পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীনদার বাদশাহ পালনের ব্যবস্থা করেন উনাকে যারা মূর্খ ও যিন্দীক অভিহিত করে ফতওয়া মুতাবিক তারাই উলামায়ে ছূ’ ১২৩
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীনদার বাদশাহ পালনের ব্যবস্থা করেন উনাকে যারা মূর্খ ও যিন্দীক অভিহিত করে ফতওয়া মুতাবিক তারাই উলামায়ে ছূ’
=================================================
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীনদার, পরহেযগার ন্যায়পরায়ণ ও আশিকে রসূল বাদশাহ তরতীব মুতাবিক পালনের ব্যবস্থা করেন উনাকে মূর্খ ও যিন্দীক অভিহিত করে শরীয়তের ফতওয়া মুতাবিক উলামায়ে ছূ’রা নিজেরাই মূর্খ ও যিন্দীক হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে।
কারণ, কেউ যদি কাউকে কোন অপবাদ দেয়, সে যদি তার উপযুক্ত না হয় তাহলে যে অপবাদ দিয়েছে সেটা তার উপরই বর্তাবে এবং উক্ত অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েই সে মৃত্যুমুখে পতিত হবে। নাঊযুবিল্লাহ! যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان العبد اذا لعن شيأ صعدت اللعنة الى السماء فتغلق ابواب السماء دونها ثم تهبط الى الارض فتغلق ابوابها دونها ثم تأخذ يمينا وشمالا فاذا لم تجد مساغا رجعت الى الذى لعن فاذا كان لذالك اهلا والا رجعت الى قائلها
অর্থ: “হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, যখন কোন বান্দা কোন বস্তুকে অভিসম্পাত করে তখন সেই অভিসম্পাত আকাশে উঠে, তখন আকাশের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়, তখন সেই অভিসম্পাত যমীনের দিকে প্রত্যাবর্তন করে, তখন যমীনের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। অতঃপর তা ডান দিকে ও বাম দিকে যায় এবং যখন সেখানেও কোন রাস্তা না পায়, শেষ পর্যন্ত সেই ব্যক্তি বা বস্তুর দিকে প্রত্যাবর্তন করে, যার উপর অভিসম্পাত করা হয়েছে। যদি সে অভিসম্পাতের উপযুক্ত হয়, তবে তার উপর পতিত হয়; অন্যথায় অভিসম্পাতকারীর দিকেই ফিরে আসে।।” (আবূ দাউদ শরীফ)
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীনদার, পরহেযগার ন্যায়পরায়ণ ও আশিকে রসূল বাদশাহ তরতীব মুতাবিক পালনের ব্যবস্থা করেন ১২২
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীনদার, পরহেযগার ন্যায়পরায়ণ ও আশিকে রসূল বাদশাহ তরতীব মুতাবিক পালনের ব্যবস্থা করেন
=================================================
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীনদার, পরহেযগার ন্যায়পরায়ণ ও আশিকে রসূল বাদশাহ তরতীব মুতাবিক পালনের ব্যবস্থা করেন
=================================================

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বিরোধী বিদয়াতীরা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে বিদয়াত প্রমাণ করতে গিয়ে আরেকটি মিথ্যা তথ্য সংযুক্ত করে থাকে। তারা বলে, “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার এরূপ তরতীব প্রচলন করেন ছয়শত হিজরীতে একজন ফাসিক বাদশাহ।” নাঊযুবিল্লাহ!
মূলত, তাদের উক্ত বক্তব্য মোটেও সত্য নয়; বরং সম্পূর্ণই মিথ্যা ও জিহালতপূর্ণ। কারণ নির্ভরযোগ্য সীরাত গ্রন্থসমূহ ও সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য সমস্ত কিতাবেই উক্ত বাদশাহকে নেক্কার, পরহেযগার, ছালেহীন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
যেমন এ প্রসঙ্গে হাফিযে হাদীছ হযরত ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার স্বীয় বিশ্বখ্যাত ইতিহাসগ্রন্থ “সিয়ারু আলাম আন নুবালা”-উনার ২২তম জিঃ ৩৩৬ পৃষ্ঠায় লিখেন,
ﻛﺎﻥ ﻣﺘﻮﺍﺿﻌﺎ ﺧﻴﺮﺍ ﺳﻨﻴﺎ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﻭﺍﻟﻤﺤﺪﺛﻴﻦ
অর্থ: “বাদশাহ হযরত মালিক মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও উত্তম স্বভাবের অধিকারী ছিলেন। তিনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের আক্বীদায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি ফক্বীহ ও মুহাদ্দিছগণকে অত্যন্ত ভাল বাসতেন।”
এ মহান বাদশাহর প্রশংসায় উনার সমকালীন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ আল্লামা ক্বাযী ইবনে হযরত খাল্লিক্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন
ﻭﻛﺮﻡ ﺍﻻﺧﻼﻕ ﻛﺜﻴﺮ ﺍﻟﺘﻮﺍﺿﻊ ﺣﺴﻦ ﺍﻟﻌﻘﻴﺪﺓ ﺳﺎﻟﻢ ﺍﻟﻄﺎﻗﺔ ﺷﺪﻳﺪ ﺍﻟﻤﻴﻞ ﺍﻟﻲ ﺍﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭ ﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ﻻ ﻳﻨﻔﻖ ﻋﻨﺪ ﻣﻦ ﺍﺭﺑﺎﺏ ﺍﻟﻌﻠﻮﻡ ﺳﻮﻱ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﻭﺍﻟﻤﺤﺪﺛﻴﻦ ﻭﻣﻦ ﻋﺪﺍﻫﻤﺎ ﻻ ﻳﻌﻄﻴﻪ ﺷﻴﺎ ﺍﻻ ﺗﻜﻠﻔﺎ
অর্থ: “বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রশংসনীয় বা উত্তম চরিত্রের অধিকারী, অত্যধিক বিনয়ী ছিলেন। উনার আক্বীদা ও বিশ্বাস ছিল সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ। তিনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন।” (“ওয়াফইয়াতুল আ’ইয়ান” গ্রন্থের ৪র্থ জিঃ ১১৯ পৃষ্ঠা)
মহান বাদশা বিশুদ্ধ আক্বীদা এবং উত্তম আমলের অধিকারী ছিলেন বলেই সে জামানার সকল আলিম উলামা, মাশায়েখ, সূফী দরবেশ সবাই সে সময় উনার আয়োজিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার মধ্যে উপস্থিত হতেন। এ প্রসঙ্গে আল্লামা ক্বাযী ইবনে খল্লিক্বান রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
ﻭﺍﻣﺎ ﺍﺣﺘﻔﺎﻝ ﺑﻤﻮﻟﺪ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻓﺎﻥ ﺍﻟﻮﺻﻒ ﻳﻘﺼﺮ ﻋﻦ ﺍﻻﺣﺎﻃﺔ ﺑﻬﺎ ﻭﻟﻜﻦ ﻧﺬﻛﺮ ﻃﺮﻗﺎ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﺍﻫﻞ ﺍﻟﺒﻼﺩ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻗﺪ ﺳﻤﻌﻮﺍ ﺑﺤﺴﻦ ﺍﻋﺘﻘﺎﺩ ﻓﻴﻪ ﻓﻜﺎﻥ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺳﻨﺔ ﻳﺼﻞ ﺍﻟﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺒﻼﺩ ﺍﻟﻌﺮﺑﻴﺔ ﻣﻦ ﺍﺭﺑﻞ ﻣﺜﻞ ﺑﻐﺪﺍﺩ ﻭﺍﻟﻤﻮﺻﻞ ﻭﺍﻟﺠﺰﻳﺮﺓ ﻭ ﺳﻨﺠﺎﺭ ﻭﻧﺼﺒﻴﻦ ﻭﺑﻼﺩﺍ ﺍﻟﻌﺠﻢ ﻭﺗﻠﻚ ﺍﻟﻨﻮﺍﺣﻲ ﺣﻠﻖ ﻛﺜﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﻭﺍﻟﺼﻮﻓﻴﺔ ﻭﺍﻟﻮﻋﺎﺀﻅ ﻭﺍﻟﻘﺮﺍﺀ ﻭﺍﻟﺸﻌﺮﺍﺀ
অর্থ: বাদশা হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি কতৃক আয়োজিত মীলাদ মাহফিলের গুরুত্ব-মাহাত্ব বলে শেষ করার মত নয়। এতদসত্বেও একটি কথা না বললেই নয়। তাহলো দেশবাসী আক্বীদা ও বিশ্বাসে উনাকে উত্তম লোক বলেই জানতেন। আর তাই প্রতি বছর আরবলের নিকটবর্তী সকল দেশে যেমন-বাগদাদ, মাওয়াছিল, জাযীরাহ, সানজার, নাছীবাইন, আরব-অনারব ও আশ পাশের অসংখ্য আলীম উলামা, ফক্বীহ, ছালিহ, ওয়ায়িজ, ক্বারী ও শায়িরগন উক্ত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিলে উপস্থিত হতেন।”
[সূত্রঃ- ওয়াফইয়াতুল আ’ইয়ান, ৪র্থ খন্ড, ১১৭ পৃষ্ঠা]
বিখ্যাত তাফসীরকারক ও ইতিহাসবেত্তা আল্লামা হযরত ইমাদুদ্দীন ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত গ্রন্থ “আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া”-উনার ১৩তম জিঃ ১৭৪ পৃষ্ঠায় লিখেন-
