একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১১৫

 


একজন কুতুবুয যামান উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

 

আজমীর শরীফে চীশতিয়া তরীক্বার ইমাম, কুতুবুল আক্তাব, সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/

অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ

এখন বিদায়ের সময়। সালাম বিনিময় শেষে উভয়ে উভয়ের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। এতোদিন মাযার শরীফে অবস্থানের স্মৃতি কাতরতায় অন্তর আচ্ছন্ন। বিদায় মুহূর্তে মনে হচ্ছে, কতো স্মৃতি তিনি রেখে গেলেন আর কতো স্মৃতি তিনি নিয়ে গেলেন। জীবনে কামিয়াবীর গন্তব্য সোপান বহুধা বিভক্ত। কামিয়াবীর আপেক্ষিক শীর্ষ ধাপ কেবল অনুভূতি ও প্রত্যাশায় থাকে। পরিণত ধাপে অধিষ্ঠিত না হয়ে উনার স্বরূপ জানা যায় না। কিন্তু ওলীয়ে মাদারজাদ ফখ্রুল আওলিয়া, কুতুবুয্যামান, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম উনার মুজাদ্দিদে আযম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার কামিয়াবীর অবস্থান জেনে পরম আনন্দে বিভোর।

 আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক মনোনীত মুজাদ্দিদে আযম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার আলীশান মর্যাদা-মর্তবা অবহিত হয়ে তিনি শুকরানা সিজদা করেন এবং বিনম্র মমতায় ছালাত ও সালাম পেশ করেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে।

দেশে ফেরার সময় সমাগত। রেল স্টেশনের দিকে রওয়ানা হবেন তিনি। অন্তর ছুঁয়ে যাওয়া স্নিগ্ধতা এবং অপার রহমত, বারাকাত ও ছাকিনা পরিবেষ্টিত মাযার শরীফ থেকে পরম শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বেরিয়ে আসছেন। আশে পাশে কতো মানুষের ভিড়। সকলেই আপন আপন গন্তব্যে ধাবমান, নিজ প্রয়োজন পূরণের প্রয়াসে ব্যাপৃত। কেউ জানছেনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম-উনার মনের গভীরে আনন্দ- বেদনার কী তোলপাড়! আসলে আত্মীয়-স্বজন এবং অনেক দিনের পরিচিত জনেরাতো দূরের কথা, আপন পরিবার-পরিজনেরও কেউই কাউকে নিবিড় করে জানতে চায় না, জানতে পারেও না। বিশেষ ব্যতিক্রম না হলে মা-বাবা, বিশেষতঃ আপন মুর্শিদ ছাড়া কেউই কাউকে বোঝে না। এরূপ একাকীত্বে মানুষ কতো অসহায়, কতো একা! এ একাকীত্ব ও অসহায়ত্বের তাৎপর্যের মর্ম জানলে মানুষ আত্মজ্ঞ হয়ে উঠে।

 এক পর্যায়ে আরিফ হতে পারে।

আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম বিদায় বেলায় মাযার শরীফের দিকে বার বার চোখ ফেরান। জানা অভিজ্ঞতায় মন আচ্ছন্ন হয়, ওলী আল্লাহগণ মুবারক জীবদ্দশায় যমীনে বেমেছাল, ইন্তিকালে কবরেও বেমেছাল। কবরবাসী ওলীগণকে দিয়েও আল্লাহ পাক উনার উদ্দিষ্ট কাজ সমাধা করেন। জগৎ-সংসার পরিচালনায় নিরন্তর নেপথ্য আঞ্জাম দিয়ে থাকেন। মুজাদ্দিদে আযম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার জন্য প্রাপ্ত মুবারক হাদিয়া তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ।

