বাল্য বিবাহেরর দলীল স্পষ্ট ভাবে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ থেকে

Image result for বাল্যবিবাহ

সূরা নিছা ৩ নং আয়াত শরীফের আল্লাহ পাক বলেন,
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ
“আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত।” (সূরা নিছা ৩ নং আয়াত শরীফ)
এবার আসুন দেখা যাক ইয়াতিম কাকে বলে, লিসানুল আরব অভিধানে ইয়াতিমের সংঙ্গায় বর্ণিত আছে,
اليتيم: الذي يموت أبوه حتى يبلغ الحلم، فإذا بلغ زال عنه اسم اليتيم، واليتيمة ما لم تتزوج، فإذا تزوجت زال عنها اسم اليتيمة.
অর্থ: এতিম এমন বাচ্চাকে বলা হয় যার পিতা মারা গিয়েছে, বালেগ হওয়া অবধি সে এতিম হিসাবে গণ্য হবে, বালেগ হবার পর এতিম নামটি তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। আর মেয়ে বাচ্চা বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত এতিম বলে গণ্য হবে বিয়ের পর তাকে আর এতিম বলা হবে না। (লিসানুল আরব ১২/৬৪৫)
সহীহ হাদীছে ইয়াতিম প্রসংঙ্গে এসেছে,
قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ حَفِظْتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يُتْمَ بَعْدَ احْتِلاَمٍ 
“হযরত আলী ইবনে আবী ত্বালিব রদ্বয়িাল্লাহু আনহু উনার থেকে র্বণতি। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে আমি হাদীছ শরীফ মুখস্থ করে রেখেছি যে, বালেগ হওয়ার পর ইয়াতীম থাকে না। (আবু দাউদ শরীফ ২৮৭৫, সুনানে কুবরা বায়হাক্বী ৬/৫৭ হাদীছ ১১৬৪২, মুজামুল কবীর তাবরানী ৩৪২২, সুনানে ছগীর লি বায়হাকী ২০৪৯, শরহুস সুন্নহ ৯/২০০, ফতহুল বারী ২/৩৪৬, উমদাতুল ক্বারী ২১/১০৭, কানযুল উম্মল ৬০৪৬)
নাসিরউদ্দিন আলবানী তার সিলসিলাতুস সহীহা ৩১৮০ নম্বর হাদীসে উক্ত হাদীছ শরীফের সনদকে উত্তম ও সকল রাবীকে সেকাহ বলেছে।

উপরোক্ত বর্ণিত আয়াত শরীফে “ইয়াতিম” ও তার ব্যাখায় লুগাত এবং হাদীছ শরীফ থেকে যা বোঝা গেলো,
ইয়াতিম মেয়েদের বিবাহ করা যাবে। আর মেয়েদের মধ্যে ইয়াতিম হচ্ছে সেইসব মেয়ে যারা এখেনো বালেগ হয়নি।

এ বিষয়ে সহীহ একখানা হাদীছ শরীফ আছে যেখানে ইয়াতিম বিবাহের বিষয়টা বলা হয়েছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْيَتِيمَةُ تُسْتَأْمَرُ فِي نَفْسِهَا فَإِنْ صَمَتَتْ فَهُوَ إِذْنُهَا وَإِنْ أَبَتْ فَلاَ جَوَازَ عَلَيْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ

হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ইয়াতীম কুমারী থেকে তার বিবাহের ব্যাপারে সম্মতি গ্রহণ করতে হবে। যদি সে চুপ থাকে তবে তাই তার সম্মতি বলে গণ্য হবে। আর যদি অস্বীকার করে তবে তার উপর তা কার্যকারী হবেনা। 
এই বিষয়ে আবূ মূসা, ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান। (সহিহ আবু দাউদ ১৮২৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১০৯)

সূতরাং প্রমানিত হলো ইয়াতিম মেয়েকেও বিবাহ করা যাবে, আর ইয়াতিম হচ্ছে তারা যারা এখনো বালেগ হয়নি। বালেগ হয়নি এমন মেয়েদের বয়স কত হয় এই প্রশ্ন নিজেকে করলেই বাল্য বিবাহ যে শরীয়ত সম্মত সেটা বুঝতে পারবেন।
এ প্রসংঙ্গে আরো বর্ণিত আছে,
‏‏ وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ إِذَا بَلَغَتِ الْيَتِيمَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَزُوِّجَتْ فَرَضِيَتْ فَالنِّكَاحُ جَائِزٌ وَلاَ خِيَارَ لَهَا إِذَا أَدْرَكَتْ ‏.‏ وَاحْتَجَّا بِحَدِيثِ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَنَى بِهَا وَهِيَ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ

হযরত ইমাম আহমাদ ও ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহিম বলেন, যখন ইয়তীম কণ্যার বয়স নয় বৎসর হয় আর তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় এবং সে সম্মতি দান করে তবে এই বিয়ে জায়েজ। সাবালিকা হওয়ার পর আর তার ইখতিয়ার থাকবে না। উনারা হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ঘটনাকে দলীল হিসাবে পেশ করেন যে যখন উনার বয়স নয় বৎসর হয়, তখন নাবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সঙ্গে অবস্থান করেন। হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
وَقَدْ قَالَتْ عَائِشَةُ إِذَا بَلَغَتِ الْجَارِيَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَهِيَ امْرَأَةٌ
“মেয়েদের বয়স নয় বছর হলে সে মহিলা।” (তিরমিযী ১১০৯, সুনানু কুবরা বায়হাক্বী ১৪২৫, ফতহুল বারী ২/৭১২)

নয় বছর হলে যদি মহিলা হয় তবে তাকে বিবাহ করাও শরীয়ত সম্মত। যা সহীহ হাদীছ শরীফ থেকেই প্রমান হলো। এরপরও কোন মুসলমান বাল্য বিবাহের বিরোধীতা করলে সেকি মুসলমান থাকবে?
কোন মেয়ে সন্তানের বয়স ১২ বছর হলে বিয়ে না দিলে, তার দ্বারা কোন খারাপ কাজ হলে বাবা দায়ী হবে

Image result for বাল্যবিবাহকোন মেয়ে সন্তানের বয়স ১২ বছর হলে বিয়ে না দিলে, তার দ্বারা কোন খারাপ কাজ হলে বাবা দায়ী হবে