أحد الاجواد والسادات الكبراء والملوك الامجاد له آثار حسنة وقد عمر الجامع المظفري بسفح قاسيون وكان قدهم بسياقه الماء إليه من ماء بذيرة فمنعه المعظم من ذلك واعتل بأنه قد يمر على مقابر المسلمين بالسفوح وكان يعمل المولد الشريف في ربيع الاول ويحتفل به احتفالا هائلا وكان مع ذلك شهما شجاعا فاتكا بطلا عاقلا عالما عادلا رحمه الله وأكرم مثواه وقد صنف الشيخ أبو الخطاب ابن دحية له مجلدا في المولد النبوي سماه التنوير في مولد البشير النذير فأجازه على ذلك بألف دينار وقد طالت مدته في الملك في زمان الدولة الصلاحية وقد كان محاصر عكا وإلى هذه السنة محمودالسيرة والسريرة قال السبط حكى بعض من حضر سماط المظفر في بعض الموالد كان يمد في ذلك السماط خمسة آلاف راس مشوى وعشرة آلاف دجاجة ومائة ألف زبدية وثلاثين ألف صحن حلوى
র্অথঃ “(মুযাফফর শাহ) ছলিনে একজন উদার/সহৃদয় ও প্রতাপশালী এবং মহমিান্বতি শাসক, যাঁর সকল কাজ ছলি অতি উত্তম। তিনি কাসইিউন-উনার কাছে জামযে়া আল-মুযাফফরী নর্মিাণ করনেৃ..(প্রত) রবীউল আউয়াল মাসে তিনি জাঁকজমকরে সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ (মীলাদুন্নবী) উদযাপন করতনে। উপরন্তু, তিনি ছলিনে দয়ালু, সাহসী, জ্ঞানী, বদ্বিান ও ন্যায়পরায়ণ শাসক – রাহমিুহুল্লাহ ওয়া একরাম – শায়খ আবুল খাত্তাব রহমতুল্লাহি আলাইহি সুলতানরে জন্যে মওলদিুন্ নববী সর্ম্পকে একখানি বই লখিনে এবং নাম দনে ‘আত্ তানভরি ফী মওলদি আল-বাশরি আন্ নাযীর’। এ কাজরে পুরস্কারস্বরূপ সুলতান তাঁকে ১০০০ দিনার দান করনে। সালাহিয়া আমল র্পযন্ত তাঁর শাসন স্থায়ী হয় এবং তিনি ’আকা’ জয় করনে। তিনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র থেকে যান।” আস সাবত এক ব্যক্তির কথা উদ্ধৃত করেন-যিনি সুলতানের আয়োাজত মওলুদ অনুষ্ঠানে যোগ দেন; ওই ব্যক্তি বলেন:
‘অনুষ্ঠানে সুলতান ভালভাবে রান্নাকৃত ৫০০০ ছাগল, ১০,০০০ মোরগ, ১ লক্ষ বৌল-র্ভতি দুধ এবং ৩০,০০০ ট্রে মষ্টিরি আয়োজন করতেন।”
এ মহান বাদশাহ বিশুদ্ধ আক্বীদা ও উত্তম আমলের অধিকারী ছিলেন এবং তিনি যে তরতীবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ-উনার মাহফিল উদযাপন করতেন তা শরীয়তসম্মত ছিল বলেই সে যামানার প্রায় সকল আলিম-উলামা পীর-মাশায়িখ, ছূফী-দরবেশ, ক্বারী, ওয়ায়িজ উক্ত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ-উনার মাহফিলে উপস্থিত হতেন। সুবহানাল্লাহ!
তিনি আরো উল্লেখ করেন,
ﺍﻟﻤﻠﻚ ﺍﻟﻤﻈﻔﺮ ﺍﺑﻮ ﺳﻌﻴﺪ ﻛﻮﻛﺒﺮﻱ ﺍﺣﺪ
ﻟﻼﺟﻮﺍﺩ ﺍﻟﺴﺎﺩﺍﺕ ﺍﻟﻜﺒﺮﺍﺀ ﻭﺍﻟﻤﻠﻮﻙ
ﺍﻻﻣﺠﺎﺩﻟﺔ ﺍﺛﺮ ﺣﺴﻨﺔ
অর্থ: বাদশা হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন আবু সাঈদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি দানশীল ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন। সাথে সাথে তিনি সম্মানিত বাদশাও ছিলেন। উনার বহু পূন্যময় কাজের আলামত এখনও বিদ্যমান রয়েছে।” [ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৩ তম, খন্ড ১৩৬ পৃষ্ঠা]
আল্লামা হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উক্ত বাদশাহ সম্বন্ধে উনারহুসনুল মাক্বাছীদ ফী আমালিল মাওয়ালিদ’ কিতাবে সুপ্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিছ আল্লামা হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেন যে-
وكان شهما شجاعا بطلا عالما عادلا رحمه الله واكرم مثواه.
অর্থ: ‘তিনি তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন, সাহসী, বীর্যবান, আলিম ও ন্যায় বিচারক ছিলেন। আল্লাহ পাক উনার উপর রহম করুন এবং উনাকে সম্মানিত বাসস্থান দান করুন।’ 
৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দুয়ানী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নয়, বরং ‘১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে বোনাস’ দিতে হবে। ১২১
৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দুয়ানী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নয়, বরং ‘১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে বোনাস’ দিতে হবে।
=================================================
৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দুয়ানী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নয়, বরং ‘১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে বোনাস’ দিতে হবে। পহেলা বৈশাখ উৎসব উপলক্ষে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বোনাস পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
এখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে- সারা বছরে এত উৎসব থাকার পরেও পহেলা বৈশাখে কেন এই বোনাস দেয়া হচ্ছে? বলা হচ্ছে, পহেলা বৈশাখ সার্বজনীন উৎসব। নাউযুবিল্লাহ! তাই সবার মাঝেই এই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিতেই এই বোনাস দেয়া হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! বাদশাহ আকবর যেমন করে তার রাজত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য পৃথক একটি ধর্ম চালু করেছিল। সেই ধর্মের নাম দিয়েছিল দ্বীন-ই-এলাহী। দেখা যাচ্ছে, বর্তমান সরকারও ক্ষমতায় থাকার জন্য কথিত সার্বজনীন উৎসবের নাম করে পহেলা বৈশাখে বোনাস দিচ্ছে। অথচ পহেলা বৈশাখে মুসলমানগণ উনাদের কোনো উৎসব নেই; বরং হিন্দু ও উপজাতিদের ১৪ রকম পূজা রয়েছে।
তাহলে এখানে পরিষ্কার করে দেখা যাচ্ছে যে, পহেলা বৈশাখে মুশরিকদের অনেক পূজা থাকলেও মুসলমানগণ উনাদের কোনো উৎসবই নেই। তাহলে কি করে এখানে মুসলমানদেরকে জড়ানো যেতে পারে? মূলত, কাফির-মুশরিকরা মুসলমানদেরকে ধোঁকা দিয়ে ঈমানহারা করার জন্যই মুসলমানদেরকে কাফির-মুশরিকদের বিভিন্ন উৎসবে যেতে উৎসাহিত করে। নাউযুবিল্লাহ! তাছাড়া মুসলমানগণ একটা ঘটনা ফিকির করলে সহজেই বুঝতে পারবে। ঘটনাটি হলো- এক এলাকায় এক বুজুর্গ ইন্তেকাল করলেন। কয়েকদিন পর তার এক বন্ধু স্বপ্নে উনাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কেমন আছেন? তিনি তখন বললেন, আমি এখন ভালো আছি, তবে আমি এর আগে কঠিন পেরেশানিতে ছিলাম। তিনি বললেন, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা যখন আমাকে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে নিয়ে গেলেন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, তুমি তো পূজারী, তোমার জাহান্নামে যাওয়া উচিত। আমি তখন ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, সেদিনের কথা কি তোমার মনে পড়ে না- যেদিন হিন্দুদের হোলিপূজা চলছিল আর তোমার পাশ দিয়ে একটি গাধা যাচ্ছিল, যার গায়ে কোনো রং ছিলো না। তুমি তখন পান খাচ্ছিলে। মুখ থেকে সেই পানের চিপটি গাধাকে লাগিয়ে বলেছিলে- তোমাকে তো কেউ রং লাগিয়ে দেয়নি, আমি লাগিয়ে দিলাম। এটা কি পূজা হয়নি? তখন আমি ভীষণ লজ্জিত হয়ে বললাম, হে বারে ইলাহী! আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি বিষয়টা ফিকির করিনি। কেউ আমাকে বিষয়টা ধরিয়েও দেয়নি। আমাকে ক্ষমা করে দিন। মহান আল্লাহ পাক অন্যান্য নেক আমলের জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন, তবে সেই ভুলের জন্য আমি এখনো খুবই লজ্জিত আছি।
তাহলে ফিকিরের বিষয়, হিন্দুদের পূজার সাথে মিল করার কারণে যদি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে যারা সরাসরি মুশরিকদের পূজায় অংশগ্রহণ করবে তাদের কি অবস্থা হবে? কঠিন আযাব-গযবে মহান আল্লাহ পাক তাদের গ্রেফতার করবেন। তাই ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সবাই যেন বেশি বেশি করে খুশি প্রকাশ করে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে খুশি মুবারক পালন করতে পারে সেজন্য ‘১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে বোনাস’ প্রদান করতে হবে- মুশরিকদের পহেলা বৈশাখে নয়!