ধীর গতিতে চলতে চলতে তিনি রেল স্টেশনে পৌঁছে গেলেন। এক সময় ট্রেনে উঠে বসলেন।

মুজাদ্দিদে আযম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার চেহারা মুবারক, মাযার শরীফের নানা স্মৃতি এখন দৃষ্টির সীমানায়। ট্রেন চলছে। কিন্তু এ মুহূর্তে দেশে ফেরার একটুও যেনো তাড়া নেই। আজমীর শরীফে থেকে যাবার ইচ্ছেও এখন নেই। চেনা পথ, গাছপালা, আঁকা বাঁকা মাঠ, বাড়ীঘর, প্রসারিত দিগন্ত কোন কিছুই এখন আর ভালো লাগছে না। মনে হয় পৃথিবীর অস্তিত্ব নেই। এখন আখিরাতেরও ভাবনা নেই। নিজের গভীরে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করে পরওয়ারদিগার আল্লাহ পাক এবং উনারই প্রিয়তম হাবীব, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার দিকে কখন সমর্পিত হয়ে গেছেন তিনি নিজের অজান্তেই। অটুট এ সমর্পণের নিমগ্নতায় এখন কেবলই নিজেকে খুঁজে না পাওয়া।

ট্রেন এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে কতো পথ পাড়ি দিয়েছেন, তা জানা নেই। পথ চলা শেষে একসময় তিনি বাড়ী পৌঁছবেন। পরম মমতায় ছাহিবে লাওলাক, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক পরশমাখা পাগড়ী মুজাদ্দিদে আযম আওলাদ উনাকে উপহার মুবারক দিবেন।

 পিতা-আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার সে অনুপম মহামিলন কতো মধুময় ও বরকতপূর্ণ হবে, এ মুহূর্তে তাই উনার মনে ভিড় করছে। আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাছ লক্ষ্যস্থল মহীয়ান মুজাদ্দিদে আযম পুত্র আলোক বর্তিকা হয়ে জগৎ-সংসারের অন্ধকার দূর করবেন, এ মধুর ভাবনায় হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম পরম প্রশান্তিতে ইত্মিনান। (চলবে)

আবা-১৭৫

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১১৪

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছুফিয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয যামান উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

আজমীর শরীফে চিশতিয়া তরীক্বার ইমাম, কুতুবুল আক্তাব, সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/ অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ

অবশেষে সে মুবারক পাগড়ী হস্তান্তরের পালা। সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার হিফাজতে সযতেœ রক্ষিত নিয়ামত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার  সদয় নির্দেশে এখন হস্তান্তর করা হবে। নায়িবে রসূল সুলতানুল হিন্দ, সুলতানুল আরিফীন, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, মুজাদ্দিদে যামান, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি নিয়ামত সমৃদ্ধ পাগড়ী মুবারক প্রদান করবেন ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন, হাদিয়ে মিল্লাত, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, হুজ্জাতুল ইসলাম, আল মুজাদ্দিদুল আযম, কুতুবুল আলম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আওলাদে ছাহিবু লাওলাক, সাইয়্যিদুনা, হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী আলাইহিস সালাম উনার বুযুর্গ পিতা, আল্লাহ পাক-উনার খাছ লক্ষ্যস্থল, ওলীয়ে মাদারজাদ, আশিকে ইলাহী, আশিকে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম উনাকে।

