হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মুবারক নির্দেশনা ব্যতীত হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কিছুই বলেন না ও করেন না

হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মুবারক নির্দেশনা ব্যতীত হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কিছুই বলেন না ও করেন না 

হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ রয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন: “উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে কতজন খলীফা খিলাফত পরিচালনা করবেন, এ বিষয়ে আমরা নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি ইরশাদ করেন: “বনী ইসরাইলের বারোজন নক্বীব উনাদের মতো আমার উম্মতের মাঝেও বারোজন খলীফা উনারা খিলাফত পরিচালনা করবেন।” (আহম্মদ, বাযযার, তারীখুল খলীফা) 

সম্মানিত এই উম্মত তথা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মাঝে আলোকবর্তিকা হলেন মহান খলীফাগণ। উনারা উম্মতের রাহবার। হিদায়েতের কেন্দ্রবিন্দু খলীফাগণ মহান বারে ইলাহী এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ লক্ষ্যস্থল এবং নায়িব। উনাদের ফযীলতের আধিক্য এতটায় যে, স্বয়ং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত খলীফাগণ সম্পর্কে দোয়া করেছেন, “হে পরওয়ারদিগার আল্লাহ পাক! আমার খলীফা উনাদের উপর রহম করুন, যাঁরা আমার পরে আসবেন। উনারা আমার হাদীছ শরীফ ও সুন্নতসমূহ মানুষের কাছে বর্ণনা করবেন এবং মানুষদেরকে তা শিক্ষা দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তবারানী, কানজুল উম্মাল) 

প্রিয় পাঠক! সারা বিশ্ববাসী এখন কে নিয়ন্ত্রণ করছেন বা কার উসীলায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে? কার উসীলায় মুসলমানগণ রহমত বরকত সাকীনা হিদায়েত ইত্যাদি লাভ করছেন? কার উসীলায় মুসলমানদের চরম শত্রু ইহুদী-নাছারা-কাফির-মুশরিক অস্পৃশ্য যবন ম্লেচ্ছরা মুসলমানদের প্রতি যুলুম নির্যাতনের শাস্তিস্বরূপ ধ্বংস হচ্ছে? কার উসীলায় মুসলমান দেশসমূহে খাদ্যশস্য ও ফলমূল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হচ্ছে? এ সকল প্রশ্নের উত্তর একটিই অর্থাৎ এ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছেন বা যাঁর উসীলায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তিনি হলেন- সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। 

বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এ উল্লিখিত খলীফাগণের মাঝে তিনি অন্যতম শ্রেষ্ঠ খলীফা। উনাকে মহান বারে ইলাহী আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা অত্যধিক মুহব্বত করে সমস্ত ইলম, অতুলনীয় মাক্বামাত ও সর্বশীর্ষ পর্যায়ের খিলাফত হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পরিপূর্ণভাবে নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিকৃতি। সিরত মুবারক, ছূরত মুবারক, আদত মুবারক, আখলাক মুবারক সব ক্ষেত্রেই উনারা হুবহু একইরূপ। শুধু তাই নয় নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মুবারক নির্দেশনা ব্যতীত সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একটি শ্বাস-প্রশ্বাসও গ্রহণ-নির্গমন করেন না। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার লক্ষ-কোটি কারামতের মাঝে উপরোল্লিখিত ফযীলতটি একটি খাছ মুবারক কারামত। যা মুহব্বত-মারিফাত প্রত্যাশী মুরীদ-মুহিব্বিনগণকে মাঝে মাঝে প্রত্যক্ষ করানো হয়। এমনই একটি বরকতপূর্ণ কারামত প্রকাশ করা হবে, যাতে উনার প্রতি বিশ্ববাসী জিন-ইনসানের আক্বীদা আরো বিশুদ্ধ হয়, সুধারণা বলিষ্ঠ হয়, মুহব্বত প্রতিষ্ঠিত হয় অনন্তকালের জন্য। 

  আমাদের একজন পীরভাই মুহম্মদ হারুনুর রশীদ। তিনি বাউনিয়া আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর বিশিষ্ট আমিল। মুহম্মদ হারুনুর রশীদ তিনি একবার একটি মুবারক স্বপ্ন অবলোকন করেন। তিনি দেখেন একটি স্থানে চমৎকার একটি মসজিদ। মসজিদের অভ্যন্তরে একটি নূরানী মুবারক মিম্বর শরীফ। মিম্বর শরীফ-এ সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বসে রয়েছেন। তিনি মুবারক মিম্বর শরীফ-এ বসে পবিত্র নছীহত দান করছেন। পাশে একটি পর্দা ঝুলছে। হঠাৎ মৃদু বাতাস আসলো, পর্দাটি সরে গেলো। মুহম্মদ হারুনুর রশীদ তিনি লক্ষ্য করলেন, পর্দার ওই পাশে আরেকটি মুবারক মিম্বর শরীফ, সে মুবারক মিম্বর শরীফ-এ সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হুবহু অনুরূপ সুমহান একজন ব্যক্তিত্ব বসে নছীহত করছেন। আশ্চর্য বিষয়, ওই পাশের সুমহান ব্যক্তিত্ব যা যা বলেন, যেভাবে বলেন, যেমনটি আওয়াজে বলেন তার ঠিক পর মুহূর্তেই সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি তা তা বলেন, তেমনভাবে বলেন এবং তেমন আওয়াজেই বলেন। সুবহানাল্লাহ!

 সার্বিক অবস্থাদর্শনে অতিশয় তাওয়াজ্জুব হওয়া মুহম্মদ হারুনকে লক্ষ্য করে সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, “উনি আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি যা বলেন আমি তাই বলি, তিনি যেভাবে বলেন আমিও সেভাবেই বলি। তিনি যা বলেননা আমি তা কস্মিনকালেও বলিনা।” 

সুবহানাল্লাহ! কত শান মান ইজ্জত সম্মান প্রাপ্ত আমাদের প্রাণপ্রিয় শায়খ ও মুর্শিদ, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আওলাদে রসূল হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী মুহব্বত মারিফাত ও সন্তুষ্টি হাছিল করার তাওফীক দান করুন।


 রাজারবাগ শরীফ উনার মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে তারাই মুহব্বত, নিছবত ও সম্পর্ক রাখেন যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি রেযামন্দী তালাশি


 
রাজারবাগ শরীফ উনার মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে তারাই মুহব্বত, নিছবত ও সম্পর্ক রাখেন যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি রেযামন্দী তালাশি

 মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছদিক্বীন বা সত্যবাদীগণের ছোহবত ইখতিয়ার করো।” (পবিত্র সূরা তাওবা : আয়াত শরীফ ১১৯)

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আরো ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অনুসরণ করবে, সে বিরাট সফলতা লাভ করবে।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭১)

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি নায়িবে নবী ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনার মাধ্যমেই আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক সন্তুষ্টি ও রেযামন্দি হাছিল হয়। আর উনার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহ পাক ও উনারা হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা অসন্তুষ্টি হন।