একজন কন্যাকে পিতা ১২ বছর বয়সের মধ্যে বিবাহ না দিলে সে মেয়ে দ্বারা যদি কোন পাপ কাজ হয় তাহলে পিতাকে শাস্তি পেতে হবে।
হাদীছ শারীফে বর্ণিত আছে,
حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيُّ، أنا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عُبْدُوسٍ، نا عُثْمَانُ بْنُ سَعِيدٍ، نا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، نا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، أنا -- أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ الْغَسَّانِيُّ، عَنِ الْمُجَاشِعِ الْأَزْدِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " مَكْتُوبٌ فِي التَّوْرَاةِ: §مَنْ بَلَغَتْ لَهُ ابْنَةٌ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً فَلَمْ يُزَوِّجْهَا فَرَكِبَتْ إِثْمًا فَإِثْمُ ذَلِكَ عَلَيْهِ
হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তাওরাত শরীফে লেখা আছে যে, যখন কারো কন্যা সন্তান বারো বছর বয়সে পৌঁছে, আর সে যদি তার বিয়ে না দেয়, আর তার দ্বারা যদি কোনো পাপকর্ম হয়, তবে ঐ পাপকর্ম পিতার ওপর বর্তাবে। (বায়হাক্বী- শু‘আবুল ঈমান ৮৩০৩, মিশকাত শরীফ ৩১৩৯, তাফসীরে মাযহারী সূরা নূরের ৩২ নং অায়াত শরীফের তাফসীর )
উক্ত হাদীছ শরীফ খানা হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত আনান বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে ২ টি পৃথক সনদে বর্ণিত আছে। যা একে অপরকে শক্তিশালী করে। এছাড়া বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে হাজার হায়ছামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার الإفصاح عن أحاديث النكاح কিতাবে এই হাদীছ শরীফ দলীল হিসাবে এনেছেন।
সূতরাং বাল্যবিবাহ সর্ম্পকে সরাসরি হাদীছ শরীফই পাওয়া গেলো। সূতরাং এর পরও যারা বাল্যবিবাহের বিরোধীতা করে তারা হাদীছ শরীফ বিরোধীতাকারী।
আর ঐ সকল পিতাও সাবধান যারা তার মেয়ের বিবাহের ব্যবস্থা সময় মত করলেন না কিন্তু মেয়ে কোন পাপ কাজ করে ফেললো। তাদের জন্য রয়েছে আযাব.........!
ইসলামের সোনালী যুগে বাল্য বিবাহ ছিলো, তখন একজন নানীর বয়স হতো ২১ বছর
ইসলামের সোনালী যুগে বাল্য বিবাহ ছিলো, তখন একজন নানীর বয়স হতো ২১ বছর
Image result for বাল্যবিবাহ

আপনি কি জানেন ইতিহাসে রয়েছে ১৩০০ বছর আগে ইসলামের সোনালী যুগে ঘরে ঘরে বাল্য বিবাহ হতো? একজন নানী বা দাদীর বয়সই হতো ২১ বছর? তো আসুন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেয়া যাক।
وَأَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ قِرَاءَةً عَلَيْهِ حَدَّثَنِى أَبُو أَحْمَدَ : مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الشَّعْبِىُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَرْزُنَانِىُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ طَاهِرِ بْنِ حَرْمَلَةَ حَدَّثَنِى جَدِّى حَدَّثَنِى الشَّافِعِىُّ قَالَ : رَأَيْتُ بِصَنْعَاءَ جَدَّةً بِنْتَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ سَنَةً ، حَاضَتْ ابْنَةَ تِسْعٍ وَوَلَدَتْ ابْنَةَ عَشْرٍ ، وَحَاضَتِ الْبِنْتُ ابْنَةَ تِسْعٍ وَوَلَدَتْ ابْنَةَ عَشْرٍ. {ت} وَيُذْكَرُ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ أَنَّهُ قَالَ : أَدْرَكْتُ جَارَةً لَنَا صَارَتْ جَدَّةً بِنْتَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ سَنَةً. وَعَنْ مُغِيرَةَ الضَّبِّىِّ أَنَّهُ قَالَ : احْتَلَمْتُ وَأَنَا ابْنُ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً. وَرُوِّينَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ : إِذَا بَلَغَتِ الْجَارِيَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَهِىَ امْرَأَةٌ.
ইমাম বায়হাকিও ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উক্তি বর্ণনা করছেন , “আমি (ইয়ামানের) সানা শহরে এক নানীকে দেখেছি, তখন তার বয়স ছিল ২১ বছর। নয় বছর বয়সে তার ঋতুস্রাব শুরু হয় এবং দশ বছর বয়সে সে সন্তানের জন্ম দেয়”।
হযরত হাসান বিন সালেহ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমাদের এক কিশোরীকে পেলাম যিনি ২১ বছরে নানী হয়েছেন। হযরত মুগীরাদ্ব তা দ্বব্বাইয়্যা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ননা করেন, আমি (আমার স্ত্রীকে) সন্তান সম্ভবা করেছি তখন আমার বয়স ছিলো ১২ বছর। উম্মুল মু’মিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, মেয়েদের বয়স নয় বছর হলে সে মহিলা। (সুনানে বায়হাকি কুবরা : ১/৪৭২: হাদীস নং ১৫৩১, জাওয়াহিরুন নক্বী ১/৩১৯)

উপরোক্ত দলীল দ্বারা আমরা দেখতে পেলাম পূর্ববর্তী সময়ে বাল্যবিবাহ সবখানেই বিরাজমান ছিলো। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বাল্য বিবাহ হতো। তবে কেন আজ বাল্য বিবাহের বিরোধীতা?
বাল্য বিবাহের বিরোধীরাই ছেলে মেয়েদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে

Image result for বাল্যবিবাহবাল্য বিবাহের বিরোধীরাই ছেলে মেয়েদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে

বাল্য বিবাহের বিরোধীতা করে সমাজের ছেলে ও মেয়েদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে অসামাজিক কাজে। বাল্য বিবাহ বিরোধী অনেক প্রচারনা শোনা যায় কিন্তু এসব ছেলে মেয়েরা যখন অসামাজিক কর্মে লিপ্ত হয় সেটা নিয়ে কেউ কথা বলে না। সংবাদপত্র সমূহে প্রতিনিয়ত এমন সব সংবাদ আসছে সেগুলো দেখলে সবাই বুঝবেন বাল্য বিবাহের বিরোধীতার কুফল কিভাবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গিয়েছে।
অবৈধ সর্ম্পকে জড়িয়ে পাঁচ মাসের গর্ভের সন্তানের বয়ে বেড়াচ্ছে ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রী (http://bit.ly/2u1oqx4) । ৫ম শ্রেনীতে পড়ে এমন এক ছাত্রী অবৈধ সর্ম্পক করে গর্ভবতী হয়ে তার অধিকার আদায়ের জন্য লড়ছে। বয়স কত হবে ৫ম শ্রেনীর এই ছাত্রীর? বড়জোড় ৯/১০ !! যদি বাল্য বিবাহের ব্যবস্থা সমাজে থাকতো তবে চিত্রটা এমন নাও হতে পারতো।
নিউজে আরো এসেছে ১১ বছরের এক বালক ১৮ বছরের এক মেয়েকে অন্তঃসত্ত্বা করেছে (http://bit.ly/2ulyNLh)। এসব সমাজিক এ অবক্ষয়ের কারন কি কেউ ভেবে দেখেছেন? আজ যারা বাল্য বিবাহের বিরোধীতায় দিন রাতের ঘুম হারাম করে ফেলেছে তারা এসবের কি ব্যাখ্যা দিবে? 
শুধু কি তাই? সমাজে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। ১৩/১৪ বছরের এসব মেয়েরা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে ফলশ্রুতিতে হতে হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা .... এরপর মেয়ে গুলো পায়ের নিচে মাটি হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। (http://bit.ly/2vj4tWs, http://bit.ly/2u2konT, http://bit.ly/2vjOaIE)
শুধু তাই নয় নষ্ট হচ্ছে পারিবারিক বন্ধন, ধ্বংস হচ্ছে অসংখ্য সংসার। এসবের বেশির ভাগই লোক লজ্জার কারনে চাপা পরে যায়, কিছু প্রকাশ হয়। যেমন, বগুড়ায় দুলাভাইয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কে অন্ত:সত্ত্বা ১৩ বছরের কিশোরী, গর্ভপাতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা (http://bit.ly/2vjOaIE)

