১০০টি চমৎকার ঘটনা - পর্ব-৫ (বেয়াদবির পরিণতি)

বেয়াদবির পরিণতি- পর্ব-৫

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের প্রথম দিকে আমাদের প্রানপ্রিয় নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কাফিররা অনেকভাবে কষ্ট দেয়ার চেষ্টা করে গিয়েছে। উনার গতি রোধ করার জন্য এমন অনেক জঘন্যতম ঘটনার অবতারনা করেছিল যেগুলো মনে পড়লে এখনও সেসব কাফিরদের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভে ফেটে পড়তে ইচ্ছে করে। মক্কা শরীফে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের শুরুর দিকের এমনই একটি ঘটনা।

একবার আমাদের প্রানপ্রিয় নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নামায আদায় করছিলেন। উনার আশপাশে তখন কুরাঈশ কাফিরদের অন্যতম আবু জেহেল সহ অনেকেই ছিল। এমন সময় তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নামাযরত অবস্থায় একা পেয়ে কষ্ট দেয়ার দুরভিসন্ধি করলো। তাদের মধ্য থেকে উকবা ইবনে আবূ মুয়ীত যবাইকৃত উটের নাড়ীভুঁড়ি নিয়ে উপস্থিত হলো এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সিজদারত অবস্থায় ছিলেন, তখন উনার পিঠ মুবারকের


উপর চাপিয়ে দিলো। নাঊযুবিল্লাহ! ফলে তিনি সিজদা থেকে মাথা মুবারক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। এ সংবাদ শুনেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ছুটতে ছুটতে আসলেন; এসে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিঠ মুবারক থেকে সেগুলো নামিয়ে দিলেন এবং উকবাকে কঠিনভাবে তিরষ্কার ও বদদোয়া করলেন। এরপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও মাথা মুবারক উত্তোলন করলেন এবং উপস্থিত সকলের জন্য বদদোয়া করে বললেন, “ইয়া আল্লাহ পাক! আপনি আবূ জাহিল বিন হিশাম, উৎবা ইবনে রবিয়া, শায়বা ইবনে রবিয়া, উমাইয়া ইবনে খলফ এদেরকে পাকড়াও করুন।”

মুহম্মদ ইবনে বাশার রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ননা করেন যে, হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন: “আমি এদের সবাইকে বদর জিহাদে কঠিনভাবে লাঞ্ছিত, ক্ষতবিক্ষত ও নিহত অবস্থায় দেখেছি। উমাইয়া ব্যতীত এদের সকলকে একটি কূপে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে উমাইয়ার গ্রন্থিগুলো এমনভাবে ছিন্নভিন্ন হয়েছিল যে, তাকে একত্রিত করে কূপে নিক্ষেপ করাও যায়নি।' সুবহানাল্লাহ!



১০০টি চমৎকার ঘটনা - পর্ব-৪ ( হারানো ছেলেকে ফিরে পাওয়া)

হারানো ছেলেকে ফিরে পাওয়া- পর্ব-৪

শায়েখ আবুল কাসেম বিন ইউসুফ ইস্কান্দারানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আমি পবিত্র মদীনা শরীফে ছিলাম। এক ব্যক্তিকে দেখেছিলাম যে, তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফের পাশে প্রায়ই এভাবে ফরিয়াদ করতেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার উসীলা মুবারক গ্রহণ করলাম, যাতে আমার হারানো ছেলেকে ফিরে পাই।' উনাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ‘জেদ্দা থেকে আসার পথে আমি


