ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্
দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ,
ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল,
আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
তিন দিনব্যাপী অঝোর ধারার বৃষ্টি
নেক দুআ’র উসীলায় নিমিষেই বন্ধ
নির্দেশিত ব্যক্তি তৎক্ষণাৎ খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ,
ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল
ইসলাম, সুলত্বানুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, জামিউল মাক্বাম,
জব্বারিউল আউয়াল, ক্ববিউল আউয়াল, গাউছুল আ’যম, ফারূকে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা
ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সন্নিধানে
যান। সমুদয় বিষয় উনাকে অবহিত করেন এবং বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার জন্য সবিনয় আরজি পেশ করেন।
সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন: “এর জন্য আমার কাছে কেন? আপনি অবিলম্বে আব্বা হুযূর উনার নিকট যান। উনার
নিকট দুআ’ চান। তিনি ওলীয়ে বাতিন। সব সময় তিনি নিজেকে গোপন
রাখা পছন্দ করেন। তাই আপনাকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। বৃষ্টি বন্ধ হওয়া এবং এ সংক্রান্ত
যাবতীয় অসুবিধা ও অসঙ্গতি নিরসনের জন্য আব্বা হুযূর উনার মুবারক ইচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি
বেমেছাল মর্যাদাসম্পন্ন ওলীআল্লাহ। তিনি মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত।”
সূক্ষ্মদর্শী বুযূর্গ পিতা ওলীয়ে মাদারজাত, আওলাদুর রসূল
হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম এবং উনার মুজাদ্দিদে
আ’যম পুত্র আলাইহিস সালাম উনারা দুজনেই দুজনের বুযূর্গী, মান,
শান, মর্যাদা, মর্তবা, মাক্বাম সম্পর্কে সম্যক অবহিত। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার জন্য প্রথমে
বুযূর্গ পিতা উনার নেক দুআ’ চাওয়া হয়েছে। বিষয়টির সমাধান আপন
আয়ত্তে অতি সহজ ও সম্ভব জেনেও অপরিসীম স্নেহ-মমতা ও মুহব্বত বাৎসল্যে দুআ’ প্রার্থীকে তিনি উনার মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্র
আলাইহিস সালাম উনার নিকট পাঠিয়েছেন। বুযূর্গ পিতা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি অতুলনীয়
সম্মান ও প্রগাঢ় মুহব্বতের কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তিনি পুনরায় বুযূর্গ পিতা উনার
নিকট পাঠিয়েছেন। নইলে আমাদের আক্বল ও সমঝের সীমাহীন ঊর্ধ্বের বেমেছাল মর্যাদা, মর্তবা
এবং আল্লাহ পাক ও উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সঙ্গে নিগূঢ় নৈকট্যজনিত মাক্বামের তুলনায় অনুরূদ্ধ কাজটির
সমাধান সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পক্ষে শুধু
সহজ ও সম্ভবই নয়, একান্তই স্বাভাবিক ও নগণ্য।
সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশমতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ওলীয়ে মাদারজাত,
মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, ছাহিবুল ইলহাম, ছাহিবে ইলম
ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, আওলাদুর রসূল হযরতুল
আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার কাছে ফিরে যান। বিনীত
নিবেদন করেন: “হুযূর! বেয়াদবী ক্ষমা চাই। সাইয়্যিদুনা
ইমাম মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি আমাকে আপনার
কাছে পাঠিয়েছেন। আপনার দয়া চাই, মেহেরবানী চাই, নেক দৃষ্টি চাই। দয়া করে আমাকে আর ফিরিয়ে
দিবেন না।” আফযালুল আউলিয়া, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে
ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর
রহমান আলাইহিস সালাম তিনি স্মিতহাস্যে বলেন: “আবার আমার কাছে?”
অতঃপর উনার মুবারক চেহারায় প্রস্ফুটিত হয় গাম্ভীর্যের ছাপ।
গভীর মনোনিবেশে তিনি কী যেন ভাবতে থাকেন। জানতে চান: “আন্ডার গ্রাউন্ডে পানির ট্যাঙ্কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে তোমাদের
কত সময় লাগবে? সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলেন: “অবশিষ্ট কাজ তিন-চার দিনে শেষ করা
সম্ভব হবে।” তার সবিনয় প্রার্থনার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন: “হে ব্যক্তি! বিষয়টির জন্য তুমি সাইয়্যিদুনা ইমাম মুজাদ্দিদে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, জব্বারিউল আউয়াল, ক্ববিউল আউয়াল, জামিউল
আলক্বাব, ক্বইয়্যূমুয যামান, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, আওলাদুর রসূল আলাইহিস সালাম উনার কাছে নিবেদনে পেশ করেছো। তিনি তোমাকে
আমার কাছে পাঠিয়েছেন। তবে তোমার প্রার্থনা পূরণের জন্য বিষয়টি উনাকে অবহিত করাই যথেষ্ট।
বিষয়টি তুমি আমাকেও জানিয়েছো। তুমি যাও। কাজ শুরু করার প্রস্তুতি গ্রহণ কর। বৃষ্টি
বন্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।” (চলবে)
আবা-২০৫