কাজেই, সমস্ত জিন ইনসানের জন্য ফরয-ওয়াজিব মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সন্তুষ্টি তালাশ করা, উনার ছোহবত অর্জন করা, উনার হাত মুবারক বাইয়াত হওয়া।


 যামানার সকল বিদয়াত দূরীভূত করার জন্যই রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আগমন

 

যামানার সকল বিদয়াত দূরীভূত করার জন্যই রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আগমন 

আজ বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব গণতন্ত্র করা, ছবি আঁকা ও ছবি তোলা, টেলিভিশন দেখা, পর্দা করা, খেলাধুলা করা নানা রকম ফিতনা-ফাসাদ ও বিদয়াতী কাজে নিমজ্জিত। এ অবস্থায় পবিত্র ঈমান নিয়ে মুসলমানদের বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আশার কথা হলো আমাদের মাঝে যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল, ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আছেন। তিনি লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের ছোহবতে এনে অথবা রূহানী শক্তির মাধ্যমে হিদায়েত লাভের পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন। হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা দৈনিক আল ইহসান শরীফ ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এর মাধ্যমে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের আলোকে বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমল সম্পর্কে বিশ্বের সব মুসলমানদের অবহিত করছেন এবং পাশাপাশি পৃথিবী থেকে সব বিদয়াত, শিরক ও কুফরী দূরীভূত করার দায়িত্ব পালন করছেন।


 যদি কেউ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে চায়, তবে তারা যেনো আমার মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে এক নজর দেখে নেয়

যদি কেউ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে চায়, তবে তারা যেনো আমার মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে এক নজর দেখে নেয়

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অন্যতম লক্বব মুবারক হচ্ছে নক্বশায়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। 

অর্থাৎ আমাদের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সিরত-ছুরত, আমল-আখলাক এক কথায় উনার ক্বদম মুবারক হতে মাথা মুবারক পর্যন্ত সব কিছুই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুরূপ। যারা যামানার মহান মুজাদ্দিদ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে দেখেছেন, উনাকে তা’যীম-তাকরীম করেছেন, মুহব্বতের সাথে উনার মুবারক ক্বদম পাকে চুমু দিয়েছেন, তারাই হযরত নবী আলাইহিস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।

 আর যারা নবী পাক ছল্লাল্লাহু আাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেহারা মুবারক দেখেছেন কেবল উনারাই বুঝতে পেরেছেন যে, যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি নক্বশায়ে নূরে মুজাসসাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাই যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে চায়, তারা যেনো যামানার মহান মুজাদ্দিদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বতের সাথে এক নজর দেখে নেয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেনো পৃথিবীর সকল জ্বিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা, সবাইকে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক-এ এসে সৌভাগ্যমান হওয়ার তাওফীক দান করেন। আমীন।


বড় ওলীআল্লাহ হওয়া এবং নাযাত পাওয়ার একমাত্র উছীলা মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম


বড় ওলীআল্লাহ হওয়া এবং নাযাত পাওয়ার একমাত্র উছীলা মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাবধান! মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণের কোনো ভয় নেই, চিন্তা-পেরেশানী নেই।” মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা সকলেই ওলীআল্লাহ হয়ে যাও।” এভাবে অনেক পবিত্র আয়াত শরীফ আমরা পবিত্র কুরআন শরীফ খুললেই দেখতে পাই। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দিকে দৃষ্ট্পিাত করলেই বুঝতে পারবো, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু বলেছেন যে, “তোমরা সকলেই ওলীআল্লাহ হয়ে যাও।”

আমরা কিভাবে ওলীআল্লাহ হবো তাও সেহেতু তো তিনি বলে দিয়েছেন। তিনি অপর জায়গায় বলেছেন, “আমাকে যে বা যারা পাওয়ার জন্য সর্বাধিক প্রচেষ্টায় রত থাকবে তাকে আমাকে পাওয়ার জন্য সকল পথ বলে দিবোই দিবো।” সুবহানাল্লাহ! সংক্ষেপে বলতে হলে বলতে হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনাকে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেতে হলে, হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন হক্কানী রব্বানী ওলীআল্লাহর নিকট বাইয়াত হওয়া ফরয।

বর্তমান যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ওলীআল্লাহ, কুতুবুয্ যামান, মুজাদ্দিদে যামান হচ্ছেন রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। মহান আল্লাহ পাক উনার কি দয়া, কি ইহসান যে, এতো বড় মুজাদ্দিদ, এতো বড় মহান মুর্শিদ, মহান শায়খ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজারবাগ শরীফ উনার মধ্যে অবস্থান করছেন! মহান আল্লাহ পাক উনার, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে এত বড় নিয়ামত পেয়েও যদিও আমরা হেলায় অবহেলায় দূরে পড়ে থাকি তাহলে কাল কিয়ামতের দিনে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে আমরা কি জবাব দিবো? তখন তো কোনো ভাষাই খুঁজে পাওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য, প্রতি যামানায় উনারাই সেরা মানুষ যারা ঐ যামানার মুজাদ্দিদের হাতে বাইয়াত হয়েছে, মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করতে পেরেছে। সুতরাং এই যামানায় উনারাই কেবল সর্বোকৃষ্ট মু’মিন হবেন, সফলকামী বান্দা হবেন যারাই মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র হাত মুবারকে বাইয়াত হবে। এ যামানার সকলেরই দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে উনার হাতে বাইয়াত হয়ে বড় বড় ওলীআল্লাহ হওয়া। ইনশাআল্লাহ অনেকেই তো বড় বড় ওলীআল্লাহ হয়েছেন, হবেন। যদি বড় ওলীআল্লাহ নাও হতে পারেন কিন্তু হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সিলসিলায় দাখিল হয়ে দোজাহানে ধন্য হয়ে থাকুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে কবুল করুন। আমীন।


 রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত ইখতিয়ার করা আমাদের সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য

রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত ইখতিয়ার করা আমাদের সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য

 আমাদের আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য তথা মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রহমত ও ইহসান পাওয়ার জন্য দরকার যিকির-ফিকির করা। আর যিকির-ফিকিরে ফয়েজ লাভ করার জন্য দরকার- কামিল মুর্শিদ বা পীর ছাহেব উনার মুবারক ছোহবত বা সান্নিধ্য ইখতিয়ার করা এবং উনাদেরকে আমাদের পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ধন-সম্পত্তি সবকিছু এমনকি আমাদের জীবনের চেয়ে বেশি মুহব্বত করা। মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার অশেষ নিয়ামত স্বরূপ আমাদের মাঝে আছেন যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মা, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। উনি লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের বাইয়াত করে কিভাবে যিকির-আযকার দ্বারা অন্তর পরিশুদ্ধ করা যায় তার তা’লীম দিচ্ছেন। আমাদের প্রত্যেককেই এই মহান মুজাদ্দিদ উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করে হাক্বীক্বী ইখলাছ অর্জন পবিত্র ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।


