বেয়াদবির পরিণতি- পর্ব-৫
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের প্রথম দিকে আমাদের প্রানপ্রিয় নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কাফিররা অনেকভাবে কষ্ট দেয়ার চেষ্টা করে গিয়েছে। উনার গতি রোধ করার জন্য এমন অনেক জঘন্যতম ঘটনার অবতারনা করেছিল যেগুলো মনে পড়লে এখনও সেসব কাফিরদের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভে ফেটে পড়তে ইচ্ছে করে। মক্কা শরীফে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের শুরুর দিকের এমনই একটি ঘটনা।
একবার আমাদের প্রানপ্রিয় নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নামায আদায় করছিলেন। উনার আশপাশে তখন কুরাঈশ কাফিরদের অন্যতম আবু জেহেল সহ অনেকেই ছিল। এমন সময় তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নামাযরত অবস্থায় একা পেয়ে কষ্ট দেয়ার দুরভিসন্ধি করলো। তাদের মধ্য থেকে উকবা ইবনে আবূ মুয়ীত যবাইকৃত উটের নাড়ীভুঁড়ি নিয়ে উপস্থিত হলো এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সিজদারত অবস্থায় ছিলেন, তখন উনার পিঠ মুবারকের
উপর চাপিয়ে দিলো। নাঊযুবিল্লাহ! ফলে তিনি সিজদা থেকে মাথা মুবারক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। এ সংবাদ শুনেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ছুটতে ছুটতে আসলেন; এসে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিঠ মুবারক থেকে সেগুলো নামিয়ে দিলেন এবং উকবাকে কঠিনভাবে তিরষ্কার ও বদদোয়া করলেন। এরপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও মাথা মুবারক উত্তোলন করলেন এবং উপস্থিত সকলের জন্য বদদোয়া করে বললেন, “ইয়া আল্লাহ পাক! আপনি আবূ জাহিল বিন হিশাম, উৎবা ইবনে রবিয়া, শায়বা ইবনে রবিয়া, উমাইয়া ইবনে খলফ এদেরকে পাকড়াও করুন।”
মুহম্মদ ইবনে বাশার রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ননা করেন যে, হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন: “আমি এদের সবাইকে বদর জিহাদে কঠিনভাবে লাঞ্ছিত, ক্ষতবিক্ষত ও নিহত অবস্থায় দেখেছি। উমাইয়া ব্যতীত এদের সকলকে একটি কূপে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে উমাইয়ার গ্রন্থিগুলো এমনভাবে ছিন্নভিন্ন হয়েছিল যে, তাকে একত্রিত করে কূপে নিক্ষেপ করাও যায়নি।' সুবহানাল্লাহ!