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন! - শেখ মুজিব সাহেবের বাস্তবায়নকৃত ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা বোনাস চালু করুন। ১২০
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন! - শেখ মুজিব সাহেবের বাস্তবায়নকৃত ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা বোনাস চালু করুন।
=================================================
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেব সর্বপ্রথম বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ঢাকায় ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে পবিত্র রবিউল আউওয়াল শরীফ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে সর্ব প্রথম বৃহত্তর আঙ্গিকে পবিত্র ‌ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল উদযাপনের কর্মসূচী গ্রহন করেন। সরকার প্রধান হিসেবে আপনার পিতা বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ চত্বরে মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন । একজন সরকার প্রধান হিসেবে জাতীয়ভাবে পবিত্র ‌ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিলের উদ্বোধন উপমহাদেশের ইতিহাসে প্রথম এবং বিরল দৃষ্টান্ত ।
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের উদ্দেশ্যে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সাহেব ই সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সরকারী ছুটি ঘোষনা করেন। দিবসের পবিত্রতা রক্ষার জন্য তিনি সিনেমা হলে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন ।
সুত্রঃ
১. সৈয়দ আবীর  “ইসলামী মুল্যবোধ ও বঙ্গবন্ধু” , জাগৃতি প্রকাশনী,পঞ্চবিংশ অধ্যায়-ইসলামের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান,পৃষ্ঠা ২০৮
২.আবু তাহের মুহাম্মদ মানজুর “ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান” ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা(ঢাকা:ই.ফা.বা.)জানুয়ারী-মার্চ-২০০৯ পৃ-৪১,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
১৪৬৩ খ্রিষ্টাব্দে হযরত বায়েজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি যখন চট্টগ্রামে স্থায়ী হন তখন উনার সঙ্গী ছিলেন আপনার পুর্বপুরুষ শেখ আউয়াল রহমতুল্লাহি আলাইহি। দরবেশ শেখ আউয়াল রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন বায়েজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রিয় মুরিদ এবং বিশ্বাসীজন। সে হিসেবে আপনার পুর্বপুরুষেরা দ্বীনের তালিম তালকিন দিয়েছেন। বাংলার জমিনে ইসলামের আবাদ করেছেন। আপনি সেই ধার্মিক পুর্বপুরুষেরই বংশধর।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
ইসলামের প্রতি আপনার পিতার যে অনুভূতি আর দরদ কি রকম গভীর ছিল তা ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে তার প্রমাণ দিয়ে গেছেন। আপনার পিতা আপনাদের বাড়িতে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের অনুষ্ঠান করতেন। আপনিও আপনার পিতার আদর্শ অনুসরণ করে নির্বাচনী ওয়াদায় কুরআন – সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছেন যা ৯৮ ভাগ মুসলমানের হৃদয়কে আন্দোলিত করেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
আপনি সেই পিতার সন্তান।যার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের পথে তড়িৎ গতিতে এগুচ্ছে। যিনি পরপর দু’বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সবসময় বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেবের স্বপ্ন পুরনের কথা বলেন। বাস্তবায়িত করার কথা বলেন। সেই আপনার পিতা-ই নুরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এতই মুহব্বত করতেন যে স্বয়ং ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই বাংলার জমিনে সরকারীভাবে জাঁকজমকের সাথে পালন করেছেন।
আপনিও সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
আপনার পিতার আদর্শই আপনার জীবনের পথচলার পাথেয়। আপনার পিতার আদর্শকে বাস্তবায়ন করা এবং বাস্তবায়নকৃত বিষয়কে আর বেগবান করা কন্যা হিসেবে আপনার দায়িত্ব এবং কর্তব্য।সে হিসেবে আপনার পিতার বাস্তবায়নকৃত পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা-বোনাস দিবেন যা ৯৮ ভাগ মুসলিম এই দেশে মুসলমানদের প্রানের দাবী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
আপনি যদি সর্বোত্তম আমল পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা-বোনাস চালু করতে পারেন তাহলে আপনার পিতার রুহের মাগফেরাত কত অসীম হবে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। একজন মৃত ব্যক্তি জীবিত তার বংশধরদের কাছে তা-ই আশা করেন। শুধু তাই নয় আপনি যদি ভাতা বোনাস চালু করতে পারেন আপনি নিজেও বিশাল নিয়ামত লাভ করবেন এবং মহিলা ওলিদের মত আপনার অবদান ও যুগ যুগ ধরে স্বরন করা হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে কে কি বলেছে আপনি তা আমলে নেননি। নিজের ইচ্ছার উপর দৃঢ় থেকে , অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে আপনি এই বাংলার জমিনকে কলংকমুক্ত করেছেন। ঠিক তেমনি পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা বোনাস চালু করতে কে কি বলেছে তার পাত্তা দেওয়া যাবেনা। কারন এ দিবস খোদ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
যদি আপনি তা-ই করতে পারেন তাহলেই কেবল আপনার পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়া এবং ইহকাল-পরকাল উভয়কালেই কামিয়াবি অর্জন করা সম্ভব।
মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সেই ঈমানী কুওওয়ত দান করুন। আমীন।
হিন্দুরা মুসলমানদের উৎসবে বোনাস নেয় না, মুসলমানরা হিন্দুর উৎসবে বোনাস নেবে কেন ? ১১৯
হিন্দুরা মুসলমানদের উৎসবে বোনাস নেয় না, মুসলমানরা হিন্দুর উৎসবে বোনাস নেবে কেন ?
=================================================
হিন্দুরা মুসলমানদের উৎসবে বোনাস নেয় না, মুসলমানরা হিন্দুর উৎসবে বোনাস নেবে কেন ?
বাংলাদেশর মুসলমানরা ধর্মীয় উৎসবে বোনাস পায় দুটি। একটি রোজার ঈদে, অন্যটি কোরবানীর ঈদে। অপরদিকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা রোজার ঈদ বা কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে কোন বোনাস পায় না। পায় দূর্গা পূজা, বৌদ্ধ পূর্নিমা কিংবা ক্রিসমাস উপলক্ষে। তবে বোনাসের অর্থে সমতা আনার ক্ষেত্রে দূর্গা পূজা, বৌদ্ধ পূর্নিমা কিংবা ক্রিসমাসে মুসলমানদের ভাতা দ্বিগুন করে বোনাস প্রদান করা হয়।
এই বিষয়টি দ্বারা বোঝা যায়, অমুসলিমরা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য কোন বোনাস নেয় না, নেয় তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে।
বর্তমানে  পহেলা বৈশাখ উৎসব উপলক্ষে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বোনাস পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা । যদিও পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের কোন অনুষ্ঠান নয়, হিন্দু-বৌদ্ধ-মজুসিদের ধর্মীয় উৎসব। তাই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মুসলমানদের বোনাস না দিয়ে অন্য কোন ইসলামী উপলক্ষকে কেন্দ্র করে ভাতা দেয়া উচিত।
আর মুসলমানদের সেই বিশেষ দিবসটি হচ্ছে পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এদিনটি ঈদ বা খুশির দিন যা রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা উচিত, অথচ সরকারের কোন পৃষ্ঠপোষকতা সেখানে চোখে পড়ে না। সরকারের উচিত পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে বোনাস ভাতা প্রদান করে, মুসলমানদের আরো শান-শওকত ও জজবার সাথে দিবসটি পালনের সুযোগ করে দেয়া।
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে বোনাস ও ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। ১১৮
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে বোনাস ও ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
=================================================
দুই ঈদের জন্য বোনাস ও ছুটি থাকলে, দুই ঈদের চেযেও শ্রেষ্ঠ তম ঈদে তথা  ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্য বোনাস ও ছুটি নেই কেন?
পবিত্র জুমুয়ার দিন মুসলমানগন উনাদের জন্য ঈদের দিন। পবিত্র সহীহ হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنِ ابْنِ السَّبَّاقِ , أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جُمُعَةٍ مِنَ الْجُمَعِ قَالَ : ” يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ , إِنَّ هَذَا يَومٌ جَعَلَهُ اللَّهُ عِيدًا لِلْمُسْلِمِينَ
“হযরত ওবায়িদ বিন সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক জুমুয়ার দিনে বলেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন যাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈদ স্বরূপ নির্ধারণ করেছেন। (ইবনে মাজাহ : হাদীস নম্বর ১১৯৮, মুয়াত্তা মালিক- কিতাবুত ত্বহারাত: হাদীস নম্বর ১৪৪, বায়হাক্বী : হাদীস ১৩০৩, মা’য়ারিফুল সুনান ওয়াল আছার বায়হাক্বী: হাদীস ১৮০২, মুসনাদে শাফেয়ী: হাদীস ২৬৮, মুজামুল আওসাত তাবরানী ৩৪৩৩, মিশকাত শরীফ)
এ পবিত্র হাদীস শরীফ উনার থেকে আমরা জানতে পারলাম, জুমুয়ার দিনকে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈদের দিন হিসাবে ঘোষনা করেছেন।
কতবড় ঈদের দিন ও শ্রেষ্ঠ দিন জানেন কি ? দেখুন পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে কি বলা হয়েছে-
قال النبى صلى الله عليه وسلم ان يوم الـجمعة سيد الايام واعظمها عند الله وهو اعظم عند الله من يوم الاضحى ويوم الفطر
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, জুমুআর দিন সকল দিনের সর্দার এবং সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহ পাক উনার নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এটি ঈদুল আযহার দিন ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও মহান আল্লাহ পাক-উনার নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। (ইবনে মাজাহ : হাদীস নম্বর ১১৩৭, মুজামুল কবীর তাবরানী ৪৫১১, শুয়াইবুল ঈমান বায়হাকী : হাদীস ২৯৭৩, মিশকাত শরীফ)
এই পবিত্র হাদীস শরীফ উনার থেকে আমরা জানতে পারলাম, জুমুয়ার দিন অন্য দিন সমূহের সর্দার, এমনকি পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহা থেকেও বেশি সম্মানিত।
এবার দেখূন কেন পবিত্র জুমুয়ার দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহার চাইতে বেশি শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত:
ان من افضل ايامكم يوم الـجمعة فيه خلق ادم وفيه قبض
অর্থ: ‘তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে জুমুআর দিন। এ দিনে হযরত আদম আলাইহিস সালাম পয়দা হয়েছেন এবং এ দিনেই তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন।’ (নাসায়ী শরীফ- কিতাবুল জুমুয়া: হাদীস ১৩৮৫, মুসলিম শরীফ- কিতাবুল জুমুয়া: হাদীস ৮৫৫, তিরমিযী :হাদীস ৪৯১, মুসনাদে আহমদ : ৮৯৫৪, হাদীস নম্বর ৮৯ ইবনে মাজাহ : হাদীস ১৭০৫, সুনানে আবু দাউদ – কিতাবুস সালাত: হাদীস ১০৪৭, ইবনে খুযায়মা: হাদীস ১৬৩২)
হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টি, দুনিয়ায় আগমন, বিছাল শরীফ এর জন্য পবিত্র জুমুয়ার দিন এত শ্রেষ্ঠ। এতটাই শ্রেষ্ঠ যে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহার চাইতেও বেশি শ্রেষ্ঠ।
শুধু তাই নয় নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ ও পবিত্র বিছাল শরীফ সবই ঈদের ও শান্তির দিন। যেমন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে পবিত্র কুরআন শরীফ ‍উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وسلم عليه يوم ولد ويوم يـموت ويوم يبعث حيا .