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখ্রুল আওলিয়া, লিসানুল হক্ব, ছাহিব ইস্মে আযম, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখ্লেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম উনাকে পাগড়ী মুবারক প্রদান করা হলো। তিনি পরম ইত্মিনান ও বিনয়ানুভূতিতে তাহাত মুবারকে ধারণ করলেন। জীবনে অনেক বেমেছাল নিয়ামত তিনি হাছিল করেছেন। উনার মূল অর্জন হলো, আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, খাজিনাতুর রহমত, রউফুম্ বিল মুমিনীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার  নিগূঢ় নৈকট্য ও সন্তুষ্টি। আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল ক্বাওনাইন, রহমাতুল উম্মাহ, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি হাছিলের পরিধি সীমাহীন। মাহবুব ওলীআল্লাহগণের কামিয়াবী পর্যায়ভেদে মাক্বামের শীর্ষ সোপানে উনাদের অধিষ্ঠানের বিষয়টি আপেক্ষিক। নৈকট্যপ্রাপ্ত ওলী আল্লাহগণের উদ্বেগ এবং আরো নিয়ামত পাবার ক্রমবর্ধিষ্ণু প্রয়াস তাই কখনো শেষ হয় না। শেষ হওয়াতে উনাদের স্বস্তি নেই। লক্ষ্যপানে নিরবধি ধাবমানতাই উনাদের বৈশিষ্ট্যগুণ। হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম এমন শীর্ষ পর্যায়ের ওলীগণের শিরোমণি।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সদয় নির্দেশে মাখ্যানুল মারিফাত, সুলতানুল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি ইতোপূর্বে অগণিত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণকে বিভিন্ন পর্যায়ের নিয়ামত দান করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। কিন্তু আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, রফিকু ছাহিবুল কুদরত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাছ লক্ষ্যস্থল, উনার মুজাদ্দিদে আযম (আলাইহিস সালাম) পুত্রের জন্য এ হাদিয়া অনন্য বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ। পুত্রের জন্য প্রাপ্ত এ মুবারক হাদিয়া হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম-উনার মর্যাদা ও মর্তবায় নতুন এক বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। অর্থাৎ লব্ধ যাবতীয় নিয়ামত ছাপিয়ে মুজাদ্দিদে আযম পুত্রের বেমেছাল অবস্থান (মাক্বাম)-উনার অবর্ণনীয় বৈভব উনাকে আরো নৈকট্য মর্যাদার মহান শানে অভিষিক্ত করে তুলেছে। ওলীয়ে মাদারজাদ বুযুর্গ পিতা এবং ওলীয়ে মাদারজাদ মুজাদ্দিদে আযম পুত্রের পারস্পরিক এ মহান মর্যাদা মূলতঃ আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাছ দান।

পুত্রের তরফে গ্রহণকৃত যে কোন নিয়ামতই অনাবিল আনন্দের। বিশেষতঃ সে নিয়ামত যখন আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ, নিয়ামত বণ্টনের নিরঙ্কুশ অধিকারী, খাজিনাতুর রহ্মত, ছাহিবু লাওলাক, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং নিয়ামতদাতা মহান আল্লাহ পাক-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট থাকে। জানা-অজানা প্রত্যাশা পূরণের পরম মুহূর্তে মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম পাগড়ী মুবারক হাতে বেদনা-বিমুগ্ধ অনুভূতিতে কেবলই নির্বাক। আল মুজাদ্দিদুল আযম পুত্র আলাইহিস সালাম’উনার নিয়ামত-সমৃদ্ধিতে জীবনে-মরণে যে নিয়ামত পাবার তার সবটুকু পূর্ণতাই যেনো পেয়ে গেলেন তিনি। মুবারক হাতে ধারণকৃত মাশুকে মাওলা, আকরামূল আওওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক পরশমাখা পাগড়ীর উপর প্রাণের সবটুকু আকুতি ও মমতায় চোখ ফেরালেন তিনি। অপলক চোখে তিনি দেখলেন হাত মুবারকে ধারণকৃত পাগড়ী মুবারক-উনার রং ঘিয়া। (চলবে)

আবা-১৭৪

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১১৩

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-

আজমীর শরীফে চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম, কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/ অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ-

নায়িবে রসূল সুলতানুল হিন্দ, মুঈনুল হক্ব ওয়াদ্দ্বীন, সুলতানুল আরিফীন, গরীবে নেওয়াজ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বললেন: হে ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম! বিস্মময় খিলাফত আলা মিনহাজিন্ নুবুওওয়াতপ্রতিষ্ঠা এবং উনার বুনিয়াদ রচনার মহান লক্ষ্যে আপনার মুজাদ্দিদে  যম পুত্রের নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