এখানেই কি শেষ? আমাদের এই বাংলাদেশে ৯০% পতিতা তাদের দেহব্যবসা শুরু করে শিশু বয়স থেকেই। ( http://bit.ly/2vdLMmq)
The Global March Against Child Labour - এর হিসেব মতে বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। ২০০৫ সালে মার্কিন সরকারের মানবাধিকার রিপোর্ট অনুসারে অবশ্য ১৮ এর নিচে পতিতার সংখ্যা ছিলো ২৯ হাজারের বেশি। এসব শিশু পতিতারা শরীরবৃদ্ধির জন্য গরু মোটতাজাকরণ ট্যাবলেট খায় এবং দৈনিক ১৫-২০ জন পুরুষের সাথে মিলিত হয়।
গত ২০১৬ সালের ৩১শে অক্টোবর ব্রিটেনের ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার কান্দাপাড়া পতিতাপল্লী নিয়ে একটি রিপোর্ট করে। রিপোর্টে সাংবাদিক জানায়, এ পতিতাপল্লীতে একটি নারী প্রবেশ করে ১২-১৪ বছর বয়সে। (http://ind.pn/2dUUOgO)

১৮ বছরের অনেক নিচে ১২/১৪ বছর বয়সেই যেখানে চলছে লাইসেন্স সহ পতিতাবৃত্তি সেখানে বাল্য বিবাহের করা হচ্ছে বিরোধীতা? হাউ ফানি!! 
চারিত্রিক অবক্ষয়, সামাজিক মূল্যবোধের এমন নির্মম পরিনতি যেখানে সেখানে সমাজসেবী মানবতাবদীরা কখনো কি এর প্রতিকার নিয়ে ভেবেছে? আজ যদি বাল্য বিবাহ থাকতো তবে তাদের দ্বারা কি এমন অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ সম্ভব হতো? 
একটু খেয়াল করুন, ১৮ বছরের অনেক নিচে যাদের বয়স তারা অবৈধ সর্ম্পক কেউ গর্ভবতী হলে, আত্মহত্যা করলে অথবা কেউ এই বয়সে পতিতাবৃত্তি করলে চেতনা ব্যাবসায়ীদের চেতনায় আঘাত লাগে না। অথচ যদি শোনা যায় কোথাও বাল্যবিবাহ হচ্ছে তাহলে সেটা কিভাবে বন্ধ করা যাবে সেটার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করে হারামী গুলো। এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে অল্প বয়সের ছেলে মেয়েদের দিয়ে নোংরামী করাবে কিন্তু বাল্যবিবাহ হতে দিবে না। পাশ্চাত্যোর মত অবৈধতায় সয়লাব করতে চায় আমাদের দেশকে। সূতরাং সাবধান..................
যারা বলে বাল্য বিবাহ হলে শারীরিক সমস্যা হয় তারা কি এই তথ্য জানে?

Image result for বাল্যবিবাহযারা বলে বাল্য বিবাহ হলে শারীরিক সমস্যা হয় তারা কি এই তথ্য জানে?



অল্প বয়সে বিবাহ করলে শরীরিক সমস্যা হয়, এমন উদ্ভট কথা বলে মানুষকে বাল্য বিবাহ থেকে প্রতিহত করা হচ্ছে। তারা বিভিন্ন মেডিক্যাল সাইন্সের অযুহাত দ্বারা মানুষকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করছে। 
আসুন মেডিক্যাল সাইন্স ও বিভিন্ন দেশের পরিসংখ্যান দ্বারা বিষয়টা যাচাই করার চেষ্টা করি। 
মেডিক্যাল সাইন্স মতে একটা মেয়ের বয়ঃসন্ধিকাল শুরু ৮ বছর থেকে শুরু করে ১৪ বছরের মধ্যেও হতে পারে। প্রকৃত পক্ষে এর কম বয়সেও অর্থাৎ ৫ বছর বয়সেও মেয়েদের গর্ভধারন ও সন্তান প্রসবের দৃষ্টান্তও পৃথিবীতে আছে। https://en.wikipedia.org/wiki/Lina_Medina
বয়ঃসন্ধি ছেলেদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৯ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে ঘটে (http://bit.ly/2woMbje) অর্থাৎ এ বয়সে কেউ আর শিশু থাকে না। এ সময় তার পক্ষে সন্তান ধারনও সম্ভব। এই বয়সে বা এর চাইতে কম বয়সে অসংখ্য মেয়ে মা হয়েছে, সন্তানকে দুগ্ধ পান করিয়েছে। পরিশেষে মা ও সন্তান উভয়ে সুস্থ জীবন যাপন করেছে।
২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৮ সালে পৌরেঞ্জ পেরুতে লিনা মেডিনা নামক ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন বয়সের এক মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছে। উইকিপিডিয়ায় আছে,
“লিনা মেদিনা ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন বয়সে সন্তানের জন্ম দেন। তিনি ছিলেন চিকিৎসা-ইতিহাসের সর্বকনিষ্টা মা।”। (http://en.wikipedia.org/wiki/Lina_Medina)

এখানেই শেষ নয়, নিম্নোক্ত তালিকার দিকে যদি দৃষ্টিপাত করেন তবে পেয়ে যাবেন এক অভূতপূর্ব ঘটনার চিত্র। ৫ থেকে শুরু করে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রায় ১০০ মেয়ের তালিকা আছে যারা ঐ বয়সে মা হয়েছে। http://archive.is/dsRil
কই কোন সমস্যা তো হলো না? তবে কেন মুসলমানদের ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ বিরোধী এত কথা বার্তা? 
সমগ্র পৃথিবীব্যাপী তথা কথিত অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক নামধারীরা মেয়েরা প্রেগনেন্ট হচ্ছে, অবৈধ বাচ্চা জন্ম দিচ্ছে, কেউবা এব্রোশন করে ফেলছে। সুশীল নামক কুশীলরা এসব বাচ্চাদের স্কুলে পাঠ্য বইতে এই বয়সে শারীরিক সম্র্পক যদি কেউ করেই ফেলে তাদের কি করতে হবে, কি ব্যাবহার করতে হবে, কি খেতে হবে সে শিক্ষা দেয়া হয়েছে কিন্তু বাল্য বিবাহের মাধ্যমে চরিত্র রক্ষার যে পথ সেটা বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেই যাচ্ছে। 
এসব সুশীল সমাজের ছত্রছায়ায় ছেলে মেয়েরা অল্প বয়সে নোংরামী বদমাইশি করতে পারবে তবে অপকর্ম করার আগে কন্ডম রাখার পরামর্শ, অথবা মেয়েদের ট্যবলেট খাওয়ার পরামর্শ, নিতান্তই পেটে বাচ্চা এসে গেলে এব্রোশনের পরামর্শ সবই ফ্রিতে পাওয়া যায় কিন্তু বাল্য বিবাহের মাধ্যমে বৈধ সর্ম্পক সেটা যেন তাদের চোখের বালি।

আকাম কুকামে নারীবাদী বদমাশ গুলোর কোন মাথা ব্যাথা নাই। মাথা ব্যাথা শুরু হয় শরীয়ত সম্মতভাবে বাল্য বিবাহ দিতে গেলে।
অন্য সকল ধর্ম ও সমাজে বাল্য বিবাহের কথা থাকলেও শুধু মুসলমানদের বিরোধীতা কেন?