অর্থ: ‘উনার প্রতি সালাম (শান্তি), যেদিন তিনি পবিত্র বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন এবং যেদিন তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ লাভ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।’ (সূরা মারইয়াম শরীফ, আয়াত শরীফ: ১৫)
তাহলে সমস্ত নবীদের নবী, সমস্ত রসূলদের রসূল হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক না করলে মহনি আল্লাহ পাক তিনি কিছুই সৃষ্টি মুবারক করতেন না। এমনকি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার আগমন ও বিছাল শরীফের কারনে যে জুমুয়ার দিন ঈদের দিন, সেই আদম আলাইহিস সালাম উনিও সৃষ্টি হতেন না হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি সৃষ্টি না হলে। যেমন পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,
قال الله تعالـى ولو لا مـحمد رسول الله صلى الله عليه وسلم ما خلقتك. هذا حديث صحيح الاسناد.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন , যদি আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না হতেন, তাহলে আমি আপনাকেও (হযরত আদম আলাইহিস সালাম) সৃষ্টি করতাম না।” সুবহানাল্লাহ! এ পবিত্র হাদীছ শরীফ খানার সনদ ছহীহ তথা বিশুদ্ধ। (আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৪র্থ খ- ১৫৮৩ পৃষ্ঠা, আছ ছহীহাহ ১ম খ- ৮৮ পৃষ্ঠা, মুখতাছারুল মুস্তাদরাক ২য় খ- ১০৬৯ পৃষ্ঠা, আত তাওয়াসসুল ১১৫ পৃষ্ঠা, তাফসীরুদ দুররিল মানছূর লিস সুয়ূত্বী ১ম খ- ৫৮ পৃষ্ঠা, কানযুল উম্মাল ১১ খ- ৪৫৫ পৃষ্ঠা)
তাহলে এখন প্রশ্ন,
জুমুয়ার দিন ঈদের দিন হওয়ার কারনে যদি সরকারি ভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হয়..
ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা ঈদের দিন হওয়ার কারনে বাৎসরিক ছুটির দিন হয় ও সরকারী বোনাস দেয়া হয়…
তাহলে যে তারিখে, যে বারে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন বা বিলাদত শরীফ, সে দিনে সরকারী ও বেসরকারী বোনাস কোথায়????
কেন শুধুমাত্র একদিন দায়সারা ছুটি ??
কেন পবিত্র রবিউল আউয়াল সারা মাস ব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না??
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরোধিতা কারীদের প্রতি সতর্কবাণী ১১৭
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরোধিতা কারীদের প্রতি সতর্কবাণী
=================================================
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনার বিরোধিতা কারীদের প্রতি সতর্কবাণী, এখনো তওবা না করলে আবু লাহাবে মতো পচে-গলে আকৃতি বিকৃত হয়ে মরতে হবে.
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন, “আবু লাহাব ও তার দুই হাত ধ্বংস হোক। তার ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি কোনো কাজে আসবে না। আবু লাহাব ও তার স্ত্রী অতি শীঘ্রই প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে (জাহান্নামে) প্রবেশ করবে।” (পবিত্র সূরা লাহাব).
বর্তমানেও যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক জাত পাক উনার সাথে সম্পর্কিত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করছে তাদের আবু লাহাবের কথা স্মরণ রাখা উচিত। আবু লাহাব যেমন পচে-গলে আকৃতি বিকৃতি হয়ে মারা গিয়েছিল, ঠিক তেমনি তারাও লানতপ্রাপ্ত হয়ে পচে-গলে আকৃতি বিকৃতি হয়ে মারা যাবে।.
ইতোমধ্যে এ ধরনের বহু দলিল পাওয়া গেছে। যেমন:
১) বায়তুল মোকাররম মসজিদের সাবেক খতিব উবায়দুল হক, যে প্রতি বছর পবিত্র সাইয়িদুল আইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করতো। তার মৃত্যুর সাথে সাথে তার লাশে পচন ধরে যায় এবং তা ধারণ করে বিকট আকৃতি। বহু ফরমালিন আর চারপাশে বরফের আস্তরণ দিয়েও তার লাশের পচন থামানো যায়নি।
২) বাংলাদেশে দেওবন্দীদের গুরু শায়খুল হদস আজিজুল হক। সে মারা যাওয়ার আগে তার এক ধরনের চর্মরোগ হয় এবং সেখান থেকে পচন সৃষ্টি হয়; যা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য আবু লাহাবেরও একইভাবে চর্মরোগ থেকে সারা শরীরে পচন ছড়িয়ে পড়েছিল। হদসের ছেলে এই ঘটনা নিজ মুখেই স্বীকার করেছে। হদসের ছেলে এ সম্পর্কে বলেছে, “ইন্তেকালের ৬/৭ মাস আগে আব্বার শরীরে চর্ম রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে চামড়ার মধ্যে পানির মতো জমাট বেঁধে ফোস্কা পড়ত। অতঃপর সেই ফোস্কা ফুটে গিয়ে দগদগে ক্ষত সৃষ্টি হতো। ক্ষতগুলো এতটাই প্রকট আকারের হতো যে, পরিবারের সদস্যদের জন্য তা সহ্য করা সম্ভব হতো না।)
৩) মুফতে আমিনী ওরফে কমিনী ২০০২ সালের ১৫ই আগস্ট লালবাগের বড় কাটরা মাদরাসায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সবাইকে গরু জবাই করে খাওয়ায়। যে খবরটি পরদিন ১৬ই আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবে ছাপা হয়। অথচ এই ধর্মব্যবসায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ বা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরোধিতা করত। (নাউযুবিল্লাহ) যার কারণে কমিনীর দেহ মৃত্যুর সাথে সাথে পচে যায় এবং বিকট আকৃতি ধারণ করে।
তাই এখনো যে সমস্ত কুলাঙ্গার পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করে যাচ্ছে তাদের উচিত তাদের ওস্তাদদের কঠিন পরিণতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। কারণ যখন গযব শুরু হয়ে যাবে তখন তা ঠেকানোর কোনো উপায় থাকবে না, দুনিয়া-আখিরাত দুইটিই পরিণত হবে কঠিন জাহান্নামে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক). 
সউদী আরবের জন্মদিন পালন করা আরাম, কিন্তু নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করা হারাম!!!-এ কেমন ফতওয়া সউদী আরবের!!! ১১৬
সউদী আরবের জন্মদিন পালন করা আরাম, কিন্তু নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করা হারাম!!!-এ কেমন ফতওয়া সউদী আরবের!!!
=================================================
সউদী আরবের জন্মদিন বা ন্যাশলান ডে হচ্ছে ২৩শে সেপ্টেম্বর। ১৯৩২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর সৌদি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। এদিন উপলক্ষে সউদী আরব সরকার ব্যাপক আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিনটি অতি গুরুত্বের সাথে আনন্দ উদ্দীপনার সাথে পালন করা হয়। জনগণও এ দিন রাস্তায় নেমে আসে। সবাই এক সাথে আনন্দ উদযাপন করে।
এ সম্পর্কে ভিডিওগুলো দেখতে পারেন:
১) https://youtu.be/dcJZbMs12VY
২) https://youtu.be/nGJs6DWGl0M
৩) https://youtu.be/y52RW0TSeoI
৪) https://youtu.be/LExN44iiWa0
৫) https://youtu.be/GswAJy6z-5w
উল্লেখ্য সউদী মুফতীরা, তাদের পূর্বপুরুষ এবং তাদের সাথে যোগসাজস রাখা সকল বক্তরা (পিসটিভি) ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করে বলে থাকে, জন্মদিন পালন করা নাকি হারাম!! এ সম্পর্কে সউদী গ্রান্ড মুফতি ফতওয়া দেয় ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা গুনাহের কাজ। নাউঝুবিল্লাহ! (http://www.moroccoworldnews.com/2015/01/148807/saudi-grand-mufti-says-celebrating-prophets-birthday-is-sinful/)।
অনেকে বলে, সউদী আরবে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হয় না, বাংলাদেশে কেন হয় ? এগুলো বিদআত। তাদের জন্য এ পোস্ট। সউদী মুফতীদের ফতওয়া- নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্মদিন পালন করা হারাম, কিন্তু সউদী আরবের জন্মদিন পালন করা হালাল।
তবে এটাও তাদের জেনে রাখা দরকার- বর্তমান সউদী ওহাবী সরকার আসার আগে দেশটিতে মহাসমারহে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হতো এবং এর বিরুদ্ধে কেউ ফতওয়া দিলে তাকে কাফির বলে ফতওয়া দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমান সউদী সরকার এসে তা বন্ধ করে (https://goo.gl/AFIAVr) এবং নিজ সরকারের জন্মদিন পালন শুরু করে। আর তাদের কথামত ফতওয়া দেয় তাদের সরকারী আলেমরা।
মুসলমানরা আজ অন্ধভাবে সউদীদের অনুসরণ করে গোমরাহ হচ্ছে। এ ঘটনাই তার প্রমাণ।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনে খুশী প্রকাশ করলে কাফেরকেও আল্লাহ পাক তার বদলা দেন। ১১৫
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনে খুশী প্রকাশ করলে কাফেরকেও আল্লাহ পাক তার বদলা দেন।
=================================================
১) নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি দুঃখ প্রকাশ করেছিলো ইবলিশ শয়তান। সে কি ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভূক্ত??