প্রাকৃতিক
কাজ সারার উদ্দেশ্যে কিছুক্ষণের জন্য দৃষ্টির আড়ালে যাই। সেই সময়ে আমার ছেলেটি হারিয়ে যায়। এর কয়েক বছর পর সেই ব্যক্তির সাথে মিশরে আমার সাক্ষাৎ হলে আমি উনাকে ছেলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। উত্তরে সেই ব্যক্তি বললেন, 'আলহামদুলিল্লাহ! আমি আমার ছেলেকে খুঁজে পেয়েছি। একটি সম্প্রদায় জোর করে আমার ছেলেকে নিয়ে যায় এবং গোলাম বানিয়ে তাদের উট চরানোর কাজে লাগিয়ে দেয়। সেই সম্প্রদায়ের একজন নেককার মহিলা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখেন। স্বপ্নে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উক্ত মহিলাকে বলেন, 'মিশরের ছেলেটিকে মুক্ত করিয়ে তাকে তার ঘরে পাঠিয়ে দাও।' অতঃপর, সেই মহিলা হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নির্দেশ পালনার্থে আমার ছেলের মুক্তির ব্যাপারে সুপারিশ করেন। ফলে আমার ছেলেকে মুক্ত করে দেয়া হয়।' সুবহানাল্লাহ!




১০০টি চমৎকার ঘটনা - পর্ব-৩ ( এমন ছোট ছাগী কি করে দুধ দেয়?)

এমন ছোট ছাগী কি করে দুধ দেয়?- পর্ব-৩

মক্কা শরীফের এক কিশোর; তিনি তখনও যৌবনে পদার্পণ করেননি। কুরাইশ গোত্রের এক সর্দার, উকবা ইবনে আবূ মুয়ীতের একপাল ছাগল তিনি মক্কা শরীফের গিরিপথগুলোতে চরাতেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে উঠে উকবার ছাগলের পাল নিয়ে বের হয়ে যেতেন, আবার সন্ধ্যায় ফিরতেন।

একদিন এ কিশোর ছেলেটি দু'জন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন; চেহারায় বুযুর্গীর ছাপ বিরাজমান। উনারা দূর থেকে ছেলেটির দিকেই এগিয়ে আসছেন। উনারা অত্যন্ত পরিশ্রান্ত ও পিপাসার্ত ছিলেন। নিকটে এসে উনারা ছেলেটিকে সালাম জানিয়ে বললেন, “বৎস! এ ছাগলগুলো থেকে কিছু দুধ দোহন করে আমাদেরকে দিন। আমরা পান করে পিপাসা নিবৃত্ত করি।”

কিন্তু ছেলেটি বললেন, “এটা তো আমার দ্বারা সম্ভব নয়। কারণ ছাগলগুলো আমার নয়। আমি এগুলোর রাখাল ও আমানতদার মাত্র।” বুযুর্গ ব্যক্তি দু'জন এই কথায় অসন্তুষ্ট হলেন না, বরং উনাদের মুখমন্ডলে একধরনের সন্তুষ্টির ছাপ ফুটে উঠলো। উনাদের মধ্যে প্রথম বুযুর্গ ব্যক্তি তখন বললেন, “তাহলে এমন একটি ছাগী আমাকে দিন, যা এখনো পাঁঠার সংস্পর্শে আসেনি।” ছেলেটি নিকটেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছোট্ট ছাগীর দিকে ইশারা করে দেখিয়ে দিলেন। প্রথম বুযুর্গ ব্যক্তি এগিয়ে গিয়ে ছাগীটি ধরে ফেললেন এবং “বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম” বলে উনার হাত মুবারক ছাগীটির ওলানে রাখলেন।