Image result for বাল্যবিবাহঅন্য সকল ধর্ম ও সমাজে বাল্য বিবাহের কথা থাকলেও শুধু মুসলমানদের বিরোধীতা কেন?

বাল্যবিবাহের বিরোধীতায় কাদের এত চুলকানি?
বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, তাবাকাতে সা’দ সহ অসংখ্য কিতাবে বাল্য বিবাহ সর্ম্পকে একধিক সনদে দলীল পাওয়া যায়। তারপরও কেন যেন বিরোধিতা!!! কারা এর মূল বিরোধী?
তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখলাম শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মই নয় বরং ইহুদী, খ্রিষ্টান, হিন্দু সম্প্রদায়ের বই গুলোতেও বাল্যবিবাহের ব্যাপক দলীল রয়েছে।
catholic Encyclopedia তে আছে, “সাধারণ আইনে, যে বয়সে ছোটোরা বিবাহের উপযুক্ত হয় যা সম্মতির বয়স হিসেবে পরিচিত, তা নির্ধারিত হয় ছেলেদের জন্য ১৪ বছর এবং মেয়েদের জন্য ১২ বছর। সাত বছরের কম বয়সে উভয়ের বিবাহ বাতিল ছিল, কিন্তু সাত এবং সম্মতির বয়সের (ছেলেদের জন্য ১৪ এবং মেয়েদের জন্য ১২ বছর) মাঝামাঝি সময়ে তারা একটি অসম্পূর্ণ বিবাহের চুক্তি করতে পারে যা বাতিলযোগ্য হলেও একান্তভাবে বাতিল নাও হতে পারে। (http://www.newadvent.org/cathen/09691b.htm)

পূর্ণবয়স্ক পুরুষ এবং একটি অল্প বয়সী বালিকার মধ্যে এই ধরনের বাগ্‌দানের একটি উদাহরণ সেন্ট আউগুস্টাইনের (৩৫৪-৪৩৯ খ্রিঃ) বাগ্‌দান। ৩১ বছর বয়সে আউগুস্টাইন একটি দশ বছরের মেয়ের সঙ্গে বাগ্‌দান করেছিলো।

শুধু তাই নয় খৃষ্টধর্মানুসারী রাজা বাদশারাও বাল্য বিবাহ করেছিলো,
দ্বিতীয় কিং রিচার্ড ত্রিশ বছর বয়সে একজন ফরাসি রাজকুমারীকে বিবাহ করেছিলো। তাঁর নাম ইসাবেলা, সেসময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। http://en.wikipedia.org/wiki/Isabella_of_Valois
প্রথম কিং আন্ড্রোনিকোস কোমনেনোস, বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের খ্রিস্টান নেতা, ৬৪ বছর বয়সে ফ্রান্সের বারো বছরের আগ্নেসকে বিয়ে করেছিলো 

নরওয়ের ষষ্ঠ রাজা হাকোন দশ বছরের রাণী মার্গারেটকে বিবাহ করেছিলো।
দ্বিতীয় রোমানোস ইতালির রাজকন্যা বার্থাকে (নতুন নাম ইউডোকিয়া) বিবাহ করেছিলো, সেসময় রাজকন্যার বয়স ছিল মাত্র চার বছর।
মেরি স্টেওর্ট অষ্টম হেনরিকে বিবাহ করেছিলো যখন তার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর।
দেখুন হিন্দু ধর্মে কি আছে, The Encyclopedia of Religion and Ethics (ধর্ম ও নৈতিকতার এনসাইক্লোপিডিয়া)-তে উল্লেখ আছে : 
“কন্যাকে বিবাহ ছাড়াই বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছতে দিলে পিতা পাপী হয় এবং মেয়েটি নিজেকে একজন শুদ্রের (নিম্ন উপজাতি) স্তরে নিপতিত করে। মনু-স্মৃতি স্বামী এবং স্ত্রীর বয়স স্থির করে যথাক্রমে ৩০ এবং ১২ অথবা ২৪ এবং ৮ বছর; বৃহস্পতির পরের কার্য এবং মহাভারতের নীতিমূলক অংশ এই ক্ষেত্রগুলিতে স্ত্রীর বয়স স্থির করে যথাক্রমে ১০ এবং ৭। পরের অংশে উল্লেখ আছে : নিম্নসীমা ৪ থেকে ৬ বছর এবং উর্ধ্বসীমা ৮ বছর। এই দিনগুলি নিছক তাত্ত্বিক ছিল না, এর পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। (Encyclopedia of Religion and Ethics, p.450)

দেখা যায়, অন্য ধর্মেও বাল্য বিবাহের বিষয়ে অনেক প্রমাণ রয়েছে। তাহলে বাল্য বিবাহের বিরোধীতা করে কারা? 
উত্তর সহজ। যারা কোন ধর্মে বিশ্বাসী না অর্থাৎ যারা নাস্তিক তারাই বাল্য বিবাহ নিয়ে আপত্তি তুলে থাকে। 
বাল্য বিবাহের বিরোধীতা মূলত সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র

Image result for বাল্যবিবাহবাল্য বিবাহের বিরোধীতা মূলত সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র

কোন বির্ধমী যখন মুসলমানদের উপকারের কথা বলে তখন বুঝবেন, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে ফয়সালা দিয়ে রেখেছেন মুসলমানরা তাদের সবচাইতে বড় শত্রু হিসাবে পাবে ইহুদী ও মুশরিকদের তথা বির্ধমীদের। 
যখন এই কাফির বিধর্মীরা মুসলামানদের উপকারের কথা বলে বাল্যবিবাহের বিরোধীতা করে, একাধিক সন্তান না নেয়ার প্রচারনা চালায় তখন প্রশ্ন জাগে তাদের উদ্দেশ্য কি?