 পরিপূর্ণরূপে ইল্মে ফিক্বাহ এবং ইল্মে তাছাউফ অনুসরণে আল্লাহ পাক-উনার আহকাম এবং আকরামুল আওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, ছাহিবু লাওলাক, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সুন্নত পালনে জগৎব্যাপী জ্বীন ও ইন্সানকে দায়িমীভাবে অভ্যস্ত করে তোলার লক্ষ্যে আপনার মুজাদ্দিদে আযম পুত্র শ্রেষ্ঠতম উপহার। হে ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম! যে সব কারণে আপনি আল্লাহ পাক এবং         উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়েছেন, সে সবের মধ্যে এ কারণটি অন্যতম। আপনাকে মুবারকবাদ।

ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম-উনার মুজাদ্দিদে আযম পুত্র আলাইহিস সালাম যে আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাছ লক্ষ্যস্থল, তা পূর্বেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়েছেন। উনার সবিস্তার বর্ণনা ইতোপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ পাক এবং রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার অবারিত নিয়ামত-সমৃদ্ধ, আফদ্বালুন্ নাস বাদাল আম্বিয়া, হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং আল ফারুক্ব বাইনাল হাক্বি ওয়াল বাত্বিল, হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার ফয়েজ ধন্য এবং বিগত, আগত ও অনাগত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের লব্ধ নিয়ামতের পুজ্ঞীভূত আধার উনার মুজাদ্দিদে আযম পুত্রের অপ্রতিরোধ্য তাজদীদে বিশ্বজগৎ আলোড়িত ও আলোকিত হবে এবং বাতিল পর্যুদস্ত হবে, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম-উনার তা অজানা নয়।

বিশ্বব্যাপী খাছ হিদায়েতের আলো প্রসারণে আল্লাহ পাক-উনার কোন্ মাহবুব ওলী না ইত্মিনান লাভ করেন? বিশেষতঃ উলামায়ে ছূদের প্ররোচনায় যখন মানুষ হক্ব ও না হক্ব একাকার করে ফেলেছে, আল্লাহ পাক-উনার আহকাম এবং রফিকু ছাহিবুল কুদরত, ইমামুস্ সাক্বালাইন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সুন্নত অবলোপনে (নাঊযুবিল্লাহ) দুনিয়ার আলিমদের ঘৃণ্য কারসাজি যখন অব্যাহত, দুর্বলের প্রতি তথাকথিত সবলের উৎপীড়নের মাত্রা যখন সীমা লঙ্ঘন করেছে, ইনসাফের বাণী যখন নিভৃতে কাঁদে, জালিমের অত্যাচারে  মজলুম যখন অতিষ্ঠ, দুনিয়ালোভী আলিমদের নেপথ্য যোগানদারিতে ইহুদী-নাছারাসহ তাবৎ বিধর্মীরা যখন মুসলমানের ঈমান বিনষ্টসহ সমূহ ক্ষতিসাধনে লিপ্ত এবং উনাদের প্রিয় আবাসভূমি পর্যন্ত গ্রাস করতে উদ্যত, নিকৃষ্ট বুদ্ধিজীবি ও উলামায়ে ছূরা যখন আপন স্বার্থে বিধর্মীদের কূটকৌশলে আকক্ত নিমজ্জিত, তখনইতো এসব থেকে পরিত্রাণের জন্য একজন মুজাদ্দিদে আযমের প্রয়োজন।

আল্লাহ পাক-উনার অবারিত রহমত এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সদয় ইহ্সানে এমন বিপদ ও সমস্যাসংকুল পরিস্থিতিতে বিশ্বময় হিদায়েতের আলো ছড়িয়ে পড়বে, এটিইতো স্বাভাবিক। মুজাদ্দিদে আযম পুত্রের মুবারক ওসীলায় আল্লাহ পাক-উনার মত এবং রহমাতুল উম্মাহ, শাফিউল মুজনিবীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার পথে দায়িমীভাবে অধিষ্টিত হয়ে বিপন্ন ও লক্ষ্যভ্রষ্ট মানুষ ছিরাতুল মুস্তাক্বীম খুঁজে পাবে। এ যে কী ইত্মিনান! আসমান ও যমীনে এ ইত্মিনান সংকুলানের স্থান কোথায়?