উত্তর- হ্যা, সে ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভূক্ত। সে মালউন, জাহান্নামী।
২) নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশ করেছিলো আবু লাহাব। এর দ্বারা কি সে উপকৃত হয়েছিলো ??
উত্তর- উপকৃত হয়েছিলো, এবং এখনো হচ্ছে। জাহান্নামে গিয়েও সে জান্নাতের নিয়ামত লাভ করে। অথচ জাহান্নামে জান্নাতের সকল নিয়ামত নিষিদ্ধ, তারপরও নিয়ম ভেঙ্গে তাকে তা দেয়া হয়। (√ সহীহ বুখারী শরীফ – কিতাবুন নিকাহ- ২য় খন্ড ৭৬৪ পৃষ্ঠা)
উপরের দুটো দলিল যথেষ্ট নবীজির আগমন উপলক্ষে খুশি করলে মুসলমানরা উপকৃত হবে নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি মুসলমানরা উপকৃতই হয়, তবে কেন মুসলমানদের সেই মহান কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে ??
পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার তাবারুক নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কারীরা ছোটলোক এবং এই তাবারুক নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক শব্দ উচ্চারণ করাও কুফরী ১১৪
পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার তাবারুক নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কারীরা ছোটলোক এবং এই তাবারুক নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক শব্দ উচ্চারণ করাও কুফরী
=================================================
একদল ভণ্ড আছে, যারা তাবারুক নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক শব্দ বলে। শিন্নিখোর, জিলাপীখোর. মিষ্টিখোর বিরিয়ানীখোর ইত্যাদি বলে। অথচ তারাই ঐ অনুষ্ঠানে গেলে পেট পুরে খাওয়া ছাড়া বের হয় না।
তাবারুক শব্দের অর্থ বরকতময় খাদ্য। যে অনুষ্ঠানের তাবারুক, সে অনুষ্ঠানের শান-মানের সাথে তাবারুক মান মর্যাদা হবে। যেমন আপনি যদি নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য কোন মাহফিল করেন, তবে অবশ্যই সেই তাবারুককে সম্মান করা উচিত।
বাস্তবে তাবারুককে অবজ্ঞা করা মানে কুফরী করা। কারণ অপরকে খাদ্য খাওয়ানো সুন্নত। আর কোন দ্বীনি মাহফিল উপলক্ষে খাদ্য খাওয়ানো অবশ্যই আরো বেশি ফজিলতের কারণ। কিন্তু সেটাকে অবজ্ঞা করা কোন মুসলমানদের কাজ হতে পারে না।
এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
১) “উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে আহার করান অভাবগ্রস্ত ইয়াতীম ও বন্দিদেরকে।”
( পবিত্র সূরা আদ দাহর শরীফ : ৮)
২) “এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক স্মরণ করে উনার দেয়া চতুষ্পদ জন্তু যবেহ করো। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার করো এবং দুস্থ অভাবগ্রস্তকে আহার করাও।”
(সূরা হজ্জ : ২৮ )
৩)“হে লোক সকল! তোমরা সালামের প্রচলন কর, মানুষকে খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড় তাহলে শান্তির সাথে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।” (তিরমিযী, ইবনে মাযাহ, দারিমী )
মানুষকে খাওয়ানো সুন্নত এবং মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশ মুবারক। কিন্তু যারা দ্বীনি মাহফিলের তাবারুক নিয়ে কূরুচিপূর্ণ বাক্য উচ্চারণ করে, তারা তাদের অন্তরের কুফরীর বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। 
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিরোধীতাকারীর মৃত্যুর পর কঠিন পরিণতি  ১১৩
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিরোধীতাকারীর মৃত্যুর পর কঠিন পরিণতি
=================================================
একসময় বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদের এক সময়কার খতিব ছিলেন ওবায়দুল হক। সে সব সময় ঈদে মীলাদুন্নবী এর বিরোধীতা করতো। ঈদে মীলাদুন নবী আসলেই বলত, “ঈদে মিলাদুন্নবি বিদয়াত” । নাউযুবিল্লাহ।
অপরদিকে হিন্দুয়ানী পহেলা বৈশাখ আসলে বলতে– “আল্লাহর বহু বড় নিয়ামত হলো নববর্ষ। নববর্ষ পালন করতে গিয়ে দান-খয়রাত করতে হবে, শুকরিয়া আদায় করতে হবে, দোয়া করতে হবে।” নাউযুবিল্লাহ।
( তথ্যসূত্র: দৈনিক মানবজমিন ১০/০৪/২০০৪ ইং শেষ পৃষ্ঠা)
ওবায়দুল হকের এ ভুল ফতওয়ার কারণে মৃত্যুর পর এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছিলো। প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মৃত্যুর সাথে সাথে তার লাশের অস্বাভাবিক পচন ধরেছিলো। পচন রোধে লাশকে চর্তুপাশ থেকে বরফ দিয়ে ঢাকা হয়, এমনকি তার লাশকে বরফের বিছানার উপর রাখা হয়। তারপরও পচন-দুর্গন্ধের কারণে টেকা সম্ভব হচ্ছিলো না। শুধু দুর্গন্ধ নয়, লাশের অস্বাভাবিক বিকৃত ঘটেছিলো। তার পেট এত বড় হতে থাকে যে, অনেকেই ধারণা করেছিলো তার পেট হয়ত ফেটে যাবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা এ ধরনের ভুল ফতওয়া দেওয়ার হাত থেকে আমাদের আলেম সমাজকে হেফাজত করুন।
ঈদে মিলাদুন্নবী (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও  হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারর শানমান এর বিরোধীতাকারীর চেহারার বিকৃতি ।
যারা আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান এর খিলাপ কথা বলবে ও ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করবে তাঁদের পরিনতি এমনই ভয়াবহ হবেই হবে । http://bit.ly/2gYck1W 
সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়ে প্রমাণ করে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন সত্যিই উত্তম কাজ  ১১২
সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়ে প্রমাণ করে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন সত্যিই উত্তম কাজ
=================================================
প্রতি বছর সৌদি গ্রান্ড মুফতী আব্দুল আজিজ আশ-শেইখ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনরি বিরুদ্ধে ফতওয়া দেয়। কিন্তু সউদী গ্রান্ড মুফতীর ফতওয়া কতটকু গ্রহণযোগ্য ? আসুন তার অন্যান্য ফতওয়াগুলো দেখি-
-(১) ইসরাইল-বিরোধী মিছিল করা সম্পূর্ণ হারাম।
-(২) ইয়াযিদের বিরুদ্ধে ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর অবস্থান ছিল হারাম। (না্‌উযুবিল্লাহ)
-(৩) সৌদি আরবের জাতীয় উৎসব (জন্মদিন) পালন করা হালাল ও বৈধ। (সূত্র: দৈনিক উকায)
-(৪) ব্যঙ্গ চলচ্চিত্রের প্রতিবাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা করা হারাম।
-(৫) হ্যারিকেন স্যান্ডি যুক্তরাষ্ট্রের উপর খোদায়ী গজব এ কথা বলা হারাম।
-(৬) মসজিদুল হারামের আশেপাশের প্রাচীন (ইসলামী) নিদর্শন ভেঙ্গে দেয়া অন্যতম হালাল ও উত্তম কাজ।-
-(৭) নারী কর্তৃক নারীদের অন্তর্বাস বিক্রয় করা হারাম!-
-(৮) সৌদী আরব সম্প্রতি তার জাতীয় দিবস রাজতন্ত্রের জন্মদিনে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কেক বানিয়েছে। রাজতন্ত্রের জন্মদিন কিংবা কেক তৈরীর বিরুদ্ধে অবশ্য গ্র্যান্ড মুফতী ফতওয়া দেয়নি, বরং বলেছে সউদী আরবের জন্মদিন পালন করা নিয়মত।
-১০) নারী নেতৃত্ব হারাম। অথচ সম্প্রতি সউদী আরবের পবিত্র মক্কা প্রদেশে নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে কোন ফতওয়া দেয়নি গ্র্যান্ড মুফতি।
গ্র্যান্ড মুফতীর অন্যান্য ফতওয়া দেখলে সহজেই অনুধাবন করা যায়, পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ তথা হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইইহ ওয়িা সাল্লাম উনার বিরোধীতা করা তার পক্ষেই সম্ভব।

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার বিরোধীতা করার আগে পড়ে দেখুন ১১১
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার বিরোধীতা করার আগে পড়ে দেখুন
=================================================
বিষয়টা এখনি ফয়সালা করে নেয়া দরকার। সঠিক অবস্থানটা পরিষ্কার করা দরকার।
বাতিল ফের্কার একটা পার্ট পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করে তথাকথিত নামধারী কিছু ভন্ডের কারনে। এই বিদয়াতিগুলো এসকল বিশেষ দিন সহ সবসময়ই গানবাজনা, নাচানাচি, ঢোল তবলা, নেশাগ্রস্থ হওয়া, পুরুষ মহিলা একাকার হওয়া সহ বিভিন্ন বেশরা কাজ করে। এদের এসকল ভন্ডামীর কারনে কিছূ মানুষ পবিত্র অনুষ্ঠানকে বিদয়াত বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ।
উদাহরন স্বরূপ, মাজার শরীফ যিয়ারত করা সুন্নত। কিন্তু মাজারে একশ্রেনীর বিদয়াতী ভন্ডের গাঁজা সেবন সহ বিভিন্ন বেশরা কাজ করার কারনে ওহাবীরা সুন্নত মাযার যিয়ারতকে মাজার পুজা বলার মত সাহস পায়।
তদ্রুপ এসকল বিদয়াতীরা গুরুত্বপূর্ণ দিবসে তাদের অঙ্গনে বসে ভন্ডামী করে। ওহাবীরা এসব দেখে মনে করে পুরো কার্যক্রমটাই বোধহয় এমন। তারাও ঢালাই ভাবে প্রচার করে পবিত্র মীলাদ শরীফ বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ।
কথা হচ্ছে, মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার সুযোগ নাই। গাছে রোগ হলে গাছ কেটে ফেলার দরকার নাই। বরং মাথা ব্যাথার ওষুধ খেতে হবে। গাছের রোগ হলে গাছ না কেটে গাছের গোড়ার ওষুধ দিতে হয়। সূতরাং কোন বিদয়াতীর বদ আমল দেখে মূল আমল বাদ না দিয়ে বিদয়াতী বেশরা আমল বাদ দিতে হবে।
শিয়ারা নামাজ পড়ার সময় সিজদায় মাথার নিচে মাটির টুকরা রাখে, নিজেদের বাড়িতে কাবা শরীফ উনার অনুরুপ ঘড় বানিয়ে তাওয়াফ করে। এদের বিদয়াত কাজ দেখেতো আপনি নামাজ ও তাওয়াফ বাদ দিবেন না। বরং এদের ভন্ডামী আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে সঠিক আমল করবেন।
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিলে আমরা প্রকৃত মুসলানরা যে আমল করি,
১) ছলাত ও সালাম পাঠ করি। যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীস শরীফ উনাদের সুস্পষ্ট র্নিদেশ মুবারক।
২) হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান ছানা সিফত মুবারক করা হয়। যা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্বয়ং মাহান আল্লাহ পাক নিজেই করেছেন।
৩) উনার আগমন সর্ম্পকে হাদীস শরীফ বর্ণনা করা হয়। যা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি নিজেই করেছেন।
৪) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে শুকরিয়া আদায় করা হয়।
উপরোক্ত সব কাজই শরীয়ত সম্মত। এই কাজ গুলো করতে কোন মুসলমানের আপত্তি থাকার কথা নয়।
আর হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি নয় এমন কোন মুসলমান পৃথিবীতে আছে বলে মনে হয় না। কারন যে খুশি নয় সে আদৌ মুসলামনও নয়। তাহলে এতবড় নিয়ামত পেয়ে খুশি প্রকাশ করতে সমস্য কোথায়?