The telegraph পত্রিকায় নিউজ এসেছে, Islam is the only religion growing faster than the world's population, and it will be the largest in the world by 2070, research has found (http://bit.ly/2mP1CMH). 
এটা তারা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছে মুসলমানদের সংখ্যা পৃথিবীর সব ধর্মের লোকদের চাইতে বেশি হবে, এই সংখ্যাধিক্যতা তাদের কাছে বিরাট এক হুমকী। তারা বোঝে মুৃসলামানদের সংখ্যা বেড়ে গেলে একসময় সমগ্র পৃথিবীতে তাদেরর কর্তৃত্ব থাকবে না।

যেটা মার্কিন উপদেষ্টা হেনরী কিসিঞ্জারের "National Security Study Memorandum 200 তে উল্লেখ রয়েছে The study falsely claimed that population growth in the so-called Lesser Developed Countries (LDCs) was a grave threat to U.S. national security. অর্থাৎ কিছু দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির একটি গুরুতর হুমকি মনে করা হয়।
Adopted as official policy in November 1975 by President Gerald Ford, NSSM 200 outlined a covert plan to reduce population growth in those countries through birth control.
প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড কর্তৃক নভেম্বর 1975 সালে সরকারি নীতিমালা গ্রহণ করে NSSM 200 জন্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সেই দেশগুলিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানোর জন্য একটি গোপন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ।
কিসিঞ্জার তাদের দেশ আমেরিকাকে কথিত হুমকীর হাত থেকে বাঁচাতে যে পদক্ষেপ নেয় যেটাতে বলা হয়েছে, There were several measures that Kissinger advocated to deal with this alleged threat, most prominently, birth control and related population-reduction programs. 
কিসিঞ্জার তাদের হুমকির মোকাবেলা করার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ন, জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং সংশ্লিষ্ট জনসংখ্যা-হ্রাস প্রোগ্রাম। (সূত্র: http://archive.is/3hMmJ)

আর এ জন্য ১৯৭৫ সালে ১৩ টি দেশকে ঐ সময় চিহিৃত করা হয়, Thirteen countries are named in the report as particularly problematic with respect to US security interests: India, Bangladesh, Pakistan, Indonesia, Thailand, the Philippines, Turkey, Nigeria, Egypt, Ethiopia, Mexico, Colombia, and Brazil.  (http://archive.is/5V6Vk)
আমরা এই লিষ্টের দিকে তাকালে আমাদের দেশকে প্রথম দিকেই দেখতে পাই যেটা আমেরিকা তথা পশ্চিমাদের কাছে হুমকী। অার এ হুমকী নিরসন করতে তারা তৎপর হয়েছে বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে, তৎপর হয়েছে জনসংখ্যা কমাতে।
একারনে তারা মুসলমানদের সংখ্যা কমানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। যেমন বাল্যবিবাহ বন্ধ করা, পরিবার পরিকল্পনা পদ্মতির মাধ্যমে একাধিক সন্তান না নেওয়া ইত্যাদি। আর আমরা তাদের গাধার নাকে বেধেঁ সেই মূলা পিছনে ছুটছি , ভূলে গিয়েছি ইসলামের আর্দশ বাল্যবিবাহ ও অধিক সন্তানের ফযিলতের কথা।
সুনানে দারু কুতনীতে বর্ণিত আছে ১৮ বছরের একজন মেয়ে নানী হয়েছে, যা বাল্য বিবাহের অকাট্য দলীল

Image result for বাল্যবিবাহসুনানে দারু কুতনীতে বর্ণিত আছে ১৮ বছরের একজন মেয়ে নানী হয়েছে, যা বাল্য বিবাহের অকাট্য দলীল

কিছু দিন আগের এক লেখায় একটা দলীল দিয়েছিলাম ২১ বছরে এক মেয়ে নানী হয়েছেন। আজকের এই লেখায় আপনারা দেখবেন এক মেয়ে ১৮ বছর বয়সে নানী হয়েছে। যা সহীহ হাদীছ শরীফের কিতাব থেকে বর্ণিত আছে। উক্ত দলীল স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে বাল্যবিবাহ শরীয়ত সম্মত। কিতাবে উল্লেখ আছে,



মূল কিতাবের স্কিনশট দেয়া হলো,


حَدثنِي عباد بن عباد المهلبي قَالَ أدْركْت فِينَا يَعْنِي المهالبة امْرَأَة صَارَت جدة وَهِيبنت ثَمَان عشرَة سنة ولدت لتسْع سِنِين ابْنة فَولدت ابْنَتهَا لتسْع سِنِين ابْنة فَصَارَت هِيَ جدة وَهِي ابْنة ثَمَانِي عشر سنة
অর্থ: হযরত আব্বাদ ইবনে আব্বাদ আল-মাহলভি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলছেন : “আমি মুহ্‌লাভার একটি মহিলাকে প্রত্যক্ষ করেছি যে আঠারো বছর বয়সে নানী হয়েছিল। সে তার (মেয়ে সন্তানের) জন্ম দিয়েছিল নয় বছর বয়সে এবং তার মেয়েও একটি সন্তানের জন্ম দেয় নয় বছর বয়সে, এভাবে মহিলাটি আঠারো বছর বয়সে নানী হয়ে যায়”। (সুনানে দারু কুতনী ৪র্থ খন্ড ৫০২ পৃষ্ঠা: হাদীস নং ৩৮৮১, সুনানে কুবরা বায়হাক্বী ১৫৮১৫, তানক্বীহু তাহক্বীক লি ইবনে আব্দিল হাদী ৪ র্থ খন্ড ৩২৪ পৃষ্ঠা : হাদীস ২৭১৩, তানক্বীহু তাহক্বীল লি যাহাবী ২/১৭৮, তাহ্‌ক্বীক্ব ফী আহাদিস আল-খিলাফ, ২য় খণ্ড, পৃঃ ২৬৭)
১৮ বছরে নানী হতে গেলে নিশ্চয়ই বাল্যবিবাহ হতে হয়েছে? যা দারু কুতনী ও বায়হাকীর মত সহীহ হাদীছ শরীফের কিতাব দ্বারা প্রমাণিত। এর পরও বাল্যবিবাহ বিরোধীতাকারী মুসলমান নামধারীরা দলীল খুঁজে পায় না?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার বাল্য বিবাহ হয়েছিলো

Image result for বাল্যবিবাহ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার বাল্য বিবাহ হয়েছিলো



আজ প্রধানমন্ত্রী মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জন্মদিন। আজ এই দিনে আপনাদের একটা বিশেষ ঘটনা শোনাবো।
“বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইটার নাম সবাই শুনেছেন। ১৯৬৭ সালে জেলে বসে বঙ্গবন্ধু নিজের আত্মজীবনী লিখেন। ২০০৪ সালে সেই পান্ডুলীপি শেখ হাসিনা হস্তগত হয়। পরবর্তীতে সেই বই ২০১২ সালে প্রকাশ হয়। 
আজ সেই গুরুত্বপূর্ণ বই থেকে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো। উক্ত বইয়ের ৭ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেন-
“ আমার যখন বিবাহ হয় তখন আমার বয়স বার তের হতে পারে। রেনুর বাবা মারা যাওয়ার পরে ওর দাদা আমার আব্বাকে ডেকে বললেন, তোমার বড় ছেলের সাথে অামার নাতনীর বিবাহ দিতে হবে। কারন আমি সমস্ত সম্পত্তি ওদের দুই বোনেকে লিখে দিয়ে যাব। রেনুর দাদা অামার আব্বার চাচা। মুরুব্বীর হুকুম মানার জন্যই রেনুর সাথে আমার বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে ফেলা হলো। আমি শুনলাম আমার বিবাহ হয়েছে। তখন কিছুই বুঝতাম না, রেনুর বয়স তখন বোধহয় তিন বছর হবে।””” (অসমাপ্ত আত্মজীবনী পৃ. ৭)