অবাক বিস্ময়ে ছেলেটি এ দৃশ্য দেখে মনে মনে বললেন, 'কখনও পাঁঠার সংস্পর্শে আসেনি এমন ছোট ছাগী কি করে দুধ দেয়?' কিন্তু কি আশ্চর্য! কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাগীটির ওলান ফুলে উঠলো এবং প্রচুর পরিমাণে দুধ বের হতে থাকলো। দ্বিতীয় বুযুর্গ ব্যক্তি তখন একটি গর্তবিশিষ্ট পাথর নিয়ে, তাতে দুধ ভর্তি করলেন। তারপর উনারা উভয়ে তা পান করলেন এবং ছেলেটিকেও উনাদের সাথে পান করালেন। তারপর সবাই যখন পরিতৃপ্ত হলেন, তখন প্রথম বুযুর্গ ব্যক্তি ছাগীটির ওলান লক্ষ্য করে বললেন, 'চুপসে যাও।' আর অমনি সেটি পূর্বের ন্যায় চুপসে গেলো। ছেলেটি যা কিছু দেখছিলেন, সবই অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিলো। তিনি প্রথম বুযুর্গ ব্যক্তিকে অনুরোধ করলেন, ‘আপনি যে কথাগুলো উচ্চারণ করলেন, তা দয়া করে আমাকে শিখিয়ে দিন।' কিন্তু প্রথম বুযুর্গ ব্যক্তি বললেন, “আপনি তো শিক্ষাপ্রাপ্ত বালক।”


এই প্রথম বুযুর্গ ব্যক্তি আর কেউ নন, তিনি হলেন স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর উনার সঙ্গী দ্বিতীয় বুযুর্গ ব্যক্তি হলেন খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! কিশোর ছেলেটির যেমন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাদেরকে ভালো লেগেছিল তেমনি উনাদের কাছেও ছেলেটির আচরণ, আমানতদারী ও বিচক্ষণতা চমৎকার মনে হয়েছিল। এই ঘটনার অল্প কিছুদিন পরেই সেই কিশোর ছেলেটি পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাদিম হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করেন।

ছাগলের রাখাল সেই সৌভাগ্যবান কিশোরটি হলেন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে প্রতিপালিত হন, উনাকেই অনুসরণ করেন এবং উনারই মতো আচার-আচরণ ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হন। এ কারণে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘হিদায়াত প্রাপ্তি, আচার-আচরণ ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে তিনিই হচ্ছেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট উত্তম ব্যক্তি।' সুবহানাল্লাহ!



১০০টি চমৎকার ঘটনা - পর্ব-২ (উত্তম আচরণ)

উত্তম আচরণ-পর্ব-২

এক বৃদ্ধা আপনমনে গজগজ করতে করতে তার বাক্স পেটরা গুছাচ্ছে আর রাগে দুঃখে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে কাফিরদেরকে যেসব এলোমেলো কথা বলতে শুনেছিল, তাই আওড়াচ্ছিল।

যখন মুসলমানগণ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক দিক নির্দেশনায় পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় করেছেন তখন অনেক কাফিরই পবিত্র মক্কা শরীফ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলো। যদিও কাফিরদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে, তবুও অনেকে নিরাপত্তার দিক থেকে আশ্বস্ত হতে পারলো না। তেমনই ভেবে সেই বৃদ্ধাও চলে যেতে মনঃস্থির করেছে। কিন্তু এই বয়সে একাকী দেশান্তরী হওয়া কি সোজা কথা! সেই পথ ধরে আসছিলেন। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। বৃদ্ধাকে একাকী কথা বলতে দেখে তিনি তার নিকটে গেলেন, তার খোঁজখবর নিলেন। বৃদ্ধা উনাকে চিনতো না। সে তার অবস্থা উনাকে খুলে বললো। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্যই যে তাদের দেশত্যাগ করতে হচ্ছে তাও জানালো। তিনি সব শুনে বৃদ্ধাকে সাহায্য করতে চাইলেন। বৃদ্ধা রাজি হলে তার মালপত্রগুলো তিনি বয়ে নিয়ে চললেন। বৃদ্ধা কিন্তু সারা রাস্তা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকের খিলাফ কথা বলতে বলতেই গেলো। তারপর শহরের কিনারে আসার পর সে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই ইহসান মুবারকের শুকরিয়া আদায় করে উনার পরিচয় জানতে চাইলো। তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, 'তুমি যার ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছো, আমিই সেই ব্যক্তি!” সুবহানাল্লাহ! বৃদ্ধা এবার তার ভুল বুঝতে পারলো। সে বুঝলো, কাফিররা উনার শান মুবারকে যা প্রচার করেছিল তা নিতান্তই মিথ্যা, বানোয়াট।

হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদেরকে উত্তম আচরণ শিক্ষা দিয়েছেন। ভদ্র মানুষের সাথে ভদ্র আচরণ করাটাই স্বাভাবিকতা; কিন্তু তা উত্তম আচরণ নয়। উত্তম আচরণ হলো, বিরূপ ব্যবহার পেয়েও বিনিময়ে উত্তম ব্যবহার করা। সুবহানাল্লাহ!



১০০টি চমৎকার ঘটনা - পর্ব-১ (নিরাশ্রয়ের আশ্রয়)

১. নিরাশ্রয়ের আশ্রয়- পর্ব-১

এক ঈদের দিনে পবিত্র মদীনা শরীফের ঘরে ঘরে আনন্দ হচ্ছিলো। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদের জামায়াত শেষে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে নিয়ে বাড়ী ফিরছিলেন। পথে তিনি দেখলেন মলিন কাপড় পরে, নিরানন্দ মুখে একটি ছেলে মাঠে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এগিয়ে গেলেন ছেলেটির কাছে। জিজ্ঞেস করলেন, “বাবা, তুমি কাঁদছো কেন?” উত্তরে ছেলেটি বলল, “হুযূর! আমি মাতৃকোলে আসার অনেক আগেই আমার পিতার ইন্তেকাল হয়েছে। শৈশবে মা তিনিও ইন্তেকাল করেছেন। আজ এই ঈদের দিনে আমাকে নতুন জামা কাপড় দেয়ার কেউ নেই। কে আমাকে কোলে তুলে নিয়ে আনন্দ করবে? কে আমাকে সান্ত্বনা দিবে?”

এতিম ছেলেটির কথাগুলো শুনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে কোলে তুলে নিলেন এবং বললেন, “বাবা, তোমার মতো আমার মা-বাবা উনারাও আমার শৈশবেই মহান আল্লাহ পাক উনার দীদারে চলে গিয়েছেন। আজ থেকে আমাকে তোমার পিতা, উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে তোমার মা এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে তোমার বোন বলে মনে করো।” এই বলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছেলেটির কপালে চুম্বন করলেন এবং সাথে করে নিয়ে হুজরা শরীফে পৌঁছলেন। উম্মুল মু'মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে ডেকে বললেন, “হে হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! দেখুন, আপনার জন্য একটি ছেলে নিয়ে এসেছি। আপনি তাকে আপন ছেলের মতো মনে করে লালন-পালন করুন।”

উম্মুল মু'মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ছেলেটিকে আদর করে কোলে তুলে নিলেন। নিজের হাত মুবারকে গোসল করিয়ে দিলেন, নতুন জামা-কাপড় পরালেন এবং খেতে দিলেন। নিজের ছেলের মতোই ছেলেটিকে লালন-পালন করতে লাগলেন। আর এভাবেই নিরাশ্রয় ছেলেটি আশ্রয় খুঁজে পেল যিনি রহমাতুল্লিল আলামীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুজরা শরীফে। সুবহানাল্লাহ!



১০০ টি চমৎকার ঘটনা কিতাব খানার -কিছু কথা

কিছু কথা-

নিঃসন্দেহে পূর্ববর্তীদের জীবনীতিহাস পরবর্তীদের জন্য অমূল্য সম্পদ। তাদের ধ্বংস অথবা অর্জন সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে আমাদের জন্য শিক্ষা ও জীবনে পথ চলার পাথেয়। তাই মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি মানব ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার নির্যাসটুকু আমাদের শিক্ষার জন্য পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করেন। ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় দেখা যায় সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উনার নছীহত মুবারকের মধ্যে ওলী-আউলিয়াগণ ও সাধারণ বান্দাদের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা আমাদের শিক্ষার জন্য বর্ণনা করে থাকেন। সেখান থেকেই সংগৃহীত চমৎকার শিক্ষনীয় ১০০টি ঘটনা নিয়ে সংকলিত এই বইখানি ।

পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে ইবরত-নছীহত, আদেশ-নিষেধ সব আলোচনাই রয়েছে। কিন্তু সে সমস্ত আলোচনার গুরুগাম্ভীর্যতা ও হাক্বীকত উপলব্ধি করা সাধারণের জন্য এতটা সহজ নয়। তাই ওলী-আউলিয়াগণ এসমস্ত সহজ ঘটনা বর্ণনার মাধ্যমে সাধারণের অন্তরে ঈমানী চেতনা ও আত্মিক উপলব্ধি তৈরি করতে সাহায্য করেন, যা একজন মানুষের প্রতি উনাদের তরফ থেকে চরম পর্যায়ের দয়া বা ইহসান বলতে হয়।

এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সকলকে উনার এবং উনার রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও আউলিয়া-ই-কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সকলের মুহাব্বতকারী ও শোকরগুজার বান্দা-বান্দী হওয়ার তাওফীক দান করেন। আমীন।




মহাসম্মানীত মহাপবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি মুবারক  :মুবারক পূর্বপূরুষ উনাদের পরিচিতি - পর্ব-২


২. মুবারক পূর্বপূরুষ উনাদের পরিচিতি :

আমাদের এ অঞ্চলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচারের জন্য এসেছেন হযরত ওরাছাতুল আম্বিয়াগণ অর্থাৎ ওলীআল্লাহগণ উনারা। উনারাই এ অঞ্চল যথা: বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার করেছেন, পথহারা মানুষদেরকে ঈমান দান করেছেন। এমনি এক মহান ওলীআল্লাহ ছিলেন খাজা গরীবে নাওয়াজ হযরত মুঈনুদ্দীন চিশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি; যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাইবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে ভাতবর্ষের আজমীর শরীফে হেদায়েতের বার্তা নিয়ে আগমন করেন। তিনি সমরখন্দ, লাহোর, মুলতান হয়ে দিল্লী পৌঁছেন। পরবর্তীতে দিল্লী থেকে আজমীর শরীফ পৌঁছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার শুরু করেন। কিছু সঙ্গী-সাথী ছাড়া কোনো সৈন্য-সামন্ত উনার ছিল না। আজমীর শরীফের যালিম হিন্দু শাসক পৃথ্বীরাজ চৌহান কিছুতেই গরীবে নাওয়াজ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সহ্য করতে পারলো না। হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট পৃথ্বীরাজের প্রধান যাদুকর ও বিশাল সৈন্য বাহিনী তুলার মতো উড়ে গেল। পরবর্তীতে পৃথ্বীরাজ নিজে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হযরত শিহাবউদ্দিন মুহম্মদ ঘোরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাতে প্রাণ দেয়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাম্য ও মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রায় ১ কোটি বিধর্মী হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে দীক্ষিত হয় । মহান আল্লাহ পাক উনার এই মহান ওলীআল্লাহ বেশ কিছু সঙ্গী-সাথী ও অনুসারীদের নিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের জন্য ভারতবর্ষে এসেছিলেন। উনার সঙ্গীদের মধ্যে উনার এক অন্তরঙ্গ সঙ্গী ছিলেন ঐ যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবু বকর মুজাদ্দিদি রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি আজমীর শরীফে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে অবস্থান করেন এবং সেখানে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আজমীর শরীফে উনার মাজার শরীফ রয়েছে। উনারই অধস্তন বুযুর্গ আওলাদ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা ১১ হিজরী শতকের শেষার্ধে হিদায়াতের মহান ব্রত নিয়ে চট্টগ্রাম আসেন।