নায়িবে রসুল ফিল্ হিন্দ, মঈনুল মিল্লাত, দলীলুল আরিফীন, সুল্তানুল হিন্দ, ইমামুল আইম্মাহ, খাজায়ে খাজেগাঁ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার যবান মুবারকে মুজাদ্দিদে আযম পুত্রের মর্যাদা-মর্তবা শুনে আফ্যালুল ইবাদ, ফখ্রুল আওলিয়া, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম অবনত মস্তকে আল্লাহ পাক-উনার শুকরিয়া আদায় করেন। উনার বিনীত আরজুঃ আয় আল্লাহ পাক! আপনার লক্ষ্যস্থল মুজাদ্দিদে আযম-উনার মুবারক ওসীলায় লক্ষ্যবিচ্যূত মানুষকে খাছ হিদায়েত নছীব করুন। বাতিল পর্যুদস্ত করুন। বিশ্বব্যাপী খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াতক্বায়িম করুন।  (চলবে)

আবা-১৭৩



একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১১২

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দা'ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আ'যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-একজন কুতুবুয যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

আজমীর শরীফে চীশতিয়া তরীক্বার ইমাম,

কুতুবুল আক্তাব, সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/

অনুপম কারামত মুবারক-উনার বহিঃপ্রকাশ

কী এমন বিশেষ হাদিয়া (নিয়ামত) দেয়া হবে, তা জান্তে ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, গরীবে নেওয়াজ, আশিকে ইলাহী, আশিকে রসূল, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম-উনার সবিনয় জিজ্ঞাসাঃ হে নায়িবে রসূল ফিল্ হিন্দ, মুঈনুল মিল্লাত, সুলতানুল আরিফীন, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি! যে হাদিয়া (নিয়ামত)-উনার জন্য আমাকে আসতে বলেছেন, দয়াকরে তা জানাবেন কী?” জানানো হলোঃ হে ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম! আপনাকে দেয়ার জন্য যে নিয়ামত-সমৃদ্ধ হাদিয়া আমার কাছে গচ্ছিত রয়েছে, তা একখানা মুবারক পাগড়ী।

বলা হলো: এ মুবারক হাদিয়া আপনার আওলাদ মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার জন্য। আমি আদিষ্ট হয়ে এ পাগড়ী মুবারকআপনার হাত মুবারকে অর্পণ করছি। আপনি সময়মতোই এসেছেন।

এ কথা শুনে আশিকে ইলাহী, আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ফখ্রুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম-উনার মুবারক দুচোখ বেয়ে অশ্রু নামে। এ অশ্রু অনাবিল প্রশান্তির, অনির্বচনীয় ইত্মিনানের। প্রত্যেক পিতাই তার সন্তানের যোগ্যতা সম্পর্কে অবহিত। বিশেষ ব্যতিক্রম না ঘটলে সন্তান পিতার গুণ-বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হয়ে থাকে। আল্লাহ পাক-উনার লক্ষ্যস্থল বুযূর্গ পিতা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম উনার পাঁচ পুত্র সন্তানের যোগ্যতা ও অবস্থান  সম্পর্কে সম্যক অবহিত। কোন্ সন্তানের জন্য এ মুবারক পাগড়ীতাতিনি জেনে ফেলেছেন। তবুও সবিনয়ে জান্তে চাইলেন: হে আল্লাহ পাক-উনার খাছ্ লক্ষ্যস্থল, সুলতানুল হিন্দ, দলীলুল আরিফীন, ছাহিবে কুন্ ফাইয়াকুন, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি! এ পাগড়ী মুবারকআমার কোন্ সন্তানের জন্য?”