যা প্রমাণ হলো,
১) বিয়ের সময় বঙ্গবন্ধুর বয়স ছিলো ১৩ বছর।
২) বিয়ের সময় বেগম ফজিলাতুন্নেছার বয়স ছিলো ৩ বছর।
এই বিবাহ নিঃসন্দেহে বাল্য বিবাহ।

অতএব, আজকের এই দিনে আশা করি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নিজের পিতা ও মাতার বাল্যবিবাহের দিকে খেয়াল রেখে বাল্য বিবাহ বিরোধী অাইন থেকে ফিরে আসবেন, এবং বাল্য বিবাহের সুযোগ করে দিবেন।
পুরুষ ও মহিলাদের মাহরাম (যাদের সাথে পরস্পর দেখা-সাক্ষাত জায়িয)



পুরুষদের  মাহরাম ১৪ জন :
মায়ের মত ৫ জন —
(১) মা, (২) খালা, (৩) ফুফু, (৪) শাশুড়ি, (৫) দুধ-মা
বোনের মত ৫ জন —
(১) বোন, (২) দাদি, (৩) নানি, (৪) নাতনি, (৫) দুধ-বোন
মেয়ের মত ৪ জন —
(১) মেয়ে, (২) ভাই-এর মেয়ে, (৩) বোনের মেয়ে, (৪) ছেলের বউ
মহিলাদের মাহরাম ১৪ জন —
বাবার মত ৫ জন —
(১) বাবা, (২) চাচা, (৩) মামা, (৪) শশুর, (৫) দুধ-বাপ
ভাই-এর মত ৫ জন —
(১) ভাই, (২) দাদা,(৩) নানা, (৪) নাতি, (৫) দুধ-ভাই
ছেলের মত ৪ জন —
(১) ছেলে, (২) ভাই-এর ছেলে, (৩) বোনের ছেলে, (৪) মেয়ের জামাই
এদের সঙ্গে দেখা দেয়া জায়িয । এতদ্ব্যতীত আর কারো সঙ্গে দেখা দেয়া জায়িয নয় ।
খলীফায়ে ছানী, আমরিুল মু’মনিীন, খলীফাতুল মুসলমিীন, সাইয়্যদিুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহসি সালাম উনার র্পদা ও সুন্নত পালনরে দৃঢ়তা

খলীফায়ে ছানী, আমরিুল মু’মনিীন, খলীফাতুল মুসলমিীন, সাইয়্যদিুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহসি সালাম উনার র্পদা ও সুন্নত পালনরে দৃঢ়তা


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, একবার খলীফায়ে ছানী আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনার সম্মানিত মেয়ে, উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার সাথে একত্রে একটি রুমে বসে কিছু বিষয় আলাপ-আলোচনা করতেছিলেন। এমন সময় খলীফায়ে ছানী, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ স্মরণ হলো। সাথে সাথে তিনি দ্রুত দাঁড়িয়ে গেলেন এবং দ্রুত সেই রুম থেকে বের হতে যাচ্ছিলেন। বের হওয়ার সময় দরজার চৌকাঠের সাথে উনার মাথা মুবারক লেগে উনার কপাল মুবারক ফেটে যায় ও দরদর করে রক্ত মুবারক ঝরতে থাকে। রক্ত মুবারক ঝরা অবস্থায়ই তিনি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে প্রবেশ করেন। উনার কপাল মুবারক থেকে রক্ত ঝরতে দেখে স¦য়ং আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “হে হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! কে আপনার কপাল মুবারক ফাটিয়ে দিয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বেয়াদবী ক্ষমা চাই, আরবের বুকে এমন কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি যে, আমার কপাল মুবারকে আঘাত করতে পারে। তবে আপনার একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ আমার কপালে আঘাত করে আমার কপাল মুবারক ফাটিয়ে দিয়েছেন। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুনঃ জিজ্ঞাসা করলেন, কোন পবিত্র হাদীছ শরীফখানা আপনার মাথা মুবারকে আঘাত করলেন? উত্তরে তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি এবং আমার সম্মানিত কন্যা, উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম তিনিসহ আমরা দু’জন একটি কক্ষে কিছু জরুরী বিষয় আলাপ-আলোচনা করছিলাম। এমন সময় আমার স্মরণ হলো, “কোনো পুরুষ কোনো গাইরে মাহরাম মহিলার সাথে একাকী একত্রিত হলে সেখানে তাদের তৃতীয় সঙ্গী হয় শয়তান।” এ পবিত্র হাদীছ শরীফখানা আমার স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে আমি দ্রুত উঠে বের হওয়ার সময় আমার কপাল মুবারক চৌকাঠে লেগে কপাল মুবারক ফেটে যায় ও রক্ত মুবারক ঝরতে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
এ মুবারক ঘটনা থেকে ফিকির ও চিন্তার বিষয় হচ্ছে- উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম তিনি খলীফায়ে ছানী, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মেয়ে। তিনি একদিকে উম্মুল মু’মিনীন, অন্য দিকে সরাসরি মাহরাম। সে হিসেবে উনারা একজন আরেকজনের পিতা ও তনয়া। সুতরাং পরস্পর পরস্পরের দিকে দয়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকাতে অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী প্রতি দৃষ্টিতে একেকটি কবুল হজ্জের ছওয়াব হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! তারপরেও বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার আমল করতে গিয়ে তিনি কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন এবং পবিত্র পর্দা পালন করার প্রতিও খলীফায়ে ছানী সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন তা ফিকির করতে হবে।
দ্বীনদার পরহেজগার ব্যক্তি, শায়েখ, আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি এবং পিতা মাতার কদমবুছী করা খাছ সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত

No automatic alt text available.
  1. দ্বীনদার পরহেজগার ব্যক্তি, শায়েখ, আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি এবং পিতা মাতার কদমবুছী করা খাছ সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত

কদমবুছী সংক্রান্ত মাসায়ালা নিয়ে দেওবন্দী ওহাবীরা বিভিন্ন ফিৎনা সৃষ্টি করে এবং সরল সহজ মানুষদের ধোঁকা দিয়ে এটাকে শিরিক বলে প্রচার করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ !! 

আজকে এই পোস্টে বিস্তারিত ভাবে কদমবুছী সংক্রান্ত সকল বিভ্রান্তির জবাব দেয়া হবে এবং কদমবুছীর আহকাম তুলে ধরা হবে।

কদম শব্দের অর্থ হচ্ছে পা , এবং বুছি শব্দের অর্থ চুম্বন করা ! অর্থাৎ দ্বীনদ্বার পরহেজগার, সম্মানিত ব্যক্তি, পিতা-মাতা ইত্যাদি উনাদের পায়ে চুম্বন দেয়াকে শরীয়তে কদমবুছী বলে। এই কদমবুছী খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। হযরত ছাহাবয়ে কি রাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কদমবুছী করেছেন , আবার এক ছাহবী অন্য ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার কদমবুছী করেছেন !! এ প্রসঙ্গে অনেক হাদীস শরীফ বর্নিত আছে !

