ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত
হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-
পূর্ব প্রকাশিতের পর
রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়েবী
আওয়াজে দুআ’ কবুলের স্বীকৃতি
ওলীয়ে মাদারজাদ, মুস্তাজাবুদ্
দা’ওয়াত, আফ্যালুল
ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখ্রুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে
ইস্মে আ’যম, লিসানুল
হক্ব, গরীবে নেওয়াজ,
কুতুবুয্যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা
হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম-উনার
কোমলান্তকরণময়তা,
দয়ার্দ্রতা এবং উনার ইহ্সান সর্বজনবিদিত। বাইরের জালালের
অভ্যন্তরে জামালের অপরূপ সৌন্দর্যময়তা, কোমলতা ও স্নেহার্দ্রতায় উনার
জালাল পরাভূত হওয়ার বিষয় সমঝ্দারদের জানা। বেয়াদবীর কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত
আমি নির্বাক দাঁড়িয়ে। পূর্ব অভিজ্ঞতায় আমার মন বলছে উনার জালালিয়ত প্রশমিত হবে।
মুবারক স্বভাব-সঞ্জাত অকাতর দয়া ও স্নেহপরায়ণতায় আমার জন্য তিনি অনুগ্রহের হাত
বিছিয়ে দিবেন। তখন আমি ক্ষমা প্রার্থনা করবো এবং নিগূঢ় বিষয়টি জানতে চাইবো।
আমার স্থূল বিবেচনায়
প্রতীক্ষিত সময় সমাগত হলো। আমি নিবেদন করলাম: “দাদা হুযূর ক্বিবলা! আমার দুআ’ চাওয়ার
কারণে আপনি কষ্ট পেয়েছেন। এজন্য সবিনয়ে আমি আপনার ক্বদম মুবারকে ক্ষমা চাই। যদি
দয়া করে জানান, তবে আমি জানতে চাই কে,
কখন,
কেন এবং কী কথা বলে আপনাকে দুঃখ দিয়েছে? বিষয়টি
আমি আদৌ বুঝতে পারিনি দাদা হুযূর ক্বিবলা!” আমার
অনুতাপ এবং বিষয়টি আনুপূর্বিক জানতে চাওয়া তিনি কিভাবে গ্রহণ করলেন, তা না
বুঝে আমি নিশ্চুপ থাকি। ভাবতে থাকি, আমার বেয়াদবীর মাত্রার ক্রমান্বয়
পরিবৃদ্ধি ঘট্ছে। আমার কাকুতি-মিনতিতে এক পর্যায়ে তিনি বলতে থাকেন: “পুরো বিষয়টি তোমার আক্বল ও সমঝ্-উনার
ঊর্ধ্বে। আমি বললেও তুমি বুঝবে না।” আমি আবার
মিনতি জানাই: “দাদা
হুযূর ক্বিবলা! আপনি দয়া করে না জানালে আমি জানবো কী করে? এটি তো
আমার জন্য নছীহত। এমনও তো হতে পারে, এটি হবে সকলের জন্যই নছীহত?”
আমার কাতর অনুনয়ে
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালামদয়াপরবশ হয়ে আমার দিকে দৃষ্টি
মুবারক নিবদ্ধ করে বললেন: “সেদিন রাতের গভীরে তোমার জন্য দুআ’ করতে আমি
মনোনিবেশ করি। চারদিক নীরব। সবাই ঘুমিয়ে। এমন মুহূর্তে আমাকে বলা হয়, কেন আপনি
এ দুআ’ করবেন? যে
ব্যক্তি যখন যে দুআ’ চায় তার
জন্য সে দুআ’ই কী
করতে হয়? এখন দুআ’ করার কোন
প্রয়োজন নেই।” সবিনয়ে
আমি জানতে চাই: “দাদা
হুযূর ক্বিবলা! রাতের আঁধারে কে আপনাকে এসব কথা বললেন? দুআ’ করতে কে নিষেধ করলেন? কেন নিষেধ করলেন?” তিনি বলেন: “আমি তো আগেই বলেছি,
পুরো বিষয়টি তোমার সমঝ্-উনার ঊর্ধ্বে। কথা না বলে মনোযোগ
দিয়ে শুনতে থাকো।” তিনি
গম্ভীরভাবে বলতে থাকেন: “নেক প্রয়োজন পূরণের লক্ষ্যে ইখ্লাছের সঙ্গে যা চাওয়া হয়, তার নাম
দুআ’। তোমার দুআ’ চাওয়ার
ক্ষেত্রে কোন ত্রুটি রয়েছে কিনা, তা’ সূক্ষ্মভাবে
ভেবে দেখা দরকার।”
সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর
ক্বিবলা আলাইহিস সালামআরো বলেন: “তোমার জন্য দুআ’ করার
মুহূর্তে অদৃশ্য স্থান থেকে নেদা হলো, যা’ স্পষ্টভাবে আমি শুনতে পেলাম। বলা হলো, এখন যেনো তোমার জন্য আমি দুআ’ না করি। এতে আমি দুআ’ করা থেকে
বিরত হলাম। ভাবতে থাকলাম কেন এমন হলো? অতঃপর আমি স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত
হলাম যে, তোমার দুআ’ চাওয়ার
মূল বিষয়ে এবং দুআ’র জন্য
আরজি পেশ করার ক্ষেত্রে এমন বিশেষ কোন ত্রুটি রয়েছে, যা কবুল হওয়ার অন্তরায়। এ সূক্ষ্ম
ত্রুটি সম্পর্কে তুমি অজ্ঞ। ত্রুটিযুক্ত বিষয়ে দুআ’ করার পূর্বেই আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, রউফুর রহীম, মাশুকে মাওলা,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার
তরফ থেকে মাহবুব ওলীগণকে বারণ করা হয়। তোমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তুমি ভেবে দেখ!
এ বিষয়ে তুমি আমার কাছে আর দুআ’ চেয়ো না।
আমি দুআ’ করবোনা।” (চলবে)
আবা-১৮৭
0 Comments:
Post a Comment