হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মুবারক নির্দেশনা ব্যতীত হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কিছুই বলেন না ও করেন না
হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ রয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন: “উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে কতজন খলীফা খিলাফত পরিচালনা করবেন, এ বিষয়ে আমরা নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি ইরশাদ করেন: “বনী ইসরাইলের বারোজন নক্বীব উনাদের মতো আমার উম্মতের মাঝেও বারোজন খলীফা উনারা খিলাফত পরিচালনা করবেন।” (আহম্মদ, বাযযার, তারীখুল খলীফা)
সম্মানিত এই উম্মত তথা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মাঝে আলোকবর্তিকা হলেন মহান খলীফাগণ। উনারা উম্মতের রাহবার। হিদায়েতের কেন্দ্রবিন্দু খলীফাগণ মহান বারে ইলাহী এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ লক্ষ্যস্থল এবং নায়িব। উনাদের ফযীলতের আধিক্য এতটায় যে, স্বয়ং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত খলীফাগণ সম্পর্কে দোয়া করেছেন, “হে পরওয়ারদিগার আল্লাহ পাক! আমার খলীফা উনাদের উপর রহম করুন, যাঁরা আমার পরে আসবেন। উনারা আমার হাদীছ শরীফ ও সুন্নতসমূহ মানুষের কাছে বর্ণনা করবেন এবং মানুষদেরকে তা শিক্ষা দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তবারানী, কানজুল উম্মাল)
প্রিয় পাঠক! সারা বিশ্ববাসী এখন কে নিয়ন্ত্রণ করছেন বা কার উসীলায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে? কার উসীলায় মুসলমানগণ রহমত বরকত সাকীনা হিদায়েত ইত্যাদি লাভ করছেন? কার উসীলায় মুসলমানদের চরম শত্রু ইহুদী-নাছারা-কাফির-মুশরিক অস্পৃশ্য যবন ম্লেচ্ছরা মুসলমানদের প্রতি যুলুম নির্যাতনের শাস্তিস্বরূপ ধ্বংস হচ্ছে? কার উসীলায় মুসলমান দেশসমূহে খাদ্যশস্য ও ফলমূল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হচ্ছে? এ সকল প্রশ্নের উত্তর একটিই অর্থাৎ এ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছেন বা যাঁর উসীলায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তিনি হলেন- সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এ উল্লিখিত খলীফাগণের মাঝে তিনি অন্যতম শ্রেষ্ঠ খলীফা। উনাকে মহান বারে ইলাহী আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা অত্যধিক মুহব্বত করে সমস্ত ইলম, অতুলনীয় মাক্বামাত ও সর্বশীর্ষ পর্যায়ের খিলাফত হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পরিপূর্ণভাবে নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিকৃতি। সিরত মুবারক, ছূরত মুবারক, আদত মুবারক, আখলাক মুবারক সব ক্ষেত্রেই উনারা হুবহু একইরূপ। শুধু তাই নয় নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মুবারক নির্দেশনা ব্যতীত সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একটি শ্বাস-প্রশ্বাসও গ্রহণ-নির্গমন করেন না। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার লক্ষ-কোটি কারামতের মাঝে উপরোল্লিখিত ফযীলতটি একটি খাছ মুবারক কারামত। যা মুহব্বত-মারিফাত প্রত্যাশী মুরীদ-মুহিব্বিনগণকে মাঝে মাঝে প্রত্যক্ষ করানো হয়। এমনই একটি বরকতপূর্ণ কারামত প্রকাশ করা হবে, যাতে উনার প্রতি বিশ্ববাসী জিন-ইনসানের আক্বীদা আরো বিশুদ্ধ হয়, সুধারণা বলিষ্ঠ হয়, মুহব্বত প্রতিষ্ঠিত হয় অনন্তকালের জন্য।
আমাদের একজন পীরভাই মুহম্মদ হারুনুর রশীদ। তিনি বাউনিয়া আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর বিশিষ্ট আমিল। মুহম্মদ হারুনুর রশীদ তিনি একবার একটি মুবারক স্বপ্ন অবলোকন করেন। তিনি দেখেন একটি স্থানে চমৎকার একটি মসজিদ। মসজিদের অভ্যন্তরে একটি নূরানী মুবারক মিম্বর শরীফ। মিম্বর শরীফ-এ সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বসে রয়েছেন। তিনি মুবারক মিম্বর শরীফ-এ বসে পবিত্র নছীহত দান করছেন। পাশে একটি পর্দা ঝুলছে। হঠাৎ মৃদু বাতাস আসলো, পর্দাটি সরে গেলো। মুহম্মদ হারুনুর রশীদ তিনি লক্ষ্য করলেন, পর্দার ওই পাশে আরেকটি মুবারক মিম্বর শরীফ, সে মুবারক মিম্বর শরীফ-এ সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হুবহু অনুরূপ সুমহান একজন ব্যক্তিত্ব বসে নছীহত করছেন। আশ্চর্য বিষয়, ওই পাশের সুমহান ব্যক্তিত্ব যা যা বলেন, যেভাবে বলেন, যেমনটি আওয়াজে বলেন তার ঠিক পর মুহূর্তেই সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি তা তা বলেন, তেমনভাবে বলেন এবং তেমন আওয়াজেই বলেন। সুবহানাল্লাহ!
সার্বিক অবস্থাদর্শনে অতিশয় তাওয়াজ্জুব হওয়া মুহম্মদ হারুনকে লক্ষ্য করে সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, “উনি আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি যা বলেন আমি তাই বলি, তিনি যেভাবে বলেন আমিও সেভাবেই বলি। তিনি যা বলেননা আমি তা কস্মিনকালেও বলিনা।”
সুবহানাল্লাহ! কত শান মান ইজ্জত সম্মান প্রাপ্ত আমাদের প্রাণপ্রিয় শায়খ ও মুর্শিদ, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আওলাদে রসূল হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী মুহব্বত মারিফাত ও সন্তুষ্টি হাছিল করার তাওফীক দান করুন।