কোন বিদয়াতি, ভন্ড যদি হুক্কা খায়, গাঁজা খায়, ঢোল তবলা বাজায়, গান গায়, মহিলা পুরুষ একাকার করে সমাবেশ করে এই গুনাহের কাজের দায়ভার শুধুমাত্র তাদের। তাদের ভন্ডামীর জন্য পবিত্র আমল বাদ দেয়া যাবে না। বরং শরীয়ত সম্মতভাবে আরো বেশি মুহব্বতের সাথে কিভাবে আয়োজন করা যাবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঈদে মীলাদুন্নবী নিয়ে ইহুদী এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরে অপপ্রচারের মুখোশ উম্মোচন ঈদে মীলাদুন্নবী নিয়ে ইহুদী এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরে অপপ্রচারের মুখোশ উম্মোচন ১১০
ঈদে মীলাদুন্নবী নিয়ে ইহুদী এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরে অপপ্রচারের মুখোশ উম্মোচন
=================================================
ভাত রান্না হয়েছে কিনা এটা বুঝতে পাতিলের সবগুলো ভাত টিপে দেখতে হয় না। দুই একটা ভাত টিপলেই পুরা পাতিলের খবর জানা যায়। ইসলাম ধ্বংস করতে ইহুদী-নাসারাদের বিভ্রান্তি বাংলাদেশে প্রচারকারী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের পতিলের খবর জানতেও তার সবকিছু গবেষনা করার দরকার নাই। ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করতে গিয়ে সে যে নিকৃষ্ট মিথ্যাচারের আশ্রয় গ্রহন করেছিলো তা দেখে ইবলিসও লজ্জা পেয়েছে।
এই ইহুদী-নাসারাদের এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার বইতে লিখেছে – ‘‘ইবন আববাস বলেন, একদিন তিনি নিজ বাড়িতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর জন্মের ঘটনাবলি বর্ণনা করছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আগমন করেন এবং বলেন: তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত পাওনা হলো।’’ (জালিয়াত লক্ষ্য করে নি যে, ইবন আববাসের বয়স ৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ইন্তেকাল হয়। তিনি কি ৫/৬ বৎসর বয়সে ছেলেমেয়েদের হাদীস শুনাচ্ছিলেন!)
পাঠক লক্ষ্য করুন, ওহাবী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখেছে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফের সময় হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার বয়স নাকি ৮ বছরের কম ছিলো। মাদ্রসায় পড়ুয়া আলিম শ্রেনীর ছাত্র অথবা জেনারেল শিক্ষিত ইন্টারনেট সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা সম্পন্ন লোকের পক্ষেও জাহাঙ্গীরের জালিয়াতি ধরা সহজ।
হাদীস শরীফ উনার রাবীদের পরিচিতি নিয়ে লিখিত ‘আসমাউর রেজাল’ খুলে দেখুন, সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে ‘ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হিযরত মুবারক এর ৩ বছর আগে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু জন্মগ্রহন করেন। ’ অথাৎ নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেছাল শরীফের সময় ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বয়স হয় ১১+৩= ১৪ বছর। অর্থাৎ ১১ হিজরী হচ্ছে বিছাল গ্রহন আর তিন বছর যোগ করে হয় ১৪ বছর।
ইন্টারনেটে উইকিপিডিয়তে সার্চ করে দেখেন সেখানেও পাবেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফের সময় হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার বয়স ছিলো ১৪ বছর। উইকিপিডিয়তে আছে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার জন্ম ৬১৯ সালে। সূতরাং (৫৭০+৬৩) = ৬৩৩। এখন এই ৬৩৩ সাল থেকে ৬১৯ সাল বিয়োগ করুন (৬৩৩-৬১৯)= ১৪ বছর।
অথচ মুনাফিক, ইহুদী নাছারাদের টাকার পরিচালিত এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখেছে ইবন আববাসের বয়স ৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ইন্তেকাল হয়।
তাহলে সহজেই বোঝা যচ্ছে ইহুদী এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অস্বীকার করার জন্য চরম মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলো।  ১৪ বছর বয়সী একজন ছাহাবীর বয়স ইচ্ছাকৃতভাবে অর্ধেক কমিয়ে ৮ বছরের কম বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছিলো।
লেখার শুরুতেই যেটা বললাম, পাতিলের ভাত সব টিপতে হয় না। সূতরাং আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের লেখায় হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বয়স হের ফের হাতে নাতে চুরির প্রমান দ্বারাই বোঝা যায় তার লেখায় সবগুলো কথাই চুরি এবং মিথ্যাচারে পরিপূর্ন । 
পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ বিরোধিরা এই প্রশ্নের উত্তর দাও ১০৯
পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ বিরোধিরা এই প্রশ্নের উত্তর দাও
=================================================
অনুগ্রহ করে নিম্নে উল্লেখিত নামগুলো একটু পড়ুন- এবং দুইটি প্রশ্নের উত্তর দিন।
(১) হাফিজে হাদীস ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(২) হাফিজে হাদীস ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(৩) ইমামুল আইম্মাহ হযরত তকিউদ্দিন সুবুকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(৪) ইমামুল মুহাদ্দেসীন মুল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(৫) ইমামুল মুহাদ্দেসীন ইবনে হাজর হায়তামি রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(৬) ইমামুল মুহাদ্দেসীন আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।
(৭) হাফিজে হাদীস ইমাম জাওজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(৮) ইমামুল মুহাদ্দেসীন ইমাম সাখাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(৯) শায়খুল হিন্দ, ইমাম শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(১০) ইমামুল মুহাদ্দেসীন, শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(১১) হাফিজে হাদীস ইমাম কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(১২) হাফেজে হাদিস ইবনে রজব রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(১৩) মুফতীয়ে আযম আমিমুল ইহসান বরকতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
ভাইজানেরা, কেউকে যদি বলা হয় উপরে উল্লেখিত সবগুলা আলেমই বিদয়াতী ছিলো, এরা শরীয়তের কিছুই জনতো না, ফাসিক ছিলো, এদের অনুসরন করা যাবে না ইত্যাদি……..!!
১ম প্রশ্ন : এটা শুনে আপনি তখন কি জবাব দিবেন ?
উত্তরটা ঠিক করে নিয়ে দ্বিতীয় প্রশ্নটি পড়ুন-
↓২য় প্রশ্ন: উনারা সকলেই পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ করেছেন। পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম মরিফের পক্ষে কিতাব লিখছেন। আজীবন পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল সমর্থন করছেন। এখন আপনার প্রথম উত্তর আগের অবস্থানে আছে তো ???
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীদের মুখে একটা চপেটাঘাত এবং পরিশিষ্ট কিছু কথা ১০৮
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীদের মুখে একটা চপেটাঘাত এবং পরিশিষ্ট কিছু কথা
=================================================
বিভিন্ন বাতিল ফির্কা লোকেরা চোখ কান বুজে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হারাম/নাজায়িয/শিরক বলে থাকে !
নাউযুবিল্লাহ !!
অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ, ইজমা শরীফ , এবং কিয়াস শরীফ উনাদের স্পষ্ট এবং অকাট্য দলীলে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রমানিত !!
কিন্তু আসুন আমরা এখন ওই সকল দলীল ছাড়াই ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জায়িয প্রমান করবো, এবং যারা নাজায়িয বলবে তারা যে মূর্খ এবং চরম গোমরাহ এবং ধোঁকাবাজ সেটা একটু প্রমান করে দেখাবো !!
কোন জিনিসকে হারাম বলতে গেলে সে বিষয়ে স্পষ্ট দলীল দিতে হবে ! অর্থাৎ কুরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফ উনার স্পষ্ট হারামের দলীল দেখাতে হবে !
কারন সকল হারাম বিষয় সমূহ স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে ! নতুন করে কেউ ইচ্ছা মতো হারাম বলতে পারবে না !
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وقد فصل لكم ما حرم عليكم
অর্থ : তোমাদের প্রতি যা হারাম করা হয়েছে, আল্লাহ পাক তা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন।
( পবিত্র সূরা আনআম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
অর্থাৎ হারাম বিষয়ের সকল বিবরন স্পষ্ট বলে দেয়া আছে !
