জুহ হাছিল করে অন্তরগুলোকে ইছলাহ করতে হয়। ইছলাহ বা পরিশুদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত সে কখনও মুত্তাক্বী হতে পারবে না। তাক্বওয়া হাছিল করতে পারবে না। অন্তরে যে গালিজগুলো থাকে তা তাকে আস্তে আস্তে গোমরাহীর দিকে নিয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ!


সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৫)












খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৫)

                              
যিনি খালিক্ব¡ যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন -



إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِندَ اللَّـهِ أَتْقَاكُمْ

নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি সম্মানিত যিনি সবচেয়ে বেশি মুত্তাক্বী।” সুবহানাল্লাহ!
 মুত্তাক্বী’ হওয়ার জন্য হাক্বীক্বী আলিম হওয়া শর্ত বা ফরয। আলিম ব্যতিত কেউ মুত্তাক্বী হতে পারবে না। আলিম হওয়ার জন্য শুধু মাদরাসায় পড়া শর্ত না। বরং যিনি খালিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে যিনি ভয় করেন তিনি হচ্ছেন, আলিম। সুবহানাল্লাহ!
 হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শায়েখ হযরত আবূ হামযা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন ইন্তেকাল করবেন তখন উনার ছেলে যিনি, তিনি একজন বড় আলিম ও কাজী ছাহেব ছিলেন। উনার ইন্তেকালের পর তিনি এসে বললেন, আব্বা! আপনার ইন্তেকালের পর আমি কার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করবো? তখন তিনি বললেন, আমার বিদায়ের পর হযরত আবূ হামযা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করবে। তখন উনার ছেলে বলেছিলেন, তিনিতো ততবড় আলিম না। অর্থাৎ দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মাদরাসায় পড়ে যে পবিত্র হাদীছ, তফসীর, ফিকহ, ফতওয়া বর্ণনা করা হয় সেটা তিনি বুঝালেন। তখন তিনি বললেন, এটা তুমি ভুল বললে। তিনিতো অনেক বড় আলিম। সুবহানাল্লাহ! কাজেই যিনি যত বেশি মুত্তাক্বী তিনি ততবড় আলিম। সুবহানাল্লাহ! তাক্বওয়া হচ্ছে সমস্ত কিছুর মূল। সুবহানাল্লাহ!



على رأس العمل
যার তাক্বওয়া থাকবে তার সবকিছু আছে। আর যাদের তাক্বওয়া নেই তার কিছুই নেই। নাউযুবিল্লাহ!
 হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিজেই বলেন, আমি একদিন নিজেই বললাম,



يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَوْصِنِي قَالَ أُوصِيكَ بِتَقْوَى اللهِ ، فَإِنَّهُ رَأَسُ كُلِّ شَيْءٍ

ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে তাক্বওয়া সম্পর্কে অছীয়ত মুবারক করুন।  তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আমি আপনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে তাক্বওয়া হাছিলের জন্য অছীয়ত মুবারক করছি।  আর নিশ্চয়ই তাক্বওয়া হচ্ছে সমস্ত কিছুর মূল। সুবহানাল্লাহ!”
 কাজেই মুত্তাক্বী হতে হলে হাক্বীক্বী আলিম হতে হবে। আর হাক্বীক্বী আলিম হতে পারলে তখন কামিয়াবী। আর সেই আলিম হওয়ার জন্য কিন্তু ইলমে তাছাওউফ চর্চা করতে হবে। তাছাওউফ ছাড়া কেউ মুত্তাক্বী হতে পারবে না ও আলিমও হতে পারবে না। যত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম অতীত হয়েছেন উনারা মুত্তাক্বী হওয়ার কারণে ওলীআল্লাহ হতে পেরেছেন। এখন সেটা বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি তিনি হন, হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হোন না কেন, উনাদের প্রত্যেকের সাওয়ানেহ উমরী মুবারকে সেটা রয়েছে। হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যখন ১৬ থেকে ১৭ বছর চলতেছিল তখন ৭টি ডাকাত সর্দার তারা উনার কাছে তাওবাহ করে আল্লাহওয়ালা হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! এসব ঘটনা মুবারকে সকলের জন্য ইবরত ও নছীহত মুবারক রয়েছে।

সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৪)











খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৪)

 সেজন্য বলা হয়েছে, কেউ যদি শরীফ হয় তাহলে তার দ্বারা মানুষ ফায়দা লাভ করে থাকেন। আর কেউ যদি শরীফ নয়, অভদ্র হয় তাহলে তার দ্বারা মানুষ ফায়দা লাভ করতে পারে না।
 এজন্য ফার্সীতে বলা হয় -



کمزاد      اگر بزرگ شواد  زنج دہد استادرا

 “যদি কোন কমজাত বা অনুপযুক্ত লোক সে যখন কোন উপরের স্থরে উঠে যায়, উপরের মাক্বামে উঠে যায় তখন সে সম্মানিত লোকদের মানহানি করে।” নাউযুবিল্লাহ! কিন্তু একটা শরীফ লোক যখন উপরে  থাকুক বা নিচে থাকুক সে সবসময় মানুষকে ফায়দা দেয়। সুবহানাল্লাহ! কাজেই প্রত্যেক মুসলমানদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, তাকে শরীফ হওয়া।
 অতপর দু’নম্বর হচ্ছে, নেককার হওয়া। বদকার লোকের ছোহবতে মানুষ বদকার হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার ছেলে কেনান, বদকারদের সাথে থাকায় সে বদকার ও গোমরাহ হয়ে যায়।

پسر نوح بابداں بنشست

خندان نبوتش گم شد


জলীলুল ক্বদর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ আরাকজন রসূল হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু সেই সন্তানটা কাফির মুশরিকদের সাথে চলার কারণে  (কেনানা) সে নুবুওওয়াতী খানদান হারিয়ে, ঈমান হারিয়ে সে কাফির হয়ে মারা গেল।” নাউযুবিল্লাহ!
 কাজেই যারা বদকারদের সাথে চলে তারা বদকার হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! এজন্য বলা হয়, নেক কাজ থেকে নেককার উনাদের ছোহবত উত্তম। সুবহানাল্লাহ! আর বদকাজ থেকে বদকারদের ছোহবতটা আরো নিকৃষ্ট। নাউযূবিল্লাহ! এজন্য যেমন শরীফ হতে হবে, সাথে সাথে তেমন নেককারও হতে হবে। সুবহানাল্লাহ!
 হাকীম, আলিম কখনও জাহিল থেকে ফায়দা লাভ করতে পারেন না। এজন্য প্রত্যেকের আলিম হওয়া দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর হক্বীক্বী আলিম উনারা ওলীআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন -



إِنَّمَا يَخْشَى اللَّـهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ

 “নিশ্চয়ই যারা আলিম উনারাই যিনি খ¦লিক্ব, যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক উনাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ!
 তাহলে যার অন্তরে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ভীতি, ভয় থাকবে সে অবশ্যই সব অবস্থাতেই, ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করবে। সুবহানাল্লাহ! আর সে ব্যক্তি মুত্তাক্বী।