২৪ ঘন্টা সদা সর্বদা নবীজীর ধ্যানে খেয়ালে স্মরনে থাকতে হবে।


২৪ ঘন্টা নবীজীর প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করলেই সকল নেক মকছুদ পূর্ণ হবে, এবং জীবনের সকল গুনাহ খতা ক্ষমা হবে। অর্থাৎ সদা সর্বদা নবীজীর ধ্যানে খেয়ালে স্মরনে থাকতে হবে।

সহীহ হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে,
قَالَ أُبَىٌّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلاَتِي فَقَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ النِّصْفَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلاَتِي كُلَّهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِذًا تُكْفَى هَمَّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏
হযরত উবাই ইবনু কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো খুব অধিক হারে আপনার প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করি। আপনার প্রতি দরুদ পাঠের জন্য আমি আমার সময়ের কতটুকু খরচ করবো? তিনি বললেন, আপনি যতক্ষণ ইছা করুন। আমি বললাম, এক-চতুর্থাংশ সময়? তিনি বললেন, আপনি যতটুকু ইচ্ছা করুন, তবে এর চেয়ে অধিক পরিমাণে পাঠ করতে পারলে এতে আপনারই ভালো হবে। আমি বললাম, তাহলে আমি কি অর্ধেক সময় দরুদ পাঠ করবো? তিনি বললেন, আপনি যতক্ষণ চান, যদি এর চেয়েও বাড়াতে পারেন সেটা আপনার জন্যই কল্যাণকর। আমি বললাম, তাহলে দুই-তৃতীয়াংশ সময় দরুদ শরীফ পাঠ করবো? তিনি বললেন, আপনি যতক্ষণ ইচ্ছা করুন, তবে এর চেয়েও বাড়াতে পারলে আপনারই ভাল। আমি বললাম, তাহলে আমার পুরো সময়টাই (২৪ ঘন্টা) আপনার দরুদ পাঠে কাটিয়ে দিব? তিনি বললেন, যদি আপনি এরূপ করতে পারেন, তাহলে আপনার সমস্ত নেক মাক্বছূদগুলো পূর্ণ করে দেয়া হবে এবং আপনার সমস্ত গুনাহখতাগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে।"

(দলীল- মিন হাদীছু ইমাম ছুফিয়ান ইবনে সাঈদ আছছাওরী ২৪, মসুনাদে আব্দ ইবনে হুমাইদ ১৭০, তিরমিযী শরীফ ২৪৫৮, মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাইন ৩৫৭৮, শুয়াবুল ঈমান বায়হাকী ১৪১৮, মিছবাহুছ সুন্নাহ লিল বাগবী ৬৬১, তারীখে মাদীনাতু দিমাষ্ক ৭/৩৩১)

হাদীছ শরীফ বর্ণনা করে ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ এই হাদীছ শরীফখানা হাসান। (তিরমিযী ৪/২১৮)

ইমাম হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ وَلَمْ يُخْرِجَاهُ এই পবিত্র হাদীছ শরীফের সনদ সহীহ, যদিও ইমাম বুখারী মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেনি। (মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাইন ২/৪৫৭)

ইমাম যাহাবী মুসতাদরাকের তাহকীক করতে গিয়ে হাদীছ শরীফ সম্পর্কে বলেন, صحيح হাদীছ শরীফখানা সহীহ। (মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাইন ২/৪৫৭)

ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি হাদীছ শরীফ উল্লেখ করে «حديث حسن» হাদীছ শরীফখানা হাসান বলেছেন (রিয়াদুছ ছলেহীন ১৯৫ পৃষ্ঠা)

এছাড়া নাসিরুদ্দীন আলবানীও হাদীছ শরীফখানা হাসান ছহীহ হিসাবে তার তাহকীকে উল্লেখ করেছে।

সূতরাং এই পবিত্র হাদীছ শরীফখানা থেকে প্রমাণিত হলো, সদা সর্বদা নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিকিরে, উনার স্মরনে মশগুল থাকাই হচ্ছে নিয়ামত লাভের অন্যতম মাধ্যম। অথচ আজকাল খারেজী আক্বীদার মানুষ বলে উনার আলোচনা বেশি করা নাকি বিদয়াত।
আল্লাহ পাক ফিতনাবাজ খারেজী সম্প্রদায় থেকে আমাদের হিফাজত করুন। আমাদের সবাইকে আপনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যিকিরে মশগুল থাকার তৌফিক দান করুন।