এখন যারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নাজায়িয/হারাম বলে তারা কি পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীস শরীফ উনার থেকে একটা আয়াত শরীফ অথবা একটা হাদীস শরীফ দেখাতে পারবে, যেখানে বলা আছে – “ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হারাম”??
নাউযুবিল্লাহ ! চ্যালেঞ্জ থাকলো পারলে একটা আয়াত অথবা একটা হাদীস শরীফ যেনো প্রমান হিসেবে পেশ করে !
যদি দেখাতে না পারে তবে যারা হারাম/নাজায়িয বলবে তারা প্রকাশ্য গোমরাহ এবং ভন্ড এবং নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুশমন।
এবং এ প্রমান দেখাতে না পারলে কোন ভাবেই হারাম বলার সুযোগ নেই !
এবার আসুন আমরা সরাসরি দলীল ছাড়াই ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রমান করি !
যেহেতু পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কোথাও হারাম/নাজায়িয বলা হয় নাই তাহলে সহজ ভাবেই বোঝা যায় হারাম এবং নাজায়িয এর বিপরীতে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জায়িয এবং হালাল ।
কারন হারাম যদি না হয় তাহলে বিপরীতে হালালই হবে ।
নাজায়িয যদি না হয় তাহলে বিপরীতে জায়িযই প্রমানিত হবে !
সুবহানাল্লাহ্ !!
আসুন দলীলটা দেখি —
الحلال ما احل الله في كتبه و الحرم ما حرم الله في كتابه وما سكت عنه فهو مما عفي عنه
অর্থ : হালাল হচ্ছে, যা আল্লাহ তায়ালা স্বীয় কিতাবে হালাল করেছেন আর হারাম হচ্ছে, যা আল্লাহ তায়ালা স্বীয় কিতাবে হারাম করেছেন ! এবং যেটা সম্পর্কে নীরব রয়েছেন, সেটা মাফ!”
দলীল-
√ মিশকাত শরীফ- كتاب الا طعمة
এ পবিত্র হাদীস শরীফ উনার থেকে বুঝা যায়, যেটা হালাল সেটা কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বলা আছে, যেটা হারাম সেটাও বলা আছে ! আর যে বিষয়ে কিছু বলা হয় নাই, সেটা মুবাহ হবে !
সেটা ফিকাহ এর কিতাবে আছে ,
المختار ان الاصل الاباحة عند الجمهور من الحنفية و الشافعية
অর্থ : জমহুর হানাফী এবং শাফেয়ী উনাদের এ মতামতই রয়েছে যে, প্রত্যেক কিছু মূলত মুবাহ হয়ে থাকে !”
দলীল-
√ ফতোয়ায়ে শামী-১য় খন্ড- কিতাবুত্তাহারাত !
অর্থাৎ, প্রত্যেক বিষয়ের মূল মুবাহ, স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা ছাড়া কখনোই সেটা হারাম/নাজায়িয হয় না !
সূতরাং আমরা যদি তর্কের খাতিরে স্পষ্ট দলীল পেশ নাও করি তারপরও কোন ওহাবী/দেওবন্দী/খারেজীর ক্ষমতা নাই ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হারাম বা নাজায়িয বলা !
তাই আমি আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার অনুসারী ভাই এবং বোনদের বলবো, আপনারা ওহাবী/দেওবন্দী/খারেজী দের ধোঁকায় বিভ্রান্ত হবেন না !
তারা যদি আপনাদের বলে হালালের দলীল দিতে, আপনারা হারামের দলীল তলব করবেন !
কারন কোন বিষয়কে নাজায়িয প্রমান করতে হারামের দলীল পেশ করতে হয় !
হারামের দলীল না থাকলে সেটা এমনিতেই মুবাহ এবং জায়িয হয় !
সুবহানাল্লাহ্ !!
পরিশেষে, যারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করে তারা যে ইবলিশ শয়তানের গোলাম সে বিষয়ে একটা প্রামান্য দলীল–
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফে সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো কে জানেন ? সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো ইবলিশ শয়তান । সে এতোটাই কষ্ট পেয়েছিল যে, কষ্টে সে রীতিমত কান্না করছে।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে বর্নিত আছে–>
ﺃﻥ ﺇﺑﻠﻴﺲ ﺭﻥ ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻧﺎﺕ ﺣﻴﻦ ﻟﻌﻦ ﻭﺣﻴﻦ
ﺃﻫﺒﻂ ﻭﺣﻴﻦ ﻭﻟﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺣﻴﻦ ﺃﻧﺰﻟﺖ ﺍﻟﻔﺎﺗﺤﺔ
“শয়তান চার বার উচ্চস্বরে কেঁদেছিল ,প্রথম বার যখন মহান আল্লাহ পাক তাকে অভিশপ্ত আখ্যা দেন; দ্বিতীয়বার যখন তাকে বেহেস্ত থেকে বের করে দেয়া হয়। তৃতীয়বার, যখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ হয়। এবং চতুর্থবার যখন সূরা ফাতেহা শরীফ নাযিল হয়।”
দলীল-
√ আল-বেদায়া ওয়ান নেহায়া-২য় খণ্ড ১৬৬ পৃষ্ঠা
এখন সমাজে মানুষ রুপী কিছু ইবলিশ আছে, ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা শুনলেই এদের শরীর জ্বালা পোড়া করে। সূতরাং প্রমান হচ্ছে, যারা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধী তারা শয়তানের শাগরেদ । কারন এদিনে শয়তানও কষ্ট পেয়েছিল এখন তার শাগরেদরা কষ্ট পাচ্ছে। তাই এসকল শয়তানদের নিজেদের বিষের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে মরতে দিন।
পরিশেষে যিনি বিখ্যাত মুহাদ্দিস, যিনি মদীনা শরীফ উনাতে ইলমের চর্চা করেছেন। যিনি প্রতিদিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিয়ারত মুবারক লাভ করতেন, সেই ইমামুল মুহাদ্দিসিন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বক্তব্য এবং দোয়ার মাধ্যমে আমরাও বলতে চাই—
“আয় আল্লাহ পাক ! আমার এমন কোন আমল নেই, যা আপনার মুবারক দরবারে পেশ করার উপযুক্ত মনে করি। আমার সমস্ত আমলের নিয়তের মধ্যে ত্রুটি রয়েছে । তবে আমি নগণ্যের শুধুমাত্র একটি আমল আপনার পবিত্র জাতের দয়ায় অনেক সম্মানিত বা মর্যাদাবান। আর সেটা হচ্ছে- পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করে এর মজলিস করি এবং এ মজলিসে ক্বিয়ামের সময় দাঁড়িয়ে সালাম পাঠ করি। আর একান্ত আজীজী,ইনকিসারী, মুহব্বত, ইখলাছের সাথে আপনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করি। আয় আল্লাহ পাক ! এমন কোন স্থান আছে কি যেখানে মীলাদ মুবারক উনার চাইতে অধিক খায়ের বরকত নাজিল হয় ?
হে আরহামুর রাহিমীন! আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমার এ আমল কখনো বৃথা যাবে না। বরং অবশ্যই আপনার পবিত্র মুবারক দরবারে কবুল হবে এবং যে কেউ পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করে ছলাত-সালাম পাঠ করবে এবং উহাকে উসিলা করে দোয়া করবে সে কখনো মাহরূম হতে পারে না। অর্থাৎ সে অবশ্যই কবুলযোগ্য !”
দলীল-
√ আখবারুল আখইয়ার ৬২৪ পৃষ্ঠা
সুবহানাল্লাহ্ !!!
পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার তাবারুক নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কারীরা ছোটলোক ১০৭
পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার তাবারুক নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কারীরা ছোটলোক
=================================================
এক শ্রেনীর ইসলাম বিদ্বেষীরা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তাবারুক নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়। তারা ব্যঙ্গাত্মকভাবে সিন্নীখোর, বিরানীখোর ইত্যাদি অশালীন কথা বলে। এদর কথা শুনে মনে হয় এরা নিজেরাও না খেয়ে থাকে, অন্যকে তো খাবার খাওয়াই না। (অবশ্য কওমী ওহাবীরা অন্যরটা খেতে অভ্যস্থ, মানুষকে খাওয়ানোর কথা তারা স্বপ্নেও দেখে নাই)
মানুষকে খাদ্য খাওয়ানোর ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ উনার মধ্যে অনেক দলীল দেয়া আছে।
খাদ্য খাওয়ানো ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ লাভে ধন্য হবেন। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللهِ لاَ نُرِيْدُ مِنْكُمْ جَزَاءً وَلاَ شُكُوْرًا
অর্থ: “তারা বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদের আহার্য দান করি, তোমাদের নিকট এর কোন প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও কামনা করি না’ (পবিত্র সূরা দাহর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৬/৯)
পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে,
عن حضرت عبد الله بن سلام رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يايها الناس افشوا السلام واطعموا الطعام وصلوا الارحام وصلوا باليال والناس نيام تدخلوا الجنة بسلام
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে লোক সকল! তোমরা সালামের প্রচলন কর, মানুষকে খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর এবং রাতের বেলায় মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড় তাহলে শান্তির সাথে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।” (তিরমিযী শরীফ ১৮৫৫, ইবনে মাযাহ্ শরীফ ১৩৯৫, আদাবুল মুফাররাদ ৯৮১, আবদ ইবনে হুমাইদ ৩৫৫, দারিমী)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ’ উনার ২৮ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফি উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নাম মুবারক স্মরণ করে উনার দেয়া চতুষ্পদ জন্তু যবেহ করো। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার করো এবং দুস্থ অভাবগ্রস্তকে আহার করাও।”
আতএব মানুষকে খাদ্য খাওয়ানোও একটা ইবাদত। যারা এ বিষয়কে টিটকারী তুচ্ছ্য তাচ্ছিল্য করে তারা পবিত্র কুরআন শরীফ পবিত্র হাদীস শরীফ এহানতকারী। আর অন্য একটা বিষয় হচ্ছে এরা নিম্ন শ্রেনীর ফ্যামিলির লোক। এরা নিজেরাও খায় না। অন্যকে খাওয়ানোর কথা ভাবে না। কলিকাতার হিন্দুদের মত এদের অবস্থা। যারা বলে অর্ধেকটি দিলুম, পুরাটা খাবেন।
সর্বপ্রথম পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু পালন নিয়ে ওহাবীদের হাস্যকর আপত্তি বিশ্লেষন ১০৬
সর্বপ্রথম পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু পালন নিয়ে ওহাবীদের হাস্যকর আপত্তি বিশ্লেষন
=================================================
ওহাবীরা বলে সর্বপ্রথম আরবলের বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিই নাকি ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চালু করেছেন। কতটা হাস্যকর তাদের চিন্তা ভাবনা, ভাবলেই হাসি আসে।
বিষয়টা একটু ভেঙ্গেই বলি। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৯৭৪ সালে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন ও ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । এখন ১০০ বছর পর কেউ যদি বলে বঙ্গবন্ধুই ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের  প্রবক্তা, তাহলে বিষয়টা কেমন হাস্যকর হবে?