পাঠক, নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, সে কালে প্রধানতঃ পানিপথেই হিদায়াতের উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বাংলাদেশে আসতেন। এজন্য চট্টগ্রামকে আজো ওলীআল্লাহগণের আগমনের কেন্দ্রবিন্দু (বা প্রধান পথ) মানা হয়ে থাকে। এই চট্টগ্রাম থেকেই উনারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তেন। আজ বাংলাদেশের সব অঞ্চলে মুক্তার মতো ছড়িয়ে আছেন বহু ওলী-আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র রওযা মুবারক। এই ধারাবাহিকতায় হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা চট্টগ্রাম পৌঁছেন। কিছুদিন চট্টগ্রাম অবস্থানের পর উনারা দুই ভাই হিদায়াতের উদ্দেশ্যে উভয়ই না’গঞ্জের (নূরানীগঞ্জ) সোনারগাঁও আসেন। এই সোনারগাঁয়ে অসংখ্য হযরত ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি এসেছিলেন; এর নিদর্শন এলাকায় ভুরিভুরি পাওয়া যায়। হযরত সাইয়্যিদ সালাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এই সোনারগাঁও এলাকায় হিদায়াতের কাজে ব্যস্ত থাকেন এবং সেখানেই বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
আর হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সোনারগাঁওয়ে কিছু দিন অবস্থান করার পর সোনারগাঁওয়ের অদূরে যে স্থানে উনার হিদায়াতের কেন্দ্র গড়ে তুললেন তার বর্তমান নাম “প্রভাকরদী”। এই প্রভাকরদীতে রয়েছে একটি মাজার শরীফ কমপ্লেক্স, যেখানে রয়েছেন বর্তমান যামানার মহান মুজাদ্দিদ, ইমামুল উমাম, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পূর্বপুরুষগণ উনারা। এই ‘সাইয়্যিদ বাড়ি’তে আজো রয়েছে সুমহান ঐতিহ্য ও ইযযত মুবারকের ছাপ।
এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন; তা হলো- হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা সকলেই সম্ভ্রান্ত পূর্বপুরুষগণ উনাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে তাশরীফ এনেছেন। এর সামান্য ব্যতিক্রম কেউ খুঁজে পাবে না।
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বুযুর্গ আওলাদ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মালাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত বুযুর্গ আওলাদ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ এলাহি বখ্স রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার সম্মানিত বুযুর্গ আওলাদ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ওয়ালী বখ্স রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার সম্মানিত বুযুর্গ আওলাদ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি।
কুতুবুয যামান, আরিফ বিল্লাহ, লিছানুল হক, ফখরুল আউলিয়া, হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ১৩২৫ হিজরী ১৯০৮ ঈসায়ী
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#RajarbagDorberShareef
#90DaysMahfil
sunnat.info
Sm40.com
মহাসম্মানীত মহাপবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার সিলসিলার পরিচিতি মুবারক- পর্ব-১