সহীহ হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়-
عن وازع بن زارع رضيالله عنه عن جدها وكان في وفد عبد القيس قال لما قذمنا المدينة فجعلنا نتبادر من رواحلنا فنقبل يد رسوالله صلي الله عليه و سلم و رجله
অর্থ : হযরত ওয়াজে ইবনে যারে উনার দাদা হতে বর্ননা করেন, আর তিনি ছিলেন আব্দুল কায়েস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন , আমরা যখন মদীনা শরীফে আসতাম, তখন আমরা আমাদের সাওয়ারী হতে তাড়াতাড়ি অবতরন করে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত এবং পা মুবারকে চুম্বন করতাম।"
দলীল --
√ আবু দাউদ শরীফ-কিতাবুস সালাম-২য় খন্ড-৭০৯পৃষ্ঠা- হাদীস ৫২২৫ !
√ মিশকাত শরীফ- কিতাবুল আদব- মুছাফাহ ও মুয়ানাকা অধ্যায়- হাদীস নম্বর ৪৬৮৮।
√ ফতহুল বারী ১১ খন্ড- ৫৭ পৃষ্ঠা !
√ মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড ৮০ পৃষ্ঠা।
√ মুছান্নাফে আবী শায়বা ।
√ বায়হাকী শরীফ।
√ কানযুল উম্মাল শরীফ।
√ তাফসীরে তাবারী।
√ বজলুল মাজহুদ ৬ ষ্ঠ খন্ড ৩২৮ পৃষ্ঠা।
√ মায়ালিমুস সুনান।
√ আইনুল মা'বুদ লি হল্লি মুশকালাতি সুনানী আবু দাউদ।
√ আশয়াতুল লুময়াত
√ এলাউস সুনান ১৭ তম খন্ড ৪২৬ পৃষ্ঠা।
কদমবুছী সম্পর্কে হাফিজে হাদীস আল্লামা কাজী আয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং হাফিজে হাদীস আল্লামা নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি স্বস্ব কিতাবে একখানা বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ বর্ননা করেন--
عن بريدة رضي الله عنه قال فاءذن لي اقبل يديك ورجليك- فاذن له اي في تقبيل يديه ورجليه- فقبلهما
অর্থ: হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, তিনি বলেন, (গাছের সিজদা দেয়ার ঘটনার পর) আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আমাকে আপনার উভয় হাত এবং পা মুবারক বুছা বা চুম্বন দেয়ার অনুমতি দিন। তখন উনাকে উভয় হাত এবং পা মুবারক চুম্বন দেয়ার অর্থাৎ কদমবুছী করার অনুমতি দেয়া হলে, তিনি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত এবং কদম মুবারক চুম্বন করলেন।"
দলীল- 
√ নাসীমুর রিয়াজ শরহে কাজী আয়াজ ৩য় খন্ড ৫০ পৃষ্ঠা ।

√ কিতাবুল আযকার লিন নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
ছিয়াহ সিত্তার নির্ভরযোগ্য কিতাব সমূহে আরো একটি হাদীস শরীফ বর্নিত আছে। 
হযরত সাফওয়ান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত একটি দীর্ঘ হাদীস শরীফ। একবার দুজন লোক হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য আসলো। তারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে কিছু জানতে চাইলো, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সব বিষয় সমূহের জবাব দান করলেন। 
জবাব পাওয়ার পরের বিষয় সম্পর্কে সাফওয়ান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন--

قال فقبلا يديه و رجليه و قالا نشهد انك نبي
অর্থ: হযরত সাফওয়ান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, অতঃপর তারা উভয়ে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারক এবং কদম মুবারক চুম্বন করলো এবং বললো, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহ পাক উনার নবী।"
দলীল- 
√ মিশকাত শরীফ -কিতাবুল ঈমান- বাবুল কাবায়ের ওয়া আলামাতুন নিফাক- দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ- ৫১ নং হাদীস শরীফ।

√ তিরমীযি শরীফ ।
√ আবু দাউদ শরীফ।
√ সুনানু নাসায়ী শরীফ।
√ তুহফাতুল আহওয়াযী।
√ সুনানুন নাসায়ী বি শরহিস জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
এছাড়া এক ছাহাবী অন্য ছাহবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার কদমবুছী করেছেন তার দলীল--
عن زيدبن ثبت انه قبل يد انس رضي الله عنه واخرج ايضا ان عليا قبل يد العباس و رجله
অর্থ : হযরত যায়েদ বিন সাবিত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,তিনি হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার হাত মুবারকে চুম্বন করেছেন। তিনি এটাও বর্ননা করেছেন যে , হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার হাত এবং পা মুবারকে চুম্বন করেছেন !"
দলীল- 
√ ফতহুল বারী- ১১খন্ড-৫৭পৃষ্ঠা !

√ তোহফাতুল আহওয়াযী শরহে তিরমীযি শরীফ ৭ম খন্ড ৫২৮ পৃষ্ঠা।
√ ফিকহুস সুন্নাহ ওয়াল আসার।
উল্লিখিত হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত হলো কদমবুছী করা খাছ সুন্নতে ছাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার অন্তর্ভুক্ত। আর সুন্নতে ছাহাবা অনুসরন সম্পর্কে সহীহ হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে -
عن العرباض بن سارية رضي الله عنه قال قال رسول صلي الله عليه و سلم عليكم بسنتي و سنة الخلفاء الراشدين المهدين تمسكوا بها و عضوا عليها بالنواجذ
অর্থ : হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের জন্য আমার সুন্নত এবং আমার খুলাফায়ে রাশেদীন রদ্বিয়াল্লাহু আনহুন উনাদের সুন্নত অবশ্যই পালনীয় ! তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো !""
দলীল-- 
√ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস শরীফ নং ৪২

√ তিরমিযী শরীফ, হাদীস শরীফ নং ২৬৭৬
√ আবু দাউদ শরীফ, হাদীস শরীফ নং ৪৬০৭
√ মুসনাদে আহমাদ শরীফ ৪/১২৬
নিজের মায়ের কদমবুছী সম্পর্কে হাদীস শরীফে আরো এসেছে--
من قبل رجل امه فكانما قبل عتبة الجنة
অর্থ : যে ব্যক্তি তার মায়ের পায়ে চুম্বন দিলো , সে যেন জান্নাতের চৌকাঠে চুম্বন দিলো !"
দলীল-- 
√ মাবসূত লিল সারাখসী ১ম খন্ড ১৪৯ পৃষ্ঠা।

উক্ত দলীল আদিল্লা থেকে স্পষ্ট বোঝা গেল কদমবুছী করা খাস সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত | সুবহানাল্লাহ্ !!
শুধু তাই নয়, বিখ্যাত ইমাম মুস্তাহিদ উনাদের জীবনীতেও কদমবুছীর ঘটনা পাওয়া যায়। 
যেটা কিতাবে বর্নিত হয়েছে-