মূল বিষয় হচ্ছে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে মুসলমানরা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন চলে আসছিলো, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের একটা বন্দোবস্ত করে। তার মানে বঙ্গবন্ধু তো এটাই সূচনা করেন নাই। বরং সূচিত হওয়া একটা অনুষ্ঠানকে সকলের পালনের জন্য ব্যবস্থা করেছেন মাত্র।
তদ্রুপ আরবলের বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের একটা ব্যবস্থা করেন। সকল মানুষ যাতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করতে পারে তার ব্যবস্থা করেন। তার মানে এই নয় যে তিনি মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল প্রথম আবিষ্কার করছেন। নাউযুবিল্লাহ!
বরং প্রথম থেকে অর্থাৎ সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম গণ উনাদের সময় থেকে ঘরে ঘরে, বাড়িতে বাড়িতে চলে আসা মাহফিলকে বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জাঁকজমকপূর্ণ ব্যবস্থা করে দেন।
এ বিষয়ে কিতাবে বর্ণিত আছে, সর্বজনমান্য ইতিহাসবিদ আল্লামা ক্বাযী হযরত ইবনে খাল্লিকান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত ‘তারীখে ইবনে খাল্লিক্বান’ কিতাবে লিখেন,
الحافظ ابو الخطاب كان مواعيان العلماء ومشاهر الفضلاء قدم المغربفدخل الشام والعراق احتاز باربل سنة اربع ست مائة فوجد ملكهاالمظفر الدين زين الدين يعتنى بمولد النبى صلى الله عليه وسلم فعملله كتاب التنوير
অর্থ: “হাফিযে হাদীছ আল্লামা হযরত আবুল খত্তাব ইবনে দাহইয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি শীর্ষ স্থানীয় উলামা কিরামগণ উনাদের অন্যতম। তিনি ৬০৪ হিজরী সনে যখন মাগরীব থেকে সফর করে শাম দেশের “আরবাল” শহরে পৌঁছেন, তখন তথাকার দ্বীনদার পরহেযগার বাদশাহ হযরত মালিক মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাদশাহ কে রাষ্ট্রীয়ভাবে ও জাঁকজমকের সাথে “পবিত্র মীলাদ শরীফ” মাহফিলের ব্যবস্থা করতে দেখে তিনি “ পবিত্র মীলাদ শরীফ” উনার উপর “আত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান্ নাযীর”নামক একখানা মহামূল্যবান কিতাব রচনা করেন।”
সূতরাং মূর্খতা সুলভ চিন্তা পরিহার করে প্র্যাকটিক্যাল চিন্তা করুন।
  
কওমী গুরু মুফতী অামিনীর কাছে ঈদে মীলাদুন্নবী হারাম, খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা আরাম ১০৫
কওমী গুরু মুফতী অামিনীর কাছে ঈদে মীলাদুন্নবী হারাম, খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা আরাম
=================================================
প্রধানমন্ত্রীরা নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দিন দিন উজ্জ্বল হচ্ছে ।
_মুফতী ফজলুল হক আমীনি।স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইসলামী ঐক্যজোটোর চেয়ারম্যান মুফতী ফজলুল হক আমীনি এমপি তার সাথে সাক্ষাত করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে ।
পরে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে লালবাগ মাদ্রাসার এক দুয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মোনাজাতের প্রক্কালে মুফতী আমীনি প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ারা সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ পরিচালনায় বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দিন দিন উজ্জ্বল হচ্ছে ।
এদিকে প্রাপ্ত খবরে আরো জানা যায় ম্যাডামের জন্মদিন উপলক্ষে আমীনি সাহেব গরু জবাই করে ভূরি ভোজনের ব্যবস্থও করেছিলেন। অনেককেই আপ্যায়নও করেছেন।”
তথ্যসূত্র : দৈনিক ইনকিলাব, ১৬ই আগষ্ট,২০০৬ ।
কৌতুহলী মনে উদিত দেওবন্দী কওমীদের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন-
১. হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা আপনাদের কাছে বিদয়াত, কিন্তু খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা কোন দলীলে জায়িয ছিলো ?
২. নারী নেতৃত্ব হারাম, কিন্তু কোন দলীলে নারী নেতৃত্বেরা জন্য দোয়া করা এবং প্রসংসা করা বৈধ হলো ?
৩. সম্মিলিত মুনাজাত আপনাদের ভাষায় বিদয়াত, কোন দলীলের ভিত্তিতে খালেদার জন্যে আমীনি সম্মিলিত মুনাজাত করলো ?
৪. সুন্নীরা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে তাবারুক করলে সেটা অপচয় হয়, কিন্তু খালেদার জন্মদিনে কোন দলীলে গরু জবাই করে ভুরিভোজন করা হলো ?
৫. বেপর্দা হওয়া হারাম, কোন দলীলের ভিত্তিতে আমীনি মুফতী হয়ে মহিলা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলো ??
আল্লাহ পাক উনার কসম !! যদি ঈমানদার দাবি করে থাকেন নিজেকে তাহলে জবাব দিন !
2e
৪৭)দেওবন্দী মুফতে শফীর কিতাবে নবীজীর বিলাদত শরীফের তারিখ ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসলে দেওবন্দী ওহাবীরা অপপ্রচার চালায় হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের তারিখ ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ নয়। তারা তাদের পক্ষের দলীল দেয়ার জন্য মিশরের নাস্তিক মাহমুদ পাশার দলীল দেয়।
অথচ তাদের মুরুব্বীরা এই প্রসঙ্গে কি বলেছে দেখে নেন-
“সারকথা যে বছর আসহাবে ফীল কা’বাআক্রমনকরে, সেই বছর রবিউল আউয়াল মাসে ১২ তারিখ রোজ সোমবার দিনটি ছিলো পৃথীবির জীবনে এক অনণ্য সাধারন দিবস। যে দিন নিখিল ভুবন সৃষ্টির মূল লক্ষ্য , দিবস রজনী পরিবর্তনের মূখ্য উদ্দেশ্য , হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও বণী আদমের গৌরব, হযরত নূহ আলাইহিস সালামের কিস্তির নিরাপত্তার নিগূঢ় তাৎপর্য , হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের প্রর্থনা ও হযরত মুসা আলাইহিস সালাম ও হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এর ভবিষ্যতবানী সমূহের উদৃষ্ট পুরুষ অর্থাৎ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ মোস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পৃথিবীর বুকে আগমন করেন।” (দলীল: সীরোতে খতিমুল আম্বিয়া, লেখক- মুফতে শফী পাকিস্তান, পৃষ্ঠা ৪, প্রকাশনা – এমদাদীয়া লাইব্রেরি)
3e
উক্ত কিতাবে একটা টীকা সংযোজন করা হয়েছে, “সর্বসম্মত মতানুনারে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার হয়েছিলো। কিন্তু তারিখ নির্ধরনের জন্য ৪ টি রেওয়ায়েত প্রসিদ্ধ রহিয়াছে। যথা- দ্বিতীয়, অষ্টম, দশম, দ্বদশ। হাফিজ মোগলতাঈ (রহ) ২য় তারিখের রেওয়ায়েত গ্রহন করিয়া অন্যান্য রেওয়ায়েতকে দুর্বল বলিয়া মন্তব্য করিয়াছেন। কিন্তু প্রসিদ্ধ রেওয়ায়েত হচ্ছে দ্বাদশ তারিখের রেওয়ায়েত। এমনকি ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি ইহার উপর ইজমার দাবী বর্ণনা করেছেন। ইহাকে কামেলে ইবনে আছীরে গ্রহন করা হয়েছে।
মাহমূদ পাশা মিশরী যাহা গননার মাধ্যমে ৯ তারিখকে গ্রহন করেছেন তাহা জমহুরের বিরোধী সনদবিহীন উক্তি। চন্দ্রোদয়ের বিভিন্ন হওয়ার কারনে গননার উপর এমন কোন নির্ভযোগ্যতা জন্ম হয় না যে ইহার উপর ভিত্তি করিয়া জমহুরের বিরুদ্ধাচারণ করা হইবে।”
6e
মজার বিষয় এই কিতাবকে বাংলাদেশের দেওবন্দীদের অন্যতম গুরু বাইতুল মুকাররমের সাবেক খতীব ওবায়দুল হক ব্যাপক প্রশংসা করেছে। সে আশরাফ আলী থানবীর রেফারেন্সে বলেছে, ইহাকে বিভিন্ন আনজুমান ও পাঠ্যপুস্তকের তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করেছিলো।
এখন আপনারাই বলুন দেওবন্দী মুরুব্বীদের মতামতের বিরোধীতা করে বর্তমান দেওবন্দীরা কেন ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফের বিরোধীতা করে??