১.মহাসম্মানীত মহাপবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার সিলসিলার পরিচিতি : পর্ব-১
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক করেছেন " আমার উম্মত আমার শিক্ষাকে ৭৩ টি দলে বিভক্ত করবে তবে তার মাঝে একটি দল হবে হক"। সেই সঠিক আকীদা বিশিষ্ট দলকে পরবর্তীতে বলা হয়েছে "আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত"। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো অনেকেই নিজেদের সেই দলের সদস্য দাবী করছে কিন্তু তাদের আকায়েদ, আমল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত থেকে ভিন্ন, যেমন ওহাবী ও সলাফী সম্প্রদায়। চার মাযহাবের অনুসারীগনই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী । তারপরেও একই মাযহাবের অনুসারীগনের মধ্যে আবার ইলমে তাসাউফ, ইলমে আখলাক বা ইলমে বাতেন হাছিলের জন্য বিভিন্ন ধারা, তরিকা বা সিলসিলা পাওয়া যায়। সিলসিলা একটি আরবী শব্দ যার অর্থ চেইন বা সংযোগের ধারাবাহিকতা। এটা আধ্যাত্মিক বংশতালিকাও বটে যেখানে একজন কামিল মুর্শিদ বা শায়েখ উনার উত্তরপুরুষদের মধ্যে খেলাফতের ভার ন্যাস্ত করে যান। সিলসিলা হচ্ছে কামিল মুর্শিদ বা শায়েখগণের একটি পরযায়ক্রমিক ধারা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় গাউসুল আযম, হযরত বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা গারীব নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা আহলে সুন্নাত জামাতের আকিদাভুক্ত হবার পরেও, মাযহাবের দিক থেকে এবং তাসাউফ শিক্ষার সিলসিলার দিক থেকে ভিন্ন। আর সে কারণে অনেক সময় তাসাউফ শিক্ষার পর্যায়ক্রমিক ধারাই সিলসিলা হিসেবে মশহুর হয়ে থাকে।
কখনো কখনো কোন সিলসিলার মধ্যে আগত কোন বিশিষ্ট আল্লাহ পাক উনার ওলীর নাম অনুসারে বা উনার অবস্থানস্থল অনুসারে সেই সিলসিলা ভিন্ন নামে মানুষের মাঝে পরিচিত হয়ে থাকে। কিন্তু নাম যাই হোক না কেন সেই সিলসিলা মূলের দিক থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদাভুক্ত এবং তসাউফের একটি নির্দিষ্ট ধারার সঙ্গে অবশ্যই সম্পৃক্ত থাকবে।
গাউসুল আযম হযরত বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি উনার তরিকা বা সিলসিলা উনার সম্মানিত নাম মুবারক অনুসারে কাদেরিয়া তরিকা বা কাদেরিয়া সিলসিলা হিসেবে মশহুর । আবার হযরত মুজাদ্দিদে আল ফিসানী রহমতুল্লাহি উনার তরীকা প্রথম দিকে কেবল মুজাদ্দিদিয়া তরীকা হিসেবেও থাকলেও পরে নক্সবন্দীয়া তরিকা মিলিত হবার কারণে নাম হয় "নক্সবন্দীয়া-মুজাদ্দেদিয়া"। আবার চিশত নামক স্থান থেকে "চিশতিয়া" তরিকা নামের উদ্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। হযরত বাহাউদ্দিন নকশবান্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তরিকা "নাক্সবান্দিয়া" তরিকা হিসেবে মশহর। এই "নকশবান্দ" নাম মুবারক মশহুর হবার পেছনে দুটি কারণ ব্যাখ্যা করা হয় ১) তিনি উনার সম্মানিত পিতাকে নক্সাদার চাদর বুনতে সাহায্য করতেন ২) তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির শরীফের মাধ্যমে উনার অন্তরে আল্লাহ পাক উনার নক্সা অঙ্কিত করেছিলেন। আবার বিশিষ্ট মুজাদ্দিদ হযরত সৈয়দ আহমদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি চার তরীকার তালিম দেবার কারণে অনেক স্থানে এসে এই সিলসিলার নাম পরিবর্তিত হয়ে যায়। যেমন ১৪ শতকের বিশিষ্ট মুজাদ্দিদ তিনি ভারতের ফুরফুরা শরীফে অবস্থানের কারণে সিলসিলার নাম পরিবর্তিত হয়ে ফুরফুরা সিলসিলা হিসেবে মশহুর হয়ে যায়। তাহলে আমরা দেখতে পেলাম ওলী আল্লাহগণের নাম থেকে, এলাকার নাম থেকে, রুপক অর্থে বিভিন্নভাবে সিলসিলার নাম মশহুর হয়ে থাকে। একইভাবে ১৫ শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি রাজারবাগ শরীফে অবস্থান কারণে অনেকে এই সম্মানিত সিলসিলাকে রাজারবাগ সিলসিলা হিসেবে চেনে থাকেন। (চলবে)
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com