যামানার উলিল আমর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সন্তুষ্টি অর্জনই আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম

যামানার উলিল আমর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সন্তুষ্টি অর্জনই আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম

 মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তারা যদি মু’মিন হয়ে থাকে, তাহলে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য হলো, তারা যেন মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করে। উনারাই মুবারক সন্তুষ্টি পাওয়ার সমাধিক হক্বদার।” (সূরা তওবা: আয়াত শরীফ ৬২)

মূলত প্রত্যেক বান্দা ও উম্মতের মকছূদ হচ্ছে, আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত ও সন্তুষ্টি হাছিল করা। আর তা হাসিল করার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ইত্তেবায়ে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণই মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবর্তমানে উনার অনুসরণ করার মাধ্যম হচ্ছেন উনার নায়িব তথা উলিল আমরগণ, যারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মত ও পথের পূর্ণ অনুসারী। ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি হচ্ছেন বর্তমান যামানার উলিল আমর।

মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যেন আমাদের সকলকে ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী অনুসরণ করার তাওফীক দান করেন। (আমিন)

 

 হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যদি পৃথিবীতে তাশরীফ না নিতেন, তাহলে পৃথিবী আজ কুফরী, শিরকী, বিদয়াত-বিশরার অতল গহব্বরে তলিয়ে যেতো

 হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যদি পৃথিবীতে তাশরীফ না নিতেন, তাহলে পৃথিবী আজ কুফরী, শিরকী, বিদয়াত-বিশরার অতল গহব্বরে তলিয়ে যেতো

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, 

وقل جاء الحق وزهق الباطل ان الباطل كان زهوقا.

অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলুন সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত, মিথ্যা বিতাড়িত হওয়ারই যোগ্য।”

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আলোকে বলা যায় যখন সূর্য উদিত হয় তখন রাতের অন্ধকার দূরীভূত হয়ে সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় সারা জাহান। ঠিক তেমনি সারা কায়িনাত যখন ভ্রষ্টতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন, যুলুম, অত্যাচার, চুরি ডাকাতি অবিচার-অনাচার, গান-বাদ্য, টিভি-সিনেমা, ডিস, প্রাণীর ছবি, বেপর্দা, বেহায়া, অশ্লীলতা, নগ্নতা, কলহ-দ্বন্দ্ব, হত্যাকা- মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাস মানবতা, দয়া, দান ইহসান, মায়া, মমতা, করুণা, স্নেহ, সোহাগ, আদর ভু-লুণ্ঠিত জালিমের দৌরাত্ম্য সর্বত্র, মাজলুমের ফরিয়াদ শ্রবণের ব্যক্তির অভাব। সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতির সয়লাব, নামে বেনামে উলামায়ে ‘সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীদের রমরমা ব্যবসা অলিগলিতে প্রবাহমান ভ- ফকির ও ভ-পীরদের কারিশমা। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে বাদ দিয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে বেনামে ইহুদী-নাছারা কর্তৃক উদ্ভাবিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র বিশ্বময় ব্যাপী। ছহীহ আক্বীদার বিপরীতে কুফরী আক্বীদায় ভরপুর মানুষের মন-মগজ হতে শুরু করে বই-পুস্তক, পত্রিকাসহ গোটা কায়িনাত সত্য কথা বলার মহান ব্যক্তিত্বের চরম অভাব ঠিক সেই মুহূর্তে তমসাচ্ছন্ন পৃথিবীর তিমির আঁধারকে দূরীভূত করে সূর্যের মতো আলো দিয়ে আলোকিত করে পৃথিবীতে তাশরীফ নিয়েছেন খলীফাতুল্লাহিছ ছফফাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি ধরার বুকে তাশরীফ নিয়েছেন সুমহান ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ-এ।

পৃথিবীতে তাশরীফ নিয়ে তিনি জ্বীন-ইনসানকে দিচ্ছেন কল্যাণময় পথের সু-দিক-নিদের্শনা, তাওহীদ-রিসালতের শিক্ষা, সত্য-মিথ্যা পার্থক্য নিরূপণের ক্ষমতা, মানবতার আকাশচুম্বী উৎকর্ষ ও মর্যাদাবোধের চেতনা, যিনি দিচ্ছেন ব্যক্তিত্বের অনুভূতি, সচ্চরিত্র, মাধুর্যতা, সততা, ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ ও কর্মপন্থা, উত্তম আদর্শ, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পরম আস্থা ও নির্ভরতার যোগ্যতা, মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা, মায়া-মমতা, স্নেহ আদর ও মমত্ববোধ সুদৃঢ় মনোবল ইত্যাদি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তিনি যদি তাশরীফ না নিতেন, তাহলে সারা পৃথিবী নিশ্চিত কুফরী, শিরকী, বিদয়াত, বিশরার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতো।


 দুনিয়াবী ও আখিরাতের ফায়দা হাছিল করার মাধ্যম মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম

 দুনিয়াবী ও আখিরাতের ফায়দা হাছিল করার মাধ্যম মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম

ছোহবত লাভ করার অর্থ হচ্ছে সান্নিধ্য লাভ করা। মহান ওলীআল্লাহ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ছোহবত বা সান্নিধ্যে আসলে মানুষ যেমন মর্যাদাবান এবং হক্কানী হয় তেমনি কাফিরদের ছোহবত বা সান্নিধ্যে আসার কারণে মানুষ কাফির হয়, গুমরাহ হয়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত যারা মুহসিনীন তথা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, উনাদের উপরই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতে খাছ বর্ষিত হয়।” আর এই রহমতে খাছ আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের মুবারক ছোহবত ব্যতীত হাছিল হয় না। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা তওবা উনার মধ্যে আদেশ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছদিক্বীন তথা আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের সঙ্গী হয়ে যাও।” পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যতো হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পয়দা হয়েছেন উনারা প্রত্যেকেই ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করার কারণেই এতো বড় ইমাম-মুজতাহিদ হয়েছেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের উচিত যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে দুনিয়াবী ও আখিরাতের ফায়দা হাছিল করা।


 মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে গভীরতম নিছবত


 
মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে গভীরতম নিছবত

 যামানার মহান মুজাদ্দিদ, নূরে মুকাররম, আওলাদে রসূল ইমাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সদয় অনুমতিক্রমে ১৯৮৯ সনে আমি ও আমার মা যিয়ারত ও হজ্জ করার জন্য পবিত্র মদীনা শরীফ ও পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে গমন করি। পবিত্র মদীনা শরীফ ও পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উছীলায় অনেক অলৌকিক ঘটনাই ঘটেছিলো, তার মধ্যে একটি ঘটনা পেশ করছি-