امام مسلم بن حجاج كا واقغه جو امام بخاري کے ساتھ پيش اياكه امام مسلم نے امام بخاري كی پيشانی كو بوسه ديا اور قدم بوسي كا اراده كيا- يه كتب حديث ورجال مين معروف و مشهور هے
অর্থ: ইমাম হযরত মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কিত ঘটনা। অর্থাৎ ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কপাল মুবারকে চুম্বন দিয়েছেন এবং কদমবুছী করার ইচ্ছা পোষন করেছিলেন। এ ঘটনা হাদীস শরীফের কিতাব ও রিজাল শাস্ত্রে পরিচিত ও প্রসিদ্ধ।"
দলীল- 
√ আল কিরামাতু ওয়াল তাক্ববীল।

√ মিযানুল আখবার ৪৯ পৃষ্ঠা ।
এখন দেখেন, কদমবুছী যদি জায়িয না হতো তাহলে ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনি কি কদমবুছী করার অনুমতি চাইতেন ? 
অতএব প্রমান হলো বূজর্গ ব্যক্তিদের কদমবুছী করাটা সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত।

কদমবুছী সম্পর্কে ফতোয়ার কিতাবে আরো বর্নিত আছে--
تمام روايات سے ثابت هوا كه علماء ومشاءخ اور ديني شرف ركهنے والے حضرات كي دست بوسي بلكه قدم بوسي نيز پيشاني وغيره پر بوسه دينا سنت اور تعامل صحابه وتابعين سے بلا كسي نكير كے ثابت هے
অর্থ: হাদীস শরীফ উনার সকল বর্ননা দ্বারা এটাই প্রমানিত হয় যে, দ্বীনদার, আলেম,পীর ও বূজর্গ উনাদের দস্তবুছী বা হাত চুম্বন, কদমবুছী বা পা চুম্বন এমনকি কপালে চুম্বন দেওয়াও সুন্নত এবং সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এবং হযরত তাবেয়িন রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের আমল হিসাবে বিনা প্রশ্নে প্রমানিত।"
দলীল- 
√ আল কিরামাতু ওয়াল তাক্ববীল লিশ শায়েখ আবেদ সিন্ধি।

প্রমান হলো, কদমবুসী করা খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। যেটা ছিহা সিত্তার হাদীস দ্বারা প্রমানিত । এছাড়া অসংখ্য হাদীস শরীফে আছে কদমবুসী করা সুন্নাত। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বীনদার, পরহেজগার , বূজুর্গ, পিতা-মাতা উনাদের কদমবুসী বা পদ চুম্বন সুন্নত । আর কেউ সুন্নতকে অবজ্ঞা করলে কাফির হবে।
মজার বিষয় লক্ষ্য করুন, এত দলীল থাকার পরও বর্তমান সকল দেওবন্দী- কওমীদের বই-পুস্তক, পেপার-পত্রিকা, বিভিন্ন লেখনিতে আমরা দেখি তারা কদমবুসীকে শিরক-হারাম-নাজায়েজ বলে ফতোয়া প্রদান করে থাকে। 
অথচ মজার বিষয় হচ্ছে তাদের সিলসিলার সকল মুরুব্বী এক বাক্যে কদমবুছীকে সুন্নত ফতোয়া দিয়েছে। 
আসুন আমরা দেখি এই শিরক-হারাম ফতোয়া দানকারীদের দেওবন্দী মুরুব্বীরা কি ফতোয়া দিয়েছে-----

দেওবন্দী গুরু আশরাফ আলী থানবী তার ফতোয়ার কিতাবে লিখেছে---
پس صحيح جواز تقبيل في نفسه هے
অর্থ-- সুতরাং ছহীহ মত হলো, মূল কদমবুছী জায়িয !"
দলীল-- 
√ ইমদাদুল ফতোয়া ৫খন্ড, ৩৪৫ পৃষ্ঠা !

√ মাওয়ায়েজে আশরাফিয় !
আশরাফ আলী থানবী আরো ফতোয়া দিয়েছে ---
عالم و والدين كي تقبيل يد ورجل جءز ھے
অর্থ-- আলিম, পিতা-মাতার দস্তবুছী ( হাত চুম্বন) এবং কদমবুছী ( পা চুম্বন ) জায়িয !"
দলীল- 
√ ইমদাদুল আহকাম ১ খন্ড ১৩৫।

দেওবন্দী গুরু রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী তার কিতাবে লিখেছে--
تعظيم دندار كو كهرا هونا درست ھے اور پؤی چومنا اسے ہی شخص كا بهي درست ھے حديث سے ثابت ہے
অর্থ-- দ্বীনদার আলিমের সম্মানার্থে দাঁড়ানো জায়িয এবং তাঁদের কদমবুছী করাও জায়িয। এটা হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত।" 
দলীল--- 
√ ফতোয়ায়ে রশীদিয়া কামেল ৪৫৯ পৃষ্ঠা !

দেওবন্দী মুফতী শফী তার কিতাবে লিখেছে-
پسي مختصر بات يهي هے که سنت رسول الله صلي الله عليه و سلم اور تعامل صحابه مين اسكي حوحد منقول هے اسكي اسي حدپر ركها جاءے-تو 
بلا شبه دست بوسي قدم بوسي معانقه مصافحه سب جءز بلكه سنت ومستحب هيی

অর্থ -- সূতরাং সংক্ষিপ্ত কথা হলো যে, হাদীস শরীফ ও সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুগনের আমল দ্বারা এর (কদমবুছীর) যেই সীমা বর্ননা করা হয়েছে, আমাদের এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। নিঃসন্দেহে দস্তবুছী ( হাত চুম্বন) কদমবুছী ( পা চুম্বন) , মুয়ানিকা, মুছাহাফা, সবই জায়িয বরং সুন্নত ও মুস্তাহাবের অন্তর্ভুক্ত।"
দলীল-- 
√ জাওয়াহিরুল ফিক্বাহ ১ম খন্ড ২০২ পৃষ্ঠা।

দেওবন্দী গুরু মাহমুদুল হাসান লিখেছে--
جو شخص واجب الاكرام هو اسكي قدم بوسي كي اجازت هے
অর্থ-- যিনি সম্মানের অধিকারী , তাঁর কদমবুছী করার অনুমতি রয়েছে!"
দলীল-- 
√ ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া ১ম খন্ড ১৭৫ পৃষ্ঠা।

সম্মানিত মুসলমান ভাইয়েরা বিচার আপনারাই করুন !! দেওবন্দী দের প্রধান মুরুব্বীরা কদমবুছীকে জায়িয সুন্নত ফতোয়া দিয়ে গেছে অথচ তাদের সিলসিলার কওমী এবং বর্তমান দেওবন্দীরা এটাকে শিরক-নাজায়েজ- হারাম ফতোয়া দিচ্ছে। এর দ্বারা কি এটাই প্রমান হয় না ,এই দেওবন্দী কওমী ওহাবীরা এই পবিত্র সুন্নত থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখছে এবং বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
সূতরাং উপরোক্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ, শরাহ, ফিক্বাহের কিতাব এবং কদমবুছী বিরোধী ব্যক্তিদের সিলসিলার কিতাব থেকেই দিবালোকের ন্যায় প্রমান হলো, দ্বীনদার,পরহেজগার,বূজর্গ,শায়েখ, সম্মানিত ব্যক্তি এবং পিতা মাতার কদমবুছী করা খাস সুন্নত। এবং এই সুন্নত শরীফকে অস্বীকার করা স্পষ্ট কুফরী।