জানানো হলো: হে মুজাদ্দিদে আযম-উনার সম্মানিত পিতা, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম! এ পাগড়ী মুবারকআপনার তৃতীয় পুত্র সন্তান, আজওয়াদুন্ নাস, খইরুল উম্মাত, খাইরুল বারিয়্যাহ, আতকান্ নাস, মাখযানুল মারিফাত, আশিকুল্লাহ, আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল মুজাহিদীন, ফক্বীহুল উম্মাত, মুহাক্বিকে যামান, হাদিয়ে মিল্লাত, সিরাজুস্ সালিক্বীন, আফযালুল আউলিয়া, হাকিমুল ইসলাম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল উলিল আমর, আশরাফুল আউলিয়া, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখ্রুল ফুক্বাহ, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুহ্ইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, ছাহিবুল ইল্হাম,  রসূলে নোমা, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলতানুল আরিফীন, নূরে মুর্কারম, ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন, ছাহিবু সুলতানুন্ নাছীর, কুতুবুল আলম, আল গাউছুল আযম, মুজাদ্দিদুল আযম, কাইয়্যূমুয্ যামান, ইমামুল আইম্মাহ্, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, জামিউল আলকাব, আল জব্বারিউল আউয়াল, আল ক্ববিউল আউয়াল, মুর্শিদে মুকাম্মিল, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান, আল হাসানী ওয়াল্ হুসাইনী ওয়াল্ কুরাঈশী আলাইহিস সালাম-উনার জন্য।

আপনার মুবারক সন্তান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মনোনীত খাছ মুজাদ্দিদে আযম। অতি শ্রীঘ্রই উনার প্রভাব ও সুখ্যাতি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়বে। উনার অকুতোভয় তাজদিদে বাতিল পর্যুদস্ত হবে। ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ইহুদী-নাছারাসহ সকল বিধর্মীদের নেপথ্য কূটকৌশলের মূলোৎপাটন হবে এবং তাঁরা পরাভূত হবে। দুনিয়াদার আলিমদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে বিদ্য়াত ও বেশরা এবং অনৈসলামিক সকল নিয়ম-নীতি ও কার্যকলাপ বিদূরিত হবে। অগণিত মানুষ হক্ব মত ও পথে অধিষ্ঠিত  হবে। আপন স্বকীয়তা ও মহিমায় ইসলাম ধর্ম আরেকবার যিন্দা হবে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যাবতীয় সুন্নত অনুসরণে তিনি যমীনে আল্লাহ পাক-উনার মনোনীত ইসলাম ধর্মের আবাদ করবেন। কালামুল্লাহ শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের অনুশাসনে উনার অমিয় বাণী এবং ধারণাতীত তাজদিদের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবে দুনিয়ার অগণিত জনপদের লক্ষ্যভ্রষ্ট অসংখ্য মানুষ ছহীহ্ ও বিশুদ্ধ ঈমান, আক্বীদা ও আমলে হাক্বীক্বী ইসলাম ধর্ম পালনে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।” (চলবে)

আবা-১৭২

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১১১

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয যামান উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

আজমীর শরীফে চীশতিয়া তরীক্বার ইমাম,

কুতুবুল আক্তাব, সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/

অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ

সিরহিন্দ শরীফে পৌঁছে তিনি আপন আওলাদ-ফরজন্দ, নৈকট্যধন্য খলীফা ও মুরীদগণকে নির্দেশ করেনঃ আমার ইন্তিকালের পর সাইয়্যিদুল আবেদীন, ছাহিবুল আস্রার,  মাখ্যানুল মারিফাত, আশ্রাফুল আওলিয়া, সুলতানুল আওলিয়া, মিশ্কাতুল মুহিব্বীন, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে ছাহিবু লাওলাক, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি সানজারী ছূম্মা আজমিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং রহমাতুল উম্মাহ, রউফুর রহীম, আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, সিরাজুম মুনীরা, রফিকু ছাহিবুল কুদরত, রহমতে ইলাহী, নূরে মুজাস্সাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমতুল্লিল্ আলামীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক পরশ মাখা এ গিলাফে আমার কাফন পরিয়ে দিয়ো।

এ মুবারক গিলাফে আবৃত অবস্থায় আমি আল্লাহ পাক-উনার সান্নিধ্যে উপস্থিত হতে চাই।নির্দেশ অনুযায়ী দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থানকালে ঐ গিলাফ মুবারক দিয়েই উনার কাফন পরানো হয়। (সুবহানাল্লাহ)