বিদায় নেয়ার সময় হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মুবারক নির্দেশ করলেন, “সব অবস্থায় তুমি বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করবে।” হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এই পবিত্র নির্দেশ মুবারক যথাযথভাবে পালন করতে কোশেশে রত ছিলাম। আমার প্রাণের আক্বা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দয়া ও ইহসান রওযা শরীফ যিয়ারতের পর হতে দুরূদ শরীফ পড়ে আমি যা বলতাম তাই হতো। অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায় এক বিশেষ আত্মিক সম্পর্কে সৃষ্টি হয়েছিল। যা ভাষায় বর্ণনা করা অসম্ভব।

আমি তো হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এক আম মুরীদ। দুনিয়াবী বিভিন্ন কারণে এই বিশেষ নিয়ামতটি বেশি দিন ধরে রাখতে পারিনি। পরে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কাছে নিয়ামত বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা বর্ণনা করা মাত্রই তিনি বলে উঠলেন, “যাও, ঠিক করে দিচ্ছি।” সাথে সাথে আমার অবস্থা আগের মত হয়ে গেল। অর্থাৎ দরূদ শরীফ পড়ে যাই দোয়া করতাম- তাই হওয়া শুরু করলো। সুবহানাল্লাহ। মূলত আমার প্রাণের আকা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গভীর দায়েমী নিছবত থাকায় উনার এক অধম মুরীদের এই অবস্থা হয়েছিল। সুতরাং প্রতীয়মান হয় যে, তিনি খাছ নায়িবে রসূল, আওলাদে রসূল তথা রসূলে নো’মা। সুবহানাল্লাহ!


 মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মহাসম্মানিত তাজদীদী নামকরণ ‘সাইয়্যিদুল আসইয়াদ’ হাদিয়া করেছেন মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি

 

মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মহাসম্মানিত তাজদীদী নামকরণ ‘সাইয়্যিদুল আসইয়াদ’ হাদিয়া করেছেন মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি

 সৃষ্টির শুরু থেকে গণনা হিসেবে মাসের সংখ্যা বারোটি। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে অধিক সম্মানিত মাস হচ্ছে- মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস। এই মহাসম্মানিত মাসের মহাসম্মানিত একটি নামকরণ হাদিয়া করেছেন- মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি। আর সেটি হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদুল আসইয়াদ’। সুবহানাল্লাহ! ‘সাইয়্যিদুল আসইয়াদ’ অর্থ হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদেরও সাইয়্যিদ।’ সুবহানাল্লাহ!

মূলত, এ সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই যিনি উনার স্থান, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ নিয়েছেন। আবার এই যমীন থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক-এ মিলিত হয়েছেন এ মহাপবিত্র মাসেই। সুবহানাল্লাহ! এছাড়াও আনুষ্ঠানিককভাবে নুবুওওয়াত শরীফ, হিজরত শরীফ এবং আরও বহু মুবারক ঘটনা এই মহাপবিত্র মাসেই সংঘটিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের সম্মানে খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সর্বপ্রথম পৃথিবীর বুকে ৫৬ দিনব্যাপী মাহফিলের আয়োজন করেছেন। যার মধ্যে ২৭ দিন প্রতিযোগিতা মাহফিল। ২৭ দিন ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল এবং ৩ দিন সামা শরীফ উনার মাহফিল।

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কাছে বাইয়াত হয়ে, ছোহবত ইখতিয়ার করে মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ সম্পর্কিত বিশুদ্ধ আক্বীদা অর্জন করার তাওফীক দান করুন। (আমীন)।


 আল মুজাদ্দিদুল আ’যম মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অনুসরণ করলেই মুসলিম জাতি ধ্বংসের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারে

 

আল মুজাদ্দিদুল আ’যম মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অনুসরণ করলেই মুসলিম জাতি ধ্বংসের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারে

 ধ্বংসের কারাগারে আজ মুসলিম জাতি আবদ্ধ। ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীরা এবং উলামায়ে ‘সূ’রা মিলে মুসলমানগণ উনাদেরকে অতি সুকৌশলে বন্দি করে রেখেছে সেই কারাগারে। মুসলিমরা অনুধাবনই করতেই পারছে না যে, নিজেরা সেই কারাগারে আটক। অথচ অতি শীঘ্রই ফাঁসি দেয়ার জন্য ওঁৎ পেতে আছে বিধর্মী এবং তাদের পা-চাটা গোলাম উলামায়ে ‘সূ’রা। তারা ফাঁসির ফরমান জারি করেছে মুসলিম উম্মাহর উপর, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার উপর, তারা মুসলিম এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ধ্বংস করে, একা রাজত্ব করতে চায় এই দুনিয়ায়। উলামায়ে ‘সূ’রা হতে চায় সেই রাজত্বের রাজাদের পা-চাটা পোষা কুকুর। এটাই তাদের প্ল্যান-প্রোগ্রাম। এটাই তাদের একান্ত বাসনা।

এই উদ্দেশ্যকে লক্ষ্যে করেই নিকৃষ্ট প্রাণী উলামায়ে ‘সূ’ এবং তাদের মুনীবেরা মিলে মুসলিম জাতিকে ধ্বংসের কারাগারে রুদ্ধ করেছে। তাদের উপর ফাঁসির পরওয়ানা জারি করেছে।

ধিক! মুসলিম জাতির জন্য। শত ধিক! আফসুস তারা তাদের শত্রুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে। চিনতে পারছে না তাদেরকে। নিজের অজান্তেই শত্রুদেরই শিকারে পরিণত হয়েছে তারা। ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে। নিজ ঐতিহ্যকে হারিয়েছে। অবশেষে আজ ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলন্ত।

হে মুসলিম! তুমি তোমার বিবেক শানিত কর। যামানার মুজাদ্দিদ, আল মুজাদ্দিদুল আ’যম, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দামানে আশ্রয় চাও। তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিবেন। ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে রেহাই দিবেন। ধ্বংসের কারাগার থেকে বের হতে পারবে তুমি। নিতে পারবে তুমি তোমার প্রতিশোধ। পারবে তোমার শত্রুর অন্তরাত্মা বের করে আনতে, উলামায়ে ‘সূ’দেরকে ধরা থেকে উৎখাত করতে। ফিরে পাবে তুমি তোমার পবিত্র ঈমানী জজবা। বাতিলের বুকে হানবে কুঠারাঘাত। বাতিল ধরণী হতে গোরে নিপতিত হবে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নূরে নূরানী হবে জাহান। মর্যাদা বুলন্দ হবে তোমার। পবিত্র দ্বীন ইসলাম এবং মুসলিমের ত্রাণকর্তা তিনিই। কারণ তিনি হাবীবে খোদার নয়নের দুলাল, সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, সুলত্বানিন নাছীর। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দয়া ও ইহসান সব সময় উনার উপর বিরাজমান। তিনি মাহবুব মাওলার। তিনি ইলাহীর মুনাওওয়ার।


 মহান মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীদের জন্য ধ্বংস অনিবার্য


মহান মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীদের জন্য ধ্বংস অনিবার্য

 সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পৃথিবীতে তাশরীফ নেয়ার সাথে সাথে শত্রুতা পোষণ করে ছিল সে যুগের ইহুদী-নাছারা কাফির মুশরিকরা। তারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার দুরভিসন্ধিসহ পৃথিবীর সমস্ত কূটকৌশল অবলম্বন করেছিল উনার বিরুদ্ধে। এক সময় তাদের সমস্ত কূটকৌশল ব্যর্থ হয় এবং তারা দুনিয়াতেই কঠিন আযাব-গযবে পড়ে জিহাদের ময়দানে মুসলমানদের তরবারির আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায়। কেউবা আযাব-গযবে, পচে গলে বিকলাঙ্গ হয়ে চির অধিবাসী হয় ভয়ানক শাস্তির কেন্দ্রস্থল জাহান্নামে।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বিরোধিতা করার জন্য আবু জাহিল, আবু লাহাব, ওতবা, শায়বা, মুগীরা প্রমুখের যে অবস্থা হয়েছিল; তদ্রুপ মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে বিরোধিতাকারীদেরও আবু জাহিল, আবু লাহাব, ওতবা, শায়বা, মুগীরার মতো অবস্থা হবে। অর্থাৎ উনার সাথে কেউ যদি শত্রুতা পোষণ করে, উনার বিরোধিতা করে, উনার শান মান-এর উপর অবৈধ হস্তক্ষেপ করে, করার চেষ্টা করে তাহলে সেও নিশ্চিত ধ্বংস হয়ে যাবে। তার ধ্বংস অবধারিত। পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমার ওলীআল্লাহ উনাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করি।” অতএব, যার বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ পাক তিনি জিহাদ ঘোষণা করেন তার বাঁচন নাই, ধ্বংস অবধারিত।

তাই যারা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতা করে তাদের ক্ষণকাল বিলম্ব না করে অচিরেই তওবা করা উচিত। নচেৎ তাদের অবস্থাও আবু জাহিল, আবু লাহাব, ওতবা, শায়বা, মুগীরার মতোই হবে। অতএব, সাবধান!


সকল অনৈসলামিক কাজের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্যই মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আগমন

সকল অনৈসলামিক কাজের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্যই মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আগমন

 বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশে মুসলমানগণ সুমহান আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। মুসলমানগণ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের আমল বাদ দিয়ে আল্লাহদ্রোহী ও রসূলদ্রোহী’র কাজে নিমজ্জিত হচ্ছে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পরিবর্তে গণতন্ত্র করছে, ছবি তুলছে, লংমার্চ করছে, কুশপুত্তলিকা তৈরি করে দাহ করছে, হরতাল ও অনশন বা হাঙ্গার স্ট্রাইক করছে, বেপর্দা হচ্ছে, খেলাধুলা করছে। পথভ্রষ্ট এবং লক্ষ্যবিচ্যুত মানুষের অনুভব ও অনুসরণকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সুন্নত উনার বিধানে মহান আল্লাহমুখী করে দেবার জন্য এমন ব্যক্তিত্ব পৃথিবীতে সব সময়ই মজুদ থাকেন। এ মহান দায়িত্বের আঞ্জাম দেয়ার জন্য পৃথিবীতে প্রতি শতাব্দীতেই মুজাদ্দিদ বা সংস্কার উনার আবির্ভাব ঘটে। পৃথিবীর এসব অনৈসলামিক কাজের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য মুসলমানগণের জন্য অশেষ নিয়ামতস্বরূপ, সুন্নত জিন্দাকারী, সকল বাতিল মতবাদের মূলোৎপাটনকারী এবং বর্তমান হিজরী শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি।


 মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক-এ বুছা দানকারীগণই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক দীদার লাভে ধন্য হয়ে থাকেন!

মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক-এ বুছা দানকারীগণই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক দীদার লাভে ধন্য হয়ে থাকেন!

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, ইমামে আ’যম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অসংখ্য অগণিত লক্বব মুবারক-এর মধ্যে অন্যতম লক্বব মুবারক হচ্ছে রসূলে নো’মা। মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুরীদানের মধ্য হতে যখন যাকে ইচ্ছা জাগ্রত অবস্থায় অথবা স্বপ্নযোগে রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিয়ারত করিয়ে দিতে পারেন। সুবহানাল্লাহ!

হে দুনিয়ার মুসলমানগণ! যদি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীদার লাভে ধন্য হতে চান? তাহলে আমার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক-এ চুমা খেয়ে উনার নিকট বাইয়াত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীদার লাভের সৌভাগ্য অর্জন করুন। 


 সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ই’জায শরীফ


 
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ই’জায শরীফ

সৃষ্টি অঙ্গনের ভিত্তিমূল হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ। উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম হাবীব সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মাহবূব এবং নায়িব।

হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যে আ’লা দরজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব হলেন যামানার সম্মানিত মুজাদ্দিদগণ। নিঃসন্দেহে উনারাই স্ব স্ব যামানায় দ্বীনের ধারক-বাহক।

সকলেরই জানা রয়েছে- সম্মানিত মুজাদ্দিদগণ উনাদের ধারাবাহিকতায় শীর্ষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। যিনি সর্বযুগের সকল সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামান্য মুজাদ্দিদ, যিনি সর্বকালজয়ী অসম্ভব ক্ষমতাধর শরীয়ত ও তরীক্বতের রাহবার, যিনি দ্বীন ইসলামের ভিত্তিমূল। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, “ইমাম হবেন কুরাইশ থেকে।” (মুসনাদে আহমদ, ফতহুল বারী)

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি মূলত উল্লেখিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত কুরাইশী ইমামই শুধু নন, তিনি একই সাথে সম্মানিত কুরাইশ খান্দানের পবিত্র হাসনাইনি নসব মুবারক উনার শ্রেষ্ঠ ইমাম অর্থাৎ ইমামে আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, সকল ওলীগণ উনাদের ইমাম, সমস্ত মুজাদ্দিদগণ উনাদের ইমাম, দুনিয়া ও জান্নাতের ইমাম, সর্বোপরি তিনি সারা কায়িনাতের ইমাম। সুবহানাল্লাহ!

তাই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার প্রত্যেকটি মর্যাদা-মর্তবা প্রাপ্তি, মুবারক শান-মানের প্রকাশ, তাজদীদ ও যাবতীয় কার্যক্রম মহান বারে ইলাহী উনার কুদরত মুবারকে এবং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’জিযাহ শরীফে সম্পাদিত হয়। আর বিষয়গুলো যে কারামতে বা ই’জায শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার লক্ষ কোটি ই’জায শরীফের মাঝে মুরীদদেরকে ফেরেশতা দ্বারা গায়েবী মদদ করা একটি বিশেষ ই’জায মুবারক। আর বিশেষভাবে তিনি আপন মুরীদ-মুহিব্বিনদেরকে শ্রেষ্ঠ ফেরেশতাদের দিয়ে সাহায্য করে থাকেন। এমনই একটি চমৎকার ই’জায শরীফ বর্ণিত হলো-

আমাদের এক পীরভাই মুহম্মদ ফারুক হুসাইন। যিনি বাণিজ্যিক গ্রুপ হা-মীম গ্রুপের আইটি ম্যানেজার।

অনেক বছর আগে পবিত্র কুরবানী ঈদ উপলক্ষে তিনি নিজ গ্রামের বাড়ি ভোলাতে যান। কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করে লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।

বোরহানউদ্দিন থেকে রওয়ানা শুরু, গঙ্গাপুর হয়ে লঞ্চ ধুলিয়া এসে থামলো। লঞ্চ ঘাটে লোকে লোকারণ্য, লঞ্চ যখনই যে ঘাটে থামে সে ঘাট থেকে বিপুল সংখ্যক লোক লঞ্চে উঠে পড়ে। যাত্রীদের আধিক্যের কারণে মুহম্মদ ফারুক হুসাইনের কেবিনের সামনেও লোকজন চাপাচাপি করে বসে যায়। অবস্থা দর্শনে মনে হয় লঞ্চটা যেন এখনই ডুবে যাবে।

মুহম্মদ ফারুক হুসাইন কেবিনের ভিতরে বসে আছরের নামায শেষে ৪ বৎসর বয়সী শিশু ছেলেটাকে নিয়ে মহান মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে স্মরণ করে মনে মনে বলতে থাকেন যে, ইয়া গাউছুল আ’যম মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! আমি আমার সপরিবারে ঢাকা রওয়ানা দিয়েছি, আপনিই দেখার ও হিফাযতের মালিক। আপনি আমাদেরকে হিফাযত করুন।

শায়েখ পানে এই আরজু করার পর মুহূর্তেই তিনি দেখেন একজন বুযুর্গ ব্যক্তি মুহম্মদ ফারুক হুসাইনের সামনে উপস্থিত। বুযুর্গ ব্যক্তির পরনে পবিত্র সুন্নতী কোর্তা ও সেলাইবিহীন লুঙ্গি, মাথায় সুন্নতী পাগড়ি ও রুমাল, সুন্নতী চুল ও দাড়ি রয়েছে। আগত বুযুর্গ ব্যক্তিকে মুহম্মদ ফারুক হুসাইন প্রথম দর্শনে পীরভাই মনে করেছিলেন। কারণ এ রকম সুন্নতী পোশাক তো এখন রাজারবাগ শরীফ সিলসিলা ব্যতীত কেউ পরেন না। আগন্তুক মুহম্মদ ফারুক হুসাইনকে সালাম দিলেন এবং নিজ থেকেই পরিচয় দিলেন যে, তিনি একজন শ্রেষ্ঠ হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মুহম্মদ ফারুক হুসাইন সালামের জাওয়াব দেন এবং শিশু ছেলের মাধ্যমে উনাকে কিছু হাদিয়া প্রদান করেন। সেই হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি হাদিয়া গ্রহণ করে অদৃশ্য হয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই লঞ্চের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। কিছু সংখ্যক পুলিশ এসে লঞ্চের কিছু যাত্রী নামিয়ে দেয়, লঞ্চ রওয়ানা শুরু করে। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার গায়েবী মদদে অত্যন্ত নিরাপদে মুহম্মদ ফারুক হুসাইন স্বপরিবারে ঢাকা পৌঁছে যান।

মহান বারে ইলাহী তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার উসীলায় আমাদের সকলকে সার্বক্ষণিক গায়েবী মদদ ও ইহসান করুন। আমীন!


যামানার সকল বিদয়াত দূরীভূত করার জন্যই রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আগমন

যামানার সকল বিদয়াত দূরীভূত করার জন্যই রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আগমন

 আজ বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে গণতন্ত্র করা, ছবি আঁকা ও ছবি তোলা, টেলিভিশন দেখা, খেলাধুলা করা নানা রকম ফিতনা-ফ্যাসাদ ও বিদয়াত কাজে নিমজ্জিত। এ অবস্থায় পবিত্র ঈমান ও আমল নিয়ে মুসলমানদের বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আশার কথা হলো আমাদের মাঝে যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল, ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আছেন। তিনি লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের ছোহবতে এনে অথবা রূহানি শক্তির মাধ্যমে হিদায়েত লাভের পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন। মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি দৈনিক আল ইহসান শরীফ ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মাধ্যমে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের আলোকে বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমল সম্পর্কে বিশ্বের সব মুসলমানদের অবহিত করছেন এবং পাশাপাশি পৃথিবী থেকে সব বিদয়াত, শিরক ও কুফরী দূরীভূত করার দায়িত্ব পালন করছেন।


 আল মুজাদ্দিদুল আ’যম আলাইহিস সালাম  তিনিই বিশ্ব মানবের মুক্তির ঠিকানা


 
আল মুজাদ্দিদুল আ’যম আলাইহিস সালাম  তিনিই বিশ্ব মানবের মুক্তির ঠিকানা

 মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাবধান! নিশ্চয়ই যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয় নেই, চিন্তা নেই, পেরেশানী নেই। উনাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে রয়েছে সুসংবাদ।”

মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “দুনিয়া এবং দুনিয়াতে যা কিছু রয়েছে সবকিছুই মালউন বা লা’নতগ্রস্ত। একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির, যিকিরকারী এবং আলিম ও ত্বলিবে ইলম ব্যতীত।”

এখানে যিকিরকারী ও আলিম দ্বারা উদ্দেশ্য মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী এবং ত্বলিব দ্বারা উদ্দেশ্য মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীদের অনুসারী, মুহব্বতকারী।

কেননা উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে, পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিলের পর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হয়েছেন উনাদের তো কোনো ভয় নেই, তা তো আমরা বুঝতে পারলাম। কিন্তু যারা এখনও মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হতে পারেনি, তাদের ফায়ছালা কি? জবাবে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে যাকে মুহব্বত করবে, সে তার অন্তর্ভুক্ত।” সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ যারা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদেরকে মুহব্বত করবে তারাও ইহকাল ও পরকালে মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক সন্তুষ্টি-রেযামন্দি লাভ করতে পারবে। তাদের কোনো ভয় থাকবে না। তাই বিশ্বের সমস্ত মানব জাতির উচিত হবে মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ ও লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, আল মুজাদ্দিদুল আ’যম সাইয়্যিদুনা ইমাম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বত করে, উনার মুরীদ হয়ে, উনার মুক্তির নিশান তলে আশ্রয়Ñনিয়ে ইহকাল ও পরকালে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক সন্তুষ্টি হাছিল করা। ইহজীবন ও পরজীবনে চরম কামিয়াবী অর্জন করা। উনার মুবারক ছোহবতে এসে ঈমানী কুওওয়াত অর্জন করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানের চিরশত্রু উলামায়ে ‘সূ’ এবং বিধর্মীদের উৎপাত থেকে ধরাকে মুক্ত করা। ধরার বুকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। কারণ উনার নিশান তলেই বিশ্বমানবের মুক্তির ঠিকানা।


 মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার আনুগত্যেই ইস্তিকামতের মূল

 মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার আনুগত্যেই ইস্তিকামতের মূল

মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কলামে পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত পবিত্র দ্বীন হলো ইসলাম।” পবিত্র দ্বীন ইসলাম একটি ব্যাপক বিষয়ের নাম। যাকে পবিত্র দ্বীন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আর এই পবিত্র দ্বীন বা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ভিত হল পবিত্র ঈমান। পবিত্র ঈমান উনার সাথে বিশুদ্ধ আক্বীদা ও বিশ্বাসসহ পরম ধর্মীয় আনুগত্যকারী আখ্যায়িত হন মু’মিন নামে। দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তির জন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষের পালনযোগ্য করে পবিত্র দ্বীন হিসেবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে মনোনীত করেছেন।

যুগে যুগে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লাখ চব্বিশ হাজার হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর নাযিলকৃত বিধান তথা ধর্ম প্রচারে প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকে শহীদও হয়েছেন। অনেকের একজন উম্মতও ছিল না। এরপরেও উনারা দ্বীন প্রচারে দৃঢ় ছিলেন। 

পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার করতে গিয়ে একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন সৃষ্টির মূল, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুতরাং এটা সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র সুন্নত। বাহ্যিক দৃষ্টিতে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের এসব ঘটনা বেদনাদায়ক হলেও এসব ঘটনা পরবর্তী উম্মতের জন্য পবিত্র দ্বীন প্রচারে ইস্তিক্বামত থাকার ক্ষেত্রে নছীহতস্বরূপ।

হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি নাযিলকৃত একমাত্র মনোনীত পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’। এর অনুসারীদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্যের সাথে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিধানাবলী পালনের জন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ঘটনাসমূহ বর্ণনা করেছেন। যেন এসব ঘটনা তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ইহসানের নিদর্শনরূপে চরম অনুগত হতে সাহায্য করে।

মূলত, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র দ্বীন প্রচারের সেই বৈরী পরিবেশ পরবর্তী সব যুগেই বিদ্যমান। আর এ জন্যেই উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে যাঁরা ওলী উনাদেরকে পূর্ববর্তী নবীগণের অনুরূপ হাদী হিসেবে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে। আর যাঁরা যুগের লক্ষ্যস্থল ইমাম, মুজাদ্দিদে যামান, মুজাদ্দিদে আ’যম, উনাদেরকে আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বায়িম-মাক্বাম বলে অভিহিত করা হয়েছে। কারণ উনারা নবী নন, বরং উম্মতের ওলী হিসেবে উনাদেরকে যে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার উপর ইস্তিকামত থাকা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত এবং উনার রসূর, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহসানের কারণেই সম্ভব হচ্ছে। হাক্বীক্বতে যামানার ইমামের ক্ষেত্রে সে কথাটিই প্রযোজ্য যে, এ যুগে তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল নন, এছাড়া যত মুবারক মর্যাদা-মর্তবা ও মাক্বাম রয়েছে মহান আল্লাহ পাক তিনি সবকিছুই উনাকে দান করেছেন।

আমরা যদি গভীরভাবে একটু চিন্তা করি। বিবেককে একটু শানিত করি। বিবেকের জবাব শুনি সেকি বলে? বিবেক এটাই বলে যে, আমাদের চারপাশে শুধু হারাম কাজে ভরপুর। কি ঘরে? কি বাইরে? কি রাস্তায়? কি মাঠে? কি বাজারে? কি শিক্ষাঙ্গনে? কি বাণিজ্যে? কি তথাকথিত রাজনীতিতে? 

বর্তমানে সব জায়গায় ব্যাপক আকারে হারাম কাজ চলছে। সাধারণত মুসলমানগণ যে পোশাক পরিধান করে, তা বিজাতীয়। অনেকের ঘরের পরিবেশও ইসলামী পরিবেশ নয়। অনেকের ঘরে রয়েছে টিভি, ডিভিডি, ভিসিআরসহ বিভিন্ন রকমের বাদ্যযন্ত্র। রাস্তায় বের হলে দেখা যায় শত শত হারাম কাজ। বেপর্দা-বেহায়া, অশ্লীল-অশালীনতায় রাস্তা-ঘাট টইটম্বুর। বিভিন্ন খারাপ অশ্লীল ছবিতে চারপাশ একাকার। সিনেমা হলগুলো হলো গুনাহের আখড়া।

যেখানে শিক্ষাঙ্গন লেখাপড়া শিক্ষা করা হয়, সেখানেও রয়েছে বিভিন্ন হারাম, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নেই কোনো পর্দা। নেই শিক্ষক, মহিলা শিক্ষিকাদের মধ্যেও। কলেজ ইউনিভার্সিটিগুলোতে তো আরো খারাপ পরিবেশ। এমন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলোতে প্রায় নগ্ন পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে ছাত্রীরা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়। নাঊযুবিল্লাহ!

ব্যবসা বাণিজ্য করতে গেলে, মনে হচ্ছে সেখানে শুধু সুদ-ঘুষ, মিথ্যা কপটতা ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নেই। তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির অবস্থা তো এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরেও যদি কেউ পবিত্র ইসলামী মন-মানসিকতা নিয়ে কোনো মাওলানা মুফতীর দ্বারপ্রান্তে হাজির হয়, তাহলে দেখতে পায় তারা হারাম কাজে আমজনতাকে হার মানিয়েছে। কি বেহাল অবস্থা মুসলমানদের? কি বেহাল দেশের? কি বেহাল বর্তমান পৃথিবীর? কিভাবে মুসলমানগণ হক্বে থাকবে? 

মহান আল্লাহ পাক তিনি রব্বুল আলামীন উনার অসংখ্য শুকরিয়া এবং অগণিত দুরূদ ও সালাম আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরে। উনারা দয়া করে ইহসান করে আমাদের উপহার দিয়েছেন পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, আল-মুজাদ্দিদুল আ’যম, জামিউল আওলিয়া, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে। 

তিনি এই কঠিন পরিস্থিতিতেও পরিপূর্ণ পবিত্র সুন্নত উনার পাবন্দ। পবিত্র সুন্নত উনার খিলাফ কোন আমল করেন না। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস সম্মত উনার সমস্ত আমল-আখলাক, কথা-বার্তা। 

তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গুণে গুণান্বিত। এই কঠিন ফিতনা-ফাসাদের যুগেও তিনি পরিপূর্ণ হক্বের উপর ইস্তিকামত। পবিত্র কুরআন ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার আমলে তিনি চরম-পরম দৃঢ়। তার থেকে তিনি এক চুলও বিচ্যূত হন না। উনার মুবারক ছোহবতে যারা আসে তাদের মাঝেও সেই পবিত্র সুন্নত উনার আমল পরিলক্ষিত হয়। তারা নবী প্রেমে এ পবিত্র সুন্নত উনাকে দৃঢ়তার সাথে আঁকড়ে ধরেন। হক্বের পথে তারা পরিচালিত হন। 