মাহ্বুব ওলীআল্লাহগণের পারস্পরিক হাদিয়া আদান-প্রদানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য কতো অপরিসীম, বিশেষতঃ কুতুবুল হিন্দ, শামসুল আরিফীন, গাউছে ছামদানী, কুদওয়াতুস্ সালিকীন, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার তরফ থেকে পাওয়া মুবারক হাদিয়া কতো ফযীলতপূর্ণ তাউপরের ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে! সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ

يبعث رجل على احد عشر مائة سنة وهو نور عظيم اسمه اسمى بين السلطانين الجابرين يدخل الجنة بشفاعنه كذا وكذا من الناس.

অর্থঃ হিজরী একাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে আল্লাহপাক এমন এক মহান ব্যক্তিকে যমীনে পাঠাবেন, যিনি হবেন এক বৃহৎ নূর। উনার নাম হবে আমার নাম মুবারকের অনুরূপ। দুঅত্যাচারী বাদশার রাজত্বকালের মাঝে তিনি আবির্ভূত হবেন এবং উনার সুপারিশে অগণিত মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (জামউল জাওয়াম, জামিউদ্ দুরার)

খাজিনাতুর রহমত, জামিউল কুতুবাঈন, মায্হারে তাজাল্লিয়াতে ইলাহী, নূরুন্ আযীম, মুজ্তাহিদ ফি জামিউল উলূম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, ইমামে রব্বানী, কুতুবুল আলম, আফ্জালুল আওলিয়া, ক্বাইউমে আউয়াল, হযরত ইমাম শায়খ আহমদ ফারুক্বী সিরহিন্দী মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এ হাদীছ শরীফের পরিপূর্ণ মিছ্দাক্ব। উপ-মহাদেশের  পাঞ্জাব প্রদেশের সিরহিন্দ শরীফে ৯৭১ হিজরীতে আগমনের পর ইন্তিকাল অবধি ইসলামী উম্মাহর ঘোর দুর্দিনে রিসালতের ধারায় ইসলামী রেনেসাঁ এবং তাওহীদ ও আধ্যাত্ম চিন্তার পুনর্বিন্যাসে উনার সফল তাজদিদে সমঝ্দার মানুষের কাছে বর্ণিত হাদীছ শরীফের সত্যায়ন প্রতিভাত হয়। গভীর অনুধাবনের বিষয়, এ হাদীছ শরীফের মিছদাক্ব, কামিয়াবীর শীর্ষতম সোপানে অধিষ্টিত, হাজার বছরের মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি মাহ্বাতুল আনওয়ার, ওয়ারিছুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, বুরহানুল ওয়াছিলীন, ইমামুল মুয়াহ্হিদীন, বুরহানুল আশিক্বীন, সুলতানুল হিন্দ, খাজায়ে খাজেগাঁ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার নিকট থেকে হাদিয়া হিসাবে প্রাপ্ত গিলাফে কাফন মুবারকে আবৃত অবস্থায় আল্লাহ পাক-উনার নিকট হাযির হওয়া পছন্দ করেছেন। (সুবহানাল্লাহ)

অনুরূপ পদ্ধতিতে আজ নিয়ামত-সমৃদ্ধ হাদিয়া দেয়া হবে আফ্যালুল ইবাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, ফখ্রুল আওলিয়া, লিসানুল হক্ব, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহিকে। তিনি এবং ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, সুলতানুল আরিফীন, দলীলুল আরিফীন, কুতুবুল আলম, মাহ্বুবে সুব্হানী, গরীবে নেওয়াজ, ইমামুল আইম্মাহ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাঁজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি এখন উভয়ে উভয়ের একান্ত নিগূঢ় সন্নিধানে। সব নাজ-নিয়ামতই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাস্সাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সদয় ইচ্ছা এবং ইখ্তিয়ারে। যাবতীয় নিয়ামত বণ্টনে এটি উনার নিরঙ্কুশ আধিপত্য। (চলবে)

আবা-১৭১