কাজেই এ ফিতনা বেষ্টিত সমাজে আল মুজাদ্দিদুল আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবত পেলেই, উনার মুবারক রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ পেলেই সকলেই হক্ব পথে হক মতে থাকতে পারবে। অন্যথায় তা একেবারেই অসম্ভব।


 বেমেছাল সুন্নতী রঙে রঞ্জিত সুমহান পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ

 

বেমেছাল সুন্নতী রঙে রঞ্জিত  সুমহান পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ

আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি শেষ নবী, আমার পরে আর কোনো নবী নেই।”

 সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে আর কোনো নবী বা রসূল আসবেন না ঠিকই; তবে অবশ্যই নায়িবে নবী বা নবীর প্রতিনিধি আসবেন। উনাদের প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এই উম্মতের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন মহান মুজাদ্দিদ উনাকে প্রেরণ করবেন, যিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রবিষ্ট বিদয়াত বেশরা সংস্কার করবেন। তা দূর করবেন।” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে যামানার ইমামকে চিনলো না বা জানলো না সে যেন জাহিলিয়াতের মধ্যে মৃত্যু বরণ করল।”

 কাজেই এ যুগের জ্বিন-ইনসানের জন্য সুখবর। উনাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমত, মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বেশুমার ইহসান যে, উনাদের অতিশয় দয়া এবং ইহসানে আপনার আমার সকলের জন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ঘোষিত সেই মহাসম্মানিত ইমাম ও মুজাদ্দিদ, তিনি অবস্থান মুবারক করছেন এই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে রাজারবাগ শরীফ-এ। এটা আপনার আমার জন্য খোশ নসীব এবং সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ তিনি তো অন্য দেশেও আসতে পারতেন। তাহলে আপনার আমার কী অবস্থা হতো? সুতরাং মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের প্রতি যে অগণিত ইহসান করেছেন তার শুকরিয়া প্রকাশ করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য।

আর দেরি না করে, চিন্তা-ফিকির না করে অতিসত্বর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ নায়িব প্রতিনিধি এবং নবীজী উনার খাছ আওলাদ তথা বংশধর, যামানার ইমাম ও হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট এসে বাইয়াত গ্রহণ করে যিকির-আযকার ও ছোহবত ইখতিয়ার করে ফায়েয-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করে পরিপূর্ণ ঈমানদার এবং মু’মিনে কামিল তথা খালিছ ওলীআল্লাহ হয়ে পরকালের সৌভাগ্য হাছিল করুন।

 উল্লেখ্য, উনার মুবারক মাথার তালু থেকে মুবারক পায়ের তলা পর্যন্ত, উনার জীবন মুবারকের প্রত্যেকটা মুহূর্ত, প্রত্যেকটা কর্ম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নতে পরিপূর্ণ। উনার মাথা মুবারকে রয়েছে পবিত্র সুন্নতী সাদা রুমাল, সাদা, কালো অথবা সবুজ পাগড়ি মুবারক, সাদা রঙের চার টুকরা বিশিষ্ট সুতি কাপড়ের পবিত্র সুন্নতী টুপি মুবারক, গায়ে সাদা সুতি কাপড়ের পবিত্র সুন্নতী কোর্তা, সুন্নতী জুব্বা, পরনে সিলাই বিহীন সাদা লুঙ্গি, পা মুবারকে চামড়ার তৈরি ক্রস বেল্টের খয়েরী রঙয়ের স্যান্ডেল। শরীর মুবারকে সুন্নতী শাল বা চাদর। শোয়ার ক্ষেত্রে চামড়ার তৈরি বালিশ, যার ভিতরে খেজুর গাছের ছাল-বাকল ও ছোবড়া, পাতা। এক বিঘত উচু কাঠের তৈরি পবিত্র সুন্নতী চারপায়া চকি। যার উপরে পবিত্র সুন্নতী খেজুর পাতার চাটাই, অথবা কম্বল। চামড়ার তৈরি খয়েরী রঙয়ের দস্তরখানা, কাঠের প্লেটে খাদ্য খান, কাঠের পেয়ালায় পানি পান করেন, দুধ, চা ইত্যাদি পান করেন।

 সদা হাসোজ্জ্বল, সদালাপী, মিষ্টভাষী, নূরানী চেহারা মুবারক। যে কোনো মানুষের প্রশ্নের জবাব দেন। উনার নিকট কেউ প্রশ্ন করলে তিনি কখনো বিরক্ত হন না। উনার নিকট কেউ এলে পরম মমতায় তাকে আপন করে নেন। একবার উনার মুবারক সান্নিধ্যে গেলে সে অবশ্যই উনার মুবারক ফায়েজ তাওয়াজ্জুহ হাছিল করে পর্যায়ক্রমে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হয়ে যায়। মাদরাসায় না পড়েও কোনো লোক উনার মুবারক ছোহবতে গেলে উনার বেমেছাল ইলহামী আলোচনা শুনে, উনার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পড়ে বড় আলিম হয়ে যায়।

 আপনি মাদরাসায় পড়েননি, আপনার তেমন ইসলামী শিক্ষা নেই- কোনো সমস্যা নেই, উনার পবিত্র সান্নিধ্যের নূরে, উনার প্রদত্ত মুবারক ওযীফা পালনে অতি অল্প সময়ে আপনি সহীহ দ্বীনি ইলমে পারদর্শী হয়ে উঠবেন, পবিত্র সুন্নত আমলে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। সুতরাং আপনার উপর মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহসানের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদে আ’যম উনার মুবারক সান্নিধ্যে এসে নিজেকে ধন্য করুন।

 উল্লেখ্য, প্রতি জুমুয়াবার সুন্নতী মসজিদে তিনি মহা মূল্যবান বয়ান পেশ করেন। প্রতিদিন খানকা শরীফ-এ তালিম মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। 

 উল্লেখ্য, মহিলাদের জন্যেও রয়েছে সুসংবাদ। সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফযালুন নিসা, আলিমাতুল আলাম, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা, আওলাদে রসূল আমাদের সম্মানিতা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম উনার হাক্বীক্বী মিসদাক, উনার মুবারক সান্নিধ্যে এসে একজন বেপর্দা, বেআমল মহিলাও হতে পারেন আলিমা, হাদী, খাছ পর্দানশীন মুসলিমা, মু’মিনা তথা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী। প্রতিদিন তিনিও মহিলাদেরকে খাছ পর্দার সাথে জ্ঞানগর্ভ তা’লীম-তালকীন হয়। হক্ব পিয়াসী মা-বোনদের প্রতি রইল আমন্ত্রণ। 

 মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে যামানার ইমামের মুবারক সান্নিধ্যে আসার তাওফীক দান করুন। আমীন।